"মধুর মাধুরী"
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ৩০ মার্চ, ২০১৫, ০৪:৩৮:৫৩ রাত
আমাদের সবার কাছেই মধু অত্যন্ত পরিচিত । খুঁজলে সবার বাসাতেই পাওয়া যাবে । কিন্তু অনেকেই হয়ত উদাসীন মধুর উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন একটু জেনে নেই - "মধুর মাধুরী"
আল কোরআনে একটি সুরা আছে যার নাম সুরা নাহল। নাহলের বাংলা অর্থ মৌমাছি। এটি ১৬ নম্বর সুরা। এই সুরাতে
আল্লাহ্ তায়ালা মধুর উপকারীতা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন-
يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
“মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের সুস্বাদু পানীয় বের হয়। এতে রয়েছে মানুষের জন্য আরোগ্য। নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে চিন্তাশীল জাতির
জন্য নির্দশন।” (সূরা নাহাল- ৬)
শুধু তাই নয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিনটি বস্তুর মধ্যে আরোগ্য রয়েছে: ১) মধু পানে ২) শিঙ্গা লাগানোতে এবং ৩)লোহা পুড়িয়ে তা দিয়ে দাগ লাগানো দ্বারা। তবে আমার উম্মতকে দাগ লাগাতে নিষেধ করছি। (বুখারী ও মুসলিম)
নবী করিম সা: আর বলেছেন, দু’টি আরোগ্য ব্যবহার করো; কুরআন এবং মধু ।(তিরমিজি, ইবনে মাজা, বায়হাকি)।
আসুন জানা যাক ১ চামচ মধুর উপকরীতা সম্বন্ধে মধু বিশেষজ্ঞগন কি বলেন-
১)মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট নামে এক ধরনের যৌগ।যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কাজ করে। এ যৈগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু চায়ের সাথে খেলে উপকার আছে। মধু ত্বকের মৃত চামড়া (কোষ)দুর করে ত্বককে করে আরো মসৃণ।
২)মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।এই জন্য কাটা, ক্ষত ও পুড়ে যাওয়া জায়গায় চিকিৎসার জন্য মধু ব্যবহার করা হয়।মধু ব্যবহারের ফলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায় এবং ক্ষত স্থান মসৃণ করে দেয়।
৩)মধুতে অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক আরএকটি উপাদান আছে যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। ত্বকে চর্মরোগের জন্য ক্ষত স্থানে নিয়মিত মধু লাগালে খুব দ্রুত নিরাময় হবে।
৪)মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ আছে । এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ত্ককে রক্ষা করে।মধু একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। ১ চামচ মধুর সাথে হালকা পানি মিশিয়ে রোদে পোড়া স্থানে লাগালে রোদে পোড়া দাড় দূর হবে।
৫)মধু শরীরের শক্তি সরবরাহ করে। কারণ মধুতে রয়েছে শুক্তি বর্ধক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু খান, দেখবেন আপনার দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর হবেও আপনাকে রাখবে এনার্জিতে ভরপুর।
৬)প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৭)মধুর ভিটামিন B1, B2, B3, B4, B6, আয়োডিন(I), দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৮)চায়ের সাথে বা হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
৯)প্রতিদিন মধু খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।
১০)মধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়।
আসুন নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করি! কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ি শিফা লাভ করি।
(টিপস গুলি কপিপেস্ট সংগৃহিত)
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৬ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জেনে আনন্দিতো হলাম আপনার খাদ্যতালিকায় মধুর স্থান আছে! ইটালিয়ানদের দেখেছি বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই মধু খায়! আমরা যখন জানি মধু খাওয়া সুন্নাহ তখন এটা শুধু খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ইবাদাতে পরিনত হয়! আলহামদুলিল্লাহ!
জাযাকাল্লাহুখাইর!
ইটালিয়ানদের দেখেছি বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই মধু খায়! আমরা যখন জানি মধু খাওয়া সুন্নাহ তখন এটা শুধু খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ইবাদাতে পরিনত হয়! আলহামদুলিল্লাহ!
অনুভূতি প্রকাশের জন্য শুকরিয়া!জাযাকাল্লাহুখাইর
ইটালিয়ানদের দেখেছি বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই মধু খায়! আমরা যখন জানি মধু খাওয়া সুন্নাহ তখন এটা শুধু খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ইবাদাতে পরিনত হয়! আলহামদুলিল্লাহ!
আমার পিচ্চি দুজন কিছুদিন আগেও মধু দেখে খেতে চাইতো না ! ওদের আড়ালে দুধ বা চায়ে মিলিয়ে দিয়ে অভ্যাস হয়েছে এখন!আলহামদুলিল্লাহ!
অনুভূতি প্রকাশের জন্য শুকরিয়া!জাযাকিল্লাহুখাইর! আপুকে নিয়মিত চাই!
কালোজিরা বেশি খাইতে পারি না মাঝে সাঝে খাওয়ার চেষ্টা করি ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।
জেনে আনন্দিতো হলাম তোমার খাদ্যতালিকায় মধুর স্থান আছে! ইটালিয়ানদের দেখেছি বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই মধু খায়! আমরা যখন জানি মধু খাওয়া সুন্নাহ তখন এটা শুধু খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ইবাদাতে পরিনত হয়! আলহামদুলিল্লাহ!
আমাকে এখানের একবোন কালিজিরা গুড়া করে দিয়েছেন,প্রতিদিন ভাতের সাথে একটু করে খাই!আলহামদুলিল্লাহ!
অনুভূতি প্রকাশের জন্য শুকরিয়া!জাযাকিল্লাহুখাইর!
আমরাও বাসার সকলেই এই মধু বন্ধুটির সান্নিধ্যেই থাকি আপু। জাজাকাল্লাহু খাইর।
সুন্দর পোষ্টির জন্য আমার দোয়া, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো তোমার জন্য।
আপু আপনার কমেন্ট পড়লে সবসময় মনে হয় আমার বড়বোন বুঝি খুব মায়া করে আদর করে দিলো! খুব আপন লাগে আলাহামদুলিল্লাহ!
জেনে আনন্দিতো হলাম আপনাদের খাদ্যতালিকায় মধুর স্থান আছে! ইটালিয়ানদের দেখেছি বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই মধু খায়! আমরা যখন জানি মধু খাওয়া সুন্নাহ তখন এটা শুধু খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং ইবাদাতে পরিনত হয়! আলহামদুলিল্লাহ!
এতো চমৎকারভাবে অনুভূতি প্রকাশের জন্য শুকরিয়া!বারাকাল্লাহু ফিক!
মিথ্যে কথা! আমার বাসায় নেই!
আমি চা খাইনা, অতএব এই উপফেশ আমার জন্য কাজে দিবে না।
গরমে বাসায় টেকা যাবে তো???? আমার বাসায় এসি নেই!
একজন ব্যাচেলর ছেলের পক্ষে কি এটা সম্ভব????? যবে আসবেন তিনি, তবে না হয়, টিপস্টা মানা যাবে।
দেন বেশি করে টিপস দেন, দিতেতো আর পয়সা লাগে না! তাও আবার করেছেন কপি পেস্ট! তাতে আমার সমস্যা নাই, কিন্তু মধু কেনার টাকা আপনাকেই বহন করতে হবে বলে দিলাম।
কমেন্ট পড়ছি আর হাসছি! মজার খুনসুটিমূলক কমেন্ট এর জন্য শুকরিয়া!
আমি প্রান উজাড় করে দোআ করি আমাদের ভাইটি একজন উত্তম আখলাকে পরিপূর্ন দ্বীনি জীবনসংগী পেয়ে যান, যে কিনা প্রতিদিন সকালে মধুমাখা হাসি দিয়ে চায়ে,গরম পানিতে, পানিতে , এক চামচ মধু খাইয়ে দিবে!
শুধু ১০ টা টিপস কপিপেস্ট! আর বাকি লিখা, কোরআনের আয়াত, হাদীস,পোস্ট, শিরোনাম সব কিন্তু বসে বসে কীবোর্ড দিয়ে লিখেছি হুহ্!
আমি দাওয়াত পেলে মধু নিয়ে আসব ইনশা আল্লাহ! শুকরিয়া ভাই!
ভাই-বোনদের বর্ণালী বাক্যালাপ মধুর মিষ্টতা ছাড়িয়ে গেছে-
আর এ লোভেই বিশেষ কিছু পোস্ট দেরী করে পড়ি
জাযাকুমুল্লাহ
আল্লাহুম্মা ঝিদনা মুহাব্বাতিনা লিল্লাহি ওয়া রাসূলিহ
ভাইয়া আপনাকে ব্লগে কিন্তু নিয়মিত আশাকরি! অনেকদিন পর আপনার উপস্থিতি সত্যি মধুর- আনন্দের!
বারাকাল্লাহু ফিক! শুভকামনা ও দোআ রইলো!
কতোওোওোওোওোওোওোওোওোওো দিন পর আপনি এলেন! সত্যি অনেক অনেক অনেক মিস করি আপনাকে ভীশন!
আশাকরি আপনার ব্যস্ততা কমেছে! তারপরেও অনুরোধ করবো আমাদের ভুলে না যাওয়ার জন্য!
জাযাকিল্লাহু খাইর আপুমনি!
সে আগের চাইতে অনেক বেশি ব্যস্ত! আর এখন শুধু ফেবুতেই লিখছে! তাই বলে কি আপনিও আমাদের ফেলে চলে যাবেন?????
আমার বান্ধবীর সাথে তো ব্লগে না হলেও ভাইবারে পরতিদিন কথা হয়! আপানকে তো কোথাও পাই না! প্লিজ আপু এভাবে ভুলে যাবেন না! পড়াশোআনর ব্যস্তা থাকলেও মাঝে মাঝে আসবেন!
শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পড়ার জন্য ভাইটিকে আন্তরিক শুকরিয়া! কোরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী বর্নিত শিফা গুলো থেকেই জেনো আমরা প্রতিষেধক গ্রহন করি! আমিন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
না আপু শুধু পরীক্ষা, কাজ, পড়াশুনা বলে না অসুস্থও থাকি মাঝে মাঝে। বোনদের এমন নিখাদ ভালবাসা কি ভুলে থাকা যায় আপু! আপনাদের সবার কথা সবসময় মনে হয় তাই আড্ডা দিতে চলে আসি.. অপরিচিত হয়েও এত আপন করে কথা বলেন সত্যি আপনারা অনেক উদার মনের ! দোয়া এবং ভালবাসা রইলো আপু আপনাদের সকলের জন্য। আমার জন্য ও দোয়া করবেন চেস্টা করব ইনশা আল্লাহ নিয়মিত থাকার
আমরা প্রায় আপনার কথা বলি! আপনার খুনসুটি, আনন্দ দেয়ার আন্তরিক প্রবনতা এখনো মন কাড়ে! আপু এত ওপেন জায়গা ব্লগ না হলে আপনার মেইল নাম্বার চাইতাম! একদিন সবাই মিলে কথা বলা যেতো!
যাই হোক আপু! আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন, সুন্দর অবস্হায় রাখুন! এই দোয়াও শুভ কামনা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন