ভারতের মধ্যপ্রদেশে গণহারে নারীর সতীত্ব পরীক্ষা।
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ১২ জুন, ২০১৩, ১২:৪০:০৫ দুপুর
আচ্ছা, আমাদের সুশীলদের এখন চুলকানি হয়না কেন?নাকি দাদাবাবুদের দেশ বলে সবকিছু জায়েজ। যারা কথায় কথায় আমাদের নারী স্বাধীনতা, নারী মুক্তির সবক দেয় তাঁদের দেশে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় কি অসভ্যতাটা হচ্ছে? যারা বলে ইসলাম নারীদের আবদ্ধ করে রাখছে তাঁদের ধর্মে নারীকে নিয়ে অবমাননাকর উক্তি কেন?
সনাতন ধর্মের বিধান অনুযায়ী-
"পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট নারীও সর্বনিকৃষ্ট পুরুষ অপেক্ষা অধম।"
বিধান যখন এমন সেখানে নারীর সতীত্ব পরীক্ষার মত অসভ্যতা মামুলী ব্যাপারই বটে।
আজকের দৈনিক আমাদের সময়ের খবরে প্রকাশ-
সম্প্রতি ভারতের মধ্য প্রদেশে এক গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে আর্থিকভাবে অসচ্ছল এমন ৪৫০ জন কুমারীকে জোরপূর্বক সতীত্ব ও গর্ভধারণ পরীক্ষার মুখোমুখি করা হয়।
গণবিয়ের আসরটি হয় প্রদেশের বেতুল জেলায়। এর অর্থায়ন করে প্রাদেশিক সরকার। এ ঘটনা এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০০৯ সালেও একই ধরনের আসরের আয়োজন করা হয়। ডেইলি মেইল
মধ্য প্রদেশের মুখমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, ‘গরীব পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রাদেশিক সরকারের অর্থায়নে এ গণবিয়ের আয়োজন করা হয়।’
ভারতের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, ‘নারীরা উপহার পাওয়ার প্রত্যাশায় এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। আর সেজন্য সরকারি আদেশে সতীত্ব পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।’
বিষয়: বিবিধ
১৫৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন