"বিন্দু বিন্দু জল"
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২১ মে, ২০১৫, ০৭:৩৯:০৪ সন্ধ্যা
ঘটনা-১) তখন কোন ক্লাসে পড়ি সঠিক মনে নেই কিন্তু এটা মনে আছে আমি তখনো পেন্সিল দিয়ে লিখতাম। আনুমানিক ক্লাস টু এর ঘটনা হতে পারে। খাতায় বেশ কিছু পৃষ্ঠা খালি থাকা অবস্থাতেই পরের পৃষ্ঠায় লিখা শুরু করতাম আর পেন্সিল পুরোটা শেষ হওয়ার আগেই নতুন পেন্সিলের জন্য কান্নাকটি জুড়ে দিতাম!
একদিন পড়তে বসেছি, আমার বড় ভাইয়া এসে পাশে বসলেন, আমার খাতা উল্টে দেখলেন। বরাবর আমার খাতায় বেশ কিছু পৃস্ঠার অপচয় খুব সহজভাবেই ধরা পড়লো!
ভাইয়া আমাকে বললেন , জানো আমি আর বড়াপা (পিঠাপিঠি দুজন) যখন স্কুলে পড়তাম তখন এমনো দিন গিয়েছে আমরা একটা পেন্সিল ভাগ করে দুজনে লিখেছি আর একটা পৃষ্ঠার পেন্সিলে লিখা অংশ মুছে দিয়ে আবারো সেখানে লিখেছি! আমরা পড়াশোনা করেছি কিন্তু অপচয় করিনি!
আমি যা বুঝেনিয়েছিলাম তা হলো নিশ্চয় আব্বা তখন খুব গরীব ছিলেন না হলে কেনো আপা-ভাইয়া এভাবে খাতা -পেন্সিলের জন্য কষ্ট করেছেন? যাই বুঝেছিলাম না কেনো তারপর থেকে সজ্ঞানে আর কখনো খাতা পেন্সিলের অপচয় করি নি! লিখাপড়ার সময় আমার মনের মধ্যে শুধু আপা- ভাইয়ার খাতা পেন্সিল ভাগাভাগির করুন দৃশ্য ফুটে উঠতো! আর ভয় লাগতো যদি আবার গরীব হয়ে যাই আমরা!
ঘটনা ২) আমাদের কলোনী থেকে আমার নানার বাড়ি ছিলো খুব কাছে। আব্বা সেখানে কিছু জমি কিনেছিলেন এবং বাড়িও করেছিলেন । সেই জমিতে যে ধান হতো তা দিয়ে আমাদের চলে যেতো বেশ ভালোভাবে। কলোনীতে দেখতাম সব বান্ধবীদের আব্বারা বাজার থেকে বিশাল চালের বস্তা কিনে রিক্সা করে নিয়ে আসতেন। সেদিন আমরা সবাই মিলে হৈচৈ করে আনন্দে রিক্সার পিছন পিছন দৌড়াতাম। আমার কস্ট লাগতো এই ভেবে যে- আমরা গরীব, আব্বার টাকা নেই বাজার থেকে চাল কেনার আর এজন্যই আব্বা গ্রামের বাড়ি থেকে চাল নিয়ে আসে ! কতো যে দীর্ঘশ্বাষ ছেড়েছি এই ভেবে! তাই যখনি ভাত খেতাম ভাত যেনো মাটিতে পড়ে নষ্ট না হয়, অপচয় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতাম আর আম্মার হিদায়াতী বক্তব্য তো কানের মাঝে বাজতেই থাকতো! একটা ভাত তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের নেই তাই একটা ভাত যেনো নষ্ট না হয়!খাবার নষ্ট করলে খাবারের কষ্ট করতে হবে, একটা ভাত নষ্ট করলে সত্তরটা সাপের কামড়ের ভয় তো ছিলোই........। ভালো দিক হলো ভাত নষ্ট করতাম না। খুব ভয় লাগতো আমরা যদি আবার গরীব হয়ে যাই!
ঘটনা ৩) আমাদের কলোনীর পাশে ছিলো পিডিবি।তাই চব্বিশ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকতো আমাদের সবার বাসায়। আরো চমৎকার যে বিষয় সেটি হচ্ছে কলোনীতে যারা চাকরি করতেন তাদের বাসা ভাড়া এবং যাবতীয় বিল ফ্রি ছিলো! এভাবে বেড়ে উঠে (বিনা বিল টেনশন) আমি তখন নতুন সংসারে পা দিয়েছি। সদ্য প্রবাসী! আর বিদেশের ব্যাপার সেপারই তো অন্যরকম! আধুনিকতার ছোঁয়া সবখানে! কিন্তু খেয়াল করলাম আমি যখন রুম থেকে বের হই পতিজ্বি সাথে সাথে গিয়ে চেক করে লাইট অফ করলাম কি না, ফ্যান অফ কিনা! শুধু তাই না রান্না করার সময় কি তরকারি কাটা আর অনর্থক চুলা জ্বালিয়ে রাখা হয় কিনা ,হাড়ি পাতিল ধোয়ার সময় পানির প্রবাহ কি খুব বেশী কি না , কলটা কি বন্ধ নাকি টিপ টিপ করে পানি পড়ছে কোন কিছুই উনার নজর এড়াতো না! উনার তড়িৎবেগে অপারেশন দেখে আমি তো মনে মনে আবার সেই ভাবনায় ফিরে যেতাম ! হায়- রে গরিবের অভাব বুঝি আর পিছু ছাড়লো না!
ঘটনা ৪্) সপ্তাহের অন্যান্য দিন গুলোতে বাস যোগাযোগ খুব ভালো হলেও শনি , রবিবার খুব কম বাস থাকে। একটা বাস মিস করলে প্রায় ১০ মিনিট থেকে আধা ঘন্টার লেট হয়ে যায়! সবসময় আমি চেস্টা করি যথাসময়ের কিছু আগেই বাস স্ট্যান্ডে আসার এবং পেরেশানী ছাড়াই বাসে উঠার। সেদিন রেডি হতে গড়িমসি করেছিলাম আর ততেই একটু দেরী হয়ে গেলো! বাসস্টপে পৌঁছার কিছু আগেই দেখলাম বাসটি চোখের সমানে দিয়ে চলে যাচ্ছে! সুপার ম্যান হয়ে উড়ে বাসে উঠার অদম্য ইচ্ছাটাকে অন্তঃক্রোধের হুংকারে সংবরন করলাম। বাসটা মিস হলো। বসে রইলাম ভারাক্রান্ত মন নিয়ে! বিরক্ত এবং কষ্ট লাগছিলো খুব! আমি কখনো লেট করে যাই না! অন্তত চেষ্টা করি পাঁচ মিনিট আগে পৌঁছানোর! অথচ আজকে লেট হবেই! ভাবছিলাম বাসায় বসে গড়িমসি না করে সময় মতো বের হলে আজকে এই বিপদ হতো না! প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিটের কাঁটা যেনো মনের মাঝে বিষাক্ত আঁচড় কেটে যাচ্ছিলো! অতিবাহিত সময়টুকু আর ফিরে পাওয়া যাবে না, পরের বাস ধরতে হবে, ক্লাসে পৌঁছতে লেট হবে সুতরাং সব কিছুতেই লেট হবে। ছোট ছোট সেকেন্ড আর মিনিটগুলোর যথোপযুক্ত গুরুত্ব না দেয়াতে আমি কি সময়ের অপচয় করিনি? সময়ের মূল্য বুঝতেও যে গরীব হয়ে গেলাম আমি !
ম্যাটারিয়ালিস্টিক নির্ভর বষ্তুবাদের এই জীবনে বস্তুবাদী বিষয় নিয়ে আমরা সবাই ব্যস্ত! খাওয়া,পড়া, জীবন ধারন এগুলো তো চলেই যাচ্ছে! কেউ হয়তো খুব দামী খাবার , বিলাস বহুল জীবন ধারন করে কেউ হয়তো কোন রকম খেয়ে -পড়ে, জীবনধারনের অবলম্বনটুকু নিয়ে পথ চলে! আমার শুধু ভাবনা হয় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া সময় নিয়ে! প্রতিনিয়ত সময়ের অপচয় হচ্ছে এই দুর্ভাবনা আমাকে নির্নিমেষ পিছুটানে! কেনো জানি মনে হয় খাওয়া-পড়ার অপচয় বোধে এবং রোধে যেভাবে তৎপর সময়ের অপচয় রোধে ঠিক ততখানি না!
একটা সময় সবাই ভাবসম্প্রসারন করেছিলাম " যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি" । আমাদের বাংলা ম্যডাম খুব ধার্মিক ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন - শুধু বাতি নয় বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষনকে মূল্যায়ন করতে হবে যদি না করি মোমের যেমন অপচয় হয় তেমনি সময়েরও অপচয় হয়। অযথা মোম জ্বালিয়ে রাখলে একদিন এমন সময় আসবে যখন মোম ফুরিয়ে যাবে, প্রয়োজনের সময় আঁধার ঘুচতেও আলোর অভাব হবে! ঠিক এমনিভাবে যারা সময়ের মূল্যায়ন করে না হেলা ফেলায় সময় নষ্ট করে তাদেরও এমন একদিন আসবে যখন উপলব্ধি করবে প্রতিটি সেকেন্ড কতো মূল্যবান! পিছনে ফিরে পেতে চাইবে সেই সময় কিন্তু আর উপায় থাকবে না!
বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে যেমন মহাসাগর গড়ে ওঠে তেমনি আমাদের অগোচরে অপচয় করে ফেলা সেকেন্ড সেকেন্ড সময়গুলোর সমষ্টি জীবন নামক মহাসময়ের যোগফল। ভয় লাগে খুব এই সময়ের হিসাব যখন চাওয়া হবে দিতে পারবো কি সঠিক জবাব?
তোমরা যদি মাপতে চাও অমেয় অপ্রমেয় সময়কে
তবে কালপ্রহর ও ঋতুচক্রের অনুসরণে সংযত কর তোমাদের স্বভাবপ্রকৃতিকে
স্রোতোস্বিনী তটিনীতীরে বসে নিরীক্ষণ কর সময়কালের গতিপ্রবাহকে
নিষ্কাল তোমরা সচেতন যে জীবন কালনিরবধি
আর গতস্যকাল অদ্যকালের স্মরণ মাত্র, অনাগত কাল বর্তমানের স্বপ্ন অবধি
(জিব্রান কাহলিল)
গরীব থাকা আজকের দুনিয়ায় কারো পছন্দ নয়। আর্থিক অসংগতি কারো কাম্যও নয়! কিন্তু সময়ের অপচয়? এক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় আরো একটু কৃপন হওয়া উচিত ! তাই নয় কি?
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৭ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সময় এর প্রতি আমরা উদাসিন হচ্ছি আর অন্য দিকে দাবি করছি পৃথিবির এখন অতি দ্রুত হয়ে গেছে। অপচয় যেন আমাদের সন্মান বৃদ্ধি করছে!! হারিয়ে ফেলছি জিবন এর প্রকৃত উদ্দেশ্য।
মুহূর্তেই ঘড়ির কাটা ঘুরে যায় আমরাও হারিয়ে ফেলি সেই সময়টুকু যা আর ফিরে পাওয়ার নয়! তবু সচেতন হই না!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
প্রিয়তে আপনার একাধিক প্রিয় বই নিয়ে লিখা চাই ভাইয়া!
আমি নিজেও ভুলে যাই তাই মনে রাখার জন্য লিখা! আল্লাহ আমাদের হায়াতের গরীব হওয়া থেকে রক্ষা করুন!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
সময়ের মূল্য নিয়ে রচনা লিখে উচ্চ নম্বরে পাশ করে এলেও সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন নির্ধারনে আমরা এখনো ব্যর্থ!পুঁথিগত বিদ্যা হিসেবেই রয়ে গেলো অর্জিত জ্ঞান!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ওয়াল 'আসর এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন!
চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইর!
সময় জ্ঞান সম্পর্কে পাঠককে সচেতন করতে আপনার লেখাটি অসাধারণ হয়েছে। জাযাকাল্লাহু খাইর।
আসলেই আমরা গাফেল হয়ে গেছি। মরীচিকার পিছন ছুটছি! পৃথিবীর মহান ব্যক্তিদের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায় উনারা কত সুন্দর ভাবে সময়ের যথোপযুক্ত ব্যবহার করেছেন!
আপনার মন্তব্যটি অনুপ্রেরনা জাগিয়ে গেলো! আল্লাহ আমাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার করার তৌফিক দান করুন!
বারাকাল্লাহু ফিক!
তাইতো ভাবী কেন আমার আপুনি ইলিশ মাছের স্বাদ ত্যাগ করতে চায়। দুলাভাইকে চোখ রাঙ্গায়।
আসলে জীবন যাদের অভাবের মাঝে গড়ে উঠে তারাই হয়তো ভাবে, হায়রে এক সময় কি ছিলাম, এখন আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ করেছেন। সূরা দোহা এর শেষের দিকের আয়াতগুলি মনে পড়ে গেল। واما بنعمة ربك فحدث সূতরাং তোমার প্রভূর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করো। নেয়ামতের বর্ণনা কর।
আপনার আত্মউপলদ্ধি সত্যিই একদিন আপনাকে উচ্চ শিখরে পৌছাবে।
একদম সত্যি বলেছেন। এটি আমারও মনের কথা।
সুন্দর অতীত, সুন্দর উপলদ্ধি, অনুভূতি ও উপদেশমালাগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইরান আপুনি।
আপনার নিঁখুত দৃষ্টিভংগি নিয়ে পড়ার বিষয়টি আসলেই অনেক ভালোলাগায় আপ্লুত করে ।
অপচয় রোধের বিষয়টা আমাদের পারিবারিকভাবে খুব কঠোর ভাবে খেয়াল রাখা হতো! আর তাই বলেই হয়তো অনেকটা বেঁচে গিয়েছি ! ভয় হয় শিক্ষাটাই যদি না পেতাম এই ভেবে!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া জানবেন! বারাকাল্লাহু ফিক!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গত জীবনের কিছু বাস্তবতাকে গাথুনি আকারে সংরক্ষণ করার জন্য । একসময় এই বিষয়গুলো অনেক মূল্যাবান হবে ইতিহাস চর্চার জন্য ।
আপনার উপস্থিতি এবং মূল্যবান মন্তব্য দুটোই খুবি আনন্দের কারন! সময় করে পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আমাদের জন্য দোআ করবেন! জাযাকাল্লাহু খাইর!
খুব একটা মেপে চলেছি বলে গ্যরান্টি দিতে পারবো না তবে শিক্ষাটা পেয়েছিলাম! খাওয়া -পড়া- বিলের অপচয়ে আমরা সবাই খুব কৃপনতা করলেও সময়ের অপচয়ে কৃপন হতে পারি নি! অথচ এটাও খুব জরুরি!
আল্লাহ আমাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার করার তৌফিক দান করুন! বারাকাল্লাহু ফিক!
আর হ্যা, আপনার প্রিয় নিয়ে কনটেস্টে লিখুন জাতি পড়ার অপেক্ষায়!
চমৎকার সাবলীল উপস্থাপনার মাধ্যমে অনেক কিছুই মনে করিয়ে দিলে!
আপু কি ধরনের দড়ি লাগবে আপনাকে বেঁধে রাখতে ? মায়ার দড়ি, আদরের দড়ি, ভালোবাসার দড়ি! সবদিয়ে আপনাকে বিডিতে বেঁধে রাখতে চাই!
শুকরিয়া আপু!
সময় আমাদের জীবনের কতটা মূল্যবান সেটা কোন কিছুর বিয়েময়েই মূল্যায়ন করা যাবে না । অথচ এই সময়কে আমরা সব চেয়ে বেশী অপচয় করি অবলীলায় ।
আপু ব্লগে একটু সময় বেশি দেই তাই কিন্তু মনে করবেন না আমি সময়ের অপচয় করি । আমি কখনো শুধু ব্লগিং করে না পাশপাশি অন্য কিছু করি ।
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপু ।
আপু আমি মনে করি তোমাদের মতোন ইয়ং জেনারেশন গান, বাজে আড্ডা, ফেবু চ্যাটে ব্যস্ত না থেকে এই সৃজনশীল ব্লগে লিখছে, পড়ছে এটা অনেক বড় রহমত!
অপচয় তো তখন হবে যখন মৌলিক কাজ ফেলে রেখে অহেতুক সময় নষ্ট করা হয়! আমিও টুকিটাকি কিছু করার মাঝেই ব্লগে সময় কাটানোর চেস্টা করি!
বারাকাল্লাহু খাইর! আদর রইলো আপু!
ভালো আছো তুমি? শরীর সুস্থ? মন ভালো তো?
কিছুদিন আমি নিজেও কিছুটা অনিয়মিত ছিলাম, তোমাকেও দেখি নি ! আলহামদুলিল্লাহ আজকে দেখা পাওয়া গেলো!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আমি নিজের চোখকেও বিশ্বাসকরতে পারছিলাম না আপনি মন্তব্য করেছেন এটা দেখে! আলাহামদুলিল্লাহ!
আমি ভুল করেছি কবির নাম লিখতে! দুঃখিত! আজকে ভুলটা না করলে আপনি তো সংশোধন করে দিতেন না তাই ভুল করেও ভালো লাগছে!
যতটুকু পড়েছিলাম মনে পড়ে উনি আরব দেশে জন্মগ্রহন করেছিলেন! নাম দেখে আমি ভেবেছিলাম মুসলিম হতে পারেন! আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আরো ভালো লাগলো!
সময় করে সুন্দর ভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ভাইয়া! বারাকাল্লাহু ফিক!
সময়ের মূল্য কোন কিছুর বিনিময়েই ফিরিয়ে আনা যায় না এটা জেনেও আমরা সময়ের অচপয় করি ,যথাযথ মূল্যায়ন করি না! আল্লাহ আমাদের সামর্থ্য দান করুন সময়ের মূল্য বুঝতে!
জাযাকাল্লাহু খাইর ভাইয়া!
আচ্ছা জ্ঞানী শব্দের বিপরীত শব্দ কি যেন? বোকা নাকি অজ্ঞানী? বাংলাও ভূলে যেতে বসেছি বোধহয়।
সেই ছোটবেলা থেকে অপচয়ের ব্যাপারে সতর্কতা নয় বরং উদাসীনতার প্রাচুর্য আমার মাঝে। ধর্মপরায়ণ মা বাড়িতে থাকতে হাজারবার শিখিয়েছে নবীর সুন্নাতগুলোকে। টেবিলে ভাত পরলে তুলে খাইয়েছে অথচ আজও আমি নির্বিকার।
কোন স্পর্ধায় জানি ট্যাপ দিয়ে পানি পরছে কিনা, গ্যাসের সুইচ বন্ধ আছে কিনা, বাইরে যাওয়ার সময় টেবিল ফ্যান কিংবা লাইট বন্ধ করেছি কিনা কখনোই খেয়াল করা হয়না। এদিক থেকে ভাইয়াকে বড়ই হিংসা হচ্ছে।
আজও ভুল করি, অন্যের ভূল করা দেখি, সে তুলনায় শিক্ষা নেই খুব কমই। খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভাবি, "কবে পূর্ণতা পাব?"
জ্ঞানী শব্দের বিপরীত কি অজ্ঞ বা মূর্খ হতে পারে?
শিব খেরের কথাটি আসলেই মূল্যবান এবং আমরা মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ!
প্রয়োজন শুধয় মনোযোগ এবং সচেতনতা তবেই আমরা কাংখিত পথে চলতে পারব ইনশা আল্লাহ!
দীর্ঘশ্বাস নয় বরং দৃঢ়তাই হোক আমাদের চেতনা..
জাযাকাল্লাহু খাইর ভাই!
আমার ছোটবোন ভাল আছে। আলহামদুলিল্লাহ্। সে এবার ক্লাস ফাইভে। পড়াশুনা নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত। প্রতিদিন কোচিং করে এসে আমায় ফোন দেয়। সারাদিনের টাস্কগুলো জানায়।
আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ্। আপাতত ব্লগের লেখাগুলো পড়ছি। নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। দুয়া চাই।
ব্লগে নিয়মিত পেলে এটা আমাদের সবার জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে! শুভকামনা রইলো!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
কলোনীর বিনা ভাড়ায় জীবন অনেক কিছু দিলেও এই একটা জিনিষ দেয় নি- বিল দেয়ার মর্ম জ্বালা! এখন ঠিক হয়ে গেছি আপু!
সময়ের অপচয়ে আসলেই কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে উঠছে! বাসায় গেস্ট আসলে দশপদ রেডি, বাসা ফাইভ স্টার হোটেলের ন্যায় পরিপাটি, নিজেরা ও পারফেক্ট গেটআপে থাকি কিন্তু অন্য দিন কাজ যেনো কিছুই এগোয় না!
আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন! আপুর চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া! শুভকামনা রইলো!
দাদু বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কারনে হলেও অনেক আগে থেকেই অপচয় প্রবনতা রোধ করতে পেরেছো তোমরা তাই না? যেটা আমি অনেক কাল পরে আয়ত্ব করেছি!
শুকরিয়া তোমাকে! বাংলায় কমেন্ট! ল্যাপু থেকে ?
ছুটিতে পোস্ট লিখো কেমন? শুভকামনা রইলো!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন