"ইসলামী সম্ভাষন - সালাম"
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৭ মে, ২০১৫, ০৭:৫৩:০১ সন্ধ্যা
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
মেয়েদের সাথে কিছুদিন আগে যে হালাকা করেছিলাম সেটার বিষয়বস্তু ছিলো - সালাম । ইসলামী সৌন্দর্যের অন্যতম সম্ভাষন পদ্ধতি হলো এই সালাম বিনিময়। এই টপিকটি বেছে নেয়ার পিছনে যে কারনটি ছিলো সেটা হচ্ছে প্রথমত - আমাদের সন্তানদের ইসলামিক অভিবাদন পদ্ধতি এবং শিষ্টাচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং দ্বিতীয়ত- বেশ কিছু অভিভাবকদের কাছ থেকে আসা অভিযোগ ছিলো যে, বাচ্চারা সালাম দিতে সংকোচ বোধ করে বা সালাম দিতে অপারগতা প্রকাশ করে!
সবসময় অনুভব করেছি, বাচ্চাদের কোন কিছু বুঝিয়ে বলা হলে- কোনো কাজ করার পিছনে সেটার লক্ষ্য -উদ্দেশ্য ও ফলাফল বুঝিয়ে দিলে বাচ্চারা অনেকখানি নিজে থেকেই সচেতনতার সাথে এবং দায়িত্বোধের সাথেই সেই কাজ পালন করে থাকে।
আর আমরা বেশিরভাগ অভিভাবকরা অনেকক্ষত্রে না বুঝে যে ভুল করে ফেলি সেটা হলো বাচ্চাদের ইসলামের এই বিধানটি নিয়ে কখনোই আলোচনা করি না বরং চাপিয়ে দেই বা শাষন করে আদায় করতে চাই! যার ফলে কি হয়? বাচ্চাদের এ ব্যাপারে সঠিক ধারনা না থাকায় সে খুব দ্বিধাগ্রস্থ বা বিব্রতবোধ করে।
একবার এক বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাধারনত আমরা চেস্টা করি ছোট বড় সবাইকে সালাম দিতে। ঐ বাসায় একটি বাচ্চা ছিলো, তাঁকে আমি নিজেই সালাম দিয়েছিলাম। বাচ্চাটি কেনো আগে আমাকে সালাম দিলো না এইজন্য তার মা তাঁকে আমাদের সবার সমানে ধমক দিলেন । ফলাফল হলো বাচ্চাটি কান্না শুরু করে দিলো! আমার নিজেরও খুব বিব্রত লাগছিলো! মনে হচ্ছিলো এভাবে ধমক না দিয়ে বাচ্চাকে যদি বুঝিয়ে বলা হতো বা স্মরন করিয়ে দেয়া হতো সালাম দেয়ার কথা বাচ্চাটি ধীরে ধীরে একসময় সালাম দিতে অভ্যস্থ হয়ে পড়তো!
আবার অনেক সময় এমন হয়, কেউ কারো বাসায় বেড়াতে গিয়েছে, ঐ বাসার বাচ্চাটি সালাম দিলো না কেনো এটার জন্য ঐ অতিথি ব্যক্তি নিজেই বাচ্চাটিকে লজ্জা দিয়ে জিজ্ঞেস করে কেনো তাঁকে সালাম দেয়া হলো না । কিঞ্চিৎ ভর্ষনা করা হয় বাচ্চাকে সে কি সালাম দিতে জানে না এই বলে!
এখানে যদি অতিথি নিজে বাচ্চাটিকে সুন্দর করে সালাম দেন, তখন এখান থেকেই বাচ্চাটির জড়তা কেটে যেতো। বাচ্চাটি অতিথির কাছে আসলে উনি বুঝিয়ে বলে দিতে পারতেন সালামের রীতি বা শিষ্টাচার! বাচ্চাটির জন্য সালামের অনুশীলনও সহজ হতো!
এধরনের ভুলের কারনে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চাটি কাউকে স্বেচ্ছায় সালাম দেয়ার পরিবর্তে সে তাঁর পূর্বের ভীতিকর পরিস্থিতিকে স্মরন করে । আমাদের বড়দের এরকম অদূরদর্শী আচরনের প্রয়োগ বাচ্চাদের মন থেকে ঐ কাজের আকর্ষন হারিয়ে ফেলার কারন হয়!
প্রতিটি মানুষ যেমন অভিন্ন তেমনি প্রতিটি শিশুর মাঝেই রয়েছে ভিন্নতা, বৈচিত্রতা! অনেক শিশু উচ্ছল -প্রানবন্ত স্বভাবের হয় আবার অনেক শিশুরা চুপচাপ, লজ্জাবনত স্বাভাবের হয়! যে শিশুটি উচ্ছল সে কিন্তু সহজেই নতুন শেখা বিষয় তাঁর জীবনে প্রয়োগ করতে মোটেই সংকোচ বোধ করে না অপরদিকে যে বাচ্চাটি চুপচাপ স্বভাবের সে তাঁর এই লজ্জার কারনেই খুব সহজ কোন কাজ অন্যের সামনে প্রকাশ করতে সে যথেস্ট সংকোচ বোধ করে।তাই বাচ্চার ক্যারেক্টারের কোয়ালিটি অনুযায়ী বাবা- মাকে সন্তানকে সময় দিয়ে বুঝাতে হবে । উৎসাহিত করতে হবে সালাম বিনিময়ের কারনে যে সওয়াব, বেনিফিট হয় তা বুঝিয়ে বলা। প্রয়োজনে বাচ্চাকে কিছু গিফটের ব্যবস্থা করলে তারা আরো বেশি উৎসাহিত বোধ করবে।
বাচ্চারা যে অনুকরন প্রিয় তার একটা কমন উদাহরন হলো, প্রায় খেয়াল করবেন যে পরিবারের সদস্যরা সালাম দিয়ে ফোন রিসিভ করে ঐ পরিবারের সন্তান এমনকি সে যদি সদ্য কথা বলা শিখে তবুও সে বাচ্চা খেলাচ্ছলে ফোন হাতে নিয়ে আধো আধো বুলি দিয়ে সালাম দেয় ।
আমার মেয়ে একবার আমাকে খুব দুঃখ করে বলেছিলো, ছোটরা বড়দের সালাম দিলে বড়রা সেটা অনেকসময় উত্তর দেন না বা পাত্তাই দেন না! আমি ওকে বলেছিলাম, যতক্ষন ঐ আন্টি তোমার সালামের জবাব না দিবেন তুমি উনার আরো কাছে গিয়ে আরো জোরে সালাম দিবে! তারপরে দু একবার এরকম করার ফলে আর এরকম ঘটনা পুনর্বার ঘটেনি!
আমার ছোট এক স্টুডেন্ট আমাকে বলেছিলো, সে ওদের বাসায় আসা এক অতিথিকে সালাম দিয়েছিলো, পরে ঐ অতিথি যখন স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কেমন আছো? সে জবাব দিয়েছিলো -আলাহামদুলিল্লাহ ভালো আছি! ঐ অতিথি নাকি ওকে বলেছিলো পাকনা মেয়ে! আমার ঐ ক্ষুদে স্টুডেন্ট কাঁদো কাঁদো হয়ে আমাকে অনেক লজ্জা পেয়ে বলেছিলো -বড়দের সালাম দিলে পাকনা বলে , আমার ভালো লাগে না!
আমাদের বড়দের উচিত যখন আমাদেরকে ছোটরা সালাম দিবে আমরা যেনো খুব চমৎকার ভাবে , তাঁকে অনুপ্রানিত করে সালামের উত্তরটা তাঁকে দেই। তাঁকে যেনো এটা বুঝিয়ে দেই সে খুবি উত্তম একটি কাজ করেছে এতে সে অনেক বেশি উৎসাহিত হবে!
একটা পরিবার আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা বিরাট নিয়ামত। পরিবারের সন্তানদের সঠিক ভাবে লালনপালন করাটা বাবা-মায়ের উপর অর্পত বিশাল গুরু দায়িত্ব। একটা শিশু জন্মের পর সবাচাইতে বেশি কাছে পায় বা কাছ থেকে অবলোকন করার সুযোগ পায় তাঁর বাবা- মাকে। বাবা- মায়ের কৃত প্রতিটি আচরন কিন্তু শিশুমনের মাঝে গেঁথে যায়।শিশু জীবনের শুরু থেকেই সন্তান যখন পরিবারের মাঝে সবার প্রথম সালামের প্রচলন দেখবে, যখন দেখবে বাবা বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করেই সালাম বিনিময় করছে, মা- বাবার সালামের উত্তর দিচ্ছেন, সন্তানকে ঘুম থেকে জাগিয়ে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো হচ্ছে, স্কুলে বিদায় দেয়ার সময় মাথায় আদর দিয়ে সালাম দেয়া হচ্ছে তখন ঐ শিশুটি কিন্তু সালামের রীতিনীতির সাথে এমনিতেই অভ্যস্থ হয়ে পড়বে। সন্তান যখন একটু বড় হবে তখন এই সালামের প্রচলন, গুরুত্ব এবং উৎসাহমূলক ঘটনা বলে সন্তানকে বুঝিয়ে দিতে হবে কেনো এবং কিভাবে সালাম দিতে হয়! প্রয়োজনে বাচ্চাকে আগে থেকেই স্মরন করিয়ে দেয়া বাবাকে, অতিথিদেরকে সালাম দেয়ার বিষয়টি। বাচ্চা যদি কোন কারনে ভুলেও যায় তাঁকে আড়ালে নিয়ে আবারো মনে করিয়ে দেয়া সালাম দেয়ার কথা! এভাবে একপর্যায়ে সন্তান শিখে যাবে ইনশা আল্লাহ!
বর্তমান দুনিয়াতে মানুষ সবচাইতে বেশি ভুগছে অশান্তিতে। শান্তির পিছন খুঁজতে খুঁজতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে শান্তির পায়রার দেখা আর মিলে না! একমাত্র ইসলাম আমাদের শান্তির পথ দেখায়। আদম আলাইহিসসালাম এর সৃষ্টির পর উনাকে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা সালামের এই চমৎকার সম্ভাবষন শিখিয়ে দিয়েছেন । সেই থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত মুসলিমদের এবং শুধু কিয়ামতে নয় বরং জান্নাতেও মুসলিমদের প্রথম সম্ভাষন হবে এই সালাম ! সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং ইসলামের এই শান্তিময় সম্ভাষনের মাধ্যমে নিজেরা সন্তানরা, পরিবার-পরিজনগন,সমস্ত মুসলিম উম্মাহ সম্মিলিত ভাবে এই বিধানকে মেনে চলি, শান্তিময় দুনিয়া ও আখিরাত গড়ে তুলি!
আবু উমামা ছুদাই ইব্ন ‘আজলান আল বাহেলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«إن أولى الناس بالله من بدأهم بالسلام» رواه أبو داود بإسناد جيد.
“আল্লাহর নিকট সর্ব উত্তম ব্যক্তি সে, যে মানুষকে আগেই সালাম দেয়”। বর্ণনায় আবু-দাউদ
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৯ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসছি.... ইনশা আল্লাহ!
আমার মনে চাচ্ছে এখন থেকেই বাচ্ছাদের সালাম দেওয়া আরম্ভ করি। আপনার লিখায় চমৎকার ফুটে উঠেছে যে কলসির মুখ যেমন সবসময় হা করে থাকে পারি ভরার জন্য, ঠিক তেমনই বাচ্ছাদের মন ও সবসময় হা করে থাকে পরিবারের সদস্যদের আচার আচরণ ও আদব আখলাম শিখার প্রতি।
আমার জান্নাতমনি প্রথম প্রথম আমাকে মোবাইলে সালাম দিতে চাইতো না। ওর মা অনেক করে বলতো আগে সালাম দিবে, কিন্তু সে সংকোচবোধ করে। অতঃপর আমি যখনই মোবাইল করি, জান্নাত রিসিভ করে, আর আমি সাথে সাথেই সালাম দেওয়া শুরু করি। আলহামদু লিল্লাহ ইতি মধ্যে জান্নাতমনিও আমাকে সালাম দেওয়া শুরু করেছে। আপনার লিখাগুলো আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। জাযাকিল্লাহ খাইর।
বাচ্চাদের কাছ থেকে কিছু আশা করার আগে তাদের সেই শিক্ষাটা সুন্দরভাবে শিখানো প্রয়োজন তাহলে ওদের অনুসরন করা সহজ হয়!
বারাকাল্লাহু ফিক! অনেক শুকরিয়া
শুধু ছোটদের কেন? নিন্মপদস্থ বা ছাত্রদের সালাম দেওয়া কে অনেক ইসলামি ব্যাক্তিত্বও অপমানজনক মনে করেন।
আর আগে সালাম দেওয়া কে অনেকে মনে করেন নিজে ছোট হওয়া!! এই ভাবে আমরা ধ্বংস করছি আমাদের সংস্কৃতিকেই।
শুধু ছোটদের কথা উল্লেখ করলাম এই পোস্টে । সামনে কোনদিন বড়দের বিষয়টা আলোচনা করা হবে ইনশা আল্লাহ!
নিজের সংস্কৃতি ছেড়ে দিয়ে আমরা পরদেশি সংস্কৃতিতে আচ্ছন্ন হয়ে আছি - এটা একটা সমস্যা!
অনেক অনেক শুকরিয়া!
আপনার প্রতিটা লিখাই শিক্ষনিয়।
জাযাকাল্লাহু,,,,
অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যের জন্য অনেক শুকরিয়া!
সুরা "জুমার" এর আমার প্রিয় আয়াতটির কথা মনে পড়লো। "সালামুন আলাইকুম ত্বিবতুন ফাদখুলুহা খালেদ্বীন।"
চমৎকার আয়াতটি স্মরনে এনে দেয়ার জন্য শুকরিয়া !
শিক্ষনিয় পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু ।
তোমাকেও অসংখ্য শুকরিয়া সাথে থাকার জন্য!
আল্লাহ্ সুবাহনাহু ওয়াতা'আলা যেন সেই জ্ঞানী(!)দেরকে ইলমের অহংকার ছেড়ে সঠিক বুঝার ক্ষমতা দান করুন।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। জাযাকিল্লাহু খাইরান। আমার মনে হয়- সালামের বিষয়টি শুধু বাচ্চাদের জন্য নয় বড়দেরও প্র্যাকটিস করা দরকার। যেমন আমরা কারো পোস্টে কমেন্ট করার সময়, ফাস্ট হওয়ার প্রতিযোগিতার সময় সালাম দিয়ে শুরু করতে পারি।
বাচ্চাদেরকে প্রাক্টিকেল সালামের প্রশিক্ষণ দেয়া উচিৎ। দরুন- বাসায় মেহমান এসে কলিং বেল বাজালো। আপনি বাচ্চাকে সাথে নিয়ে দরজা খুললেন। আগে থেকেই বলে দিলেন- দরজা খোলার সাথে সাথে মেহমানদের সালাম দিয়ে মুসাফাহা করতে। এতে বাচ্চা প্রাক্টিকেল শিক্ষা অর্জন করবে। আস্তে আস্তে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হবে ....।
ছোট -বড় সবার জন্যই সালামের বিধান! যে আগে সালাম দেয় তাকে উত্তম বলা হয়েছে! আমাদের উচিত আগে সালাম দেয়ার প্রতিযোগিতায় নামা!
আমরা যখন সবাই একসাথে বাসায় ফিরি বাচ্চাদের মাঝে কম্পিটশন কাজ করে কে ঘরে প্রবেশ করে কে আগে সালাম দিবে,কে আগে দোআ পড়বে! এভাবেই আনন্দময়তার সাথেই বাচ্চারা শিখে গেছে আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার বলা উদাহরন গুলো অবশ্যই ফলপ্রসু! চমৎকার টিপসের জন্য শুকরিয়া! সবাই সচেতন হলে আশাকরি আমারা সুন্দর- শান্তিপূর্ন সমাজ গড়তে পারব ইনশা আল্লাহ!
বারাকাল্লাহু ফিক! চমৎকার মন্তব্যটি এবং সাথে থাকার জন্য শুকরিয়া
আপনার কথার সাথে আংশিক একমত। পৃথিবীর কোনকোন অঞ্চলে মানুষ এখনো অশান্তিতে ভুগছে, এটা সত্যি। কিন্তু "একমাত্র ইসলাম আমাদের শান্তির পথ দেখায়" কথাটি খুব বেমানান হয়ে গেল না? যদি তাই হবে তো মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের ইসলাম আক্রে থাকা মানুষগুলো নতুন আবাসনের আশায় ইটালীর উপকুলে ভুমধ্যসাগরে এভাবে ডুবে মরে!!! @ সাদিয়া মুকিম।
আপুনি কি মোবাইল থেকে?
বারাকাল্লাহু ফিক আপু ! আপনার উপস্থিতির সুকোমল উষ্ণতায় ছোটবোনটি অন্নেক আপ্লুত!
আর আমরা বেশিরভাগ অভিভাবকরা অনেকক্ষত্রে না বুঝে যে ভুল করে ফেলি সেটা হলো বাচ্চাদের ইসলামের এই বিধানটি নিয়ে কখনোই আলোচনা করি না বরং চাপিয়ে দেই বা শাষন করে আদায় করতে চাই! যার ফলে কি হয়? বাচ্চাদের এ ব্যাপারে সঠিক ধারনা না থাকায় সে খুব দ্বিধাগ্রস্থ বা বিব্রতবোধ করে।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু ।
আমরা জাতী হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছি যা (তাবিজ) সংস্কৃতির উপর দিয়ে বয়ে চলছে তরিৎ গতিতে!! তাবিজের গায়ে আল্লাহু লেখে রেখে গলায় জুলিয়ে রাখি শিরিক!!!
ঠিক তেমনি আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে অন্ধকারে রেখে নিজেদের সম্মান ধরে রাখতে চাই!! সালামকে আমারা দেখি সম্মানের রূপে! সালামকে দেখতে হবে দোয়ার রূপে এবং সন্তানদের শিক্ষা দিতে হবে সঠিক জ্ঞানের বিত্তিতে।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটি উপহার দেবার জন্য।
সঠিক শিক্ষা এবং অনুশীলনই পারবে শিশুদের সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে!
জাযাকাল্লাহু খাইর আপনাকে! আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন!
তাদের সালামের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়ার চাইতে পরিবারে বড় সদস্যদের মাঝে সালামের প্রচল করা অতীব জরুরী। কেউ কারও সামনে পড়লে, কোন প্রয়োজনে একে অপরের কাছে গেলে, ঘরে ঢোকা এবং বের হওয়ার সময় সালাম বিনিময় করলে বাচ্চা তা দেখে আদো আদো স্বরে যাকে তাঁকে দেখলে সালাম দেবে, হয়তো কখনো জিজ্ঞেস করবে, আব্বু, আম্মু আপ্নারা সালাম দেন কেন? তখনি গুরুত্বটা বুঝিয়ে দিতে হবে, তখন বাচ্চার মনে চিরজীবনের জন্য গেঁথে যাবে।
সালামের ক্ষেত্রে বড় ছোট ভেদাভেদ নেই, বড়রা ছোটদের সালাম, আবার ছোটরাও বড়দের সালাম দেবে। মেহমানের সামনে সালাম নিয়ে লজ্জা দেয়া খুবই খারাপ কাজ, শুধু তাই নয়, অন্য যেকোন কারণে মেহমানের সামনে কোনোভাবেই তাদের ধমক কংবা অপমান করা উচিত নয়, তাতে করে তাদের মনে উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সমাজকে সম্পূর্ণ নতুন করে ইসলামী শিক্ষার আলোকে ঢেলে সাজাতে এমন্সব উপকারী, যুগান্তকারী লেখা পোস্ট করা আপনাকেই মানায়!!!!!
আমার বোনটির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল! আমার জন্য দোয়া করবেন, অনেক দিন পর আ শুরু করলাম, কিছু লেখা পড়তে এবং মন্তব্য করতে।
মেহমানদের সামনে আসলে বাচ্চারা অন্যায়মূলক কিছু করলে অনেকক্ষেত্রে অভিভাবকগন কন্ট্রোল রাখতে পারে না! কি ধরনের অন্যায় এটা বুঝেই সময় অনুযায়ী শাষন করা প্রয়োজন। ভুলের জন্য সবার সামনে বকাঝকা করা শিশুর মানষিক বিকাশে অনেক ব্যাঘাত ঘটায়!
আপনি সুস্থ হয়েছেন আশাকরি! আবার শুরু করেছেন জেনে খুবি ভালো লাগলো! আমরা আমাদের ব্লগ পরিবারের সবাইকে ব্লগে সরগরম দেখতে চাই! ব্লগ আংগিনা হাসি আনন্দে বিকশিত হোক!
জাযাকাল্লাহু খাইর! শুভকামনা রইলো
বেশকিছুদিন তোমাকে দেখতে পাইনি! ভাবছিলাম ভাইটি কই গেলো?
সাহাবিদের মাঝে শুধু সালাম দেয়া নিয়েই কতো প্রতিযোগিতা ছিলো এটা কিন্তু সুন্দর সুসম্পর্কেরই ভাবপ্রকাশ করে! আজ আমাদের মাঝে সালামের প্রচলন কমে গেছে, সু সম্পর্ক ও নেই তেমন!
তোমাদের বাসার সোনামনির কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো! ওর জন্য এত্তোগুলো আদর ও দোয়া রইলো!
জাযাকাল্লাহু খাইর! শুভকামনা রইলো
ক্ষমা করবেন! আমার কাছে আপনার সবচাইতে বড় পরিচয় একজন সফল ব্লগার! @ ঘুম ভাঙ্গাতে চাই
পরিস্থিতি মোকাবেল আকরেই সুযোগ মতোন আসার দাওয়াত রইলো!
আমাদের ইয়ং স্টুডেন্ট মেয়েদের যে গ্রুপটা আছে তারা একে অপরকে দেখে প্রথমে অভ্যাসবশত: "চাও" ইটালীয়ান হাই- বলতো! ওদেরকে বুঝিয়ে আবার অভ্যাস করানো হয়েছে চাও বলতে ইচ্ছে করলে বলবে কিন্তু সবার আগে সালাম দিতে হবে।
আরেকটা জিনিষ আপু বেশিরভাগ এরাবিয়ান মহিলাদের আমি দেখেছি ওরা হিজাবি যে কাউকে দেখলেই সালাম দেয় যেটা আমাদের দেশের মানুষরাও একে অপরকে দেয়না! ওদের এই প্র্যাকটিসটা খুব ভালো লাগে!
আপনার কথা জেনেও আমার খুবি ভালো লাগলো। যেখানেই থাকুন আল্লাহ আপনাকে সদা সন্মানের সাথে রাখুন! আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন