রমাদ্বান - প্রস্তুতি- পরিকল্পনা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৪ জুন, ২০১৬, ০৬:৩৬:১৪ সন্ধ্যা
চোখ বন্ধ করে একবার শুধু চিন্তা করি গত রমদ্বান থেকে এই রমাদ্বান পর্যন্ত কত গুলো মৃত্যু সংবাদ শুনেছি, কত গুলো জানাযায় শরীক হয়েছি । সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ আমাকে, আমাদেরকে এখনো হায়াতে বাঁচিয়ে রেখেছেন, অনেকে অসুস্থ আছি তবু ইবাদাত করার অনুভুতি, পেরেশানীটুকু জাগ্রত আছে , অনেক পেরেশানী আছে জীবনে তবু রমাদ্বান পেতে যাচ্ছি এর থেকে সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে? আজ আমরাও হতে পারতাম অন্ধকার কবরবাসী! আলহামদুলিল্লাহ বেঁচে আছি, তাসবীহ পড়তে পারছি, সিজদা দিতে পারছি!
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের যাদের ঈমানের মত নিয়ামত দিয়েছেন, হায়াতে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সুস্থতা দান করেছেন আমাদের প্রত্যেকের উচিত রমাদ্বান থেকে সর্বোচ্চ উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করা। , দুনিয়া ও আখিরাতের হাসানাহ লাভের,আল্লাহর দিদার লাভের, গুনাহ মুক্ত হওয়ার, জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির আর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারার যে সুবর্ন সুযোগ আমরা পেতে যাচ্ছি তা খালেস ভাবে উপলব্ধি করলে করো পক্ষেই রমাদ্বানকে হেলায় কাটানো সম্ভব নয়!
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করতেন। সাহাবি রাদিয়াল্লাহু আনহু ও সালফে সালেহিনগন এর ব্যতিক্রম ছিলেন না! উনারা রমাদান আসার ৬ মাস আগে থেকেই রমাদানের জন্য দোআ করতেন যেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা উনাদের রমাদান পর্যন্ত পৌছিয়ে দেন, উনারা রমাদানের শুভাগমনে আনন্দে কান্না করতেন আর রমাদান শেষ হয়ে গেলে রমাদানে করা দোআ, কিয়াম আর সিয়াম যেন কবুল করা নেয়া হয় এই জন্য পেরেশানি হয়ে আরো বেশি দোআ করতেন , রমাদানের বিদায়ে বিরহে ব্যথায় উনারা কান্না করতেন!
আমরা কি হতে পেরেছি উনাদের মতোন? আমাদের আদর্শ যাদেরকে ঘিরে আবর্তিত হওয়ার কথা তাদের সাথে আমাদের কতটুকুই বা মিলে?
বিজ্ঞ জনেরা পরিকল্পনাকে আয়নার সাথে তুলনা করেছেন। আমি আমাকে আয়ানাতে যত সুন্দর দেখতে পছন্দ করি আমার পরিকল্পনাটি সুন্দর এবং গঠনমূলক হলে কাংখিত মানে পৌঁছা সম্ভব । আর তাই প্রথমেই নিয়ত সহিহ করি, ইখলাসের সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, দোআ করি - তিনি যেন আমাকে ,আমাদের সবাইকে সাহায্য করেন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে, বস্তবায়নে এবং আমলের মাধ্যমে শুধু তাঁর সান্নিধ্য অর্জনে ।
আমি আমার প্রস্তুতিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। যেমন-
১) ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, ২)পারিবারিক প্রস্তুতিএবং ৩) সামাজিক প্রস্তুতি।
# ব্যক্তিগত প্রস্তুতিঃ
১) বছরের অন্যান্য দিন, ক্ষণ ,সময় আর রমাদ্বান মাসের দিন, ক্ষণ ,সময় কখনই এক রকম নয়। আমাদের যার যত বয়স সামনের দিকে বাড়ছে ততোই কিন্তু দুর্বলতা অনুভব করছি। আগে অনেক বেশী পরিশ্রম করতে পেরেছি সময়ের সাথে সাথে একই পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠছি, অনুভব করছি হায়াত কমে আসছে। অসুস্থতা ,দুর্বলতা তো আছেই!
তাই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে হবে ।প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে হবে। খুব কিন্তু কঠিন না। আমাদের নিয়ত আমাদের কাজ সহজ করে দিবে ইনশা আল্লাহ! সংসারের প্রতিটি কাজের সময় , স্বামী- সন্তানের দেখভাল করা- রান্না করাও ইবাদত যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং নির্দেশ হিসেবে করি ইনশা আল্লাহ । পাশা পাশি ফরজ আর মুস্তাহাব আমল তো আছেই । শুধু শরীর না মনটাকেও ইবাদাতে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
২) আমরা যারা নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত এবং তাফসীর অধ্যয়ন করি এবং রমাদ্বানে ও তিলাওয়াত করে খতম করার ইচ্ছে পোষণ করি
প্রতি ওয়াক্ত সালাতে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে খতম করা সম্ভব। আমাদের চেষ্টা করা উচিত পাশাপাশি অর্থ সহ পড়া । কেননা শুধু তিলাওয়াতে আমরা অনারবরা কোরআনের মূল ভাব বুঝতে পারি না!
৩) মুখস্থ সুরা গুলোকে বার বার তিলাওয়াত করা , অর্থ হৃদয়াংগম করা। যা আমাদের রমাদানে কিয়ামুল লাইলের জন্য খুশু আনয়নে সহায়তা করবে।
৪) যে ইবাদাত পালন করা হয় সেটার ফজিলত জানলে পালন করতে বাড়তি উদ্দীপনা , আগ্রহ কাজ করে । তাই সিয়াম সংক্রান্ত
ফজিলত জানার জন্য বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ সমূহ থেকে কিতাবুস সাওম অধ্যায় পড়ে নেয়া এবং ভুল ত্রুটি থেকে দূরে থাকার জন্য মাসায়িল গুলো মনে রাখার জন্য ফিকহুস সিয়াম পড়ে নেয়া প্রয়োজন। ( আমি ফিকহুস সিয়াম- রোযার বিধান ও মাসায়েল- সংকলক মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ ও সম্পাদনা ডঃ মানজুরে ইলাহি , ফাতাওয়া আরানুল ইসলাম -বইটি ফলো করে উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ )
৫) বাসার প্রয়োজনীয় জরুরি কাজ গুলো আগেই সেরে নেয়া যেমন -আলমারির কাপড় গুছানো, বাসার অতিরিক্ত শ্রমসাদ্ধ কাজগুলো করে ফেলা , রান্নাঘরের খুঁটিনাটি ধোঁয়া মোছা, অন্তত সমস্ত বাসার কষ্ট ও সময় সাপেক্ষ কাজ গুলো করে নেয়া!
বাসায় অধীনস্থ সাহায্যকারী যারা থাকেন তাদের কাজ হালকা করে দেয়া।
৬) রমাদান মাসের প্রয়োজনীয় বাজার এবং ঈদ পরবর্তি শুকনো ভারি বাজার গুলো আগেই লিস্ট করে তা সেরে নেয়া । যেন সিয়াম পালন করে বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট ও কষ্ট না হয়।
৭) সেহরি ও ইফতার এ সাস্থ্য সম্মত খাবার মেনু তৈরী করা , প্রয়োজনে কিছু ইফতারের আয়জন ফ্রিজিং করা! এতে পরে সময়ের অপচয় কম হবে।
৮) বাবা, মা, নিজ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি আত্নিয়স্বজনদের সাথে রমাদানের আগেই অন্তত টেলিফোনে যোগাযোগ রক্ষা করা। তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানা, তাদের নিকট দোআ চাওয়া।
৯) এই রমাদানে আমি কি পরিমানে ইনফাক বা সাদাকা করব তা নির্ধারন করা। বাজেট করা কোন কোন খাতে আমি ব্যয় করলে বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারব। গরিব আত্নিয়স্বজনদের , গরিব প্রতিবেশিদের, এতিমদের, মসজিদে, ইফতার ও সাহরিতে শরিক থাকার চেস্টা করা।
১০) দোআ করা। আমাদের মাঝে এমন কে না আছে যার কোন চাওয়া পাওয়া নেই? আমাদের প্রত্যেকের জীবন কোন না কোন ভাবে দুখ, দুর্দশা, চাওয়া পাওয়ার অভাব রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে অবাধ্যতা আর গুনাহের পাহাড়! আর এসব কিছু থেকে মুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছেই মুখাপেক্ষি । আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নিজেই আমাদের অসংখ্য দোআ শিখিয়ে দিয়েছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামের সুন্নাহ থেকেও অনেক দোআ পাই! ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যে আযকার, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর আযাকার, সকাল সন্ধার আযকার, অন্যান্য মাসনুন দোআ গুলো তো আছেই! কারন রমাদান মাস তো দুয়া কবুলের মাস। এখন থেকেই দোয়াগুলো মুখস্থ করি, বেশি বেশি পড়ি এবং কোন কোন বিষয় আল্লাহর নিকট চাই দোআ গুলোর একটা লিস্ট করতে পারি। প্রত্যেক সালাতের পর সুন্নাহের আলোকে আযকার গুলো আদায় করতে আর সচেষ্ট হই।
নতুন চাঁদ দেখার দোআটা মনে আছে তো ?
হযরত তালহা বিন ওবাইদুল্লাহ্ হতে বর্ণিত, হযরত নবী করীম-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, বলতেন:اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ».
‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল্ আম্নে ওয়াল ঈমান, ওয়াস্ সালামতে ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ্’
অর্থ
হে আল্লাহ্! তুমি এই চাঁদকে উদিত কর আমাদের প্রতি নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলাম সহকারে। (হে চাঁদ!) আমার প্রভু ও তোমার প্রভু (এক) আল্লাহ্।(মিশকাত)
( হিসনুল মুসলিম( সাইয়েদ ইবন আলি আল কাহতানি) ও আযকারে মাসনুনাহ( ইমাম ইবনুল কায়্যিম) ফলো করতে পারেন ।)
#পারিবারিক প্রস্তুতি-
১) পারিবারিক মিটিং এর মাধ্যমে রমাদানের মহাত্ন্য , ফাজায়েল ও করনীয় কি সেটা আলোচনার মাধ্যমে পরিবারের সবাইকে প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা।
২) পরিবারের ছোট বড় সবাইকে নিজ নিজ প্রস্তুতি বলা ও তাদেরকেও প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা।
৩) পরিবারের সবাই মিলে কাজ গুলো ভাগ করে নেয়া, একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।
#সামাজিক প্রস্তুতি-
১) নিজ প্রতিবেশিদের খোঁজ নেয়া, তাদের সাথে রমাদানের প্রস্তুতি মূলক আলচনা করে তাদের কেও সহায়তা করা।
২) স্থানিয় মসজিদ গুলোতে রমাদান কেন্দ্রিক কি আয়জন ও পরিকল্পনা রয়েছে তা জানা এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসা ।মসজিদে যারা ইতিকাফে বসবেন তা জেনে নেয়া, প্রয়োজনীয় সহায়তায় এগিয়ে আসা!
৩) রমাদানের পুর্বেই হালাকার মাধ্যমে রমাদান বিষয়ক আলচনা করা, নারী ও পুরুষরা যার যার অংগনে বা পরিসরে করতে পারেন, সুযোগ থাকলে পর্দার পরিবেশ তৈরি করে যৌথ ভাবেও করা যায়।
৪) সকলে মিলে সমাজের অবহেলিত, অনাহারী মানুষগুলোর জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা বা উদ্যগ গ্রহন করা, একে অপরকে উতসাহিত করা।
( সবার প্রস্তুতি বা প্ল্যান একরকম হবে না, ব্যক্তি ভেদে, বর্তমান অবস্থা/ পারিপার্শ্বিকতা ভেদে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক - গুনাহ মোচন করা- জান্নাত লাভ করা! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করুন মঞ্জিলে মাকসাদে পৌঁছতে - আমীন)
বিষয়: বিবিধ
২০২৩ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সুন্দর ও সুচারু পরিকল্পনাগুলো এক কথায় চমৎকার।
আমরা যারা প্রবাসী, তারাতো বলতে পারেন গোলামীর জিঞ্জিরে বন্ধি, তবুও বছরের অন্য সময়ের তুলনায় নিজের ফ্রি সময়টা ইবাদাতে কাটানোর চেষ্টা করা আরকি।
দেয়া চাই। অনেক অনেক শুকরিয়া সুন্দর লিখাটির জন্য। জাযাকিল্লাহ খাইর
আনাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন।
বারাকাল্লাহ ফিক।
امين يارب
ঠিক
আমাদের সবার প্লান এক রকম হবার কথা নয়, কিন্তু উদ্দেশ্য থাকবে একই, মহান আল্লাহ কে সন্তুষ্ট করা।।
আনাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন।
আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন।
আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন।
পড়া শুরু করতেই বুকটা ধ্বক্ করে উঠলো-
তাইতো, গত রমাদ্বান থেকে আজ পর্যন্ত শতাধিক জানাযায় অংশ নিয়েছি! এর যে কোনটা তো আমারও হতে পারতো!!
আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়ারহামনা...
জাযাকিল্লাহ...
আল্লাহুম্মা হাসিবনী হিসাবাই
ইয়াসীরা
বারাকাল্লাহ ফীক।
আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন।
অসাধারণ এই পরিকল্পনাটি সকল সিয়ামকারীর জন্য সহায়ক হবে। আল্লাহপাক মাহে রমাদানকে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দিন।আমিন। জাযাকাল্লাহ খায়রান।
আপনারটিও শেয়ার করুন, আমাদের উপকার হবে আশাকরি ।
আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন
আজকে কিছুক্ষন আমাদের পারিবারিক দোকানে বসলাম। মানুষের ছোলাবুট,চিনি,প্যাকেট হালিম,বিভিন্ন শরবত কেনার যে আগ্রহ রমাদান এর মূল প্রস্ততি তার কতটুক তাই ভাবছি!!
জ্বি রমাদ্বানের শিক্ষা আজ সেহরী, ইফাতারেই সীমাবদ্ধ । আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনুক এটাই দোআ।
আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন ।
আপনি তো অসুস্থ ছিলেন, এখন ভালো আছেন?
আমাদের আয়োজনে লিখতে ভুলবেননা কিন্তু।
জাযাকাল্লাহু খাইর
পড়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ভাই! দোয়া প্রার্থী আল্লাহ আমল করাকে সহজ করে দেন - আপনারাও দোআ করবেন।
আল্লাহ আমাদের এই রমাদ্বানে সিয়াম,কিয়াম এবং সব আমল ও দোআ গুলি সঠিক ভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন কবুল করে নিন ।আমিন ।
জ্বি ভাই সাথেই আছি ইনশা আল্লাহ!
বারাকাল্লাহ ফীক
দর্পন এর সামনে আপনি সুতরাং সেখানে আপনাকেই দেখবেন ।
আশাকরি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন। রমাদ্বান কারীম।
সবাই ভালো আছে তো?
রমজানের প্রস্তুতি স্বরূপ ফেবু বন্ধ করেছি।
ক'দিন পরে ব্লগও বন্ধ করে দেবো। :D
রমাদ্বান ইমানে, ইহতিসাবে, আমলে সুন্দর কাটুক এই দোআ সবার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন