বিয়ে নিয়ে ইয়ে
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৮:৩৫ বিকাল
ব্লগ পাড়ায় বিয়ে নিয়ে অনেক ইয়ে হচ্ছে। অনেক হৈ চৈ মাতামাতি পড়ে গিয়েছে ব্যাচেলর আর বিবাহিত সকলের মাঝে। দিল্লীকা লাড্ডু বলে কথা! খেলেও পস্তাতে হয়, না খেলেও। এ নিয়ে তাই ব্লগারদের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই ।কিছু বিন্দু বিন্দু গল্প নিয়ে আমারও ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
সিক্স টু টেন - আই মেরী ইউ
অনেক আগের ঘটনা। তখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম। অতশত বুঝতামনা। আমার তখন নাক টিপলে দুধ বের হওয়ার মত ম্যাচুরিটি। কিন্তু মেয়েদের অনেকেই ছিল ইঁচড়ে পাকা। একদিন খবর বেরুল- ক্লাস সিক্সের এক ইঁচড়ে পাকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে ক্লাস টেনের এক বিচ্ছু ছেলে বিয়ে করে ফেলেছে। সে বিয়েটা টিকেছিল কিনা জানিনা। তবে তখন হতেই আমাদের স্কুলে মুখে মুখে রটে গেল- সিক্স টু টেন, আই মেরী ইউ।
মিটিলনা আঁশ, ফ্যানের সাথে ফাঁস
অপরিণত আবেগ এর এক নির্মম পরিণতি! কলেজপড়ুয়া হাসান প্রেম করতো তার সহপাঠী তণ্বীর সাথে। মেয়ের প্রণয়ের কথা জানতে পেরে অভিভাবক মহল অন্যত্র বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। হাসান বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয় নানাবিদ কারণে। একেতো সমবয়সী, এরপর বেকার ছেলে। অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায় তণ্বীর। হাসান আবেগ, রাগ, ক্ষোভ, বিচ্ছেদ যন্ত্রণার শোক নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। ফ্যানের সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ধ্বংস হয় সম্ভাবনাময় একটি জীবন। কে দায়ী? তণ্বী? অপরিণত আবেগ? নাকি বিয়েপূর্ব অনৈতিক সম্পর্ক?
নয় সিঁদেল চোর, মেয়ের হবু বর
একদিন রাতে অনেক হৈ চৈ আর চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙলো। পাশের বাড়ি হতে আওয়াজ হচ্ছে। চোর ভেবে লাঠি সোটা হাতে গ্রামের সবাই দৌড়াচ্ছে সে বাড়ি লক্ষ্য করে। চোর ধরা পড়েছে। গৃহকর্তা চোরকে জাপটে ধরে তারস্বরে চিৎকার করছেন। আলো পড়তেই সবার চক্ষু ছানাবড়া। আরে এতো চোর নয়, পাশের বাড়ির ছেলে। তবে? ঘটনা উদঘাটিত হতে দেরী হলনা। গৃহকর্তার সোমত্ত মেয়ের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এই ছেলে। সবার অগোচরে রাতের বেলায় আগমন ঘটতো নিয়মিতই। এবার ধরা পড়লেন মেয়ের বাবার হাতে। সামাজিক চাপে ছেলে মেয়েতে বিয়ে হল যথারীতি। কিন্তু কলঙ্ক লজ্জা কি ঢাকা পড়েছে?
গীটার বাজানো টিচার, ধরা পড়ে বেকার,
ছাত্রী পেলনা বিচার।
শিরোনাম ছন্দময় হলেও ঘটনাটি বেশ নোংরাই বটে! এক তরুণ স্কুল শিক্ষক লজিং থাকতেন আমাদের পাশের এক গ্রামে। নিজেকে বেশ প্রগতিশীল দাবি করা এই টিচার এর সঙ্গী ছিল একটি গীটার। লজিং বাড়ির ক্লাস নাইনের ছাত্রীর অপরিণত আবেগকে পুঁজি করে পটিয়ে ফেললেন। একদিন বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কাছারী ঘরে মহা আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীর সাথে ধরা পড়লেন হাতে নাতে। মুহুর্তেই অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেল। সবাই ছাত্রীর সাথে বিয়ে পড়ানোর পক্ষে মত দিলেন। বিয়ে হবে, সব ঠিক ঠাক। কৌশলে পালিয়ে বাঁচলো সে শিক্ষক। তবে জানাজানি হওয়াতে স্কুলের চাকরিটি হারালো সে। আর মেয়েটি? মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে আর কেউ কখনো দেখেনি। এ কলঙ্ক ঢাকতে লোকলজ্জা এড়াতে মেয়েটিকে সবার অগোচরে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হল। চাইলেও কি এ কলঙ্ক ঢাকা যায়? এ কলঙ্কের ক্ষত সারাজীবনই কি বয়ে বেড়াতে হবেনা মেয়েটিকে? দায়ী কি শুধুই শিক্ষক? নাকি মেয়েটির পরিবারের উদাসীনতা, প্রশ্রয় ও নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি?
ছোট বেলায় দেখা কয়েকটি বিয়ে
ক্লাস টুয়ে পড়ি তখন। একদিন বেড়াতে গেলাম বড় ফুফুদের বাড়ি। পরদিন এসে দেখি বাড়িতে হাসি কান্না, রান্না বান্না। কি ঘটনা? জানলাম- মেজ ফুফুর বিয়ে হচ্ছে। বরের বাড়ি পাশের গ্রামে। সে বিয়ের ঘটনা খুব মনে নেই। তবে মনে আছে বরের বাড়িতে চলে যাওয়ার সময়- দাদী ও মেজফুফুর হৃদয়বিদারক কান্না। আমিও সে আবেগে যোগ দিয়ে অনেক কেঁদেছিলাম।
ক্লাস ফোরে পড়ি। হঠাৎ শুনি নজীর কাকার বিয়ে। তিনি আব্বার চাচাতো ভাই। দাদা যাচ্ছেন বরযাত্রী হিসেবে। আমিও গোঁ ধরলাম। শীতের রাত তাই বৃদ্ধ দাদার হাতে ছেড়ে দিতে আম্মা ভরসা পাচ্ছিলেননা। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা, কান্নাকাটি জুড়ে দিলাম। অবশেষে অনুমতি মিলল। রাতে ব্যাপক খাওয়া দাওয়া হল। তখন মূল খাবার দেয়ার আগে অনেক ধরণের শরবত, পিঠাপুলি ও নাস্তা দেয়া হতো। এরপর আসতো পোলাও, মুরগী, গরু, মাছ, ডিম এসব। সবশেষে আবার দই দেয়া হতো। অত কি আর খেতে পারি? খাওয়ার চেয়ে নষ্ট করেছি বেশি। তখন বোধহয় বরযাত্রীদের বিয়েবাড়িতে একরাত থাকার প্রচলন ছিল। সকালে আবার পিঠা পুলি ও রকমারি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন। এরপর বউ নিয়ে বরযাত্রীরা ফিরে আসলাম।
বছর না ঘুরতেই আর এক চাচাতো ফুফুর বিয়ে। সে বিয়েতে কনেপক্ষ হতে আমরা গিয়েছিলাম ৫০-৬০ জন। সে বিয়েটির মূল আকর্ষণ ছিল পালকী। বর কনেকে পালকীতে করে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে ৪ জন । এ চমৎকার দৃশ্য এই যান্ত্রিক যুগে আর দেখা যায়না। পালকী বহন ও খাওয়া দাওয়ার মাঝে যে অবসর থাকে সে অবসরে পালকীর বেহারারা জাল বুনে। আবার তারা দারুণ নৃত্য করতে পারে। বিয়ের পর তাদের দর্শনীয় নৃত্যে খুশি হয়ে অনেকে বখশিশ দিয়েছে।
বড় চাচার বিয়ে
তিনি একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের ছিলেন। পাত্রী পছন্দ করতে দেরী হওয়ায় বিয়েতে অনাকাঙ্খিত দেরী। ১৯৮৭ সাল হতে পাত্রী দেখা শুরু, ১৯৯২ সালে সফল হলেন। কোন পাত্রী খাটতো কোনটি অধিক লম্বা, কোনটির নাক মোটা, নাক খাড়াতো চোখ ছোট, সব মিলেতো বংশ মর্যাদা পছন্দ হয়না। অবশেষে মিলে গেল-সোনায় সোহাগা। বিয়ের কবুল বলার পর পাত্রীর চেহারা দেখে চাচা ভ্যাবাচ্যাকা খেলেন। এ তো সে পাত্রী নয় যাকে পছন্দ করে গিয়েছিলেন। পাত্রীর বাবা আমার দাদা ও চাচাকে আড়ালে ঢেকে নিলেন। হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি, মেনে নিতে বললেন। আমার দাদা বড়ই সহজ সরল। ছেলেকে বুঝালেন। চাচা আর উচ্চবাচ্য করলেননা, নিয়তির লেখা মেনে নিলেন। ফেরার পথে ছোট একটি দূর্ঘটনা ঘটেছিল। ডাকাত দল গাড়িবহরের গতিরোধ করলো। চাচার এক বন্ধুর তাৎক্ষণিক বুদ্ধিতে ডাকাত দলকে বোকা বানিয়ে পার পাওয়া গেল। চাচীকে সীটের আড়ালে লুকিয়ে চাচার পাগড়ী খুলে একটি চাদর দিয়ে চাচাকে ঢেকে দেয়া হল। ডাকাত দল কোন গাড়িতে বর কনেকে দেখতে না পেয়ে ভুল টার্গেট মনে করে গাড়ি ছেড়ে দিল।
নিজেই যখন বর
জীবনের নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতে একটু দেরীই হয়ে গিয়েছিল। ২৭ বছরে কর্মজীবনে প্রবেশ করলাম। পরিবার হতে কোন উদ্যোগ দেখছিলামনা বিয়ের। একবছর পর জড়তা ভেঙ্গে নিজেই উদ্যোগ নিলাম। আব্বা নিমরাজি হলেও আম্মা ভালভাবে সম্মতি দিলেন। ইতিমধ্যে বন্ধু বান্ধবদের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি পাত্রীও দেখা হয়ে গেল। রূপসমৃদ্ধ পাত্রীর অভাব না থাকলেও কাঙ্খিত গুণসমৃদ্ধ কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিলনা। অনেক মেয়েকেই দেখলাম কথাবার্তায় অনেক ওভারস্মার্ট। অনেক পাত্রী আমাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছে। তবে বেশিরভাগই তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। আমার ব্যক্তিত্ব, রুচিবোধ, ধর্মীয় আনুগত্য, নৈতিকতা এসবের চেয়ে বেশির ভাগ মেয়েই ব্যাংক ব্যালেন্স, চাকুরী এসব নিয়ে অযাচিত প্রশ্ন করেছে। এক সেনা কর্মকর্তার মেয়েকে বেশ পছন্দ হয়েছিল। মেয়েটির সৌন্দর্য্য, রুচিবোধ, ব্যক্তিত্ব, শালীনতা, ধর্মপরায়ণতা, পারিবারিক স্ট্যাটাস সবই পছন্দ হলো। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল। অনেক আলাপ আলোচনা ও আপ্যায়ন পর্ব শেষে মেয়েটি আমাকে আচমকা প্রশ্ন করে- আচ্ছা, আপনি কি খুব মা ভক্ত ছেলে?
-অবশ্যই কেন নয়।
-বেশি মা ভক্ত ছেলেরা মেরুদন্ডবিহীন হয়।
ভীষণ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হলাম। কোন কথা আর বাড়াইনি। নিঃশব্দে চলে এসেছিলাম। মেয়েটি সরি বলেছিল। তবে আমি তাকে ক্ষমা করতে পারিনি।
আরো এক বছর গত হলো। বিয়েটা যখন সারা জীবনের বিষয় আরো ধীরে সুস্থে এগুনো শ্রেয় মনে করলাম। ইতিমধ্যে ভর্তি হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ প্রোগ্রামে। চাকরি আর পড়াশোনার ব্যস্ততায় দিন চলে যাচ্ছিল। বিয়ের বিষয়টা মাথা হতে ঝেড়ে ফেললাম। কিন্তু শুভাকাঙ্খীরা নিয়মিতই বিভিন্ন পাত্রীর খোঁজ দিতে থাকে। ব্যস্ততার অজুহাতে এড়িয়ে চলি।
একবার এক বড় ভাই জোর করেই নিয়ে গেলেন। কথা বলে আমার সব দিক দিয়ে তাকে পছন্দ হল। একটি সমস্যা বয়সে আমার ৮ থেকে ৯ বছরের জুনিয়র। বয়স নিয়ে অবশ্য মেয়ে পক্ষের আপত্তি নেই। এবার পারিবারিকভাবে এগুনোর পালা। আম্মা সম্মতি দিলেও চরম আপত্তি করলেন আব্বা। তিনি অন্যত্র মেয়ে দেখবেন বললেন। নিজ জেলার বাইরে যাবেননা। আমি চুপ থাকলাম। সুযোগের অপেক্ষায় রইলাম কিভাবে আব্বাকে ম্যানেজ করা যায়।
আরো তিন বছর গেল। এমবিএ শেষ হয়েছে আরো এক বছর আগে। পাশাপাশি প্রফেশনাল ডিগ্রী চার্টার্ড একাউন্ট্যান্সির একটা লেভেল পর্যন্ত কমপ্লিট করলাম। এর মাঝে ক্যারিয়ারেও অনেক পরিবর্তন এসেছে, চাকুরী পরিবর্তন করেছি ২ বার। আব্বা অনেক পাত্রীর সন্ধান দিলেন। নানা অজুহাতে এড়িয়েছি। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমার পছন্দের পাত্রীর ব্যাপারে আব্বাকে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছি। ভাগ্যিস ততদিনে সে পাত্রীর অন্যত্র বিয়ে হয়নি, সে যে ছিল আমার ভাগ্যে। হবু বউ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠের মাঝামাঝি পর্যায়ে। ২০১০ সালের মে মাসের এক সন্ধ্যায় তেজগাঁও এর নভো কনভেনশন সেন্টারে মোটামুটি এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নিলাম আমার প্রেয়সী নববধূকে। উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমার খুব উচ্চাকাঙ্খা ছিল। কিন্তু বিয়ের পর বাস্তবতার চাপে পড়ে আমাকে চাটার্ড একাউট্যান্সি পড়াশোনা হতে ছিটকে পড়তে হলো। অবশ্য তুলনামূলক সহজ আরেকটি প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জন করেছি- আইটিপি। অবশ্য নিজেকে বঞ্চিত করলেও বউয়ের উচ্চশিক্ষা চলমান রেখেছিলাম। সামান্য একটু বিরতি দিয়ে হলেও অনার্স শেষ করে উনি এখন ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার্স কমপ্লিট এর পথে। শিক্ষা নিয়ে নিজের বঞ্চনার কথা তুলে মাঝে মাঝে বউকে খোঁটা দিই-তোমার জন্যই আমাকে পড়াশোনা ছাড়তে হল। তখন বউ খুব রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে-ছেলে বড় হোক, বাপ ছেলে আবার একসাথে পড়বে। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে আমাদের ঘর আলো করে এসেছে আবীর। ছেলে আবীরকে নিয়ে সুখ দুঃখ মান অভিমান হাসি কান্নাকে সাথী করে জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে বহমান আমাদের পারিবারিক জীবন।
বিষয়: বিয়ের গল্প
৫৩৫২ বার পঠিত, ১২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেশী চালাকী করো না
আব্বুদের বিয়ের গল্প শুনে
মুচকি হাসি দিওনা।
মডু মামা মডু মামা
বিয়ে কেন করছ না
ব্লগে আছে অনেক আন্টি
বাইরে খুজতে হবে না।
বিয়ের গল্প শুনাতে গিয়ে সবাই ধরা খাইছে
সব কিছু ফাঁস করে দিয়ে এখন টেনশনে থাকছে
মডু মামা মডু মামা
প্লিজ একটা চকলেট দাওনা
চকলেট না পাইলে
তোমার বিয়েতে আসব না।
রাজপুত্র আবিরের জন্য অনেক অনেক দুআ,ভালবাসা রইল।
۞۞ অনলাইনে পাত্র-পাত্রী দেখা--তারপর বিয়ে--۞۞
♥♥♥ স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রেম-ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের সুখ-দুঃখের সমভাগী হয়ে বসবাস করার নামই দাম্পত্য জীবন ♥♥♥
মানুষের জীবনের মূল অংশ যৌবনকাল বা দাম্পত্য জীবন। এই দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তির একমাত্র চাবিকাঠি স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সাহায্য, সহযোগিতা, সহানুভূতি, প্রেম-প্রীতি। স্বামী বা স্ত্রীর কারও একার পক্ষে এই সুখ-শান্তি আনায়ন করা সম্ভব নয়। এই জন্য উভয়ের যৌথ প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
শুনলে এসব গোলমাল
সেই উপায় আরতে নাই
আমি ঠিক তাই বলেছি?
বলেছিতো মন চায়
তাই বলেকি করা যায়?
মনের কথা মনেই থাক তবে
চাইনা মনে উথাল হাওয়া দেবে
পিঠটা বাঁচুক বিয়েশাদি পরে
দোহায় লাগে বলনা ফোন করে
উমামার মা রক্ষা পাক।
অনেক রকমের স্বাদ উপভোগ করলাম। শেষে আপনার নিজেরটাতো অন্য রকম ভালো লাগলো
আপনাকে ধন্যবাদ।
ছিলই তো এমন সবসময়
এখনো খেয়ে না থাকলে দিল্লীকা লাড্ডু খাওয়ার প্রস্তুতি নিন।
ইন্ডিয়ান কোনো পন্য আর ব্যাবহার করবো না ইনশাআল্লাহ ।
পড়ে অনেক ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আবীরের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
গোপন খবর জেনেই নিলাম।
ভাবি , পিচ্চিকে সালাম দিবেন।
মনে হচ্ছে বিয়ের আগে আপনাকেও প্রেমালাইসিস রোগের ভাইরাসে এ্যাটাক করেছিল। তবে তেমন বেশী আক্রান্ত করতে পারেনি। যাইহোক আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এ কারনেই যে, প্রিয়সীর পক্ষ থেকে কোন ধরনের পাল্টা সেকামাইসিন ডোজ খাওয়ায়ে আপনার বেহাল দশা সৃষ্টি করেনি।
বয়সের ব্যাপারে আমার কি মনে হয় জানেন? বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স মুখ্য না। ভালোবাসাটাই মুখ্য। আমাদের প্রিয় নবী(সা) ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সের নারীকে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্য জীবন পার করেছেন।
ঠিক তেমনি ২৫ বছরের মেয়ে ৪০ বছরের লোককে বিয়ে করেও সুখী হতে পারে যদি তাদের মধ্য ভালোবাসা থাকে।
শুভকামনা।
বলতে দ্বিধা নেই খুব খুব খুব ভাল লেগেছে।
দোয়া করি আপনার সংসারটাকে আল্লাহ সুখ শান্তিতে ভরে দিন,বাচ্চাটাকে ইসলামের মুজাহিদ বানিয়ে দিন, আমীন ।
তবে আমার বিয়ে কিন্তু ইয়ে করে নয়, রীতিমত পাত্রী দেখে পছন্দ করে বিয়ে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন