সেরা দশ ইসলামিক আর্কিটেকচার -স্থাপনা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৩৫:২২ রাত
10. Sultan Amir Ahmad Bathhouse, Kashan, Iran -
১৬তম শতাব্দীতে নির্মিত যা আজো হাজারো পর্যটকের মন কেড়ে নেয়!
বিষ্ময়কর এবং মনোমুগ্ধকর এই স্থাপত্য স্থানটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান। ভ্রমন করার জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে এটি সারা বছর উন্মুক্ত থাকে!
9. Chefchaouen, Morocco -
মরক্কোর এই স্থানটি ১৫তম শতাব্দীর সৃস্টি। সম্পূর্ন গ্রামটি রিফ পর্বতমালা দিয়ে পরিবেস্টিত। এর রয়েছে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সুখ্যাতি। পর্যটকদের সবচাইতে দৃষ্টি আকর্ষন করে এর নীলাভ সৌন্দর্য এবং স্থানীয় বাজারের হস্তশিল্প ও মজার রান্নাসামগ্রী!!
8. Montaza Palace, Alexandria, Egypt -
১৯৩২ সালে নির্মিত এই প্যালেসটি ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত কিং ফুয়াদ এর জন্য একটি গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছিলো! প্রাসাদ এর আর্কিটেকচারে ব্যবহার করা হয়েছে তুর্কি ও ফ্লোরেনটাইনের সম্মিলিত শৈলী কর্ম! প্রাসাদটি সকল দর্শকদের জন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্মুক্ত রাখা হয়!
7. Burj Al Arab, Dubai, United Arab Emirates -
বিশ্বের বিলাসবহুল একমাত্র সাত তারা হোটেল বলে দাবিদার এই বুর্জ আল আরব যার স্থাপত্য দেখে বিষ্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। এর ভিতর ও বাহিরের সৌন্দর্য দেখে দর্শকরা হোন বিমোহিত।
6. Jameh Mosque of Isfahān, Isfahān, Iran - পারস্য স্থাপনার এক অনুপম সৃষ্টি এই মসজিদটি। যার স্তাহনা চলমান থাকে ৭ম শতাব্দী থেকে ২০তম শতাব্দী পর্যন্ত! পারসিয়ান স্থাপনার মাস্টারপিস বলে খ্যাত এই মসজিদটি দেশের প্রাচীনতম স্থাপনা বলে উল্লেখ করা হয়!
5. Hassan II Mosque, Casablanca, Morocco -
আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই মসজিদটি আফ্রিকার বৃহত্তম মসজিদ বলে খ্যাত । এর উচ্চতা ২১০ মিটার ( ৬৮৯ ফুট ) ।এতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মিনার । ১৯৯৩ সালে এর স্থাপনাকর্ম সমাপ্ত হয়েছে। সমস্ত মসজিদটি মার্বেল টাইলসে পরিপূর্ণ যার মেঝে বা ফ্লোর কাচের তৈরি যা দিয়ে সমস্ত কিছু দৃশ্যমান।
4. The Alhambra, Andalusia, Spain-
অত্যাশ্চর্য প্রাসাদ ও দুর্গটি স্পেন এর মুসলিম শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল । এর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য প্রত্যেক পর্যটককে আজো আকুল করে । এতে রয়েছে মনোমুগ্ধকর বাগান, ঝরনা, স্ট্রিম! মুসলিম বিশ্বের এক বিস্ময়কর শিল্পস্থাপনা এটি।
3. Nasir Al-Mulk Mosque, Shiraz, Iran-
১৮৮৮ সালে নির্মিত একে একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । অত্যাশ্চার্য রঙ্গিন গ্লাসের অলঙ্কার সমৃদ্ধ এই মসজিদটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। সকালের সূর্যের আলো যখন এই রংগিন পাথরগুলোর উপর পড়ে তখন সমস্ত মসজিদটি এক অভূত সৌন্দর্যের বিকিরণে হয়ে ওঠে আলোকময়!
2. Selimiye Mosque, Edirne, Turkey-
১৬তম শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদটিকে ইসলামী স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একটি বিখ্যাত অটোমান মসজিদ যার স্পষ্ট নকশা , উপাদান এবং শৈলী আজ পর্যন্ত বিশ্বে সকল প্রকার পর্যটকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। মসজিদের ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
1. Sheikh Zayed Grand Mosque, Abu Dhabi, UAE
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত ।মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে আরব আমিরাত এর প্রয়াত রাষ্ট্র প্রধান শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহইয়ানের নামানুসারে।শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, আরব-আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এমনকি এ মসজিদ পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম ও সুন্দরতম। ৩৮ টি প্রখ্যাত ঠিকাদারি কোম্পানির ৩০০০ হাজার দক্ষ কর্মী ইতালি, জার্মানি, মরক্কো, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরান, চীন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অনেক দেশের কাঁচামালে নির্মাণ করেন এই মসজিদ। শেখ জায়েদ মসজিদের নকশায় পাকিস্থান, ভারত ও মরক্কের প্রভাব স্পষ্ট। সরকারী কোষাগার থেকে নির্মিত এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হয়েছে $৫৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাড়া বিশ্বের পর্যটকদের কাছেও এই মসজিদ অন্যতম জনপ্রিয় একটি জায়গা।
আরবের ২০০ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিল্পচর্চার নমুনা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে মার্বেল পাথর, সোনা, আধা মূল্যবান পাথর, স্ফটিক ও মৃৎশিল্পের বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার করে। সংযুক্ত আর আমিরাতের মোহাম্মদ মান্দি আল তামামি , সিরিয়ার ফারুক হাদ্দাদ এবং জর্দানের মোহাম্মদ আলাম এর ক্যালিওগ্রাফি ও নকশা চোখে পরে মসজিদের সর্বত্র। ডিজাইন ও নির্মাণে ইতালি, জার্মানি, মরক্কো, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইরান, চীন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সংযুক্ত আরব সহ অনেক দেশ থেকে কারীগর ও উপকারণ ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে আছে ছোট-বড় সাত আকারের ৮২টি গম্বুজ। যা নির্মাণ করা হয়েছে স্বেত মার্বেল দিয়ে। মসজিদের বৃহত্তম গম্বুজের উচ্চতা ২৭৯ ফুট।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ অনেক বিশেষ এবং অনন্য উপাদান আছে: প্রধান প্রার্থনা কক্ষে ইরানের কার্পেট কোম্পানি তৈরি যা ইরানী শিল্পী আলী খালিদির ডিজাইনে বিশ্বের বৃহত্তম গালিচা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গালিচা ৬০৫৭০ বর্গ ফুট এবং এই কার্পেট এর ওজন ৩৫ টন। নিউজিল্যান্ড এবং ইরানের উল থেকে তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল।
স্ফটিক সচ্ছ লক্ষ লক্ষ পাথরের তৈরি পৃথিবীর বৃহত্তম ঝাড়বাতিটি এই মসজিদে। জার্মানির তৈরি ঝাড়বাতিটির ব্যাস ১০ মিটার (৩৩ ফুট) এবং উচ্চতা ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) দ্বিতীয়, তৃতীয় বৃহত্তম ঝাড়বাতি ও এই মসজদেরই শ্রী বাড়াচ্ছে। মসজিদটির আঙিনা ১৭ হাজার বর্গমিটার মার্বেল মোজাইকের। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আয়তনের মার্বেল মোজাইক। প্রধান হলের ধারন ক্ষমতা ৭০০০। সাথেই রয়েছে ২টি প্রার্থনা হল এক একটি ১৫০০ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। যার ১ টি মহিলাদের জন্য। প্রতিটির সঙ্গে দুটি ছোট প্রার্থনা হল ও আছে। প্রার্থনা হল ও আঙ্গিনা মিলিয়ে ৪০,০০০ মানুষ নামাজ পড়তে পারে। জুম্মা ও ঈদে সর্বমোট দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও এই মসজিদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। আধুনিক ও ইসলামী বইয়ের এক অনন্য সংগ্রহশালা রয়েছে মসজিদ লাইব্রেরীতে। ইসলামী বিশ্বের বৈচিত্র্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে সংগ্রহ করা হয়েছে আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, ইতালীয়, স্পেনীয়, জার্মান ও কোরীয় সহ বিভিন্ন ভাষার বই।
এই হলো সেরা দশটি স্থাপনা শিল্প যা মুসলিম বিশ্বের জন্য অত্যন্ত স্মরণীয় এবং মূল্যবান স্থাপনা। (ছবি ও তথ্য কৃতজ্ঞতা -গুগল)
উপরোল্লিখিত স্থাপনাগুলো মুসলিম স্থাপনা হিসেবে আজো সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়ায়। যারা এই নির্মান কাজে নিয়োজিত ছিলেন , যারা উনাদের অক্লান্ত মেধা এবং মেহনতের ফলশ্রুতিতে এতো সুন্দর শৈলীকর্মের সমাপ্তি টেনেছেন প্রত্যেকেই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য! মুসলিম বিশ্বের জন্য উনারা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন!
পরক্ষণেই যে প্রশ্নটা আমাকে আহত করে সেটা হলো প্রতিটা স্থাপনা- মসজিদগুলো এতো কারুকার্যময়- এতো বিলাসিতা পূর্ণ যা দেখে অজান্তেই মনের কোণে বিরহের সুর বেজে উঠে! আজ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হওয়া সত্বেও, পৃথিবীর মানচিত্রে ৫৭ টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাকা সত্বেও আজা আমরা মুসলিমরাই সবচাইতে বেশি নির্যাতিতো, অবহেলিত এবং নিষ্পেষিত!
মসজিদ তো ইবাদতের প্রাণকেন্দ্র। এখানে ধনী-গরিব-ফকির-বাদশাহ সকল মুসলিম এক কাতারে এসে দাঁড়ায়। এক প্রভুর ইবাদাত করে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করে, এক কোরআন শরীফের আয়াত সমূহ তিলাওয়াত করে। যে মসজিদ এতোটা নিকটে এনে দেয়, কাছাকাছি এনে দেয়, জামাতবদ্ধ হতে শিখায় নামায শেষ করে তারপর কেনো আর আমরা এক কাতারভুক্ত থাকতে পারি না? লক্ষ লক্ষ মসজিদ থাকার পরেও আজ আমরা মুসলিম জীবনের সবচাইটে বড় দায়িত্বটি পালন করতে পারি না?
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৭ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে আজকের পোস্ট এর অবতারণা একেবারে বিনা নোটিশে! মেয়ের সাথে মুসলিমবিশ্বের আর্কিটেকচার নিয়ে কথা হচ্ছিলো সেই সুত্রে ইন্টারনেট ঘেটে তথ্য দেখতে গিয়ে এই পোস্টের জন্ম! আমাদের জানার পাশাপাশি ভাবলাম সব ভাই -বোনদের সাথেও একটু শেয়ার করি!
যে আযানের সুরে সকল মুসলিম কাতারবন্দী হয়ে পাঁচবার ঈমানের সাক্ষ্য দেয় সেই মুসলিমদের অন্তর কাতারবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মসজিদ থেকে বেড়োবার সাথে সাথেই! কত দুঃখজনক একটি ব্যাপার! আমরা কেনো জানি আযান, নামায,কাতারবন্দী , জামাতবদ্ধ থাকার হক ই আদায় করতে পারছি না!
জাযাকাল্লাহু খাইর শ্রদ্ধেয় ভাই!
আমাদের মাঝে জদি ১০০ জন থাকে তাহলে ১০০ টি বক্র হৃদয় নিয়ে আমরা চলাফেরা করি। কেননা আল্লাহর রসুল (সা) আমার পীর সাহেব তিনি অহী ছাড়া কোন কথা বলেন না।
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
আপনি তো অনেক ভাগ্যবান, সেরা দশের দুইটিকে দেখে ফেলেছেন!
আজকে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনরা যেখানে অনাহারে দিনাতিপাত করে সেখানে ইবাদত গৃহের নামে এতো চোখ ধাঁধানো স্থাপনা আসলেই অপচয় মনে হয়!
আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে পরিচালনা করুণ!
জাযাকাল্লাহু খাইর
আসলে আজকের পোস্ট এর অবতারণা একেবারে বিনা নোটিশে! মেয়ের সাথে মুসলিমবিশ্বের আর্কিটেকচার নিয়ে কথা হচ্ছিলো সেই সুত্রে ইন্টারনেট ঘেটে তথ্য দেখতে গিয়ে এই পোস্টের জন্ম! আমাদের জানার পাশাপাশি ভাবলাম সব ভাই -বোনদের সাথেও একটু শেয়ার করি!
খুব ভালো লাগছে আপনাদের সতেজ অনুভূতি জানতে পেরে! বারাকাল্লাহু ফিক!
শুকরান মুহতারামা।
বিশ্বের সেরা দশটি শহরের মাঝে অনেকেই ফ্রান্সের প্যারিস কে রেখেছেন! আশাকরি আপনি আমাদের প্যরিসের স্বপ্নময়জগত থেকে ভার্চুয়ালী ঘুরিয়ে আনবেন!
শুকরিয়া আপনাকে!
আসলে তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। সূরা আল-আলা: ১৬-১৭
নামাজের বাইরের জীবনে যখন নামাজের ভিতরের মত আনুগত্যপরায়ন হতে পারবে ইনশা’আল্লাহ এই সমাজ কল্যান লাভ করবে।
অনেক অনেক অত্যাধুনিক মসজিদ আছে কিন্তু অনুগত মুসল্লীর বড় অভাব! নামাযের শিক্ষা এখনো যে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না!
শুকরিয়া আপুনি!
আমি যখন মসজিদটির ছবি দেখছিলাম তখন এই ছবিগুলো এসেছিলো কিন্তু ভেবেছিআলম কেউ হয়তো শত্রুতাবশত এডিট করে দিয়েছে! মহিলাটিকে আমি চিনতাম না! এখন বুঝতে পারাম এবং দুঃখিত হলাম ।
মসজিদের সিকিউরিটিদের উচিত মসজিদের ভাবমূর্তি ক্ষয় এমন কাউকে ঢুকতে না দেয়া! শুকরিয়া!
মাসজিদে মুসল্লী না আসলেও সেটা জাক জমকপূর্ণ হবে
আমার পীর বলেছেন এগুলো কিয়ামতের লক্ষন। অনেক কিছুই দেখলাম ও বুঝলাম।
আমার পীর সাহেবের এরকম একটা বড় বিল্ডিং দরকার। তিনি কিনতে চান। টাকা সব মুরীদরাই দিবে। কেউ বিক্রি করলে আমাকে জানাবেন।
আপনি ঠিক বলেছেন। কিয়ামতের লক্ষন তো প্রকাশ পাচ্ছেই অহরহ!
আল্লাহ আমাদের পীরপূজা থেকে হিফাজত করেছেন!
শুকরিয়া!
পুরাতন মসজিদ গুলির কারুকার্য কিন্তু প্রয়োজনিয় ছিল প্রধানত আবহাওয়ার জন্য। এটা সত্যি যে এখন হাদিসের সেই মসজিদ যা খুব সুন্দর হবে কিন্তু তাকওয়া বিহিন হবে সেই রকম নির্মান বেরে গেছে। আমার বাসার সামনেই এমন একটা মসজিদ আছে। তবে অনেকেই এই মসজিদগুলিকে অপচয় মনে করেন সেটা সর্বক্ষেত্রে ঠিক নয়।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া
স্থাপনা সুন্দর, কিন্তু কর্মপন্থা সুন্দর নয়। শেখ যায়েদ মসজিদে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। মূল মসজিদটা শুধু জুমআর নামাজের জন্য খোলা হয়, এবং প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১২টা ও বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য খোলা হয়। দৈনন্দিন নামাযের জন্য বারান্দায় ব্যবস্থা।
আসলে এটাকে আমার কাছে চিড়িয়াখানা মনে হয়। যাস্ট পশ্চিমা উলঙ্গ নারীরা মসজিদের গেট সংলগ্ন রুম থেকে একটি কালো আবায়া পরে নিলেই হয়।
পর্যটকদের মাঝে পশ্চিমারাই বেশি। ইহুদি খৃষ্টান ও অগ্নিপূজকরা প্রতিদিন ভিজিটের জন্য প্রবেশের অনুমতি পেলেও মুসলিমরা নামাযের জন্য শুধুমাত্র জুমআর দিনই অনুমতি পায়।
গত কয়েকদিন আগে মুর্তিপূজক ও মুসলিমঘাতক নরপশু মোদি সেই মসজিদ ভিজিট করে যায় ও আরব ভূমিতে মূর্তি স্থাপনের অনুমতিও পায়।
মুসলিম শাসকদের এমন অবহেলায় মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট লাগে। মুসলিমদের অধঃপতন নিজেদেরই হাতের কামাই।
শুকরিয়া। (মা-বেটি)
আপনার বিস্তারিত মন্তব্য থেকে অনেক তথ্য জানতে পারলাম! মসজিদ কে মিউজিয়াম বানিয়ে রাখা হয়েছে এক কথায়! খুব কষ্টকর বিষয়!
আন্তরিক উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া আপনাকেও।
প্রথমে আপনার সাথে আগে একটু অভিমান করে নেই! এত্তোদিনে মনে পড়লো? হুহুহু
আপনারতো অনেক সৌভাগ্য সেরা দশের প্রায় দুইটা দেখেছেন! আমরা স্ক্রীনে দেখে সাধ মেটাচ্ছি!
সারা আর্কিটেক্ট হতে চায় , অবসর পেলেই আমরা দুজনে মিলে দেখি । ওর খুবি পছন্দ হয়েছে! বলছিলো সেরা এই দশ জায়গাতে জীবনে একবার হলেো যেনো যেতে পারে!
আপু আপনারা ভালো আছেন তো? অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন! আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুন।
২. একদিন আমার ক্যালিগ্রাফিও যাবে...! দেইখা নিয়েন...
৩. সবগুলাতেই যাইতে মুঞ্চায়... তয় মরার আগে না পারলে ও মরার পর পারবো মনে কয়...
৪. প্রিয়তে...
আপনার বাড়ির আমনের রাস্তাও তাহলে আগামীতে টপ টেনে চলে আসবে
আপনার করা ক্যালিওগ্রাফি অনেক চমৎকার! অধ্যাবসায় নিয়ে শুরু করেন অবশ্যই কাংখিত মন্জিলে পৌঁছবেন ইনশা আল্লাহ!
প্রিয়তে রাখার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! বহুদিন পর ব্লগ পাড়ায় আসার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম। শুভকামনা রইলো
মাশা'আল্লাহ! কয়েকটা মুসলিম স্থাপত্য সম্পর্কে নতুন করে জানা হল।
অনেক ধন্যবাদ।
খুব আনন্দিত হলাম আপনার আগমনে! অনেক অনেক শুকরিয়া!
হাতুড়ি ফুল-পছন্দ পাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন