সূক্ষ্ম কৌশলে বিএনপি-জামায়াতকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্ঠির পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশন এর- বিএনপি ঘুমিয়ে কেন?
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ২১ জুলাই, ২০১৩, ০২:৩৪:৪৫ দুপুর
বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে এবার খোদ সরকারকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এর অন্ধ দলীয় বিবেচনায় নেয়া অনেক প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ ও ভূমিকা ইতিমধ্যেই সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঘায়েল করতে আধাজল খেয়ে লেগেছে এই চরম দলকানা কমিশন।
প্যাডসর্বস্ব দলকে গমের শীষ প্রতীক বরাদ্ধ দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কে পরাজিত করার হীন ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়েছে মাত্র কয়দিন আগে।
নিবন্ধনের জন্য দুই দল চূড়ান্ত : যোগ হচ্ছে গমের শীষ
এবার নতুন ও অভিনব এক ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে ব্যক্তিত্বহীন এই কমিশন। জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে সেক্যুলার ও বাম নাস্তিক জোটকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এই হীন ষড়যন্ত্র।
ফেইসবুক-এসএমএসে নির্বাচনী প্রচার বন্ধের উদ্যোগ
প্রতিবেদনে বলা হয়-
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিবালয়ের উপ সচিব (নির্বাচন) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, ফেইসবুক, টুইটার ও মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে বিধি লঙ্ঘন ও ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা’ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ইসি উপ সচিব জানান।
গত ১৫ জুন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট এবং ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘অপপ্রচার’ রোধে হিমশিম খেতে হয় ইসিকে।
নির্বাচনে ‘ধর্মের অপব্যবহার’ ও ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে না পারায় জাতীয় সংসদে ইসির সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ক্ষমতাসীন মহজোটের সাংসদরা।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার রোধে ‘প্রয়োজনে’ প্রার্থিতা বাতিলের মতো শাস্তির বিধি সংযোজন করে আচরণবিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে উপ সচিব মিহির সারওয়ার বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে অপপ্রচার ও পরস্পরকে কটূক্তি করা হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণেই আচরণবিধিতে সংশোধনের প্রস্তাব করা হচ্ছে।”
“তবে ফেইসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার চালানো যাবে না। অথবা মোবাইলের এসএমএস বা ফেইসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কেউ অন্য প্রার্থীর সম্মানহানীকর কোনো প্রচার চালাতে পারবেন না।”
ইনিয়ে বিনিয়ে যাই বলা হোকনা কেন, এর মূল উদ্ধেশ্য যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, একজন স্থুল বুদ্ধির লোকও এটা বুঝে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫ সিটি নির্বাচনের ফলাফল এ সরকারের লজ্জাজনক পরাজয় কিছুতেই মানতে পারছেনা ইসি। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে নানা কুটকৌশলে বিএনপিকে পরাজিত করতে আঁটঘাট নিয়েই নামছে ইসি। তাঁদের এই হীন তৎপরতা সফল হলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে নির্বাচনী প্রচারণায় পদে পদে বাধাগ্রস্ত করা সম্ভব হবে কালোআইন ব্যবহার করে।
লক্ষ্যণীয় যে, আওয়ামীলীগ এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের অনুভূতিতেই শুধু আঘাত করেনি, আলেম ওলামাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। আর এইসব সত্যি কথা প্রচার করতে গেলেই ধর্মীয় অপপ্রচার আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার, হয়রানি, প্রচারণায় বাধা এমনকি প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। বিপরীতে বিএনপি আর জামায়াত এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার এর জন্য প্রস্তুত আছে কয়েক ডজন হলুদ মিডিয়া।
তাই প্রয়োজন এখনই তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাতে ইসি কোন অবস্থায়ই তাদের এইসব হীন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন