আজব কিছু শখ এবং পথ বিড়ম্বনা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:৪৩:২৩ রাত
ঘটনা-১
আমাদের বাসায় টিভি ছিলো না, শৈশবের সেই দুরন্ত বাঁধনহীন সময়টায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাশের বাসায় গিয়ে লুকিয়ে টিভি দেখার জটিল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছিলো জীবনের ঝুলিতে। বিশেষ আকর্ষন ছিলো শুক্র বারের বাংলা সিনেমা এবং আলিফ লায়লার প্রতি।
যাই হোক কথা হলো গিয়ে সেই বাংলা সিনেমায় প্রায় দেখতাম নায়িকা এক্সিডেন্ট করেছে, তড়িঘড়ি করে বিকট সাইরেন বাজিয়ে এম্বুলেস এসেছে, হসপিটালে নেয়ার পর ব্লাড ব্যাংকে ব্লাড নেই, ইমার্জেন্সি ব্লাড লাগেব! কোথাও ব্লাড পাওয়া যাচ্ছে না, গ্রুপ মিলছে না! কারণ নায়িকার ব্লাড গ্রুপ O Negetive !
এই দৃশ্য দেখার পর আমার শৈশব হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়ে গেলো O Negetive ব্লাড গ্রুপ খুবই রেয়ার, খুবই মূল্যবান ,এই রোগীদের দাম অনেক বেশি, অনেক বেশি কেয়ার নেয়া হয়! তখনই আমার ভিতরে কাজ করা শুরু করলো এক আজব শখের, ইশ ! আমার ব্লাড গ্রুপটা যদি O Negetive হতো!
আমার প্রথম কণ্যার আগমনী ধ্বনি যখন টের পেলাম প্রথম কাজটি ছিলো ব্লাড টেস্ট করা। যদিও তখন আমার মন থেকে মুছেই গিয়েছিলো সেই ছোটো বেলার অদ্ভুত শখের কথা। প্যাথোলজি রিপোর্ট হাতে নিয়ে যখন পড়লাম , বিষ্ফোরিত নেত্রে তাকিয়ে থাকলাম ব্লাড গ্রুপ O Negetive অংশটুকুর দিকে!
ঘটনা ২
স্পেনের টিকিট কাটা কনফার্ম হলে পতিজ্বী যখন টিকিট এনে সামনে দিলেন আনন্দাশ্রু বইছিলো দু- নয়নজুড়ে! সবমিলিয়ে সর্বমোট ছয়দিন থাকছি আমরা এই প্রিপারেশন নিয়ে ব্যাগ -ব্যাগেজ গোছানোর কাজ শেষ করে রওয়ানা হয়েছিলাম বান্ধবীর নীড়ের পানে...
আফরোজা এবং হাসান ভাইয়ের অমায়িক আচরণ, আন্তরিক আতিথেয়েতার বর্ণনা কোনোভাবেই লিখে শেষ করা যাবেনা। হাসান দম্পতি সারাক্ষণ সুবিশেষ নজর রেখেছেন কখন কি লাগবে, আমাদের প্রয়োজন, বাচ্চাদের কি পছন্দ, স্পেশালি প্রতিটা দিনের সকাল থেকে রাতের মেন্যুটা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন আমাদের পছন্দের খাবার অনুযায়ী!
ভর্তা,চিংড়ী, ইলিশ, স্পেনিশ মাছ গাইয়ো, ঢেরশ ভাজি, কলিজা, খাসির মাথা বুটের ডাল, বিরিয়ানী, পোলাও ,রোস্ট, গরুর ভুনা এগুলো সব ছিলো আমাদের পছন্দের খাবার ! নিবিড় যত্ন এবংপাকা রাঁধুনি আফরোজার রান্না খেয়ে আমার পতিজ্বি ক্রমেই টেনশনে পড়ে যাচ্ছিলেন ডায়াবেটিস নিয়ে!
স্পেনিশ মাছ গাইয়ো
ভর্তা
শিম-আলু শুক্তো
সালাদ
জাম্বুরা ভর্তা
লইট্টা ভুনা
ভাপা পিঠা
দুধপুলি
মুগ পাকন পিঠা
কালোজাম
আমাদের পুত্র-কণ্যা সময় কাটিয়েছে ভীশন আনন্দে, পছন্দের খাবার, পছন্দের জায়গায় একসাথে হৈ চৈ করতে করতে ঘুরতে যাওয়া ,পছন্দের গিফট পাওয়া সবকিছু মিলিয়ে অনন্য কিছু মুহূর্ত পার করছিলাম আমরা সবাই মিলে!
দেখতে দেখতে সময় ঘনিয়ে এলো বিদায়ের ঘন্টাধ্বনি বাজিয়ে। সবাই বিষণ্ণ মনে জামা -কাপড় গুছিয়ে আবারো রেডি হলাম ফিরার পথে...
বিদায় আসলেই বেদনাদায়ক! আমাদের সবারই খারাপ লাগছিলো আপন কিছু মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে আসতে! চোখের নোনা জল আর বোবা -রুদ্ধ কন্ঠে সালাম আর দোআ চেয়ে আমরা চলে এসেছিলাম মাদ্রিদ বারাখাস এয়ারপোর্টে!
এয়ারপোর্টে ঢুকে স্ক্রীন তন্ন তন্ন করে খুঁজেও রাইয়ান এয়ারের সন্ধান পেলাম না। একটা স্ক্রীনে নেই তো কি হয়েছে সবাই ছুট লাগালাম সামনের দিকে আরেক স্ক্রীনের সন্ধানে! অবাক কান্ড এটাতেও নেই! প্রথম সন্দেহ হলো দিন তারিখ ভুল হয়নি তো আবার? নাহ, ঠিক আছে । তাহলে?
ফ্লাইটের সময় বাকি আছে দুই ঘন্টা , এর মধ্যেই তো শিডিউল , গেট নাম্বার চলে আসার কথা! এবার চিন্তা হতে লাগলো , আমরা কি ভুল টার্মিনালে এলাম? নাহ টার্মিনাল ও তো ঠিক আছে!
সামনে এগোতে লাগলাম, অনেক দূর হাটার পর রাইয়ান এয়ার এর কাউন্টার দেখতে পেলাম, হাঁফ ছাড়বো তার আগেই চোখ আটকে গেলো লোকজনের সিরিয়ালের লম্বার দৈর্ঘ দেখে! এক মাইল তো হবেই!
সাথে দাঁড়ানো ডিউটি অফিসারকে দেখে জিজ্ঞেস করতেই উনি জানালেন, সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে রাইয়ান এয়ার স্টাফরা স্ট্রাইক ডেকেছে, সেদিনের মোট ১৭টি ফ্লাইট ক্যানসেল করেছে রাইয়ান এয়ার যারমধ্যে আমাদের বলোনীয়ারটাও ছিলো!
মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো, পরিস্থিতির অকস্মাৎ পরিবর্তনে ! কি করনীয়? ইতোপূর্বে কখনোই আমাদের ফ্লাইট ক্যানসেল এর মতো কোনো ঘটনা ঘটে নি! দূর্ভাবনার কালো ছায়ায় ঢেকে গিয়েছিলো মন!
এক মাইল লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আমরা ও কিছুটা দীর্ঘায়িত করলাম লাইনের দূরত্ব! কিছু্ক্ষণ পরেই আমাদের কাছে অফিসার এলেন, ডকুমেন্ট দেখলেন , সবকিছু শুনে সান্তনার বানী শুনিয়ে বললেন অপেক্ষা করতে , ডেস্কে যে অফিসার রা আছেন উনারাই পারবেন আমাদের করনীয় কি তা জানাতে! তারমানে বুঝলাম এই অফিসারের কাজ হলো শুধু ঘুরে ঘুরে সান্তনা দেয়া!
সামনে পিছনে সবার দূর্ভাবনায় অংকিত চেহারা দেখে বুঝতে পারলাম দূর্ভোগের স্বীকার শুধু আমরা নই! এর মাঝে মাঝ বয়সী এক মহিলা এলেন মরোক্কান। উনাকে কেউ হয়তো টিকিট কেটে দিয়েছে, সাথে কেউ নাই, উনি না জানেন স্পেনিশ না জানেন ইংলিশ! বারবার আমার কাছ এআসছিলো আমি যেনো অফিসারের সাথে কথা বলি! আমি জানি না আরাবিক ! উনার অনেক ঝামেলা হয়েছিলো!
সামনেই ছিলো আমাদের শহরবাসী এক তরুণ কপোত-কপোতী। ওদের সাথে কথা বলে বুঝলাম এই লাইনে অনেকেই আছেন যারা সকাল সাত টায় এসে দাঁড়িয়েছেন! এতোক্ষণে পা ব্যথা, বিরক্তি, অসহায়ত্ব সব কিছু ঘিরে আসতো লাগলো অক্টোপাশের মতো!
লাইন তো সামনে আগাচ্ছিলো না! পিঁপড়ার মতো পিল করে একটু আগালেই মনের মধ্যে হালকা একটু স্বস্তির বাতাস বইতো !
টানা ৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে যা জানলাম তা হলো, তাঁরা খুবই দুঃখিত এই করুণ অবস্থার জন্য। আমাদের দুইটা অপশন আছে-
১। টাকা ফেরত নিবো
২। নেক্সট যে ফ্লাইট বলোনীয়া আসবে সেই ফ্লাইটে আসবো
দ্বিতীয় অপশনটা যুক্তিযুক্ত এটা পছন্দ করলাম , এখন দেখা গেলো নেক্সট যে ফ্লাইটে সিট খালি আছে সেটার জন্য আরো চারদিন অপেক্ষা করতে হবে! ছয়দিন বেড়ানো আমাদের জন্য যথেস্ট পর্যাপ্ত ছিলো, আলরেডি আমরা বাসায় ফিরে আসাটা খুব মিস করছিলাম, বেশ কিছু কাজের এপোয়েন্টমেন্ট রেডি ছিলো যা এসেই করতে হতো!
পতিজ্বি বুদ্ধি করে বললেন আশে পাশের এয়ারপোর্টে যাওয়া সম্ভব কি না? জবাব পজিটিভ জেনে আমরা পাশের শহরের ফ্লাইটে দুদিন পরে রওয়ানা হবো এই টিকিট বুকিং দিলাম! %%
টানা ৫ ঘন্টায় আমাদের সবার অবস্থা বিধ্বস্থ! বাচ্চারা ব্যাপক মজা পাচ্ছিলো আবারো হাসান দম্পতির কাছ এফিরে যেতে পারবে এই আনন্দে! শুধু আমরা দুজন ঝড়ে ভেংগে পড়া মন নিয়ে আবারো সোজা হয়ে গন্তব্যে হাঁটা দিলাম...
এবার পাঠক আরেকটা দৃশ্য আপনাদের চোখের সামনে তুলে ধরতে চাই-
মাত্র ছয় মাস আগে গত বছর সামারে পেপারে একটা সংবাদের দিকে চোখ আটকে গিয়েছিলো। কি এক কারণে এয়ারপোর্টে এক সাথে শ'খানেক ফ্লাইট ক্যানসেল করেছিলো কতৃপক্ষ! হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ এবং যাত্রাপথের কষ্টের বিবরণ , যাত্রীদের আহাজারী নিয়ে ছিলো আর্টিকেলটি ! পড়ার পরে অনুভূতি জাগলো হলোই না হয় ফ্লাইট ক্যানসেল বা ডিলে এটা তো অনেক ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার ! আরো বেশি কিছু দিন বেড়ানো যাবে অথবা এয়ারপোর্টেও সময় কাটানোর ব্যবস্থা থাকে, কতোভাবেই তো সময় কাটানো যায় - এই অভিব্যাক্তি নিয়ে কিছুটা অনীহা , কিছুটা ব্যাপার না মনোভাব, কপালে ভাঁজ ফেলে পেপারের অপর পৃষ্ঠায় চক্ষু মনোনিবেশ করেছিলাম!
সেদিনের সেই অনীহা , ব্যাপার না মনোভাবের প্রতিদান হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম যদিও কাউকে শেয়ার করতে পারছিলাম না! তোওবা আর আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে পড়তে মনে মনে কঠিন শপথ করলাম আর কোনোদিন যেনো এই সব আজব ব্যাপরে আমার বিন্দুমাত্র আকাংখা বা অনীহা ভাবপ্রকাশের লেশ মাত্র না আসে!
"যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে। আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।" (হাদীদ : ২২-২৩)
ভগ্ন হৃদয়ে , ক্লান্ত শরীরে আফরোজা দের বাসায় এলেও এই অসাধারণ মানুষগুলোর খুশী এবং কিছু দিন একসাথে থাকতে পারার আনন্দে মনের মাঝে সুখের পাখিরা কুহু সুরে ডাক দিয়ে যাচ্ছিলো...
বিষয়: বিবিধ
২৭৮১ বার পঠিত, ৫৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
াল্লাহ যা করেন ভাল জন্যই করেন আপু । আপনার ও বধোদয় হল, আবার বান্ধুবীর সাথে আরো কিছু সময় কাটাতে পারলেন তাই না আপু ।
ধন্যবাদ আপু ।
আপু নিজের কারণে ফ্লাইট মিস হলে নিজেকে দোষারোপ করেও কিছুটা শান্তি পাওয়া যায় আর যদি কতৃপক্ষের কারণে হয় তখন সবর করা ,নিজেদের নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া , কি করণীয় সিদ্ধান্ত নেয়া আসলেই জটিল হয়ে পড়ে ।
হ্যা, আপু থেকে আমরা সবাই যে প্ল্যান গুলো আগে করতে পারি নি সেগুলো ফুলফিল করেছিলাম।
শুকরিয়া আপু। শুভকামনা রইলো।
চমৎকার মন্তব্য এবং সাড়া দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপুকে শুকরিয়া! শুভকামনা রইলো আপু!
আজব অনুভূতির গজব পরিণতি কি হতে পারে সেটা আমিও অনুধাবন করেছি, করছি! আল্লাহ আমাদের অন্তরগুলোকে সোজা, সহজ পথে ধাবিত করুন, আমীন!
শরীক থাকার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া জানবেন! শুভকামনা রইলো
অনেক দিন পর! সোজা রাস্তায় চলত এ থেকে হঠাৎ যখন রাস্তায় মোড় পরিবর্তন হয় বা উঁচু নিচু জায়গা পাড়ি দিতে হয় তখন কিছুটা জটিলতা এসেই পরে , আর এটাই মুমিনের টেস্ট। তখন তাওয়াক্কুল এবং সবরের পরাকাষ্ঠা থেকে যেনো বিচ্যুত না হই এটাই দোআ এবং কামনা!
শুকরিয়া আপু!
এভাবে কাউকে লোভ দেখাইয়া তার পেট থারাপ করা অনেক বড় অপরাধ! সেই শাস্তি আগেই পাইলেন ফ্লাইট বাতিল হয়ে। একবার আমারও এই সমস্যা হয়েছিল প্রায় ১৮ ঘন্টা। তবে সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট হওয়ায় বিশেষ সমস্যা হয়নাই। ঘুমাই আর মুভি দেখে আর বিশাল মার্কেটে বেড়াতে বেড়াতেই কেটে গেছে টাইম। তবে এরপর শপথ নিছি কোন দিন আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বাংলাদেশ এ চড়ব না!!!
আসসালামুআলাইকুম ভাই।
খাবারের ছবি দিয়েছি আমার কোনো দোষ নেই সব দায়িত্ব নিয়েছেন আবু জান্নাত ভাই!
রাইয়ান এয়ার আমাদের প্রথমবার ভোগালো , এর পর থেকে আমরা ই মেইল চেক করেই এয়ারপোর্টে যাবো ইনশা আল্লাহ!
শুকরিয়া
ঘটনা দেখে মনে হলো ২+২ =৪
এইভাবে খারারের ছবি দেয়া অন্যায় অন্যায়
এবং দন্ডনীয় অপরাদ
কিন্তু সেটা কোন ধারা অনুযায়ী
নিজ দ্বায়িত্বে জেনে নিবেন
শোনেন ভাই, খাবারের ছবি আর ভার্চুয়াল লালা ঝরবে না এই অভয় দিয়েছেন আমাদের ভাই আবু জান্নাত । উনাকে ধরুন প্লিজ!
শুকরিয়া ভাই।
ধন্যবাদ প্রিয় বোন সুন্দর লিখাটির জন্য। ছোটকালে আমিও আলিফ লায়লার ভক্ত ছিলাম, বাড়িতে টিবি না থাকার কারনে পাশের বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে দেখতে হতো, কারন আব্বু বাড়িওয়ালাকে বলেদিয়েছিলেন আমাকে যেন টিবি দেখতে দেওয়া না হয়। তবে দেখার পর যখন বাড়িতে আসার পথে তেতুল গাছের নিছ দিয়ে আসতাম, তখন ভয়ে যেন আমি এক নিথর দেহ হয়ে যেতাম, মনে হত এই বুঝি তেতুল গাছ থেকে সোপান ইজমা বের হয়ে আমাকে খাওয়ার জন্য দাত কেলিয়ে হাসবে !!!
আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগলো! সময়ের পরিবর্তনে আসলেই অভ্যাস,রুচি, পছন্দের অনেক পরিবর্তন হয় তাই না?
জাযাাল্লাহু খাইর ভাইয়া।
আলিফ লায়লা দেখার কারণে বড়মামার শাষনে পতিত হলাম, কান পাকড়ে উঠবস আরকি!
আমার ব্লাড গ্রফ কি এখনো জানা হয় নাই।
এত খাবারের ম্যানু! হরে ব্যাস...
পাকা রাধুনী তো পাকা ব্লগারানীও ছিলেন, কিন্তু এখন ফাঁকা ব্লগারানী হয়ে রয়েছেন। না জানি পাকের কর্মটি ভুলে যায় কিনা! অবশ্যই মাঝে মাঝে কিছু পাকের টিপ্স নিয়ে হাজির হলে হয়তো ভুলবেন না।
আরবি জানলেও মরোক্কানদের বুঝানো অনেকটা কঠিন, তাদের ভাষা আরবী হলেও অনেকটা ফ্রান্সের টান আছে। বাঙ্গালী যেমন বাংলিশে অভ্যস্ত, তারাও আরবী+ফ্রান্সে অভ্যস্ত।
বাংলাদেশ বিমানের ৬টার ফ্লাইট ৮.৩০টায় হওয়াতেও অনেক বিরক্ত অনুভব করেছি, আর আপনি তো মাশা আল্লাহ ৫ঘন্টা+২দিন। অবশ্য ফ্যামেলি সাথে থাকলে নো টেনশান।
আপনার তোলা অনেক ছবিতে ডান কোনে কেনডি লিখা মনোগ্রাম থাকে, কারনটা কি?
আকাশ ভেঙ্গে পড়লো তবুও বেছে আছেন, মনে হয় রানা প্লাজার রেশমী থেকেও আপনার আত্মা অনেক শক্ত, তাইতো ব্লগে আবার দেখতে পাচ্ছি
নিচের ছবির ব্যক্তিটি কে? আপনার কাছের কেউ নয় তো!
সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ / শুকরিয়া।
ব্লাড গ্রুপ জানা থাকা টা অনেক ভালো, দেশে গেলে চেক আপের সুযোগ করে নিবেন !
নির্ধারিত নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটলে আসলেই অনেক অসুবিধার সন্মুখীন হতে হয়, তবু তো আমাদের থাকা - খাওয়া -বেড়ানোর নিরাপদ ব্যবস্থ আছিলো আলহামদুলিল্লাহ!
দুর্ভাবনার আকাশ- এতে মাথা ভাংগে না তবে ভার হয়,বোঝার মতোন লাগে!
বিপন্ন যাত্রীদের কেউ!
অনেক অনেক শুকরিয়া সুবিস্তারিত মন্তব্যের এবং সুপঠনের জন্য!
শুকরিয়া ভাইয়া
আমাদের কষ্ট হলেও বাচ্চরা এনজয় করছিলো, পরিষ্কার বুঝতে পেরেছিলো কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট সহ্য করলেও আরো কিছুদিন স্কুল মিস প্লাস বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে তারা ! আমার কণ্যা এতোই খুশি ছিলো বাসায় ফিরেই বলছিলো- আল্লাহ আমাকে এই গিফট দিয়েছেন!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া!
আমরাও অজোপাড়াগাঁয়ের মানুষ ভাই, অপ্রস্তুত হয়ে হয়েই পথ চলছি!
শুকরিয়া ভাই। আল্লাহ তোমাকে সুস্থতা এবং নিরাপত্তা দিন, আমিন।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটি উপহার দেবার জন্য।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! শুভকামনা জানবেন।
সত্যি কথা বলতে ভাই আজ তিন দিন ধরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী আছি, টেকনোলজী থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছি তাই এ কয়দিন অনলাইনে আসা হয় নি!
বিকেলে কিছুটা সুস্থবোধ করছিলাম শুয়ে শুয়ে ব্লগে ঢুকতে আমার পোস্ট দেখে আমি ভেবেছিলাম জ্বরের কারণে আমি বোধ হয় সব কিছু উল্টাপাল্টা দেখছি!
যাই হোক, আপনার ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া শুরু হচ্ছে মনে হচ্ছে, ব্লগের মডারেশন মহোদয় সকল ব্লগারদের দিকে সঠিক দৃষ্টিপাত রাখুক এটাই কাম্য!
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
শুভেচ্ছা রইল।
সত্যি কথা বলতে ভাই আজ তিন দিন ধরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী আছি, টেকনোলজী থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছি তাই এ কয়দিন অনলাইনে আসা হয় নি!
বিকেলে কিছুটা সুস্থবোধ করছিলাম শুয়ে শুয়ে ব্লগে ঢুকতে আমার পোস্ট দেখে আমি ভেবেছিলাম জ্বরের কারণে আমি বোধ হয় সব কিছু উল্টাপাল্টা দেখছি!
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো!
সত্যি কথা বলতে ভাই আজ তিন দিন ধরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী আছি, টেকনোলজী থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছি তাই এ কয়দিন অনলাইনে আসা হয় নি!
বিকেলে কিছুটা সুস্থবোধ করছিলাম শুয়ে শুয়ে ব্লগে ঢুকতে আমার পোস্ট দেখে আমি ভেবেছিলাম জ্বরের কারণে আমি বোধ হয় সব কিছু উল্টাপাল্টা দেখছি!
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো!
সত্যি কথা বলতে ভাই আজ তিন দিন ধরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী আছি, টেকনোলজী থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছি তাই এ কয়দিন অনলাইনে আসা হয় নি!
বিকেলে কিছুটা সুস্থবোধ করছিলাম শুয়ে শুয়ে ব্লগে ঢুকতে আমার পোস্ট দেখে আমি ভেবেছিলাম জ্বরের কারণে আমি বোধ হয় সব কিছু উল্টাপাল্টা দেখছি!
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো!
আমরা বাংলাদেশীরা ভোজনবিলাসী এবং অতিথিপরায়ণ দুই গুণ ই আছে আমাদের আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার রিযিকে আপনার পছন্দের খাবারগুলো মিলে যাক দ্রুত এই দোআ রইলো!
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো
অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই! আপনার পছন্দের খাবার রিযিকে মিলে যাক দোআ রইলো
লম্বার দৈর্ঘ বুঝতে পারিনি।
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া! আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো
অনেক দিন পর! আপনাকে ব্লগে দেহা যাচ্ছে তারমানে কি আমরা নতুন লিখা পেতে যাচ্ছি?
অভিনন্দনের জন্য শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো
আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলে যাবেন না যেনো
অনেক অনেক শুকরিয়া !
আপনার মন্তব্য কিন্তু আসলেই স্পেশাল কিছু ভাইয়া! অনেক অনেক শুকরিয়া জানবেন সময় করে বোনের পোস্টে ঘুরে যাওয়ার জন্য!
জাযাকাল্লাহু খাইর।
এই ফুলেল শুভেচ্ছা কিন্তু অন্নেক মায়া করে দেয়া!
শরীর এখন কেমন আপু? জানিও কিন্ত.........
কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলেন আপু? আমরা কি তাহলে নতুন লিখা পড়তে যাচ্ছি?
জানি আপু, আপনার স্নেহ,মায়া আর ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি !
আনি সেরে উঠেছি আলহামদুলিল্লাহ, কণ্যার শুরু হয়েছে এখন, এন্টিবায়োটিক চলছে দোআ করবেন খাস করে আপু !
মন্তব্য করতে লগইন করুন