"কিচির মিচির গুঞ্জরন"
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৩১:৪৪ রাত
সেদিন খুব সকালেই তৈরি হয়ে নিয়েছিলাম।মনের আকাশ জুড়ে সূক্ষ অস্থিরতা কাজ করছিলো পাশাপাশি আনন্দ ও হচ্ছিলো খুব! প্রত্যশার আকাংখিত সূর্যটা অবশেষে উদিত হয়েছে যার আলোকচ্ছটা রাংগিয়ে দিচ্ছিলো হৃদয় - মন সবকিছুকে...
কলোনীর মূল গেট পেরিয়ে এসেছি, বাজার ছাড়িয়ে গাড়ি সামনের দিকে ছুটে চলছে। যতটুকু মনে পড়ে রাস্তার দুপাশে ধানী জমিনে পরিপূর্ন ছিলো একসময়। আজ প্রায় সব জায়গা ভরাট হয়ে গেছে। আধুনিক সভ্যতার নগরায়নের প্রভূত চিহ্ন চারিপাশে।
বেশ কিছু দূর এগিয়ে আসতেই মনটা সত্যি অভিভূত হলো! পিচঢালা পথের দু ধারে প্রশস্থ বিল, যেখানে কচুরি পানা আর লাল-সাদা শাপলা প্রষ্ফুটিত! ডিংগি নৌকায় করে কৃষকেরা শাপলা তুলছেন আবার কেউ টোপ ফেলে মাছ ধরছেন! কী ধীর স্হির উনারা, যান্ত্রিকতা নেই ,নেই কোনো তাড়া ! পরম মমতায় নিশ্চিন্তে কাজ করে চলেছেন প্রত্যেকে !
বর্ষাকালের বাংলার আকাশে নেই নীলের ছড়াছড়ি । গুমোট বাঁধা ধূষর কালো আকাশে চুপচাপ বসতি গেড়েছে মেঘেরা। মন ভার করে থাকা আকাশে সূর্যের দেখা মিলা ভার! মাঝে মাঝে ক্ষনিকের তরে কিছুটা রোশনীর লুকোচুরি খেলা উপভোগ করা ....
দূর দুরান্ত পর্যন্ত যতটুকু দৃষ্টি যায় সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে পরিবেশ! আমাদের দেশের সবুজ প্রকৃতির মাঝে অন্য রকম আকর্ষন আছে, খুব খুব মায়াবী আমাদের দেশটা!
ভাইয়া বেশ কয়েকবার জিগ্গেষ করেছেন, যে ফ্রেন্ড এর বাসায় যাচ্ছি ওর নাম কি? ভাইয়া কি তাকে চিনেন কি না? কলোনীতে বড় হওয়ায় আমার সব বান্ধবীদের ভাইয়া চিনেন , আমি বলি নি যে আমি যেখানে যাচ্ছি উনারা কেউ আমার ক্লাস মেট না, আমাদের কলোনীর না , উনাদের ভাইয়া চিনেন না আর আমি নিজেও ইতিপূর্বে উনাদের বাসায় আগে কখনো যাই নি! যদি বলতাম সফর মূলতবি ঘোষনা হতো বিনা নোটিশে...যা আমার কোনো ভাবেই কাম্য ছিলো না!
পাঠক,আপনাদেরতো বলাই হয় নি আমার গন্তব্য কোথায়? হুম! আমি যাচ্ছি আমাদের সবার অতি পরিচিত সুপ্রিয় ব্লগার ফাতিমা মারিয়াম আপুর বাসায়!
আপুর সাথে আমার পরিচয় এস,বি ব্লগ থেকে। যদিও সেখানে আপু এবং আমি দুজনে নতুন থাকা অবস্থাতেই ব্লগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তাই আমাদের সম্পর্কের নতুন ধারা মজবুত হয়েছে এই বিডি ব্লগে এসেই। তবে আপুর চাইতে আপুর ভাগ্নি (আরেক জনপ্রিয় ব্লগার "বইয়ের পাতায় রোদের আলো") 'র সাথে বেশি কথা হতো। যাই হোক আমাদের সকলের বন্ধুত্বের ডালপালা ধীরে ধীরে সতেজ হারে বর্ধিত এবং দৃঢ় হয়েছিলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আলাহামদুলিল্লাহ !
আমরা সবাই স্কাইপে গল্প-কথা -আড্ডা দিতাম। ইতালি-(আমি, রোশনী), স্পেন-(আফরোজা, আরোহী) কানাডা- (রেহনুমাপু), লন্ডন- (গন্ধসূধা), আমেরিকা-(আশা জাগানিয়া) বাংলাদেশ- ( ইশরাত, আলো, ফাতিমাপু ..)। খুব যে নিয়মিত হতো তা নয়, মাঝে মাঝেই ডেট ঠিক করে সবাই নির্দিষ্ট সময়ে লাইনে আসতাম! উফ! ভাবতেই খুব নষ্টালজিক লাগছে! কি সুন্দর মধুমাখা - আনন্দমুখর দিনগুলো ছিলো সেগুলো!
গত বছর আফরোজার দেশে যাওয়া উপলক্ষ্যে যখন ফাতিমাপু গেট টুগেদার এর আয়োজন করেছিলেন , আর সেখানে আমাদের সব অনলাইন পরিচিত ব্লগার আপুরা একত্রিত হয়েছিলো সেই দৃশ্য আমি দেখেছিলাম স্কাইপে বসে হাজার হাজার মাইল দূরে বসে! ওদের সবার একত্রিত হওয়া, আনন্দ করা উপভোগ যেমন করছিলাম তেমনি কষ্ট হচ্ছিলো খুব! ইচ্ছে হচ্ছিলো ডানা মেলা পাখি হয়ে ওদের আনন্দসভায় যোগ দেই! সেটা তো আর সম্ভব হয় নি তবে আকুতিটা মনের খুব গহীন থেকেই হয়েছিলো আর তাই বুঝি প্রভু এক বছরের মাথায় আমাকেও সেই সৌভাগ্য দান করেছেন উনাদের সাথে একত্রিত হওয়ার! শুকরিয়ায় চোখের কোনদুটি ভিজে আসছিলো।
আপুকে কখনো কাছ থেকে সরাসরি দেখিনি, পূর্ব আত্নীয়তার পরিচয় নেই, নেই কোন বন্ধন শুধু আছে দ্বীনি বোনের সম্পর্ক! আর এই সম্পর্কের কারণে এতো ব্যস্ততার মাঝে একটু সুযোগ করে ছুটে চলা।
সেই হাদীসটার কথা মনে পড়লো যে শুধু এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছুটে গিয়েছিলো ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের কারণে! মুসাফির হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করলাম তিনি আমাদের এই বন্ধন কে কবুল করে নিন, আপু সহ আমাদের সব ভাই-বোনদের কবুল করে নিন,নিরাপত্তার সাথে এই সময়টুকু কাটাতে পারি সেই তৌফিক দান করুণ!
নতুন একটা রাস্তায় উঠলাম। নাম ৩০০ফিট রাস্তা ।বেশ প্রশস্থ এবং দীর্ঘ। আপুকে ফোন দিলাম, আপু জানালেন আমরা বাসার খুব কাছেই চলে এসেছি!
দূরত্ব যত কমছিলো হার্টবিট ততোই বাড়ছিলো। দুরু দুরু স্পন্দনে আপুর বাসায় চলে এলাম। আপু তো দরজা খুলে নিকাবাবৃত হয়েই দাড়িয়ে ছিলেন! আশ্বস্থ করলাম ভাইয়াকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি! আপু পরম মমতায় নিবিড় মায়াবী আলিংগনে আমাকে জড়িয়ে নিলেন! আপুর পিছনে ছিলো কণ্যারত্নদ্বয়- উনাইসা আর নুসাইবা! এতদিন শুধু ওদের সাথে স্কাইপেই আলাপ হয়েছিলো আজ বাস্তবে দেখার সুযোগ হলো!
আপুর সাথে কথা বলতে বলতে চলে এলো ব্লগার নতুন মস।ওর এতো এতো ছড়া,কবিতা পড়েছি যা পড়ে আমার মনে হয়েছিলো খুব ভাবগম্ভীর টাইপ কেউ হবে! ছোটখাট এই মেয়েটা কিভাবে এতো সুন্দর- গাম্ভীর্য পূর্ণ লিখা লিখে সেটা ভেবে অবাক হয়েছি! খুব মিশুক স্বভাবের এই বোনটি আলহামদুলিল্লাহ ।
আপুর বিশাল হল রুমের একপাশে থাকা দোলানাটা সেই কখন থেকে ইশারায় ডেকে যাচ্ছিলো। এতোক্ষণে সাথী পেয়ে আমি আর মস দুজনে বসে দোল খেতে খেতে গল্প শুরু করলাম! দোলনায় পাশা পাশি বসে দুলতে দুলতে গল্প করে যাচ্ছিলাম দুজনে ! আজকে যখন পোস্ট লিখছি আনন্দের পরিবর্তে শুধু মনটাই খারাপ হচ্ছে আমার!
সবার লাড্ডুতে এসে যোগ দিলো শুকনো পাতা আর বইয়ের পাতায় রোদের আলো। শুকনোপা্তা অনেক আগেই রওনা হয়েছিলো অর্ধেক আসার পর বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেচারির দেরী হয়ে গেছে! রোদের আলো মাঝ পথে এসে পাতার সাথে জয়েন করেছে! অবশেষে সবাই মিলে আবারো মুখরিত হয়ে উঠলো আমাদের মিলনমেলা!
সবাই একসাথে বসে সকালের নাস্তা করলাম দুপুর বারোটায়। আমার আর নতুন মসের অবশ্য এটা দ্বিতীয় দফায় নাস্তা তাই আমরা শুধু চা দিয়ে শরীক হলাম ওদের সাথে। মজর ব্যাপার হলো আমাদের সবার চা খাওয়া শেষ হলেও আলো তিন তিন বার চা গরম করেও শেষ করতে পারছিলো না কারণ গরম করে আনার পর গল্প করতে গিয়ে আবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিলো...
যার বাসায় এলাম মানে ফাতিমাপু উনি একটু পর পর উধাও হয়ে যেতেন । পাশে বসে গল্প করছেন হুট করে চেয়ে দেখি নাই। বার বার গিয়ে উনাকে রান্নাঘর থেকে ধরে নিয়ে আসতাম। আপু রান্না করতে করতে ঘেমে নেয়ে একাকার তারপরেই বিরাম নেই বেচারীর!
সবাই মিলে কথার মেলা বিছিয়ে ছিলাম সেদিন। এই টপিক থেকে ঐ টপিকে কত শত বিষয়ে যে আলাপ চললো তার ইয়ত্তা নেই। ভার্চুয়াল জগত থেকে শুরু করে দেশের পরিস্থিতি, পড়াশোনা, বই পড়া, ফ্রেন্ডশীপ, ব্লগ, ব্লগার সব কিছু টুনটুনি পাখির মতোন এক ডাল থেকে আরেক ডালে উড়াল দিয়ে যাচ্ছিলো আলোচনা! এক বাগান ভর্তি কিছু ফুল পাখিদের কিচিরমিচির গুন্জরণে সমৃদ্ধ ছিলো পরিবেশটি।
ফাতিমাপু,পাতা, মস, আলো চারজনের সাথেই গল্প করছিলাম আর বোঝার চেষ্টা করছিলাম এতো প্রতিভাবান মানুষগুলো আজ আমার সামনে উপবিষ্ট! যাদের লিখা গুলো আমি পড়ে বরাবর মুগ্ধ হয়েছি! চমৎকৃত হয়েছি! সেই মেধাবীমুখ গুলোকে দেখার , পরিচিত হওয়ার, জানার যে অদম্য সুপ্ত ইচ্ছা ছিলো আজ সত্যি তা বাস্তবে পরিণত হলো! এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে?
সেদিন অনেক ইচ্ছা সত্ত্বেও আসতে পারেনি ইশরাত, লুকোচুরি, দৃড়তা, আশাজাগানিয়া ওদের জন্যও অনেক আফসোস হলো!
এতো দ্রুত সময় কেটে যাচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো ঘড়ির কাঁটা বুঝি আজ আমাদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে! জোহরের নামায পড়ে নিতেই ডাক পড়লো টেবিলে! এতো চমৎকার ঘ্রান কি আর বলবো সবাই ঝটপট বসে পড়লাম প্লেট নিয়ে! আসলেই আপু অপূর্ব রাঁধুনি।
আনন্দঘন মুহূর্তটিকে ছেড়ে কোনোভাবেই চলে আসতে ইচ্ছে করছিলো না। এই মিলনমেলার আগে আমরা কেউ কাউকে দেখিনি পর্যন্ত ,খুব সামান্য সময়ের জন্য সবাই একত্রিত হয়েছিলাম অথচ মনে হচ্ছিলো আমাদের একে অপরের সাথে বুঝি যুগ-যুগান্তরের পরিচয়!
বিদায় ঘন্টা বাজতেই সকল কিচিরমিচির মুহূর্তেই ডাহুকের করুণ স্বরে রুপ নিলো! কি এক ছন্দ পতন! প্রতিটা হৃদয়ে বেজে উঠলো বিদায়ী বেহালার আর্তনাদী সুর!
প্রতিটা বোনের কাছ থেকে যখন বিদায় নিচ্ছিলাম বুকটা ক্রমশঃ ভারী হয়ে আসছিলো, চোখের পাতা ভিজে আসছিলো! এতো মায়া, এতো ভালোবাসা, এতো সুমধুর বন্ধন সব কিছুকে অতিক্রম করে ফিরে আসা............. আসলেই বিদায় বিষয়টা খুব কঠিন!
মিলনমেলা সেই দিনের মতো শেষ হলেও সেই আনন্দঘন সুরেলা রেশ এখনো হৃদয় মাঝারে আলোড়ণ তোলে! ফুলের ঘ্রানের মতোই সুবাসিত করে তোলে সমস্ত অন্তর। এত্তোগুলো দ্বীনিবোন পেয়েছি , পেয়েছি অকৃত্রিম ভালোবাসা যা মনের আকাশে চির উজ্জল নক্ষত্র হয়ে আলোকিত করে যাবে সমস্ত জীবন .....................ইনশা আল্লাহ!
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৩ বার পঠিত, ৫৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বহুদিন পর সাদিয়াপির পোষ্ট, আগে হাজিরা দিলাম
পরে পড়ে মন্তব্য করবো।
আজ নিয়ে প্রায় তিন দিনে লিখা শেষ করলাম
ড্রাফট করে রেখেছিলাম দেখি উধাও
শুকরিয়া আপনাকে তড়িৎ মন্তব্যের জন্য!
দুই নম্বর আপনার সাথি ব্লগারদের দির্ঘদিন ব্লগ জগতে উপস্থিতি নাই কেন (ফাতিমা মরিয়ম আপা ছাড়া)।
তবে ভাল লাগল পোষ্টটি। চট্টগ্রামের মেজবাইন্না খাইছেন তো????
আপনারা ব্লগার ভাইরা মিলে একটা মিলনমেলা করুন আর সেটাতে যে খানা দানা হবে সেটার ছবি দিয়ে পোস্ট দিন আশাকরি সমান অপরাধে সমান শাস্তি হয়ে যাবে!
উনারা ব্লগে আসেন না তার জবাব তো উনারাই ভালো দিতে পারবেন, আমি প্রায় বলি সময় করে একটু আসার জন্য!
জ্বি, চট্রগ্রামের মেজবাইন্না খেয়েছি। প্রথম বারের মতোন কাঁচা লইট্টা ফ্রাই খেয়েছি যদিও আমি প্রথমে চিকেন ফ্রাই ভেবছিলাম খুবি টেস্ট!
জাযাকাল্লাহু খাইর।
মটু দিয়ে কি হবে? পোস্ট লিখেছি ভাই-বোনদের জন্য!সবাই পড়লেই আমি আনন্দিতো!
তা তুমি কি পোস্ট ঠিক মতো পড়েছো? নাকি না পড়েই
জাযাকাল্লাহু খাইর
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া পড়া- মন্তব্য ও ভালো লাগার অনুভূতি জানানোর জন্য!
জাযাকাল্লাহু খাইর
আপনার অতি উত্তম দোআতে আমিন! এই সৌভাগ্যের অধিকারী আপনি নিজেও হোন এই দোআ রইলো
জান্নাতের অসংখ্য, অগণিত নিয়ামত ও বালাখানার ব্যবস্থা হবে ইনশা আল্লাহ!
জাযাকাল্লাহু খাইর ।
সত্যিই আপু, আত্মীয়তার বন্ধন থেকেও দ্বীনি বন্ধনটাই আমার কাছে অনেকটা দৃঢ় ও মজবুত মনে হয়।
পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে আত্মীয়তার বন্ধনে ছিড় ধরে, কিন্তু দ্বীনি ব্ন্ধন সত্যিই অটুট থাকে যুগযুগান্তরে।
ইস! আমি যদি আগে জানতাম সত্যিই আপনাদের পাক্কা পাচিকা ফাতিমাপুর তৈরী ঘ্রাণযুক্ত খাবারের জন্য বাহির থেকে লাইন দিতাম।
আপনাদের মিলন মেলা সত্যিই দারুন লাগলো। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। পোষ্টটি স্টিকি হওয়ার দাবী রাখে, যদি মডুদের দৃষ্টিগোচর হয়।
জাযাকিল্লাহ খাইরান আপু।
(যদি সম্ভব হয়, আমার খালাম্মুনির অবস্থা জানাবেন)
মহিলাদের মিলনায়তনে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ!আপু স্বয়ং উনার পতিজ্বিকেও থাকা রপারমিশন দেন নি
সত্যি আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দঘন সময় পার করেছিলাম। অনেক সৌভাগ্যবান আমরা এরকম কিছু বোনদের সাথে আমাদের পরিচয় হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ! এই বন্ধন হোক আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার তরে আমিন
স্টিকির আশা করি না , আপনাদের ভালো লাগাতেই স্বার্থকতা!
পরিবারের সবাই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ! জাযাকাল্লাহ খাইর!
তাছাড়া খাওয়া ও আড্ডার সময় এক্সিলেন্ট ব্লগাররা উপস্থিত, কিন্তু ব্লগে অনুপস্থিত কেন? তাদেরকে নিয়মিত হওয়া ইনভাইট করেছেন কি?
ধন্যবাদ আপু।
#
শিরোনামে ভেবেছিলাম ছোটদের ব্যাপার বুঝি!
কিন্তু ঢুকেই দেখি- ওমা!! এ তো অন্যরকম ব্যাপার-স্যাপার!!
খাবারগুলোর জন্য লোভ হলেও- দোয়া করা ছাড়া কিচ্ছু করার নেই!!
কিচু খাবার প্যাকেট করে সাথে নেয়া যায়না? যখন আরশের নিচে আড্ডা হবে তখন ...
ছেলেরা আড্ডা দিতে মেয়েদের সমান হবার আগেই ক্বিয়ামত এসে যাবে- অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বাজি রেখে বলতে পারি!!
আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ...
বাজিতে আপনি হেরে যান এই দোআ করি!
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া পড়া ও মন্তব্যের জন্য!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
ভাবে বুঝে নিতে হয়!!
আপনাদের খানা এবং ভালোবাসার সিক্ততা পড়ে।মটু মামা কই গেলোরে!? স্টিকি হয়না কেনে মটু মামা?
আপনারা সবাই মিলে করে ফেলেন একটা তাহলেই কাটাকাটি হয়ে যাবে!
স্টিকির আশা করি না , আপনাদের ভালো লাগাতেই স্বার্থকতা!
জাযাকাল্লাহ খাইর।
দূর দুরান্ত পর্যন্ত যতটুকু দৃষ্টি যায় সবুজে সবুজে ছেয়ে আছে পরিবেশ! আমাদের দেশের সবুজ প্রকৃতির মাঝে অন্য রকম আকর্ষন আছে, খুব খুব মায়াবী আমাদের দেশটা।
আসলে প্রবাসীরা দেশকে খুব বেশিই ভালোবাসে...।
আমরা ছেলে ব্লগারদের মধ্যেও এমন টান অনুভব করি... কিন্তু এই টান টুকু প্রকাশ করার মত সময় সুযোগ এখনো হয়নি!
সুযোগেদ অপেক্ষায় আছি। দেশে যাবার পরের অনুভূতি ভ্রমণ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনাদের মিলনমেলা পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম! বোনদের চাইতে বেশি মজার না হোক
জাযাকাল্লাহ খাইর!
তুলিয়াছিলাম গুঞ্জরন বোনেরা সবে
মনের খাতায় মূহুর্তগুলো আঁকা রবে
আজ কিছু স্মৃতি চারণ হয়ে যাক তবে
সেই কবেই দিতে চেয়ে ছিলাম অনুভূতিতে প্রাণ
বয়ে যাওয়া সময়ের গহীনে ভালোবাসার গান
দূর অজানার মানুষগুলো কিভাবে হয়ে যায় আপন
কারো মাঝে খুঁজে নেয় বন্ধুত্ব, কেউ হয় আত্মার বোন
কিছু কিছু ক্ষণ মনের ক্যানভাসে আপনাকেই আঁকে
হয়ে প্রতিচ্ছবি দাঁড়িয়ে থাকে পথের কোন বাঁকে
জীবন বয়ে চলে অবিরাম আপনও ধারায়
মায়ায় বাঁধনে পুলকিত হিয়া আনন্দ ছড়ায়.....
দূর অজানার মানুষগুলো কিভাবে হয়ে যায় আপন
কারো মাঝে খুঁজে নেয় বন্ধুত্ব, কেউ হয় আত্মার বোন ১০০% রাইট
জাযাকিল্লহু খাইর!
নান্দনিকতায় পুর্ণ আপনাদের লেখনীর বরাবরই ভক্ত আমি! শুধুই আল্লাহর জন্যে অকৃত্রিম ভালবাসা থাকে আপনাদের প্রতি!
দ্বীনী সম্পর্কের এই অটুট বন্ধন দুনো জাহানে মহান রব বজায় রাখুন-এই দুয়া আমাদের!
দুয়ার দরখাস্ত রইল হে মুহতারামাহ!!
অনেক দিন পর আপনার সাড়া পেলাম। আশাকরি ভালো ও সুস্থ আছেন। চমৎকার কমেন্ট এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাটএর কামিয়াবি দান করুন!
জাযাকাল্লাহ খাইর!
আল্লাহ আপনাদের কেও ভাল রাখুন সব সময়-এই দুয়া আমাদের!
ওয়াইয়্যাকুন্না আইজান খাইরাল জাযা-ই!
পরবর্তী লিখার অপেক্ষায় থাকবো।
সেদিনটি মনের মনিকোঠায় যুগ যুগ ধরে আলো জ্বেলে যাবে, আনন্দময়তায় ভরিয়ে দেবে প্রাণ ' এটুকুই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া আলহামদুলিল্লাহ! আপুর অকৃত্রিম আতিথেয়তা এবং আন্তরিকতার কোন তুলনা নেই!
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে! জাযাকাল্লাহ খাইর
অনেক সুন্দর ভ্রমন। মনেহল আমিও যেন উপস্থিত ছিলাম।
না, ভুলি নি! চকলেট নিয়েছিলাম সেট আামরা সবাই মিলেই খেয়ছি। পোস্টে চকলেটের উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম! জাযাকাল্লাহ খাইর
অনেক ধন্যবাদ আপু ।
আসলেই অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছিলাম সবাই মিলে
অনেক অনেক শুকরিয়া তোমাকে আপু জাযাকিল্লাহু খাইর!
আসলেই অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছিলাম সবাই মিলে সেদিন। স্মৃতিত এচির অমলিন হয়ে থাকবে দিনটি !
ছায়া থেকে কায়াতে চলে এসো এবং তুমিও শরীক হয়ে যাও!
আপু আসলেই সবদিকেই পারফেক্ট। গল্প, কবিতা, ছড়া এবং এবার উনার রান্না খেলাম! স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে! অসাধারণ রাধুনিআ আমাদের ফাতিমাপু!
আমরা যেদিন গিয়েছিলাম আপুর দুই কণ্যাই অসুস্থ ছিলো তবু আপু এতো আয়োজন করেছিলেন , টেবিল ভরিয়ে ফেলেছেন !
অনেক অনেক শুকরিয়া পোস্টটি পড়ে আমাদের গুন্জরনে শরীক হওয়ার জন্য!
সুন্দর প্রোগ্রাম এবং বর্ণনা, খুব ভালো লাগলো।
আপনাকেও আন্তরিক শুকরিয়া ভাইয়া
কিচিরমিচির কিচিরমিচির খুব পছন্দ পাই এমন আড্ডাবাজ আপপপপপিরা
কিচির মিচিরে আসার পূর্ব শর্ত পরিচয় দেয়া!
ফাতিমাপু সবাইকে দাওয়াত দিয়েছেলন, আপুর কাছে কি আপনার কন্টাক্ট নাম্বার ছিলো?
নেক্সট টাইম ইনশা আল্লাহ!
আপনাকে আজ প্রথম দেখলাম! প্রথমবার ব্লগে আপনাকে পেয়ে সত্যি ভালো লাগলো!
আল্লাহ আপনাকেও ভালো রাখুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন