ইউরোপে ছুটির দিনগুলো.......
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:১৩:১৩ সকাল
আমি যখন প্রথমবার প্রবাসে আসি তখন ক্রিস্চিয়ানদের ক্রিসমাস উৎসব(২৫ শে ডিসেম্বর) চলছিলো। পুরো ইতালি জুড়ে সাজ সাজ রব। এমনিতেই প্রথমবারের মতোন নিজ দেশ ছেড়ে ইউরোপে আগমন তাও আবার এমন উৎসবমুখর সময়ে । অবাক হয়ে চারিদিকে দৃষ্টি বুলাতাম ,চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখতাম আর ভাবতাম এরা কত টাকা খরচ করে ওদের উৎসবের সাজসজ্জার পিছনে!
ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় আমাদের ছেলে মেয়েরা যখন এখানের স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করলো তখন আরো গভীর ভাবে ওদের সংস্কৃতি বোঝার সুযোগ কাছে চলে আসলো!
যা বুঝেছিলাম , ক্রিসমাসের আগে থেকেই চলতে থাকে ক্রিসমাস প্রিপারেশন। মোটামোটি সব বাচ্চাদেরকে নিয়ে ওরা অনেক বিনোদনমূলক সৃজনশীল প্রোগ্রম পরিচালনা করে থাকে। অভিনয় , ডিজাইন, গল্প লিখা ইত্যাদি!
(ক্রিসমাস ট্রি)
প্রথমবার আমার মেয়ে তখন ওর ৫ বছর, ক্রিসমাস টাইমে একটা ডিজাইন এনেছিলো সেটা ছিলো একটা ক্রিসমাস ট্রি, নিচে অনেকগুলো গিফট বক্স আঁকা। ক্লাসের সব বাচ্চাদের দিয়ে টিচাররা লিস্ট করিয়েছিলো প্রত্যেকে যেনো ওদের পছন্দের কিছু গিফটের নাম লিখে! ওদের বলা হতো/ ধারনা দেয়া হতো যদি তোমরা পুরো বছর ভালো আচরন করো তাহলে ক্রিসমাস ফাদার তোমাদের জন্য এই গিফটগুলো নিয়ে আসবে! এনে তোমাদের বাসার ক্রিসমাস ট্রির নিচে রেখে দিবে।
(এপিফানিয়া)
তারপর আসলো এপিফানিয়া( ৬ জানুয়ারি)। এদিনের সবচাইতে অদ্ভুত বিষয় হলো বাচ্চাদের বলা হতো এই দিন এক বুড়ি আসবে, যে কিনা ঝাড়ুর লাঠির মাঝে চড়ে পুরো বিশ্ব ভ্রমন করে সব শিশুদের কাছে আসে চকলেট এবং কার্বন নিয়ে। যে বাচ্চারা ভালো তাদের একটি মোজার ভিতরে রাখা নানান রকমের চকলেট এবং ছোট এক টুকরা কার্বন দিবে। মূলত সমস্ত ক্রিশ্চিয়ান বাচ্চারাই এই দিনে আবারো উপহার পায়! স্কুল থেকেও একটা উপহার দেয়া হয় মোজা যার ভিতরে নানরকম চকলেটে ভরপুর থাকে, প্রতিটি বাচ্চাই এই উপহার পেয়ে থাকে।
(কার্নিভাল)
তারপরে আসে কার্নিভাল( ১২-১৭ ফেব্রুয়ারি/ পরিবর্তিত) । এই দিনের বিশেষ বৈশিস্ট্য হলো মুখোশ। সবাই মুখোশ পড়ে উদযাপন করে দিনটি। ছোট ছেলে মেয়েরা পছন্দের নানারকম পোশাক সিন্ড্ররেলা, আলিবাবা, স্পাইডার ম্যান, সুপার ম্যান যত ধরনের ছোট বাচ্চাদের ফ্যামাস ক্যারেক্টার আছে সেই আলোকে বিশেষ পোষাক পরিধান করে, মুখে মুখোশ লাগিয়ে রাস্তায় র্যালিতে বের হয়! স্কুল থেকে কাগজ কেটে কিভাবে মুখোশ বানাতে হয় তার আয়োজন করা হয়, প্রতিটা বাচ্চা পছন্দমতো মুখোশ বানায়।
( ইস্টার)
তারপর আসে পাস্কুয়া ইস্টার ডে ( ৫ এপ্রিল) ! এই দিনকে ওরা বিশ্বাস করে ওদের যিশু পুনর্জন্ম লাভ করেছিলো। এই দিনের প্রধান আকর্ষন হলো ডিম । নানারকম কারুকার্য খচিত ডিম উপহার দেয়া হয়। আর বাচ্চাদের দেয়া হয় চকলেটের তৈরি ছোট মুরগির ডিমের সাইজ থেকে ডাইনোসরের ডিমের সাইজ পর্যন্ত ডিম। উপরে চকলেট তার ভিতরে থাকে নানারকম উপহার! এই দিন উপলক্ষেও স্কুল থেকে চকলেট ডিম উপহার দেয়া হয়।
সব মিলিয়ে এই হলো ক্রিশ্চিয়ানদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর ছোটখাটো রীতি ও বিবরন!
আমরা যারা এই ইউরোপের ক্রিশ্চিয়ান অধ্যুষিত সীমানায় এসেই পড়েছি, আমাদের সন্তানদের এখানের স্কুলেই পাঠাতে হচ্ছে শিক্ষা গ্রহনের জন্য! এসব দেশগুলোতে শিক্ষাগ্রহন পদ্ধতি যে বিনোদনমূলক ও সৃজনশীলতার শিক্ষা দেয় তা কারোই অজানা নেই। ক্রিশ্চিয়ানরা যতই ওদের ধর্মকে বিকৃত করুক না কেনো, মূল ধর্ম থেকে সরে আসুক না কেনো তারপরেও ওরা ওদের সংস্কৃতিগত ভাবে ধর্মের মূল ভাবধারা ওরা ঠিকই স্কুলগোয়িং প্রতিটি শিশুর মননে খুব সূক্ষ ভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে- দিচ্ছে।শিশুদের সরল এবং অবুঝমনে ওরা খুব চতুরতার ও বুদ্ধিমত্তারর সাথেই ওদের ধর্মীয় শিক্ষার আভাস ঢুকিয়ে দেচ্ছে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের সন্তানদের এই বিভ্রান্তি থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের করনীয় কি?
আমার মেয়েকে দিয়ে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জন, এছাড়া আমি নিজেও সেই সময়ে খুব একটা ইতালিয়ান ভাষাজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করিনি ! আমার মেয়ে যখন এই উৎসবগুলোতে স্কুল থেকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে আসতো আমার মধ্যে তখন সুনামির ঝড় বইতো! অবচেতন মনেই ভাবতাম না জানি মেয়েটি কখন ওদের সংস্কৃতিতে পছন্দ করে ফেলে এই আশংকার ডংকা সর্বক্ষন মনের মধ্যে বেজেই চলতো!
বুঝতে পারছিলাম এই বিপরীত সংস্কৃতির উল্টোস্রোতে চলতে হলে সব চাইতে শক্তিশালী যে হাতিয়াড় লাগবে তা হলো নিখাদ শরীয়তের জ্ঞান। শুধু শরীয়তের জ্ঞানই যথেষ্ট নয় বরং এই ক্রিশ্চিয়ান কালচার থেকে দূরে থাকার জন্য আধুনিক জ্ঞানের ও অনেক প্রয়োজন! আমরা আমাদের পারিবারিক জীবনে ঘরোয়া পারিবারিক তালিমে আমাদের ইসলাম তথা আমাদের জীবন বিধান নিয়ে, এর বিভিন্ন দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করতাম, আমাদের ইসলামিক উৎসবগুলোর আলোচনা, কিভাবে আরো আনন্দময় ঈদ উদযাপন, আমাদের সংস্কৃতি আর অমুসলিমদের সংস্কৃতির মধ্যে যে গভীর বিশ্বাসের পার্থক্য তা নিয়ে আলোচনা করতাম। যখনি সামনে ওদের কোন উৎসবের দিন ঘনিয়ে আসতো আমরাও আগে থেকেই আমাদের ইসলামিক দৃষ্টিকোন নিয়ে আলোচনা করে ওদের অন্তরে আমাদের বিশ্বাসের মূল্যবোধ ওদের দিতে চেস্টা করেছি! তার ফলাফলও পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ! ওদের ভিতর কখনোই ক্রিশ্চিয়ান বেসিস আনন্দসামগ্রীর আগ্রহ দেখি নি আলহামদুলিল্লাহ। অথচ প্রায় অনেক পরিবারকেই বলতে শুনেছি উনাদের বাচ্চারা জিদ ধরতো যে বাসায় ক্রিসমাস সামগ্রী ট্রি, গিফট, অন্যান্য উপহার পাওয়ার জন্য!
ছুটির দিনগুলোর কথা বলতে গেলে আবারো একটু পিছনে ফিরে যেতে হয়। ২৫ শে ডিসেম্বর থেকেই শুরু করি। ক্রিশ্চিয়ানদের বিশ্বাস এই দিনে যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয়। তারপর কার্নভাল - এই দিনের মুখোশের অন্তরালে আছে অন্য ঘটনা । এই দিন থেকে শুরু করে ইস্টার আসতে সময় লাগে প্রায় ৪০ দিনের মতোন সময়। ক্রিশ্চিয়ানদের রীতি কার্নেভালের পর থেকে ওরা ইস্টার পর্যন্ত ৪০ দিন গোশত খাবে না, ভাল কোন খাবার খাবে না, কোন ধরনের উৎসবের আয়োজন করবে না (যদিও কোন ক্রিশ্চিয়ান পাই নি যারা এও নিয়ম অনুসরন করে চলে) । কার্নভাল শব্দটি এসেছে ল্যাটিন carnem levare থেকে যার অর্থ গোশত থেকে দূরে। আর ওদের এই দূরে থাকার দিন শেষ হবে ইস্টারের মাধ্যমে। ইস্টারকে ওরা বিশ্বাস করে এই দিনে যীশুখ্রীস্ট মারা যাওয়ার তিনদিন পর এই দিনে পুনর্জন্ম লাভ করেছিলেন । তার আনন্দেই ক্রিশ্চিয়ানরা পুনরায় গোশত থেকে শুরু করে সব খাওয়া, বিনোদন শুরু করবে। আর এই দিনে ডিমের রহস্য হলো, প্রাকৃতিক উপায়ে একটি ডিম থেকে যেমন নতুন জীবনের সূচনা হয় তেমনি ওদেরও যীশুখ্রীস্টের সাথে সাথে ডিমের মতো নতুন করে পুনর্জন্ম হয়! যদিও আমি অনেক ক্রিশ্চিয়ানদের প্রশ্ন করেছি ব্যক্তিগত ভাবে ক্রিসমাসের সাথে গাছের, এপিফানিয়ার সাথে বুড়ির, কার্নভালের সাথে মুখোশের এবং ডিমের সাথে ইস্টারের সম্পর্ক কি তা জানার জন্য- বেশির ভাগ ক্রিশ্চিয়ানরাই জানে না এর উত্তর! আমাদের অজ্ঞ মুসলিমদের মতোন ওদের ধর্মেও অজ্ঞ ক্রিশ্চিয়ানের সংখ্যা ও কম নয়।
আমরা অভিভাবকরা কতটুকু জানি আমাদের নবী ঈসা আলাইহিসসালাম সম্পর্কে? আমাদের মুসলিমদের সর্বপ্রথম আমাদের নবী ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আল কোরানে ১৫ টি সূরায় ৯৮টি আয়াতে ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে আলোচনা করে হয়েছে। উনার মা মারিয়াম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে আল কোরআনে ১৯ নম্বর যে সূরাটি সূরা মারিয়াম নামে আছে -এই সূরাটির ৩৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আয়াতের অনুবাদ ও তাফসীর পড়লেও যে কেউ ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে সঠিক ভাবে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে।
আমাদের এখানে এবারের ইস্টারের ভ্যাকেশন ছিলো প্রায় ৬ দিন। প্রতিবছর আমাদের মুসলিম কম্যুনিটির পক্ষ থেকে ছুটি উপলক্ষে আমরা কিছু ইসলামিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। মূলত আমাদের ছেলে মেয়েদের আনন্দ দানের পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যমে ইসলামের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করা হয়ে থাকে! এবারেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ইয়ং মুসলিমাহদের নিয়ে করা প্রোগ্রামটি স্কুল -কলেজ গোয়িং মেয়েদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ক্রিশ্চিয়ানদের ধর্মীয় বিশ্বাস এর পার্থক্য, মুসলিমদের জন্য করনীয় ও শিক্ষা গ্রহন এই সাপেক্ষে আলোচনার পাশাপাশি থাকে কুইজ প্রতিযোগিতা ও ধাঁধার পড়তিযোগিতা ও বিভিন্ন খেলা, সবশেষে আপ্যায়ন যা প্রতিটি পরিবারের সদস্যবৃন্দদের পক্ষ থেকে আনা হয়। বলা বাহুল্য ছোট বড় আমরা সবাই এই অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক আনন্দ উপভোগ করে থাকি, সবচাইতে বেশি লাভবান হই বিজাতীয় স্রোত থেকে নিজেদের রক্ষার মূল্যবান নসিহা গ্রহন করে।
আমাদের আজকের ছোট ছোট সন্তানরাই আগামীদেনের ভবিষ্যত, আমাদের ইসলামের ধারক- বাহক। অজ্ঞতা বা মূর্খতা নিয়ে, ইসলামের বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে আমাদের সন্তানেরা যেনো ভুল পথে অগ্রসর না হয় সেজন্য আমাদের অভিভাবকদেরকেই সচেতন হতে হবে এবং উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে! তবেই সন্তানদের সুকোমল হ্রদয়ে ইসলামের সুমিষ্ট বীজ বপন করা সম্ভব হবে যা মজবুত ঈমানী বৃক্ষের ন্যায় গভীরে শিকড় প্রোথিত করে ছড়িয়ে পড়বে, সমস্ত জমীনে সবুজ ডালপালা দিগন্ত বিস্তৃত করে বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করবে , যার সুমিস্ট ফল আস্বাদন করবে সমগ্র বিশ্ববাসী ইনশা আল্লাহ......... ..............
(সাজানো প্লেট)
(সিংগারা)
(অতিথিদের জন্য আয়োজন)
(ছানার সন্দেশ)
বিষয়: বিবিধ
১৮৪১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তারা যে কোনো বিষয়য়ে এমনসব চোখ ধাধানো আমেজ তৈরী করে যে, মানুষ আকৃষ্ট না হয়ে পারেনা। এটাই তাদের মার্কেটিং। আর উৎসবে ওই অংশটুকু তারা সহজে সারাবিশ্বে সাপ্লাই করতে পারে। এতে মানুষ তাদের ধর্ম অনুসরণ না করলেও অন্তত নিজ ধর্ম থেকে দূরে থাকে বা সে সম্ভাবনা তৈরী হয়। এটাই ওদের সফলতা।
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপনার প্রতি টা উপস্হাপনা ইসলাম ও মুসলিমদের কল্যাণার্থে নিবেদিত! আজও তার ব্যতিক্রম নয়! অনেক সুন্দর ভাবে বিজাতীয় বিষয়াবলী থেকে বেচেঁ থাকার আহবানময়ী আকুঁতি এবং রাস্তা সাবলীল ভাবে তুলে ধরলেন!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান সব সময়ই!!
চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহপ্রদানের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আশাকরি সবরকম পেরেশানীর ধকল কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন! আপনার জন্য সবসময়ের অবারিত দোআ ও শুভকামনা রইলো!
বারাকাল্লাহু ফিক!
সে সব দেশ বাদ দিয়ে খৃস্টান অধ্যষিত ইউরোপে গেলেন কেন ? এমন অবস্থাও ছিল না যে থাকা খাওয়ার জায়গা ঐ ইউরোপে ছাড়া আর কোথায়ও পাওয়া যাচ্ছিল না !
নাকি ধর্মের চেয়ে সামাজিক স্ট্যাটাস বড় হয়ে উঠেছিল ?
মধ্যপ্রাচ্যের কোন মুসলিম দেশে থাকার চেয়ে ইউরোপের কোন দেশে থাকলে দেশের আত্মীয় স্বজনেরা বেশ সন্মানের চোখে দেখবে ?
সৌদি / কাতার / কুয়েত এসব দেশে থাকার চেয়ে লোকে মেরিকা / কানাডা / অস্ট্রেলিয়া / লন্ডনে থাকাদের বেশ গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে - সেজন্য !
কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করলেন প্রশ্নের মাধ্যমে!এখানে আসার আগেও এই ধরনের ঈমানী কঠিন পরীক্ষার সন্মুখীন আমাদের, আমাদের বাচ্চাদের হতে হবে বিন্দুমাত্র ও ধারনা ছিলনা!তবে আমাদের জন্য দোআ অব্যাহত রাখবেন এবং জেনে খুশি হবেন আমরা খুব দ্রুত ইসলাম প্রাকটিস সহজ হয় এমন স্থানে স্থানান্তিরত হওয়ার অপেক্ষায় আছি!
আমাদের এবং আমার হাসব্যান্ডের দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই আমরা প্রথম প্রবাসী! সুতরাং অভিজ্ঞতার ঝুলি ছিলো শূন্য! আর স্ট্যাটাসের জন্য আসেনি যে সমস্যায় পড়ে এসেছিলো তা নিয়ে পোস্ট দিব একদিন ইনশা আল্লাহ!
ভাই আপনার প্রকৃত নামটা যদি জানাতেন, হতভাগা লিখতে ইচ্ছে করে না মোটেই! মুসলিম হিসেবে অন্তত অন্য একটা ছদ্মনাম ব্যবহার করা যেতে পারে! কিছু মনে করবেন না!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
সন্তানদের নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমেই ভুল সংস্কৃতির হাতছানি থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে!
জাযাকাল্লাহু খাইর
চকলেট তো বিতরন করা হচ্ছে না! বড়জোড় উপরের প্লেট থেকে আলুর চপ, সিংগাড়া, ছানার সন্দেশ, গাজরের বরফি, কাবাব, পুরি, কেক খেতে পারেন! সব আপনার খেদমতে দিয়ে দেয়া হলো! শুরু করুন......
ঠিক আছে ভাই! আমানতের সুরক্ষায় বোনকে অটল পাবেন ইনশা আল্লাহ!
জাযাকাল্লাহু খাইর
এগুলো খেলে আমার সারাদিন "চিন্তারঘড়ে" নতুন নতুন আইডিয়া বের হবে
সুন্দর সৃজনশীল ও জ্ঞানধর্মী লিখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ খাইরান।
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
আমরা যখন দেশে এসেছিলাম বাচ্চারা সবচাইতে অবাক হয়েছিলো আমাদের মুসলিমদেশের মুসলিম মানুষ গুলোকে দেখে! ইউরোপে আমরা বাচ্চাদের খুব সহজেই ক্রিশ্চিয়ান কালচার কে বলতে পারি অন্য ধর্মের কালচার , ওরা ক্রিশ্চিয়ান আমরা মুসলমান আমাদের পার্থক্য আছে, মেনে চলতে হবে ওরাও এই পার্থক্য মেনে নেয় কিন্তু দেশে আপনি কি বলে বুঝবেন?বেশির ভাগ মুসলিমরাই কোন ধর্ম অনুসরন করছে? কোন পার্থক্যের ব্যবধানে আলাদা করা হবে?
আপনার সাবলীল বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্য অনেক অনুপ্রেরনার যোগান দেয়! আলহামদুলিল্লাহ! বারাকাল্লাহু ফিক!
আমরা আমাদের ধর্ম নয়, অন্য ধর্মের বিষয়গুলোই বাচ্ছাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেই, যেমন গরু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ও ভগবানের নাম না নিলে জবাই শুদ্ধ হবে না! নাউজুবিল্লাহ!
তারপর ধর্মের বিষয় মাথায় ঢূকিয়ে দেয়ার চাইতে বেশি ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে যৌনতা সম্পর্কিত, অথবা নারী পুরুষ সম্পর্কিত যতোসব স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলো!!!!
যাই হোক আমি একবার ভেবে ছিলাম, বাচ্ছাদের স্কুলে পাঠিয়েই বাবা মা যেনো তাদের দায়িত্ব শেষ মনে না করেন বরং দেখে নেন বাচ্ছারা আসলে স্কুলে কি পড়ছে? কিন্তু পরে কেন জানি আর খেয়াল ছিল না!
আলহামদুলিল্লাহ্ আপ্নারা বিদেশের মাটিতে তা করছেন, কিন্তু দে৩শে কতটুকু হচ্ছে আমার জানা নেই! যদি না হয়ে থাকে তাহলে তা আমাদের জন্য খুবই এলার্মিং!
লিখাটি পাওয়ার সাথেই পড়েছি, মন্তব্যটা করার মত অবস্থায় ছিলাম না, সানি ঘুমে টলছিলাম ,তাই লেইট!
যেখানেই থাকি না কেনো সন্তানদের ইসলাম শিখানোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বা মুক্তির সুযোগ ইসলাম আমাদের কাউকে দেয় নি! তাই এই দায়িত্ব পালন না করলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহীর কঠিন পাকড়াও হবে তখন কি জবাবের কোন উত্তর থাকবে? থাকবে না! আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
আমরা ব্লগ পরিবারের মায়ার সুতোর বন্ধনে সব ভাইবোন এক পরিবারের সদস্যা হয়ে গেছি , জানি মায়ার টানেই এসে সবাই পড়ে এবং মন্তব্য করে! এই বন্ধন মুসলিম ভাতৃত্ব হিসেবে জা্ন্নাত পর্যন্ত অটুট থাকুক!
জাযাকাল্লাহু খাইর
আমাদের মুসলমানের এখানে এসে ওদের হাতে ছেলে মেয়েদের নিশ্চিন্তে থেকে স্বামী স্ত্রী দুজনেই টাকার পেছনে ছুটে ।
আপু ইউরোপের বাস্তবতার আলোকে অনেক সুন্দুর করে লিখেছেন । অনেক ধন্যবাদ আপু ।
হুম আপু যারা ইউরোপে পড়াশোনা করে, বড় হয় তারা অনেক বেশি বুঝতে পারে!
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
অপপ্রচার এর প্রভাবে খ্রিষ্টমাস এবং নিউইয়ার এখন আমাদের দেশেও অনেকে না বুঝেই পালনিয় বলে মনে করছে। আর পহেলা বৈশাখ এর তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রার অপসংস্কৃতি তো আছেই। আমার মনে হয় সেই দেশেও আপনারা শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার যে সুযোগ পাচ্ছেন এখানে সেই শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থাও এখন সংকুচিত হয়ে গেছে।
ছবিগুলি দেখে থাইতে ইচ্ছা করে!!
বিজাতীয় সংস্কৃতির সয়লাবে মুসলিমরা আজ ভেসে যাচ্ছে! বড়ই দুঃখের বিষয় এটা!
এটা ঠিক ক্রিশ্চিয়ানরা ওদের মূল ধর্ম ,ধর্মীয় অনুভূতি এবং পালন করা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, আজকে আমরা মুসলিমরা যদি আমাদের ধর্ম অনুশীলন ও পালনে ইসলামকে শক্ত ও মজবুত করে আঁকড়ে না ধরি একসময় মুসলিমদের মাঝেও এই রোগ বাসা বাঁধবে ! এর কিছুটা লক্ষনও মনে হয় আমরা পাচ্ছি যেমন রমাদানে সিয়াম পালন করে পরিশুদ্ধ হওয়ারর চাইতে ইফতারের বাহারি আয়োজনের গুরুত্ব, ঈদের চাইতে শপিং, ফ্যাসনেবল বিলাসবহুল পোশাকের গুরুত্ব, কোরবানীর চাইতে কে কত বেশি দামের গরু কিনলো সেটার গুরুত্বকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে! এভাবে চলতে থাকলে একসময় মুসলিমজাতীর ইসলামী সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে সময় লাগবে না!আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন!
জাযাকিল্লাহু খাইর!আমি যাই লিখি না কে আপনার মন্তব্য পাবেই এই আশাটা আমার মনের মধ্যে চলে আসে! শুকরিয়া ভাইয়া!
আপনারা ইলম এবং আমলের অধিকারী , হয়তো আপনাদের সন্তানেরা ইসলামিক স্কুল পড়ে এজন্য অনেক অনেক জাহিলী ধোঁকা থেকে বেঁচে যেতে পারেন ! আমরা দুর্বল ঈমান এবং সন্তানদের ক্রিশ্চিয়ান নিয়ন্ত্রতিত স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে- আমাদের ঈমান বিপথে নিয়ে যাওয়ার সমস্ত সুযোগ খোলা! তাই একটু সচেতনতার জন্য জানা !
আপনি পোস্ট পড়েছেন এবং ম্তব্য করেছেন এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া! খুব ভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি! দোআ ও শুভামনা রইলো!জাযাকাল্লাহু খাইর
আমরাও বড়দের এবং বাচ্চাদের নিয়ে এমন আয়োজন রমজানে করে থাকি। তবে আপনার কাছে থেকে জেনে ভালো লাগলো। সামারের ছুটিতেও করব ইনশাআল্লাহ
পুরোনো প্রায় ভুলে যাওয়া পোস্টগুলোতে যখন আপনার মন্তব্য দেখি মনের মেঘলা আকাশে এক টুকরো নির্মল রোদেলা পরশ বুলিয়ে আলোকিত করে তোলে আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের সামার বেসিসে আউটডোর প্রোগ্রাম বেশি হয় তাই কুইজ টাও করা হয় বেশি !
আশাকরি আপনাদের প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কেও জানিয়ে লিখাবেন!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন