''তোমার সাথে বেঁধেছিনু এ প্রাণ''
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৩ জুন, ২০১৫, ০৬:৩৭:০৯ সন্ধ্যা
তখনো পূবের আকাশে সূর্যের লালিমা দিগন্ত ভেদ করে আসে নি, চারিদিক নিস্তব্ধতায় ছেঁয়ে আছে! গাছের কোনো এক ডাল থেক ভোর জাগানিয়া পাখির সুমিষ্ট শীষধ্বনি ভেসে আসে বাতাসে! এই সময়টা খুবি ভালো লাগার একটা মুহূর্ত মালিহার! স্বচ্ছ পরিষ্কার বাতাসে মায়াবী উতাল করা একটা সতেজ ঘ্রান! বুক ভরে শ্বাস নিতে খুব ভালো লাগে! শুধু বিশুদ্ধ বাতাস নয় এখানের আবহাওয়ায় শ্বাসের সাথে শান্তিও প্রবেশ করে বুকের ভিতর! দূর আকাশের থোকা থোকা মেঘপুঞ্জের দিকে তাকিয়ে ভাবে, কতো অজানা স্থান ঘুরে ঘুরে বেড়িয়ে আসছে এই মেঘমালারা! নিজেকে ঐ মেঘের দেশে হারিয়ে যাওয়া কোন এক স্বপ্নের দেশে, শান্তির দেশে এক মেঘবালিকা হয়ে ঘুরে বেড়াতে খুব খুব ইচ্ছে করে মালিহার! একটা সময় ছিলো যখন সে প্রতিটা মুহূর্ত অপেক্ষা করেছে তারঁ প্রিয়জনের কাছে আসার জন্য! কতো অসম্ভব আর আজগুবি চিন্তাই না আসতো মনের মাঝে ! প্রায় ভাবতো মেঘ হয়ে যদি চলে যাওয়া যেতো তাঁর কাছে! ঠিক ওর জানালার কাছে গিয়ে ওকে একটু দেখে আসতাম তাঁকে!
সূর্যের আলোর জন্য অপেক্ষা করছে মালিহা! আকাশের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে সে! যে আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল সেই আলোর অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে আছে সে! বিষ্ময়ে অবাক হয়, সেই অপার সৌন্দর্য্য আত্নস্হ করে অপলক নয়নে! সারা আকাশ জুড়ে ধীরে ধীরে রক্তিম লালচে লালিমার আভা!এখনো মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে দিক বিদিক ছুটছে ক্লান্তহীন!
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখ কপালে ওঠে যায় ! বাব্বাহ এরি মাঝে এতো সময় পার হয়ে গেলো! রান্না ঘরের দিকে তড়িৎগতিতে ছুট লাগায় মালিহা!
আজ মালিহার ছুটি পড়েছে! ছুটি না বলে ছুটি পড়েছে বলার অর্থ হলো মালিহার কোনো ছুটির দিন অবসরে কাটানোর উপায় বা সুযোগ নেই! ছুটির দিনে বাচ্চাদের স্কুলে পড়ানোর একটা দায়িত্ব থাকায় এই টুকু সুখ স্বেচ্ছায় বর্জন করেছে মালিহা! ছোট ছোট সুকোমল বাচ্চাদের কাছ থেকে পাওয়া আদর ও ভালোবাসা ওর সমস্ত কষ্টকে নিমিষেই ম্লান করে দেয়! আর তাই ছেড়ে দেই দিচ্ছি করেও এই কাজটা থেকে সরে আসা যাচ্ছে না!
কিন্তু আজ ঘটনাক্রমে ছুটি পাওয়া গেছে! গতকাল রাতে বাচ্চাদের কাছে বলা মাত্রই বুশরা ও ত্বোহা আনন্দে জড়িয়ে ধরেছে মাকে! সাথে সাথেই প্রস্তাব পাস হলো সকালে সবাই মিলে একসাথে নাস্তা বানানো হবে!
সকালে উঠে বুশরা আলুর খোসা ছড়াতে লেগে গেলো, ত্বোহা আর তাঁর বাবা তখনো বিছানায় আলস্যের গড়াগড়ি খাচ্ছে! এক চুলায় রুটির পানি বসিয়ে দিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাটতে লেগে গেলেন মালিহা! গত রাতেই সুজি আর ছোলার ডালের বরফি করে রেখে দিয়েছিলেন ফ্রীজে! এখন শুধু সবজি ভাজি আর ওমলেট করলেই হবে!
রুটি বেলা শুরুর আগেই দরজায় উঁকি দিলো ত্বোহা ও তাঁর বাবা ! দুজনের গলায় অভিযোগের স্বর তাদের রেখে কেনো শুধু মা- মেয়ে মিলেও নাস্তার আয়োজন করা হচ্ছে?
বুশরা হাসি হাসি মুখে বললো, আব্বু তোমাদের তো ঘুম ই ভাংছে না, আমরা যদি তোমাদের আশায় বসে থাকি দুপুরের খাবার টাইম হয়ে যাবে তবু নাস্তা হবে না!
বুশরা সব্জি কেটে দিলে মালিহা সেটা কড়াইয়ে চাপিয়ে দিলেন! ত্বোহা টেবিলে প্লেট সাজাতে লাগলো! ওদের বাবা জামিল রুটি ভেজে সাহায্য করলেন মালিহাকে!
নাস্তার টেবিলে পুত্র ত্বোহাকে আদর করে যখন মালিহা বললো, রুটির মাঝে সবজি প্যাঁচিয়ে রোল এর মতো করে দেই আব্বু ?
পরক্ষনেই বুশরার প্রশ্ন, আম্মু ত্বোহা তোমার ছেলে তুমি ওকে আব্বু বলো কেনো? আমাদের নানাভাই তোমার আব্বু এবং উনি অনেক বয়স্ক একজন লোক!
হাসতে হাসতে মা বললেন- আরে পাগলি, ত্বোহা হলো আমার ছোট আব্বু! আদর করে আমি তোমাকে আম্মু আর তোমার ভাইকে আব্বু বলি!
কিন্তু আম্মু আমরা টু মাচ ইয়ং! আমাদের তুমি বুড়ো বানিয়ে দিচ্ছো!
হাসির রোল পড়ে যায় টেবিলে!
আম্মু জানো যখনি নানাভাইয়ের কথা মনে করতে যাই তখনি শুধু মনে পড়ে নানা ভাই ভ্রু-কপাল কুঁচকে সবাইকে ধমাকাচ্ছেন! নানভাইয়ের ভালো কোনো স্মৃতি মনেই আনতে পারি না!
তোমার নানাভাই সবসময় সবকিছু পারফেক্টলি চাইতেন! উনি মনে করতেন সবাইকে টাইমলি কাজ করতে হবে! সবকিছু ফিটফাট, টিপটপ থাকবে, কোন ভুল হবে না! যখনি কোন উলটপালট দেখতেন তোমার নানাভাইয়ের মেজাজ চড়া হয়ে যেতো!
কিন্তু তোমার নানাভাই তোমাকে যতো আদর করেছেন আর কোন বাবুকে এতো আদর করেন নি তবু তোমার সেই ভালো স্মৃতি মনে পড়ে না? মালিহার প্রশ্ন!
তুমি জানো তোমার নানাভাই তোমার জন্মের সময় কি করেছেন ?
আমি যখন হসপিটালে এডমিট হলাম তারপর থেকে সমস্ত সময় উনি শুধু আমাদের জন্য দোআ করেছেন, রোযা রেখেছেন, নফল নামাজ পড়েছেন! হসপটালের ডাক্তার আর নার্সদের শুধু রিকোয়েস্ট করেছেন আমার দিকে বিশেষ নজর রাখতে! এমনকি হসপিটালের সমস্ত বিলও তোমার নানাভাই দিয়েছেন! তোমার আব্বুকে দিতে দেয় নি!
কথার মোড় পাল্টে বুশরা তার কথার তীর ছুঁরে দেয় বাবার দিকে! আব্বু তুমি আমার জন্মের সময় কেনো থাকো নি ? তুমি কি আর কয়েকটা দিন পর প্লেনে উঠতে পারতে না? কথার মাঝে একটা চাপা কষ্ট সবাই টের পেয়ে যায়!
আমি তো জানতাম না সোনা, ঠিক ঐ দিনই যে তুমি আমাদের কাছে চলে আসবে! তোমার তো আরো একমাস পরে আসার কথা ছিলো! আমি যদি জানতাম আমার প্রথম সন্তান সেদিন দুনিয়াতে আসবে আমি কোনোদিনই প্লেনে উঠতাম না!
সত্যি! বুশরার চোখ আনন্দে জ্বলজ্বল করে ওঠে! ওর ধারনা ছিলো ওর বাবা জেনেশুনেই প্রবাসের পথ পাড়ি দিয়েছিলো! এই বিষয়টা ওকে মনের বদ্ধ ঘরে অনেক যাতনা দিয়েছে! বাবার নিজের মুখে শুনতে পেয়ে আজ ওর খুবি ভালো লাগছে!
সবচাইতে সুন্দর ব্যাপরটা কি জানো? আমি নিজেও ফ্লাইট কনফার্মের বিষয়টা জানতাম না, বুশরামনির দুনিয়াতে আসতে আরো একমাস বাকি ছিলো সব মিলিয় আমি অজানার পথে পাড়ি দিলাম! তোমার আম্মুকে যে একাকী রেখে যাচ্ছি এটা বুশরামনির ভালো লাগে নি! একাকিনী নিঃসংগ মায়ের কোল আলোকিতো করতেই আমার বুশরা মা একমাস আগেই চলে এসেছে মায়ের কাছে! আমি নেই তুমিও যদি দেরী করে আসতে ভেবে দেখো আম্মুর সময়টা কতো পঁচা কাটতো?
সত্যিতো! এভাবে তো ভাবি নি! বুশরা মনি না থাকলে ঐ সময়টা পাড়ি দেয়া আমার জন্য অনেক কঠিন হতো! সুর মেলালেন মালিহা!
সব ক্রডিট আমার আম্মু ! বুশরামনি এবার আনন্দে আত্নহারা!চোখে মুখে খুশির স্পস্ট ঝিলিক ! জন্মের পর বাবাকে না পাওয়া বুশরার একটা আজন্ম দুঃখ ছিলো! পুরো সাড়ে চারটি বছর ওকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বাবাকে দেখার জন্য! ওর কচি মনে কতোই না প্রশ্নের উত্তাল তরংগ বয়ে গেছে তাও কাউকে জানতে পর্যন্ত দেয় নি! একা একা কষ্ট পেয়ে যেতো! ছোট ভাইয়ের জন্মের সময় ও নিরবে পর্যবেক্ষন করেছিলো ওর বাবার প্রতিটি পদক্ষেপ! মায়ের যত্ন নেয়া, ভাইয়ের সেবা করা, পরিস্থিতি সমাল দেয়া, সেবা যত্ন যতই দেখেছে ওর মনের গভীরে ততই আঁচড় কেটেছে ওর সময় ওর বাবা ওকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে! একটা প্রচ্ছন্ন ক্ষোভ কাজ করতো ওর শিশু মনে! ওর মা যদিও সবসময় ওকে বুঝিয়ে বলতো তবু কেনো জানি মন খারপের পরিমান টা কমতোই না!
আজ এতো বছর পরে একসাথে আবার সেই আলোচনায় বুশরার মনের দ্বন্দ কেটেছে ! বয়সটাও একটু একটু করে বাড়ছে বলেই হয়তো সত্যটা মেনে নিতে ওর সমস্যাও হচ্ছে না!
টি পট থেকে চা নিয়ে চুমুক লাগালেন জামিল! বুশরার দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার জন্মের পর তোমাকে সবার প্রথম কোলে নিতে না পারার দুঃখ আমার সারাজীবন থেকে যাবে! তোমার প্রথম তাকানো, হাসি, কান্না, বুলি,সবকিছু আমি কঠিন ভাবে মিস করেছি মা! খুব দেখতে ইচ্ছে করতো ঘুমিয়ে থাকলে তোমাকে কেমন লাগতো! যখন জেগে উঠতে কেমন করতে! প্রথম বার উপুড় হয়ে যাওয়া, বিছানা গড়িয়ে নিচে নামা, হামাগুঁড়ি দেয়া তারপর দাঁড়িয়ে যাওয়া, দাঁড়াতে গিয়ে পড়ে যাওয়া, হাঁটিহাঁটি পা পা করে যখন হেঁটেছো তোমার ছোট হাতটি নিজের মাঝে ধারন করতে না পারার অক্ষমতা আমাকে অনেক কাঁদিয়েছে!
জানো তখন আমি কি করতাম? অবসরে একটা পার্কে চলে যেতাম যেখানে অনেক বাচ্চারা খেলতে আসতো তাঁদের বাবা-মায়ের সাথে! ওদের মাঝে বয়স জিজ্ঞেস করে তোমার বয়সী বাচ্চাটিকে দেখতাম খুব করে! তখন মনের চোখে অবলোকন করতাম তোমাকে! পার্কটির সীমানা জুড়ে ছিলো উঁচু গাছের বেড়া! আমি হাঁটতাম সেই গাছের কচি পাতাগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে! মনে হতো আমি যেনো তোমার হাত ধরে আছি!
এবার অশ্রু টলমল বুশরার আঁখিদ্বয়ে! এতোদিন বুকের মাঝে জমানো কথা গুলো চাপা পড়ে ছিলো সেগুলো আজ বাঁধভাংগা জোয়ার হয়ে ঢেউ তুলেছে চোখে! আজ ওর কোনো দুঃখ অনুভূত হচ্ছে না! এতো দিন কেনো আলোচনা হয় নি? আসলে বুশরাই চাইতো না আলোচনা করতে! প্রসংগ আসলেও এড়িয়ে যেতে চাইতো! মা ওকে সবসময় বাবার পক্ষ নিয়ে বলতেন এতে ওর মনে হতো মা শুধু বাবার সম্পর্কে কোন ভুল ধারনা না করার জন্যই এসব বলেন! মাঝে মাঝে মনের বালুচরে জমে থাকা অভিমান এভাবেই যদি ভালোবাসার স্রোতের টানে সব মুছে দিয়ে যায় তাতে ক্ষতি কি? ভালো হয়েছে দেরীতে হলেও মনের কষ্ট মুছে গেছে!
নাস্তার টেবিলের সব এঁটো প্লেট- গ্লাস বেসিনে রাখছিলেন মালিহা আর বুশরা সব খাবার বাটিতে ভরে রাখলো! বুশরা নিজে থেকেই বললো, আম্মু আজ তোমার ছুটি তুমি আর কোন কাজ করো না! বেসিনের প্লেট আমি ধুয়ে দিবো!
জাযাকিল্লাহ ! দ্যাটস মাই গুড গার্ল বলে মেয়েকে আদর দিতে গেলে মেয়ে ছুট করে দৌড় দেয় পাশের রুমে! চিৎকার করে বলে আম্মু আমি বড় হয়েছি এভাবে হুটহাট জড়িয়ে আদর করা আমার কাছে টু মাচ ফেমিনিল মনে হয়! রান্না ঘর থেকে হাসতে থাকেন মালিহা ও জামিল ! মেয়েটাকে একটু আদর করবেন সে উপায় নেই আজ ক'বছর যাবত! মেয়েটার দিকে একটু তাকিয়ে থাকলেও সমস্যা! তাকালেই বলে এভাবে দেখার কি হলো?
আবার যখন মালিহা কোন কাজে রাগ হয় তখন যখন বলে তোমাকে আমি দেখতে চাই না, চোখের সামনে থেকে দূর হও! তখন বুশরামনি ঠিক চোখ চোখ রেখে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চোখ বড় বড় করে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে! আর আদুরে স্বরে বলবে আমার আম্মু আমাকে ভালোবাসে না! আমার দিকে তাকায় না! আমি কি নিগ্রো? আমি কি পেত্নি? তখন আর রাগ করে থাকতে পারেন না মালিহা! হেসে ফেলেন!
বেড রুমে এসে ঘড়ির দিকে তাকালেন মালিহা! নাস্তা আর গল্পে দশটা বেজে গেছে! টানটান বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলেন! মোবাইল হাতে নিয়ে মেসেজ গুলো দেখলেন, কয়েকটা উত্তর দিলেন! আজ কতো তারিখ দেখার জন্য ক্যালন্ডারে চোখ ঘুরিয়ে তাকাতে চোখ স্হির হয়ে গেলো! পুব আকাশের সেই লালিমা ধীরে ধীরে তাঁর দু গালে ছড়িয়ে পড়েছে! পিতা পুত্র একসাথে বাইরে বেড়িয়েছে মাত্র! তৃপ্তি আর স্বস্হির লম্বা শ্বাস নিলো মালিহা! মোবাইলটা হাতে নিয়ে পতির উদ্দেশ্যে মেসেজ লিখলেন-
"তোমার সাথে বেঁধেছিনু এ প্রাণ"
মালিহা চোখ বন্ধ করে নিজেকে নিয়ে চলে স্মৃতির সাগরে আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে! যেদিন অসম্ভব ভালো এই মানুষটির সাথে তাঁর জীবন জুড়ে গিয়েছিলো ঐশী তিনটি বাক্যের মায়ায়! সেই আনন্দঘন- মধুর স্মৃতিটুকু তাঁর মনের শান্ত নদীতে টুপ করে একটা বড়ই পড়ার মতোই ঢেউয়ে ঢেউয়ে তরংগ বয়ে তুললো যা ছড়িয়ে পড়লো তাঁর সমস্ত তনু মনে ....
বিষয়: বিবিধ
১২৮৮ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম মন্তব্যকারী ও চমৎকার উপলব্ধি প্রকাশের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
ধন্যবাদ চমৎকার উপস্থাপনাও কল্পনা মিশ্রিত গল্পটি হূদয় উদ্ভেলিত হলো। ধন্যবাদ।
বাচ্চাদের সামার ভ্যাকেশন শুরু হয়ে গেছে!তিনমাসের লম্বা ছুটি! সব কিছু সামলে ব্লগে বসাটা কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দোআ রাখবেন আমাদের জন্য!
চমৎকার মন্তব্যটি অনেক ভালোলাগা দিয়ে গেলো!জাযাকাল্লাহু খাইর!
লেখার শেষের অংশটুকু আমার কাঁটা ঘায়ে লবণ ছিটিয়ে দিলো! কেন এমন লেখা লিখতে গেলেন???? ওরা আমায় বিয়েটা করতে দিলো না! আজ ঘরে বউ থাকলে এই লেখাটা কত যে মধুর লাগতো, অথচ এখন তেঁতুলের মত লাগছে।
তবুও বোন আমার, একটা সত্য কথা বলে ফেলি, আজকের লেখাটা অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার হাতে এতো যশ আসে কোথা থেকে? মাশাআল্লাহ!
বানান ভুল সত্যি আমাকে কঠিন পীড়া দেয়! প্রায় দশ বছর কেউ কারেকশন করছেন না লিখা , ওভাবে লিখাও হচ্ছে না তাই ভুলটা ও নজরে আসতে সময় লেগে যাচ্ছে! আপনাদের মতোন ভাইরা থাকলে টিচারের কাজ টা হয়ে যাবে!
প্রতীক্ষার ফল মধুর হবে ইনশা আল্লাহ! আপনার সাথে যার জুড়ি বন্ধন লিখা আছে তিনি আসবেন ই! এই প্রতীক্ষার পথকল্যানকর হোক এই দোআ ও শুভকামনা রইলো!
চমৎকার অনুভূতি রেখে যাওয়ার জন্য আবারো শুকরিয়া ভাই! জাযাকাল্লাহু খাইর!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
কি বুঝেছো?
দোআর বিশেষ আবেদন রইলো! জাযাকাল্লাহ খাইর!
সন্তানের প্রথম আবির্ভাবের সময় পাশে না থাকাটা যে কতোটা মর্মবেদনার কারণ সেটা শুধু মাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন!
ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পড়েছেন এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি ভাই! আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো! আলহামদুলিল্লাহ!
জাযাকাল্লাহু খাইর! শুভকামনা রইলো! পরিবার ও আদরের মেয়েটার জন্য সালাম ও দোআ রইলো!
আমি জানি জামিলের পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। জামিল, মালিহা, বুশরা ও ত্বােহা মানে হাসান। কিন্ত এক চুলায় রুটির পানি বসিয়ে দিয়ে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাটতে লেগে গেলেন নাবিলাএই নাবিলা কে?
নাকি মালিহার অপর নাম, অজান্তে লিখে ফেলেছেন!
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। বুশরার নানার প্রতি আমার আন্তরীক সালাম রইল।
সূক্ষ পর্যবেক্ষনের জন্য সত্যি প্রশংসা করতেই হয়! গল্পের নায়িকার নাম নিয়ে কিছুটা দ্বন্দে ছিলাম নাবিলা / মালিহা! মনের অজান্তেই ভুলটা হয়ে গেছে!
ইনশা আল্লাহ সালাম পৌঁছে দিব! আমাদের জন্য দোআ করবেন ভাইয়া!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
চাল,ডাল ,তেল নুন আর আমার শ্যাম্পু,ক্লিনার!!
আপনার কি সৌভাগ্য ঘরে এমন একজন সচেতন ঘরনী পেয়েছেন! আমাদের শ্রদ্ধেয় বৌরানী ভাবীকে সালাম জানাবেন!আর হ্যা, আপনি মাঝে মাঝে হৃদয় উজার করে কিছু মেসেজ পাঠিয়ে দেন না ভাইয়া, দেখবেন বৌরানীভাবী ঠিক শিখে যাবে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনাকে অনেক শুকরিয়া সুন্দর ভাবে বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য| জাযাকাল্লাহু খাইর!
পুটির মা আসুক বুঝবেন!
লেখার হাত অতুলনিয়, কিবোর্ড ফেইল দাররুন
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আপনার দরদমাখানো সুমিষ্ট মন্তব্যখানিও আমার মন কে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলো!
যদিও এই টাইপ কনভার্সেশন আমাদের বাসায় হওয়া একেবেরে অসম্ভব!! কারণ, আমি আর আব্বু দুজনই বেসম্ভব মাপের ভোম্বল!!
মনের মাঝে যদি কষ্টের গোপন কালো মেঘের ঘনঘটা না থাকে তাহলে হয়তো খুব একটা প্রয়োজন হয়না কনভার্সেশনের! তবে অভিমান ঝড়ে রুপ নেয়ার সম্ভাবনা থাকলে কথা বলা ই উত্তম!
অনেক অনেক দোআ ও শুভকামনা রইলো আপনাদের প্রতি!
যারা ওয়াইফ কে এভাবে এ অবস্থায় রেখে বিদেশ চলে যায় তাদের মনে যে শুণ্যতা কাজ করে তা আসলে অন্য কোন কিছু দিয়ে পূর্ণ করার নয়।
আপু আপনার গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসম্ভব ভাল লেগেছে......।
আপনাকে অনেক শুকরিয়া আপু! যারা ভুক্তভোগী শুধু তারাই জানেন কতোটা কষ্টকর মুহূর্তগুলো!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
চমৎকার গল্প
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
দিবস গত হইয়া গিয়াছে আপু তথাপি সেই দিনের আবেগ এখনো রজনীগন্ধার সুবাস ছড়াচ্ছে
হুমম...তাতো বুঝতেই পারছি।
ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হুট করেই লিখতে বসেছিলাম! আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে শ্রম স্বার্থক হলো!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপু আমি নিজেও এই সমস্যায় আছি! লিখা পোস্ট করেছি অনেক আগে কিন্তু সময় করে জবাব দেয়ার জন্য বসতেই পারছি না! আমারো খারাপো লাগছে!
আপনার আন্তরিকতার জন্য শুকরিয়া! জাযাকিল্লাহ খাইর!
সময় করে পড়েছো তাতেই আপু খুশি হয়েছি! জাযাকিল্লাহু খাইর!
অনেক প্রবাসীর জীবনের সাথে মিলে যাবে এ গল্পটি। খুব ভালো লাগলো।
শ্রদ্ধেয় ভাইয়া, সময় করে পড়েছেন তাতেই আমি অনেক খুশি হয়েছি! ভুক্তভোগীরাই জানেন এ কষ্টের স্বরুপ!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন