সফরের পূর্ব কথা...
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৫২:০৩ রাত
ডমেস্টিক ফ্লাইটে উঠার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। অনুসন্ধিৎসু নয়নে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে যা খুঁজছিলাম তার সাথে কোনো মিল পাচ্ছিলাম না। টিকিট চেকিং এর পর লাগেজ গুলো একপাশে রেখে দিলো স্টাফরা। বেল্ট চোখে পড়েনি, ভাবছিলাম লাগেজগুলো যাবে কিভাবে প্লেন বরাবর?
লাউন্জে এসে বসলাম। মনিটর খুঁজছিলাম যেখানে ফ্লাইট আর গেইট নাম্বার দেখবো। ভিতরে কোথাও মনিটর নেই। চিন্তা হচ্ছিলো আমাদের ফ্লাইটের সময়টা বুঝবো কিভাবে? অদ্ভুত কান্ড দেখলাম। একজন লোক কিছুক্ষণ পর পর ডাকছে চট্রগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ......
জার্নিতে মানুষ খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকে। আত্নীয়স্বজনের ফোন আসতে থাকে, লাগেজ-ব্যাগেজ সমালানোর ঝামেলা থাকে, বাচ্চাদের টেক কেয়ার করা লাগে এই সময়ের মধ্যে যে পাশ দিয়ে বলে যাচ্ছে চট্রগ্রাম....... শুনতে মিস হয়ে যাওয়া খুব কঠিন কিছু না। অথচ খুব সহজেই কতৃপক্ষ মাইকের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে হয়রানী,ভোগান্তি, পেরাশানী কম হতো যাত্রীদের ।
নভো এয়ার এ করে যাচ্ছি । খুব সংকীর্ন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়েছে। গেটে দাঁড়ানো এয়ার হোস্টেস সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছেন। আমার সামনে যিনি ছিলেন উনাকে গুডইভিনিং বললেন। ভালোভাবে দাঁড়িয়ে নেম প্লেট দেখলাম মেয়েটি মুসলিম। সুযোগ হাতছাড়া না করে সালাম দিলাম। কিছুটা অবাক হলেও সেটা মেয়েটি গোপন করলো তবে সুন্দর করেই জবাব দিলো!
শুরুতেই পাইলটের ভূমিকা বক্তব্য। খুব ভালো লাগলো যখন মাইকে সফরের দোআ পড়ে শোনানো হলো! এর আগেরবার ট্রেনে যখন চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম তখনো দোআ পড়া শুনেছিলাম।
প্লেনে উঠার সময় খেয়াল করেছিলাম বেশিরভাগ প্যাসেন্জার টুরিস্ট । একটি পরিবার বসেছে আমাদের ঠিক পিছনের সিটে। শোনা যাচ্ছিলো স্ত্রী বেজায় অসন্তুষ্ট কেনো স্বামী বেচারা তাকে প্লেনে করে কক্সবাজার নিচ্ছেন? খুব সম্ভবত মহিলাটির এটাই প্রথম প্লেন সফর।
প্লেনে উঠার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো। প্লেন যখন আকাশমুখী উড্ডয়ন করলো দেখলাম কালো কালো মেঘে ছেয়ে আছে উপরের আকাশ! ভালো মতোন বৃষ্টি নামবে বোঝা যাচ্ছিলো।
আমার সাথে আমার মায়ের এটা প্রথম প্লেন সফর। মা হজ্বে গিয়েছিলেন ৯০ সালে । তারপর আবার উমরাহ করলেন ২০১৩ তে। মাঝে একবার কক্সবাজারে ছেলের কাছে প্লেনে করে ঘুরে এসেছেন। তাই মাকে নিয়ে কোনো ভয় ছিলো না। কিন্তু খুব খুব ভালো লাগছিলো মাকে নিয়ে সফর করতে পারছি এটা ভেবে। মায়ের কাঁধে মাথা রেখে, হাতে হাত রেখে পরমানন্দে আমাদের সফর শুরু হলো!
যাই হোক প্লেন ধীরে ধীরে উপরে উঠতে লাগলো, আর পিছনের মহিলার চিৎকারো বাড়তে লাগলো! একপর্যায়ে সে স্বামীকে বলতে লাগলো , বাসেই যাইতাম রাতে উঠতাম ঘুমে ঘুমে সকালে আইসা নামতাম। উনার নাকি ভয়ে কলিজা ফেটে যাচ্ছে! ভদ্রলোকের খুব ধৈর্য উনি স্বান্তনা দেয়া ছাড়া আর কিছুই বলছিলেন না স্ত্রীকে!
মা,সিটে রাখা নিয়ামবলী নিয়ে পড়ছিলেন । আম্মার ভীশন মনোযোগ দেখে আমিও একটু তাকালাম। কিছুটা বুঝিয়ে বললাম! মা আরো কিছুক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে বললেন, এটা বাসায় নিয়ে যাই। শুনে আমার তো আক্কেল গুড়ুম! বলে কি মা! জিজ্ঞেস করলাম কেনো? মা বললেন, মাঝে মাঝেই তো প্লেনে উঠতে হয়, প্লেনে বসে ভালোমতো এই নিয়ম বোঝা বা মনে রাখা যায় না। বাসায় নিয়ে গেলে ভালো মতোন পড়ে প্রয়োজনে কপি করে রাখ যাবে। আর যদি কোনোদিন কিছু ঘটে তবে এই বিদ্যা..................।!
আমি আম্মাকে বললাম, টেনশনের কিছু নেই! এই কাগজের মালিক প্লেন কতৃপক্ষ। প্লেন ঠিকভাবে চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ন উনাদের আর আমাদের দায়িত্ব হলো ঠিকভাবে দোআ পড়ে বসা , আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। এরচাইতে বেশি আর কিছু করা লাগবে না! আম্মার আমার কথা পছন্দ না হলেও আর কিছু বলেন নি!
এটা খুবই সত্য যে প্লেন যখন ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠে বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে। ভয় লাগে যে এই যন্ত্রপাখিটা কি ঠিক ঠিকভাবে পারবে উড়াল দিতে? হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পারবে কি তাঁর গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে?
আমরা যারা মুসলিম আমাদের প্রতিটা কাজে ইসলামী আদব অনুযায়ী কিছু সুন্নাহ আছে,করণীয় এবং পঠিত দোআ আছে ।যা প্রতিটি মুসলিম তা আমল করার পর অনেক সাহস যোগায়। পরম করুনা ময়ের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও ভালোবাসা শিখায়!
যখন কেউ সফরে শুরুতেই ঘর থেকে বের হওয়ার দোআ পড়ে নেয়, বিসমিল্লাহ বলে বাহনে পা রাখে, বাহন চলা শুরু করলে সফরের দোআ পড়ে , উপরে উঠার সময় আল্লাহু আকবর , নিচে নামার সময় সুবহানাল্লাহ পড়ে তখন ব্যক্তিটি যেমন মানসিক সুস্থতা লাভ করে তেমনি তাঁর রবের সাথেও সম্পর্ক দৃঢ় ও মজবুত হয়।
সফর করা কষ্টকর আর তাই এতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা অতিরিক্ত কিছু লাভজনক বিষয়ের ঘোষনা দিয়েছেন আমাদের। যেমন সফরে দোআ কবুল হওয়া। অনেকেই সফরের লম্বা সময়টা দুকানে ফোন গুজে গান শুনতে শুনতে সময় পার করে দেন। তারা যে কতো দুর্ভাগ্যবান যদি একটু বুঝতো! গ্যারান্টেড দোআ কবুলের সময়টি গুনাহের সাক্ষী করে নিচ্ছেন। ঐ অবস্থায় যে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে উনার পক্ষে কি আদৌ সম্ভব হবে কালিমা পড়া অবস্থায় মৃত্যু বরন করতে?
আমরা মুসলিমরা খুব সৌভাগ্যবান। আমাদের প্রতিটি কাজের অতি উত্তম কিছু পন্থা আছে যা আমাদেরকে , আমাদের অতি প্রিয় ঈমানকে পুনঃ পুনঃ মজবুতী দান করে। যা অন্যদের নাই! আমরা মুসলিমরা সৌভাগ্যবান হওয়ার পরেও যদি আমলগুলো করা ছেড়ে দেই বা না জানি কি তবে আমাদের চাইতে আর হতাভাগা জাতি কোনটি হবে?
আর হ্যা, প্লেন যথাসময়ে ল্যান্ড করলো , সবাই ধীরে ধীরে নামছিলেন, আমরা হোস্টেস এর কাছে আসতেই এবার উনি আমাদের আগেই চমৎকার ভাবে সালাম দিলেন। আমরাও সুন্দরভাবে জবাব দিয়ে নেমে পড়লাম!
বাহনের দোআ-
سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ وَإِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ [الزخر
অর্থাৎ “যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।” সূরা যুখরুফ ১২-১৪ আয়াত)
বিষয়: বিবিধ
১৭৩০ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের সব কাজে উনার স্মরণ রাখার এবং সুন্নাহ অনুসারে চলার তৌফিক দান করুণ। আমীন।
জাযাকাল্লাহ খাইর। বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো।
আমরা একবার ইতালি থেকে সুইডেন গিয়েছিলাম মাত্র ২০ ইউরো দিয়ে। তবে এই ফ্লাইট গুলোতে তেমন সুবিধা থাকে না এমনকি খাবার পর্যন্ত কিনে খেতে হয়!
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া
জাযাকাল্লাহ খাইর। বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
জাযাকিল্লাহু খাইরাল জাযা-ই
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া! বারাকাল্লাহু ফিক।
বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
এসব বেসরকারি ডমেস্টিক প্লেনের সিট গুলো খুব কনজেস্টেড হয় । পা রাখা যায় না । আমার কাছে এর চেয়ে ঢাকার লক্কড় ঝক্কড় মার্কা লোকাল বাসের সিট আরও রিলাক্সেবল মনে হয়েছে ।
আর জানালার উল্টো দিকে বসলে ফ্লাইট ক্রুদের আসা যাওয়ার পথে তাদের সাথে অনিচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা লাগে যেটা এমবেরাসিং।
সময়ের অপচয় রক্ষা এবং জরূরী ব্যস্ততা না থাকলে আসলে মনে হয় না কেউ ডমেস্টিক ফ্লাইটে চড়েন। যেখানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে বাসে লাগে ১০-১২ ঘন্টা সেখানে আধাঘন্টায় চলে যাওয়া যায় ফ্লাইটে এটাই একমাত্র কারণ!
তবে পাইলটের স্কিল কম মনে হয়েছে কারণ প্লেন এমন ভাবে উপরে নিচে আপ-ডাউন করেছে খুবই বিরক্তিকর! ১০ ঘন্টা প্লেনে চড়ে িতালি থেকে বাংলাদেশ চলে গিয়েছি এরকম ফিল করিনি!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
আশাকরি যথাযথ এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নিবেন কতৃপক্ষ। পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
এবার কষে কি পুটির মায়ের জন্যে দোয়া করবেন?
এখন থেকে মূল্যবান সময়ের সঠিক ব্যবহার করবেন, বেশি বেশি দোআ করবেন এবং আমাদেরো শামিল রাখবেন।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
[img]http://www.bd-monitor.net/blog/bloggeruploadedimage/sadiiamuqueem/1442172491.jpg[/img
আসসালামুআলাইকুম ।
আশাকরি সময় করে একদিন সেই সব মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবেন!
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
কক্সবাজার কখন গিয়েছিলেন? এই বার!
ভাগিনা ভাগিনিদের নিয়ে যান নি বুঝি!
বিমানে কি কোন খাবার পরিবেশণ করেছিল?
বিচে কি গিয়েছিলেন? বিমানের টিকেট কত ছিল?
অনেক ধন্যবাদ আপি.
এবার বাংলাদেশ এসে গিয়েছিলাম। আমরা বাই মিলেই গিয়েছিলাম। হালকা স্ন্যাকস(স্যান্ডউইচ, ম্যাংগো বার, জুস-পানি)। বিচে যাওয়া হয়নি!জনপ্রতি ৪,৮০০ টাকা করে ছিলো ভাড়া ।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর! বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
কাবা শরীফ এর ছবিটি বিকৃত বলে মনে হয়েছে!!! ছবিটি প্রচার না করলে ভালো হবে বলে মনে করি।
ছছবিটিতে কাবা শরীফ এর মূল রং বদল হয়েছে এমন মনে হচ্ছে।
প্লেন যথাসময়ে ল্যান্ড করলো , সবাই ধীরে ধীরে নামছিলেন, আমরা হোস্টেস এর কাছে আসতেই এবার উনি আমাদের আগেই চমৎকার ভাবে সালাম দিলেন।
ঐ বেচারীর জন্য বেশী করে দোয়া করি-
কত সহজেই নিজেকে ইতিবাচক পরিবর্তনে নিতে পেরেছেন!!
আর আপনার পুরস্কার তো সীমাহীন-
ওটা যিনি দিবেন তিনিই ভালো জানেন!!
জাযাকিল্লাহ.....
দেশের বাইরে দেখেছি এখানকার মানুষরা এদের রীতি অনুযায়ী পরষ্পরকে খুব সুন্দরভাবে সম্ভোধন করে অথচ দুঃখের বিষয় আমাদের মুসলিমদের এতো চমৎকার সালামের বিধান থাকা সত্ত্বেও আমরা একে অবহেলা করি!
চারিপাশের নেতিবাচকতার ঘূর্ণনে কাউকে ইতিবাচক দেখলে আসলেই মনটা খুব আনন্দিতো হয় ।তারচেয়ে বড় কথা আপনার সূক্ষ দূরদৃষ্টি এই বিষয়টা হাইলাইট এবং উনার জন্য দোআ কামনা করেছেন- আল্লাহ আপনার সর্বাংগীন কল্যান করুণ!
বারাকাল্লাহ ফিক।পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়া লি ওয়ালিদাইনা ওয়া লি আবা-য়িনা ওয়া উম্মাহাতিনা ওয়া আছীরাতিনা ওয়া ওয়াল মুজাহিদীনা ফী কুল্লি মাকানি ওয়াল ইখওয়ানিনাললাজীনা সাবাক্বুনা বিল ঈমানি ওয়া লি জামিয়িল মু'মিনীনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল আহইয়া-য়ি মিনহুম ওয়াল আমওয়াত, ইন্নাকা সামিউম মুজীবুদ দা'ওয়াত, বি রহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন!! আমীন
আপনারর নিশ্চয় আনন্দে বুকটা ভরে উঠেছিল এবং সালামের জবাবটা দিয়েছিলেন হাসিমুখে!
সুন্দর আমলী ও তরবিয়তী পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
নতুন অতিথি নিয়ে ঈদের অভিজ্ঞতা লিখবেন আশাকরি!
আসসালামু আলাইকুম । তারপরেও সুবিধাটুকু পাওয়া যাচ্ছে এতেই শুকরিয়া করছি, আশাকরি ধীরে ধীরে আরো উন্নত হবে পরিস্থিতি!ড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
জাজাকিল্লাহু খায়র।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
খুবই ভালো লাগলো
ভ্রমনের অভিজ্ঞা গল্পে দিয়ে বুঝিয়েছেন।
জাযাকাল্লাহ,
ভাল লাগল। আপু যে আপনি লোকাল প্লেনের সুযোগ পাচ্ছেন তাই তো অনেক.......!!!
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো! ওয়া ইয়্যাকি
এত মানুষের সাথে তাকে ট্রেনে করে নিয়ে যাচ্ছি কেন সেটাই ছিল তার ক্ষোভের আসল কারণ।
আমার নানা তাকে সব সময় নৌকায় করে পর্দার সাথে তার মেয়েদের বাড়িতে নিয়ে যেত।
সেটাই ছিল আমার নানুর জীবনে প্রথম রেল ভ্রমণ।
তিনি এখন নাই তার জন্য দুয়া করি আল্লাহ যেন তার সরলতার কারণে তাদেরকে মাফ করে দেন।
আমারো কিছুটা সমস্যা হয়েছে, আম্মা ডানে, বামে যেদিকে তাকিয়ে বেপর্দা মহিলা দেখেন আর আস্তাগফিরুল্লাহ পড়েন! ভয়ে ছিলাম আবার না উনাদের গিয়ে নসীহত করা শুরু করে দেন
অনেক অনেক দোআ রিলো আপনাদের সবার জন্য!
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো!
আমরা মৃত্যুর পথ যাএী। যে কোন সময় জীবটা
শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই অল হয়েছ রেডি হওয়াই বাঞ্চনীয়। আল্লাহের কাছ থেকে এসেছি,
তার কাছে ফিরে যাব। তাই দোয়া পাঠ করা
উত্তম। বাহনের দোআ-
سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ وَإِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ [الزخر
অর্থাৎ “যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।” সূরা যুখরুফ ১২-১৪ আয়াত)
আমরা চূড়ান্ত পরিণতির কথা মনে রেখে সব কাজ করলে জীবনটা অনেকবেশি অর্থবহ হতো!
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশদিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো!
আমাদের যদি দুটা ডানা থাকত তবে আর এই ভয় করতো না। তবে তাও ভাল আপনি যখন প্লেনে উঠেন তখন আপনার বুক ধড়পড় করে আমি তো নৌকায় উঠলেই আমার জান চলে না
আমি একটু মোটা তাজা বলে পানি আমাকে ভাসিয়ে রাখতে পারে না
পানিযান আর তেলযান যাই হোক সর্বদা দোআ থাকুক স্মরণে
নৌকায় আমরো ভয় লাগে, সবকিছুতেই ভয় আমার , এবার রিক্সায় উঠেও ভয় পেয়েছি
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো!
আর হ্যাঁ পোস্টের শেষের ছবিঅলা স্টিকার আর মন্তব্যের ঘরে দশদিনের ফজিলতঅলা স্টিকার দু'টাও আপনার পোস্টটিকে করেছে আরো উন্নত এবং শক্তিশালী। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আমাদেরকে সবসময় দোয়ায় স্মরণ রাখবেন কিন্তু। ভাইকে সালাম ও ছোট্টমনিদের জন্য অনেক অনেক দুয়া।
খুব সাধারণ কিছু কথা দিয়ে পোসৎ লিখেছিলাম, স্টিকি হতে পারে বিন্দু মাত্র আশা ছিলো না তারপরেও শুকরিয়া!
সালাম ও আদর যথাস্থানে পৌছে দিয়েছি, কম্পিউটারের অসুখ হয়েছে, ছবি আপলোড হচ্ছে না
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিনের দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন