প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন -প্রথম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২০ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৪০:৩২ রাত
সুদীর্ঘ পাঁচটি বছর পর স্বদেশে স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়া ! যান্ত্রিক পাখির পেটের বসে সাদা থোকা থোকা মেঘের ভিতর দিয়ে ভেসে চলছি আর আনমনে হারানো সেই সোনালী স্মৃতিগাঁথায় নিজেকে খুঁজে ফিরছি! আর আট ঘন্টা পর দেখা হবে আব্বা-আম্মা, আপা- ভাইয়া, আর স্বজনদের সাথে! ভাবতেই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ছি!
আব্বার কথা মনের পর্দায় ভেসে আসে! আমার আব্বার জোড়া ভ্রু! অনেকটা রাজা বাদশাহদের টাইপ! সমস্ত মুখ জুড়ে লম্বা ঘন দাড়ি! যখন হাসেন সেই হাসিতে অনেক মায়াঝরে! কিন্তু যখন রাগান্বিত থাকেন, এহেম! আব্বার রাগান্বিত চেহারা ভয়ংকর অগ্নিমূর্তি ধারন করতো! আমার আব্বার হাঁচির আওয়াজ এক মাইল দূর থেকেই শোনা যেতো!
আমরা সবাই আব্বাকে ভীশন ভয় পেতাম! আমার আব্বার কাছে কোন ধরনের অনিয়ম গ্রহনযোগ্য ছিলনা! সেটা দুনিয়াবী কি বা আখিরাতী হোক!
মজার ব্যাপার হলো, আমরা সবাই আম্মাকে ঘিরে সবসময় গল্প, আড্ডা , কোথায় কি হলো এগুলো আলাপ আলোচনা করতাম! আমাদের সবার সবধরনের সমস্যা আম্মার সাথেই শেয়ার করা হতো! আম্মাকেই মনখুলে আমরা সবকিছু বলতে পারতাম! প্রায় এই সমাবেশ শুরু করতাম ভাইবোনরা মিলে আব্বা- আম্মার বিছানায় শুয়ে! আম্মা হয়তো মাগরিবের সালাত আর তিলাওয়াত করে একটু কাত হয়েছেন, ব্যস আমরাও আম্মার একজন ডানে, একজন বামে, কেউ মাথার কাছে, কেউ পায়ের কাছে , কেউ ধাক্কাধাক্কা করে সরিয়ে জটলা বেঁধে গল্প শুরু করতাম! আম্মা গল্পের মাঝে প্রায় থামিয়ে বলতেন, এবার হয়েছে গিয়ে যার যার পড়ায় বসো! আমরা যাই যাচ্ছি করতে করতে থাকতাম!
আমাদের বাসার বাউন্ডারি দিয়ে ঢুকতে যে লোহার গেট আছে, এটা দিয়ে কেউ ঢুকলেই ঢং করে আওয়াজ হতো! প্রায় আমরা গল্পে মশগুল আর এই ঢং শব্দ যেই না শুনতাম উঠে যে যার মতো লম্ফ ঝম্প করে সোজা পড়ার টেবিল! শুধু তাই না মুখস্থ বিদ্যা স্টকে যা থাকতো সব গড়গড় করে ছাড়া শুরু করে দিতাম যেনো আব্বা বুঝতে (?) পারেন আমরা এতোক্ষন বসে পড়াশোনাই করছিলাম! ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাষ মোচড় দিয়ে বুক চিরে বেড়িয়ে আসে এখন!
আমার মা! ভীশন পরহেজগার একজন মানুষ! এতো পরিমানে আমল করতেন আর আল্লাহ ভীতি উনার মাঝে তা আমি খুব কম মানুষের মধ্যে দেখেছি! আম্মার প্রতিটা কাজে তাসবিহ থাকতো! সকালে রুটি বানাতেন মুখস্থ ইয়াসীন সূরা পড়তেন! তরকারি কাটছেন, ঘর গুছাচ্ছেন, রান্না করছেন সবসময় যিকিরে থাকতেন! একমাত্র শখ ছিলো তিলাওয়াত আর বাগান করা! আমি তখন কতো ছোট তখনি আমার আম্মার কোরআনের দুই তৃতীয়াংশ মুখস্থ ছিলো! তখনো আম্মার তিলাওয়াত একেবার সহীহ! বিভিন্ন মাসায়েলা-মাসনুন দোআ গুলি মায়ের মুখে মুখেই শিখেছি আমরা!
মায়ের হাতে অনেক ফলন হতো! আমাদের বাসার চারপাশে নারকেল, আম, কাঁঠাল, লেবু, আমড়া, পেয়ারা, জাম,ডালিম সব গাছ মা নিজের হাতে লাগিয়েছেন যা আজো ফলদার বৃক্ষ! আমার সবচাইতে প্রিয় ছিলো পেয়ারা! নিজেই গাছে উঠে কচকচ পেয়ারা খেতাম!
আম্মা সহজেই মানুষকে খুব বিশ্বাস করতেন! যে সমস্ত মহিলারা ভিক্ষা করতে আসতো তাদেরকে আম্মা সবসময় দাওয়াত দিতো নামাযের আর পর্দার! এমন অনেক হয়েছে কেউ বলেছে বুবু, নামাজের, পর্দার ভালো কাপড় নেই! সেরেছে আলমারি থেকে নতুন শাড়ি, সালোয়ার কামিজ দিয়ে দিতো সাথে সাথে!
একবার আম্মার এক কানের দুল হারিয়ে গেলো! মহিলা ভিক্ষুক সেটা দেখে জিজ্ঞাসা করলো, বুবু আপনার কানের দুল নেই কেন? আম্মা জবাবে বললেন হারিয়ে গেছে আর খুঁজে পাইনি! সময় করে আর বানাতেও নিতে পারছি না! ভিক্ষুক বললো আমাকে দেন! আমিতো স্বর্নকারের সামনে দিয়েই যাই! আপনাকে বানিয়ে এনে দিব! আমার আম্মা কানের দুল সহ টাকা দিয়ে দিলেন সেই ভিক্ষুককে! দিন যায়, সপ্তাহ যায় ভিক্ষুক তো আর আসে না! আম্মা আমাদের সবাইকে বললেন! আমরা সবাই বললাম মা তুমি ঐ ভিক্ষুক কে কিভাবে এতো বিশ্বাস করলা? মায়ের উত্তর - মুসলিম তো ভেবেছিলাম ধোঁকা দিবেনা আমার সাথে এতোদিনের পরিচয় ছিলো, আমাকে বোন ডেকেছিলো! আমার মায়ের এতো পরিমানে সহজ সরলতা ছিলো ! সবাইকে ভালো জানতে চাইতেন! বে -নামাযি,বেপর্দায় থাকবে কেউ উনার মানতেই কষ্ট হতো সেটা! সবার জন্য দোআ করতেন! কঠোর পরিশ্রমী ছেলেন! সংগ্রামী নারী ছিলেন একজন!
আমার কথা ভেবে ভেবে মা এখন আর আমার প্রিয় কোন জিনিষ খেতে পারেন না! যখন পেয়ারার মৌসুম আসে আমার মা শুধু চোখের পানি ফেলেন! আফসোস করেন! পেয়ারা গাছে তো পেয়ারা আছে কিন্তু ছোট মেয়েটাই কাছে নেই! আমি সবসময় বলি মা, আমাকে তোমার যা খাওয়াতে ইচ্ছে করবে এলাকার গরীবদের তা খাইয়ে দিও! যদিও এটা মা এমনিতেই করে থাকেন! কতদিন পর আমার মায়ের সাথে দেখা হবে! ভাবতেই দু -চোখ জুড়ে অঝোরে পানি আসতে লাগলো!
আমার বড় বোন! তার মতো মানুষ হয় না! নিজের উপর দিয়ে শত কষ্ট গেলেও কখনো কাউকে বুঝতে দিতে চাইতো না! নিজের চাইতে আমাদের নিয়ে ভাবতো সবসময়! আপার রান্না আমরা সবসময় খুব পছন্দ করতাম! তাই আপা যাই রান্না করতেন বাসায় আসার সময় তা সাথে করে নিয়ে আসতেন! যেহেতু আপার বাসা আমাদের বাসার কাছেই ছিলো! যখনি মন চাইতো সাথে সাথে চলে আসতো! এজন্য মাঝে মাঝে দুলাভাই বকাঝকা করতেন! আব্বার কাছে বিচার দিতেন! আমার আপাকে অনেক বোঝালেও একদিন দুই দিন -তারপর ঠিক চলে আসতো! আপা, আমাদের জন্য এক অকৃত্রিম ভালোবাসা, এক নিবিড় মায়াবী ছায়াবৃক্ষ !
আমার বড় ভাই! এতো কড়া ছিলেন! ভাইয়া চাইতেন আমরা ফজরের সালাত একদম মসজিদ টাইমে পড়ি! একটু দেরি করে পড়ব সেটা ভীশন অপছন্দ করতেন! উনি যখন ভোরে মসজিদে যেতেন তখন প্রচন্ড শীতেও সিলিং ফ্যান ফুল স্পিডে ছেড়ে দিতনে, গায়ের থেকে কম্বল নিয়ে দূরে টেবিলে আর মশারি খুলে তারপর চলে যেতেন! একদিকে ঠান্ডা বাতাস, প্রচন্ড শীত আর যন্ত্রনাদায়ক মশার কামড়ে আমাদের কারো ঐ সময় আর ঘুমাতে হতো না! সালাত আদায় এক্কেবারে সময়মতো করা হতো! ভাইয়ার এরকম শাষন ছিলো বলেই হয়তো আমাদর ইসলামের পথে চলা আজ এতো সহজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!
মেঝ ভাই! পুলিশ ইন্সপেকটার টাইপ মানুষ! উনি জানতেন আমার লুকিয়ে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস ছিলো! স্কুল থেকে আসা মাত্র সে আমার ব্যাগ হামলায় লিপ্ত হতো! আর যেই না বই পেতো অমনি আমার চোখের সামনে দয়ামায়াহীন ভিলেনের মতোন একটা একটা করে গল্পের বইয়ের পৃষ্ঠা ছিড়তো! আমার চোখে তখন শ্রাবনের ঝর ঝর বর্ষনে বন্যা বইতো! ভাবতেই মনের অজান্তে একটু খানি চোখে পানি চলে আসলো আজ আবারো!
তারপরে আমার দুই ভাই! আমরা মোটামুটি পিঠাপিঠি ছিলাম ! তাই ভালো আর মন্দ যাই করতাম সব একসাথে করতাম! যখনি শাস্তির সন্মুখীন হতে হতো একসাথে শাস্তি পেতাম! আহা সেই মায়াবী শৈশব, দুরন্ত কৈশোর সব ছাড়িয়ে আজ আমরা সবাই কত বড় হয়ে গেছি! পাঁচ বছরে সবাই নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়ে গেছে, অনেক পরিবর্তন এসেছে! উন্মুখ হয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি কখন আবার সব্বাই একসাথে হবো! যান্ত্রিক পাখিটা এতো দ্রুত উড়ে চলছে তারপরেও মনে হচ্ছে সময় বুঝি থেমেই আছে! একেই বলে অপেক্ষার আর তর সইছে না!
অবশেষে পাখি জমীনে এসে নামলো! এক অদ্ভুত শিহরন দেহ মনে ! আনন্দাশ্রু আর আবেগাপ্লুত হয়ে আমি প্রায় কাঁপছিলাম! আমার মনে হচ্ছিলো এই তো আর কয়েকটা মিনিট! তারপরেই তো প্রতীক্ষার স্বজনদের আকাংখিত সাক্ষাত মিলছে ইনশা আল্লাহ...
আমরা নামলাম, লাগেজ নিলাম! ট্রলির এতো ভার আমি ঠিকভাবে ঠেলতেও পারছিলাম না! উল্টো ট্রলিই আমকে এদিক সেদিক ঢেলছিলো!
সোজা লবি পার হয়ে ধীর পায়ে আমরা সামনে হাঁটছি! চোখদুটি আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যদের খুঁজছে! যেখানে অসংখ্য মানুষ সবার প্রিয়জনদের জন্য অপেক্ষা করছে তাদের মধে সবার প্রথমে আমার বড় ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে!
আমিতো নিকাব করা ছিলাম! তারপরেও আমার ভাইয়ার আমাকে চিনতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয়নি! সবার সামনে ভাইয়া দু হাত বাড়িয়ে আমার ছেলে আর মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন! আমাকেও এককোনে সাথে নিলেন! একটু সামনে গিয়ে দেখি আমার বাকি তিন ভাই! তিন জোড়া হাত উঁচু হয়ে ছিলো ছোট বোনকে জড়িয়ে ধরার জন্য! আচ্ছা এতোদিন পর সবাইকে দেখে খুশি হওয়ার বদলে আমরা সবাই কেনো জানি কান্না করলাম! আনন্দাশ্রুরা সেখানে ঢল নামিয়েছিলো অথৈ!
ভেবেছি আব্বা হয়তো অসুস্থ তাই আসেন নি! একটু যেতেই দেখি গাড়ির পাশে আব্বা অপেক্ষমান ! আব্বাকে দেখেই বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো আমার! পাঁচ বছরে বয়সের এতোটা ছাপ পড়বে কল্পনায় ও আনতে পারিনি! সেই যুগল ভ্রু, কাঁচা ঘন দাড়ি সব সাদা বর্ন ধারন করেছে! ভীশন রকম ক্লান্তির ছাপ সংগ্রামী মুখখানি তে!
সবাই মিলে রওনা হলাম বাসার উদ্দেশ্যে! আমার মনপ্রান তখনো মায়ের সাথে দেখা করার জণ্য অস্থির হয়ে আছে! আট- দশ ঘন্টার সফর শেষ করে ফেলেছি কিন্তু এই এক ঘন্টার পথ মনে হচ্ছিলো ফুরোচ্ছিলো না!
মাইক্রো ঠিকভাবে থামেও নি! দরজা খুলে দিলাম দৌড়! আমার মা দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন! সোজা মায়ের বুকে ঝাপিয়ে পড়লাম! চিৎকার করে কিছুক্ষন মা মা মা বলে অনেক তৃপ্তির সাথে বহুদিন পর মাকে ডাকলাম!
আমরা দুই বোন, চার ভাই আম্মা- আব্বা সবাই একসাথে পাঁচ বছর পর খেতে বসলাম!
খাওয়া দাওয়ার পর সবাই সেই বিছানায়! বলাবাহুল্য আজ আম্মা আব্বা মাঝাখানে, আমরা সবাই চারপাশে জটলা হয়ে ঘিরে আছি! মায়ের ঘ্রান,কোমল স্পর্ষ কতোদিন পর সেই আঁচলে মুখ রাখা! পাশে আব্বা! আজ আর ভয় নেই পড়তে বসা নিয়ে ! আমরা সব ভাই বোন, আমাদের বাচ্চারা একসাথে মধুর আনন্দে অবগাহন করছি! আমাদের সেই বাসা, যেখানে আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া! বাসার প্রতিটি ইটে, প্রতিটি দেয়ালে, আকাশে বাতাসে সবখানে আমাদের আনন্দ উল্লাসের ধ্বনি! আলআহমদুলিল্লাহ! ইয়া রব! আপনি আমাদের প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন কে সফল করেছেন! আলহামদুলিল্লাহ! আমরা আপনার উপর সন্তুষ্ট! আপনিও আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান প্রভু! আলহামদুলিল্লাহ.....
বিষয়: বিবিধ
১২২০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সময় নিয়ে পড়া এবং প্রথমে মন্তব্য করে অনুপ্রানীত করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! আপনাদের জন্য শুভকামনা ও দোআ রইলো!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
দেশের দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এইবার একটু দেরি করে বাড়ি যাই, প্রতিদিন ফোনে কথা বলার সময় কখন আসব, আমাকে ছাড়া খেতে পারে না, গাছের বড়ই, পেয়ারা, জাম্বুরা, শীতকালীন পিঠা, সব তিনি একা খাচ্ছেন, আমি ম্যাচ বাড়িতে কি না কি খাচ্ছি, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ঠিক আমিও তখন আপনার মত করেই বলতাম।
এক নিঃশ্বাসে লিখাটি পড়ে নিলাম, আপনার উপস্থাপনা নিয়ে নতুন কিছু বলা হবে বাহুল্যতা। স্মৃতি নিয়ে লিখার মজাই আলাদা, যদি তার উপস্থাপন হৃদয়স্পর্শী হয়, আপনার সৃতিচারণ আমার হৃদয়কে দারুণভাবে স্পর্শ করেছে!
আপনার বড় ভাইয়াকে আল্লাহ উত্তম জাযায় পরিপূর্ণ করুন। আমার বাবা কোন মাদ্রাসায় পড়েন নি, তবে নামাজ রোজার ব্যপারে ছিলেন অত্যন্ত কঠোর, মা ও ঠিক তাই, তিনি এক ক্লাস পাস, তাতে কি, সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করতে উনাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বাবা নামাজ নিয়ে হেলাফেলা সহ্য করতেন না, কখনো যদি জামাত মিস করে ফেলতাম ইচ্ছায়, বেশির ভাগ সময় গাফলতি করে, তখন হাজারো প্রশ্নের সম্মুখী হতে হত। এই তো গেল ছোট থেকে কৈশরের কথা, যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হই, তখন ফজরের নামাজ মিস করলে ঘরে মায়ের সাথে প্রচন্ড রেগে যেতেন, কেন নামাজ পড়ি নি, মা বলতো, "বড় হয়েছে, মাঝে মাঝে তাদের সমস্যা হতে পারে না?" বাবা, বলতেন তাতে কি! পবিত্র হয়ে নিলেই পারে, এই জন্যতো আল্লাহ নামাজ মাপ দেন নি! সত্যিইতো! এমন বাবা ক'জনার হয়য়। আপনার বাবা ভাই যদি কঠোর না হতেন, তাহলে আজ আপনার কাজে কর্মে এতোটা আসত না।
সন্তানরা মায়ের প্রতি অনুকরণপ্রিয়, তাই একজন একজন আদর্শ মায়ের সাহচর্য একজন আদর্শ সন্তানই উপহার দেয় এই জগত কে। আপ্নারা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জেনে অত্যাধিক খুশি হলাম, আপনি নিকাব পড়েন, এই জিনিসটা আমার কত যে প্রিয় বলে বুঝাতে পারব না। বোন, সারাজীবন এইভাবেই থাকুন, আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অবিরত থাকবে।
আপনার ৫বছর শেষে মিলন, বাবার গাম্ভীর্যতা কে দূরে ঠেলে দিয়েছে সবাইকে খুব কাছাকাছি, পাশাপাশি করে দিয়েছে। এমনি হয়। এক সময় বাবার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না, কোন দাবী থাকলে তাও না। সবকিছুতে মায়ের কাছে চাইতাম, মা বাবার কাছে বলতেন। আজ দূরে থাকি বলে, খুব অনায়াসে কথা বলতে পারি, বাবাও কাছে আসতে, দুচারটা গল্প বলতে উসখুস করেন।
আর না, আপনার লিখাটি এতো মনে ধরেছে যে, আমার হাত থামছেই না! সরি! এতো বড় নিশ্চয় বিরক্তি ঠেকবে আপনার কাছে। কিন্তু কি করব, দোষতো আপনারই! এমন লিখা আমি নস্টালজিক যে না পড়ে থাকতে পারি না!
সময় সুযোগ হলে আমার নিচের লিখাটি পরে আসতে পারেন। জাযাকাল্লাহু খাইর।
Click this link
আপনার মন্তব্য পড়তে গিয়ে আবারো শৈশবে উঁকি দিয়ে এলাম! আমাদর সবার জন্য দোআর আবদন রইলো! আপনার লম্বা মন্তব্য পড়ে সত্যি আমি আন্তরিক ভাবেই আনন্দে আপ্লুত হয়েছি! আমি সময় করে আপনার লিংকে বেড়িয়ে আসছি ইনশা আল্লাহ!
বারাকাল্লাহু ফিক!
আশা করি দেশে ভালই কাটছেন মায়ের সান্নিধ্যে
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবেন আমাদের জন্য! জাযাকাল্লাহু খাইর!
হাসি আর আনন্দে কাটুক আপনার দিনগুলি-এই শুভকামনা রইল।
অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পড়তে পরে খুব ভালো লাগছে! সময় করে পড়েছেন এবং অনুপ্রানীত করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবেন!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবেন আমাদের জন্য! জাযাকাল্লাহু খাইর
আপনার আম্মার জন্যে দোয়া রইলো।
অামি সরস মন্তব্য করতে এসে শেষ পর্যন্ত পড়লাম আর আমারও মায়ের কথা,আপনজনদের কথা মনে পড়ল। আপনার সেই সাক্ষাতের মুহুত্যের আনন্দের কথা জেনে খুব ভাল লাগল। আপনার আপনদের সাথে কিছুদিন জান্নাতি সুখে থাকুন।
আপনার আন্তরিক দোআয় আমীন!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবেন!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবেন আমাদের জন্য! জাযাকাল্লাহু খাইর
ওমা গো কি সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন আপু ।আমার এখনি দেশে যেতে ইচ্ছা করছে ।
অনেকগুলো ভাই বোন হলে অনেক মজা তাই না আপু ।আমি তবু বুঝিনা মানুষ কেন বেশি বাচ্চা চায় না ।
ধন্যবাদ আপু ।
তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমিও এত্তোগুলো আনন্দ পেলাম!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবে!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবে আমাদের জন্য! জাযাকিল্লাহু খাইর !
অনেক অনেক দোআ ও শুভকামনা রইলো!
শ্রদ্ধেয় ভাইয়া, আপনার নজর থেকে কিছুই এড়ায়নি তা আপনার মূল্যবান কমেন্ট পড়েই বুঝতে পারছি! এতো যত্ন করে পড়েছেন এবং অনুপ্রানীত করে কমেন্ট করেছেন শুকরিয়া!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবেন!
অনেক অনেক দোআ ও শুভকামনা রইলো
দেশে কেমন সময় কাটাচ্ছেন তা জানাবেন অচিরেই আমরাও আপনার সেই আনন্দের শেয়ার হতে চাই! আল্লাহ সমস্ত কল্যাণ গুলো আপনাকে ও আপনার পরিবার সহ সকল পরিবারে দান করুন! আমিন ছুম্মা আমিন!
আপু! আমার এখন খুবি লজ্জা লাগছে ! সবাইকে আমি জবাব দিচ্ছি!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবেন!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবে আমাদের জন্য! জাযাকিল্লাহু খাইর
"আমাদের সেই বাসা, যেখানে আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া! বাসার প্রতিটি ইটে, প্রতিটি দেয়ালে, আকাশে বাতাসে সবখানে আমাদের আনন্দ উল্লাসের ধ্বনি!" লাইনটা পড়ে চোখে পানি চলে আসল। আল্লাহ তোমাদের পরিবারকে মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক করুক। আমীন ইয়া রব।
তোমার কমেন্ট পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো! ফয়সাল ভাইয়া এবং তোমার জন্য অনেক দোআ ও শুভকামনা রইলো!
চমৎকার , মন ছুঁয়ে যাওয়া দোআয় আমীন!
জাযাকাল্লাহু খাইর ভাইয়া!
আসলে উপরের স্মৃতিচারন এখন থেকে তিন পাঁচ বছর আগের! আমার প্রথমবার দেশে যাওয়ার সময়ের সুপ্ত অনুভূতি এতোদিনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উন্মুক্ত করলাম! দ্বিতীয় পর্বে একটু ঘুরে আসলে আশাকরি বুঝতে পারবেন!
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য যেতে ভয় হচ্ছে! দোআ করবেন আমাদের জন্য!বারাকাল্লাহু ফিক!
মন্তব্য করতে লগইন করুন