Expo Milan 2015
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:১২:০৩ রাত
ভ্রমনবিলাসী, সৌন্দর্যপিয়াসু , সষ্টিশীল মননের দাবী ও চাহিদা পূরণে ১৮৫১সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিলো Expo। মূলতঃ এটি এমন একটি এক্সিবিশন যেখানে টেকনোলজি, ইন্নোভেশন, কালচার, ট্রেডিশন এবং ক্রিয়েটিভিটির অপূর্ব মহাসম্মেলনের সুযোগ হয়। আন্তর্জাতিক মানের এই মহা সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহন করে থাকে । এখানে আদান-প্রদান হয় কৃষ্টি কালচার, আবিষ্কার এবং যুগের চাহিদার!
প্রথম বার Expo অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ইংল্যান্ডে, ২৮টি দেশের সমন্বয়ে আয়োজিত মেলায় অংশগ্রহনকারী দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিলো ছয় মিলিয়নের কিছু বেশি!
১৯৩১ সাল থেকে International Exhibitions Bureau (BIE) সংস্থাটি এই আন্তর্জাতিক মানের এক্সিবেশনের স্থান-কাল- মান নির্নয়ের মূল হোতা হিসেবে কর্মরত আছে। প্রতি পাঁচ বছর পর ছয় মাস সময়ের মেয়াদ নিয়ে এই মেলা অনুষ্ঠিতো হয়ে থাকে।
Expo শুধু আন্তর্জাতিক মানের মেলা- ই নয় বরং এর মাধ্যমে বিশ্ব পেয়েছে অসাধারণ কিছু উপহার। কেচাপ,টিভি, কম্পিউটার, লিফট, এলিভেটর প্রভৃতি আধুনিক বিজ্ঞানের যুগান্তকারী আবিষ্কার এই মেলাগুলোতেই প্রথম দৃষ্টিগোচর এবং উদ্বোধন হয়!
১৮৫১ সালের প্রথমবারের অধিবেশনের পর কিছুটা স্তিমিত গতিতে এগিয়েছিলো এক্সপো যার অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক বিশ্বের স্থিতিশীলতার অভাব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ.
১৮৭৬ সালে আমেরিকার ফিলাডেলিয়ায় যে Expo অনুস্ঠিত হয় তাতে ১১ মিলিয়ন দর্শকদের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো আধুনিক বিশ্ব উপহার পায় " ketchup- কেচাপ" ।
পরবর্তীতে সকল সময়ের জন্য স্মরণীয় Expo অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের স্বপ্নময় শহর প্যারিসে। ৩২ মিলিয়ন দর্শকদের ভিড়ে প্যারিসবাসী সবাইকে যে চমক দিয়েছিলেন সেটা হলো- ৩২৪ মিটার লম্বা " আইফেল টাওয়ার" নামক চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের অপরুপ সৃষ্টিকর্ম যা আজো বিশ্বের সকল মানুষের হৃদয়ে খ্যাতির আসনে রয়েছে।
এশিয়া মহাদেশে প্রথমবারের মতো Expo অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে জাপানের ওসাকা শহরে। ৭৬টি দেশ এবং ৬৪ মিলিয়ন দর্শনার্থীদের ভিড়ে এই আয়োজনটি রেকর্ড গড়ে ছিলো তখনকার সময়ে। জাপান কি উপহার দিয়েছিলো বিশ্ববাসীকে?
প্রতি ঘন্টায় ৫০০কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম এমন দ্রুতগামী ট্রেন। এছাড়া ছিলো পারমানবিক চুল্লী এবং সেল ফোনের প্রথম নিউ ভার্সন ! ]
২০০০ সালে জার্মানে অনুষ্ঠিত Expo কোনো অজানা কারণে কাংখিত সাফল্য অর্জন করেনি , মাত্র ১৮ মিলিয়ন দর্শক অংশগ্রহন করেছিলো যদিও আশাকরা হয়েছিলো ৪০ মিলিয়ন!
২০১০ সালে Expo অনুষ্ঠিত হয় চীনের সাংহাই শহরে। ১৯০টি দেশ এবং ৭৩ মিলিয়ন দর্শানার্থীদের সুযোগ দিয়ে সর্বকালের রেকর্ড গড়ে তোলে চীন।
২০১৫ সালে ইতালির ব্যস্ততম বানিজ্যিক শহর মিলান দ্বিতীয়বারের মতোন গৌরব অর্জন করেছে Expo অতিথেয়তার মাধ্যমে। ১লা মে থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত ছয়মাস মেয়াদী এই অনুষ্ঠানে আশাকরা যাচ্ছে ২০ মিলিয়ন দর্শানার্থীদের সুযোগ দিতে পারবে মিলান। ১৪০ টি দেশের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে বর্তমানে Expo এক জমজমাট এবং আকাংখিত একটি টপিকে পরিণত হয়েছে। এবারের Expo'র মূল যে থীম সেটা হলো- "Feeding the Planet, Energy for Life" ।
ভ্রমন, ভোজন এবং সৌন্দর্য পিয়াসু ইতালিয়ানরা দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে একপলক এই আন্তর্জাতিক মানের মেলার আয়োজনে অংশগ্রহনের জন্য! শুধু তাই নয় বিশ্বের আনাচে কানাচে থেকেও প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে - চলমান রয়েছে!
আন্তর্জাতিক মানের এই পরিদর্শন স্হানটিকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে সকল দেশ ও জাতির মধ্যে পারষ্পরিক কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতি, খাদ্যভ্যাস, নতুন আবিষ্কার, স্হাপনার আদান-প্রদান। মিলান শহরে এসে একই সাথে এতোগুলো দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষ এবং তাদের সংস্কৃতি ও আবিষ্কারের সাথে পরিচিত হতে আসাটাই আজকের নতুন প্রজন্মের লক্ষ্য এবং সে উদ্দেশ্য সফলতার দ্বার প্রান্তে বলা যায় ।
অংশগ্রহণকারী দেশ গুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে জাপান। সবচাইতে দীর্ঘতম লাইন এই প্যাভিলিয়নের সামনে। দীর্ঘ ৯ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে জাপান প্যাভিলিয়নে ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীগন!
সবচাইতে চমকপ্রদ যে বিষয়টি সেটা হলো অংশগ্রহণকারি প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব ডিজাইন এবং স্হাপনায় তৈরি করেছেন নিজস্ব প্যভিলিয়ন যা দেখে প্রত্যেকেই স্বীকার করেছেন বিশ্বের এক অভূতপূর্ব মিলন মেলা এই Expo
১) স্হাপনা কৌশলে শীর্ষ স্থানে আছে প্যাভিলিয়ন অস্ট্রিয়া-
মূলতঃ একটি ঘন ঝোপের আকারে নির্মিত এই প্যাভিলিয়নটির বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এর ভিতর ও বাইরের তাপমাত্রার সমন্বয়। ভিতরে রয়েছে ৫ ডিগ্রী কম তাপমাত্রা বাইরের তুলনায় যদিও এটি এয়ারকন্দিশনের মাধ্যমে কমানো হয় নি বরং ভিতরে এমন পরিমানে গাছ লাগানো হয়েছে যা প্রতিঘন্টায় ৬২,৫ কিলোগ্রাম অক্সিজেন নিঃসরণ করে । পুরো Expo তে এরাই ব্যতিক্রমধর্মী ন্যাচার এবং সাইন্সের অভূতপূর্ব এই স্থাপনা করেছে যার বিভিন্ন স্হানে আপনি দেখবেন LED এর মাধ্যমে লিখা আছে “Nature Reloaded” এবং “We Grow Air” ।
(ছবি- প্যভিলিয়ন অস্ট্রিয়া )
২) প্যভিলিয়ন সুইজারল্যান্ড- চার তলা বিশিষ্ট্য এই প্যভিলিয়নের বাহ্যিক সৌন্দর্যের চাইতে অধিক আকৃষ্ট করে এদের অতিথেয়তা । এরা প্রতিটি তলায় দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রী উপহার স্বরুপ দিচ্ছেন আপেল, কফি, লবণ এবং পানি।
( ছবি- প্যভিলিয়ন সুইজারল্যান্ড)
৩) প্যভিলয়ন মরোক্কো- সম্পূর্ণ স্হাপনাটি তৈরি করেছে এরা এদের দেশ মরোক্কো কেন্দ্রিক। ভিতর এবং বাইরে রয়েছে মরোক্কোর অভিজাত এবং ঐতিহ্যবাহী স্হাপনা ও বৈশিষ্ট! ভিতরে ঢুকলে পাবেন মন শীতল করা বাতাস আর বাইরে মরুভূমির উত্তাল হাওয়া। বের হওয়ার সময় আপনাকে আপ্যায়িত করা হবে বিখ্যাত মরোক্কান মিন্ট টি এর মাধ্যমে যা আপনাকে রাখবে সতেজ এবং প্রানচঞ্চল ।
(ছবি -প্যভিলয়ন মরোক্কো)
৪) প্যভিলিয়ন জাপান - ১৭ হাজার কাঠের টুকরোর সমন্বয়ে তৈরি করেছে জাপানিজ প্যাভিলিয়ন। অনন্য বৈশিষ্ত্য হলো এই সতেরো হাজার কাঠের টুকরোতে ওরা একটি পেরেক ও ব্যবহার করেনি! স্হাপনার ভিতরে ঢুকতেই অন্ধকার কক্ষকে আলোকিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে আয়না এবং প্রজেকশন ম্যাপ। যখন কক্ষটি আলোকিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধরণের চিত্র কক্ষের দেয়ালে, উপরে, নিচে, আশে-পাশে ক্রমান্বয়ে একেরপর এক ভেসে আসতে থাকে! টেকনোলজির এক আশ্চর্যজনক বিষ্ময়ের চমক দিয়ে সকল দর্শনার্থীদের হৃদয়ের আসন দখল করে নিয়েছে!
(ছবি-প্যভিলিয়ন জাপান)
৫) প্যাভিলিয়ন ইউ,কে -
বলতে গেলে এটি ঘর আকৃতির কোনো স্হাপনা নয় বরং উন্মুক্ত খোলা স্থান হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করেছে ইউ,কে। আকর্ষনীয় সিলভার দিয়ে তৈরি এই স্থানটি তৈরি করতে ১৭০ হাজার বিভিন্ন ধরণের পার্টস ব্যবহার করেছে যার একটি অংশও ইতালি বা অন্য দেশ থেকে নেয় নি! সম্পূর্ন নিজেদের কাঁচামাল এবং ডিজাইন সকলের মন কেড়েছে!
(ছবি- প্যাভিলিয়ন ইউ,কে)
৬) প্যভিলিয়ন সাউথ কোরিয়া- এই প্যাভিলিয়নটি সবচাইতে গুরুত্ব দিয়েছে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের প্রতি। ঢুকতেই চোখে পড়বে রুমের দেয়াল জুড়ে বিশ্বের সব দেশের প্রধান খাদ্যের নাম লিখা আছে বিভিন্ন ভাষায়। দুটি রোবটের মাধ্যমে এরা ব্যাখ্যা করছে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের প্রয়োজনীয়তা এবং ভুল খ্যাদ্যাভ্যাসের কুফল। বিশেষ গুরুত্ন দিয়েছে অবসেটি এবং প্যাকেটজাত খাবারের কুফলের প্রতি। অত্যন্ত শিক্ষনীয় এই প্যভিলিয়নের আরো আকর্ষন ছিলো কোরিয়ান খাবার kimchi ।
(ছবি -সাউথ কোরিয়া)
৭)প্যাভিলিয়ন ব্রাজিল- শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলে মন জয় করেছে ব্রাজিল। সবচাইতে বড় কথা মাত্র দুই মাসেই এক মিলিয়ন দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে এই প্যাভিলিয়নে।
৮)প্যাভিলিয়ন আরব আমিরাত- " Food for thought - Formulate and share the future " - " চিন্তার জন্য খাদ্য - প্রণয়ন ও ভবিষ্যতে শেয়ার " এই চমকপ্রদ স্লোগান এর মাধ্যমে আরব আমিরাত বিশ্ববাসীর সামনে নিজেদের উপস্থাপন করেছে। আকর্ষনীয় থ্রীডি শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে দর্শক নিজেকে মুহূর্তেই হারিয়ে ফেলবেন মরুভূমির অতল গহবরে , কখনো বা খেজুর বৃক্ষের নিচে! শর্ট ফিল্মটির নাম দেয়া হয়েছে "একটি খেজুর বৃক্ষের আত্ন কাহিনী"!
৯) প্যাভিলিয়ন জিরো- মূলতঃ এই প্যভিলিয়ন মানুষের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে। প্রি-স্টোরি যুগ থেকে আজ বর্তমান মনুষ্য সভ্যতার বিবর্তন ক্রমানুসারে বিবরণ দেয়া হয়েছে। এর মূলে রয়েছেন দুজন ইতালিয়ান ডেভিড র্যামপেল এবং মিকেল ডে লুচ্চি।
১০) প্যভিলিয়ন আ্যংগোলো- পেট্রোলিয়াম এবং ডায়মন্ডের দেশ নামে খ্যাত আ্যঙ্গোলো ভিন্নধর্মী স্থাপনা সকলের নজর কেড়েছে। সবচাইতে উঁচু টাওয়ার তৈরি করেছে এই প্যভিলিয়ন যার উপর থেকে দেখা যাবে সম্পূর্ণ Expo ।
এই হলো দর্শকদের দৃষ্টিতে নজরকাড়া দশটি প্যাভিলিয়ন।
এবার আসুন এক পলক ঘুরে আসি ইতালিয়ান প্যভিলিয়ন হতে-
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন দেখে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ কি এর মাঝে আছ একি না? অবশ্যই আছে তবে নিজ খরচে প্যভিলিয়ন নিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ তাই ছোট দোকান দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে প্রিয় দেশটিকে! তবুতো এসেছে....
নির্দিষ্ট মেয়াদের আর অল্প কিছু দিন বাকি আছে Expo শেষ হতে। তবে এর আগেই পরবর্তী Expo কোথায় হবে সে ঘোষনা স্থির হয়ে গেছে। অনেকেই জেনে আনন্দিত হবেন পরবর্তী Expo অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালে স্বপ্নময় শহর দুবাইতে!
অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বিশেষ তিনটি প্যভিলিয়ন এবং যেখানে ছিলো সবচাইতে দীর্ঘ লাইন সেই তিনটি হলো-
১) জাপান
২) আরব আমিরাত
৩) কোরিয়া ।
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৬ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইতালিতে আছি না জানলে কেমনে হপে?
মোটকথা যদিও গাছটির পাপড়ির সাথে ফিবোনাচ্চির মিল আছে এটা কিন্তু নিউ সংস্করণ! নেহায়াৎ মিল!
মূল লাইফ অফ ট্রি ইতালিয়ান বিশ্বাস মতে এরকম-
গভীরে যাওয়ার দরকার নাই ভাই, দেখো ঐ পর্যন্ত !
দারুন লাগল
শুধু দেশি খাবার খাবেন? আরে ভাই ১৪০ টা দেশের সব খাবার না খান জিম্বাবুয়ে যে খাবার প্রদর্শন করে সবাইকে তাক লাগিয়েছে সেটা একবার তো দেখেন!
জিম্বাবুয়ে এনেছে এমন খাবার যা জীবনে কেউ খাওয়া দূরে থাক, কল্পনাতেও আনে নি! কি জানেন ?
কুমিরের বার্গার- জেব্রার বার্গার এন্ড পাইথন বার্গার
দোআ করি ২০২০ এর আগেই পুটির মা আপনার জীবনে আসুক!
শুধু দেশি খাবার খাবেন? আরে ভাই ১৪০ টা দেশের সব খাবার না খান জিম্বাবুয়ে যে খাবার প্রদর্শন করে সবাইকে তাক লাগিয়েছে সেটা একবার তো দেখেন!
জিম্বাবুয়ে এনেছে এমন খাবার যা জীবনে কেউ খাওয়া দূরে থাক, কল্পনাতেও আনে নি! কি জানেন ?
কুমিরের বার্গার- জেব্রার বার্গার এন্ড পাইথন বার্গার
দোআ করি ২০২০ এর আগেই পুটির মা আপনার জীবনে আসুক!
এটা হলো আমেরিকান প্যাভিলিয়ন।
আমাদের দেশের সৃজনশীলতা বা প্রতিভা বিকাশ পায় এমন কোনো বিষয় তুলে আনলে ভালো হতো!
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া আপনাকে!
আপনার উপস্হাপনা দারুন হয়েছে।
জ্বি, কিছু সমাজকর্মীরা এক্সপো বিরোধী আছেন, উনারাই মিছিল করেছিলেন!
শুকরিয়া সাথে থাকার জন্য!
ফ্রান্স প্যাভিলিয়ন!
শুধু দেশি খাবার খাবেন? আরে ভাই ১৪০ টা দেশের সব খাবার না খান জিম্বাবুয়ে যে খাবার প্রদর্শন করে সবাইকে তাক লাগিয়েছে সেটা একবার তো দেখেন!
জিম্বাবুয়ে এনেছে এমন খাবার যা জীবনে কেউ খাওয়া দূরে থাক, কল্পনাতেও আনে নি! কি জানেন ?
কুমিরের বার্গার- জেব্রার বার্গার এন্ড পাইথন বার্গার
জীবনে স্কুইড ভাজি খেয়েছি বাফেটে দেখলাম ঝিনুক কারি একটু পরে দেখি ডিশ পুরোটাই সাবার ওওওওয়াক
বাংলাদেশের ছোট্ট ষ্টলটাও বোধহয় দর্শক আকর্ষন করছে। কিন্তু আমাদের যথেষ্ট রপ্তানি যোগ্য দ্রব্য থাকলেও সেগুলির বেশিরভাগই নাকি আমলাতান্ত্রিক কারনে যায়নি। অষ্ট্রিয়ার কনসেপ্ট টি খুব ভাল লাগল।
আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তাই খুব ভালো লাগলো! আপনার জন্য ভিয়েতনাম প্যাভিলিয়ন -
ধন্যবাদ আপু।
এজন্যই তো ব্লগে আপনার সাড়া পাওয়া যাচ্ছিলো না! আশাকরি সবার সাথে আনন্দমুখর সময় কাটাচ্ছেন!শুকরিয়া আপনাকে সাথে থাকার জন্য!
সৌদি আরব একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগদান করেছে তাই কোনো নিজস্ব প্যাভিলিয়ন নাই, আপনার জন্য মালয়েশিয়ান প্যভিলিয়ন-
আমি নিশ্চিত, মডারেটরের চোখে পড়লে লেখাটি স্টিকির মর্যাদা পেয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
আমি নিজেো অনেক কিছু জেনেছি এই পোস্ট লিখার মাধ্যমে যা আমাকে বাড়তি আনন্দ দিয়েছে!
আরব -আমিরাত টপ লিস্টে আছে, ভিতরে প্রবেশের জন্য ৬-৯ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়! বোঝাই যায় আমিরাত প্রীতি আছে দর্শনার্থীগনের!
আগামী বার তো দুবাই হবে , আপনারা দেখতে পারবেন ইনশা আল্লাহ!
অনুপ্রেরণার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া জানবেন!
আপনার জন্য কাতার প্যভিলিয়ন-
আপু আমাদের যাওয়ার ইচ্ছে আছে, আমার সবচাইতে বেশি -সমস্যা হলো পুত্র- কন্যা লাইনে দাঁড়ানোর ভয়ে যেতে চাচ্ছে না! পতিজ্বি সেই সুযোগ গ্রহন করে ধীর গতিতে চলছেন
অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা অংশগ্রহন করে নি!
আপনার জন্য এক্সপো চিলড্রেন পার্ক-
আমিও ঠিক করে নিয়েছি শুকরিয়া!
আমাদেরকে এক্সপো দেখালেন,
কী পুরস্কার দেয়া যায়- - -
অনেক ভেবে দেখলাম, এটার চেয়ে ভালো কিছু পেলামনা-
[b]জাযাকুমাল্লাহ...[b/]
(আপনা একলা ছিলেননা নিশ্চয়ই!)
ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পড়েছেন এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক শুকরিয়া! এখনো যাই নি! নিয়ত আছে যাওয়ার! দোকলা রাজি হচ্ছেন না
শুকরিয়া
আপু এটি তো প্রতি পাঁচ বছর পর পর বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে হয়। এবারের এক্সপো হোস্ট হওয়ার জন্য আমেরিকার আটলান্টা,লস- এন্জেলস, নিউ ইয়র্ক এবং রাশিয়ার মস্কো অনেক চেস্টা করেছি কিন্তু অধিক ভোটে ইতালির মিলান হোস্ট স্পন্সর পেয়েছে!
আমি প্রথম দিকে মোটেও আগ্রহী ছিলাম না এক্সপো যাওয়ার ব্যাপারে , একে তো সদ্য দেশ থেকে ফিরে এসেছিলাম আর মূল কথা হলো এক্সপো সম্পর্কে তথ্যগুলোও জানা ছিলো না! কিন্তু তখন সুযোগ ছিলো। আমার পরিচিতরা অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলেন আমি সেটা কানে তুলিনি আর উনারা ঘুরে এসে যখন বিবরণ দিলেন আর আমি নিজেও ইনরমেশন নিলাম এখন অস্থির লাগছে যাওয়ার জন্য! সমস্যা হলো একদম ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না, বাচ্চারা কেউ যাবে না কারণ প্রতিটা প্যাভিলিয়নে মিনিমাম তিন ঘন্টার লাইন! পতিজ্বি একবার ইয়েস তো দুই বার নো! চেস্টা চলছে দেখি............
শুকরিয়া আপু!
পোস্টটা স্টিকি হওয়াতে খুব ভালো লাগছে। আগেই বলেছিলাম, আপনার উপস্হাপনা অনেক চমৎকার হয়েছে। সত্যি বলতে স্টিকি আগে না হওয়াতে খারাপ লেগেছিলো।
ধন্যবাদ।
আপনার আন্তরিকতা ও সহানুভূতি মন ছুঁয়ে গেলো ! আবারো শুকরিয়া ! শুভকামনা রইলো নিরন্তর
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা অগুণতি..
ভালো লাগল,ধন্যবাদ
আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্যে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি -শুকরিয়া !
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সর্বপ্রথম আপনিই স্টিকির কথা বলেছিলেন, স্টিকি হওয়ার পর আপনার শুভকামনার কথাই মনে পড়ছিলো বারবার!
অনেক অনেক শুকরিয়া!
শ্রদ্ধা সহ শুভেচ্ছা নিবেদন ভাইয়ার জন্য!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপু।
লিখাটি প্রথম থেকেই চোখে পড়েছিল। কিন্তু বৃহঃবার মুহাররমের বন্ধ ও শুক্রবার জুমার বন্ধ মিলিয়ে ব্লগে আসা হয় নাই। তবুও মাঝে মাঝে মোবাইলে হেডলাইনগুলো দেখে নিই।
গতকাল কে জানি আমাকে পড়ার আমন্ত্রণও জানালেন। আমন্ত্রিত না হলেও পড়তাম। আপুর লিখা কি মিস করা যায়!
আমার সব চেয়ে উপকার হলো: এক্সপো কি জিনিস তা আমি আগে জানতাম না। এখন বিস্তারীত বুঝলাম। ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে Expo2020 ডুবাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনা আসে।
সুন্দর বর্ণনাময় পোষ্টির জন্য শুকরিয়া।
আপনার পোষ্টটি পড়ে ডুবাই এক্সপো সম্পর্কে কিছু সূখ-দুঃখ লিখার ইচ্ছা হল। এখানে দেখতে পারেনঃ
ক্লিক
আমার ঠিক মনে নেই আমন্ত্রন জানিয়েছিলাম কি না! তবে গতকাল কাউকে পাঠাই নি! কোনো এক শুভাকাংখী ভাই-বোন পাঠিয়েছিলেন!
এক্সপো সম্পর্কে আমার ধারণা ছিলো না, আমি মোটামোটি সময় দিয়েই তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি! অনেক আনন্দ পেয়েছি নিঃসন্দেহে !
সময় করে পড়ে নিবো ইনশা আল্লাহ!
শুকরিয়া আপনাকেও! জাযাকাল্লাহ খাইর!
অনুভূতি প্রকাশের জন্য শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহ খাইর!
শুভেচ্ছা নিরন্তর! জাযকাল্লাহ খাইর!
আপু উপরে কিছু ইনফর্মেশনাল ভুল আছে, আশা করি একটু এডিটিং করে দিবেন। যেমনঃ ১৮৫১ সালের প্রথমবারের অধিবেশনের পর দীর্ঘ বিরতি নেয়া হয়েছিলো । আন্তর্জাতিক বিশ্বের স্থিতিশীলতার অভাব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল উল্লেখযোগ্য কারণ।
১৮৭৬ সালে প্রথমবারের মতোন আমেরিকার ফিলাডেলিয়ায় অনুস্ঠিত হয় Expo।
একটি প্রশ্নঃ ২০১০ সালে চীনে ৭৩ মিলিয়ন এমন কি ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে ৩২ মিলিয়ন,১৯৭০ সালে জাপানে ৬৪ মিলিয়ন দর্শনার্থী হলেও এই যুগে এসে ইতালির টার্গেট মাত্র ২০ মিলিয়ন কেন ??
## আচ্ছা বাংলাদেশের প্যভিলিয়নে কিছু ডক্টরেট ডিগ্রী এবং লাশ রাখলে কেমন হয় !! আমাদের দেশের আরাবিয়ান হর্সেরও তো ১৫ -১৬ টা ডিগ্রী আছে ।
প্রথমেই শুকরিয়া জানাই কারণ আপনি গভীরভাবে বিষয়টি পড়েছেন।
১৮৫১ সালেই প্রথমবারের মতো পুরো ওয়ার্ল্ডে এক্সপো হয় এবং সেটা হয় ইংল্যান্ডে । এক্সপো ইতিহাস বলে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত এক্সপো নিয়মিত ধারায় হয় , পরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অনেক টা সময় স্থগিত থাকে! এমনকি ১৯৪২ সালে এক্সপো খোদ রোমেই হওয়ার কথা ছিলো !
আমেরিকা প্রথমবার স্পন্সর পায় ১৮৭৬ সালে! এর আগে আমেরিকায় এক্সপো হয় নি! বর্তমান ২০১৫ এক্সপো হলো ৩৪তম এক্সপো!( অনেক গ্যাপ খেয়াল করেছেন?)
সহজ উত্তর হলো চীন বা জাপান এমনিতেই সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। এশিয়া উপমহাদেশের এই দেশ গুলোতে ভিসা প্রসেসিং অনেক সহজ, তাই সহজেই যে কেউ প্রবেশ করতে পারে, তুলনামূলক ভাবে ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান উপমহাদেশগুলোতে প্রবেশ কিছুটা জটিল!
যেমন ইতালিতে শুধু তারাই এসেছে যাদের ভিসা প্রেসেসিং এর ঝামেলা নেই, বেশির ভাগ আশে-পাশের বা ইতালিয়ান! আমাদের এশিয়ান দেশ হতে কিন্তু ভিজিটর আসে নাই বললেই চলে!
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যানে এক্সপো ১৬ মিলিয়ন ভিজিটর পেয়েছে। অক্টোবরের পরিসংখ্যান এখনো আসেনি!
আপনার আইডিয়া খারাপ না, অন্তত বিশ্ববাসী জানতো সোনার বাংলাদেশ কিরকম সোনার ডিম পারছে!
জানিনা আপনার কৌতূহল নিবারণ করতে সক্ষম হয়েছি কিনা! তবু শুকরিয়া জানবেন!
শুভকামনা নিরন্তর!
দুবাই এক্সপোর জন্য আরব-আমিরাত সরকার বাংলাদেশের ভোট ছেয়েছিল, আমাদের সরকার ভারতের পরামর্শে দুবাইকে ভোট না দিয়ে রাশিয়া কে ভোট দিয়েছে, যদিও ভারত নিজেও দুবাইকে ভোট দিয়েছে ! দুবাই এক্সপোকে ভোট না দেওয়ার কারনে হাজার হাজার শ্রমিকের চাহিদা থাকা সত্তেও বাংলাদেশের ভিসা অফ হয়ে আছে। যদি বাংলাদেশ দুবাই এক্সপোকে ভোট টা দিত তাহলে আমরা অনেক সুবিদা পাইতাম।
এক্সপোকে নিয়ে আপনার লিখাটা সত্যিই অসাধারন হয়েছে।
আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সরকার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে! আর এর মাশুল গুনতে হচ্ছে আপামর জনসাধারণদের!
াপনাকে শুকরিয়া শত ব্যস্ততার মাঝেও পড়া ও মন্তব্য করার জন্য!
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য
অনেক দিন পর আসলেন! পড়া ও মন্তব্য করার জন্য শুকরিয়া আপনাকে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন