"রমাদান: প্ল্যানিং এন্ড প্রিপারেশন"

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৭ জুন, ২০১৫, ০৩:০৬:৩৫ রাত



আসসালামু আলাইকুম । কেমন আছেন আপনারা আপু ও ভাইয়ারা? আশা করি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ রেখেছেন। ঈমান ও আমল এর পরিচর্যায় ব্যস্ত রেখেছেন!

সময়ের চাকা ঘুরে আমরা শাবান মাসের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এ মাস আরবি মাসের ৮ম মাস। এ মাসটির পরেই আসে সন্মানিত রমাদান মাস । আর রমাদান তো এমন মাস যে মাস আমাদের সামনে আসে অফুরন্ত সম্ভাবনা, কল্যানের দরজা উন্মুক্ত করে, অগুনতি সওয়াবের মৌসুম নিয়ে। বছর ঘুরে আমাদের সামনে অতি আকাংখিত সন্মানিত মেহমান রমাদান সমাগত প্রায়!

রমাদান এমন এক মেহমান যার আগমনে সমস্ত আসমান ও যমিনে সাড়া পড়ে যায়, সমস্ত মুমিনের অন্তরে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়!এই মেহমান বছরে একটি বারই আমাদের কাছে আসে এবং খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের মাঝে অবস্থান করে! তো এই রমাদান নামক সন্মানিত অতিথির সন্মান ও আতিথিয়তার হক আদায় করার জন্য যথাযথ মর্যাদা রক্ষা জন্য আমাদের প্রত্যেকের সাধ্যমত চেষ্টা ও সাধনা করা উচিত।

আমরা তো প্রত্যকেই কিছু না কিছুর জন্য অপেক্ষা করি বা করতে দেখি! স্ত্রী তার প্রিয়তমের জন্য অপেক্ষা করেন, পিতামাতা সন্তানের জন্য অপেক্ষা করেন, বোন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেন, ছাত্র ছাত্রী তাদের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করেন, কেউ করেন ওয়ার্ল্ড কাপের অপেক্ষা কেউ বা করেন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর অপেক্ষা!

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের যাদের ইমানের মত নিয়ামত দিয়েছেন, হায়াতে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সুস্থতা দান করেছেন আমাদের প্রত্যেকের কি উচিত নয় যে , আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যানকামি হতে পারি , জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি, আল্লাহর দিদার লাভ করতে পারি এমন এক আমলের, এমন এক মাসের সুবর্ন সুযোগের জন্য অপেক্ষা করা?

রমাদান মাস থেকে যে যতবেশি ফায়দা অর্জন করতে চাই, ইবাদতের মাধ্যমে আমলগুলোকে সমৃদ্ধশালী করতে চাই, উপযুক্ত ও যথাযথ হক আদায় করতে চাই আমাদের ঠিক তত বেশি প্রস্তুতি গ্রহন করা প্রয়োজন !

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করতেন। সাহাবি রাদিয়াল্লাহু আনহু ও সালফে সালেহিনগন এর ব্যতিক্রম ছিলেন না! উনারা রমাদান আসার ৬ মাস আগে থেকেই রমাদানের জন্য দোআ করতেন যেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা উনাদের রমাদান পর্যন্ত পৌছিয়ে দেন, উনারা রমাদানের শুভাগমনে আনন্দে কান্না করতেন আর রমাদান শেষ হয়ে গেলে রমাদানে করা দোআ, কিয়াম আর সিয়াম যেন কবুল করা নেয়া হয় এই জন্য পেরেশানি হয়ে আরো বেশি দোআ করতেন , রমাদানের বিদায়ে বিরহে ব্যথায় উনারা কান্না করতেন!

আজ আমাদের কি অবস্থা? আমাদের আদর্শ যাদেরকে ঘিরে আবর্তিত হওয়ার কথা হতে কি পেরেছি আমরা তাদের মতন?

আমরা কিভাবে এবং কোন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনের মাধ্যমে অধিক লাভবান হতে পারি? এই প্রস্তুতিগুলোকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি! যেমন-

১)ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, ২)পারিবারিক প্রস্তুতিএবং ৩)সামাজিক প্রস্তুতি।

# ব্যক্তিগত প্রস্তুতিঃ

১) আমি এই রমাদান থেকে সর্বচ্চ ফায়দা বা লাভবান হতে চাইলে আমাকেই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে, আর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া তা অর্জন করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞ জনেরা পরিকল্পনাকে আয়নার সাথে তুলনা করেছেন! সুতরাং আমি আমাকে আয়ানাতে যত সুন্দর দেখতে পছন্দ করি আমার পরিকল্পনাটি যেন সেরকম সুন্দর হয়। প্রথমেই নিয়ত সহিহ করি, ইখলাসের সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, দোআ করি তিনি যেন আমাকে সাহয্য করেন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে, বস্তবায়নে এবং আমলের মাধ্যমে শুধু তার সান্নিধ্য অর্জনে!

২) আমি কি বিশুদ্ধ ভাবে কোরআন পড়তে পারি? আগে থেকেই শুদ্ধ করে পড়ার অভ্যাস করা, তিলাওয়াত সহিহ করার জন্য তাজউইদ এর জ্ঞান অর্জন করা, বারবার তা চর্চা করা! প্রয়োজনে কারো সাহায্য নেয়া। আমার কি রমাদানে কোরআন খতম করার পরিকল্পনা আছে? এখনি সিদ্ধান্ত নেই ! প্রতি ওয়াক্ত সালাতে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে খতম করা সম্ভব।

৩) আমার কয়টি সুরা মুখস্থ আছে? সেগুলো সহিহ করা! আমি কি চেষ্টা করলে আরও কিছু সুরা মুখস্থ করতে পারব? যা আমাকে রমাদানে কিয়ামুল লাইলের জন্য খুশু আনয়নে সহায়তা করবে?

৪) রমাদানের সিয়ামের গুরুত্ব অনুধাবন, উৎসাহ এবং উদ্দিপনা সহ সিয়াম সাধনার জন্য বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ সমূহ থেকে কিতাবুস সাওম অধ্যায় পড়ে নেয়া এবং ভুল ত্রুটি থেকে দূরে থাকার জন্য মাসায়িল গুলো মনে রাখার জন্য ফিকহুস সিয়াম পড়ে নেয়া প্রয়জন। ( আমি ফিকহুস সিয়াম- রোযার বিধান ও মাসায়েল- সংকলক মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ ও সম্পাদনা ডঃ মানজুরে ইলাহি -বইটি ফলো করি)

৫) বাসার প্রয়োজনীয় জরুরি কাজ গুলো আগেই সেরে নেয়া যেমন -আলমারির কাপড় গুছানো, বাসার অতিরিক্ত শ্রমসাদ্ধ কাজগুলো করে ফেলা , রান্নাঘরের খুঁটিনাটি ধোঁয়া মোছা, অন্তত সমস্ত বাসা একবার নিঁখুত ভাবে পরিস্কার করে নেয়া!

৬) রমাদান মাসের প্রয়োজনীয় বাজার এবং ঈদ পরবর্তি শুকনো ভারি বাজার গুলো আগেই লিস্ট করে তা সেরে নেয়া । যেন সিয়াম পালন করে বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট ও কষ্ট না হয়।

৭) সেহরি ও ইফতার এ সাস্থ্য সম্মত খাবার মেনু তৈরী করা , প্রয়োজনে কিছু ইফতারের আয়জন ফ্রিজিং করা! এতে পরে সময়ের অপচয় কম হবে।

৮) বাবা, মা, নিজ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি আত্নিয়স্বজনদের সাথে রমাদানের আগেই অন্তত টেলিফোনে যোগাযোগ রক্ষা করা। তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানা, তাদের নিকট দোআ চাওয়া।

৯) এই রমাদানে আমি কি পরিমানে ইনফাক বা সাদাকা করব তা নির্ধারন করা। বাজেট করা কোন কোন খাতে আমি ব্যয় করলে বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারব? গরিব আত্নিয়স্বজনদের , গরিব প্রতিবেশিদের, এতিমদের, মসজিদে, ইফতার ও সাহরিতে শরিক থাকার চেস্টা করা।

১০) দোআ করা। আমাদের মাঝে এমন কে না আছে যার কোন চাওয়া পাওয়া নেই? আমাদের প্রত্যেকের জীবন কোন না কোন ভাবে দুখ, দুর্দশা, চাওয়া পাওয়ার অভাব রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে অবাধ্যতা আর গুনাহের পাহাড়! আর এসব কিছু থেকে মুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছেই মুখাপেক্ষি! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নিজেই আমাদের অসংখ্য দোআ শিখিয়ে দিয়েছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামের সুন্নাহ থেকেও অনেক দোআ পাই! ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যে আযকার, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর আযাকার, সকাল সন্ধার আযকার, অন্যান্য মাসনুন দোআ গুলো তো আছেই! কারন রমাদান মাস তো দুয়া কবুলের মাস! এখন থেকেই দোয়াগুলো মুখস্থ করি, বেশি বেশি পড়ি এবং কোন কোন বিষয় আল্লাহর নিকট চাই দোআ গুলোর একটা লিস্ট করতে পারি। প্রত্যেক সালাতের পর সুন্নাহের আলোকে আযকার গুলো আদায় করতে আর সচেষ্ট হই। নতুন চাঁদ দেখার দোআটা মনে আছে তো আপু ভাইয়ারা? দেখে নিন এবং অপেক্ষা করুন রমাদানের চাঁদ দেখার অপেক্ষায়! পড়ে নিই দোআটি আর আল্লাহর কাছে সাহায্য তো চাইবই ইনশা আল্লাহ!

হযরত তালহা বিন ওবাইদুল্লাহ্ হতে বর্ণিত, হযরত নবী করীম-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, বলতেন:اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ».

‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল্ আম্নে ওয়াল ঈমান, ওয়াস্ সালামতে ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ্’

অর্থ

হে আল্লাহ্! তুমি এই চাঁদকে উদিত কর আমাদের প্রতি নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলাম সহকারে। (হে চাঁদ!) আমার প্রভু ও তোমার প্রভু (এক) আল্লাহ্।(মিশকাত)

( আমি হিসনুল মুসলিম( সাইয়েদ ইবন আলি আল কাহতানি) ও আযকারে মাসনুনাহ( ইমাম ইবনুল কায়্যিম) অনুসরন করি আলহামদুলিল্লাহ।)

#পারিবারিক প্রস্তুতি-

১) পারিবারিক মিটিং এর মাধ্যমে রমাদানের মহাত্ন্য , ফাজায়েল ও করনীয় কি সেটা আলোচনার মাধ্যমে পরিবারের সবাইকে প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা।

২) পরিবারের ছোট বড় সবাইকে নিজ নিজ প্রস্তুতি বলা ও তাদেরকেও প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা।

৩) পরিবারের সবাই মিলে কাজ গুলো ভাগ করে নেয়া, একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।

#সামাজিক প্রস্তুতি-

১) নিজ প্রতিবেশিদের খোঁজ নেয়া, তাদের সাথে রমাদানের প্রস্তুতি মূলক আলচনা করে তাদের কেও সহায়তা করা।

২) স্থানিয় মসজিদ গুলোতে রমাদান কেন্দ্রিক কি আয়জন ও পরিকল্পনা রয়েছে তা জানা এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসা ।মসজিদে যারা ইতিকাফে বসবেন তা জেনে নেয়া, প্রয়োজনীয় সহায়তায় এগিয়ে আসা!

৩) রমাদানের পুর্বেই হালাকার মাধ্যমে রমাদান বিষয়ক আলচনা করা, নারী ও পুরুষরা যার যার অংগনে বা পরিসরে করতে পারেন, সুযোগ থাকলে পর্দার পরিবেশ তৈরি করে যৌথ ভাবেও করা যায়।

৪) সকলে মিলে সমাজের অবহেলিত, অনাহারী মানুষগুলোর জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা বা উদ্যগ গ্রহন করা, একে অপরকে উতসাহিত করা।

( এটা আমাদের বোনদের হালাকায় " রমাদান প্ল্যানিং এন্ড

প্রিপারেশন" টপিকে আলোচনা হয়েছিল শাবান মাসের শুরুতেই! ব্যস্ততায় অনলাইন জগতে আসা হচ্ছিলো না তাই একটু দেরি হয়ে গেল! আশা করি বিজ্ঞ ভাই বোনগন আপানারাও আপানাদের পরিকল্পনা শেয়ার করবেন তাতে আমরা সকলেই উপকৃত হতে পারব ইনশা আল্লাহ)



বিষয়: বিবিধ

১৮০১ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

326305
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:১১
কথার_খই লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম, সময় উপযোগী লেখা..... পড়ে অত্যন্ত ভালো লেগেছে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক। আমিন।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:২০
268618
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

লিখাটা আগেই ছিলো সময়ের অভাবে দিতে পারছিলাম না! একটু বেশী দেরী হয়ে গেলো মনে হচ্ছে! তারপরেও একটু চোখ বুলানো , কারো যদি সামান্য কাজে আসে!

জাযাকাল্লাহ খাইর! আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো!
326308
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:১৫
আফরা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম আপু । আলহামদুল্লিলাহ ! আমি ভাল আছি আপু । আপু আপনি কেমন আছেন ?

আমি ও অনেক কিছু প্নান নিয়েছি জানিনা কতটুকু করতে পারব । ভাল কাজের নিয়ত করে ও তো একটা সোয়াব পেয়েছি । কাজ গুলো ও করার চেষ্টা করব । ইনশা আল্লাহ ! আমার জন্য দুয়া করবেন আপু ।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:২২
268619
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ আপু! তুমি, পরিবারের সবাই ভালো আছেন তো?

প্ল্যান থাকলে বাস্তবায়নটা অনেকখানি সহজ হয়ে যায়! আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করুন দোআ করি!Praying

জাযাকিল্লাহ খাইর! তোমার দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো আপুমনি!Praying
326311
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:২১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অসাধারণ একটি পোস্ট। মাহে রমাদানের প্রস্তুতিতে সবার কাজে লাগবে এটি। আল্লাহ আপনার লেখনিকে কবুল করুন। কলমকে আরো শাণিত করুন। আমিন...
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:২৯
268621
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া! লিখাটা আগেই ছিলো সময়ের অভাবে দিতে পারছিলাম না! খারাপ লাগছে এখন বেশি দেরী হয়ে গেছে মনে করে !

জাযাকাল্লাহ খাইর! আপনার দোআয় আমাদের শামিল রাখার আবেদন রইলো! রমাদান কারীম!Praying
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৩:৩৬
268623
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার পোস্টিংটা রাইট টাইমে হয়েছে..খারাপ লাগার কোন কারণ নেই..ধন্যবাদ।

326327
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৬:৫৫
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : আলাদা করে না লিখে আপনার লিখার সাথে আরেকটু জুড়ে দেই -
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার"। (বাকারা -১৮৩)
রোজা মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মতের জন্য আল্লাহর ইবাদত হিসাবে নতুন করে সংযোজযিত হয়নি । এটি এমন একটি ইবাদত যা পূর্বের নবী আঃ ও উনাদের উম্মতের উপরও ফরজ ছিল । যাতে মুমিনগন তাকওয়া অর্জন করতে পারে ।

"রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী ফুরকান..বাকারা ১৮৫ "।
কেউ যথাযথভাবে রোজা পালনের চেষ্টা করল, কিন্তু কোরআনে আল্লাহ হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী কি বিধান নাজিল করেছেন তা জানলোইনা । আল্লাহ মিথ্যা বলতে না করেছেন, 'বলেছেন, তোমরা সত্য স্বাক্ষ্য প্রদান কর । আমানতদার হতে বলেছেন । সুদের সাথে জড়াতে না করেছেন । এভাবে করেছেন কত বিধি বিধান । সে রোজা রেখে কিভাবে মুত্তাক্বী হতে পারবে ?
সুতরাং মহিমান্বিত রমজানের ফায়দাতো নেবোই, সাথে পরহেজগারীর জন্য কোরআন থেকে শিক্ষা নিতে হবে । তেলাওয়াততো করবোই, সাথে কোরান বুঝে সবাই তা জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টাও করবো ইনশা'আল্লাহ ।
১৭ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:০২
268750
ধ্রুব নীল লিখেছেন : ভাল লিখেছেন ভাই।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩৭
268795
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

কোরআনের আয়াতের সংযোজন করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সওয়াব অর্জন নয় বরং হাকীকত বুঝে আমল করার মধ্যেই রয়েছে স্বার্থকতা! এটা আমরা অনেক মুসলিমই বুঝতে অপারগ!

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দিন! অতি উত্তম মন্তব্য ও দোআর জন্য শুকরিয়া!আপনার দোয়ায় আমাদের শামিল রাখবেন!


326330
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৩৬
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩৯
268797
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! সময় করে চোখ বুলাবো ইনশা আল্লাহ!


Praying Good Luck
আপনার দোয়ায় আমাদের শামিল রাখবেন!Praying
326349
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:১৩
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : আমার রমাদান প্লানিং চলতেছে বেশ কিছুদিন যাবৎ, কিন্তু সবকিছু এক জায়গায় করা হচ্ছে না। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুতই করে ফেলবো। আপনার এই পোস্ট থেকে নতুন কিছু পয়েন্ট পেলাম, কাজে লাগবে। আর এটা আপনাদের কাজে লাগতে পারে, আল্লাহ কোরানে যতগুলো দো'আ আমাদের শিখিয়েছেন, তার সবগুলো একসাথে।

http://steps2paradise.blogspot.in/2009/11/forty-rabanna-dua-from-al-quran.html?m=1

পুরো রমাদান মাসটাই দো'আ কবুলের মাস, কিন্তু ইফতারীর সময়টা আরো স্পেশাল দো'আ কবুলের জন্‌য। সেই সময় এই দো'আ গুলো পড়ার নিয়ত করেছি। আল্লাহ আমাদের সবার রমাদানের আমলগুলো এবং তা থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাবার পথ সহজ করেন দিন!
১৭ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:০৫
268751
ধ্রুব নীল লিখেছেন : Masha allah. I am really pleased to see the whole pack of Ramadan's dua.
Jajak allah khair.
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
268803
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

আপনার প্ল্যানিং চলছে জেনে ভালো লাগলো! আল্লাহ আপনাকে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন! আমিন!

দোআ সম্বলিত লিংকটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! দোআ নিয়ে আামরো একটি পোস্ট আছে , সময় করে দিবো ইনশা আল্লাহ!

দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!

Praying Good Luck
326350
১৭ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:৩৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। উত্তম পোস্ট। রমজান মাস আমার প্রিয় এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই মাস আসার আগেই আমার আত্মা খাচা ছাড়া হয়ে যায়। যতবার ভাবি শেষ হয়ে যাই। ইয়া আল্লাহ আমাকে হেফাজত করেন নইলে আমি শেষ। এত লম্বা দিন,এত গরম....ইয়া আল্লাহ...আমার যেন ক্ষুধা না লাগে আর পিপাসাও যেন কম লাগে। ......আর সওয়াব আমাকে ৭০০গুনেরও বেশী দিবেন। এই আপনার এক নগন্য বান্দার অন্তরের আকুতি ....বলেন আমিন !!
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:১০
268700
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমীন ইয়া রব।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৪৮
268805
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

রমাদানে সিয়াম শুরু হলেই দেখবেন আত্না আবার খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করেছে! আল্লাহ সহজ করে দিন! দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!




Praying Good Luck

বারাকাল্লাহ ফিক!
326360
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সাদিয়াপি। মা শা আল্লাহ, রামাদান সম্পর্কে আপনার জ্ঞান ভান্ডার আমাদের জন্য উজাড় করে দিলেন। অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইরান কাছিরান।
এধরনের আরো পোষ্ট লিখবেন, যাতে থাকবে সাহরীর ফজিলত, ইফতারের ফজিলত, ইফতার করানোর ফজিলত, রোজার ফজিলত, সাদাকাহ ও যাকাতের ফাজিলত, ইতিকাফসহ রামদানের টুকিটাকি মাসআলার বর্ণনা।
আপনার রামাদানের আয়োজন দেখে আমি ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলাম। যদি বাড়িতে থাকতাম, অবশ্যই মা চাচীদের নিয়ে রামাদানের করনীয় ও বর্জনীয় নিয়ে একটি হালকার আয়োজন করতাম। যেখানে আলোচনা হতো সঠিক আমল ও কুসংস্কার সম্পর্কে। সত্যিই চমৎকার হতো।
গ্রামের মহিলাদের ধর্মীয় জ্ঞান একেবারে সীমিত, সেই মক্তব থেকে শিখে আসা ক্রটি মিশ্রিত সামান্য জ্ঞান। যা যথাযথ নয়।
অনেক অনেক শুকরিয়া। শেষ রাতের তাহাজ্জুদের দোয়ায় ছোটভাইটিকে স্বরণ রাখবেন।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫২
268807
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুমাসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!

এই লিখাটা গতবছর লিখেছিলাম, আমাদের এখানে হালাকা করি সেটার কিছু অংশবিশেষ থেকে! রমাদানে কতোটা বসা হবে বুঝতে পারছি না!

দেশের মানুষদের জন্য আসলেই ভাবনা হয়। উনাদের ইবাদতের প্রতি আবেগ আগ্রহ অপরিসীম কিন্তু সঠিক জ্ঞান খুব মানুষের আছে! কিছু করতে পারলে আসলেই ভালো লাগতো! আপনার দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!




Praying Good Luck
326362
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:১২
আবু জান্নাত লিখেছেন : মডারেশন ফোরামের প্রতি বিনিত অনুরোধ, এই পোষ্টি অন্তত স্টিকি করুন। যাতে সব ব্লগার রামাদান সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা নিতে পারে। আপনাদের প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করবো।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫৩
268808
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার আন্তরিকতার জন্য অশেষ শুকরিয়া!Good Luck
১০
326363
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহতায়লা আমাদের রমজান এর পূর্ন হক আদায় এর তেীফিক দিন।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫৪
268810
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম !

রমাদানে আপনার দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!




Praying Good Luck

১১
326396
১৭ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৩
মু নূরনবী লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক চমতকার লিখেছেন।

সম্ভবত এটা আগেও একবার পড়েছি...তবুও কিছু জিনিস মেমোরাইজ করে নিলাম।

জাজাকাল্লাহ।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫৫
268811
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ! জ্বি এটা গত বছর লিখেছিলাম! জাযাকাল্লাহ খাইর! রমাদানে আপনার দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!




Praying Good Luck
১২
326403
১৭ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:০৫
হতভাগা লিখেছেন : রমজানের সময় আপুরা প্রিপারেশন নেয় ঈদের জন্য কি কি বাজার করবে , কিভাবে স্বামীকে ছিল্‌ দেওয়া হবে তার বেতন ও বোনাসের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে।

রমজানের শেষ দশ দিন জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পাওয়ার সময় । কিন্তু এই সময়ে আপুরা চরম টেনশেন থাকেন বাজারে কি কি পোশাক এলো এবং তার চেয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এসবে কতটুকু তাকে পেছনে ফেলবে - এই নিয়ে ।

রোজা থেকেও মার্কেটকে মার্কেট চষে ফেলেন উনারা পছন্দের পোশাকের জন্য । কোন ক্লান্তিই তখন থাকে না ।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৯:০০
268815
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম !

আপু/ মহিলাদের রোযা কেটে যায় শপিং, সেহরী এবং ইফতার প্রিপারেশনে! এটা ঠিক কিন্তু সবার নয়! আল্লাহ আমাদের বোনদের সঠিক জ্ঞান দান করুন এই দোআ করি! এজন্যই আমরা বোনদেরকে ইসলামিক আলোচনায় শামিল থাকতে বলি অন্তত কিভাবে সঠিকভাবে রমাদানের হক আদায় করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা শুনলে কিছুটা পরিবর্তন আসবে আশাকরা যায়!

আপনার উপস্হিতি ও মন্তব্যের ঝন্য আন্তরিক শুকরিয়া! রমাদানে আপনার দোআয় আমাদের শামীল রাখার অনুরোধ রইলো!




Praying Good Luck
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
268838
হতভাগা লিখেছেন : রোযার শুরুতে সবাই খুব ধার্মিক বনে যায় , রোজা যতই শেষের দিকে চলে যায় ততই খোলস বের হয়ে আসে ।

অন্যের কথা বাদ দিন , আপনি নিজে শপিং থেকে দূরে থাকতে পারবেন ?
১৮ জুন ২০১৫ রাত ১২:০১
268858
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : চমৎকার প্রশ্ন! আলহামদুলিল্লাহ রমাদানে আমাদের শপিং করা হয় না! শাবান মাসেই আমি আমার ছেলের জন্য ড্রেস কিনে ফেলি বা আগের কোনো ড্রেস থাকলে সেটা দিয়েও কাজ চালাতে চেষ্টা করি! বাংলাদেশে থাকতেও আমরা কখনো শপিং এর দায়িত্ব নেই নি! আব্বা পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতেন সেটাতেই আমাদের চলে যেতো! আর বিয়ের পর আমার হাসবেন্ডের বোন কেনাকাটা করে দিতেন এটাও আমার জন্য অনেক এহসান ছিলো! শুকরিয়া আপনাকে! Happy
১৮ জুন ২০১৫ সকাল ০৮:৪৬
268900
হতভাগা লিখেছেন : বাবারা ঈদের মার্কেটিং করার সময় পান না , এটা করেন মায়েরাই ।

আর কোন মেয়ে তার ননদের করা ঈদের বাজারে কি সন্তুষ্ট হয় ?


এরকমের রম্য মন্তব্য আপনার এই গাম্ভীর্যপূর্ণ পোস্টটাকেই হালকা করে দিল ।
১৩
326404
১৭ জুন ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
ধ্রুব নীল লিখেছেন : আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন রমাদান কে আমাদের জন্য কামিয়াবের মাস হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
আপুর জন্য দুয়া করব ইনশাল্লাহ। সাথে দুয়ার আবেদনও রইল।
১৭ জুন ২০১৫ রাত ০৯:০২
268819
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন :
আসসালামু আলাইকুম ! আশাকরি ভালো আছো ভাই? উপস্থিতি ও চমৎকার দোআর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! আল্লাহ আমাদের সবাইকে কামিয়াবী দান করুন!



Praying Good Luck
১৪
326498
১৭ জুন ২০১৫ রাত ১১:১৪
আবু জারীর লিখেছেন : হে রব্বুল আলামীন! আমরা যেন তোমার প্রদত্ত এই সুযোগকে পুরাপুরি কাজে লাগাতে পারি সেই তাওফিক দাও।

সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৮ জুন ২০১৫ রাত ১২:০২
268859
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম আমল এবং উত্তম কাজের মাধ্যমে রমাদানের হক আদায় করার তৌফিক দান করুন! আপনাদের ওখানে কি চাঁদ দেখা গিয়েছে?

জাযাকাল্লাহ খাইর!
১৫
327103
২২ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৩২
তাসনুভা লিখেছেন : কিছু কিছু করেছি ,সব পারিনি । আল্লাহ যেন সবার সময়ে বারাকাহ দেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File