যাপিত জীবনের সাতকাহন ...
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৩৫:৫৫ রাত
যতদিন নিজ পরিবারে আব্বা- আম্মার মায়ার আঁচলে ছিলাম জীবনের বৈচিত্রময় রুপটাকে এত স্বচ্ছতার সাথে দেখা হয় নি, বোঝাও যায় নি জীবনের নানা জটিলতা বা সমস্যাগুলো! মাথার উপর এক খন্ড শান্তি মেঘের ছায়া হিসেবে অভিভাবকগন ছিলেন ! সেই দিনগুলোর মতো নির্মল, চিন্তা ক্লেশ বিহীন সোনালী দিনগুলো যা আর কোন দিন ফিরে আসবে না!
নিজের সংসার জীবনে প্রবেশের পর ধীরে ধীরে বুঝতে লাগলাম জীবনের উথ্থান- পতন, জোয়ার- ভাটার স্রোতগুলো! সবচাইতে বেশি বুঝেছি আশেপাশের মানুষদের দেখে!
যেহেতু প্রবাসে থাকি এখানকার সব বাংলাদেশিদের মাঝে খুব সুন্দর আন্তরিকতা এবং ভ্রাতৃত্ব অনুভূতি কাজ করে। ছুটির দিন গুলোতে সবার খোঁজ নেয়া, টুকিটাকি দাওয়াত দেয়া ছোট একটা রুটিনের মতো পরিনত হয়েছে! আমরা সবাই সবার আপন, কারো বিপদে সবাই ঝাপিয়ে পড়ে, প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতার জন্য সবাই প্রস্তুত আলহামদুলিল্লাহ!
এর মাঝেও রয়েছে জীবনের বেসুরা দীর্ঘ নিঃশ্বাস! গভীর অশ্রু সজল টপ টপ বর্ষন! বুক ভেংগে যাওয়া করুন কাহিনী!
সময়ের সাথে সাথে পরিচিতির গন্ডি যখন বেড়ে চলেছে অনেক বোনদের সাথে সখ্যতা হয়েছে! সুখ দুঃখের আলাপনের সাথে অনেক সময় অনেকের জীবনের না বলা করুন কথাগুলো জানার ভাগীদারও হতে হয়েছে! আর্থিক অনটনের মতো কঠিন সময় পাড়ি দেয়ার কথা জেনেছি, কোনদিন ভালো হবে না এমন দুরারোগ্য অসুস্থতার কথা শুনেছি, ডাক্তার বলে দিয়েছেন কোন দিন সন্তানের মা হতে পারবেন না এমন বোনের চোখের জল টুকু মুছে দিয়েছি......................
জীবনে কিছু চড়াই -উৎড়াই, বাধা - বিপত্তি দিয়েই আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা স্বরুপ পাঠিয়েছেন! সুতরাং ঈমান মজবুত করন আর সবরের উপদেশ দেয়া, দোআ করা ছাড়া এসব ক্ষেত্রে আর কি ই বা করা যেতে পারে? এমন ভেবে নিজেকেই সান্তনা দিয়েছি!
কিন্তু সবচাইতে বেশি কষ্ট লাগে যখন কাউকে দেখি ইসলাম থেকে দূরে থাকতে! যেসব বোনেরা ইউরোপে এসে নিজ দ্বীন কে ভুলে গিয়ে নামায, রোযা, পর্দা, হালালভাবে জীবন পরিচলানা ভুলে গিয়ে স্বেচ্ছাচারী জীবন শুরু করে দিয়েছেন তাদের জন্য কষ্ট হয়! এই ক্ষেত্রে কোনভাবেই শুধুই সান্তনার আশ্রয় নিতে পারিনি!
বোনদের সাথে পরিচয়ের পরিধি বেড়ে চলেছে করনীয় তীব্র অনুভূতি বোধটাও ঝুলিতে সাথী হয়েছে! যখনি কোন দাওয়াতে বা স্কুলে যাই মুসলিম বোনদের দেখি, তখন সবার সাথে আমি পরিচিত হই একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে ! সেটা হলো দাওয়াতী কাজ করা! যেহেতু ইউরোপের উন্মুক্ত পরিবেশে বেশির ভাগ বোনেরা শুধু স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করেন এখানে মুরুব্বি মা -বাবা নেই আবার শ্বশুর শ্বশুড়ি ও নেই যারা সঠিক পথে থাকার পরামর্শ দিবেন, ভুল থেকে দূরে থাকার পারমর্শ দিবেন!
তাদের সবার সাথে দাওয়াতী কাজের লোভ জাগে! মনে হয় ইশ ! একটা বোনকে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত নামাযী বানাতে পারি সারাজীবন আমার আমল নামায় সওয়াব যোগ হবে! একটা বোনকে বেপর্দার অভিশাপ থেকে বাঁচিয়ে সতর ঢাকায় অভ্যস্ত করতে পারলে সারাজীবন আমি সওয়াব পাব! যারা কোরআন পড়তে ভুলে গেছে তাদের একটু তাজউইদের নিয়মটা ধরিয়ে দিলেই তো সারাজীবন আমি সওয়াব পাব! একটি বিদায়াত থেকে বোনকে বাঁচিয়ে একটি সুন্নাহের অনুসরন করাতে পারলে সারাজীবন আমি সওয়াব পাব! সুবহানাল্লাহ! এই লোভ প্রচন্ড ভাবে আমাকে আক্রন্ত করে এবং আমি লোভের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারি না!
স্বল্প সময়ের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পেরেছি, আমাদের অনেক বোনরা ইসলামের মূল শিক্ষাটি পরিবার থেকে সঠিক ভাবে পাওয়া থেকে বন্চিত হয়েছেন! যেমন ধরি নামাযের শিক্ষাটাই! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ সন্তানের সাত বছর হলেই নামাযের নির্দেশ দিতে! খুব কম সংখ্যক পরিবার সন্তানকে এই বয়স থেকে নামাযের নির্দেশ দেয়! তারপর বয়স বাড়তে থাকে পড়াশোনার চাপ ও থাকে সাথে ! বাব- মা সন্তানের ক্যারিয়ার নিয়ে যতটুকু উদ্বিগ্ন থাকেন দ্বীনদারী নিয়ে অতটুকু থাকেন না! ছোটবেলায় মসজিদে বা মক্তবে অথবা প্রাইভেট কোন হুজুর রেখে কোরান শিক্ষা দেয়া হয়, নির্দিষ্ট কিছু সূরা মুখস্থ করানো হয়! জীবনে একবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছোট বেলায় কোরান খতম শেষ করলেই বাবা -মা মনে করেন উনাদের দায়িত্ব শেষ! কোরানের সাথে, মুখস্থ সূরার সাথে বাচ্চার কি সম্পর্ক, এটার সাথে কি শিক্ষা নিহিত রয়েছে তা বাচ্চা কোনদিন জানতে পারে না! যখন সে বড় হয় তাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আজন্ম বাসনায় উদগ্রীব করে রাখে! দুনিয়াকে সে অনেক ভালোভাবে চিনতে এবং বুঝতে শিখে কিন্তু দ্বীনকে ভুলে যায় বড়জোড় আবছা এইটুকু ধারনা রাখে নামায পড়া খুব ভালো কাজ আর কোরআন? সেটা মানুষ মারা গেলে তারপর পড়া হলে খুব সওয়াবের কাজ!
কি নারী কি পুরুষ এভাবেই সে বৈবাহিক জীবনে আবদ্ধ হয় ! কখনো দেখা হয়না জীবনসংগীর সব গুনগুলোর মধ্যে তাকওয়া আছে কিনা ? বরং দেখা হয় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মেয়েটা কতখানি চলতে পারবে আর ছেলেটা এই ব্যয়বহুল দুনিয়ায় সাচ্ছেন্দের সাথে ঘরে ভাত, কাপড় আর সম্পদ আনতে পারবে কিনা?
সংসার ভালোই চলে! ঘর আলোকিতো করে সন্তানেরা আসে! তারাও বড় হয়! ধীরে ধীরে বাবা- মা রোগাক্রান্ত হন, বয়সও বেড়ে চলে! কখনো আশে পাশের সমবয়সীদের পরাপারে চলে যাওয়ার সংবাদ পান! আয়নায় নিজের কালো চুলগুলোকে সাদা হয়ে যেতে দেখেন! এবার যখন শরীরের মসৃন চামড়াও বিবর্ন হয়ে শুটিয়ে যেতে শুরু করেছে বুঝতে পারেন জীবনের কোন একটা অংকে তারা ভুল করেছেন!
দুনিয়ার পরেও আরেকটি স্থান আছে যেটা ছোটবেলায় সুর করে ঈমানে মুজমালে পড়েছিলেন- তখন সেই আখিরাতের কথা মনে পড়ে!
কিন্তু ছেলে মেয়ে এখন বড় হয়ে গেছে তাদের নামায পড়তে বললে তারা বিরক্ত হয়! কোরআন পড়তে বললে তাদের সময়ের অভাব! পরকালের কথা শোনার মনোযোগ তাদের নেই! তখন শুধু আফসোস! ব্যাংকে অনেক ব্যালেন্স আছে, বাড়ি আছে, ব্যবসা আছে কিন্তু আখিরাতের কোন কারেন্সি নেই ! তারপরেও তো শেষ বয়সে হলেও ভুল বুঝতে পেরেছেন! প্রভুর দিকে ফিরে আসার সৌভাগ্য পেয়েছেন!
অনেক সময় স্ত্রী ফিরে আসেন ভুলের জীবন থেকে কিন্তু প্রিয় স্বামী সেই ভুল আঁকড়ে দম্ভ ভরে অন্ধকার জীবনেই পড়ে থাকেন! স্ত্রী নিরবে চোখের পানি ঝরান! হায় আফসোস! স্বামী কথা শোনে না! নামায পড়ে না! স্বামী নামায পড়ে না, সন্তানদেরো নামায পড়ানো যায় না! এ কেমন বেনামাযী স্বামীর সংসার করছে স্ত্রী ভাবতেই তার বুক ভেংগে যায়!
আবার অনেক স্বামী আছে তারা নিজেরা নামায পড়ে না, ইসলাম মেনে চলে না আবার স্ত্রীকে বাধাপ্রাপ্ত করে ইসলাম মেনে চলতে! পর্দা করতেই দিবে না! মাথায় সামান্য উড়না দিয়ে মাথা ঢেকে স্ত্রী ঘর থেকে বের হবে এটা স্বামী সহ্যই করতে পারে না! অকথ্য ভাষায় কথা শোনায় স্ত্রীকে!
আবার দেখা যায় স্বামী- স্ত্রী দুজনেই ভালো ইসলাম মনে চলেন কিন্তু সন্তানেরা মোটেই কথা শোনে না! তাদের নামায পড়ানো, সৎসংগে রাখা, হালাল ভাবে বড় করা এ যেন অবিরাম যুদ্ধ! মেয়ে কথা শোনে না,পর্দা করে না, নামায পড়ে না এরকম যেমন আছে আবার মেয়ে পর্দা করতে চায় বাবা - মা দেয় না এমনও আছে! ছেলে বাইরে থেকে সিগারেট খেয়ে এসেছে, নেশা করে এসেছে, সারাদিন কই ছিল কোন জবাব তার কাছে থাকে না !
এই সমস্যাগুলো দেখেছি, দেখছি! আমি শুধু ভাবি কাকে দোষ দিব? প্রকৃত দোষ কার বা ঘাপলাটা কোথায়?
ধরলাম কেনো উনারা বিয়ের সময় খোঁজ নিলেন না একে অপরের, বা বাবা-মা কি দেখে এমন জায়গায় সম্বন্ধ করলেন ? কিন্তু এখানেই কেমন যেনো উত্তর পাওয়া যায় না ! বিশাল একটা ধূম্রজাল কাজ করে এই অংকের জটিল সমাধান খুঁজতে গিয়ে!
আমার মনে হয় আমরা মানুষরা আমাদের নিজের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখি না বা পাই না ! পৃথিবীতে আমাদের আসার কারন কি? কেনো আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে? আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে আমাদের কি সম্পর্ক? আমাদের ধর্ম তথা ইসলাম আমাদের কাছে কি চায়? কিভাবে আমরা সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পারব?
এই বিষয় গুলো যদি প্রতিটি শিশু জন্মের পর তার পরিবার থেকে, বেড়ে ওঠার পথে পেয়ে যায়, সে যদি জানে সে একজন মুসলিম এবং একজন মুসলিম হওয়ার জন্য শুধু মুখে কালিমা পড়া যথেস্ট নয় বরং বিশ্বাস করা, মুখে পড়া এবং সেটা নিজ জীবনের সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা মূল কাজ আমার মনে হয় পৃথিবীতে আজকে আমরা মুসলিম হয়েও যে অজ্ঞতার মাঝে, অন্ধকারের মাঝে, ভুলের মাঝে বাস করছি তা থেকে অনেকটা রেহাই পেতে পারতাম!
এবার আসা যাক দাওয়াতী কাজে! মুসলিম জীবনের ভিশন হওয়া উচিত সঠিক জ্ঞান অর্জন করা এবং দাওয়াতী কাজ করা! একবারেই দাওয়াত ফলপ্রসু হবে এই গ্যারান্টি কোথাও নেই! হিদায়ত দানের মালিক তো আল্লাহ! আমার করনীয় দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার কাজটুকু তো আমি করতে পারি! দাওয়াতে কোন পরিবর্তন আসছে না বলে হাল ছেড়ে দেয়া কি প্রকৃত সুবিবেচক মুসলিমের কাজ হতে পারে? একটা ছোট গল্প দিয়ে শেষ করি-
চীনে এক ধরণের বাঁশ গাছ পাওয়া যায় যা লাগানোর পর প্রথম চার বছর নিয়মিত পানি দিতে হয়। যদিও এই চার বছরে বাঁশ গাছটির বৃদ্ধি চোখে পড়ে না। কিন্তু পঞ্চম বছরে বাঁশ গাছটি হঠাৎ ছয় সপ্তাহে ৯০ ফুট লম্বা হয়ে যায়। মানে যদিও বাইরে থেকে কোন পরিবর্তনই পরিলক্ষিত হয়নি তথাপি বাঁশ গাছটি ঠিকই পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে শক্তি সঞ্চার করেছে বেড়ে উঠার জন্য। এখন যদি বাইরে থেকে বাড়তে না দেখার কারণে পানি দেয়া বন্ধ করে দেয়া হতো তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াতো? অবশ্যই গাছটি মারা যেত। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর যাবত প্রয়োজনীয় যত্ন নেয়া হয়েছিল বলেই যথা সময়ে গাছটির বেড়ে উঠা সম্ভব হয়েছিল।
সুতরাং আমরাও যেনো আমাদের ভাই বোনদের সাথে দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে হতাশ না হই, মন খারাপ না করি, ফিরে না আসি! হতে পারে এক সময় উনারা উনাদের ভুল বুঝতে পারবেন! দীর্ধ সময় লাগলেও ফিরে আসবেন সঠিক পথে, আলোর পথে! আমাদের করনীয় কাজ- দাওয়াত টুকু শুধু আমরা করে যাই ! মূল হিদায়াত দানের প্রকৃত মালিক তো আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা!
( লিখাটি হুট করে লিখার মনস্থির করলাম, আমাদের সুপ্রিয় ব্লগার ঘুম ভাংগাতে চাই -স্মরনে!)
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৪ বার পঠিত, ৭০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আন্দোলন সফল হলো!!
সম্পাদক মহদয়কে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। লেখকের প্রতি আন্তরিক উল্লাস... ও ফুলেল শুভেচ্ছা।
মডারেটর এবং আপনাদের সবাইকে শুকরিয়া! একটু নাস্তা-
এবং চা-
জাযাকাল্লাহু খাইর!
ব্লগার ভিজিটর ও লেখকের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে......
'بلغوا عنى ولو أية'
'প্রচার কর,একটি আয়াত হলেও'
রাসুলে আরাবী সাঃ এর এই অমীয় বানীটুকুই যথেষ্ঠ দাওয়াতী কাজের গুরুত্ব বুঝাতে!
ইসলামের প্রচার-প্রসারে দাওয়াতী কাজের গুরুত্ব ও অবদান সীমাহীন!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করায় মুসলিমদের আজ এমন করুণ অবস্হা!
মহান আল্লাহ আমাদের কে সঠিক বুঝ দান করুন!আমিন!
দরদময়ী চমৎকার উপস্হাপনায় জাযাকুমুল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয়া!!
হাদীসটি স্মরনে এনে দিয়ে মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকেও যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
বারাকাল্লাহু ফিক!
অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া শ্রদ্ধেয় ভাই! 'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকেও যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
কিছু কথা লিখতে মন চাচ্ছে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করি কলমে লেখা আসে কিনা?
জাজাকাল্লাহ।
মনে হচ্ছে বিরাট "বিশ্বসেরা" লেখক! তুমি শুধু বিরাট খাদক! @আওণ এর হাড্ডি
তোমার কলমের মূল্যবান মুক্তোঝরা কথাগুলোর অপেক্ষায় রইলাম!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
বারাকাল্লাহু ফিক!
সদা বেগবান সূর্য ভাইয়ের একি হালত! অলসতাকে তুড়ি বাজিয়ে উঠে বসার অনুরোধ রইলো!কম্পিউটারের সমস্যা কি সমাধান হয় নি এখনো? নাকি ব্লগের সমস্যা?
পরের পোস্টে আমি কম্পিটিশনের ফলাফল নিয়ে আসছি
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার ২২বছরের কর্মজীবনের দেশটিই "আল্লাহ কো্থায় আছেন" ধরণের প্রশ্নমালা নিয়ে ব্যস্ত রেখেছেন উলামাদের, এমনকি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন এ কর্মসূচী!
কোন্ কারণে "মদীনা-ফেরত" উলামায়ে কিরাম এ কাজে এত আগ্রহী, তা নিয়ে নানান মন্তব্য প্রচলিত থাকলেও আমি তা বলতে চাইনা!
তবে এঁদের থেকে সাবধান থাকা জরুরী!
যেমন গতসপ্তাহে এক "শাইখ" বললেন-
কোন নাবী-রাসূল রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য চেষ্টা করেননি! ওটা তাঁদের দায়িত্ব-ও ছিলনা!
আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে ঘটনাগুলো জেনে ভালো লাগলো!
অন্যান্য দেশের কথা আর কি বলবো যেখানে আমাদের নিজেদের দেশে ইসলাম পালন আজ কষ্টসাধ্য! যারা দাওয়াতী কাজে আগ্রহী তাদের নানা ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
চমৎকার মন্তব্য এবং অনুপ্রেরনার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার কথাগুলো আমাকে বার বার আঘাত করে চলছে, দুনিয়ার লোভী হয়ে আজ পরিবার ও দেশের মানুষ ছেড়ে দূর বহুদূর, জঠরজ্বালা মিটাতে আজ ২৪ঘন্টাই ব্যস্ত। মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ বলেও মনে হয় না। কেমন যেন দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে গেছি আপু। আমার জন্য দোয়া করবেন; দ্বীনের দায়ী'দের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। কেননা আমি নবীওয়ালা কাজ থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি মনে হচ্ছে।
অথচ আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর আমরণ উদ্দেশ্য ছিল একজন মানুষও যেন ঈমান ছাড়া কবরে না যায়। তিনি যেন দ্বীনের কাজ করতে করতে নিজেকে ধ্বংস করে দেবেন এমন ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। আল্লাহ তায়ালা শান্তনা দিলেনঃ আপনি কি নিজেকে ধ্বংস করে দেবেন? সুয়ারা-৩।
অথচ আপনি ইচ্ছা করলে তো কাউকে হেদায়েত দিতে পারবেন না, হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, যাকে ইচ্ছা দিবেন; কাসাস-৫৬।
আল্লাহ তায়ালা চাইলে তো সব মানুষকে হেদায়েত দিতে পারেন; সাজদাহ-১৩।
আপনার মধ্যে উম্মতের ফিকির দেখে আমার অনেক অনেক আনন্দ লাগছে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্বীনের ব্যাপারে সাহায্য করুক, সকল বাধা বিপত্তি থেকে হেফাজত করুক; আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাহর জন্য কতো কষ্ট করেগেছেন, কি পরিমান পেরেশান ছিলেন এবং কতো নির্যাতন সহ্য করেছেন শুধু দাওয়াত প্রদানের জন্য! ভাবলেই অজান্তে নয়ন অশ্রু সজল হয়! তারপরেও আমরা আজ কতো গাফিলতি করি নিজেরা ইসলাম মেনে চলতে অপরকে দাওয়াত দিতে! আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন!
শ্রদ্ধেয় ভাইয়ার মন ছোঁয়া মন্তব্য এবং কোরানের বানীর মধ্যমে শ্বাশত আয়াতগুলো দিয়ে স্মরনে এনে দিয়ে অনুপ্রেরনা যোগানোর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!চমৎকার দোআয় আমীন!আপনার জন্যো অনুরুপ দোআ!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
আপপপি আমারটিকে ৫ ওয়াক্ত নামাজী বানতে হবে আপনাকে এটা আগে থেকে বোলে রাখলাম
ব্যাকরনে ভুল করলে হবে না ভাইয়া! বেনামাযী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবই যেনো দেয়া না হয়!
তবে পতিকে তাহাজ্জুদে মিষ্টি কন্ঠে কিভাবে ডেকে দিতে হয় সেটার টিপস দেয়া হবে ইনশা আল্লাহ!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনি মূল বিষয়টি ধরতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সমাজে ইসলাম চর্চা সঠিকভাবে শুরু করতে হলে প্রতিটি পরিবারের শিশুদের ছোটবেলা থেকেই দ্বীনের সাহচা্র্যে রেখে দ্বীনদার পরিবেশে বড় করে তুলতে হবে, মৌলিক ষহিক্ষা গুলো বুঝিয়ে পালন করানোর অনুশীলন করানো এবং তদারকি থাকতে হবে!যে শিশুটি একটি আদর্শ পুত্র, সে একজন আদর্শ স্বামী, আদর্শ বাবা, আদর্শ শ্বশুড় সর্বপরি ষে সবসময় আদর্শ মুসলিম! ইসলামের বিপরীত আচরন তার কাছ থেকে আসবে না আশা করা যায়!
চমৎকার বিশ্লেষন মূলক মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
দরদময়ী চমৎকার উপস্হাপনায় লেখাটির জন্য জাযাকুমুল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয়া বোন!!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামার নিকট দোয়া প্রার্থী! বারাকাল্লাহু ফিক!
অ নে ক দিন পর!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামার নিকট দোয়া প্রার্থী!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী!
হৃদয় ছোঁয়া অনুভূতি ও লেখা
জাযাকিল্লাহ...
ছড়িয়ে দিলাম
অনেক দিন পর আপনার সাক্ষাত মিললো ভাইয়া! অনেক অনেক অনেক অনুপ্রানিত হলাম!
আপার আমল নামায় আমার করা একটি আমলের পুন্যের যোগ হচ্ছে জানেন কি ভাইয়া?
ব্লগে আমি আগে মাঝে মাঝে কমেন্টে সালাম দিতাম, আবার অনেক সময় দেয়া হতো না! কিন্তু আপনাকে দেখতাম সবসময় সালাম দিতে! আমার লোভ হলো! আমি ও শুরু করলাম আলাহদুলিল্লাহ! সালাম দিচ্ছি আপনিও নেকি পাচ্ছেন! ইসলামের সৌন্দর্য আসলেই চমৎকার!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী
সুবহানআল্লাহ ! আমার অজান্তেই আমার সওয়াব হচ্ছে, আপনার জন্য বেশী বশী দোয়া করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেল- যদিও ব্লগ ও ফেবুর সবার জন্য সাধারণভাবে এবং অনেকের নাম ধরেই দোয়া করি!!
ব্যস্ততা ও সময়সংকট আমাকে ব্লগ-ফেবু থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে!
ফী আমানিল্লাহ..
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
ব্লগের জমিন আপুকে মিস করছিলো ভীশন! সফরে ছিলেন তাই আর বিরক্ত করি নি!ফিরে এসে আমাদের সাথে আবার একাত্ন হয়েছেন তাতেই আমরা অন্নেক খুশি!
নিজে মুসলিম হিসেবে টিকে থাকার জন্য দাওয়াতী কাজ করা জরুরি! না হলে একসময় সমাজ থেকে দ্বীন এমনভাবে বিদায় নিবে মুসলিমরা নিজেও টের পাবেন না!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামার নিকট দোয়া প্রার্থী! বারাকাল্লাহু ফিক!
দোআ করেন আপু বেশিদিন যেনো ঝুলিয়ে না রাখে!
আমার সম্পর্কে সবকটি ধারনাই তোমার ভুল! আমি খুবি আবেগপ্রবন এবং পরহেজগার নই! আমিও পাটকাটির মতোই ভংগুর! হালকা বাতাসেই উড়ে যাই!
সবকিছুর পরেও আমাদের মতোন প্রতিটি দুর্বল মানুষের মাঝেও এক টুকরো সবুজ জমি আছে, এক বিন্দু আলো আছে, এক ফোঁটা বিশুদ্ধ অক্সিজেন আছে যা দিয়ে আমরা নিজেরা পথ চলতে পারি চেষ্টা করে গেলে আমাদের প্রিয় জনদের পথও আলোকিত করতে পারব ইনশা আল্লাহ!
হতাশ হওয়া মুমিনের শোভা পায় না! হতাশ করে দিয়ে দাওয়াহ থেকে দূরে রেখে শয়তান বিজয়ী হচ্ছে! আমাদের রাসুল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াতী জীবনের কথা গুলো পড়লে, ভাবলে আমরা কখনোই দাওয়াহ থেকে দূরে সরে যাব না , সরে যেতে পারি না! নিজেদের কষ্ট গুলোও তখন আপনা থেকেই মিলিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ!
তোমার মন খারাপ দেখেই কিন্তু আমি লিখতে বসে গিয়েছিলাম ! তুমি পড়েছো এতেই আমি খুশি!
আল্লাহ তোমাকে সবদিক থেকে ভালো রাখুন!আমিন! আর হা - "লা তাহজান"
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী
অনেক দরদী মন নিয়ে আবেগ দিয়ে লেখাটা ভাল হয়েছে আপু ভাল লেগেছে অনেক ।
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামার নিকট দোয়া প্রার্থী
ছোট অথচ সবচাইতে মূল্যবান কথাটি বললেন!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী
মুগ্ধতা ছড়ানো একটি পোস্ট! খুব ভাল লাগলো। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
শত ব্যস্ততার মাঝেও পড়ে এবং মন্তব্য করে অনুপ্রেরনা জানানোর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী
বারাকাল্লাহু ফিক!
পোস্টে আপনার মন্তব্য পাওয়া সত্যি অনেক আনন্দের বিষয়!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী
যেমনঃ ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) এর ঘটনাগুলো। ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) এর নিজের কুরবানী, তার সন্তানের কুরবানী এবং তার আহলিয়ার কুরবানী কুরআনুল কারিমে বিদ্যমান।
এই যে আবে জামজাম এটাতো হাজেরা (রা.) এর কুরবানীর ফসল এই যে কুরবানীর আমাল এটাতো ইসমাইল (আলাইহিমুসসালাম) এবং ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) এর কুরবানীর ফসল, এইযে বাইতুল্লাহ এটাতো ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) এর হাতে গড়া। সাফা মারওয়া সাই হাজেরা (রা.) এর দৌড় এর অনুকরন।
আল্লাহ পাক সবার কুরবানীর কারনেইতো আমাদের পিতা হওয়ার মর্যাদা দিয়েছেন ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) কে।
এবং হুজুর (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) ইব্রাহীম (আলাইহিমুসসালাম) এর বংশ থেকেই এসেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আবার হুজুর (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এর নিজের কুরবানী এবং তার সম্মানিত আহলে বাইতের কুরবানীর কারনেইতো দ্বীন আজ আমাদের মাঝে আল্লাহ দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু যদি সবাই কুরবানী না করেন তবে দেখা যায় পরিবারের ঐ নির্দিষ্ট ব্যাক্তির ইন্তেকাল হওয়ার পর তার জানাজা যেমন বের হয় ঠিক তার দ্বীনদারির জানাজাও বের হয়।
দ্বীনের নিভু নিভু প্রদীপ আলোহীন হয়ে পরে।
দাওয়াতকে তুলনা করার একটি উদাহরন:
"যদি কেউ পুকুরে একটি ইট নিক্ষেপ করে, তো সেটা কোন না কোন যায়গায় আঘাত হানবেই যদিও সেটা আমার লক্ষ্যবেধ নাও করে ।"
কিছুদিন আগে আমরা বারবার এক ব্যাক্তির কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতাম তিনি আমাদের সাথে দেখা করতেন না আমরা বাহিরে দাড়িয়ে থাকতাম তিনি আসতেন না আমাদের সাথে দেখা করার জন্য।
বাহিরে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে চলে আসতাম কিন্তু সেই ব্যাক্তি কোনদিনও দেখা করতেন না।
এর কিছুদিন পর সেই ব্যাক্তি আলহামদুলিল্লাহ দাড়ি রাখা শুরু করলেন মসজিদে যাতায়াত বাড়লো দাড়িও আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেলো।
এবং সবচেয়ে আশ্চর্য এটা যে, ঐ ব্যাক্তির ছোট ভাই এখন দ্বীন অনুযায়ী জীবন পরিচালনার চেষ্টা করছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আপু অনেক কিছু লিখতে চেয়েছি কিন্তু পারছিনা দোয়া চাই জাজাকাল্লাহ
পড়তে এতো ভালো লাগছে তোমার মন্তব্য কেনো যে শেষ হলো!
পরিবারের ঐ নির্দিষ্ট ব্যাক্তির ইন্তেকাল হওয়ার পর তার জানাজা যেমন বের হয় ঠিক তার দ্বীনদারির জানাজাও বের হয়। খুবই ভায়বহ কথাটি!
ঠিক যেনো মুক্তোঝরা কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেলো!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী ! বারাকাল্লাহু ফিক!
আল্লাহ সুবাহুনুতায়ালা আপনাকে আরো জ্ঞান দান করুক যাতে বিপথগামীদের জন্য আলোকবর্তিকা হতে পারেন।
আপনার মন্তব্য এবং অনুপ্রেরনা চলার পথে অনেক উৎসাহিত করবে আমাকে! জাযাকাল্লাহু খাইর!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামের নিকট দোয়া প্রার্থী !
ভালো লাগলো আপনার পরামর্শগুলো। ঘুম ভাঙানিয়া ভাইকেও ধন্যবাদ আপনাকে জাগিয়ে রাখার জন্য।
এই আমি আবার কবে ঘুমিয়ে ছিলাম? তবে আপনি যে বৃত্তের ভিতর থেকে বেরোলেন সেটার জন্য ধন্যবাদ পাওনা হতে পারেন!
'সৎ কাজের নির্দেশনা আর অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা'র দায়িত্ব পালনের সাথে নিজেকে ও আহলকে যেনো সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি সেজন্য মুহতারামার নিকট দোয়া প্রার্থী !
আল্লাহ আপনাকেও কবুল করে নিন!আমিন!
এসব দেশে আরাম আয়েশের উপকরণ বেশী বলে সবাই এগুলোকে পেতে চায় ।
ইসলাম সঠিকভাবে পালন করতে গেলে এসব আরাম আয়েশকে পাশ কাটাতে হবে যেটা এসব দেশে একেবারেই সম্ভব না ।
কারণ দেশের রক্ষণশীল পরিবেশে নিজেরা মানুষ হওয়ার ফলে ধর্মের টাচ কিছুটা থাকলেও প্রবাসে মানুষ হওয়া নিজের সন্তানদেরকে কিন্তু সে দেশের আবহওয়া থেকে ঠেকিয়ে রাখা কঠিন । কোন কোন সময় নিজেকেও আর ধরে রাখা যায় না ।
ভাল হত যদি সেই প্রবাস থেকে আবার মাটির টানে এ দেশে চলে আসলে , কারণ এখানে তথাকথিত আধুনিকতার নোংরামী নেই । ফলে সন্তান যে কিছুটা হলেও ধর্মীয় ছোঁয়ায় আসবে এটা বলাই যায় ।
কিন্তু মন কি চায় পাশ্চাত্যের চাকচিক্য ছেড়ে মুসলিম অধ্যুষিত সেকেলে/ব্যাকডেটেড একটা দেশে ফিরে আসতে ?
বারো আউলিয়ার সোনার দেশটাকে এখন বারো মাসের তের পুজার দেশ বানানো হয়েছে! ছোট শিশু থেকে বুড়া পর্যন্ত রং মেখে সং সাজে! এই দেশে এসে বাচ্চাদের কি বলবো? কাফিরদের দেখিয়ে তো বলি এরা ক্রিস্চিয়ান তাই আমাদের আর ওদের পার্থক্য!
দেশের হিজাবী, টুপিধারী মানুষদের দেখিয়ে কি জবাব দিব?
আপনার কল্যানকামীতার জন্য শুকরিয়া ভাই! আসবো নিজের দেশ বলে কথা! আসতেই হবে!
মাশাআল্লাহ্। ব্রিলিয়ান্টলী সাবলীল অনুপ্রেরনামূলক এ্যাকশান ধর্মী একটা লিখা।
এমন এমন বিষয়ের অবতারনা করলেন - সবই চোখের সামনে অথচ দিনের পর দিন বিস্তৃত হয়ে আছি - সময়ের পালাক্রমে আজ আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে - এই যা।
সময় হয়েছে সরানোর কাজে মনোনিবেশ করার - আর যে চমৎকার ভাবে পুরুষ্কারের টেম্পটেশান ফুটিয়ে তুললেন - আল্লাহ বিশ্বাসী কোন মানুষ পিছিয়ে থাকতে পারে?
আল্লাহ আপনার লিখার শক্তির পাশাপাশি সময়ের বরকত দান করুক - এটাই আমার প্রার্থনা।
আপনার চমৎকার অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যে এবং অতি উত্তম দোআয় আমি স্নেহাসিক্ত! আল্লাহ কবুল করে নিন আমাদের প্রচেষ্টা ! আমিন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনি কি আগে এস,বি ব্লগে লিখতেন? এই নামে একজন ব্লগারের কথা মনে পড়ছে আমার!
আপনাকে আজ প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে দেখে আনন্দিত হলাম! পড়ার এবং অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্য করারা জন্য শুকরিয়া!
এস.বি. ব্লগে লিখতাম মানে! আমি তো এস.বি. থেকে ছুটে আসা এক অতৃপ্ত আত্মা, টুডে তে এসেও এস.বি. পরিবারকে খুঁজে ফিরছি। তবে বিভ্রান্ত হবেন না। যতোটা তেজ নিয়ে কথাগুলো বললাম, অতোটা নিয়মিত আমি কখনোই ছিলাম না। আমি সবসময় আমার একাডেমিক পড়াশোনার মতোন, অগোছালো আর অনিয়মত।
আপনাকেও আমার পরিচিত মনে হয়েছে। ভালো লেখেন আপনি, মোবারকবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন