প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন -শেষ পর্ব!
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২০ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৩৫:১২ রাত
প্রিয়জনেরা পাশে থাকলে পৃথিবীটা সত্যি অনেক সুন্দর লাগে! মুহূর্তগুলো আনন্দ বীনায় ভালোবাসার সুর তুলে যায়! পরিবারের সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাই এই নির্মল, অনাবিল আনন্দে কাটানো সময়গুলোকে মনের ফ্রেমে ভালোবাসা দিয়ে বন্দী করে রাখতে! ভালোলাগার পাশাপাশি ভয় ও হয় যদি এই আনন্দ বীনার সুর স্তব্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়! শুনেছি আনন্দের দুটি পাখা আছে তা যেকোনো মুহূর্তে উড়ে যেতে পারে!
আমাদের শৈশব অনেক শাষনে পরিবেস্টিত ছিল কিন্তু সেখানে আনন্দের কোন ঘাটতি ছিল না! আমরা বুঝে যেতাম আমাদের অন্যায় আচরন আমাদের আব্বা -আম্মাকে কষ্ট দিবে , উনারা ব্যথিত হবেন! কিছুটা বুঝ হওয়ার পর চেষ্টা করতাম এমন কোন আচরন আমাদের দ্বারা না ঘটুক যাতে উনারা মনোক্ষুন্ন হন! উনাদের খুশি রাখা, সন্তুষ্ট রাখার আপ্রান প্রচেষ্টা ছিল! উনাদের ভয় পেতাম এটা যেমন সত্যি উনাদের প্রতি যে ভালোবাসা ছিল এটাও সত্য! পরিবারের বড়দের আচরনে যদি কঠোরতা থাকতো তারপরেও বুঝে নিতাম এই কঠোরতার আড়ালে ভীশন রকমের ভালোবাসা লুকায়িত আছে!
পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তনের সফর আমার কাছে শুধু একটি সফর হয়েই থাকলো না বরং জীবনের এক বিরাট মূল্য উপলব্ধি করতে শিখলাম এই সফর থেকে!
নিজের সংসার জীবন শুরুর আগ পর্যন্ত আমরা সবাই বাবা-মায়ের সাথেই থাকি! কঠিন অনুশাষনে ঘেরা সেই জীবন কখনো আনন্দের কখনো বা বেদনার! জীবনের আজকের এই পর্যায়ে এসে সঠিক ভাবে অনুভব করতে পারছি, উনাদের শাষন ছিল বলেই, ইসলাম মেনে চলার ব্যাপারে কঠোরতা ছিল বলেই, আজ এতো দূর পৌঁছতে পেরেছি - আলহামদুলিল্লাহ! এখনো তো কতশত মানুষ পরিবার বিচ্ছিন্ন, বন্ধন হীন অসহায় দিনাতিপাত করছে! কত মানুষ জাহিলিয়াতের অন্ধকার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে! আমরাতো এখনো একসাথে ইসলামের রজ্জুকে সবাই মিলে আঁকড়ে ধরে আছি ,অসীম নিয়ামতে, অনাবিল আনন্দ উপভোগ করছি!
সবার সাথে কাটানো সময় গুলোতে মনের মাঝে বারবার একটা বিষয় উঁকি দিচ্ছিলো, একটা সময় আব্বা- আম্মাদের প্রতি ভয় কাজ করেছে সবচাইতে বেশি ! আজকে সেই জায়গাটা শুধুই ভালোবাসা দিয়ে পরিপূর্ন!
প্রতীক্ষিত এই প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন আমার মনের মাঝে আরো একটি গভীর শিক্ষা প্রোথিত করলো! এই শিক্ষাটি মনের মাঝে ধারন করতে না পারলে সত্যি আমি নিজেকে দূর্ভাগী মনে করতাম!
এই যে বহুদিন পর সফর করা, লাগেজ গুছানো, ইমিগ্রেশনের কঠিন ধাপগুলো পার করা, প্লেনে করে লম্বা সময় পার করা, ট্রানজিটে অপেক্ষা করা, অবশেষে পরিবার পরিজনদের কাছে একটি নিরাপদ আনন্দঘন স্থানে মিলিত হওয়া- সবকিছুর সাথে আমাদের পরকালীন প্রত্যাবর্তনের কি সুগভীর মিল ! সুবহানাল্লাহ!
প্রত্যেক জীবন্ত প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতেই হবে! এটা আমাদের সবার জানা! অপরিচিত একাকী কবরে সবাইকে যেতেই হবে সেখানে! সেই প্রত্যাবর্তন কি আমাদের নিকট এতোখানি প্রতীক্ষিত যেটা আমরা নিজ পরিবারের সাথে হলাম? আমি জানতাম আমরা আব্বা- আম্মা, ভাই-বোন, স্বজনরা সবাই আমার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে, জানতাম স্থানটি আমার জন্য নিরাপদ, সুখকর, আরামপ্রদ! আমি জানতাম আমার পরিবারের সবাই আমার প্রতি সন্তুষ্ট! কিছুদিনের জন্য পরিবারের নিকট বেড়াতে এসেছি, আবারো সফর করে নিজ সংসারেই ফিরে আসবো আমি!
কিন্তু সেই অনন্তকালের যে প্রত্যাবর্তন হবে সেখান থেকে তো ফিরে আসা সম্ভব নয়! সেই জায়গাটি কি আদৌ নিরাপদ, সুখকর, আরামপ্রদ? সেই জায়গার অধিবাসীরা কি আমার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন? সেই জায়গার প্রকৃত মালিক আল্লাহ সুবহানাহু তায়লা আমার উপর কি সন্তুষ্ট আছেন?
জাবির রাদিয়াল্লাহু তায়াল আনহু থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারনা পোষন না করে মৃত্যু বরণ না করে। [মুসলিম] এই হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহি) বলেছেন- মানুষ যখন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে তখন আল্লাহর প্রতি ভয় ও আশার কাছাকাছি থাকবে। তবে ভয়, আশার চাইতে বেশী হবে! এই আল্লাহর প্রতি ভয় ব্যক্তিকে ভালো কাজে অনুপ্রানীত করবে! আর মৃত্যুর সময় ভয়ের চাইতে আশা বেশী থাকবে! এই আশা তাকে আল্লাহর রহমতের কাছে থাকতে অনুপ্রানীত করবে!
ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালার সাথে যে সম্পর্ক সেটা যদি গভীর ভাবে পর্যালোচনা করি তাহলেই বুঝতে পারব আমাদের মনের প্রকৃত অবস্থা! দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কৃত কাজগুলোতে আমরা কতখানি আল্লাহ কে ভয় পেয়ে করি? আদৌ করি কি না?
ফজরের সালাতে সঠিক সময়ে ওঠা নিয়ে গড়িমসি করা, মিউজিক শোনা, সিনেমা দেখা, নন মাহরামদের সাথে পর্দা লংঘন করে সাক্ষাত করা, হারাম খাওয়া বা হারাম কোন বিষয় নির্বিঘ্নে করে যাওয়া, পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া, সম্পর্ক বিনষ্টকারী কাজে লিপ্ত থাকা ইত্যাদি নানানভাবে সামনে আসা পরিবেশে আমাদের অন্তরে যদি আল্লাহর প্রতি ভয় সক্রিয় এবং কার্যকর থাকে তাহলেই পারব মার আেই অন্যায় থেকে নিজেদের দূরে রাখতে! পক্ষান্তরে কেউ যদি মনে করে-
আজকে খুব ঘুম পাচ্ছে আরেকটু ঘুমাই, গানটা শুনতে ভালোই লাগছে আরেকটু শুনি, সিনেমাটা একেবারে জীবনের সাথে মিলে গেলো দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়, ক্লাস মেট বা সহকর্মী মহিলা বা পরুষ উনার সাথে একটু কথা না বললে, না মিশলে স্মার্টনেস থাকে না, বন্ধুদের সাথে এসেছি খেয়েই ফেলি একটু এটা সেটা, বাবা- মা খালি উপদেশ দেয় বাস্তবতা বুঝে না, আজকের যুগে বার্থডে না করলে, ম্যারেজ ডে না করলে চলে? আমার চাইতে অমুক খুব ভালো করে ফেললো সহ্য হচ্ছে না - (আমরা পানাহ চাই) -
এই রকম মানসিকতাকে প্রাধন্য দিয়ে যদি মনে করা হয় একটু করি একসময় আর করব না! সালাত ধরে ফেলবো, হজ্ব করবো! পাক্কা মুসলিম হয়ে যাবো! যদি ভাবা হয় আল্লাহ তো সেই ব্যাভিচারিনীকেও জান্নাত দিবেন শুধু পশুকে পানি খাওয়ানোর জন্য আমি না হয় শেষ বয়সে আরো ভালো ভালো কাজ করব! আর আমি তো অতো খারাপ না আমার মনে যথেষ্ট আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আছে, জানি আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেই উনি মাফ করে দিবেন! ব্যক্তির অবস্থা যদি এরকম হয় তাহলে বুঝতে হবে অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয় নেই ! এভাবে চলতে থাকলে এই ধরনের কর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মালাকাল মাউত আসলে তার পক্ষে কখনো সম্ভব হবে না আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা পোষন করা! কেননা তার চোখের সামনে ভেষে উঠবে কতোটা অবাধ্য ছিলো সে, কতো নির্দেশ অমান্য করে চলেছে, কানের মধ্যে হারাম সংগীতই শুনতে পাবে সে, অন্তরে দুনিয়াবী চিন্তাই করতে থাকবে! আফসোস করবে তার মাঝে সঠিক ভয় এতোদিন ছিলানা সেই কারনে ! সে দেখবে তার জন্য রয়েছে শাস্তির দুঃসংবাদ!
আমরা যদি জীবিত অবস্থায় আল্লাহর প্রতি ভয় রাখি, ভয় পেয়ে সমস্ত অবাধ্যতা থেকে নিজেদের দূরে রাখি মৃত্যুর সময় যখন মালাকাল মাউত আসবেন তখন , জীবনে আল্লাহর নির্দেশগুলো মেনে চলা কারনেই মুখ দিয়ে কালিমা আসবে, অন্তরে আল্লাহর প্রতি আশা পোষন করবে, আল্লাহর রহমতের সুসংবাদ পাবে! ব্যক্তি বুঝতে পারবে সারাজীবন আল্লাহকে ভয় পেয়ে বাধ্য মুসলিম হয়ে চলার চেষ্টা করেছে তাই আজকে তাঁর প্রভু তাঁর উপর সন্তুষ্ট! তাঁকে যে কবরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানের মালাইকাগন তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, সেই কবর তাঁর জন্য নিরাপদ, আরামপ্রদ, প্রশান্ত চিত্তে চিরনিদ্রার যাওয়ার স্থান!
যদিও জীবিত অবস্থায় আল্লাহকে ভয় পেয়ে চলার মাঝে অনেক প্রতিকূলতা আসবে, পদে পদে কঠিনতা বিরাজ করবে, কারাগারে বন্দীর মতোন লাগবে এটাইতো মুমিনের জীবন! দুনিয়ার জীবনে কষ্ট করে ইবাদতে লিপ্ত থাকলেই আখিরাতে অনাবিল প্রশান্তি লাভ করা যাবে!
যান্ত্রিক পাখির পেটে বসে আছি! সব প্রিয়জন দের ছেড়ে, সুখ স্মৃতি টুকু নিয়ে আবার বাড়ি ফেরা! কত কান্নাকাটি, কত মায়ামমতার কঠিন বিচ্ছেদ! কি করুন সী- অফ অধ্যায়! বিদায় জানাতে সবার এয়ারপোর্টে আসা!
হাজার হাজার মাইল ফিট উপরে যান্ত্রিক পাখি ক্রমাগত ছুটে চলছে! উড়ার গতির মাঝে দুটি ডানা ভারসাম্য বজায় রাখছে। সামনে মাথা পিছনে একটি লেজ ও আছে! ভাবছিলাম,
এই বিমান বনাম পাখির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বহু আগে ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহি বলেগেছেন -পাখির মাথা হলো আল্লাহর প্রতি মহববত, আর দুটি ডানা হলো ভয় ও আশা! কত চমৎকার ভাবে বলেছেন তিনি!
আজকে আমাদের মনে যদি শুধু ভয় থাকে তা একটি ডানা ভাংগা পাখির মতো যা তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে না, একই রকম আশার ব্যাপারেও! আবার আশা, ভয় দুটোই আছে কিন্তু মহব্বত নেই এই পাখির তো সঠিক গন্তব্যই জানা থাকবে না! সুতরাং মহব্বত, ভয় আর আশার মাঝে ভারসাম্য থাকাটা খুবি জরুরি!
সুন্দর এই ভূবন থেকে সকল সুন্দর মায়ার বন্ধন ছেড়ে যেতেই হবে, মৃত্যুর করাল কবল থেকে কেউ মুক্তি পাব না আর তাই এই যে মুহূর্তটুকু বেঁচে আছি, শ্বাস নিচ্ছি এখনো সময় আছে, নিজেকে পরিবর্তন করার! সঠিক ভাবে আল্লাহকে মেনে চলার , অনুগত বান্দা হওয়ার! তবেই সেই পরকালীন প্রত্যাবর্তন হবে আনন্দময়, সন্তুষ্টজনক, চির সুখের, প্রত্যাশীত জান্নাতের!
বিষয়: বিবিধ
১১১৭ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
(((পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তনের সফর আমার কাছে শুধু একটি সফর হয়েই থাকলো না বরং জীবনের এক বিরাট মূল্য উপলব্ধি করতে শিখলাম এই সফর থেকে))
এটাই নিয়ম বুদ্ধিমানেরা দেখা শুনা ও করা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে..!
আপনিও তার ব্যতিক্রম নয়, আপনি শুধু ব্যতিক্রম এই জায়গায় আপনার অর্জন গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ব্লগ প্লাটফর্মের মাধ্যমে।
ধন্যবাদ আপনার কারনে আমরাও কিছু অর্জন করলাম।
শ্রদ্ধেয় ভাইয়া আপনাকে আন্তরিক শুকরিয়া জানাই উৎসাহ মূলক মন্তব্য প্রদান করে অনুপ্রানীত করার জন্য! জাযাকাল্লাহু খাইর!
যেখানে আমরা চিরদিনের জন্য প্রত্যাবর্তন করব সেখানকার গৃহস্বামীর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমাদের স্বচেষ্ট হতে হবে। যদি সেই গৃহস্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি বলে নিজেরা কনফিডেন্ট হই তাহলে সেই মাহাপ্রয়নেও চিন্তিত হতে হবেনা।
ধন্যবাদ আপু।
এই কনফিডন্সটাই যে এখনো তৈরী হয় নি ! এটাই যে বড় ভয়! দোআ রাখবেন আমাদের জন্য!
অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে! জাযাকাল্লাহু খাইর!
সত্যিই অনেক মিল রয়েছে।
অবিশ্বাস্য ব্যপার। আপনি সফর কাহিনী নিয়ে লিখতে গিয়ে সমস্ত লিখা জুড়ে কতইনা চমৎকারভাবে মৃত্যুর কথা, আল্লাহর ভয়ের কথা, সময় গেলে সাধন হবে না, সময় থাকতেই কাজ করার মানুসিকতা, সব বুঝিয়ে দিলেন, মনে করিয়ে দিলেন। আপনি বুঝাতে চেয়েছেন, পাঠকের কাছে যা কামনা করেছেন, সবার মাঝে সে বোধোদয় হোক এই কামনা।
পরকালর লাগেজটাই যে গুছানো হলো না ভাই! শুধু লিখার মাঝেই সীমাবদ্ধ না থেকে আমলেও যেনো এর প্রভাব পড়ে সেটাই কাম্য এবং দোআ!
চমৎকার মন্তব্যটির মাধয়ম অনুপ্রানঈত করার জন্য শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর
পরকালর লাগেজটাই যে গুছানো হলো না ভাই! শুধু লিখার মাঝেই সীমাবদ্ধ না থেকে আমলেও যেনো এর প্রভাব পড়ে সেটাই কাম্য এবং দোআ!
চমৎকার মন্তব্যটির মাধ্যমে অনুপ্রানীত করার জন্য শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহু খাইর
সুন্দর এই ভূবন থেকে সকল সুন্দর মায়ার বন্ধন ছেড়ে যেতেই হবে, মৃত্যুর করাল কবল থেকে কেউ মুক্তি পাব না আর তাই এই যে মুহূর্তটুকু বেঁচে আছি, শ্বাস নিচ্ছি এখনো সময় আছে, নিজেকে পরিবর্তন করার! সঠিক ভাবে আল্লাহকে মেনে চলার , অনুগত বান্দা হওয়ার! তবেই সেই পরকালীন প্রত্যাবর্তন হবে আনন্দময়, সন্তুষ্টজনক, চির সুখের, প্রত্যাশীত জান্নাতের!
ধন্যবাদ আপু ।
অনক অনেক শুকরিয়া তোমাকে আপু ! জাযাকিল্লাহু খাইর
নিরাপদে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছেছেন, সময়গুলো উপভোগ করেছেন এবং আমাদের সবাইকে আপনার সাথে রেখেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা।
আজকের লিখাটি শুধু একটি সফরের গল্পই নয় প্রত্যেকের জন্য শিক্ষণীয় বটে! ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনার পরিবারের সকলের প্রতি ছালাম এবং আপনার জন্য রইলো প্রাণভরা অনিঃশেষ শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
পরকালর লাগেজ গুছানোর চিন্তা থেকে বহু আগের অনুভূতি দিয়ে এই লিখাটা লিখেছি আপু! আপনার অনিন্দ্য সুন্দর মন্তবয় এবং দোআয় আমীন! বারাকাল্লাহু ফিক!
নিজের সংসার জীবন শুরুর আগ পর্যন্ত আমরা সবাই বাবা-মায়ের সাথেই থাকি! কঠিন অনুশাষনে ঘেরা সেই জীবন কখনো আনন্দের কখনো বা বেদনার! জীবনের আজকের এই পর্যায়ে এসে সঠিক ভাবে অনুভব করতে পারছি, উনাদের শাষন ছিল বলেই, ইসলাম মেনে চলার ব্যাপারে কঠোরতা ছিল বলেই, আজ এতো দূর পৌঁছতে পেরেছি - আলহামদুলিল্লাহ! এখনো তো কতশত মানুষ পরিবার বিচ্ছিন্ন, বন্ধন হীন অসহায় দিনাতিপাত করছে! কত মানুষ জাহিলিয়াতের অন্ধকার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে! আমরাতো এখনো একসাথে ইসলামের রজ্জুকে সবাই মিলে আঁকড়ে ধরে আছি ,অসীম নিয়ামতে, অনাবিল আনন্দ উপভোগ করছি!
কি চমৎকার করেই ফুটিয়ে তুলেছেন। আল্লাহ প্রতিটি মুসলিম পরিবারকে কুরআনের শিক্ষায় আলোকিত করুন।
অসাধারন বিষয়টি তুলে ধরলেন। আপনার উপলব্ধীর সাথে সহমত। আল্লাহ যেন আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত তার অনুগত বান্দা হিসেবে কবুল করেন। জাজাকাল্লাহ খায়রান
যেখানে আমরা চিরদিনের জন্য প্রত্যাবর্তন করব সেখানকার গৃহস্বামীর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমাদের স্বচেষ্ট হতে হবে। যদি সেই গৃহস্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি বলে নিজেরা কনফিডেন্ট হই তাহলে সেই মাহাপ্রয়নেও চিন্তিত হতে হবেনা।
আবু জারীর ভাইয়ার সাথে সহমত প্রকাশ করছি! ধন্যবাদ প্রিয় আপুনি!
মন্তব্য করতে লগইন করুন