ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৮ মে, ২০১৫, ১১:০৩:০২ রাত
পুত্রের বয়স তখন ৪ মাস! সবেমাত্র উপুড় হয়ে সামনে পিছনে যাওয়া শুরু করেছে! পুত্রকে তাঁর পিতার তত্বাবধানে রেখে আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম! হঠাৎ শুনি কোন কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ এবং সাথে শিশু পুত্রের চিৎকার! আমি ইন্নালিল্লাহ বলে ভোঁ দৌড় । এসে দেখি পুত্র খাট থেকে নিচে পড়ে গেছে, তাঁর পিতা কোলে নিয়ে কান্না থামানোর ব্যর্থ প্রচেস্টায় লিপ্ত! ছোঁ মেরে পুত্র কোলে নিয়ে আমারো শুরু হলো অঝোর বর্ষন! তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে গেলাম! ডক্তর চেকাপ করে বললেন কোন সমস্যা নেই। আলহামদুলিল্লাহ বলে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম! আমার নার্ভাসনেস দেখে ডক্তর বলছিলো- ওর মাথাকে কি তুমি ডিমের খোসা মনে করেছে? পড়ে গেলো আর ফেটে যাবে ? যদিও এটা বলে আমাকে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছিলো কিন্তু আমি জানি এতো ছোট বয়সের বাচ্চাদের পড়ে যাওয়া থেকে অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে থাকে! তারপর থেকে সবসময় চোখে চোখে রেখেছি যেনো আর এভাবে পড়ে না যায়! কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস ঠুস ঠাস ব্যথা পেতে পেতেই পুত্রের মাথা শক্ত হয়ে বড় হওয়ার পথ ধরলো!
শিক্ষা- এই বয়সটাতে বাচ্চারা পড়ে যায় খুব বেশি। তাই কখনোই বাচ্চাকে খাটে রেখে অন্য কোন কাজ এমনকি বই পর্যন্ত না পড়া! প্রয়োজনে নিচে ম্যাট্রেস বিছিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা যতদিন বাচ্চার পড়ে যাওয়ার ভয় এর সময় শেষ না হয়!
পুত্রের বয়স এখন ৯ মাস। ভালোভাবে বসতে শিখেছে। কোন কিছু ধরে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। এক পা দুই পা করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাসার সবখানে বিচরন করে । পুত্রের একমাত্র সমস্যা হলো খাওয়া! তাঁকে খাওয়ানো ছিলো সবচাইতে কঠিন কাজ! ঘন্টার পর ঘন্টা পার হতো কিন্তু পুত্রের বাটির খাবার শেষ হতো না। মুখে খাবার নিয়ে গাল ফুলিয়ে ওপ করে বসে থাকতো! যাই হোক পুত্রকে খাবার খাইয়ে আমি ঘর মুছায় ব্যস্ত! হঠাৎ শুনি পুত্র ওর আধো আধো বুলিতে পাক খি পাক খি করছে! পাশের রুমে গিয়ে আমি হতভম্ব! রুমের জানালা খোলা ছিলো,ঠিক জানালা বরাবর একটা সিংগেল সোফা রাখা ছিলো! সে সোফায় উঠে বেয়ে বেয়ে জানালার কার্নিসে উঠে বসে হাত দিয়ে পাখি পাখি বলে ডাকছে! প্রানপনে চিৎকার দেয়া থেকে বিরত থাকলাম, সামান্য শব্দ করলেই ও ঘুরে আমাকে দেখবে আর পড়ে যাবে! আমি পা টিপে টিপে কাছ গিয়ে খপ করে ওকে ধরে শুরু করলাম কান্না! আমার চোখে শুধু ভাসছিলো ও যদি পড়ে যেতো! কল্পনাও করতে পারছিলাম না দোতলা থেকে পড়ে গেলে কি হতো! কতো বড় বিপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন! আলাহামদুলিল্লাহ!
শিক্ষা- জানালার বরাবর বা আশে পাশে চেয়ার বা সোফা না রাখা! বাচ্চার রুমে খোলা জানালা রেখে অন্য রুমে অবস্থান না করা!
পরের দুর্ঘটনাটা ঘটেছিলো যখন পুত্রের বয়স ১৭ মাস! আমার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছিলো! তিনদিন পর যখন আমি হাসপাতাল থেকে বাসা ফিরলাম সেদিন দুপুরে কন্যার দুপুরের খাবার হিসেবে স্প্যাগেটি রান্না করছিলাম। ১৭ মাস বয়সী পুত্র তখন পুরোদমে দাপটের সাথেই বাসায় হাঁটাহাঁটি ঘুরোঘুরি করে! চুলোর পাশে রাখা টেবিলে স্প্যগেটির প্যাকেট ছিলো! কখন যে সে একটা স্প্যগেটি নিয়েছে তা খেয়াল করা হয়নি!কিছু পরেই শুনি কান্নার শব্দ! তাঁর বাবাতো কোলে নিয়ে থামানোর চেস্টা করছে, বাইরে নিয়ে গেলো,খেলনা দিলো কোনভাবেই কান্না থামে না! সে বার বার তার কানে হাত দিচ্ছিলো এবং একিভাবে কান্না করতে লাগলো! আমরা বুঝতে পেরে আ্যম্বুলেন্স কল করলাম! হাসপাতালে নিয়ে ডক্তররা খুব চেস্টা করলেন কিন্তু পুত্রের প্রচন্ড কান্না আর নড়াচড়ার জন্য কানে হাত দিতে পারছিলেন না! অবশেষে পুত্রকে বিশাল এক বিছানার চাদর দিয়ে পুরোটা শরীর প্যাচিয়ে ফেলে বহু কষ্টে স্প্যাগেটির অংশবিশেষ উদ্ধার করা হলো! কথাটা আমি এখনো যতবার ভাবি ততবার আমার সারা শরীরে কাঁপন আসে, চোখ ফেটে কান্না আসে! আল্লাহ আমাদের অশেষ সাহায্য করেছেন বিপদ থেকে উদ্ধার করে!
শিক্ষা- যে জিনিষ গুলো সহজেই কানে বা মুখে পুরে দেয়া যায় সেই জিনিষগুলো যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে!
পুত্রের বয়স ৭ বছর। সাড়ে চারটায় স্কুল ছুটি হবে। আমি আনতে গিয়েছি। পুত্র ছুটে এসে আমাকে সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো- আম্মু টিচার তোমার সাথে কথা বলতে চায়! আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। শংকিত কন্ঠে পুত্রকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি অন্যায় কিছু করেছো আজকে ক্লাসে? সে না বাচক মাথা নাড়িয়ে বিশাল হা করে আমাকে রক্তাক্ত দাঁত দেখালো! পুত্রের মাঝে কোন কষ্টের লক্ষন নাই বরং যা ঘটেছে তাতে সে বেজায় খুশি! আমি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখালাম ওর নিচের পাটির দাঁতের ঠিক সামনের দুই দাঁতের একটি দাঁতের অর্ধাংশ নাই! ঠোঁট কেটে গেছে- ফুলে আছে! আমার কান্না আসতে লাগলো কারন ওর এই দাঁতগুলো পার্মানেন্ট দাঁত! সারাজীবন ছেলে হাসবে সেই হাসিতে ওর ভাংগা দাঁত দেখা যাবে ভাবতেই আমার কান্না আরো বেড়ে যেতে লাগলো! শুধু তাই না আর দুদিন পরেই আমাদের স্পেনে বেড়াতে যাওয়ার কথা( গাজী শাহীদ-আফরোজা হাসানের বাসায়)। কোনরকম টিচারের কাছে গেলাম! এবার আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না ! কেঁদেই ফেললাম! টিচার আমাকে বললেন সারাজীবন ভাংগা দাঁত নি্যে কাটাতে হবে না বিশেষ গামের মাধ্যমে দাঁত জোড়া দেয়ার ব্যবস্থা আছে জেনে কিছুটা আশ্বস্থ হলাম!
শিক্ষা- বাচ্চারা খেলতে গিয়ে পড়ে গেলে দাঁত যদি ভেংগে যায় তাহলে ভংগুর অংশটুকু নিয়েই ডেন্টিস্ট এর কাছে যাবেন। তাহলে জোড়া দিতে সহজ হবে। সাথে সাথে ডেন্টিষ্ট এর কাছে যাবেন এতে বোঝা যাবে আঘাত কি শুধু দাঁতে নাকি মাড়িতেও পেয়েছে !
শিশু লালন পালন করতে গিয়ে জীবনের কাটিয়ে যাওয়া দিনগুলোতে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেছি আমরা সবাই। দুর্ঘটনাগুলো কারোই কাম্য নয়। তবু ঘটে যায়। এই ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করার মাঝেই রয়েছে সার্থকতা!
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৭ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাবাহ! সন্তাদের প্রতি কি অগাদ ভালোবাসা, আশ্চর্য হলা।
'১২ সালে আমারও এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়েছিলো, আলহামদু লিল্লাহ এখন সুস্থ আছি।
স্প্যাগেটি কি? ব্যখ্যা করে জানাবেন।
আপনার উপদেশগুলো সত্যিই অবর্ণনীয়। এক কথায় মা'লা বুদ্দা মিনহু অর্থাৎ যার কোন বিকল্প নেই। জাযাকিল্লাহ খাইরান শ্রদ্ধেয়া আপু মনি।
রান্নার আগে-
এবং রান্নার পরে-
যারা পাস্তা খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য মজাদার খাবার!
অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে চমৎকার বর্ননা এবং সাথে থেকে অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! বারাকাল্লাহু ফিক!
আপনার মূল্যবান উপস্থিতি অনেক বড় পাওয়া- আনন্দের কারন! শুকরিয়া অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য!
আমি তো শুধু বিশেষ ঘটনা গুলো উল্লেখ করেছি , আরো খুটি নাটি তো রয়েই গেছে!
আসলেই আমি নিজেও মা হয়েও বুঝতে, অনুধাবন করতে পারছি আমাদের মায়েরা কতো বেশি কষ্ট করেছেন আমাদের বড় করতে গিয়ে! এখনকার যুগে তো কত সুবিধা! আমাদের মায়েদের সময় এতো সুবিধা ছিলো না , আমরা সবাই পিঠাপিঠি ভাইবোন ছিলাম তারপরেও আমার আম্মা অনেক আমলদার মহিলা ছিলেন! কিভাবে সামলাতেন ভেবে অবাক লাগে!
তোমাদের বাসার সোনাপাখিগুলোর জন্য অনেক দোআ ও আদর রইলো! আল্লাহ ওদের উত্তম ভাবে হিফাজত করুন!
ভালোলাগলো তোমার কমেন্ট পেয়ে! শুকরিয়া!
অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। ভালো লাগল,ধন্যবাদ ।
জাযাকাল্লাহু খাইর! অনেক শুভকামনা রইলো
শুকরিয়া জনাব আপনার কী বোর্ড থেকে শব্ফ বের হলো অবশেষে!
অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। ভালো লাগল,ধন্যবাদ আপু ।
অনেক অনেক দোআ, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো!
শুকরিয় আপনাকে!
শুকরিয়া আপু!
আর যে মুসাফির ঘটনা ঘটে যাবার একমাস পরে অবাক হয় অথবা অট্টহাস্যে ধূলি ধুসরিত হয় , তার বেলা ????
বিনোদনের ভান্ডার উন্মুক্ত এখানে
এই অবস্থায় কিন্তু শিশুরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সমাজে মিলিয়ে চলার অভ্যাস নষ্ট হয়ে যায়্
শুকরিয়া ভাই!
যখন পরে যেয়ে ব্যাথা পায় আমি সান্তনা দেই ওলেলে মাথা শক্ত হচ্ছেরে .....
জানালার সূচালো কোনায় তিনটা খোঁচা তোমার জন্য উপহার! মাথা শক্ত হবে
লেখার ঢংটা অনেক সুন্দর চুম্বকের আকর্ষণের মত লেখায় পাঠককে ধরে রাখবেই! এতো কিছুর পরেও আপনার সন্তান এখন ভালভাবেই বেঁচে আছেন, আল্লাহর দরবারে শোক্রিয়া।
একটু সমালোচনা, আমি ঠোঁটকাটা, ভালো না লাগ্লেও কখনো কখনো গঠনমূলক সমালোচনা আমায় করতেই হয়! লেখায় বৈচিত্র আনবেন! এটা খুব করে কামনা করছি! ইদানীং ব্লগ জুড়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক লেখা বেশি পোস্ট হচ্ছে, যদিও তাতে সুন্দর কিছু মেসেজ থাকে তবুও বৈচিত্র আনা খুব দরকার।
কেন বলছি এই কথা? কারণ আমি আপনি আর সবাই, বেশি বেশি ব্যক্তিকেন্দ্রিক লেখা বেশি লিখলে নিজের মধ্যে আত্মম্ভরিতা, নিজেকে জাহির করার চেষ্টা ইত্যাদি রোগে পেয়ে বসে, যা আমাকে দিয়ে প্রমাণিত, এটা আমার আত্মউপলব্দি। আপনার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে এমন, সবাই এক রকম হয় না, তবে পরস্পরের মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান ও হয় না।
ধন্যবাদ নেবেন। ঘন ঘন পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন, সপ্তাহে অন্তত একটা করে হলেও ভালো। মন্তব্যে সরব থাকতে পারেন। আগে রিয়েল লাইফ, তারপর ভার্চুয়াল জগৎ।
আপনি আমার অনেক বড়, ছোট মুখে বড় বড় কথা বিরক্তির কারণও হতে পারি! তবুও বোনকেতো বলাই যায় নাকি!
"মা জননী"
দিল মোহাম্মাদ মামুন
মাগো, তুমি কেমন আছো?
জীবন বাজী রেখে আমায় ভুমিষ্ট করেছো!
অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমায়
নোংরা হয়ে যেতাম বার বার,
শত কাজ ও কষ্টের মাঝেও
পরিষ্কার করতে যে আবার!
লালনপালন করেছো তুমি,দিয়েছ সেবাযত্ন,
পৃথিবীতে আছে যে আমার, মা নামের এক রত্ন।
আমার অসুস্থতায় তোমার হাসিমাখা মুখ, হয়ে যেত ম্লান
তুমিই মা সবার সেরা, আমার প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অনেক কষ্ট দিয়েছি মাগো, তবুও আমি তোমারি সন্তান
রোজহাশরে কিভাবে হবো, মহান প্রভুর সামনে দন্ডায়মান।
অভিশাপ দিওনা মাগো, তুমিই আমার গর্ব
রাসূল বলেছেন, তোমারি পদতলে আমার স্বর্গ।
শিখিয়েছিলে আদবকায়দা, দিয়েছিলে আমায় জ্ঞান
জীবন দিয়ে রক্ষা করবো, মাগো তোমার সন্মান।
আমি ভাল আছি।
মায়েরা বুঝি এমনই। সন্তান হবার পর মায়েরা যেন নিজের সুখকে সন্তানের সুখের দামে বেঁচে দেয়। সন্তান একটুকরো কষ্ট পেলে মা যেন তার চেয়েও তিনগুন ব্যাথা অনুভব করে। কই থেকে আসে এমন ভালবাসা? মহান প্রভূ কত যত্ন করেইনা ভালবাসার রং তুলি দিয়ে সন্তানদের জন্য মমতার আলপনা এঁকেছেন মায়েদের মনে। আলহামদুলিল্লাহ্।
আপনার সন্তান বড় হয়ে যখন এই লেখাটি দেখবে, আমার খুব ইচ্ছে করছে সেই সময়ে তার অনুভূতি দেখার। তার চোখের মনিতে টলমল করা জল দেখার, গাল বেয়ে পরা দু'ফোঁটা অশ্রু দেখার। সুখের মুহূর্তের স্বাক্ষী হয়ে থাকতে পারাতেও যে বড় সুখ।
কতো দিন পর ভাই তোমার আগমন!
তুমি দারুন একটা কথা স্মরনে এনে দিয়েছো! পুত্র বড় হলে ওকে পড়ানো হবে ইনশা আল্লাহ । আল্লাহ আমাদের সে পর্যন্ত হায়াত দিন !
অনেক দিন পর তোমার উপস্থিতি এবং আন্তরিকতাময় মন্তব্য অনেক ভালোলাগা এবং কল্যানকামিতার পরশ বুলিয়ে দিয়ে গেলো! তোমার ছোট বোনটি ভালো আছে তো?
অনেক অনেক দোআ ও শুভেচ্ছা রইলো! অবসরে উঁকি দেয়ার আহবান রইলো!
লিখালিখি একেবারে ছেড়ে দিয়েছো ?
ভালো থাকবেন! জাযাকাল্লাহু খাইর!
খুবই শিক্ষনীয় পোস্ট। বাচ্চা লালন-পালন সহ প্রতিটি কাজে সচেতন থাকলে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
দুর্ঘটনা কারোই কাম্য নয় তবে সতর্ক থাকা জরুরি প্রতিটি মুহূর্তেই! আপনাকে অসংখ্য শুকরিয়া সময় করে এসে পোস্টটি পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য!জাযাকাল্লাহু খাইর!
বাচ্চাদের দাঁত জোড়া দেয়া যায় এটা জানতাম না আমি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
যখন উপযুক্ত সময় আসবে তখন আরেকবার উঁকি দিয়েন তাহলে!
শুধু বাচ্চাদের না বড়দেরো যদি দাত ভেংগে যায় সেই দাত জোড়া দেয়া যায়! খুব নিঁখুত ডেন্টিস্টের হাতে করলে বোঝার উপায় থাকে না সহজে! দোআ করি কারো যেনো দাত না ভাংগে!
শুকরিয়া আপনাকে! সময় করে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুভকামনা জানবেন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
২। শিক্ষা- জানালার বরাবর বা আশে পাশে চেয়ার বা সোফা না রাখা! বাচ্চার রুমে খোলা জানালা রেখে অন্য রুমে অবস্থান না করা।
৩। শিক্ষা- বাচ্চারা খেলতে গিয়ে পড়ে গেলে দাঁত যদি ভেংগে যায় তাহলে ভংগুর অংশটুকু নিয়েই ডেন্টিস্ট এর কাছে যাবেন। তাহলে জোড়া দিতে সহজ হবে। সাথে সাথে ডেন্টিষ্ট এর কাছে যাবেন এতে বোঝা যাবে আঘাত কি শুধু দাঁতে নাকি মাড়িতেও পেয়েছে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
শ্রদ্ধেয় ভাই, আপনাকে আন্তরিকভাবে অসংখ্য শুকরিয়া জানাই সময় করে পোস্টটি পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
নজর বুলানোর জন্য শুকরিয়া ! আল্লাহ আপনাকে হেফাজতে রাখুন!
এই যে কমেন্ট ব্লগের পাতায় জ্বজ্বল করছে ! আগে না করলে কোথা থেকে আসবে : ?
শুকরিয়া ভাই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন