ঘর সাজানো বনাম ইসলামিক ওয়ালম্যাট
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:৫২:৫৪ সন্ধ্যা
ঢাকা নিউমার্কেটের ২ নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকলে সোজা সমানের দোকানে সিঁড়ির নিচে একটি ওয়ালম্যাটের দোকান আছে । সেখানে সব ওয়ালম্যাট গুলো আরবী ক্যালিগ্রাফির তৈরি! আয়াতুল কুরসী থেকে শুরু করে আল্লাহর নিরানব্বই নাম, আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা , উপর নিচে, একক যৌথভাবে লিখা অনেক ডিজাইন পাওয়া যায়!
তখনো আমার ইতালি আসা হয়নি, আমি ঐ জায়গায় গেলেই মনে হতো আমাদের যেদিন একটা বাসা হবে আমি এইসব ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি সম্পন্ন ওয়ালম্যাট দিয়ে বাসা সাজাবো!মনে মনে স্বপ্ন দেখতাম সেইদিন কবে আসবে!
ইতালি চলে এসেছিলাম কিন্তু ওয়ালম্যাট আনা হয়নি। প্রয়োজনীয় জিনিষ আনতেই ওয়েট শেষ হয়ে যাচ্ছিলো তাই সেসব মনেও ছিলনা!
যাই হোক, আমি যখন সংসার শুরু করলাম আমার পতিজ্বীর সংসারের সবদিকেই ভীশন আগ্রহ থাকলেও ঘর সাজানোর জন্য ডেকোরেশন সামগ্রী কেনা আর তার পেছনে অর্থ খরচ করার ব্যাপারে ভালোই অনাসক্তবোধ খেয়াল করলাম! উনার কথা হলো, পৃথিবীর স্বল্প জীবনের জন্য ঘরটাকে বিলাসবহুল সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে লাভ কি? সাময়িক সুন্দরের চাইতে চিরস্থায়ী সুন্দরের মর্যাদা , সাময়িক ঘরের চাইতে চিরস্থায়ী ঘরের মর্যাদা কি তোমার কাছে বেশি লোভনীয়, প্রত্যাশিত নয়?
উনি এমনভাবে বলতেন , বুঝাতেন আমার ভিতরেও আর কখনো সাজনোর আগ্রহ জন্মে নি! তবে উনি চাইতেন বাসা পরিপাটি এবং পরিচ্ছন্ন থাকুক! বাসায় একটা জান্নাতী পরিবেশের আবহ থাকুক! দ্বীন চর্চার একটা দুর্গ হোক! তাই আমরা দুজনে মিলেই অনেক বই কিনতাম, এখনো কিনি আলাহমদুলিল্লাহ! এই বইগুলোই আমাদের বাসার শোভাবর্ধনকারী একমাত্র সৌন্দর্যদায়ক উপকরন!
প্রবাস থেকে যখন দেশে ফিরলাম আমাদের এক প্রতিবেশী আমাকে আল্লাহর নিরানব্বই নামের আর একটা আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা ওয়াল ম্যাট গিফট করলেন! আমিই সেটা মনের আনন্দে লাগেজে ঢুকিয়ে ইতালি চলে আসলাম!
পতিজ্বিকে দেখিয়ে যেই বললাম হলরুমের দেয়ালে সুন্দর করে লাগিয়ে দিতে উনি শুরু করলেন ওয়াজ! এতোদিন করতেন অতিরিক্ত কাজ- পয়সা নষ্টের বিরুদ্ধে! সেদিন করলেন ইসলামের নাম দিয়ে যে ঘর সাজানোর অপসংস্কৃতি চলছে তার বিরুদ্ধে!
আমি বলেছিলাম, সব মুসলিমরা তো আর মানুষের ছবি, অতিরক্ত দামী শোপিস, বা সময় নষ্ট হয় এমন টাইপের শোপিস দিয়ে ঘর সাজাচ্ছে না কিছু মুসলিম যখন ইসলামীপ্রতীক, কুরআনের আয়াত, বা এই রকম নাম দিয়ে ঘরে একটু সাজচ্ছে যা কিনা একটা মুসলিম ঘর হিসেবেও পরিচিতি বহন করে কি এমন সমস্যা এখানে?
তুমি ভুলে যাও কেনো পৃথিবীতে মুসাফিরের মতোন থাকতে বলা হয়েছে, সকাল পার হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করবে না, এই শ্বাশত নির্দেশনার কথা ভুলে গেছো? আমি বলছি না কিছুই থাকবে না ঘরে বরং আমি বলছি এমন সাজ সরজ্জাম দিয়ে ঘর বোঝাই করলে এগুলো ধোঁয়ামোছা, গোছানো এগুলোর যত্নের সাথে লালন করতে করতে একসময় মানুষের মন নিজ দ্বীন কে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা, দ্বীনের জন্য কাজ করা, মেহনত করে সময় দেয়া ভুলে যায় ! ধোঁকায় পড়ে যায় মানুষ! এবার আসো ইসলামী প্রতিক দিয়ে ঘর সাজানোর বিষয়ে!
আল্লাহ কোরান দিয়েছেন কেনো? পড়তে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে! এর থেকে কিছু অংশ নিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখতে? কোরআন ঘরে ঝুলিয়ে রেখে শোভাবর্ধনের জন্যই কি কোরআন নাযিলের কারন? আল্লাহ সুন্দর নামসমূহ আসমাউল হুসনা তো মুখস্থ করে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করতে বলা হয়েছে , ঘরে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে? আর প্রত্যেক ঈমানদারের কাছেই আল্লাহ এবং আল্লাহর সুমহান মর্যাদা, বড়ত্ব নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই , মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামকে সবশেষ রাসুল এবং উনাকে সবার চাইতে বেশি ভালোবাসতে বলা হয়েছে এগুলোতো মুসলিমদের জন্য করনীয় সমস্ত আমলের পর্যায়ে পড়ে! ঘরে ঝুলিয়ে রাখলেই কি দায়িত্ব আর পালন করার হক আদায় হয়ে যাবে? আর আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম পাশাপাশি এভাবে লিখাই যেখানে শরীয়ত সম্মত নয় তাহলে একজন মুসলিম আদৌ কি পারে এভাবে ঘর সাজাতে?
এভাবেই আমার ভুল ভেংগেছিলো! দেশ থেকে আনা ফতোয়া আরকানুল ইসলামের ১০৪ নম্বর প্রশ্নে এই উত্তর দেয়া ছিলো সুন্দর ভাবে! আর কোনদি এই ঘর সাজানোর বিষয়গুলো আমার মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃস্টি করেনি আলহামদুলিল্লাহ!
মাঝে মাঝে অনেক বাসাতেই যাই এবং সেখানে এইসব ওয়ালম্যাট দেখতে পাই! নিজে যেচে বলতে গিয়ে পরিনাম শুভ হয়নি আবার অনেকে জানতে চেয়েছেন পরে বলেছি এতটুকু কাজ হয়েছে তারপর থেকে উনারা এমনকিছু আর কিনেন নি! অনেক সময় ব্লগেও অনেক পোস্টের শিরোনাম ছবিতে এরকম ছবি দেয়া থাকে যেখানে আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা থাকে, আমি নিশ্চিত আমার আপু ভাইয়ারা বিষয়টা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত নন! নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যখন জানবেন তখনি উনারা এটা থেকে বের হয়ে আসবেন ইনশা আল্লাহ!
এ বিষয়ে স্কলারদের মতামত -
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। ‘আল্লাহ’ এবং ‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ লিখে ছবি আকারে দেয়ালে টাঙ্গীয়ে রাখার বিধান কি? আমরা অনেক সময় দেখি দেয়ালে ‘আল্লাহ’ শব্দ এবং তার পাশে ‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ লিখে টাঙ্গীয়ে রাখা হয়েছে। অথবা কাপড়ের টুকরা, বই-পুস্তক বা কুরআনের উপর এভাবে লিখে রাখা হয়েছে। এটা কি ঠিক?
উত্তর: না, এটা ঠিক নয়। কারণ এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর সমকক্ষ বানানো হয়। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে চেনে না এমন কোন লোক যদি এই লেখা দেখে তবে নি:সন্দেহে ধারণা করবে এ দুটি নাম সমমর্যাদার অধিকারী। সুতরাং এ অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম মুছে ফেলা আবশ্যক।
এখন বাকি থাকল শুধু ‘আল্লাহ’ শব্দ। কিন্তু এখানেও সমস্যা হল, এটাও সুফীবাদীদের কথা। কারণ, সুফীবাদীরা (কুরআনের ও হাদীসের) যিকির বাদ দিয়ে শুধু ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ বলে যিকির করে। অত:এব, শুধু আল্লাহ শব্দও মুছে ফেলতে হবে। মোটকথা, ((আল্লাহ)) অথবা ((মুহাম্মাদ)) কোন দেয়ালে, কাপড়ের টুকরা বা অন্য কোথাও লেখা যাবে না। ( মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উসাইমীন (রহি)
What is the ruling on having the word “allaah” and the word “ muhammad ” written in an interwoven fashion on the door of a mosque?
Among what the Islamic shari’ah asserts is the binding and coupling of the testimony of oneness for Allah and the testimony of the calling and message of prophet Muhammad (peace and blessings of Allah be upon him). Examples of such linking are in the adhan for salaat and in the iqaamah for it. Additionally, in a hadith the prophet (peace be upon him) teaches:
“Islam was built upon five pillars: to witness that there is no deity except Allah, and that Muhammad is the messenger of Allah… .”
It represents what a mukallaf (one who is legally capable, liable for one’s actions, and obliged to perform required acts, which in Islamic law, shari’ah, starts at puberty) is required to believe. It must be understood together, and are pronounced together as a testimony of belief. As for writing it interwoven, nothing is available neither in the Book of Allah nor in the Sunnah of the Prophet (peace and blessings of Allah be upon him). As a result, there is great danger in this. For it has a resemblance to the false precept in the Christian faith of trinity, and the concept that the father and the son and the holy spirit are one deity. Further, it could be construed as an emblem representing the false faith of the unity of existence. In addition, it may be used as support for the extremism in the Prophet and worshipping him with Allah.
Therefore, writing the name of Allah (the Most High) with the name of his prophet Mohammed (peace and blessings of Allah be upon him) in this way, i.e. making the letters of their names interwoven and the crossing of the letters of each of their names with the other, must be prevented. It is even not permissible to write (Allah - Muhammad) on the door of the masjid, nor in other locations, due to the confusion, misrepresentation, and serious concerns described and warned of above.
Islam Q&A
Sheikh Muhammed Salih Al-Munajjid
( শুকরিয়া শ্রদ্ধেয় আব্দু রহীম ভাইকে! ভাইয়ার কারনেই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য এবং পোস্ট লিখার কথা মাথায় এসেছে! )
বিষয়: বিবিধ
২২৫২ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হুম তোমার ভাইয়ার কিছু কর্মকান্ডে আমি উনাকে ৫০% কিপটুস উপাধি দিয়েছিলাম ! এখন অবশ্য উপাধি পরিবর্তন করেছি !
ভাই আমার বৈরাগী হয়ো না ! এখন কোন প্রয়োজন নেই ঘরের জন্য ,ঘরনীর জন্য পেরশান হওয়ার! করনীয় করে যাও সময় এলেই তাকদীরের ফলন দেখা দিবে ইনশা আল্লাহ!
প্রথম পাঠকারী এবং মন্তব্যকারী হিসেবে ভাইকে জাযাকাল্লাহু খাইর!
এসব ব্যাপারে আমার যুক্তি হল-এমনিতেই মনের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় সব সময় মারাত্মক গুনাহের মধ্যে আছি। যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে সেটাতো ইচ্ছা করলেই বাদ দিতে পারি।
আপু আপনার দৃষ্টিভংগি খুবি চমৎকার! আমি অনেক বোনদের দেখেছি এই শোপিসের যত্ন করতে করতে নাওয়া খাওয়া এমনকি সালাতের সাময় ও পেরিয়ে যায় উনাদের! আল্লাহ আমাদের মাফ করুন!
জাযাকিল্লাহু খাইর আপু!
আপু আপনার দৃষ্টিভংগি খুবি চমৎকার! আমি অনেক বোনদের দেখেছি এই শোপিসের যত্ন করতে করতে নাওয়া খাওয়া এমনকি সালাতের সাময় ও পেরিয়ে যায় উনাদের! আল্লাহ আমাদের মাফ করুন!
জাযাকিল্লাহু খাইর আপু! আপু মনে হয় হারিকেন ভাইয়ের ভবিষ্যত পত্নী মোমবাতি স্মরনে প্রপিক দিয়েছেন
@ফাতিমাপু - মোমবাতিটা কিসের ভিতরে রাখা? বড়ই রহস্যময় প্রপিক আ্ই'ভ্ এভার সীন!
আপনি পড়েছেন এবং ভালো লেগেছে জেনে আমারো অনেক ভালো লাগলো!
দোআয় আমিন! জাযাকিল্লাহু খাইর!
চমৎকার বলেছেন! অনেক দিন পর আপাকে দেখে ভালো লাগলো!
জাযাকাল্লাহু খাইর
ফতোয়া আরকানুল ইসলাম যদি আপনার সংগ্রহে থাকে অথবা অনলাইনেও ডাউনলোড করে পড়তে পরেন ঈমান অধ্যায়ে ১০৪ নম্বর প্রশ্নে এইপ্রশ্নটির বিস্তারিত উত্তর দেয়া আছে! আর নিচের ইংরেজী তে যে প্রশ্ন উত্তর আছে সেটাও কিন্তু আমাদের সহজ ভাবে বুঝতে সহায়ক!
আসলে ইসলামের কোন বিষয়কে ডিরেক্ট হালাল বা হারাম বলার মতোন ফিকহের জ্ঞান আমার অবশ্যই নেই, আমি শুধু স্কলারদের মতামতটা কপি করে তুলে এনেছি! তারপরেও যদি আমাদের বিস্তারিত জানার থাকে আমরা সরাসরি স্কলারদের সাথে কথা বলে মতামত পরিষ্কার করে নিতে পারি!
আমি মূলত ফোকাস করতে চেয়েছি আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশন করে ওয়ালে সাজানো এই বিষয়ের উপর! আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু রিসার্চ করেছি, স্কলারদের সাথে কথা বলেছি সবাই পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশনের বিষয়টাকে অপছন্দ করেছেন! কোরআন, হাদীস এবং সাহাবীদের সুন্নাহ থেকে এটা আমরা পাই না!
আমার পতিজ্বি একবার এক সফরে ছিলেন- উনার সাথে সফরসংগী ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের সন্মানিত খতিব আবুল হোসাইন খান ভাই! উনি নিজেও এই বিষয়ে এরকম মতামত দিয়েছিলেন!
পোস্টের উল্লেখিত স্কলারগন কেউ সুস্পষ্ট ভাবে হারাম উল্লেখ করেন নি!তবে উনারা এটাকে অপছন্দ করছেন বা অনুমতি দিচ্ছেন না এটাই আমরা বলতে পারি!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
শিক্ষণীয় পোষ্টটি বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপনার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর আপু। খুব ভালো লাগলো।
সোনামণিরা, ভাইয়া ও তোমার জন্য অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো। মঙ্গলময় সর্বাবস্থায় সবাইকে ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন এই কামনা। সেইসাথে বোনের জন্য বেশী বেশী করে দোয়া করার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো।
বারাকাল্লাহু ফিক আপুনি! শ্রদ্ধেয় আব্দুর রহিম ভাইয়ার পোস্টে একটি ছবি ছিলো যেটাতে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম পাশাপাশি ছিলো সেটাকে ফোকাস করেই এই পোস্টের অবতারনা! আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহজভাবে ইসলামকে পালন করার তৌফিক দান করুন!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
Click this link
পড়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আশা করি পাঠক ইসলামীক ভক্তি দেখাতে গিয়ে ইসলাম বিরোধী কর্ম থেকে বিরত থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘর সাজানো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে হতে পারে ! ব্যয়বহুল, অপচয় প্রবনতা , অমুসলিম সংস্কৃতির অনুসরন এবং ইসলামিক বিধি নিষেধ মেনে চলে তারপর যদি সাজানো হয় এটা একান্তই একটা মুবাহ কাজ হতে পারে! পাশে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
Click this link দেখতে পারেন লিংকটি!
ধন্যবাদ আপু ।
ঘর সাজানো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে হতে পারে ! ব্যয়বহুল, অপচয় প্রবনতা , অমুসলিম সংস্কৃতির অনুসরন এবং ইসলামিক বিধি নিষেধ মেনে চলে তারপর যদি সাজানো হয় এটা একান্তই একটা মুবাহ কাজ হতে পারে! পাশে থেকে অনুপ্রানিত করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
Click this link
আপনার মন্তব্যে আমিও কিছুটা খটকিত হলাম! আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে গেলে এমনিতেই যথেস্ট শ্রদ্ধা রেখে করি, সচেতন থাকি যেন অসংলগ্ন কথা না বলি! বেয়াদবিমূলক আচরন না হয়ে যায় ভয়ে থাকি! এটা অবশ্যই আপনার দ্বীনদারী এবং প্রজ্ঞার জন্য আলহামদুলিল্লাহ!
কাবা ঘর বা মসজিদে নববী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং উনার সাহাবা রাদিয়াল্লাহুমগনের সময় প্রকৃত অবস্থা আজকের মতোন ছিল না! এটা আমরা সবাই একমত! সুতারং সময়ের পরিবর্তনে যে সংযোজন সেটা কতখনাই ইসলামিক রুলিংস এর উপর ভিত্তি করে হয়েছে সেটার সঠিক জবাব উনারা দিতে পারবেন!
আমার লিখার মূল ফোকাস ছিল -
আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশন করে ওয়ালে সাজানো এই বিষয়ের উপর! আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু রিসার্চ করেছি, স্কলারদের সাথে কথা বলেছি সবাই পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশনের বিষয়টাকে অপছন্দ করেছেন! কোরআন, হাদীস এবং সাহাবীদের সুন্নাহ থেকে এটা আমরা পাই না!
আমার পতিজ্বি একবার এক সফরে ছিলেন- উনার সাথে সফরসংগী ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের সন্মানিত খতিব আবুল হোসাইন খান ভাই! উনি নিজেও এই বিষয়ে এরকম মতামত দিয়েছিলেন!
পোস্টের উল্লেখিত স্কলারগন কেউ সুস্পষ্ট ভাবে হারাম উল্লেখ করেন নি!তবে উনারা এটাকে অপছন্দ করছেন বা অনুমতি দিচ্ছেন না এটাই আমরা বলতে পারি!
আল্লাহ সবচাইতে ভালো জানেন , তিনি সর্ব জ্ঞানী!
ঘর সাজানো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে হতে পারে ! ব্যয়বহুল, অপচয় প্রবনতা , অমুসলিম সংস্কৃতির অনুসরন এবং ইসলামিক বিধি নিষেধ মেনে চলে তারপর যদি সাজানো হয় এটা একান্তই একটা মুবাহ কাজ হতে পারে!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
ঘর সজানোর ব্যাপরে এই রুলিংসটা দেখতে পারেন- Click this link
সাথে এটাও রইলো - Click this link
জাযাকাল্লাহু খাইর!
কুইজ আসছে সামনে ইনশা আল্লাহ! সব আপু ভাইয়ারা একসাথে হয়ে আওয়াজ দিলেই কুইজ রেডি
পড়াশোনা করতে থাকুন!
হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত যমিনে আল্লাহ আল্লাহ বলা হয়ে থাকবে। মুসলিম-১৪৮
অন্যান্য পর্যালোচনা গুলো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আমার লিখার মূল ফোকাস ছিল -
আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশন করে ওয়ালে সাজানো এই বিষয়ের উপর! আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু রিসার্চ করেছি, স্কলারদের সাথে কথা বলেছি সবাই পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশনের বিষয়টাকে অপছন্দ করেছেন! কোরআন, হাদীস এবং সাহাবীদের সুন্নাহ থেকে এটা আমরা পাই না! আল্লাহ সবচাইতে ভালো জানেন , তিনি সর্ব জ্ঞানী!
ঘর সাজানো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে হতে পারে ! ব্যয়বহুল, অপচয় প্রবনতা , অমুসলিম সংস্কৃতির অনুসরন এবং ইসলামিক বিধি নিষেধ মেনে চলে তারপর যদি সাজানো হয় এটা একান্তই একটা মুবাহ কাজ হতে পারে!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
ঘর সজানোর ব্যাপরে এই রুলিংসটা দেখতে পারেন -Click this link
জিকরের এর ব্যাপারে এটা -Click this link
আপনার আন্তরিক উপস্থিতি, অনুপ্রেরনা এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার সুস্থতা কামনা করি। আশাকরি নিয়মিত হবেন। আপনার পতিজির প্রতি আমার সালাম রইল। ফি আমানিল্লাহ।
শুকরিয়া!
Click this link জিকরের এর ব্যাপারে এটা
Click this linkঘর সজানোর ব্যাপরে এই রুলিংসটা দেখতে পারেন ।
ইসলামী ওয়ালমেটের ব্যাপারটা জানা ছিলনা। অনেকে মন্তব্যের মাধ্যমে আরো ভালো করে জানতেও চেয়েছে। আপনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করায় ভালো হয়েছে আমরাও এ ব্যাপারে স্কলারদের কারো কাছে বিস্তারিত জেনে নিব ইনশাআল্লাহ। জাজাকাল্লাহ আপু
আমার লিখার মূল ফোকাস ছিল -
আল্লাহ এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশন করে ওয়ালে সাজানো এই বিষয়ের উপর! আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু রিসার্চ করেছি, স্কলারদের সাথে কথা বলেছি সবাই পাশাপাশি লিখা এবং ডেকোরেশনের বিষয়টাকে অপছন্দ করেছেন! কোরআন, হাদীস এবং সাহাবীদের সুন্নাহ থেকে এটা আমরা পাই না! আল্লাহ সবচাইতে ভালো জানেন , তিনি সর্ব জ্ঞানী!
ঘর সাজানো মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে হতে পারে ! ব্যয়বহুল, অপচয় প্রবনতা , অমুসলিম সংস্কৃতির অনুসরন এবং ইসলামিক বিধি নিষেধ মেনে চলে তারপর যদি সাজানো হয় এটা একান্তই একটা মুবাহ কাজ হতে পারে!আল্লাহ সবচাইতে ভালো জানেন , তিনি সর্ব জ্ঞানী!
সপরিবারে ইনফ্লুয়েন্জার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এ কয়েকদিন অনলাইনে আসতে পারিনি, দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত
ঘর সজানোর ব্যাপরে এই রুলিংসটা দেখতে পারেন-Click this link
জিকরের এর ব্যাপারে এটা -Click this link
বারাকাল্লাহু ফিক! অনেক শুকরিয়া আপুকে!
লেখার মূল বিষয়বস্তু এটাকে মনে হচ্ছে। রসূল(সাঃ) বলেন-শ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ !
আর আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করার বিষয় হাদীসে আমি দেখিনি। পুরো বাক্যকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে জিকির করাও সুন্নাহ সম্মত নয়। আর এক সাথে কিছু মানুষ বসে উচ্চস্বরে জিকির করবে এমনটাও সুন্নাহ নয়। জিকির সানে হল আল্লাহকে শ্মরণ করা। এটি বান্দার অন্তরের বিষয়।
আল্লাহ হলেন স্রষ্টা। রসূল হলেন বান্দা। বান্দাকে আল্লাহ বিশেষ মযাদা দিয়েছেন বলেই তিনি কিছু পেয়েছেন। নইলে কারো কোনো অস্তিত্বই নেই আল্লাহ ছাড়া। তিনিই সবকিছু। আর তাই কোনোভাবেই আল্লাহ ও তার রসূল(সাঃ)কে পাশাপাশি স্থানে রাখা ঠিক নয়। যদিও আল্লাহ নিয়ত দেখে থাকেন কিন্তু আচরনে পরিশুদ্ধ হতে হবে। আর এটা করার দরকারও নেই। পুরো জিকিরটা লেখা রাখা যেতে পারে।
২) ঘর সাজানোর বিষয় :
সাবাহাদের মধ্যে ২ রকম সাহাবী ছিলেন। কিছু সাহাবী ছিলেন অনেক ধনী,তারা পরিপাটি থাকতেন। রসূল(সাঃ)পরিপাটি থাকতেন ,তিনি সুন্দর করে পোষাক পরতেন,খুশবু লাগাতেন,চুৈ সুন্দর করে রাখতেন।
যেসব সাহাবীরা সুন্দর ঘরে থাকত,সুন্দর বা দামী পোষাক পরত,তারা তিরষ্কৃত হয়নি। বরং এটা হল নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়। যার সম্পদ আছে সে তা বৈধ উপায়ে খরচ করবে। মুসায়ব বিন উমায়ের(রাঃ)ছিলেন স্টাইলিশ সাহাবী,বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তার পোষাক আসত,পরে তিনি পরিবার থেকে বিচ্যুত হলে দিনহীন জীবন যাপন করেন। তার এই উভয় বিষয়ে রসল(সাঃ) বিরূপ মন্তব্য করেননি।
ধনী সাহাবীরা অনেকে শৌখিন ছিলেন। তাদের শৌখিনতাও তিরষ্কৃত হয়নি।
কারো যদি মনে হয় সে ঘর সাজাবে না এই কারনে যে, তাহলে দুনিয়ার প্রতি তার ব্যপক আসক্তি জন্মাবে,তাহলে তার ঘর না সাজানোই উত্তম। তবে এটি একটি স্বভাবিক সৌন্দর্যবোধ। একজন মানুষ আপনার গৃহে প্রবেশ করে আপনার সম্পর্কে ধারনা নিবে। এটা ইসলামের পক্ষে বিপক্ষে দুভাবেই ঘটতে পারে। সুন্দর একটি ঘর,পরিপাটি একটি ঘর আপনাকে মানুষিক শান্তি দিতে পারে। আপনি আল্লাহর নিয়মতের শুকরিয়া এভাবে আদায় করতে পারেন। আবার ইচ্চা করলে এভাবে ঘর নাও সাজাতে পারেন,এটা আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতি সম্পর্কিত বিষয়। অতএব এটা করা না করা আপনার ইচ্ছা। ওয়ালম্যাট হিসেবে দোয়া ,সূরা লেখা থাকলে যদি প্রত্যহ তা তিলাওয়াত করার আকাঙ্খা জন্মে তা হলে সেটা খারাপ না।
আবার সবকিছু ছেড়ে মলিন ভাবে জীবন করে যদি মনে করেন, খুশী হবেন, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারবেন তাহলেও ঠিক অঅছে। তবে আমার মতে সুন্দর একটি ঘর মনে শান্তি আনে,আর সেটা যে পৃথিবীতে আসক্ত করবেই বা এটার অর্থ যে শুধু ওটাই হবে এমনটা আমার মানতে ইচ্ছা হয়না। আর পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বাচতে চাওয়া ইসলাম বিরুদ্ধ নয়। বহু জীহাদী মানুষের ঘরও অত্যন্ত সুন্দর এমন দেখা গেছে। তারা শহীদ হয়েছেন কিন্তু তাদের ঘর ছিল অত্যন্ত পরিপাটি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন