সেহরী এবং ইফতারী নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৩ জুন, ২০১৬, ১২:১৬:৫৯ রাত



আসসালামুআলাইকুম। আশা করি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই রমাদ্বানে সিয়াম, কিয়াম, তিলাওয়াত, দোআ, সাদাকাহ ইত্যাদি পবিত্র ও বহুল সওয়াবের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন।

অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি সেহরি এবং ইফতার এ দুটোও গুরুত্বপূর্ন ইবাদাত । তবে এ দুটোকে ঘিরে আমাদের উপমাহাদেশে রয়েছে বিরাট খাদ্য বিভ্রান্তি। বিষয়টি ইবাদতের পরিবর্তে ভোজোৎসব হয়ে দাঁড়িয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই ।

সেহরি এবং ইফতার নিয়ে রমাদ্বানের আগে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বেশ কিছু আর্টিকেল পড়েছিলাম। এর মাঝে বেশিরভাগ ছিলো স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক। যেগুলো পড়ে আমরা নিজেরা উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। সেখান থেকে সংগৃহ করে কিছুটা সংযোজনা করে আজকের এই সচেতনতা পোস্ট টির অবতারণা।

রমাদ্বানে সারাদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারের মুহূর্ত যখন আসে স্বভাবতঃ আমাদের চোখে ভেসে উঠে রকমারি বাহারি ভোজ্যবিলাসী ইফতারি সামগ্রী । অনেকেই আছি ভাজা পোড়া ছাড়া ইফতার মুখে ও নিতে না পারার কঠিন (? ) অভ্যাস। এটা ঠিক দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পর মুখ রোচক খাবার খাওয়ার আগ্রহ জন্মায় তবু নিজেদের স্বাস্থ্যের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে ইফতার ও সেহরিতে আমরা কী ধরণের খাবার মেন্যুতে রাখছি !

ভাজা -পোড়া, গুরুপাচক খাবার :- ইফতারে ভাজা পোড়া না থাকলে আমাদের যাদের কপাল কুঁচকে যায় ,তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- একটু চিন্তা করলেই সহজবোধ্য হবে যে, আমাদেরকে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ ঘন্টা আর ইউরোপে প্রায় ১৮ ঘন্টা সিয়াম করতে হচ্ছে। সারাদিনের সিয়ামে আমাদের পাকস্থলি ক্ষুধার্ত ও দুর্বল অবস্থায় থাকে । অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের এনজাইম, যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী হয়,তা বন্ধ থাকে । তাছাড়া পাকস্থলীর ভিতরের মিউকাস আবরণও সংকুচিত অবস্থায় থাকার ফলে যখন ইফতার শুরু হয় ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত, গরম, গুরুপাক খাবার দিয়ে তখন পাকস্থলি নাজুক অবস্থায় পড়ে যায় । এতে যাদের গ্যাস্ট্রিক আছে সেটার পরিমাণ যায় বেড়ে আর যাদের নেই তাদেরও লক্ষণ শুরু হয়ে যাবে স্বল্প সময়ে । তাছাড়া পেটে জ্বালা পোড়া করা , পেটের সমস্যা,

কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা, অবসাদ, হজমের সমস্যা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যাবে অল্প দিনে । এই সমস্যা ছাড়াও এই খাবারগুলোর ক্যালোরি মান অতি উচ্চ থাকায় আমরা অল্প খেলেও পেট ভরা অনুভূত হবে দ্রুত । যেমন- পিঁয়াজু,বেগুনী, আলু চপ, সমুচা, সিংগারা, বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম, ছোলা ভুনা, ফাস্টফুড ইত্যাদি ।

আমাদের করনীয় হবে যথাসম্ভব ভাজাপোড়া খাবার বাদ দিয়ে সহজপাচ্য খাবার, যেমন: কাঁচা ছোলা , চিড়া- দই, লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, নুডুলস, নরম খিচুড়ি ,জাউ ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা । সাথে মৌসুমী ফল, সালাদ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সেহরীতে,ডাল বা ডিম, স্বজি,মাছ ,গোশত যোগ করা যেতে পারে। বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, দুধ, মিষ্টি আলু, ডাল, ফল, সবজি, সালাদ ইত্যাদি খেতে হবে । প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে অন্তত এক বেলা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত । সুষম খাবার (balance diet) এর আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতে খাবার মেন্যু । যেমন: আমিষ, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেলস, ফাইবার ইত্যাদি খেতে হবে সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ।অতিরিক্ত ঝাল মশলা যুক্ত, ভুনা ও লবনাক্ত খাবার বাদ দেয়ার চেষ্টা করা উচিত।

যেসব খাবার, ফল, স্বজি পানি কন্টেইন করে সেসব খাবার ইফতারিতে প্রায়োরিটি দেয়া উচিত। যেমন- তরমুজ, পেঁপে,বাংগী,জাম্বুরা, কমলা, শশা, স্ট্রবেরী, বেরীস,সালাদপাতা, আভোকাডো, পীচ, চেরী, ঝুক্কিনী, আসপারাগাস, সেলারি, গাজর, টমেটু , ফুলকপি, ডাটা, ব্রোকলি ইত্যাদি ।

অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত - ইফতারের জন্য খেজুর অত্যন্ত উপযোগী কারণ এতে আছে শর্করা ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভ্যাস ছিল খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা ।

‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’ [সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭,সহীহ]।



চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় খাওয়া: - আমাদের ইফাতরের টেবিলে রং বে রং এর পানীয় বা শরবত থাকেই । খুব বেশী চিনি যুক্ত খাদ্য ও পানীয় আমাদের শরীরে দরকার নেই, তাই নিয়মিত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া যথাসম্ভব বাদ দিতে হবে। কারণ এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির(ইনসুলিন) মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাময়িকভাবে ব্রেইনে শক্তি জোগালেও একটু পরেই তা স্তিমিত হয়ে যায় এবং শক্তিহীন মনে হয়।

যেমন: ট্যাং, ট্রাডিশনাল মিষ্টি , পায়েশ, ফালুদা, শাহী জিলাপি, কেক, বিস্কিট ইত্যাদি রোজায় খাওয়া হয়, কিন্তু এগুলো প্রচন্ড চিনিযুক্ত ও উচ্চ ক্যালোরীযুক্ত । এগুলো রোজায় প্রতিদিন না খেয়ে মাঝে মাঝে হাওয়া যেতে পারে। এছাড়া যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের লেবুর শরবত দিয়ে ইফতার শুরু না করাই ভালো।

আমরা যা করতে পারি চিনি মুক্ত খাবার ও পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। যেমন: ফলের শরবত, বিভিন্ন রকমের ফ্রেশ ফল , চিনি যুক্ত না করে দই এর শরবত ইত্যাদি। কোমল পানীয় পান না করে করে ইফতার থেকে সেহেরী পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রে ইসুবগুল এর ভুষির শরবত এবং ডাবের পানি অনেক সহায়ক ।

জটিল শর্করা না খাওয়া: শর্করা জাতীয় খাবার

আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়, তাই অনেকে মনে করি রোজায় বেশি বেশি শর্করা খাওয়া উচিত। অনেকেই অন্যান্য সময়ের চাইতে রমাদ্বানেই বেশী ভাত খান । আমাদের দেশে সাধারনত: সাদা ভাত

বা সাদা আটা খাওয়া হয়। যা শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে একটু পরেই আবার খেতে ইচ্ছা করে, তাছাড়া এগুলো হজম হতে সময় কম লাগে, ফলে ক্ষুধাও তাড়াতাড়ি লাগে।

আমরা যা করতে পারি সম্ভব হলে সাদা শর্করা বাদ দিয়ে লাল শর্করা: যেমন: লাল আটা, লাল চাল খেতে অভ্যাস করতে পারি। এগুলোতে low-glycaemic index থাকে,তাই হজম হয় আস্তে আস্তে এবং ক্ষুধা লাগে দেরীতে । রক্তে চিনির পরিমান তাড়াতাড়ি বাড়তে দেয় না। সম্ভব হলে সব সময়ের জন্য অভ্যাসে পরিণত করলে আমাদের ই কল্যাণ বয়ে আনবে ইনশা আল্লাহ।



একেবারেই বেশী না খাওয়া - ইফতার বা সেহরীতে যেনো মনে না করি সারা দিন খাই নি বা অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকতে হবে এজন্য বেশী করে খাই - এটা একেবারেই সঠিক না । এভাবে খাবার টেবিলের উপর পাগলের মতো ঝাপিয়ে পড়ে হাপুশ হুপুশ খাওয়া রোজার যে আসল উদ্দেশ্য–সংযম,সেই সংযম কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। সেই সাথে নষ্ট হয়

আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়া । তাছাড়া একসাথে এতরকমের ও এত বেশি খাবার খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা,গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি বেড়ে যাতে পারে । আবার অনেকে সেহেরিতেও অনেক বেশি খান,মনে করেন, বেশি খেলে পরে ক্ষুধা লাগবে না, এটিও ভুল ধারণা।

আমরা যা করতে পারি - অন্য সময়ের মতই রমজানে বারে বারে অল্প করে পরিমিত পরিমানে খাওয়ার অভ্যাস করা । যেমন: ইফতার অল্প করা,

একটু পরে অল্প রাতের খাবার খাওয়া , সেহেরীতেও পরিমিত খাওয়া । ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরী এই তিন বেলাই খাবার আমরা খাবো কোনো বেলা খাবার খাওয়া বাদ না দিয়ে বরং অল্প অল্প করে বার বার পরিমিত এবং ক্যালরি মান অনুযায়ী খেতে হবে। না হলে কিন্তু শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে ।

সেহেরী না খাওয়া: - সেহেরি একেবারেই না খাওয়া ঠিক নয় , প্রথমত, সেহেরী খাওয়া সুন্নত এবং এতে বরকত রাখা হয়েছে। রহমতের ফেরেশতারা এ সময় সেহেরী কারীদের জন্য দোয়া করেন। তাই এই সুবর্ণ সুযোগ হারানো ঠিক নয় । আর সেহরী না খেলে সারা দিনের ঘাটতিতে শরীর ও দুর্বল হয়ে যাবে ।

অনেকে মনে করেন, সেহরি না খেয়ে এক বেলা শুধু ইফতারে খেলে ওজন কমবে।কিন্তু এতে হিতে তাছাড়া সেহেরী না খেলে বিপকক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে শরীরের সঞ্চিত শক্তি ক্ষয় হয়, ফলে দেহে ক্লান্তিআসে ও রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হয় । আমাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ওজন কমানো না বরং সিয়াম পালনে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।

আমাদের করণীয় হলো কষ্ট হলেও সেহেরি খেতে হবে । একান্ত অরুচী হলে একটু পানি, ফল বা দুধ হলেও খাওয়া চাই । অনেকেই আম -দুধ -চিড়া খেয়ে থাকেন ।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরির মাঝে বরকত রয়েছে। (বুখারী)

এবং তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ

“আমাদের সাওম আর আহলে কিতাবদের সাওম পালনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে সেহরী গ্রহণ।” (মুসলিম)



ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় : সারাদিনের রোযা শেষে অনেকেই প্রতীক্ষায় থাকি গরম এক কাপ চা এর জন্য । এমনকি অনেকে সেহরী এবং ইফতার উভয় সময়েই চা পান করেন। খেয়াল রাখতে হবে রোজায় চা, কফির মাত্রা যেনো কম হয় । তা না হলে পানিশুণ্যতা , কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

কারণ, ক্যাফেইন হলো diuretic, যা শরীর থেকেপানি বের করে দেয়।

একান্ত না পারলে বা চা বা ক্যাফেইন যদি খেতেই

হয় , তবে হালকা ক্যাফেইনযুক্ত খাওয়া যেমন:গ্রিন টি। সেহেরিতে ক্যাফেইন না খাওয়াই ভালো, সারাদিন তাহলে পানি পিপাসা লাগবে এবং শরীরে পানি শুন্যতা তৈরী হবে।

রোজা রাখাকে ওজন কমানোর উপায় মনে করা : অনেকে মনে করেন রোজা রেখে ডায়েট করবেন ও ওজন কমাবেন। এটি ভুল, কারণ রোজা রেখে আমরা আল্লাহর ইবাদত করছি , আল্লাহ রোজার মাস দিয়েছেন বেশি বেশি ইবাদাত বন্দেগী করতে, আত্মশুদ্ধি করতে । তাই রোজার মাসকে ডায়েটিং এর মাস না মনে করে আল্লাহতায়ালা আখিরাতকে লাভ করার, গুনাহ মোচন করার যে অপূর্ব সুযোগ দিয়েছেন, তা আমাদের গ্রহণ করা উচিত।

অন্যান্যদের ও ইফতারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া -- আমরা নিজেরাতো সামর্থ্যের মধ্যে সবচাইতে ভালো খাবারগুলো সেহরি ও ইফতারে খাচ্ছি, আসুন না তাঁদের পাশেও দাঁড়াই যারা এক মুঠো খাবার ও খেতে পারছেন না অভাবের তাড়ণায়!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কেউ একজন রোযাদারের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে, তাহলে তার জন্যও রোযাদার ব্যক্তির অনুরূপ সওয়াব

রয়েছে যদিও রোযাদারের সওয়াব থেকে কোনো কমতি হবে না।(তিরমিযী)





অনেক পুষ্টিমান যুক্ত, ক্যালরি যুক্ত, স্বাস্থ্যমান বজায় রেখে সেহরি ও ইফতার করছি কিন্তু এই আমি আর আপনি যেনো আল্লাহ তায়ালার দেয়া রিজিক স্বরুপ আমানতকে অপচয় যেনো না করি!

আমরা যেখানে খাদ্যের পুষ্টি মান নিয়ে এতো আলোচনায় মুখর আমাদের এই পৃথিবীর আরেক প্রান্তে ই কোনো মা এই মুহূর্তে তার সন্তানের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে এই কষ্টে যে তাদের কাছে এমন কোনো খাবার নেই যা দিয়ে ক্ষিদে নিবারণ সম্ভব ! সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ আমাদের শুকর আদায় করার তৌফিক দান করুন।

খাওয়ার সময় যে খাবারটুকু প্লেটের কোনায় রয়ে যায়, পাতিল ধোয়ার সময় নিচে যে ভাত টুকু লেগে থাকে, ময়লা ফেলার সময় যে উচ্ছিষ্ট ফেলতে যাচ্ছি তখন যেনো আমরা প্রত্যেকেই মনে রাখি إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ আল্লাহ অপচয় কারীকে ভালোবাসেন না!



“.وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ﴾....তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের ভালো বাসেন না ।” (সূরা আ’রাফঃ৩১)




রমাদ্বানের বরকতময় সময় চলে যাচ্ছে, আল্লাহ আমাদের ঠিকভাবে ইবাদাত করে উনার সন্তুষ্টি এবং আমাদের পাপ মোচন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

(কৃতজ্ঞতা স্বীকার- ওয়েবসাইট সমূহ)

বিষয়: বিবিধ

২৭৯৪ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

371816
১৩ জুন ২০১৬ রাত ১২:৩১
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুপ্রিয় ছোট আপি। তোমার সেহরি এবং ইফতার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ উপদেশাবলী সকলের রমযান সময়কালীন সময়ে প্রয়োগ হোক এটাই কাম্য।

কোরআন ও হাদীসের আলোকে লিখাটি পড়ে খুবিই ভালো লাগলো । আলহামদুলিল্লাহ্‌।
১৩ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৬
308557
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপু আসছি! Love Struck Praying
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০২:৫৭
308558
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ আপুনিLove Struck

কেমন কাটছে রমাদ্বান, আপু?
দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপু। জাযাকিল্লাহু খাইর। Praying
371817
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০১:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ছোলা এবং ডালের পিয়াজু কিন্তু ভাল ভেজিটেবল ফ্যাট এর উৎস । সারাদিন রোজার পর এটা কিন্তু শরিরের জন্য ভাল।
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০৩:০৬
308559
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।

কাঁচা ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর খাওয়া খুবই স্বাস্থ্য উপযোগী। একই রকম ডাল যদিও উপযোগী কিন্তু এটা যখন ডীপ ফ্রাই করে মচমচে পিঁয়াজুতে পরিণত করা হয় তখন পুষ্টিগুণ কমে যায় ।



সাধারণত ডাল- শষ্য জাতীয় খাবর ভেজিটেবল প্রোটিন এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

শুকরিয়া ভাই। দোয়ার দরখাস্ত রইলোPraying
371818
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০২:২৩
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : সাদিয়া মুকিম : আপনি মেডিকেল পড়ছেন/বা পড়েছেন তাতো কখনো বলেননি ! খুবই ভালো হয়েছে এই লেখাটা|রোজা রাখার সাথে স্বাস্থ্যতা ঠিক রাখাও বড় একটা ব্যাপার|আপনার লেখাটা খুবই হেল্পফুল হবে সেদিক থেকে |
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০৩:১০
308560
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।

এতো বড় উপাধী বহন করার যোগ্যতা আমার নেই ভাই। কিছু আর্টিক্যাল পড়েছি এবং হেলদি ভিডিও টিপস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই লিখা!
আমাদের নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি ভাবলাম ব্লগেও দেই যদি কেউ পড়ে উপকৃত হন - এটাই আশা!

শুকরিয়া ভাই। দোয়ার দরখাস্ত রইলোPraying
371819
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৪৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : সেহেরী খাওয়া সুন্নত এবং এতে বরকত রাখা হয়েছে। ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:০৭
308777
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

এখন দিন বড় তাই খুব কম মানুষ কে বলতে শুনি সেহরী মিস করেন ,শীত কালে এর পুরো বিপরীত অবস্থা ! সেহরীতে কেউ উঠতে চায় না!
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া। আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখবেন।Praying
371825
১৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৬:০৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ধন্যবাদ সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:০৯
308778
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অয়ালাইকুম সালাম ওয়া রহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ।
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য।

মুহতারাম, আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখবেন।Praying
১৫ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:০১
308834
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ।
371826
১৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৬:১৮
371828
১৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৬:৪৩
পললব লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, রামাদান মুবারক!!গরিবের পেটে ঘি সয় না। রক্তে মিশে আছে ভাজা পোড়া তাই স্বাথ্যকর খাবার অরুচি লাগে। ধন্যবাদ।
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:১৪
308779
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ।

আমাদের দেশীয় খাদ্যভ্যাস আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
এখানে ভিন্ন অবস্থা দেখি, অল্প তেলে প্রায় মশলা বিহীন রান্না অথচ খুবি টেস্টি!
আমরা বাজার করতে সুপারমার্কেট গেলে ইটালিয়ানরা আমাদের ট্রলির দিকে তাকিয়ে থাকে শুধু পেয়াজের বস্তা আর তেলের কার্টুন এর দিকে Crying

আপনাকে আন্তরিক শুকরিয়া। মুহতারাম পল্লব ভাই, আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখতে ভুলবেন না। Praying Praying
১৮ জুন ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
309142
আবু জান্নাত লিখেছেন :
শুধু পেয়াজের বস্তা আর তেলের কার্টুন Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
371870
১৩ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৮
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : Excellent
চিড়া- দই, লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, নুডুলস, নরম খিচুড়ি ,জাউ ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা । সাথে মৌসুমী ফল, সালাদ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
I agreed with you apu
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:১৬
308780
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

লাল ভাত টা ছাড়া বাকি গুলোর অভ্যা করে ফেলেছি আমরা আলহামদুলিল্লাহ! আমরা রমাদ্বানে ভাজাপোড়া মুক্ত পরিবার আলহামদুলিল্লাহHappy

আপনাকে আন্তরিক শুকরিয়া। মুহতারাম মনসুর আহামেদ ভাই, আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখতে ভুলবেন না যেনো।Praying
371891
১৪ জুন ২০১৬ রাত ০৩:৪৪
ধ্রুব নীল লিখেছেন : আস সালামু আলাইকুম।
উপস্থিত । Big Grin
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:১৮
308781
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম Happy

আশাকরি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছো, সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনায় রত আছো। ছোট বোনটি কেমন আছে?
আন্তরিক শুকরিয়া। মুহতারাম নীল ভাইয়া,দোআয় আমাদের শামিল রাখার বিনীত আবেদন রইলো Praying
১০
371919
১৪ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপি। এতদিন পর!! কত মিস করেছি জানো??
১৫ জুন ২০১৬ রাত ০২:২০
308782
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালামHappy

ঘর বাহির, বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে ত্রাহি অবস্তাহ আমার ! তবু আলাহমদুলিল্লাহ!

এই তো চলে এসেছি আবার Happy

আন্তরিক শুকরিয়া স্মরনে রাখার জন্য। রমাদ্বানের এই দোআ কবুলের মাসে আমাদের জন্য দোয়ার আকুল আবেদন রইলো! Praying
১১
372085
১৫ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মা-শা আল্লাহ ডাক্তারাপি। চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। Rose Rose

কিন্তু.......... চনা, পেয়াজু, বেগুনি, আলুরসপ, বিরিয়ানী, ম্যঙ্গাে টেঙ্ক এর শরবত না হলেও ইফতারীই জমে না। আপনি আমার সব প্রিয় খাবারেই বাধা দিয়েছেন। কি যে করি...... At Wits' End At Wits' End

তবে মানার মত অনেক কিছু আছে। সুন্দর পরামর্শের জন্য শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর


১৮ জুন ২০১৬ রাত ০৩:২১
309099
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

পছন্দের সবগুলি খাবারই অস্বাস্থ্যকর বিশেষত এই রমাদ্বানে যখন আমরা দীর্ঘক্ষণ খালিপেটে থাকি । রেগুলার অভ্যস্ত না হয়ে মাঝে মাঝে খেতে পারেন Worried

আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া পড়া ও মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন , তাকওয়ার অনুশীলনে ব্যস্ত থাকুন। Praying

১২
372109
১৬ জুন ২০১৬ রাত ০৪:১৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

দোয়া করি, জাযাকুমুল্লাহ..
১৮ জুন ২০১৬ রাত ০৩:২২
309100
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। ওয়া ইয়্যাকি Good Luck
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া পড়া ও মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন , তাকওয়ার অনুশীলনে ব্যস্ত থাকুন।Praying Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File