"ইবাদাতের প্রথম পাঠ"

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩৬:০৭ বিকাল



মুয়াজ আজ খুব আনন্দিত! আনন্দের চিক চিক রেখা তার চোখে মুখে উপচে পড়ছে! ছেলের দিকে তাকিয়ে সুগভীর তৃপ্তি অনুভব করলেন মা- তাহিরা, আনমনেই ভাবলেন শিশুদের আনন্দিত হওয়ার জন্য তেমন কোন বড় বিষয়ের প্রয়োজন হয় না, পছন্দের ক্ষুদ্র জিনিষেও শিশুরা ভীশন আনন্দিত হয়!

মুয়াজের এতো আনন্দিত হওয়ার বিষয় হলো, ওর আম্মু আজ চমৎকার একটা খাতা কিনে এনেছেন! ভারী প্লাস্টিকের মলাটে আবৃত রংগিন আকর্ষনীয় খাতাটি মুয়াজের জন্যই আনা হয়েছে শুনেই মুয়াজ আনন্দে আত্নহারা হয়ে আম্মুকে জাযাকিল্লাহ বলে জড়িয়ে ধরেছিলো!

খাতাটি নিয়ে মুয়াজ উল্টে পাল্টে কিছুক্ষন দেখার পর মাকে এসে বললো-

আম্মু, এই খাতাটিতে আমি কি লিখবো?

হেসে মা জবাব দিলেন, তুমিই বলো বাবা তোমার কি লিখতে ইচ্ছে করছে?

আমারতো ক্লাসের সব খাতাই আছে, এ খাতাটা দিয়ে অন্য কিছু লিখি! আম্মু এই খাতাটা আমার আ্যারাবিক খাতা বানাই?

ঠিক আছে আব্বু ! তাহলে এখন থেকে এটাই হোক তোমার নতুন আ্যারাবিক খাতা !

এই উদ্দেশ্যেই খাতাটি কিনে আনা হয়েছে তারপরেও মুয়াজ যখন নিজে থেকেই স্বেচ্ছায় আ্যারাবিক খাতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সুতরাং এটাই মনোযোগ ধরে রাখার জন্য সহায়ক উপায় হবে ভাবলেন তাহিরা!

মুয়াজ তো মনের আনন্দে কলম, পেন্সিল, রং পেন্সিল নিয়ে লিখতে বসে গেলো! প্রথম পৃষ্ঠায় নিজের নামটি লিখে নিচে লিখলো আমার আ্যারাবিক খাতা। কি মনে হতেই উঠে বেডরুমের ড্রয়ার থেকে খুঁজে বের করলো পাসপোর্ট সাইজের ছোট বেলার ছবি! নামের সাথে ছবিটি আঠা দিয়ে যত্ন করে লাগিয়ে মাকে দেখানোর জন্য গেলো-

আম্মু, দেখো কতো সুন্দর করে লিখেছি আর ছবি দিয়েছি!

তাহিরা কিছুটা বিষ্মিত হলেন, খুশিও হলেন ছেলের সৃজনশীলতার বুদ্ধিবৃত্তিক পরিচয় পেয়ে! শুধু অবাক হয়ে বললেন, বাবা ছবিটা আবার কেনো লাগালে?

যদি আমার খাতাটি হারিয়ে যায় সবাই ছবি দেখে বুঝবে এই খাতাটি আমার গম্ভীর স্বরে জবাব দেয় মুয়াজ!

হেসে তাহিরা বললেন- আমার বাবাটার কতো বুদ্ধি বলে মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, তো তোমার খাতায় প্রথম কি লিখতে চাও মুয়াজ?

প্রথমে আমাকে পড়ালেখার দোআটা একটু লিখে দাও না আম্মু! আমি দেখে দেখে লিখে নেই!

তাহিরা লিখলেন রব্বি জিদনী ইলামা - এটা দেখে মুয়াজ ও আরবীতে ওর ছোটো গুটি গুটি হাতে লিখে নিলো দুয়াটি!

ছেলের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন, এইতো সেদিন সমস্ত ভুবন আলোকিতো করে কোল জুড়ে এসেছিলো মুয়াজ! দেখতে দেখতে কিভাবে সাতটি বছর পেরিয়ে গেলো চোখের পলকে! এখন শুধু খেলাধূলা আর আনন্দেই সময় কাটালে হবে না অভিভাবকের সুকোঠিন দায়িত্ব ও যে পালন করতে হবে ! সেই সুবাদেই খাতাটি কিনে এনেছিলেন তাহিরা! একটু একটু করে মাসনুন দোআ , ওযুর নিয়ম, সালাহ পরিচিতি, দৈনন্দিন জীবনের সুন্নাহ গুলো শিখার পাশাপাশি যদি লিখেও রাখে পড়াশোনায় আগ্রহ জন্মাবে !

ইবাদাতের প্রথম পাঠ ওযু হলে কেমন হয়? প্রথম দিন খাতায় না হয় ওযুর নিয়ম পরিচিতিই লিখা হোক! মুয়াজকে বলতেই সানন্দে রাজি হয়ে গেলো ! বড় বড় অক্ষরে লিখলো ওযু কিভাবে করে? রং পেন্সিল দিয়ে এটাকে মার্ক করলো বড়ো করে। লাল কালিতে লিখাটি জ্বলজ্বল করে উঠলো-

১) বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা

২) দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করা

৩) কুলি করা/ সিওয়াক/ব্রাশ করা

৪)নাকে পানি দেয়া

৫) সমস্ত মুখ ধোয়া

৬)প্রথমে ডান হাত কনুই পর্যন্ত ও পরে্ব বাম হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া

৭) মাথা মাসেহ করা কান সহ

৮)প্রথমে ডান পা ও পরে বামপা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া

৯) কালিমায়ে শাহাদাত পড়া ।

তাহিরা ধীরে ধীরে বলছেন, মুয়াজ বিরতি দিয়ে একটু একটু করে লিখে চলছে! লিখা শেষে মুয়াজের আর তর সইছিলো না কতোক্ষনে এই খাতা দেখে সে ওযু করবে! এতোদিনতো বাসার সবাইকে দেখে একটু আধটু নিয়ম মেনে করেছে আজ সে পরিপূর্ন নিয়ম মেনে ওযু করতে চায়!

তাহিরাও বাঁধা না দিয়ে পুত্রকে উৎসাহ দেন। বেসিনের সামনে মা ছেলে এসে দাঁড়িয়েছেন এমন সময় মুয়াজের বাবা সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকলেন! আর কে পায় মুয়াজকে? ভোঁ দৌড়ে খাতাটি নিয়ে বাবার কোলে এসে উঠে সে! আম্মুর খাতা কিনে আনা, বসে বসে এতোক্ষন দুয়া লিখা, ওযুর নিয়ম লিখা সব গড়গড় করে পরমানন্দে বলা শুরু করলো !

আমি আর আম্মু এখন ওযু প্র‍্যাকটিস করতে যাচ্ছি! হাত ধরে টেনে বাবাকে বললো তুমিও আসো আমার সাথে! সাঈদ সাহেব ছেলের কর্মকান্ডে ,ইবাদাতের উৎসাহে বেশ মজা পাচ্ছিলেন! তিনিও ছেলের পিছুপিছু বেসিনের নিকট আসলেন!

স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, সওয়াবের পাল্লা তো সব তুমি তোমার দিকে ভারী করে নিচ্ছো! আমার জন্য কিছু তো রাখো!

তাহিরা বললেন, সবে তো শুরু জনাব! সামনে তো আরো কত কিছু বাকি আছে, হাসতে হাসতে বললেন তাহিরা!

মুয়াজ যখন বেসিনের কলের পানি ছেড়ে জামার হাতা গুটাচ্ছিলো, তখন সাঈদ সাহেব কলটা বন্ধ করলেন অত্যন্ত বিজ্ঞের ভংগিতে ! তারপর দুষ্টুমির হাসি হেসে বললেন , তোমার আম্মু বিশুদ্ধ উপায়ে সুন্নাহ অনুসরন করে তোমাকে ওযুর নিয়ামাবলী লিখালেও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয়টাই শিখাতে ভুলে গেছে বাবা ! মুয়াজ গম্ভীরভাবে বাবারদিকে তাকায়!

ভ্রু নাচিয়ে পুত্রকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে রুমে এসে বসলেন সাঈদ সাহেব ! আবার কি ভুল হলো এই ভাবনায় চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে পিছু পিছু তাহিরাও এসে বসলো বিছানায়!

সাঈদ সাহবে চোখে চশমাটা দিয়ে বললেন , বাবা একটু দেখি খাতাটা সবকিছু ঠিকঠাক লিখেছো কিনা ? আচ্ছা তুমি না হয় আমাকে পড়েই শোনাও!

মুয়াজ ধীরে ধীরে বলতে শুরু করলো- বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করতে হয়................................. ..............................................................

সবশেষে কালিমায়ে শাহাদাত পড়ে ওযু শেষ করতে হয়! যারা এভাবে ওযু করবে আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দিবেন! মুয়াজ পড়া শেষ করে আব্বু ও আম্মুর দিকে তাকায় !

আব্ব্বু বলেন- মাশা আল্লাহ! খুব সুন্দর করে লিখেছো! আমার বাবাটা একেবারে বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে ওযু শিখবে ইনশা আল্লাহ! তারআগে একটা কথা বলি, তুমি কি জানো ওযুতে যে প্রয়োজনীয় পানির বেশি পানি নষ্ট করা ঠিক নয়? ওযু করতে গিয়ে পানির অপচয় যেনো না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে আমাদের! আম্মুতো তোমাকে সবটুকু শিখিয়ে সারাজীবন সওয়াব উপার্জনের পথ ঠিক করে নিলো, এবার আমিও একটা জিনিষ শিখিয়ে দেই তাহলে আমিও সারাজীবন তোমার ওযু করা থেকে সওয়াব উপার্জন করতে পারবো!

তাহিরা এবার মিষ্টি ঝগড়ার ভংগিতে বললো- আচ্ছা তোমার কি সহ্য হচ্ছে না আমি ছেলেটাকে এতো সুন্দর করে শিখাচ্ছি!

কেমন স্বার্থপর তুমি? খালি নিজের নেকি অর্জনের কথা ভাবো? এজন্যই তো শুধু একটা জিনিষ শিখিয়ে হলেও তোমার জীবন সাথীর পার্টনারের সাথে সাথে নেকীর পার্টনারও হতে চাই!

মুয়াজের দিকে তাকিয়ে সাঈদ বললেন, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করার সময় খুব সাবধানে পানি ব্যবহার করতেন! যেনো পানির অপচয় না হয় আবার সঠিক ভাবে ওযুও করা যায়! হাদিস থেকে আমরা জানি উনি এক মুদ পানি মানে হিসাবে প্রায় ৬০০-৬৫০গ্রাম পানি দিয়ে ওযু করতেন! আমরাও যেনো পানি নষ্ট না করি! এভাবে কল ছেড়ে দিয়ে যদি হাতা গুটাই, ওযু করছি আর সমানে পানি পড়ছে কল দিয়ে তাহলে অনেক পানির অপচয় হবে তাই মগে পানি নিয়ে বা কল খুব আস্তে করে ছেড়ে ওযু করার অভ্যাস করতে হবে ঠিক আছে বাবা?

মুয়াজ বুঝতে পারলো কঠিন একটা অংকের হিসাব এখানে অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য আর তাই দেরি না করে বলে ফেললো আমি কিভাবে ওযু করবো তাহলে? এক মুদ পানি কিভাবে বুঝবো?

সেটা নিয়ে পেরেশানি করতে হবে না বাবা, তুমি প্রথমে অল্প পানি ছেড়ে ওযু করতে শিখো, তারপর ধীরে ধীরে আমাদর যে মগ আছে সেটা দিয়ে শিখে যাবে ইনশা আল্লাহ!

এবার মুয়াজ আশ্বস্থ হলো! মুয়াজ, তাহিরা আর সাঈদ তিনজন মিলে ওযুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন ! প্রথমেই মুয়াজ জামার হাতা গুটিয়ে নিলো, আস্তে করে পানি ছাড়লো, কচি মুখে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা ওযুর দৃশ্য তাহিরা আর সাঈদের মনে অন্যরকম ভালোবাসার আকুল অনুভূতির দোলা দিয়ে গেলো!ওযুর এই পানি শুধু যেনো ইবাদাতকেই পরিশুদ্ধ করে না বরং সুকোমল শিশু অন্তরটিকেও চির বিশুদ্ধ রাখুক সৃষ্টিকর্তার পানে ! সকল অপিবত্রতা, কলুষতা বিলীন হোক শরীর ও মন থেকে ! এভাবেই চির সুন্দর সত্যের পথ ইসলামে টিকে থাকুক সন্তান সকলের নয়নমনি! এভাবেই আনন্দাশ্রু মিশ্রিত দুআয় পরকালে জান্নাতে একসাথে থাকার তামান্নায় তিনটি হৃদয়ের আকুলতা পরমমমতায় সিক্ত হলো ...

উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পরিপূর্ণরূপে ওযু করে যে ব্যক্তি এই দো‘আ বলবে, ‘আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, অ আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরাসূলুহ।’ অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দাস ও প্রেরিত দূত (রসূল)। তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করবে।” (মুসলিম)

(শিশুতোষ গল্প)

বিষয়: বিবিধ

১১১৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

312877
০৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : মাশ-আল্লাহ আপু খুব সুন্দর করে লিখেছেন! মহান আল্লাহ আপনার লেখার হাতকে আরো সু-প্রসারিত করুন! আমিন!
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:২০
253982
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ! প্রথম উপস্থিতি, পাঠক এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুকরিয়া আপুকে!

চমৎকার দোআয় আমিন! ইয়া রব!

জাযাকিল্লাহু খাইর! Good Luck
312880
০৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একটু পরেই আসছি আপু........
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:২৭
253983
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ! শুকরিয়া ভাইয়া! আপনার বিনয় সত্যি মুগ্ধতা ছড়ায়!
312904
০৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ইসলাম শিক্ষা সবচেয়ে বড় শিক্ষা ,,আপনার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে আরো লিখা চাই।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৩১
253984
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

অভিভাবক সন্তানকে যে উপহার দিতে পারেন তার মধ্যে সবচাইতে মূল্যবান ইসলামিক নৈতিকতা ও ইসলামিক শিক্ষা! দোআ করবেন আমাদের সকল মুসলিম পরিবারগুলোর জন্য!

আপনি নিয়মিত আসছেন দেখে খুব ভালো লাগলো! আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া!
জাযাকিল্লাহু খাইরGood Luck
জাযাকাল্লাহুক খাইর!
312920
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপু, শিশুদের জন্য দারুন চমৎকার একটি শিক্ষা, যা আমি জান্নাতের জন্য অজু শিক্ষা হিসেবে কাজে লাগাবো ইনশা-আল্লাহ। জাযাকিল্লাহ খাইরান আপু।
মুয়াজ কি আপনার ছেলে আপুমনি?
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৩৪
253985
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ!

জান্নাত মামনির জন্য অনেক অনেক দোআ রইলো! আল্লাহ আমাদের এই মামনিকে আদর্শ মুসলিমাহ হিসেবে কবুল করে নিন! আমিন!

আমার ছেলে মুয়াজের বয়স অতিক্রম করে একটু উপরে উঠেছে, একসময় ঐ বয়সে ছিলো! অনুভূতিটি বেশ আগের! দোআ করবেন ভাইয়া!

বারাকাল্লাহু ফিক!Good Luck
312931
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৩২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় আপুনি। Thumbs Up Bee Thumbs Upতোমার সব লিখা প্রাণস্পর্শী মাশাআল্লাহ্‌। Rose Thumbs Upকিন্তু এই লিখাটি আরও অসাধারণ লাগলো। ছোট ছোট সোনামণিদের জন্য অতি উত্তম একটি লিখা। অনেক অভিভাবক সন্তানদের জন্য একটি সুন্দর পাথেয় খুঁজে পাবে। Rose Thumbs Up Rose
তবে আমার কেন জানি মনে হল ড্যাশের জায়গাগুলো না রেখে দোয়াগুলো লিখে দিলে আরও পূর্ণাঙ্গ হতো। এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত ভাবনা যদিও! কিছু মনে করবে না আশাকরি Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up
গল্পাচ্ছলে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের দারুণ উপস্থাপনা। পড়ে ভীষণ আনন্দিত হলাম।
মূল্যবান লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর আপুনি। Rose Cheer Cheer Rose
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪০
253986
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ আপুনি!

আপু আমি এডিট করে দিবো ইনশা আল্লাহ! আপু আমি সবসময় আপানাদের কাছে পরামর্শ আশাকরি, পেলে খুশি হই! আমার লিখাকে তাৎপর্যময় করে তুলবে সুপরামর্শগুলি ইনশা আ্লাহ! কখনোই কৃপনতার ভূমিকায় আপনাকে অন্তত দেখতে চাই না আপু...

আপনার চমৎকার অনুভূতি এবং মন্তব্যে অনেক অনুপ্রানিত হলাম! বারাকাল্লাহু ফিক আপুনি! Good Luck Good Luck Good Luck
312945
০৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪১
253987
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! উপস্থিতি এবং রেডি মন্তব্যের জন্য গুনীভাইটিকে অনেক শুকরিয়া!
জাযাকিল্লাহু খাইর! Good Luck
312974
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৪৮
আবু জারীর লিখেছেন : অসাধারণ! চমৎকার শিক্ষামূলক গল্প।
ধন্যবাদ।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৩
253988
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!

আপনি পড়েছেন লিখাটি এতেই আমি অনেক খুশি হয়েছি! মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম ভাইয়া!


জাযাকাল্লাহু খাইরGood Luck Good Luck Good Luck
312978
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:০০
আফরা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আপু । শিক্ষনীয় পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু ।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৫
253989
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ আপুমনি! আপুকেও অনেক অনেক শুকরিয়া সময় করে পড়া এবং মন্তব্য করে অনুপ্রানিত করার জন্য! শুকরিয়া!

জাযাকিল্লাহু খাইর!Good Luck Good Luck Good Luck
312999
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৩৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩১
254083
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ।জাযাকাল্লাহু খাইরGood Luck
১০
313004
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:০১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
এখন শুধু খেলাধূলা আর আনন্দেই সময় কাটালে হবে না অভিভাবকের সুকোঠিন দায়িত্ব ও যে পালন করতে হবে ! সেই সুবাদেই খাতাটি কিনে এনেছিলেন তাহিরা! একটু একটু করে মাসনুন দোআ , ওযুর নিয়ম, সালাহ পরিচিতি, দৈনন্দিন জীবনের সুন্নাহ গুলো শিখার পাশাপাশি যদি লিখেও রাখে পড়াশোনায় আগ্রহ জন্মাবে !


এমন একটি সমাজ, এমন পরিবার, এমন বাবা মা প্রত্যেক ঘরে ঘরে থাকবে, তা দেখার জন্য চোখ লালায়িত হয়ে আছে, এখনো আসে নি,আসবে না কখনো এমনটাও মনে করি না, হয়তো আসবে একদিন, দেখব আর চক্ষু শীতল হবে।

গল্পে বাবা মায়ের সন্তানের প্রতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মৌলিক দায়িত্বগুলোর অন্যতম একটি দায়ত্ব খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

লিখাটি পোস্ট করার সাথে সাথেই আমি পাই, কিন্তু পারি নি সময় স্বল্পতার কারণে, আজ পড়ে নিলাম, আজই পরীক্ষা, পরেও পড়ে নিতে পারতাম, কিন্তু কেন জানি নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে, আমি লিখাটি কে এড়িয়ে যাচ্ছি বলে। তাই কিছুটা সময় হাতে রেখে পড়ে নিলাম।

বোন, আল্লাহ্‌ আপনাকে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন। আমিন
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৪
254084
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

পরীক্ষার ব্যস্ততার মাঝেও পোস্টটি পড়েই গিয়েছেন- ভালোলাগার বহিঃপ্রকাশে আন্তরিক শুকরিয়া জানাই! আশাকরি আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে!

মন্তব্যটি খুব উৎসাহের ঝর্নাধারা বইয়ে দিলো! জাযাকাল্লাহু খাইর শ্রদ্ধেয় গাজী সালাউদ্দিন ভাই!Good Luck
১১
313036
০৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
কাহাফ লিখেছেন :
মানব জীবনের গুরুত্বপু্র্ণ প্রথম পাঠশালা নিজের পরিবার! এখান থেকেই শেখার মুল ভিত্বি স্থাপিত হয়!
চমৎকার সাবলিলতায় সুন্দর বিষয় উপস্হাপন করায় জাযাকিল্লাহু খাইরান জানাই....
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
254087
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!
জ্বি ভাই, চমৎকার বলেছেন আপনি! মানব জীবনের গুরুত্বপু্র্ণ প্রথম পাঠশালা নিজের পরিবার! খুব ভালো লাগলো কথাটি!
আশাকরি আপনি আগের চাইতে ভালো আছেন! শুভকামনা ও দোআ রইলো!Good Luck
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:৫৮
254206
কাহাফ লিখেছেন :
আপনাদের দোয়ায় আলহামদু লিল্লাহ ভালো থাকার চেষ্টা করছি শ্রদ্ধেয়াজ্বী!
দোয়া চাই সব সময়! আল্লাহ আপনাদেরকেও ভাল রাখুন!!!
১২
313062
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:১২
আশাবাদী যুবক লিখেছেন : শিশু মস্তিস্ক হচ্ছে উর্বর জমি, এখানে যা চাষ করা হবে তার বাম্পার ফলন হয় ৷ তাই ইবাদতের প্রথম পাঠটা শিশু কালেই হওয়া উচিত ৷
আপনাকে মুবারকবাদ সুন্দর লেখার জন্য ৷
০৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
254089
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া!

আপনাকে আজ প্রথম অতোথি হিসেবে পেলাম! প্রোফাইল পিকে দুই বাঘ- বাঘিনীর কাছে ছোট মানবশিশুটিকে দেখে ভয়ে অন্তারাত্না কাঁপছে!
শুভকামনা ও দোআ রইলো!Good Luck
১৩
313110
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২০
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : কি আর যোগ করব।সুন্দর পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।।
০৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৩
254451
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!

পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File