জ্ঞানোসমুদ্র তটে কুঁড়িয়ে পাওয়া নুড়ি...
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৫ মার্চ, ২০১৫, ১২:৫৯:৩৫ রাত
ঘোর অমানিশাচ্ছন্ন আঁধারে যখন পৃথিবী ছেঁয়েছিলো, মহান মহিমায় বিজ্ঞানময় সত্ত্বা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই ধরনীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসুল হিসেবে নির্বাচিত করলেন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য! এক অমীয় ঐশী বানী উপহার পেলো গোটা মানবজাতি !আঁধারাচ্ছন্ন কালো ধোয়া দূরীভূত করতে, সকল গ্লানি আর অজ্ঞতা দূর করতে সর্বপ্রথম এই ধরার বুকে যে ঐশ্বরিক বানীর আহবান এসে ধরনীকে আলোকিত করে তুলছিলো তা হলো "ইকরা' "। এই বানী ছিলো প্রদীপ্ত প্রদীপ অগ্নি শিখা সমতুল্য, যার আলো মূল আঁধার থেকে চর্তুদ্দিকে বিচ্ছুরিত হয়ে আরব থেকে ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে হৃদয়ে , গোত্র থেকে জাতিতে , জাতি থেকে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করতে সক্ষম হয়েছিলো!
অন্যান্য সকল ধর্ম এবং জাতির মধ্যে আমাদের স্বতন্ত্র এবং অাভিজত্যমূলক বৈশিষ্ট্য হলো আমাদের মুসলিমদের নিকট জ্ঞানার্জন শুধু ভালোলাগা বা শখের কোন বিষয় নয় বরং নারী পুরুষ উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জ্ঞানার্জন করাকে !
আল কোরআনের "ইকরা"- পড়- শব্দের আহবান আমাদের প্রতিটি মুসলিমের জন্য, প্রতিটি দিনের জন্য। যখন আমরা জ্ঞানার্জনের নিয়তে ব্রত হই কোরআনের এই আয়াতের নির্দেশকেই মূলতঃ মেনে চলি। সুতরাং আমি কি পড়ছি, কি ধরনের বই নির্ধারন করছি, কোন ধরনের শিক্ষা এবং আদর্শ আছে আমার বইটির মধ্যে তা অবশ্যই ভেবে দেখে নেয়া দরকার!
অনেকদিন আগে এক ছোট ভাইয়ের অনুরোধ এসেছিলো কিছু বইয়ের তালিকা করে দেয়ার জন্য! বই পড়তে ভালোবাসি, বই পড়াকে ইবাদত মনে করি কিন্তু জ্ঞানের জগতে আমার অবস্থান এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা। নিজেকে একজন জ্ঞানন্বেষায় লিপ্ত ছাত্রী ভেবেই এই পথচলা শুরু আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জ্ঞানোপিপাসায় তৃষ্ণার্ত থাকুক এই জীবন এটাই কাম্য। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যে সামন্য পুঁজিটুকু সংগৃহিত হয়েছে, যে বই গুলো পড়ে আমি উপকৃত হয়েছি, যে দিকনির্দেশনায় আমি আমার জীবন সাজিয়ে যাচ্ছি পরোকালের অভিযানে তারই আলোকে সেই ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষার্থে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস!
সর্বপ্রথম আসি আল কোরআন অধ্যয়ন করা নিয়ে।কোরআনের জ্ঞান হচ্ছে একমাত্র অমোঘ চিরশ্বাশত বানী, যা
সত্যের আলোয় পরিপূর্ন, বিবেকের বিকাশ ঘটাতে সুদ্ক্ষ! কোরআনের আলো দিয়েই আমাদের অন্ধকার হৃদয়ে কে আলোকিত করত হবে, গোঁড়ামিতে আচ্ছন্ন বিবেককে প্রস্ফুটিত করতে হবে। আর তাই প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করার পাশাপাশি এর অর্থ পড়া এবং তাফসীর পড়া একান্ত জরুরী।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের এখানে বেশিরভাগ বোনরা নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করলেও এর অর্থ আর তাফসীর পড়েন না । উনাদের অর্থ এবং তাফসীর পড়ার গুরুত্ব বোঝানোর পর উনারা অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন। এক্ষেত্রে যারা নতুন অধ্যয়ন করা শুরু করেন তাদের জন্য সহজেই পড়ে বুঝা যায় এবং শিক্ষনীয় বিষয়টি বোধগম্য হয় এমন তাফসীর পড়াই শ্রেয় মনে করি। এ ধরনের বোনদের জন্য আমার পরামর্শ ছিলো প্রতিদিনের যে ধারাবাহিক তিলাওয়াত উনারা করেন তা অব্যাহত রেখে অল্প অল্প করে অর্থ এবং তাফসীর পড়া শুরু করা। এ ক্ষেত্রে জুযআ'ম্মা বা শেষপারা থেকে শুরু করলে অধ্যয়ন এবং শিক্ষা গ্রহন তুলনামূলক সহজ হয়।
হাদীস অধ্যয়নের জন্য প্রথমেই বোখারী বা মুসলিম শরীফে না গিয়ে বরং ছোট ছোট যে বিশুদ্ধ হাদীস সংকলন আছে তা অধ্যয়ন করলে তুলনামূলক সহজ হয়। ধীরে ধীরে উপরের দিকে যাওয়া যায় এবং তখন সিহাহ সিত্তাহ এর মূল উৎস থেকে হাদীস গ্রহন করলে বুঝতে অপেক্ষাকৃত সহজ হয়।
ইসলামী সাহিত্যের বিশাল জ্ঞানসমুদ্রে তৃপ্তি মেটানো অনেকটাই দুঃসাধ্য! কোরআন এবং হাদীস অধ্যয়নের পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি বিভাগের সাথে জড়িয়ে থাকা বহুমুখী বিষয়, সমস্যা ও তার সমাধান, প্রতিকূলতা ও তার প্রতিকার, ইসলামী অতীত, জ্ঞানবিজ্ঞানে মুসলিমদের করনীয়- অবদান, আধুনিক জাহিলিয়াতের সাথে সংগ্রাম করে ঈমানদীপ্ত হয়ে টিকে থাকা সবকিছুই এই অধ্যয়নের অন্তর্ভুক্ত। তাই ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নের পরিধি অনেক ব্যাপক এবং বিস্তৃত।
আমি যে বইগুলো পড়েছি এবং আমার ভালো লেগেছে, উপকৃত হয়েছি , অন্যান্যদর পড়তে বলেছি তার একটি ছোট তালিকা-
ক) তাফসীর এর ক্ষেত্রে -
১) মারেফুল কোরআন- মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহিঃ)
২) ফী -যীলালিল কোরআন -সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহিঃ)
৩) তাফহীমুল কোরআন - সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহিঃ) ।
৪) ইবনে কাসীর - আল্লামা ইমাম্মুদিন ইবনু কাসীর (রহঃ
এই তাফসীর গুলো আমার কাছে সহজসাধ্য এবং বোধগম্য মনে হয়েছে! আমার ভাইয়ার পারামর্শ ছিলো প্রথমে ছোট এবং সহজ তাফসীর পড়ে তারপর ইবনে কাসীর পড়তে! আলহামদুলিল্লাহ আমি এতে উপকৃত হয়েছি! আরো অনেক তাফসীর আছে কিন্তু আমি সেগুলো পড়িনি বা সেই তাফসীরগুলোর সাথে পরিচিত নই!
খ) হাদীস অধ্যয়ন এর ক্ষেত্রে-
১)রাহে আমল (২ খন্ড) -আল্লামা জালীল আহসান নদভী (রহি)
২) যাদে রাহ -আল্লামা জালীল আহসান নদভী (রহি)
৩) এন্তেখাবে হাদীস- আব্দুল গাফফার হাসান নদভী (রহি)
৪) রিয়াদুস সালেহীন( ৪ খন্ড) - ইমাম মুহিউদ্দীন ইয়াহইয়া আন-নববী (রহি )
এই ছোট হাদীসগ্রন্থ গুলো পড়ার পর সিহাহ সিত্তার মূল উৎস গুলো থেকে অর্থাৎ বুখারী, মুসলিম, আবুদাউদ, তিরমিযি, নাসাঈ এই হাদীস গ্রন্থ গুলো পড়লে সহজ হবে।
গ) ইসলামী সাহিত্যের ক্ষেত্রে-
*আকিদা*-
১) আল্লাহর পরিচয়-মনজুরুল আমিন।
২) ইসলামী আকিদা- আল গাযালি ।
৩) স্রষ্টা, ধর্ম , জীবন- ডঃ আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস।
৪) ইসলাম পরিচিতি- সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহিঃ) ।
৫) খ্রীস্টান ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম- আহমদ দীদাত।
* সালাত*
১)নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসা্ল্লামের সালাত সম্পাদন পদ্ধতি-মুহাম্মদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহিঃ)
* পর্দা*
১)পোষাক, পর্দা, দেহ সজ্জা- ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাংগীর।
২) পর্দা ও ইসলাম- সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী (রহিঃ) ।
* সিয়াম*
১) ফিকহুস সিয়াম- নাসীল শাহরুখ।
* হজ্ব *
১) ইসলামে হজ্ব ও উমরা- আব্দুদদাইয়ান মুহাম্মাদ ইউনুস।
২) হজ্ব, উমারাহ ও যিয়ারত- আল্লামা আব্দুল আযীয ইবন বায (রহিঃ)।
*সীরাত*
১) আর রাহিকুল মাখতুম- আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ)
২) সীরাতে ইবনে হিশাম- আব্দুল মালেক ইবনে হিশাম ইবনে আইয়ুব আল হিমাইয়ারী (রহ)।
৩) মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম- নঈম সিদ্দিকী ।
৪) তিনি চাঁদের চেয়ে সুন্দর- খাদিজা আখতার রেজায়ী।
৫) মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম- তাওফীকুল হাকীম মিসরী।
*সাহাবী চরিত*
১) আসহাবে রাসুলের জীবন কথা (৪ খন্ড) -মুহাম্মদ আব্দুল মা’বুদ
২) সাহাবীদের বিপ্লবী জীবন(২ খন্ড)-ড: আবদুর রহমান রা'ফাত পাশা
৩) হায়াতুস সাহাবা- আল্লামা ইউসুফ কান্ধলভী (রহ).
৪) আশারায়ে মুবাশ্শারা- এ, জেড শামসুল আলম।
৫) মহিলা সাহাবি- হাশিবুল তালিব।
৬) মহিলা সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন-ড: আবদুর রহমান রা'ফাত পাশা ।
*তাবেয়ী*
১)তাবেয়ীদের ঈমানদীপ্ত জীবনকথা- ড: আবদুর রহমান রা'ফাত পাশা
* নবী *
১)নবীদের কাহিনী (২ খন্ড)- আসাদুল্লাহ গালিব।
*ইমাম *
১)চার ইমাম জীবন ও কর্ম- রইস উদ্দীন আহমদ
* সুন্নাহ ও বিদায়াত*
১)এহইয়াউস সুনান- ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাংগীর।
২) সুন্নত ও বিদায়াত- আব্দুর রহীম (রহিঃ)
*ফিকহ- মাসায়েল*
১) ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম- শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
২) মহিলা ফিকহ- আল্লামা আতাইয়া খামীস।
* যিকির - আযকার*
১)হিসনুল মুসলিম-সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
২)আযকারে মাসনূনাহ- ইমাম ইবনে কাইয়্যিম( রহি)
* মৃত্যুর মাসায়িল*
১)আহকামুয জানায়িজ- নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহি)
অনন্য কিছু ইসলামী সাহিত্য যেগুলো পড়ে সত্যি আমি বইগুলোর প্রেমে পড়েছিলাম-
১)আদর্শ মুসলিম- ডঃ মুহাম্মদ আলি আল হাশমী
২)আদর্শ মুসলিম নারী- ডঃ মুহাম্মদ আলি আল হাশমী
৩) মানুষের শেষ ঠিকানা- আবদুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুস।
৪) কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা- খুররম মুরাদ।
৫) জান্নাতের বর্ননা- মুহাম্মদ ইকবাল কীলানী
৬) জাহান্নামের বর্ননা-মুহাম্মদ ইকবাল কীলানী
৭) কে বড় লাভবান- আব্দুর রাযযাক ইউসুফ ।
৮) কে বড় ক্ষতিগ্রস্থ- আব্দুর রাযযাক ইউসুফ ।
৯) বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান-মুহাম্মদ নূরুল আমীন।
১০) আধুনিক যুগের চ্যালেন্জ ও ইসলাম- আব্দুল মান্নান তালীব
১১) আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া-আল্লামা ইমাম্মুদিন ইবনু কাসীর (রহ)
১২) কবীরা গুনাহ-ইমাম আয যাহাবী (রহি)
১৩) বাইবেল, কোরআন ও বিজ্ঞান -ডাঃ মরিস বুকাইলি
[b]
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন,
‘বেশি বর্ণনা করা ও অধিক পরিমাণ আক্ষরিক জ্ঞান হাসিল করার নাম ইলম নয়, বরং ইলম হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার ভয়ের নাম।
ইমাম মালেক (রহ.) বলতেন,
‘হেকমত ও আমল হচ্ছে একটি নূর। যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা তাকে পথ দেখান। আর বেশি বেশি মাসআলা জানার নাম ইলম নয়। এর একটি আলামত আছে। তা হচ্ছে, ইলমের বদৌলতে প্রতারণার এই জগত থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং চিরস্থায়ী জগতের দিকে ধাবিত হওয়া।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলতেন,
‘ইলম হচ্ছে আমলের নাম। আর আমল হলো স্থায়ী জগতের স্বার্থে ক্ষণস্থায়ী জগত পরিহার করা
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে সঠিক ভাবে জ্ঞানর্জনের তৌফিক দান করুন, আমাদের অন্তর, আমল, পরিবার, সমাজ সব কিছুতেই ইলমের পুষ্প প্রষ্ফুটিত হোক, ইলমি সুবাসে সুবাসিত হোক আমাদের সুন্দর আলোকিত পৃথিবী!
( শ্রদ্ধেয় সুপ্রিয় আপু, ভাইয়া আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনাদের পঠিত ভালোলাগা এবং উপকৃত হওয়া যাবে এমন বইগুলোর নাম দিয়ে আমার ক্ষুদ্র তালিকাটিকে সমৃদ্ধ করতে!)
উৎসর্গ- ছোটভাই ব্লগার আওন রাহ'বার।
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৬ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম অতিথি কে আন্তরিক অভিবাদন এবং প্রানঢালা শুভেচ্ছা! আপ্যায়নের জন্য সামান্য একটু-
জাযাকাল্লাহু খাইর!
আপু আপনার সংকলনগুলো মনোমুগ্ধকর। আমার কিন্তু ছাত্র যামানায় ছোট একটি লাইব্রেরী ছিল। আমার আব্বু বলতেন তুই তো এসমস্ত বই লিখবি। মানুষ পড়বে। তুই কেন বইয়ের পেছনে এত টাকা ব্যয় করিস! আমার আব্বাজান অনেক যহীন মানুষতো, ছাত্র যামানার অধ্যায়ন করা অনেক কিতাব এখনো মুখস্ত বলে দিতে পারে। তাই আমার ব্যাপারে সেই রকম ধারনাই করতেন। কিন্তু কর্মজীবনে পা রেখে আর সম্ভব হলো না। হয়তো শতখানকি বই সংগ্রহে আছে। বাকি সবই যে নিয়েছে তো নিয়েছে। আপনার সংগ্রহ দেখে অনেক ভালো লাগলো । ধন্যবাদ মিষ্টির জন্য। পেট ভলে খেলাম।
আপনার কাছ থেকে কিছু বইয়ের নাম আশা করেছিলাম ভাইয়া ! পড়ার, মন্তব্য এবং অনুপ্রেরনা দেওয়ার জন্য আপনাকেও শুকরিয়া! বারাকাল্লাহু ফিক!
শ্রদ্ধেয় ভাইয়া, আপনি আজকেই আমার ব্লগ বাড়িতে প্রথম এলেন এবং অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য করলেন!জযাকাল্লাহু খাইর!
বারাকাল্লাহু ফিক! শুকরিয়া ও শুভকামনা রইলো
বারাকাল্লাহু ফিক! শুকরিয়া ও শুভকামনা রইলো
তবে পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে আমার জন্য অবারিত আছে একটি বিশাল সংগ্রহশালা যেখান থেকে আমার ক্ষুধা নিবারণ করি। পাঠ শেষে যখন ফেরত দিতে হয় তখন চোখে পানি চলে আসে। আর বইয়ের নামগুলো স্মৃতিতে ধরে রাখা সম্ভব হয় না।
তাইতো কেউ পিডিবিএফ কপি পোষ্ট করলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। আশাকরি আমার সীমাবদ্ধতা হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবেন।
প্রিয় আপুটার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনার তালিকা অনেক দীর্ঘ। আমি জীবনে একেবারে কম কিতাব পড়িনি। আপনার পড়ার বেশ কিছুটা আমারও পড়া ছিল,কিন্তু আমার বন্দরের ব্রেইন বেশী কিছু ধরে রাখতে পারেনা। আপনি কি আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পড়েছেন ? এটা হল সীরাতের মৌলিক একটি গ্রন্থ,ইবনে কাসীরের লেখা। আমার কাছে পিডিএফ কপি আছে। আরও কিছু বই ও হাদীস গ্ররন্থর পিডিএফ আছে। তবে আমি নিতান্তই অলস মূর্খ। আল্লাহ আপনার জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করুন
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া আমি অনলাইনে পড়েছি! যখন পোস্ট লিখেছিলাম তখন আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে বইগুলো দেখেছি যা চোখে পড়েছে সেগুলো লিখেছি! আমার কাছেও পড়ে ভালো লেগেছে! দেশে গেলে আসার সময় ভলিউমগুলো নিয়ে আসার ইচ্ছে আছে!
জাজাকাল্লাহু খাইর। শুকরিয়া ও শুভকামনা রইলো
কোরানের তাফসির এর মাঝে ফী -যীলালিল কোরআন এর চেয়ে অন্য তিনটা আমার কাছে বেশী ভাল লাগে ।
ধন্যবাদ আপু ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া! জাযাকিল্লাহু খাইর
কেমন আছ?
আলহামদুলিল্লাহ ! আল্লাহ ভালো রেখেছেন !অনেক শুকরিয়া এবং শুভকামনা রইলো! জাযাকিল্লাহু খাইর!
এখন থেকে কিন্তু নিয়মিত চাই আপুকে....... নাইলে হাতুড়ি বাহিনীকে খবর দেয়া হবে!
আসলে এটা কি আনন্দ অশ্রু?!
তাইতো মনে হয়। জাজাকাল্লাহ আপু এমন সুন্দর পোষ্ট আমাকে দেয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে খুব ভালো লাগলে অনুভূতি প্রকাশ করতে অপারগ হয়ে যাই! ভালো লেগেছে তোমার জেনেই অনেক খুশি হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ!
রুমালটা টেনে একটু করে পানিটা মুছে নিও!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
১, পুষ্পসমগ্র - মাসিক পত্রিকার সংকলন।
২, পুস্প দ্বীতিয় প্রকাশনা সংখ্যা ১-২০ - মাসিক পত্রিকার সংকলন।
৩, আলকাউসার ভলিউম ২০০৫ - মাসিক পত্রিকার সংকলন।
৪, আলকাউসার ভলিউম ২০০৬ - মাসিক পত্রিকার সংকলন।
৫, আল্লাহকে যদি পেতে চাও - মাওলানা তারিক জামিল এর বয়ান থেকে যাইনুল আবেদীন অনূদিত।
৬, আল-ফারুক -আল্লাম শীবলী নোমানী (রহ.) - অনুবাদঃ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান।(ওমর ফারুক (রাযি.) এর সিরাত)
৭, সিরাতে খাতিমুল আম্বিয়া (সা.) - মুফতী শফি (রহ.)
৮, ফরুউল - ইমান, মূলঃ আশরাফ আলি থানভী (রহ.) - অনুবাদঃ শামসুল হক ফরিদপুরী(রহ.)
৯, সিজদায়ে সাহো। - মুফতী মিযানুর রহমান কাসেমী।
১০, বলপয়েন্ট - হুমায়ুন আহমেদ।
১১, লা নুই বেঙ্গলী - মির্চা ইউক্লিড।
বই কিনতে কিনতে পকেট এর অবস্থা গড়ের মাঠ হয়েছিলো পড়ে একবন্ধুকে ফোন দিয়ে দুহাজার টাকা বিকাশ করে নিয়ে আবার কিনেছি। হি হি হি
বই দেখলে মাথা আর ঠিক থাকেনা।
পত্রিকার সংকলন গুলোতেই লেগেছে ১২২০ টাকা।
এটাই হয় আমার বই এর দোকানে গেলে ফুতুর হওয়া। হাহাহাহা হিহিহিহি।
আমার ছোট ভাইটি আমাকে সবসময় বই পাঠায়! এখন ও ৬ মাসের জন্য সফরে বের হয়েছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অন্চল গুলোতে দ্বীনের দাওয়াত দিতে আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের প্রত্যেককে সঠিক ভাবে জ্ঞানর্জনের তৌফিক দান করুন, আমাদের অন্তর, আমল, পরিবার, সমাজ সব কিছুতেই ইলমের পুষ্প প্রষ্ফুটিত হোক, ইলমি সুবাসে সুবাসিত হোক আমাদের সুন্দর আলোকিত পৃথিবী! এই দোআ ও শুভকামনা রইলো!
১২, আমার জীবন কথা - মাওলানা মনযুর নুমানী (রহ.)
আপনার লিস্টে থাকা অনেকগুলো বইয়ের কিয়দংশ, কিছু পুরাটাই আবার কিছুর পাতা উল্টিয়ে শুধু ঘ্রাণ নিয়েছি। আপনার কাছ থেকে যখন প্রেরণা পেলাম, এইবার নিশ্চয় বাকীগুলোও পড়ে নেব।
আর হা, আমার লিখায় প্রচুর বানান ভুল হয়, তবু আমি অধম বলে আপনাকে উত্তম করব না এ হয় না, তাই বলছি নিচের বানানগুলো ঠিক করে নেবেন।
‘বানী, আভিজত্যমূলক , নির্ধারন, ধরনীর, পরিপূর্ন’।
পালাইনি ভাই! এমন একটি জায়গা থেকে আসলাম যে জগতের ডাক আমাদের প্রত্যেকের জন্য আসবে! সেই চির সত্যের ডাকে আমরা যেনো আল্লাহরপ্রতি সুধারনা এবং ভালবাসা রাখতে পারি এই দোআ কাম্য! একটা পোস্ট লিখব আজকের অনুভূতি নিয়ে ইনশা আল্লাহ!
এখনি সময় অাপনাদের বই পড়ে মনোজগত ক সমৃদ্ধ করার সুতরাং বেশি বেশি পড়ুন!
তাড়াহুড়ো আর কী বোর্ডের প্রেশার লো, নিজের অসচেতনতা সব মিলিয়ে বানান ভুল হয়ে যায়! আশাকরি এভাবেই পাশে থাকবেন শুধরে দিয়ে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু উপযুক্ত পাঠ তালিকা দিয়েছেন। আমাদের প্রতিটি মুসলিম এর ঘরে অন্ততপক্ষে এই বইগুলি থাকা প্রয়োজন। সৈয়দ মুজতাবা আলির একটি লিখায় পড়েছিলাম যে চর্চা না থাকলে মানুষ পড়াশুনাও ভুলে যায় তৎকালিন সময়ে ইসলাম সংক্রান্ত কোন বাংলা বই ছিলনা তাই দেখাযেত মুসলিম সাধারন চর্চার অভাবে ভুলে যেত বাংলা লিখাপড়া। অন্যদিকে তিনি লিখেছিলেন হিন্দুরা তুলনামুলক ভাবে মনে রাখত কারন তারা প্রায় রামায়ন ও মহাভারত বাংলায় পড়ত।
এখনও প্রচুর উপযুক্ত বই থাকা সত্বেয় আমরা স্রেফ নিজেদের সেচ্ছায় অশিক্ষিত রাখছি।
আপনার মন্তব্যগুলো তথ্যভিত্তিক এবং জ্ঞানগর্ভ বানীর আলোকে হয় যার ফলে আপনার করা মন্তব্য পড়েও জ্ঞানার্জন করা যায়! আলহামদুলিল্লাহ!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন