ভূমিকম্প: কম্পিত হৃদয়ের আতংক
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:০৩:৩৭ সকাল
কম্পন নামে একটা অধ্যায় ছিলো ষস্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বইয়ে। এখনো মনে আছে সংজ্ঞার সাথে একটি বাটির পড়ে যাওয়ার ফলে যে কম্পন হয় সেটির চিত্র আঁকা ছিলো! আর ভূমিকম্প পড়েছিলাম নবম শ্রেনীতে! তখন থেকেই জেনেছিলাম জাপান সর্বোচ্চ ভূমিকম্প প্রবন দেশ!
ভূমিকম্পনের সাথে আমরা সবাই পরিচিত, ভূমিকম্পের কথা শুনে এসেছি, বইতে পড়ে এসেছি কখনো বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয় নি। অবশেষে ভূমিকম্পের শিকার হয়েই এ লিখার অবতারনা.........
সেদিন ভোর ৪টায় আচমকা ঘুম ভেংগে গেলো.... ঘুম জড়ানো চোখে মনে হলো আলমারিটা গায়ের উপর পড়ে যাচ্ছে! মুহূর্তেই খাটের দোলনার মত দুলোনী পেয়ে ঘটনা আঁচ করে আমি হতভম্ব! এটা কি স্বপ্ন? নাকি বাস্তব? কি করব? কি করা উচিত? হুঁশ ফিরলো পতিজ্বীর সজোরে কালিমার শব্দে!
আল্লাহু আকবর বলে ঘুমন্ত ছেলেকে কোলে নিলাম, ডেকে নিলাম পাশের রুমে মেয়েকে, মেয়ের ঘুমও ভেংগে গেছে আমরা সবাই বুঝে গেছি ভূমিকম্প হচ্ছে! বাইরে যাব নাকি বাসায় থাকবো, অনিশ্চয়তা আর উৎকন্ঠায় দ্বিধাদ্বন্দ করতে করতে মনে হলো ভূমিকম্প বুঝি একটু থেমেছে!
হতবিহবল হয়ে করনীয় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! দোআ পড়া শুরু করলাম! আতংকিত হয়ে মেয়ে বলছিলো, আম্মু ভূমিকম্পের দোআ তো তুমি শিখাও নি? চিন্তাক্লিষ্ট আমি কোনরকম বললাম, কালিমা পড় আর আল্লাহু আকবর বলো বেশি করে! ওদের আব্বু এর মাঝে নিচে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসলো! ৩৬ টি ফ্লাটের বেশীর ভাগ পরিবার নিচে নেমে গেছে, কিন্তু কারো কাছেই কোন নিউজ নাই আবার হবে কিনা! সবাই ভয়ে আতংকিত কেউ সাহস পাচ্ছেনা ঘরে ফিরার ! বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা তাই আমি ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে যেতেও চাচ্ছিলাম না আবার ঘরে থাকাটাও নিরাপদ না এটা নিয়েও শংকিত হচ্ছিলাম!
এরমধ্যেই ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলো, পতিজ্বী মসজ়িদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন! উনি চলে যাচ্ছেন ভয় হচ্ছিল খুউব! কিছু না বলে আমি আর আমার মেয়ে জ়ামাত করলাম ! সূরা ফজ়ররের كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا (কখনই নয় , পৃথিবীকে যখন চূর্ণবিচূর্ণ করে বালুকাময় করে দেয়া হবে) - ঘটে যাওয়া পরিস্হিতির ভয়াবহতার সাথে আয়াতটি পড়ে অশ্রু সজল নয়নে, কম্পিত হৃদয়ে প্রভুর নিকট ফরিয়াদ জানালাম! এভাবেই প্রচন্ড উৎকন্ঠায় কেটে গেলো নির্ঘুম রাতটি!
পরদিন সকালে নিউজ পড়লাম। আমাদের শহর সহ আরো ৩টি শহরে ঘটেছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের মূল পয়েন্ট হতে আমাদের শহর কিছুটা দূর হলেও রিক্টার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫'৯। খবরে জানা গেল এক রাতেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে! সামান্য কিছু সময়ের জন্য কেঁপে উঠেছিল বোলনীয়ার জমিন অথচ মনে হচ্ছিলো কিয়ামত কি তবে শুরু হয়েই গেল?
সংবাদ পেলাম বহু স্বজনদের যারা ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সারা রাত শীতে বাইরে কষ্ট করে কাটিয়েছেন। অনেকেই বাসায় ফিরে যেতেই ভয় পাচ্ছিলেন!
সংসার জীবনে প্রবেশ করার পর থেকেই সবচাইতে প্রিয় যে স্থানটি সেটা হলো স্বগৃহ! বাসার বাহিরে থাকলে অস্থির লাগে, মনে হয় কখন বাসায় ফিরব! মেয়ে স্কুল থেকে ফিরতে দেরী করলে উদগ্রীব হয়ে বার বার জানালার সামনে দাঁড়াই , স্বামী- সন্তান পরিবারের জন্য কত পেরশানী! হাজারো ক্লান্তি নিয়ে যখন বাসায় ফিরি মনে হয় এ যেনো এক টুকরো শান্তির নীড়! যতক্ষন বাসায় থাকি সুন্দর পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখি বাসাটিকে, নিজের বসবাসের এ স্হানটিকে মনের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছি! করিডোর থেকে বেডরুম প্রতিটি অংশ যেনো ভালোবাসার এক একটি নীরব নিদর্শনের সাক্ষ্য বহন করে আছে! আমাদের - সুকোমল সন্তানদের হাতের ছোঁয়া, হাসি -আনন্দাশ্রু মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে!
অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছি আমার ছোট্ট বাসাটিকে, প্রত্যেকটি আসবাবকে, ভালবাসি আমার জীবনকে, প্রিয় সন্তান -স্বামীকে, ভালবাসি বেঁচে থাকাকে, ভালোবাসি এই পৃথিবীকে! এই ভালবাসা কিছুতেই থামবার নয়, দুরন্ত তীব্র গতিতে বেড়েই চলছে ... ............
কথাগুলো আপনমনেই ভাবছিলাম আর ফিরে আসছিলাম বাসায় ! তবে এবার ফিরার অনুভূতি কেমন জানি ম্লান হয়ে যাচ্ছিলো! যে বাসটিকে চির আপন, শান্তির নীড় ভাবতাম বাসায় ঢুকে মোটেই শান্তির নীড় অনুভূত হচ্ছিলো না! গতকালকেও কতো ভালোবাসা ছিলো অথচ এক রাতের ব্যবধানে কোন কিছুকেই ভালবাসতে পারছিলাম না! সব কিছু বিরাট ফাঁদ আর মরিচীকা মনে হচ্ছিলো!
ভয়াবহ রাতটির কথা কখনোই ভোলার নয়! শুধু মনের মাঝে শংকাধ্বনির মতো বাজছিলো কিছু কথা! এই ভূমিকম্পেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারাতাম, আলহামদুলিল্লাহ হায়াতে বেঁচে আছি! আমার ঘর,সন্তান,স্বামী সবকিছু নিয়েই আছি! কিন্তু মরে ও তো যেতে পারতাম!
সূরা যিলযাল- সূরা ক্বরিয়াহ এর তাফসির , এছাড়া সূরা হজ্ব এর ১ও২ নম্বর আয়াতের অনুবাদ বা ব্যাখ্যা যখন পড়েছিলাম কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা বোধগম্য হয়েছিলো কিন্তু পূর্ণরূপে উপলব্ধি করা হয়নি। যা এবারের ভূমিকম্প প্রাক্টিকালি কিছু অনুভূতি রেখে গেলো!
এটাই আমার জীবনে সংঘটিতো প্রথম বার ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা ! এই ভূমিকম্পে আমি শুধু আতংকিতই হইনি বরং স্মরন করেছি প্রায় বিস্মৃত সেই মৃত্যুর কথা !
চলেই যদি যেতে হতো কী জ়বাব দিতাম আমি আমার রবের সামনে? আমি যে প্রস্তুত নই এখনো! মরে গেলে আমি কোথায় থাকতাম? আমার সেই চিরস্হায়ী ঘর কে কি আমি আমার দুনিয়ার ঘরের মতো ভালবাসি? নেক আমলনামা দিয়ে কখনো কি সাজানোর চিন্তা করেছি? এই ঘর,স্বামী-সন্তান, আপনজন -দুনিয়ার ভালবাসা ছেড়ে যেতে হবেই আমাকে তবু কেন আমার মাঝে কোন পেরেশানী সৃষ্টি করে না? কেন ভালবাসি না স্বামী- সন্তান ,আপনজন নিয়ে জান্নাতী হওয়ার চিন্তাকে?
ভূমিকম্পের একটি রাত, কিছু ভয় কিছু ভাবনা আর তার আত্নসমালচনা আমাকে আমার রবের অনেক কাছে নিয়ে এসেছিলো। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয়!
(ঘটনাটি ২০১২ সালের! আরো একবার ভূমিকম্পের স্মরনে অতীত স্মৃতি চারন করা ! এটি লিখা হয়েছিলো অনেক আগে এস,বি ব্লগে! )
বিষয়: বিবিধ
১৪০৫ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভুমিকম্প খুব বিপদজনক একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটার কোন পুর্বাভাস হয় না। কখন হবে, কত বেশী কম্পন হবে, কখন থামবে এগুলো কেউই জানে না। এর থেকে বাচার জন্য, পুরোপুরি কার্যকারী তেমন কোন উপায়ও নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এমন বিপদ থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ যেন সবাইকে ইমানদার বানিয়ে মৃত্যু দেন।
আপনার লেখার সবচেয়ে বড় অলংকার হল আপনার বর্ননা। একটি সাধারন ঘটনার এমন বর্ননা থাকে যাতে মনে হয় ব্যাপারটি চোখের সামনে ঘটছে। ভালো লাগলো। চালিয়ে যান।
প্রথমে শুকরিয়া আদায় করছি প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে সুপ্রিয় ব্লগার ও লেখক ভাইয়ার মন্তব্য পেয়ে- আলহামদুলিল্লাহ!
আমার জীবনের প্রথম ভূমিকম্পের ঘটনা ছিলো সেটি তাই অনেক ঘাবড়ানো অবস্থায় ছিলাম! সাথে ছোট বাচ্চারা এবং বাইরে ছিল প্রচন্ড শীত তাই বাইরে বেশীক্ষন থাকটাও সম্ভব ছিলো না! আল্লাহ আমাদের সেই বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ!
কিছুক্ষন পর পর দেশী ভাইবোনরা এমনিতেও মেসেজ পাঠাতো আর কিছু ক্ষন আবারো ভূমিকম্প হবে, সেই সংবাদে তো আবার ভয় পেতাম কিন্তু পরে সংবাদে বলেছিলো যে এটা আসলে পূ্রবে জানার কোন উপায় নেই! ঘটার পরেই ধরা পড়ে!
ব্যস্তার মাঝেও সময় দিয়ে পড়া এবং অনুপ্রেরনা দিয়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! আপনার নিয়ামত নিয়ে লিখাগুলো বাচ্চাদের সাথে শেয়ার করছি!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আপনার লেখা সুন্দর। প্রানবন্ত। ধন্যবাদ।
প্রশ্ন- আপনি কিন্তু আরবী তন্ত্রমন্ত্র মুখস্ত করে আল্লার একমাত্র প্রিয় মুসলিম হিসেবে পরকালের সুখ, পুলক, বসতভিটা সব বন্দবস্ত প্রায় করে ফেলেছেন।
কিন্তু যারা আপনার আল্লায় মোটেও বিশ্বাস রাখে না, অথচ ভূমিকম্পের Tectonic Plates, Plate Boundaries নিয়ে দিনরাত গবেষণা করে, পূর্বাভাস দিয়ে জনসচেনতা তৈরি করে, ভুমিকম্প প্রবন অঞ্চল চিহ্নিত করে দেয়, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচার কৌশলগত গত অবকাঠম নির্মানের প্রযুক্তি উদ্বাবন করে, তাৎক্ষনিক উদ্ধার তৎপরতার ভারি যন্তযান নির্মান করার অক্লান্ত সময় ব্যায় করে। ওদের জন্য আপনার আল্লা কি বন্দবস্ত করেছেন? বলেন তো, শুনি?
মন্তব্যের প্রথামাংশে আপনার করা অনুপ্রেরনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আমরা যারা মুসলিম- ইসলাম ধর্মের উপর ঈমান এনেছি এবং আল্লাহ কে রব, প্রভু এবং ইলাহ হিসেবে মানি, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রভুর নিকট আমল গ্রহনযোগ্য হওয়ার জন্য ঈমান বা বিশ্বাস প্রথম শর্ত! যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী আল্লাহ তাদের ভালো এবং মন্দ উভয়ের অনু পরিমান কাজগুলোর প্রতিদান দিবেন কাউকে বন্চিত করা হবে না!
আর যারা বিশ্বাসী নয় অথচ অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে তাদের প্রতিও আমার রব অবিচার করবেন না তাদের প্রতিদান এই পৃথিবীতেই দিয়ে দেয়া হবে পরকালে তাদের কোন অংশ নেই!
চমৎকার প্রশ্নটির জন্য আরো একবার ধন্যবাদ আপনাকে! ভালো থাকুন সবসময়, সঠিক বিশ্বাসের উপর জীবন গড়ে তুলুন!
এটাই কিন্তু আমাদের জন্য ভাবনার বিষয়! ঠিক ভূমিকম্পের সময় আমরা একেকজন একেক কাজে ব্যস্ত ছিলাম, যখন ভূমিকম্প শুরু হলো, জমিন দুলে উঠলো সবার আগে আমাদের অন্তর ঠিক কার স্মরন এসেছিলো! তিনি কি আমাদের প্রভু? উনার সুমহান কালিমাই কি কন্ঠে ধারন করেছি?
আমরা এখান থেকেই শিক্ষা গ্রহন করতে পারি , আমাদের ভালো কাজে মনোনিবেশ করতে হবে এবং অভ্যস্থ করতে হবে সব অবস্থায় আগে আল্লাহর স্মরন অন্তরে আনার ব্যাপারে!
“মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করা যাবে না, আল্লাহ যেন মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দেন আমীন! আরো সুন্দর করে বলতে পারি শহিদী মৃত্যু দান করুন! আমীন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
যখনি বুঝতে পারবেন ভূমিকম্প হচ্ছে তখনি সর্বোচ্চ চেস্টা করুন মনোবল না হারাতে, সাহসী হতে ! কালিমা পড়ুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা করুন!
করনীয় যা করতে পারেন-
খুব বেশি নড়াচড়া করবেন না! দৌড়াদৌড়ি করবেন না! ঘরের মধ্য পয়েন্টে না থেকে বরং দেয়াল ঘেসে বা টেবিলের নিচে থাকত এপারেন লক্ষ্য - মাথাকে আঘাত থেকে রক্ষা করা!
বাসার গ্যাস লাইন অফ করে দিবেন ।
বিল্ডিং এর সবচাইতে দুর্বল অংশ হচ্ছে সিঁড়ি তাই তড়িঘড়ি করে একসাথে অনেক মানুষ সিঁড়ি দিয়ে নামা বেশ ঝুঁকিপূর্ন! ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না! পায়ে স্যান্ডেল বা জুতা পড়ুন ,মানিব্যাগ সাথে নিয়ে ধীরে বাসা থেকে বের হবেন ! ---- অনেকদিন পর মনে করার চেস্টা করলাম আমাদেরকে নিউজে এগুলো বলে সতর্কতা নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো!
শুকরিয়া আপনাকে!জাযাকাল্লাহু খাইর
সূরা হজ্জের প্রথম আয়াতগুলোর কথা মনে আছে? ঐ আয়াতগয়লো কিয়ামতের সময়ের কথা বর্ননা দিয়ে করা হয়েছে!এখন তো সামন্য কম্পন তাতেই আমাদের কি শোচনীয় অবস্থা!
আমরাও বাসা থেকে বের হইনি প্রথমত ওরা দুজনেই ছোট আবার বাইরে প্রচন্ড শীত@ বাইরে গিয়ে আধঘন্টা থাকলে এমনিতেও জমে যেতাম! অনিষহ্চিতভাবে বেশিক্ষন বাইরে থাকা সম্ভব না! পরে মনে হলো ভূমিধ্বসে মারা গেলে শহীদি মৃত্যু সুতরাং ভয়ের কি?
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয়! জাযাকাল্লাহু খাইর
জাজাকাল্লাহ খাইরান আপু ।
জ্বি আপু! তবে প্রায় সেই দিনগুলোর কথা মনে আসে! দোআ করি মৃত্যু বা ভূমিকম্প বা যেই পরীক্ষাই আসুক না কেনো ঈমানহারা যেনো না হই!
দোআ করবেন!আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।শুকরিয়া
চমৎকার মন্তব্য করে অনুপ্রেরনা রাখার জন্য শুকরিয়া! দেশে আমাদের ভাবী, জান্নাতমনি, বাকি স্বজনরা সবাই ভালো আছেন তো?
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।শুকরিয়া
অনিন্দ্য সুন্দর লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপু আজকে আমাদের হালাকায় সূরা আল ক্বরিয়াহ এর আলোচনা ছিলো! কোআরানের আয়াতগুলো এবং হাদীসগুলো থেকে কিয়ামতের যে কঠিন দৃশ্য আমাদের সামনে চিত্রায়িত হয়েছে তার তুলনায় এই ক্ষনিকের ভূমিকম্প কিছুই না! তবু কিভাবে ভয়ে আতংকিত হয়েছি! আল্লাহ আমাদেরকে এখান থেকে সঠিক শিক্ষা নেয়ার জন্য মনকে উন্মুক্ত করে দিন!
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।শুকরিয়া প্রিয় আপুনি!
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর!
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর! দেশে সবাই ভালো আছেন তো?
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর! দেশে সবাই আপনজনেরা ভালো আছেন তো?
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন, হিফাজতে আছেন!
ঠিক বলেছে আপনি!
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর!
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর
আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হিফাজত করুন! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিকট একটাই চাওয়া প্রকৃত মুসলিম হয়ে যেন দুনিয়াতে থাকি আর ঈমানদার অবস্হায় যেন দুনিয়া হতে বিদায় নেই। ঈমানের সাথে যেনো মরন হয়, জ়াণ্ণাতের সু- সংবাদ পেয়ে শহিদী মৃত্যু যেনো নসীব হয় ।
পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য জাযাকিল্লাহু খাইর আপুনি
সালাতুত তাসবিহ এর আমালটা খুব দ্রুত পড়বো ইনশাআল্লাহ।
খুব মজবুত আমাল , আমার জীবনে এই আমালটা মহান রবের পক্ষ থেকে স্পেশাল উপহার মনে হয়।
আমার জন্য জাজাকাল্লাহ আপু।
বারাকাল্লাহু ফিক!
গাফলতে আছি অনন্ত আমি।
ক্ষমা করে দাও রব তুমি
মন্তব্য করতে লগইন করুন