কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ০৬ জুলাই, ২০১৩, ০২:২২:২৬ দুপুর

দুই এক মাস পরপর সাধারণত গ্রামের বাড়িতে যাই নাড়ির টানে। এবারো গেলাম, গ্রাম সম্পর্কের এক কাজিন এর বিয়ের দাওয়াতে। পেটপুরে খাওয়ার পাশাপাশি একটি দারুণ কাজও করলাম বটে। কাজটির জন্য বেশ তৃপ্তি পাচ্ছি মনে।

কাজটি কি , সেটাই বলছি এবার।

মসজিদ কমিটির মুরুব্বীদের সাথে একটি মিটিং করে জানালাম-আমি পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী কুরআন শিক্ষার আয়োজন করতে চাই মসজিদে। অর্থায়ন আমি করবো। সবাই সানন্দে সম্মতি দিলেন এবং পরদিন শুক্রবারে জুমার নামাজে সকল মুসল্লীদের সামনে আমার প্রস্তাবটি পুণরায় পেশ করতে বললেন।

যথারীতি শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ শেষে আমার প্রস্তাবটি সম্মানিত মুসল্লীদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করলাম। মুসল্লীরা সবাই সানন্দ চিত্তে প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেন। সিদ্ধান্ত হলো-১লা রমজান হতেই এই কর্মসূচী শুরু হবে ইনশাল্লাহ । শিক্ষক হিসেবে থাকবেন স্থানীয় মাদ্রাসার দুইজন শিক্ষক। প্রতিদিন বাদ জোহর বা বাদ আছর (সঠিক সময়টি মসজিদ কমিটি আলোচনাক্রমে নির্ধারণ করবেন) পবিত্র কুরআন শিক্ষার আসর বসবে।

বক্তব্যের সমাপ্তি টানার আগে আরো একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছিলাম। সেটা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা কি এবং এর পরিণাম কি?

ধর্ম নিরপেক্ষতা যে কুফরী মতবাদ সেটা রেফারেন্স সহ ব্যাখ্যা করলাম এবং এই কুফরীর পরিণতি যে জাহান্নাম সেটাও পবিত্র কুরআনের আলোকে ব্যাখ্যা করলাম।

বক্তব্যের সেই অংশটি এখানেও তুলে ধরলাম-

Oxford dictionary –“Secularism means the doctrine morality should be based solely on regard to the wellbeing of mankind in the present life, to exclusion of all consideration drawn from belief in God or in future life”

-ধর্মনিরপেক্ষতা এমন একটি মতবাদ যেখানে মানবজাতির কল্যাণ চিন্তায় গড়ে উঠেছে এমন একটি নৈতিক ব্যবস্থা যেখানে থাকবেনা আল্লাহ বা পরকাল বিশ্বাস ভিত্তিক কোন বিবেচনা। (নাউজুবিল্লাহ)।

Encyclopedia বা বিশ্বকোষে বলা হয়েছে-

Secular spirit or tendency especially a system of political or social philosophy that reject all form of religious faith.

-ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা সকল ধর্ম বিশ্বাসকেই প্রত্যাখ্যান করে।

সুতরাং এটি সুস্পষ্ট যে ধর্মনিরপেক্ষতা একটি কুফরী মতবাদ। এ নিয়ে আর কোন বিতর্ক চলেনা।

এবার আমরা কুফরীর পরিণাম সম্পর্কে জানবো। পবিত্র কুরআনের সুরা মুহাম্মদ এর ৩২ নং আয়াতে আল্লাহপাক ঘোষণা করেন-

[b]ইন্নাল্লাজিনা কাফারু ওয়া সাদ্দু আন সাবিলিল্লাহে ওয়া শাক্কুররাসুলা মিম বাদি মা তাবাইয়ানা লাহুমুল হুদা লাইয়া দুররুল্লাহা শাইয়া ওয়া সাইয়ুহবিত আমালাহুম।


-যারা কুফরী করেছে,আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সামনে সঠিক পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর রসূলের সালে বিরোধ করেছে, প্রকৃতপক্ষে তারা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। বরং আল্লাহই তাঁদের সকল কৃতকর্ম ধ্বংস করে দিবেন।

একই সূরার ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে-ইয়াআইয়ু হাল্লাযিনা আমানু আতিউল্লাহা ওয়া আতিউররাসুলা ওয়ালাইউবতিলু আমালাকুম।

-হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের আনুগত্য কর এবং নিজেদের আমল ধ্বংস করোনা।

৩৪ নং আয়াতে আরো সুস্পষ্ট ঘোষণা-

ইন্নাল্লাজিনা কাফারু ওয়া সাদ্দু আন সাবিলিল্লাহে সুম্মা মাতু ওয়া হুম কুফফারুন ফালা ইয়াগফিরুল্লাহু লাহুম।

-যারা কুফরী করে, আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং অতঃপর কুফরী অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ তাঁদের কখনো ক্ষমা করেননা।

আল্লাহপাক আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার মত মারাত্মক কুফরী হতে হেফাজত করুন। আমিন।

[/b]

বিষয়: বিবিধ

১৮৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File