পাসপোর্টের ডিজিটাল বিড়ম্বনা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৬ আগস্ট, ২০১৫, ১২:২৮:৫৪ রাত
অনেক আগেই জেনেছিলাম বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট মেশিন রিডেবল তথা ডিজিটাল করার কথা। শুনেছি ২০১৫ এরপর এনালগ পাসপোর্ট দিয়ে কেউ কোথাও ভ্রমন করতে পারবে না! সাথে এই তথ্য ও কানে এসেছিলোযে এম, আর, পি এর জন্য যে ছবি তুলতে হয় সেখানে বিশেষকরে হিজাবীদের ফেস এর সাথে কানও বের করে রাখতে হবে! এই তথ্য শুনে এমন রাগ হচ্ছিলো সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না!
আমাদের শহর থেকে খোঁজ নিলাম ডিজিটাল করার জন্য, আ্যপোয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেলো ২০১৭ তে! প্রচুর মানুষ কিন্তু মেশিন কম থাকায় দুতাবাস কাজ সংকুলান করে এগিয়ে যেতে পারছিলো না! আমরাও অপেক্ষমান ছিলাম যদি কোনভাবে সময়টা আগিয়ে আনা যায়!
তারপর যখন দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গেলো তখন দেশ থেকেই ডিজিটাল করার সুযোগ চলে আসলো!
এই ধরণের কাজগুলো যে খুব জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যাওয়ার আগে থেকেই আমার ভাইয়া ইনফরমেশন নেয়া শুরু করলেন কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে!
দুঃখের বিষয় এই যে পাসপোর্ট অফিস থেকে ইনফরমেশন নেয়ার এবং কাগজে কলমে ইনফরমেশন কপি পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিলো । এই তথ্যটুকু অফিস থেকে পাওয়ার জন্য যে ঝক্কি পোহাতে হয়েছে এবং পরবর্তীতে যে ইনফরমেশন ওরা দিয়েছিলো মূল কাজ করতে গিয়ে ওনেক গ্যাপ এবং অসামঞ্জস্যতাও ধরা পড়েছিলো!
দেশে পৌঁছানোর একদিন পর হাজির হলাম পাসপোর্ট অফিসে। দশ বছর আগের দেখা আগারগাঁ এর ঠিক সেই জায়গাতেই মূল অফিস থাকলেও অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে এ কয়েকবছরে! আয়তন ও পরিধি বাড়ানো হয়েছে! সিকিউরিটি সিস্টেমেও বেশ পরিবর্তন এসেছে! এই পরিবর্তনটুকু দেখে আসলেই ভালো লেগেছে!
প্রধান ফটকে ঢুকতেই নতুন নিয়মে আগে এন্ট্রি করতে হয়! এই লাইনটা বিশাল বড়! যাই হোক রমাদানের দিন, প্রচন্ড গরম এবং বাইরের রোদের তীব্রতা শরীর পুড়িয়ে দেয়ার মতো সবকিছু সয়ে ধীরে লাইনে এগিয়ে ভিতরে ঢুকলাম । ভিতরের অবস্থা আরো খারাপ! লাইন শুরু হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে! লাইনের বেগতিক অবস্থা দেখে ভাইয়া আমাদের বললেন সুবিধামতোন চেয়ার দেখে বাচ্চাদের নিয়ে বসে পড়ার জন্য। আমাদের হয়ে ভাইয়া লাইনে দাঁড়াবেন! স্বস্তির শ্বাস ফেলে আরো কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে একটা চেয়ার খালি পেলাম সেখানে পুত্রকে বসতে দিয়ে আমরা আরো খালি চেয়ারের সন্ধানে রইলাম! ভিতরে প্রচুর মানুষ , স্থান সংকুলান খুবি কম তারমধ্যে গরম তো আছেই! ফ্যানগুলোও পর্যাপ্ত ছিলো না এতোগুলো মানুষের জন্য!
কিছুক্ষন পর ভাইয়া হতাশ চেহারায় এসে বললেন, মহিলাদের লাইন আলাদা তাই আমার হয়ে ভাইয়া দাঁড়ালেও কোন লাভ হবে না! অগত্যা আমি নিজেই মহিলাদের লাইনে দাঁড়ালাম!
খেয়াল করলাম মোট ছয়টি লাইন। একটা পুরুষদের, পাশেই মহিলাদের( অনলাইন ফিলাপ আর হাতে ফিলাপ আলাদা লাইন), তারপাশেই আরো দুইটা লাইন যেটা কিনা সরকারি চাকুরীজীবিদের জন্য। আরো একটা লাইন আছে যেখানে ভুল পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য নেয়া হচ্ছে!ছয়টা লাইনে না হলেও একশ'র বেশি মানুষ কিন্তু কাজ করছেন মাত্র দুইজন অফিসার! পিঁপড়ার গতিতে তাই লাইনগুলো আগাচ্ছে! সবচাইতে দুঃখের বিষয় হলো মহিলাদের জন্য আলাদা লাইন হলেও গড়ে চার থেকে ছয়জন পুরুষদের নেয়ার পর একজন মহিলাকে নিচ্ছেন! আরো কষ্ট দায়ক হলো উনাদের কাজের গতি এতো মন্হর ....
লাইনে দাঁড়িয়ে মনে হলো শরীরের সবটুকু খনিজ লবন ঘামের মধ্যে বেরিয়ে যাচ্ছে! এতো ঘাম আমি মনে হয় জীবনেও ঘামিনি! এই কঠিন অবস্থায় আমার মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হলো! হাত পাখার বাতাসও একসময় নিস্তেজ আর গরম হয়ে আসে তবু লাইন সামনে আগায় না....
ভিতরের ভ্যাপসা গরম আর প্রচুর মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসে এক সময় আমার নিজেরো মাথা ঘুরাতে লাগলো! খেয়াল করলাম পাশের পুরুষদের লাইনে আমার পরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও আমার আগে ঠিকই পেপার জমা দিয়ে ফেলেছে অথচ মহিলাদের লাইনে এগুচ্ছেই না...
একটা বিষয় খুব খারাপ লাগলো, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের এই আইনী জটিলতাগুলো সম্পর্কে কোন ধারণা নেই এবং কাজটি সঠিকভাবে কিভাবে করতে হবে সে যোগ্যতাও অনেকের নেই ফলে অনেকেই সহজে কাজ করার জন্য দালালের স্মরনাপন্ন হন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দালাল টাকা নিয়ে পালিয়েছে বা ভুল কাজ করেছে এরকম কিছু ঘটনার স্বীকার হয়েছেন উনাদের করুণ কাহিনী শুনলাম! অথচ এটার সমাধান এমনো হতে পারতো যে সরকার বা বেসরকারীভাবে পাসপোর্ট ভবনেই একটি কক্ষে সেবামূলক সার্ভিস দিবে প্রয়োজনে পেমন্ট এর ব্যবস্থা থাকবে! তাহলে অন্তত দুর্বল মানুষগুলো টাকা খরচ করে ভুগতো না!
সবজায়গাতেই মানুষ সুবিধা গ্রহন করতে চায়! একটা মেয়েকে দেখলাম সে বারবার লাইন ড্রপ করে অফিসারের সাথে আলাপ করছে! প্রায় তিনবার আমি নিজেই তাকে দেখেছি! বয়স খুব বেশি হবে না তবে প্রচন্ড সাজ তার চেহারার কোমলতাকে ধ্বংস করে সেখানে কৃত্রিমতা এনে দিয়েছে! অনেকক্ষন ধরে আমি তাঁর দিকে লক্ষ্য করেছি! হাতে পেপারস নিয়ে এমনভাবে ঘুরাঘুরি করছিলো আর তাড়া ভাব দেখাচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো শুধুমাত্র ওরই সময়জ্ঞান আছে! ঐ রুমে উপস্হিত কর্মরত টহলদার সব গুলো পুলিশদের কাছ থেকে সে ইনফরমেশন নিয়েছে তবু অস্হিরতা যাচ্ছিলো না মেয়েটার! খেয়াল করলাম যেসব মেয়েরা সেজেগুজে একটু কোমল ভাব দেখিয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে পুলিশরাও তাদের জন্য একেবারে বিগলিত হয়ে যান! একই রকম গ্রামের তথাকথিত আনস্মার্ট মেয়েরা যখন কিছু জানতে চায় তখন পুলিশদের খুব তাড়া থাকে এবং উনারা সব কথা শুনতে ও উত্তর দিতে অপারগ থাকেন! হায়রে দুনিয়া ...
একটানা অনেকক্ষন লাইনে ছিলাম বলেই খেয়াল করছিলাম পারিপার্শ্বিকতা, মাঝে মাঝে কিছু পুলিশ চেহারায় ভ্দ্রদুরস্ত কিছু জনগন নিয়ে ঠিক সবার আগে প্রথমে দাঁড়ান এবং ম্যাজিকের মতোন ঐ লোকদের পেপারস জমা দিয়ে দেন এবং উনারা বিজয়ের হাসি হাসতে হাসতে আমাদের দিকে করুণ নয়নে তাকিয়ে ব্যংগের শেষ রেশটুকু রেখে যান! এখানেও যে চ্যানেলের কতো কদর সেটা সবার বুঝা হয়ে গেলেও কি ই বা করার আছে সাধারণের?
অনেকের কাছ থেকে শুনেছি ভিতরে লোক থাকলে নাকি তিনদিনেও পাসপোর্ট বের করা যায়! কিছু বেশি টাকা দিতে হয়! আমার ভাইয়া রাজি হচ্ছিলেন না খারাপ খপ্পরে পড়ার ভয়ে!
যাইহোক অবশেষে আমার পালা এলো, দোআ পড়তে পড়তে এগুলাম! অফিসার প্রথমেই মিলানো দূতাবাসের স্বাক্ষর দেখে প্রশ্ন করলেন কেনো আমি ইতালিতেই ডিজিটাল করিনি! বলার পর আরো বেশি সতর্কতার সাথে আমাদের পেপারস ঘাটলেন এবং বললেন, আমার জন্ম নিবন্ধন এমন সিটি কর্পোরেশন থেকে বের করতে হবে যারা কিনা ডিজিটাল ভাবে পেপার বের করে! আমারটা ছিলো এনালগ উপায়ে বের করা! আরো বললেন প্রতিটা পেপারের ডাবল কপি ছাড়া উনি পেপারস জমা নিতে পারবেন না!
ভগ্ন হৃদয়ে সেখান থেকে ফিরে আসলাম! পথে গাড়িতে বসে কথা বলছিলাম। আমার পুত্র- কন্যা দুজনেই বলছিলো, আম্মু এই অফিসের লোকজনদের একটু ইতালি থেকে ঘুরিয়ে নিলে এবং প্রশিক্ষন দিয়ে নিলে উনারা সত্যিকার ভাবে শিখতে পারতেন কিভাবে অনেক বেশি ফার্স্টলি এবং স্মার্টি কাজ করতে হয়! ভিতরের পরিবেশ এবং কাজের গতি দেখে ছেলে -মেয়ে দুজনেই খুব কষ্ট পেয়েছিলো!
আমি আর কি বলবো? জন্ম নিবন্ধন লাগবে এই টুকু আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম কিন্তু উনারা এটা বলে দেননি পেপারটা কম্পিউটারাইজড হতে হবে! আগের জন্ম নিবন্ধন করতে খরচ লেগেছে তিন হাজার টাকা যদিও সরকার এটাকে ফ্রি করেছেন আবার নতুন করে করতে হবে আরো কতোগুলো টাকা খরচ করতে হবে তারচাইতে বড় কথা আমার সময় কম, বাচ্চাদের নিয়ে এতো কষ্ট করা খুব ঝুঁকিপূর্ন হয়ে যাচ্ছিলো ! মনটা খারাপ করেই বাসায় ফিরে এলাম।
আবারো সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ করে জন্ম নিবন্ধন তুলে সব পেপারের ডাবল কপি নিয়ে রওয়ানা হলাম! বাচ্চারা কেউ যেতে চাচ্ছিলো না অফিসে! বলছিলো ওখানে কিছু ক্ষন থাকলেই কেউ অজ্ঞান হবে, কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যাবে! অনেক কষ্টে ওদের রাজি করিয়ে নিয়ে গেলাম!
সকাল নয়টাতেও বিশাল লাইন! দুঃখের বিষয় আজকে পুত্র কোনো সিট খালি পাচ্ছিলো না বসার জন্য! সে আমার পায়ের কাছে হাটু গেঁড়ে বসে পড়লো মাটিতেই! মেয়েটাও বারবার বলছিলো খারাপ লাগছে! কিন্তু মা হয়ে আমার এগুলো শুনে স্বান্তনা দেয়া ছাড়া কিছুই করার ছিলো না! মনে মনে ভাবছিলাম দেরীতে দিলেও ইতালিতে করলে মনে হয় বাচ্চারা এভাবে কষ্ট পেতো না!
আমি যখন দশ বছর আগে পাসপো্র্ট বানাই তখন পার্মানেন্ট এড্রেস দিয়েছিলাম আমার শ্বশুড়বাড়ি ঠিকানায়! এখন ঐ জায়গায় আপনজনদের মাঝে কেউ থাকে না বললেই চলে! সবাই শহরে বা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে! এই ঠিকানাটা আমাকে অলরেডি ঝামেলা করছিলো এ কারণে যে আমার যতো ধরণের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতো সব ঐ ঠিকানা হতে আনতে হতো! যেহেতু ওখানে কেউ থাকেন না তাই কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছিলো! তাই এবার নতুন করে পাসপোর্ট করার সময় পার্মানেন্ট এড্রেসটা চেন্জ করে দিয়েছি! এটা নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তা করছিলাম না জানি আবার কোনো সমস্যা হয়!
আবার আমার পালা এলো! মেয়েটা এরমাঝেই নিস্তেজ হয়ে আসছিলো! তবু এই তো শেষ বলে বলে ওকে সান্তনা দিয়ে যাচ্ছিলাম! যেই আমি অফিসারকে পেপারস গুলো দিলাম অমনি শুনি পিছনে কি যেনো ধপাস করে পড়ে গেলো! তাকাতেই দেখি মেয়েটা আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে মাথা ঘুরে পড়েই গেছে! চোখ ফেটে কান্না আসছিলো! কোনো কথাই বলতে পারছিলাম না! বোধ শক্তি সব শেষ এমনি অবচেতন লাগছিলো নিজকে! পিছনের মহিলাদের চিৎকারে আমার সংবিত ফিরে আসে! উনারা এমন চিৎকার করলেন অফিসার বাধ্য হয়ে উঁকি দিলো কি হয়েছে দেখার জন্য! আমার মেয়ে এটা বুঝে উনি কোনো প্রশ্ন ছাড়াই বললেন আপনি ওকে নিয়ে বসুন, আমি রেডি করে দিচ্ছি! আমার ভাইয়া ততক্ষনে পাশে চলে আসছে! মেয়েকে নিয়ে যাওয়া মাত্র তখন সবাই সিট ছেড়ে দিতে লাগলো! আমিও খুব দ্রুত পেপার নিয়ে চলে আসলাম!
এবার ছবি তোলার পালা! কন্যার অবস্থা খুবই করুণ! তবু ছবি তুলতে এলাম। সবাই খুব হেল্প করলো! মেয়েকে দেখেই সবাই বুঝে নিলো বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে!
ছবি তুলতে এসে সেই অপ্রিয় অবস্থার সন্মুখীন হতে হলো! পাসপোর্টের জন্য মুখ খোলা রেখে ছবি তুলতে হবে মানলাম কিন্তু মুখের সাথে কান ও যখন বের করতে হয় তখন কেমন অদ্ভুত লাগে না? তখন মাথার চুল কভার করা অনেক কষ্ট হয়ে যায়! মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে তর্ক না করে ছবি তুলে দ্রুত এই জেলখানা থেকে বেরিয়ে চলে আসলাম!
ঈদের দু দিন পর ভাইয়ার মোবাইলে ফোন এলো একজন এস, পি ফোন করেছেন! পুত্রের নাম ধরে বললো ওর পাসপোর্টের ক্লিয়ারেন্স উনি দিবেন! পুত্র ইতালি থেকে এসেছে এই তথ্য উনি জানেন সুতরাং উনাকে ক্লিয়ারেন্স বাবদ টাকাটা বিকাশ করা হোক! ভাইয়া এক হাজার উনাকে বিকাশ করলেন যদিও এই কাজটাও বিনামূল্যে করাই উনার দায়িত্ব!
এর পর দিন আরেকজন এস,পি ফোন দিলেন আমাদের মাতা, কন্যার নাম বলে এই বললেন উনি অবশ্যই ক্যান্ডিডেট দেখবেন! উনি বাসায় আসলেন ! উনাকে আপ্যায়ন করা হলো এবং আবারো দু হাজার টাকা দেয়া হলো!
সাতদিনে ডেলিভারী দিয়ে দেয়ার কথা আমাদের পাসপোর্ট! অনেকের কাছ থেকে শুনলাম উনারা নাকি টাইমলি দিতে পারেন না বললেই চলে! দু একদিন দেরী করে যাওয়াই ভালো! মেইল চেক করে নিশ্চিত হয়ে গেলাম তুলে আনতে!
আমাদের তিনজনের রিসিট একসাথে জমা দিলাম । একপাশে রিসিট জমা নিচ্ছে তার আরক পাশে নাম ধরে ডেকে পাসপোর্ট দিচ্ছে! এখানেও কাজের গতি মন্থর! রুমটা ছোট কিন্তু প্রচুর মানুষ! সিট সে তুলনায় আরো কম!
রিসিট জমা দেয়ার চল্লিশ মিনিট পর আমার নাম ডাকলেও পুত্র আর কন্যার নাম ডাকলো তিন ঘন্টা পর! আসলেইও আশ্চর্য হতে হয় একসাথে পাসপোর্ট জমা দিলাম, এন্ট্রি করলাম, রিসিট ও পাঠালাম কিন্তু ডেলিভারী দিলো তিনটা তিন সময়ে! হায়রে নিয়তি! স্বদেশের এই তিক্ত স্মৃতি না ভোলার জন্যেই হয়তো এভাবে ভুগলাম আমরা....
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আপু ফাটা বাশে আটকা পরেছি। ১ মাসের মেয়াদে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি কিন্তু ৪ মাস হয়ে গেলেও এখনও খবর নাই!
ভাইয়া পাসপোর্ট ফী এক্সপ্রেস(৭ দিন) ৬০০০টাকা সাথে ভ্যাট ৯০০টাকা! ৬,৯০০ টাকা রেখেছে পার পাসপোর্ট! জন্ম নিবন্ধন যেখানে ফ্রি পাওয়ার কথা সেখানে লেগেছে ৬,০০০টাকা। পুলিশ ক্লিআরেন্স এও টাকা লাগানোর কথা না তবু ৩,০০০টাকা গিয়েছে! যাক তবু আমরা পাসপোর্ট সময়মতোন পেয়েছি আলাহামদুলিল্লাহ!
আপনার পাপোর্ট আটকা পড়ে আছে এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো! শুনেছি পুলিশ কলিয়ারেন্স যখন আসে তখন টাকা ঠিকভাবে না দিলে নাকি দেরী হয়!
কোথায় জমা দিয়েছেন?
আল্লাহ সহজ করে দিন ! আমীন!
ধন্যবাদ।
চাহিদার তুলনায় সেবার মান খুবই দুর্বল এবং অপ্রতুল! আরো লোক প্রয়োজন এই খাতে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
জ্বি, ঠিক বলেছেন!শুনেছি অনেকর অবস্থা আরো করুণ হয়!
ডিজিটালের নামে হয়রানি ছাড়া আর কিছু না!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আমাদের এখানে করলে ২০১৭ তে ডেট দিয়েছিলো! মেশিন মাত্র একটা অথচ হাজার হাজার ক্লায়েন্ট! শুনলাম এখন নাকি বাংলাদেশ থেকে দূতাবাসে নতুন আরো মেশিন আনা হচ্ছে!
বাইরে করাই ভালো ! কিছুটা নিয়মের মধ্যে কাজ হবে! অহেতুক হয়রানি থেকে বাঁচবেন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আমরা তো কিছু সময়ের জন্য ফেইস করেছি,যাদের প্রতিনিয়ত এর মোকাবেলা করতে হয় কি পরিমান কষ্ট উনাদের হয় তা ভাবতেই খারাপ লাগে!
স্বপ্ন দেখি কোনো এক সময় এর পরিবর্তন আসেব ইনশা আল্লাহ!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
ঘুষের উপরই উনারা বেঁচে আছেন! ছবি তোলার ব্যাপরটা খুব খারাপ লেগেছিলো! প্রতিবাদ করেছিলাম লাভ হয়নি! প্রশাসন যখন কিছু চাপিয়ে দেয় জনগনের মেনে নিতে হয়! কিন্তু কতোদিন?
জাযাকাল্লাহু খাইর!
এই বিড়ম্বনার শেষ হোক এটাই চাওয়া!
জাযকাল্লাহু খাইর!
নতুন অভিজ্ঞতার জন্য আপনাদের অভিনন্দন!!!
কষ্টগুলোর বিনিময় যখন দেখবেন তখন কত্ত খুশী হবেন, সেটা ভেবেই আমার খুশী লাগছে!!
আলহামদুলিল্লাহ..
আপনার দোআয় আমীন! আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের এর উত্তম বিনিময় দান করুন !
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আমাদের এখানে লাইনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা তেমন নাই! বড়জোর ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট। খুব ফার্স্টলি কাজ করে এরা! আমার নিজের জন্য তেমন সমস্যা হতো না যদি না সাথে বাচ্চারা থাকতো!
আমাদের দেশের এই পরিস্থিতির আশু পরিবর্তন ঘটুক এটাই কাম্য!
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন! দীর্ঘ বিরতির পর আপনাদের সবাইকে পেয়ে আসলেই খুব ভালো লাগছে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার লিখাটি পড়ে অনেক ভাবলাম, ব্যথিত হলাম। কি মন্তব্য করবো ভাবছি।
না মন্তব্যের ভাষা আমার এই মুহুর্তে জানা নেই তাই একটি লিংক দিলাম, যদি সময় হয় পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
এখানে
সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর!
সারার জন্য খারাপ লেগেছে। বেচারী তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গেল দেশ থেকে।
আমরা সাধারণতো একটা কাজ হাতে নিয়ে যখন বের হই তখন অন্তত এটা সবাই চাই কাজটা ঠিক ভাবে সমাধা হোক! কিন্তু পরিস্থিতি এরকম হলে এক কাজের জন্য আরো অনেক কাজ পিছিয়ে যায়! সময় - শ্রম-টাকা সবকিছুর অপচয় হয়!
আমার মেয়েটা অসুস্থ হয়ে না পড়লে এতও কষ্ট হতো না!
জাযাকিল্লাহ খাইর আপু!
মাত্র ২৩ দিনের সফরে গিয়েছিলাম ! আপনার আন্তরিক দাওয়াত সাদরে গ্রহন করলাম, আপনাদের সাথে দেখা হলে ভালো লাগতো! পরে কখনো হবে ইনশা আল্লাহ!
আল্লাহ আপনাদের সবাইকেও ভালো ও সুস্থ রাখুন এই দোআ ও শুভকামনা রইলো!
দেশ থেকে আার পর সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে, অনলাইনেও ঠিক ভাবে সময় দিতে পারছি না! মাঝে মাঝে ব্লগে এলে ঐ দিনের লিখা পড়া হয়। আমন্ত্রনে প্রায় ৩০০+ লিখা আছে সময়ের অভাবে পড়তে পারছি না!
সন্ধাতারাপি আসবেন আর কিছু দিনের মাঝে ইনশা আল্লাহ!
শুকরিয়া ভাই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন