"প্রোডাক্টিভ রমাদান: দোআ আমাদের ঐশ্বর্য"

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৮ জুন, ২০১৫, ১২:১৪:৫১ রাত



সন্মানিত ও মর্যাদাবান অতিথি "রমাদান কারীম" নতুন তিথির এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলো বলে প্রায়! নিস্চয়ই আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি তাঁকে বরন করে নেয়ার জন্য তাই না? প্রিয় অতিথি নীড়ে প্রবেশের পূর্বে আমাদের অবস্থা কেমন হয়? পূর্ন নজর আর সচেতনতার দৃষ্টি বুলাই কোথাও কোন কিছু এলোমেলো রয়ে গেলো কিনা? সমস্ত প্রস্তুতি সঠিক ভাবে সম্পাদান হয়েছে কি না?

অপেক্ষার প্রহর মধুর কিবা বিরহের বা দীর্ঘায়িত যাই মনে হোক না কেন আসুন না আরেকবার প্রস্তুতির সাথে হিসাবটাকে মিলিয়ে নেই!

সুপ্রিয় পাঠক একটু মনে করার চেস্টা করে দেখি তো আমাদের পবিত্র জীবন বিধান আল-কোরআন এর শুরু আর শেষ কি দিয়ে?

মাশা'আল্লাহ ! শুরু শ্রেষ্ঠ দোআ সূরা ফাতিহা দিয়ে আবার শেষ তাও মু’আওবিযাতাইন তথা নাস ও ফালাক সূরা তথা দোআ দিয়ে! আজ আমরা এই দোআ নিয়ে কিছু আলোকপাত করব ইনশা আল্লাহ !

দোআ মুমিনের ঐশ্বর্য! ঈমানের প্রতিক। যে ব্যক্তি যত বেশি দোআ করে তার ঈমান তত বেশি সুন্দর ও মজবুত হয়! দোআ মুমিনের হাতিয়ার! দোআর মাধ্যমে বান্দার প্রভুর সাথে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে!

আমরা যদি আমাদের আদি পিতা আদম আলাইহিসসালাম এবং আদি মাতা হাওয়া আলাইহিসসালাম এর সীরাহ এর দিকে দৃষ্টিপাত করি, আমরা দেখতে পাই সেখানে ইবলিস এর উপস্থিতি। ইবলিস আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিলো আল্লাহর হুকুম বা নির্দেশ পালন না করে । এই ইবলিস এর প্ররোচনায় পড়ে আদম (আ) ও হাওয়া (আ) ভুল করেছিলেন! কিন্তু এই দুই ভুলের মধ্যে পার্থক্য হলো আদম (আ) ও হাওয়া (আ) ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং দোআ করেছিলেন ।দোআর মাধ্যমে উনারা আল্লাহর আনুগত্যে ফিরে এসেছেন, সুতরাং দোআ ঈমানকে প্রমানিত করে।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে নানারকম চাওয়া -পাওয়া, কামনা- বাসনা, রয়েছে অভাব -অভোযোগ, রয়েছে অসুস্থতা, কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর সুতীব্র আকাংখা! আমরা কার কাছে চাইব?

দুনিয়াতে যত ক্ষমতাশীল মানুষের খোঁজ আমাদের কাছে থাকুক না কেন আমাদের মতোন সাধারন মানুষের কি কোন মাধ্যম ছাড়া উনাদের কাছ পৌঁছানো সম্ভব? যদিওবা অনেক দেন- দরবার টাকা পয়সা খরচ করে উনাদের কাছে যাওয়া গেল কয়টা বিষয় উনাদের কাছে আমরা চাইতে পারব? উনাদের কি আদৌ কোন ক্ষমতা আছে আমাদের অভাব মিটানোর? প্রয়োজন পূরনের?

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা হলেন আমাদের মহান প্রভু! তিনি আল-হ়ামীদ -সকল প্রশংসার দাবীদার, আর রহমান -পরম দয়াময়, আল-ওয়ালিই -বন্ধু, সাহায্যকারী । আল-কারীম- উদার, আল কাবীর- সুমহান! আল-গ’ফূর -মার্জনাকারী, আল-ওয়াদূদ - স্নেহশীল, আস-সামী’ -সর্বশ্রোতা! আল-’আফুউ -গুনাহ ক্ষমাকারী সুতরাং আমরাতো তাঁরই কাছে চাইব, তাঁরি ভালোবাসা, তাঁরই দয়ার মুখাপেক্ষী হব!

রমাদান মাস দোআ কবুলের উত্তম সময়! আমাদের উচিত প্রতিটি মুহুর্তকে কাজে লাগানো! দোআ করার ব্যপারে কৃপনতা না করা! আল্লাহ এটাই পছন্দ করেন বান্দা সবসময় আল্লাহর কাছেই চাইবেন! আল্লাহ এতে খুশি হন! না চাইলে , দোআ না করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন!

আল্লাহ সুবহানাহু তায়লা নিজে আমাদের কোরানে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর দোআ শিখিয়ে দিয়েছেন তাঁর কাছে কিভাবে, কোন ভাষায় ,কি চাইতে হবে । রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনেক হাদীসের মাধ্যমে সুন্দর দোআ শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে চাইলে আল্লাহ আমাদের চাওয়া পূর্ন করবেন । আমাদের প্রয়োজন একটু মনোনিবেশ করা, উপলব্ধি করা অন্তর থেকে ,এই যে সুবর্ন সুযোগ পেতে যাচ্ছি তা যেন হেলাফেলায়, অহেতুক কথায় কর্মকান্ডে নস্ট করে না ফেলি!

একটু কোরআনের পাতা উল্টিয়ে দেখি, কি আছে সেখানে? ইবরাহীম আলাইহিসসালাম কে যখন জ্বলন্ত প্রজ্বলিত আগুনে নিক্ষেপ করা হলো উনি কি বলে দোআ করে ছিলেন? মুসা আলাইহিসসালাম কে যখন প্রচন্ড প্রতাপশালী ফিরাউনের কাছে যেতে হয়েছিলো কি বলে দোআ করেছিলেন? ঈসা আলাইহিসসালাম হাওয়ারীদের নিয়ে কি বলে দোআ করেছিলেন? ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মাযাহিম আলাইহিসসালাম কে কঠোর নির্যাতন করা হচ্ছিলো কি বলে উনি দোআ করেছিলেন? এভাবে কোরানের

পাতায় পাতায় আমরা দেখতে পাব অসংখ্য অগনিত দোআর সমাহার । আমাদের জীবনে চলার পথে লাগতে পারে এমন কোন কিছুই আল্লাহ আমাদের দোআর মাধ্যমে শিখিয়ে দিতে বাদ রাখেন নি!

দোআ শুধু মাত্র চাওয়া পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু! বরং হাদিসে বলা হয়েছে দোআ ই ইবাদাহ! আমাদের কি মনে আছে পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য কি আমাদের? আল্লাহ জ্বিন ও মানুষকে তো ইবাদাহ ছাড়া আর অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেন নি!

আপু, ভাইয়ারা কোরানে একটি আয়াত আছে যে আয়াতে "দোয়া " ও " ইবাদাত " শব্দ দু'টিকে সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে । প্রথম বাক্যাংশে যে বিষয়কে দোয়া শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে দ্বিতীয় বাক্যাংশে সে বিষয়কেই ইবাদাহ শব্দ দ্বারা প্রকাশ হয়েছে৷ মনে করা যায় কোন সেই বিখ্যাত আয়াত? (কুইজ)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উনার সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের চরিত্র ছিল উনারা প্রতিটি বিষয়ে ছোট হোক বড় হোক আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার কাছে নিয়মিত বিনীত ভাবে দোআ করতেন। দৃঢ় ইয়াকীন নিয়ে উনারা আল্লাহর কাছে চাইতেন, দোআ করতে উনারা কখনো ক্লান্ত হতেন না! দোআ যে ইবাদাতের প্রান স্বরুপ ছিল উনাদের নিকট!

বিশ্ববিখ্যাত "আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস" এই উপাধি কার মনে আছে আপু ভাইয়ারা? হুম তিনি আমাদের ইমাম বুখারী! ছোটকালে যখন কঠিন অসুখে উনার চোখদুটি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কিভাবে ফিরে পেয়েছিলেন দৃষ্টিশক্তি? পূন্যবতী নেককার মায়ের দোআর বদৌলতেই যে আল্লাহ উনাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন! সুবহানাল্লাহ! কতো শক্তি এই দোআর!

সাহাবী জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইসলাম গ্রহনের পর আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কিছু চাইনি। এমনকি জুতার ফিতাটি খুঁজে না পেলে তাও আল্লাহকে বলতাম!( বুখারী) আজ আমাদের কি অবস্থা? কোন প্রয়োজন দেখা দিলে পৃথিবীর সব মানুষের কাছে ধর্না দিয়ে হতাশ হয়ে উপায়হীন হয়ে আমরা আল্লাহর কাছে চাইতে আসি! কিভাবে আমাদের দোআ কবুল হবে?

তো আসুন না রমাদানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে আমরা আমাদের দোআর মাধ্যমে ইবাদাহ গুলোকে আরো শক্তিশালী করে তুলি!

কিছু গুরুত্বপূর্ন দোআ-

১) رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও। আর আমাদেরকে দোজখের আজাব থেকে রক্ষা কর। (সুরা: আল্‌ বাকারা, ২০১)

আমাদের আল্লাহ শিখিয়ে দিচ্ছেন দুনিয়াতে কল্যাণ চাইতে। কি এই কল্যান? আমাদের দুনিয়াতে বেচে থাকতে হলে প্রয়োজন আদর্শ অভিভাবক,আদর্শ স্বামী-স্ত্রী, আদর্শ সন্তান, আদর্শ পরিবার -পরিজন, প্রতিবেশী, প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য, প্রয়োজন সম্পদ, প্রয়োজন হালাল রিযিক, প্রয়োজন সুখ স্বাচ্ছন্দ-নিরাপদ জীবন, প্রয়োজন উ্ত্তম আমল, প্রয়োজন মালাকাল মাউত যখন শিয়রে এসে দাড়াবে পবিত্র আকালিমার সাথে মৃত্যু, প্রয়োজন ঈমানের সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার এরক সব বিষয়গুলো কিন্তু দুনিয়ার কল্যানের সাথে জড়িত!

আবার আখেরাতেও কল্যাণ দাও এ অংশে, দুনিয়ার জীবন শেষ হওয়ার সাথে সাথে যে বারযাখে অনন্ত জীবনে প্রবেশ করলাম সেখানে অন্ধকার কবরের প্রথম ধাপে যখন সওয়ালকারী ফেরেশতাগন আসবেন তখন যেন ঈমানের উপর দৃঢ়পদ থাকতে পেরে সঠিকভাবে জবাব দিতে পারি, কবরের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে পারি, কিয়ামতের দিন দীর্ঘ হাশরের ময়দানে ামলের পরিমাপ যখন হবে, পুলসিরাত যখন পার হতে হবে, হাউযে কাউসারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহই ওয়াসাল্লামের সাথে যখন দেখা হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতলাভের পূর্ব পর্যন্ত যত কিছু আছে সবি আখিরাতের কল্যান!

আমরা কি যখন দোআটি পড়ি একবারো কি ভেবে দেখি কি চাইছি আমি আমার প্রভুর নিকট? আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের যথাযথ ভাবে উনার কাছে চাওয়ার তৌফিক দিন ! আমীন! এই একটা দোআও যদি আমরা সুন্দর করে চাইতে পারি এটাও কি আমাদের জন্য পরম পাওয়া নয়?

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

"হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন৷ "( আল ইসরা২৪)

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ



হে আমার রব আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী করো এবং আমার বংশধরদের থেকেও ।হে পরওয়ারদিগার! আমার দোয়া কবুল করো ! হে পরওয়াদিগার! যেদিন হিসেব কায়েম হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সমস্ত মুমিনদেরকে মাফ করে দিয়ো৷ (ইবরাহীম ৪০)

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

“হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করেছি৷ এখন যদি তুমি আমাদের ক্ষমা না করো, এবং আমাদের প্রতি রহম না করো, তাহলে নিসন্দেহে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো ৷"(আরাফ ২৩)

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

“ হে আমাদের রব ! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম৷” (ফুরকান ৭৪)

رَبَّنا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنا وَ ارْحَمْنا وَ أَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمينَ

হে আমাদের রব্‌! আমরা ইমান এনেছি, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, আর তুমিই সর্র্বোত্তম অনুগ্রহকারী। (সুরা: আল্‌ মুমিনুন-১০৯)

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ



‘‘হে আমাদের রব!যখন তুমি আমাদের সোজা পথে চালিয়েছো তখন আর আমাদের অন্তরকে বক্রতায় আচ্ছন্ন করে দিয়ো না, তোমার দান ভাণ্ডার থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করো কেননা তুমিই আসল দাতা৷ (ইমরান ৮)

رَبِّ ابْنِ لي‏ عِنْدَكَ بَيْتاً فِي الْجَنَّةِ "হে আমার রব্‌! আপনার সন্নিকটে জান্নাতের মধ্যে আমার জন্যে একখানা ঘর নির্মাণ করুন "(তাহরীম ১১)

[/b

" [b]رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ "

অর্থঃ "হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর"

[সূরা আ'রাফ,সূরাহ্‌ নং ৭, আয়াত ১২৬]

এরকম অসংখ্য দোআ আল কোরানে আছে, আমাদের দায়িত্ব সগুলো বুঝে বুঝে , প্রয়োজন অবুসারে, বিনয়ের সাথে নিয়মিত আল্লাহর কাছে দোআ করতে থাকা! সিয়াম পালন করা অবস্থায় নিজের , পরিবার পরিজন, সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য যেনো দোআ করি! মাসনুন দুআগুলি, সকাল সন্ধার দুআ, সালাতের পর দুআ পড়তেও ভুলবনা আমরা ইনশাল্লাহ!

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকল দুআ কবুল করুন। আমাদের সকল বৈধ প্রয়োজনগুলো পূরণ করে দিন। যেভাবে দুআ করলে আপনি কবুল করেন সেভাবে দুআ করার তাওফীক দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের মুস্তাকীমে প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দিন। হে আল্লাহ আমাদের রমাদানে সুন্দর ভাবে সিয়াম পালন করার তাওফীক দিন। সুন্দর ভাবে দুআ করার যোগ্যতা দিন! আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।

(রিপোস্ট)

বিষয়: বিবিধ

১৫৬৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326511
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০১:০১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পবিত্র মাহে রমাদানে শুধু নয়, সর্বদা কাজে লাগার মতো একটি লেখা। আল্লাহ আমাদেরকে এ লেখা থেকে উপকৃত করুন। আমীন।
326515
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০১:১৬
শেখের পোলা লিখেছেন : উপকারী পোষ্ট৷ ধন্যবাদ৷ এই মুহূর্তে কুইজে ফেল হলাম৷
326525
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০১:৪২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কি মন্তব্য দিয়ে যে এই রত্ন লিখার মু্ল্যায়ন করি!
কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না। শুধু বলতে চাই, আপনি এত কথা কিভাবে জানলেন। এত আয়াত এত সুন্নাহ কিভাবে রপ্ত করলেন!
জাযাকিল্লাহ খাইর।
কুইজটির ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে Waiting Waiting Waiting
326526
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০১:৪৪
কথার_খই লিখেছেন : খুব খুবই সুন্দর পোস্ট, উপকারে আসবে পোস্টটি ধন্যবাদ।
326529
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০১:৪৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : খুব ভাল লাগলো, জাজাকাল্লাহ খাইরান। তারাবির নামায পড়ে আসলাম
326544
১৮ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:৪০
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ।। সবার উপকারে আসবে।
326557
১৮ জুন ২০১৫ সকাল ১১:১৪
ছালসাবিল লিখেছেন : Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause Applause
326561
১৮ জুন ২০১৫ সকাল ১১:২৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : মাশাল্রাহ!হৃদয় কাড়া পোস্ট!
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকল দুআ কবুল করুন। আমাদের সকল বৈধ প্রয়োজনগুলো পূরণ করে দিন। যেভাবে দুআ করলে আপনি কবুল করেন সেভাবে দুআ করার তাওফীক দান করুন। হে আল্লাহ আমাদের মুস্তাকীমে প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দিন। হে আল্লাহ আমাদের রমাদানে সুন্দর ভাবে সিয়াম পালন করার তাওফীক দিন। সুন্দর ভাবে দুআ করার যোগ্যতা দিন! আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
আমিন।
326628
১৮ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। রামাদান করীম।
১০
326645
১৮ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১১
326762
১৯ জুন ২০১৫ রাত ০৯:৩৯
আফরা লিখেছেন : আপু আপনি সুরা মুমিন এর ৬০ নং ( তোমাদের রব বলেন : আমার কাছে দোয়া কর, আমি কবুল করব । যারা আহস্কার করে আমার দাসত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে ,তারা শিগগিরই অপমানিত হয়ে দোজকে প্রবেশ করবে)এই আয়াত টার কথা বলেছেন আপু ।
আপু আমারট ধারনা আপনার কুইজের উত্তর আমি পেরেছি ।

আপু কেউ পারেনি আমি পেরেছি আমার জন্য বেশি করে দুয়া করতে হবে আপু ।
১২
326768
১৯ জুন ২০১৫ রাত ০৯:৫৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে সিরাতুল মুস্তাকীমে প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দিন-আমিন। শুকরিয়া আপু Love Struck রামাদান কারীম Good Luck Rose
১৩
327104
২২ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৩৫
তাসনুভা লিখেছেন : এরকম কিছুই চাচ্ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ,আল্লাহ মিলিয়ে দিলেন ।
১৪
327149
২২ জুন ২০১৫ রাত ১১:৩০
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ, পড়ছিলাম আগেই, তবে মন্তব্‌য করা হয় নি। যাই হোক, জাতি কুইজের উত্তর জানতে চায়... ইটালীতেও কি লোকজন গুম হওয়া শুরু হইছে?
১৫
328037
৩০ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। রসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ব্যতীত কোন কিছুই ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনা। পূণ্য ব্যতীত কোন কিছুই আয়ুকে দীর্ঘায়িত করতে পারেনা আর মানুষ যা করে সে তারই প্রতিফল পেয়ে থাকে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি অর্থাৎ বুখারী ও মুসলিম... হাদিস নাম্বার, অধ্যায় মনে পরছেনা) কাজেই আল্লাহ আমাদের একটা নির্ধারিত ভাগ্যলিপি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যার মাঝে উল্থান ও পতন উভয়ই বিদ্যমান। এখন একজন মানুষের ইচ্ছা, সে কি দোয়ার মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করবে, নাকি না? পূন্য কাজ অধিক করবে, নাকি না?
১৬
328137
০১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:০৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File