হয় নি বলা যে কথা -
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৯ মার্চ, ২০১৬, ১১:২৭:৩৬ রাত
ছোট বেলা থেকেই উচ্ছল,প্রাণবন্ত,দূরন্ত স্বভাবের ছেলে রনি। প্রায় সমবয়সী বোনের সাথে পাল্লা দিয়ে নিত্য নতুন দুষ্টুমির বুদ্ধি আবিষ্কারের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পায় সে । বোনের সাথে পাল্লা দিয়ে গাছে চড়া, পাখির বাসা খোঁজা, গাছ থেকে পাকা আতা পেরে খাওয়া, কাঁচা আতা চালের বস্তায় লুকানো, দুপুরে ঘুমের সময় বিছানায় কোলবালিশের উপর কাঁথা ঢেকে দিয়ে লুকিয়ে চুপিসারে বাইরে বেড়িয়ে যাওয়া এমন কোনো কাজ রনি আর রিমি করতে বাকি রাখেনি!
শরীফা খান, ওদের মা রক্ষণশীল, চুপচাপ মহিলা, উনার মোটেও পছন্দ হতো না ছেলের সাথে মেয়ের ও এই বাড়তি দুরন্তপনা! টুক টাক শাস্তির মহড়া প্রায় চলতো রাস্তার মাথায় সেই লম্বা বিল্ডিং এর নিচ তলা বাসাটিতে। চিকন বাশের সরু কঞ্চার ঝপাং ঝপাং পিঠের উপরর পড়া মাত্রই দু চোখ ভরে শ্রাবণ ধারা বনেমে আসতো রিমির, দু হাতে চোখ মুছতে মুছতে কত বার ই না ভেবেছে এটাই শেষবার দুপুরের ঘুম চুরি বা গাছের ফল পারা; তথাপি দুষ্টুভাই যে ওর সহচর! ঠিক ই পটিয়ে নিয়ে যেতো রিমিকে। কারণ রিমির পিঠে যে পরিমান ঝপাং পড়তো রনি তো সেই সুযোগ দিত ই না, শরীফা খান লাঠি নিয়ে আসতে আসতে রনি দিতো দৌড় খাটের নিচে নয়তো বাথরুমে, একমাত্র রিমিই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতো মায়ের আদেশ শিরোধার্য করে ঝপাং এর অপেক্ষায়!
এমনি করেই কেটে যাচ্ছিলো রনি- রিমির শৈশব। রিমি দুরন্ত হলেও স্কুলে রেজাল্ট ভাল ছিলো, রনি দিনকে দিন অমনোযোগী হয়ে উঠছিলো পড়া লেখার ব্যাপারে। পরীক্ষার খাতায় পাশ মার্কের নাম্বার ঠেলতে ঠেলতে বহু কষ্টে ৩৩ বর্ডার লাইনে চলে আসলো।
একদিন সন্ধাবেলা ওদের বাবা আজমীর সাহেব বাসায় ঢুকলেন প্রচণ্ড রাগান্বিত অগ্নিমূর্তি ধারণ করে,কারণ মাগরিবের পর উনি যখন বাজারে গেলেন মুদির দোকানের পাশে যে জটলা টা ছিলো সকল উগ্র- বাড়ন্ত -দুষ্টু -স্কুল ফাঁকি দেয়া গ্রুপের ছেলেরা সেখানে তিনি রনিকেও দেখছেন। বাজার না করেই ছেলে কে নিয়ে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি, তোষক এর নিচে ছিলো সদ্য নারকেল গাছ থেকে নেয়া সুচালো চিকন শলার বিছানার ঝাড়ু। উনার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রাগের ঝাল মিটিয়েছিলেন রনির পিঠের উপর দিয়ে।
এতো ভয়াবহ ছিলো সেই সন্ধাটি! শরীফা খান কাছে পর্যন্ত আসলেন না, কারণ অসংখ্যবার উনি সাবধান করেছিলেন রনি কে, ছেলে কথা শোনে নি! তবু চোখের সামনে ছেলেটির যে শাস্তিভোগের দৃশ্যপট চলছে তা মা হিসেবে হৃদয়কেই ভেংগে দিচ্ছিলো না বরং স্বামীর উপর ও অসন্তুষ্ট হচ্ছিলেন সমান ভাবেই।
শাস্তির ঝড় থামার পর রনির কোনো শক্তি থাকা দূরে থাকা কান্না পর্যন্ত করতে পারছিলোনা। সেই রাতেই অনেক জ্বর আসে রনির। সারা রাত মা শরীফা খান রনির পাশে বসে চোখের জল ফেলেছিলেন!
দুদিন পর বাবা খবর নিয়ে আসলেন রনির আর স্কুলে যেতে হবে না, ওকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিবেন ।সমস্ত খোঁজ এবং আনুষাংগিক কাজ সেরেই এসেছেন তিনি। সশব্দে বোমা ফাটার মত ঘটনা হলেও পিন পতনের শব্দ টুকু হলো না সেদিন!
স্কুলের যে ব্যাগটিতে বই পত্র নিতো সেটা আর একটি ট্রাংক নিয়ে রনি আর তাঁর বাবা রওনা হয়ে গেলেন। রনিকে একটি সাদা পান্জাবি আর টুপি পড়ানো হয়েছিলো। এতো নির্বাক আর নির্মোহ কনোদিন রনিকে দেখেনি রিমি! একটা কথাও বলে নি রনি, একটু পিছনে ফিরে হাত টাও নাড়ায়নি বোনের তরে চেয়ে!
সেদিন ওদের মা সারাদিন তেমন কিছুই খেলেন না, প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বিছানায় চলে গিয়েছিলেন! পুত্র দূরে যাওয়ার শোকে নীরবে অঝোরে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছেন!
রিমি একা হয়ে গেলো! ওকে একা করে চলে গেলো ভাই- বন্ধু - খেলার সহযোগী রনি! রিমির একাকী প্রহর গুলো শুধু বেদনার ঘন্টাধ্বনি বাজিয়ে যেত হৃদয়ের গহীন কোণে! এভাবেই রনি আর রিমি সমস্ত উচ্ছলতা, প্রাণবন্ততাকে বিদায় দিয়েছিলো শৈশব বিদায় নেয়ার অনেক আগেই.........
দু সপ্তাহ পর সংবাদ এলো রনিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না, মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ সে! মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, বাবা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সাথে সাথে ই বাবা বেড়িয়ে পড়েছিলেন সকল পরিচিত আত্নিয়- স্বজন দের বাড়িতে খোঁজ নিতে।ফিরলেন অনেক রাতে শূন্য হাতে, একাকী । কোথাও সন্ধান মিলে নি রনির! ওদের মা ক্রমেই অনাহারে দুশ্চিন্তায় অসুস্থতা বাড়তে থেকে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন!
পরদিন সকালে উদ্ভ্রান্ত পলাতক দিশাহারা রনি বাসায় এসে পৌছলো! পরিবারের সকল সদস্যদের নীরব চোখের জলে রনির সংবর্ধনা হলো!
রনির বাবা এক সপ্তাহ পর নতুন আরেক মাদ্রাসার সংবাদ পেলেন, যার নাম জেলখানা মাদ্রাসা। এখানে ছাত্রদের আটকে রেখে পড়ানো হয়। মাসে দুদিন ছুটি। পালানোর কোনো উপায় নেই এছাড়া পড়াশোনার মান ও নাকি ভালো। আবারো সবার চোখের পানি ঝড়িয়ে রনি তার নতুন গন্তব্যে পাড়ি দেয়।
টানা পাঁচ বছর সময় লেগেছে রনির হিফজ করতে।টাকা পয়সা তো গেছেই সাথে পরিবারের সকলের শ্রম,শংকা, ধকল ও গেছে বহুগুন! হিফজ শেষ করে ওকে আর মাদ্রাসায় ভর্তি সম্ভব হয় নি, সেও যায় নি আর কেউ ওকে কিছু বলে ও নি!
বাড়ির নিকটস্থ মাদ্রাসায় সকালে বাচ্চাদের পড়িয়ে সামান্য কিছু আয় করে রনি। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে মা বা দুজনই পেরেশান ! অন্যদিকে রিমি ভালো ,প্রতিষ্ঠিত পাত্রের সাথে বিয়ে হয়ে ঢাকায় সেটেল হয়ে যায়!
রনির বাবা ছেলেকে ছোট খাট একটা দোকান নিয়ে দেন। কিন্তু বছর শেষে মূলধনের চাইতে ক্ষতি হলো বেশি।রনি বাবার নামে মানুষ জনের কাছে থেকে ধার করা শুরু করলো, রনির বাবাকে পরে সেই ধার শোধ করতে হয় লজ্জায়- অপমানে। সবাই পরামর্শ দিলো রনিকে বিয়ে দিয়ে দিতে। তাহলে হয়তো ছেলেটা সংসারী হবে! মোটামোটি একটা মেয়ে দেখে বিয়ে দেয়া হলো। হিতে বিপরীত হলো । আগে তাও নিয়ম করে দোকানপাটে যেত এখন দোকানে সর্বক্ষণ তালা ঝুলানো থাকে।
বছরের এই মাথায় ও মাথায় দুই সন্তানের জন্ম হলো। সংসারে কটু কথাবার্তা লেগেই থাকে! উপায়ন্তর না দেখে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দিলো। ছয় লক্ষ টাকার অর্ধেক শ্বশুড় বাকিটা রনির বাবা দিয়ে দুবাই পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলো রনি কে!
এয়ারপোর্টে বসে আছে রনি। শৈশবের কথা মনে পড়লো, স্কুল বন্ধু ফারুখের আর রনির শখ ছিলো পাইলট হবার। হায়রে শখ! শুনেছে ফারুখ বর্তমানে লন্ডন আছে, পড়াশোনা করতে গিয়েছে! দুজনার পথ আজ কতোটাই ভিন্ন! নিজের জন্য আজ ওর প্রচণ্ড রকম কষ্ট অনুভূত হলো।
রনি কখনোই চায়নি নিজের জীবন টা এরকম হোক। কিন্তু তবু হয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছে! বাবার উপর অনেক ক্ষোভ অনুভব করলো ! ক্ষোভটা বরাবর ই ওর ভিতরে জমা ছিলো, আজ কেনো জানি ফুঁসে উঠে বেড়িয়ে পড়তে চাইছে সে নিজেও বুঝছে না!
ছিলো ই না হয় চঞ্চল ছেলে, কথা না শোনা রেজাল্ট খারাপ করা ছেলে! কেউ তো ওকে বুঝিয়ে নতুন করে শুরু করার সুযোগটা দেয় নি! জীবনে যে সামান্য সুযোগ ছিলো তা ছিলো বাবার পক্ষ থেকে বেদম প্রহার আর মায়ের চোখের জল!
ওর জন্য মাকেই সবচাইতে বেশী কাঁদতে হয়েছে। আজ ও বিদায়বেলায় মা ই কাঁদলেন বেশী! প্লেনে ওঠার সময় হয়েছে, ধীর পায়ে প্লেনের দিকে হেঁটে চললো রনি। এ যেন সেই ছোট বেলার প্রথম অভিজ্ঞতা, মায়ের বুক ছেড়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার কষ্টকর তিক্ত অনুভূতি! আবারো সেই তিক্ত কষ্টকর অনুভূতিকে স্বাগত জানিয়েছে সে নতুন এক জীবনের উদ্দেশ্যে! আবারো এক অচেনা অজানার পথে পা বাড়িয়েছে রনি। মাদ্রাসায় যাওয়ার সেই দিন রনির জন্য বাসায় সবাই কাঁদলেও রনি কাঁদেনি সেদিন ।সেদিন সে কিছুই অনুভব করছিলো না! বেদনারা জমে মনে হয় বরফ খন্ড হয়ে গিয়েছিলো! আজ রনির বুকের ভিতর জমানো সব কষ্টের জমা বরফ খন্ডগুলো ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে, খুব কান্না আসছে রনির , বুকের গহীনের জমানো কষ্টের বরফ খন্ড গলে ফোঁটায় ফোঁটায় গড়িয়ে পড়ছে দু চোখ ঝরে , আকাশে মেঘ ছিলো, বৃষ্টি শুরু হলো, এ কি বৃষ্টি নাকি রনির চোখের জল? যাক কাউকে বুঝতে হলো না , দেখতে হলো না রনির নীরব অভিমানীশ্রু...........
বিষয়: বিবিধ
২০৭৪ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
ফাষ্টু হবো ইন শা আল্লাহ
আশাকরি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন গল্পটি! না হলে কিন্তু জরিমানা হবে..
তবে হয়তো রনির জীবনটি অন্য রকম হতো।
কোন ছাত্র যদি হাফেজ হয়, তাকে আলেম না বানিয়ে ছেড়ে দেওয়া মস্তবড় ভুল। কারণ সে কুরআন বিক্রি করে খাবে। এছাড়া তার কোন পুজি থাকে না। দ্বীনি বুঝ তো থাকেই না। "আমি একজন হাফেজ" এটাই হয় তার অহংকারের মূল ভিত্তি।
জানি না কি মন্তব্য লিখবো। বাবা মায়ের এত সাধনা বিফলে গেল। আর কারো প্রজন্ম যেন এমন না হয়।
আল্লাহ হেফাজত করুক।
খুব ভালো লিখছেন কিন্তু দ্বিতীয়বার দেখা হয়নি তাইনা? দেখে নেবেন।
ছেলে এবং মেয়েদের হরমোন গত কিছু পার্থক্য অবশ্যই আছে তারপরেও কিছু বাচ্চা থাকে যারা অতিরিক্ত চঞ্চল এদের ক্ষেত্রে শুধু মারধোর কিন্তু সঠিক পন্থা নয় ।
আমাদের সমাজে মাইরের উপর ঔষধ নাই এই বাক্য যেমন চলে তার প্রয়োগ চলে আরো বেশি। আর দুর্বল মানের ছাত্রদের নিয়ে অনেক সময় মাদ্রসায় ভর্তি করানো হয় যা সঠিক নয়! এভাবে শিশু,ব্যাক্তি,পরিবার গোটা সমাজ ভুক্তভোগী হচ্ছে!
আশাকরি সমাজের মানুষদের বোধোদয় হবে এবং সবাই সঠিক দিকেই ফিরে আসতে সক্ষম হবে!
শুকরিয়া ভাই আপনাকে!
আসলে অনেক দিন লিখিনা, যখন লিখতে বসি সময় থাকে খুব অল্প তাই অনেক ভুল হবে এটা স্বাভাবিক! ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
বাস্তবতা দেখে গল্পের আলোকে লিখেছি! আপনার ভালো দিক হচ্ছে দুষ্টুমি করলেও পড়াশোনার গুরুত্ব বুঝেছিলেনে ! অনেক বাচ্চাদের দুষ্টুমি বোধ থাকে বেশি ফলে প্রহার ছাড়া কিছু জোটে না যা অনেক সময় বাচ্চার বিকাশ কে ব্যাহত করে। দুষ্টুমির একমাত্র শাস্তি প্রহার হওয়া অনুচিত!
জীবনের কঠিন বাস্তবতায় এরা দায়িত্ব নিতে শিখে তবু আঁধারে ঢাকা ক্ষত কিন্তু রয়ে যায় অনেক সময়!
শুকরিয়া অনুভূতি শেয়ার করার জন্য!
টাকা কি গাছে ধরে? দুবাই আসতে ৩,০০,০০০ এর বেশি লাগেনা, এটাও অনেক বেশি হয়ে যায়। আর কোন নিকট আত্তিয় থাকলে শুধু বিমান ভাড়াটাই লাগে, কারণ ভিসা ফ্রি পাওয়া যায়।
তবে আপনার গল্পের রনি আমার চেয়ে বেশি দুষ্ট ছিলনা, আর আমার চেয়ে মাইর ও বেশি মনে হয় খায় নি।
আমার প্রিয় লেখকঃ আমার প্রিয় লেখক একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, সালাম হে প্রিয়.. এই লিখাটা পড়লে কিছুটা বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে
বাস্তবতা দেখে গল্পের আলোকে লিখেছি!দুষ্টুমির একমাত্র শাস্তি প্রহার হওয়া অনুচিত!
টাকার অংক টা এখানে প্রতিকী কম বেশি হতে পারে!
দুষ্টুমি, চঞ্চলতা এগুলো বয়সের স্বাভাবিক নিয়ম যখনি অতিরিক্ত হয় তখনি ভারসাম্য নষ্ট হয়!
পিতামাতা আমাদের কল্যানের জন্য শাষন করেন, তবে এটা প্রথম পদক্ষেপেই প্রহার হওয়া অনুচিত! কারণ বাচ্চা এখান থেকে ভুল মেসেজ পাচ্ছে!
সময় করে ঘুরে আসবো ইনশা আল্লাহ!
শুকরিয়া অনুভূতি শেয়ার করার জন্য!
আপুর ব্যস্ততা কি বেড়ে গিয়েছে? মিসিং ইউ আপু
ধন্যবাদ আপু ।
প্রহার নয় বুঝিয়ে বলা উচিত এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
শুকরিয়া অনুভূতি শেয়ার করার জন্য!
তোমার উপস্থিতি এবং মনজুড়ানো দুয়ায় আমীন! অনেক অনেক শুকরিয়া! আল্লাহ তোমাকে দ্বীনের পথে অবিচল রাখুন!
ঠিক ই বলেছেন , ওনেক সময় ছোট একটি ভুলের জন্য , সারাজিবন মাসুল গুনতে হয়
জ্বী, এই ভুল গুলো না হোক, ঝরে না পড়ুক স্বপ্ন মুকুরেই!
শুকরিয়া আপানাকে!
আমি নিজেও নেই নেই করেই কোনোমতে আছি!
আমি ও অনুভব করি লিখার মতো কোনো শব্দই মাথায় আসেনা, তাই কি আর করা! কিছুদিন চুপচাপ থাকি, সবার লিখা পড়ি!
দোআ ও শুভকামনা রইলো
স্মরণে রাখার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া জানাই, ব্লগে বসার সময় নিয়ে খুব দ্রুত আসছি আপনাদের কাছে ইনশা আল্লাহ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন