পুষ্পিত সাগরে স্বপ্নগুলো উর্মিমালা......

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৪ মার্চ, ২০১৫, ০৪:৫৬:৩৩ রাত



প্রথম দর্শন

সকাল থেকে বাসার সবাই ভীষন ব্যস্ত। প্রজাপতি পক্ষ আসছে বিয়ের কথা ফাইনাল করার জন্য! অহনার মনের আকাশ জুড়ে আলো-আঁধারের লুকোচুরি খেলা চলছে। মেয়েদের জীবনটা এমন কেনো? পদ্ম পাতায় ক্ষনিকের জল নাকি ভোরের শিশিরে ভেজা কোন শিউলি? মেয়েদেরকেই কেন বাবা-মার সংসারের চির চেনা পরিবেশ ছেড়ে নতুন সংসারে যেতে হয়? জগতের এ কেমন নিষ্ঠুর নিয়ম? যে মেয়েটাকে একটু একটু করে এতো ভালোবাসা দিয়ে, আদর যত্ন করে, পড়াশোনা করিয়ে গড়ে তোলা হয়, তাকেই পরের হাতে তুলে দিতে বাবা-মায়ের মধ্যে কি অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়!

অহনা বুঝতে পারছে এ সবই তার অবুঝ মনের অভিমানী শব্দমালা! একটি সন্তানের সকল ধরনের প্রয়োজন পূরনের পাশাপাশি একজন দ্বীনদার উপযুক্ত স্হানে হস্তান্তর করা যে বাবা-মার একটি গুরুদায়িত্ব সেটা সে বোঝে! কিন্তু অবুঝ মনটা কোন কথাই শুনতে চাচ্ছে না আজ!

কে জানে লোকটা কেমন? সহজ-সরল, রোমান্টিক মনের মানুষ নাকি কোন রগচটা একরোখা ভিলেন? কি ঘটতে যাচ্ছে ওর জীবনে? দূর কোন পর্বতচুড়ায় দাঁড়িয়ে সামনের বিশাল সমুদ্রের গভিরতা উপলব্ধি করার মতনই জটিল লাগছে, যতই ভাবছে ভাবনাগুলো ক্রমশ ডালপালা ছড়িয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে, কোন ভাবেই পরিসমাপ্তিতে পৌঁছতে পারছে না অহনা!

কিছুদিন আগেও বান্ধবীদের কাছ থেকে যখনই শুনতো কেউ পাত্রী দর্শনের শিকার হয়েছে খুবই অমানবিক লাগত বিষয়টা ওর কাছে! মেয়েরা কি চিড়িয়াখানার জীব জন্তু যে এরকম ঘটা করে দেখা লাগবে? মনে মনে বলত ওকে যে বিয়ে করবে তার না দেখেই বিয়ে করতে হবে! কিন্তু পরে পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করার পর বুঝতে পেরেছিলো আসলে এটা একটা জরুরী সুন্নাহ! তারপর থেকে এ বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছিলো সে!

অনেক বান্ধবীদর কাছ থেকেই সে শুনেছিলো পাত্রের সাথে নাকি পাত্রের বন্ধুরা সহ অনেক পুরুষ আত্নীয়স্বজনরাও নাকি পাত্রী দর্শনে আসেন! যাক,অহনাদের পরিবারের সবাই ইসলাম সম্পর্কে সচেতন তাই সেরকম কিছু ঘটার অবকাশ নেই, ভাবতেই দুর্ভাবনায় গুমোট বাধা কালো আকাশে ঝিকমিক করে উঠলো একটু খানি আলোর রেখা ....

দুই বোন ও পাত্রের সামনে অহনা যখন ধীর পায়ে হেঁটে আসছিলো মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সমস্ত ভর আজ ওর দুপায়ে! চুম্বুকের মতোন পা মাটিতে আটকে যাচ্ছিলো, গুটি গুটি পায়ে সালাম জানিয়ে অহনা যখন এসে বসলো , শীতের মাঝেও ঘামতে লাগলো সে!

মাথার ঘোমটা ক্রমশ লম্বা হতে হতে এতোখানি সামনের দিকে চলে আসলো যে, সামনের আসনে বসা পাত্র- সাজিদের জন্য ঘোমটা আবৃত পাত্রীর মুখটুকু দেখা যেনো সাধ্যের বাইরে ! সাজিদ শুধু হাতখানিই দেখলো যা দিয়ে অহনা আঁচলটা টেনে ধরে রেখেছিলো!

সাজিদের বোন অহনার অপ্রস্তুতভাব আঁচ করতে পেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কথা বলা শুরু করলেন! অহনা- তোমার এইম ইন লাইফ কি?

কিংকর্তব্যবিমূর অহনার মনে একশ মাইল বেগে বয়ে চলেছে ঝড়!গলাটা শুকিয়ে একেবারে কাঠ! কথা বলতে গেলে গলা থেকে আওয়াজ বের হবে তো? লজ্জায় আড়স্ট হয়ে চুপ থাকবে নাকি কিছু একটা বলা উচিত?

আস্তে আস্ত বলতে থাকে- ছোট বেলায় যখন রচনা লিখতাম সেগুলোর বেশির ভাগ থাকতো বই থেকে করা মুখস্থ বিদ্যা! অবুঝের মতোই লিখতাম কখনো টিচার কখনো বা ডাক্তার! গ্রামের বাড়িতে গেলে অভাবী মানুষদের দেখে খুব খারাপ লাগতো! একটা বুটিক হাউজ খুলার স্বপ্ন দেখতাম যেখানে এমন মেয়েদের কর্মসংস্হানের সুযোগ হবে যারা সমাজের সমস্যাগ্রস্হ, মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত!

এখনো আমার পড়াশোনা শেষ হয়নি তাই বলা যাচ্ছে না ঠিক কতোটুক আমি এগিয়ে যেতে পারবো, বুঝতে শিখার পর থেকেই আমি সবসময় চেয়েছি আমাকে একজন আদর্শ মুসলিম নারীতে পরিনত হতে হলে যে সমস্ত গুনাবলী প্রয়োজন সেগুলো অর্জন করতে। পৃথিবীতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে আমি যেন তা পরিপূর্ণ করতে পারি ইনশা আল্লাহ!

অহনার অপ্রস্তুতি ভাব লক্ষ্য করে সাজিদের বোন ওকে নিয়ে পাশের রুমে চলে আসলেন! অহনাও যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো!

সাজিদ সন্মোহনের মতোন শুনছিলো! গুনগুন করে বলা আওয়াজ টুকু বারবার কানের কাছে বাজতে লাগলো ওর! ভাবুক মনটা অহনার বলে যাওয়া কথাগুলোর মাঝে নিজেকে হারিয়ে আবার নিজেকে খুঁজে ফিরছিলো....

মুরুব্বিরা সবাই এসে জড়ো হলেন রুমটিতে! সবাই কথা বলছিলেন তাই সাজিদ সেখান থেকে উঠে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো! সাজিদের বড় বোন পাশে এসে বললেন, দেখেছিস অহনাকে?

-দেখলাম কোথায়? শুনলাম শুধু ! হালকা হেসে সাজিদ জবাব দেয়!

বড় বোন এবার হেসে বললেন, আচ্ছা তারমানে আবারো দেখতে চাইছিস?

নাহ, তোমরা আমাকে যার সাথে বি্যে দিবে আমি বিনা দ্বিধায় তাকে বউ হিসেবে মেনে নিব, সে যদি কাকের মতোন কালো হয় তবুও - হাসতে হাসতে বলে সাজিদ।

থাক দেখে শুনেই বিয়ে কর ! দেখি আরেকবার আনা যায় কিনা ওকে! হেসে বড় আপা চলে গেলেন।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের দিকে তাকায় সাজিদ, সামনে ছোট একটু উঠোন, সেখান থেকেই হয়ত হাসনাহেনার ঘ্রান আসছে, রাতের আকাশে মিটিমিটি তারা, বাইরের স্নিগ্ধ বাতাস, মনের মাঝে সদ্য পরিচিত হওয়া সেই মানবীর অস্ফুট এক প্রতিচ্ছবি- ভালোলাগার এক মু্র্হমুর্হ ঢেউ মনের সমুদ্রে ছলকে ছলকে আছড়ে পড়ছে...

আনমনে পিছন ফিরতেই চোখ পড়ে যায় কোনা কোনি জানালাটার দিকে ।ঐরুমটিতেই মনে হয় অহনা আছে ! ভালোভাবে উঁকি দিতে যাবে ঠিক এই সময় সামনে একগ্লাস পানি হাতে হাজির হয় অহনা! তার একটু পিছনে সাজিদের দুই বোন মিটিমিটি হাসছিলো!

পানির গ্লাসটি নিতে গেলে দুজনার চোখাচোখি হয়ে যায়! বিদুৎচমকের মতোই কি জানি একটা ঘটে গেলো দুজনের হৃদয়ে! চট করে ঘুরে রুমে চলে যায় অহনা!

কি এক সর্বনাশা চোখের মিলন! এক আশ্চর্‍য রকম ভাললাগার আবেশে ছেঁয়ে গেছে মন! কি জানি অহনার কি ওকে ভালো লেগেছে ? এইটুকু দেখা দুজনার দুজনকে! চোখের পলক পড়ার মতোই দেখা আর দেখার আগেই চলে যাওয়া!

ততোক্ষনে বিয়ের কথা ফাইনাল হয়ে গিয়েছিলো! সাজিদের মন প্রান তখনো সেই স্মৃতিতে আটকে পড়ে আছে! একটুখানি চাহনি! চপলা হরিণির মতন ওর মনটাকে কেড়ে নিয়েছে! শুন্য নিজেকে পূর্ণ করার স্বপ্ন থেমে থেমে জেগে উঠছে বুকের ভিতর! ক্রমেই অহনাকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার বাসনা একটু একটু করে মনের ভিতর স্বপ্ন বুনতে শুরু করে....

অবশেষে বিয়ে- পরদিন সকালবেলা...

টুং টাং শব্দ শুনে পিছনে ফিরে তাকায় দীপা! সাজিদ নাস্তার ট্রে হাতে দঁড়িয়ে আছে! মৃদু হেসে নাস্তা সমেত ট্রে টেবিলে রেখে বললো - আমার সদ্য বিবাহিতা বধূর ধারনা আমি আফ্রিকার আমাজন জংগল থেকে আসা ভয়বহ রকমেরআশ্চর্য জনক কোন জন্তু ! তা না হলে সে কেনো এতো পালাই পালাই করে?

আপারা বললেন, দুজনে মিলে একসাথে নাস্তা করলে এই অহেতুক ভয় ভাংগানো যেতে পারে! তো আমি বাধ্যগত ভাইয়ের মতোন বোনদের পরামর্শ কাজে লাগাতে চলে এলাম।

তো আমি কি করলে প্রমান করতে পারবো যে আমি খুব স্বাভাবিক সহজ সরল একজন নিরেট ভদ্র মানুষ! পূর্ন দৃষ্টিমেলে অহনার দিকে তাকায় সাজিদ! আমি কিছুক্ষনর মধ্যেই একটু জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছি! ফিরতে সন্ধ্যা হবে। তোমাকে নিয়ে রাতের বেলা খোলা ছাদে তারাভরা আকাশ দেখার একটা সুপ্ত স্বপ্ন আছে আমার বহুদিন আগের। আর না হলে দূরে কোথাও হেঁটে আসা যেতে পারে কি বলো তুমি?

ছাদে যাওয়াটাই তো নিরাপদ মনে হচ্ছে! ধীরে ধীরে কথা বলে অহনা।

তারভরা রাত-

জীবনের এতোগুলো বছর একা একা তারার মেলা দেখেছি, আজ দুজনে মিলে দেখছি আলহামদুলিল্লাহ! অন্যান্য সকল দিনের চাইতে আজকের আকাশে তারাগুলো অনেক আলোকময়, অনেক বেশি সুন্দর তাই না?- সাজিদ

আমাদের জীবনের বাকি দিনগুলো যেনো এই রকম সুন্দর আর আনন্দে ভরপুর থাকে- অহনা

জীবনের বাকি দিন? তোমার কাছে কেমন সেই দিনগুলো?

আমাদের পরিবার চেষ্টা করেছে সবসময় ইসলামিক দৃষ্টিকোন আমাদের জীবনে গেঁথে দিতে। যখন থেকেই কোরআন -হাদীস- ইসলামিক সাহিত্য গুলো বুঝে পড়তে শুরু করেছি তখন থেকেই এক সুন্দর জীবনের স্বপ্ন এঁকেছি! একইসাথে ওঁত পেতে থাকা শত্রু শয়তা্নের অস্তিত্বের ভয় ও পেয়েছি! সময়ের সাথেই বুঝেছি মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আমাকে সৃষ্টি করার লক্ষ্য এবং মহত্ত্ব! আমার গন্তব্য- আমাকে জান্নাতে যেতে হবে। দুনিয়ার সময়ের পরিক্রমায় জীবনের পরীক্ষায় আমাকে উত্তীর্ণ হতে হবে অন্যান্য সব পরীক্ষার মতন। আমি যেন সুন্দর ভাবে এই দুনিয়ার পথ পাড়ি দিতে পারি একজন আদর্শ মুসলিমকে চলার পথের সাথী হিসেবে, একজন আদর্শ অভিযাত্রী কে পাই সবসময় আল্লাহর নিকট দোআ করেছি। যেন এমন কাউকে পাই যিনি আমার হাতে হাত রেখে জীবনের কঠিন বিপদসংকুল পথটি পাড়ি দিতে হিম্মতহারা হবেন না, আমি ভুল করে বিপথে চলে যেতে থাকলে তিনি আমাকে সঠিক পথের সন্ধানে নিয়ে আসবেন, অন্ধকার সঙ্কীর্ণ পথে জ্ঞানের আলো দিয়ে আলোকিত করবেন আমার জীবন। ভালবাসা আর কল্যাণকামীতার ফুলে ফুলে সুশোভিত হবে আমাদের জীবন! তাই বিয়েকে শুধু একটি লিখিত চুক্তি মনে করিনা বরং একজন মুসলিমকে সফলতার চূড়ায় আরোহণ করার উত্তম বাহন!

আমিও ঠিক এভাবেই চেয়েছিলাম! আলহামদুলিল্লাহ পেয়েছি! এখন বুঝতে পারছি কেন দ্বীনদার স্ত্রীকে উত্তম সম্পদ বলা হয়েছে। সাজিদ-

পাশাপাশি থাকা হাতের মুঠোর মাঝে অহনার হাতখানি টেনে নেয় সাজিদ! দূর থেকে আসা সোডিয়াম লাইটের আলোকচ্ছটায় অহনার চোখের দিকে তাকায়! সেই চোখের গভীরতা বুঝি সমুদ্রকেও হার মানায়! অপলক চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকলেও চোখ বুঝি অনর্গল চোখের ভাষায় অসীম মুহূর্ত কথা বলে যেতে পারবে। এই সময় মুখে কিছুই বলার প্রয়জন নেই!

অহনার মায়াবী চোখদুটোতে তাকিয়ে সাজিদ বুঝতে পারে সেই চোখে ভালোবাসার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে! এখানে চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায় স্বর্নালী- স্বপ্নীল ভূবনে! যেখানে আকাশ জুড়ে ভালোবাসার রংধনু, যেখানে স্বপ্নগুলো উর্মিমালা হয়ে প্রস্ফুটিত হতে চায় জীবন নামক পুস্পকাননে........

বিষয়: বিবিধ

১১৯৫ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307146
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:০৩
কাহাফ লিখেছেন :
দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সাজানো সংসার ক্ষণস্হায়ী এই জীবন কেই জান্নাতের টুকরোয় পরিণত করে!
ইসলামের গন্ডিতে থেকেই দুনিয়ার পুর্ণসুখ উপলব্ধি করে তারা!
সুন্দর নান্দনিক উপস্হাপনায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান!!
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:১১
248463
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! প্রথম পাঠক এবং মন্তব্যকারী হিসেবে আন্তরিক শুকরিয়া আপনাকে! চমৎকার মন্তব্যটির অশেষ ধন্যবাদ!Good Luck

শুভকামনা ও দোআ রইলোGood Luck
307157
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৭:৪৪
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। বাস্তব কারো জীবন থেকে নেয়া, না কি পুরোটাই কাল্পনিক জানি না। তবে অত্যন্ত সাবলিল ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা। খুব সুন্দর লিখেছেন। ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৩
248537
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। Happy

জীবন থেকে নিয়েই তো গল্প লিখতে হয় ভাইয়া! আপনার সুন্দর মন্তব্য এবনহ অভিব্যক্তির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!দোআ ও শুভকামনা রইলোGood Luck
307159
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:১৮
মামুন লিখেছেন : পাশাপাশি থাকা হাতের মুঠোর মাঝে অহনার হাতখানি টেনে নেয় সাজিদ! দূর থেকে আসা সোডিয়াম লাইটের আলোকচ্ছটায় অহনার চোখের দিকে তাকায়! সেই চোখের গভীরতা বুঝি সমুদ্রকেও হার মানায়! অপলক চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকলেও চোখ বুঝি অনর্গল চোখের ভাষায় অসীম মুহূর্ত কথা বলে যেতে পারবে। এই সময় মুখে কিছুই বলার প্রয়জন নেই! - চমৎকার লাগলো!!

সুন্দর পোষ্টটিতে অনেক অনেক ভালো লাগা। Thumbs Up Rose Rose
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৪
248538
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! আপনার ভালো লাগা এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!দোআ ও শুভকামনা রইলোGood Luck Praying
307162
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৫৬
হতভাগা লিখেছেন : অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল .....

(কাশ , এয়সা হি হোতা)
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৬
248539
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!জ্বি - ভাইয়া!Happy

শুকরিয়া উপস্থিতি এবং মন্তব্যের জন্য!দোআ ও শুভকামনা রইলোAngel Good Luck
307166
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:৪২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : মাশাল্লাহ, সুন্দর সাবলীল গতি আছে লেখায়। সাহিত্যের ছোঁয়াও মনোমুগ্ধকর। ভাল লাগলো।
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৭
248541
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!চমৎকার মন্তর‍্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ভাই!দোআ ও শুভকামনা রইলোPraying Good Luck
307173
০৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
মিশু লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৭
248542
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!ভালো লাগা রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া!দোআ ও শুভকামনা রইলোPraying Good Luck
307182
০৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
তারাচাঁদ লিখেছেন : এ গল্প চোখে শুধু স্বপ্নই ছড়িয়ে দেয় ।
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৬
248540
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : কত খুঁজি ! খুঁজি কত! চাঁদ সেতো চাদই! তবে কোন পূর্ণিমায় যেনো দেখা দেয় সে!
মাঝে মাঝে চাঁদ কি তারা হতে পারেনা!?
তারাতো সেই দুরাকাশে দেখাই যায়Good Luck Good Luck
অনেক দিন পর ভাইয়া!
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য Happy Good Luck
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৯
248544
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! আপনার উপস্থিতি এবং মন্তব্যটুকু সত্যি অনেক অনুপ্রেরনা জাগায়!অনেক অনেক শুকরিয়া! দোআ ও শুভকামনা রইলোPraying Good Luck Angel
307192
০৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
রাইয়ান লিখেছেন : স্নিগ্ধ সুখ আর মিষ্টি মিষ্টি আনন্দ অনুভুতির মোড়কে জড়ানো সুবাসিত একটি গাঁথা পড়লাম যেন এতক্ষণ ! Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming আহ , লেখিকার হাত নয় , যেন সোনামুখী সুঁইয়ে যতন করে গাঁথা এক নক্সী কাঁথা। Star Star Starলেখাটি অসম্ভব ভালো লাগলো বোনটি আমার ! সালাম ও শুভেচ্ছা জানবেন অসংখ্যবার ...... Rose Rose Rose Rose Love Struck Love Struck Love Struck
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৯
248543
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম অ রহমাতুল্লাহ।
Crying Crying Crying
কেমন আছেন আপু?
কতযুগ পর!?
সুস্থ আছেনতো?!
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২২
248546
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!আপউউউ! অনেক মিস করেছি আপনাকে!ভালো আছেন তো?

আপনার চমৎকার মন্তব্যটি আমার লিখার চাইতেও হাজারগুন বেশি সুন্দর!সত্যি মন্তব্যটি পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেলো!অনেক অনেক আন্তরিক শুকরিয়া! দোআ ও শুভকামনা রইলো Love Struck Praying Angel Good Luck Praying
০৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
248603
রাইয়ান লিখেছেন : @ আওণ : আলহামদুলিল্লাহ , ভালো আছি গো ভাইয়ামনি ! আসলেই অনেকদিন পর .... দেশে গিয়েছিলাম , ফিরলাম দুই মাস পর। এসেই আবার সংসারের ব্যস্ততায় বাঁধা পড়ে গেছি ... আপনারা সবাই ভালো ছিলেন তো !
০৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
248604
রাইয়ান লিখেছেন : @ সাদিয়া আপুনি : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ , আমরা ভালো আছি। আপনি ও আপনারা ভালো ছিলেন তো ! জ্বি আপুনি , আসলেই অনেক দিন পরে আবার ফেরা হলো ...Happy
০৫ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৫
248645
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : কাটানো সময় গুলো নিয়ে লিখে ফেলুন আপু!Love Struck Good Luck
307194
০৪ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
আবু জান্নাত লিখেছেন : সমাজের বাঁকে বাঁকে আজ এমনই দ্বীনদার পরিবারের বড়ই প্রয়োজন। সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জাযাকিল্লাহু খাইরান।
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৩
248547
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসলামুআলাইকুম! উপস্থিতি এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! দোআ ও শুভকামনা রইলো! বারাকাল্লাহু ফিক!Good Luck Angel Praying
১০
307201
০৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:০৮
মিরন লিখেছেন : আপনার মতো সাজিয়ে ও দলবেধে পাত্রি দেখার চরম বিরোধিতা করছি। বিবাহের আলোচনায় উচ্ছাস, ব্যাকুলতা,সবটাই কাজ করে বিবাহ উপযুক্ত মেয়েদের ক্ষেত্রে। আবার স্বামীর সংসারকে দ্রুত আপন করে নেওয়ার প্রবনতাও বেশি।
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৪
248548
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসলামুআলাইকুম! উপস্থিতি এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! দোআ ও শুভকামনা রইলো!Good Luck
১১
307212
০৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২০
248545
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আপনার ভালো লাগলো কেন?
Time Out Time Out Time Out Frustrated
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৪
248549
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসলামুআলাইকুম! উপস্থিতি এবং Good Luck রেডি মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক শুকরিয়া! দোআ ও শুভকামনা রইলো!
১২
307254
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সত্যিই আপু লিখাটি এককথায় অসাধারণ Good Luck Good Luck Happy
স্বপ্নালু মনের স্বপ্নকে ঠিক যেনো রঙধনুর সাত রঙে রাঙিয়ে দিলো।
স্বপ্ন দেখি আর স্বপ্নে ভাসি!
স্বপ্নিল স্বপ্নমালায় শব্দ গাঁথি!
কতদিন পর হৃদয় পরিতৃপ্তকর একটি পোষ্ট পেলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইরান Happy
হা ঠিক তাই আমিও স্বপ্ন দেখতে জানি! Good Luck Happy Good Luck
০৫ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:২০
248579
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসলামুআলাইকুমঅনেক ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এসে বড় আপুর পোস্টখানি পড়া , এটো চমৎকার ছন্দ লিখা আর মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ভাই!Angel

স্বপ্ন গুলো সত্য হয়ে উদ্ভাসিত হোক সূর্যের আলোর মতোন কিরন ছড়িয়ে, পরিতৃপ্তি হোক হৃদয় মন ! অনেক অনেক দোআ এবং শুভকামনা রইলোAngel Praying Good Luck
১৩
307272
০৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪৭
আফরা লিখেছেন : খুব সুন্দর তো গল্পটা আপু । অনেক অনেক ভাল লাগল আরো বেশি বেশি লিখুন আপু ।
০৫ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:২১
248580
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসলামুআলাইকুম! অনেক অনেক শুকরিয়া, শুভকামনা এবং দোআ রইলো!
Praying Good Luck Angel Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File