প্রি - পারেশন নিয়ে কিছু ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৩ জুন, ২০১৬, ০৮:৩৭:২২ রাত
যখন হুট করে বাসায় কোন মেহমান আসেন তখন কেমন অবস্থা হয়? কলিংবেলের আওয়াজ শোনা মাত্র ভোঁ দৌড়ে এলোমেলো জিনিস গুলি সোজা আলমারির ভিতরে গুঁজে দিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে অগুছানো অবস্থার জন্য বারবার সরি বলা । মনে মনে বিব্রত হলেও হাসি মুখে পরিস্থিতি সামাল দেয়া , কিছুটা অভিযোগের স্বরে না জানিয়ে আসার জন্য কারণ জানতে চাওয়া, বাচ্চারা অগোছালো করেছে, শরীর খারাপ ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি নানান যুক্তিও দাঁড় করানোও হয়ে যায় ।
আর যখন আগে থেকেই জানা থাকে মেহমান আসছে, তখন ভিন্ন রকম চিত্র দেখতে পাই। সব কিছু ঝক ঝক তক তক , পরিপাটি, সটান বিছানার চাদর থেকে শুরু করে মাকড়সার ঝুল কোনটাই বাদ যায় না! মেহমানদের অভ্যার্থনা জানানো , খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে বিদায় পর্যন্ত প্রতিটি কাজ হয় অত্যন্ত পরিপাটি ভাবে।
মেহমানদারী জীবন ঘনিষ্ঠ একটি বিষয় ।জীবনে চলার পথে হয় আমরা মেহমান হই বা আমাদের মেহমান হন কেউ। সামর্থ ও গুরুত্ব অনুযায়ী সঠিক আপ্যায়ন করতে কেউ পিছ পা হই না আমরা আলহামদুলিল্লাহ ।
আবার আসি ঘর গুছানো প্রসঙ্গে । ঘরের যে জিনিষটা নিয়মিত ঝারা মোছা হয়, ময়লা পরিষ্কার করা হয় সেটার দিকে তাকালেই কিন্তু বোঝা যায়। আবার যে আসবাবের উপর বহুকাল আঁচর পড়ে নি, পুরো ময়লার ভারি আবরণ যেখানে জমে আছে সেটা তৎক্ষনাত পরিষ্কার ও হয় না আবার সময় ও লাগে বেশি এবং সেটা কষ্টসাধ্য ও বলা যায়।
শুধু আসবাব নয় বরং যে বস্তুর সাহায্যে পরিষ্কার করা হয় সেটাও পরিষ্কার থাকা জ্রুরী । যেমন বাসন পেয়ালা, হাড়ি পাতিল যে স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, মাজা- ঘষা হয়, ঘর মোছার জন্য যে কাপড় ব্যবহার হয় এগুলো নিজেই যদি অপরিষ্কার থাকে , তাহলে অবস্থাটা কেমন হবে?
গৃহিনী হিসেবে আমি যে বিষয়টা নিজেকে দিয়ে খুব উপলব্ধি করি তা হলো, আমার নিজের সুস্থতা, স্বাচ্ছন্দ অনুযায়ী ঘর বাড়ি পরিষ্কার করি, রান্না বান্না করি , ,কিন্তু এটার মাত্রা বহু গুনে বেড়ে যায় যখন বাসায় গেস্ট আসে। সর্বোচ্চ সাধনা চলে তখন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। বাসার মেঝে থেকে শুরু করে খাটের নিচ, , আলমারির কাপড় , রান্না ঘরের সেলফ, দরজার হাতল , জানলার কাঁচ কোনটা বাদ যায় না! যদিও অন্য সময় পরিষ্কার থাকে তবু গেস্টের সুবাদে বাড়তি যত্ন নেয়া হয় পুরো বাড়ির। অন্যান্য সময় পরিষ্কার করা হয় বলে মেহমান আসলে খুব বেশী পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু এমনও হয় কোনো কারণবশত যদি পরিষ্কার করা হয়নি বা গোছানো হয়নি তখন কাজ কমতেই চায় না আবার খাটুনি ও হয় বেশি।
পাঠক ,নিশ্চয় ভাবছেন এতো মাজাঘষা নিয়ে কথা কেন? নাহ veem এর বিজ্ঞাপন করছি না আমি!
রমাদ্বান যতই নিকটে আসছে, বোনদের উদ্বিগ্নতা উপলব্ধি করছি। অনেকেই ফোন করে জানতে চাচ্ছেন কীভাবে রমাদ্বানে বেশি আমল করা যায়? বেশী ফজিলতপূর্ণ আমল কোন গুলি? ইত্যাদি।
একদিকে চিন্তা করলে এই উদ্বিগ্নতাকে খুশী মনে গ্রহণ করা যায় এই ভেবে, অনেকেই সারা বছর খুব একটা ইবাদাতের সাথে নিজেদের জড়িত না রাখলেও রমাদ্বান মাস কে কেন্দ্র করে খুব সিরিয়াসলি ইবাদাতের ইচ্ছা পোষণ করেন। আমলও করেন সাধ্যমতো ।এটা অবশ্যই খুশী হওয়ার মতোন কথা।
পাশাপাশি আরো কিছু বোন আছেন যাদের সারা বছর ইবাদাহ সুন্দর ভাবেই চলে তবে রমাদ্বানে আরো সচেতনতার সাথে ইবাদাত করেন, আর গঠনমূলক ভাবে রমাদ্বান থেকে সর্বোচ্চ ফায়দা হাসিলে সচেষ্ট থাকেন। এরা কোয়ান্টিটির তুলনায় কোয়ালিটির কথা ভাবেন, শুধু রমাদ্বান আসলেই কিছু প্ল্যান নেন না বরং সারা বছর ইবাদাহমুখী থাকেন। তবে রমাদ্বানে অন্যান্য সময়ের চাইতে গভীরভাবে ইবাদাহ করেন।
সেই সাথে আরো কিছু বোন( সংখ্যা কম) আছেন যারা বাকি সময় যেমন ছিলেন রমাদ্বানেও তেমন থাকেন, আগেও সালাতি ,সিয়ামী, সালিহ ছিলেন না রমাদ্বানেও তাদের কোন পরিবর্তন আসে না! আমার বক্তব্য যদিও তাদের নিয়ে নয়। আল্লাহ উনাদের সুপথ দেখান এটাই দোয়া ।
রমাদ্বান যতই নিকটবর্তী হচ্ছে ,অনেকেই নানামুখি ইবাদাতের প্ল্যান- পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি , বিগত রমাদ্বানগুলোতেও এরকম করা হয়। আবার রমাদ্বানের বিদায়ে ইবাদাত বিমুখ হয়ে যেতেও সময় লাগে না আমাদের অনেকের ই । আর এভাবেই বছরের পর বছর রমাদ্বান আসে আমাদের খুব একটা পরিবর্তন হয় না, রমাদ্বানে অনেক ইবাদাহ করি , সময় মত সালাত আদায় করি, পর্দা করি, সাদাকা করি,খতম দেই আর ঈদের দিন থেকেই সালাত কাযা , পর্দা ও গলায় ঝুলে, কোরান তিলাওয়াত হয় না সময় সংকটের কারণে!
শেষ পর্যন্ত ঘটা করে সেহরি খাওয়া, ইফতার করা, ঈদ সেলিব্রেট করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে রমাদানের শিক্ষা। বাকি এগারমাস এই পরিশুদ্ধতার আবহ আমাদেরকে কোনোভাবেই সাড়া জাগায় না! এভাবেই রমদ্বানের পর রমাদ্বান যায়, আমরা নামধারী মুস্লিমরা
শুধু রমাদ্বান উপলক্ষেই কিছুটা নড়ে চড়ে বসি, মসজিদ্মুখী হই , সেলফে গিলাফ প্যাঁচানো পরম যত্নে তুলে রাখা কোরআন শরীফে চুমু খেয়ে খতম দেয়ার চেষ্টা করি!
শৃংখলাবদ্ধ শয়তান ছেড়ে দেয়া হয় তা তো আছেই তথাপি মনে হয় সমস্যাটা অন্যখানে! হ্যা' আমরা পরিকল্পনা নেই শুধু রমাদ্বানে ভাল মুসলিম হওয়ার ! দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি কথা। কেনো বললাম এই কথাগুলো?
আশে পাশের মানুষ আর নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছি বিষয়টা । কারণ অনুসন্ধানে পেয়েছি
ঠিক যে বিষয়ের অবতারণা আমি প্রথমে টেনেছি। (কেউ সারা বছর ঘড় বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করে আর কেউ সিজনাল ভাবে করে শুধু মেহমান আসলে। অনুরুপ সারা বছর আল্লাহ আদেশ নিষেধ মেনে চলেন আর এক মাস মেনে চলার চেস্টা করেন )
সারা বছর অন্যান্য যে ফরজ ইবাদত সমূহ আছে সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করা হয়না হয় শুধু রমাদ্বান আসলেই আমরা ব্যগ্র হয়ে এক মাসের ইবাদাতে নিজেদের নিয়িজিত রাখি । এজন্যই শুধু এক মাস সিয়াম পালন আমাদের কাংখিত মানে পৌছাতে অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় না ,। বড়জোর রমাদান উপলক্ষ্যে কিছু সিজনাল আমল করা হয় রমাদানের বিদায়ে সেটাও বিদায় নেয় দুঃখ জনক ভাবে!
যে ঘর -বাড়ি সারা বছর অপরিষ্কার থাকে সেগুলো একবারের মাজা ঘষায় খুব একটা পরিষ্কার হয় না! বরং ঝক ঝকে, তক তকে বিশুদ্ধ কিছু পেতে হলে অবিরাম যে পরিচ্ছন্নতা জারি থাকে সেটাই আমাদের প্রয়োজন । অনুরুপ সারাবছর নিজের মর্জি মতো চলে শুধু এক মাস ইবাদত করে এই ইবাদাত ধরে রাখা কঠিন।
আমরা যখন নিয়মিত সালাত আদায় করি, জীবনে আল্লাহর দেয়া অন্যান্য সকল আদেশ এবং নিষেধ যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করি ,হালাল এবং হারামের সীমাগুলি বুঝে চলি শুধু সেই অবস্থায় যখন রমাদ্বানের আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা যে সিয়াম পালন করবো এই সিয়াম আমাদের পরিশুদ্ধ করবে, গুনাহ গুলি জ্বালিয়ে দিবে, বাঁচিয়ে রাখবে সকল অন্যায় হতে, তাকওয়ার রং এ রাঙিয়ে নিবে আমাদের জীবন, ধাবিত করবে সেই কাংখিত জান্নাতের পথে যার বিবরণ আমরা কোরআন -হাদিসে পাই ।
আর যারা সারা বছর ফরজ ইবাদাতের গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছি - হচ্ছেন, হয়েছেন শুধু রমাদ্বানের এক মাস সিয়াম দিয়ে কিন্তু কাংখিত তাকওয়ার মানে পৌঁছানো খুব কষ্টসাধ্য বিষয় ।
আল্লাহর অবাধ্যতা করতে করতে আমাদের অন্তরগুলো নাজাসাতে পরিপূর্ণ, এগার মাস আত্ন শুদ্ধি বা ইবাদা্ত করা হয় নি, অন্যান্য সকল ফরয ইবাদাতেও ছিল অলসতা , অবহেলা তবু আমদের সবার জন্য রমাদ্বান তার কল্যাণের হাতছানি নিয়ে আসে, রহমতের, বরকতের আর মাগফিরাতের দরজাগুলো খুলে দেয় সবার জন্য শুধু এজন্য নয় এক মাস ইবাদাত করবো বরং যে উদ্যোগ, পরিকল্পনা নিচ্ছি , ভালো মুসলিম হওয়ার স্বপ্ন দেখছি , জান্নাতের অধিবাসী হতে চাচ্ছি তা সারা জীবনের জন্য মেনে চলবো ইনশা আল্লাহ।
গভীর পাপে আকন্ঠ ডুবে আছি আর গুনাহ করতে করতে ক্বলব মৃতপ্রায় এই অবস্থায় শুধু একমাস রমাদ্বনের ইবাদাত আমাদের অন্তরের জমে থাকা গভীর ময়লা গুলি কীভাবে দূর করবে? রমাদ্বান এক মাসের পয়গাম নিয়ে আসে না বরং সারা বছর হুকুম পালনের শিক্ষা দিতে আসে!
আমরা অবশ্যই রমদ্বান কেন্দ্রীক বিভিন্ন প্ল্যান নিব,উদ্যোগ নিব কিন্তু তা শুধু এক মাস ব্যাপী সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা জীবনের জন্য হবে ইনশা আল্লাহ ।
কেউ আমার লিখাটা নেগেটিভভাবে নিবেন না প্লিজ । আমরা নিজেরা, আমাদের আত্নীয় স্বজনদের, প্রতিবেশী , বন্ধু বান্ধবদের জন্য দোআ করি, সঠিক অনুশীলন করতে সাহায্য করি, সঠিক প্ল্যান নিতে এগিয়ে আসি! আসন্ন রমাদ্বানের যথাযথ গুরুত্ব উপলব্ধি করি । আল্লাহ আমাদের সঠিক আমল করার তৌফিক দান করুন সবাইকে। আমীন। সবাইকে রমাদ্বানের শুভেচ্ছা - রমাদ্বান কারীম ।
বিষয়: বিবিধ
২০৪৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের অবস্থা বিটিভির সেই খবর পাঠিকার মতোন অনেকটা- রমাদ্বান আসলে মাথায় কাপড় ,ঈদের দিন যেই সেই !
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দিন। সারাজীবন সঠিক আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আসন্ন রমদ্বানে আমাদের জন্য দোয়ার আবেদন রইলো।
এই মাসের প্রকৃত হক আদায় করার তেীফিক যেন আল্লাহতায়লা সকলকে দেন।
কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসন্ন মাসটির যথাযথ কদর এবং তাকওয়া অর্জনে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন। আমীন।
মাহে রমদ্বানে আমাদের জন্য দোয়ার আবেদন রইলো
পরিবেশনের ঢংটা খুব মজাদার!!
মূল বিষয় নিয়ে আর কী বলবো-
লা-জওয়াব!!!
জাযাকিল্লাহ...
কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসন্ন মাসটির যথাযথ কদর এবং তাকওয়া অর্জনে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন। আমীন।
মাহে রমদ্বানে আমাদের জন্য দোয়ার আবেদন রইলো ।
উৎসাহ দেয়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
তবে আপনার কথা শুনে মনে হয়েছে আপনি মেহমানের কদর করেন। পুটির মাকে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ
আপনাদের দাওয়াত রইলো। রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আমীন। বারাকাল্লাহ ফীক।
ব্যস্ততা কমছে না, টুকিটাকি অসুস্থতা ও আছে!
জুলিয়াস সিজার আপাতত সমস্যা না তবে হতেও সময় লাগবে না! পরিস্থিতি খুব অনুকূলে নয় আমাদের !
রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আমীন।
মা-শা আল্লাহ, এত সুন্দর একটি পোষ্ট, সুন্দর উদাহরণ সহ মনকাড়া কথার মালা, কি যে ভালো লাগছে পোষ্টটি পড়ে। জাযাকিল্লাহ খাইর
ব্যস্ততা কমছে না, টুকিটাকি অসুস্থতা ও আছে!রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন। আমীন।
পরিবারের সবাই আশাকরি ভালও আছে। সালাম ও দোআ পৌছাবেন। বারাকাল্লাহু ফিক।
পড়েছি আর হৃদয়ের গভীর থেকে উপলব্ধি করেছি। ছবিসহ কথাগুলোর আবেদন মুগ্ধতায় ভরিয়ে দিল।
তোমার আবেদনময়ী লিখাটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কোটি প্রাণকে আলোড়িত করুক এটাই প্রত্যাশা।
ভালো থেকো খুব ভালো সবাইকে নিয়ে নিরন্তর এই কামনা।
রমযানের সব লিখায় তোমার মূল্যবান উপস্থিতি ও সরব অংশগ্রহণ চাই কিন্তু আপু.........
রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন।
আপ্রাণ চেষ্টা করবো প্রিয় আপুনি! ইনশা আল্লাহ
রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন । সাথেই আছি ভাই! দোআ করবেন আমাদের জন্য!
রোজার অবস্থা আর কি বলবো, যারা নিয়মিত ইবাদত করে, তারা ঠিক থাকে, আর বাকিরা হয়তো প্রথম ৫/৭ দিন আর শেষের ৫/৭ দিন একটু নামায কালাম পড়লো, এটাকে তারা একরকম ফেশন হিসেবেই নিয়েছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে হেদায়াত দান করেন।
ধন্যবাদ আপনাকে
রমাদ্বানে দোয়া কবুলের মাসে আমাদের সবার জন্য দোআ করবেন।
আল্লাহ আামদের সকলকে পরিশুদ্ধ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন