মিটিমিটি শুকতারা ...
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৩:০৩ রাত
কিছু কিছু সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, বন্ধন আছে যার অসীম ক্ষমতা শুধু হ্রদয় দিয়ে অনুভব করা যায়, সম্পর্কের গভীরতা -বিশালতা অসীম সাগরের মতোন দূর বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত! নীল নীল মেঘ পুন্জের মতো পুরো আকাশজুড়ে এরা ছড়িয়ে ছড়িয়ে থাকে, কখনো কাছে কখনো বা দূরে কিন্তু এক আকাশ এক সাগরেই এই নিরবধি বন্ধনে এগিয়ে -সামনে পথচলার প্রেরনায়...
আজ মনের অন্তরীনে অদ্ভুত এক ভাললাগা কাজ করছে। জীবনের চলার পথে অসংখ্য বন্ধু, শুভাকাংখী, ভালোলাগার মানুষদের পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। সময়ের পরিবর্তনে, বয়সের পরিবর্তনে,স্হানের পরিক্রমায় আজ সেই প্রিয় জনেরা কেউ কাছে কেউবা দূরে!
প্রতিটা দিন সূর্য উঠার আগ থেকে সূর্য ডোবা-নিকষ কালো অন্ধকারে পৃথিবীটা ছেয়ে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের একদন্ড অবসর নেই! ব্যস্ততা আর কমে না! এরই মাঝে মনের কাছে উঁকি মারে কত শত স্মৃতি, কত কথা, প্রিয় মুখ...
প্রতিদিন যখন সকালে ফজরের ওযু করতে যখন উঠি ,জানালায় দাঁড়িয়ে এক পলক আকাশ না দেখলে যেন কিছুতেই তৃপ্তি পাই না! ওযু করে একদন্ড কালো আকাশ দেখি, ভোরের আভা দেখি- এ যেন আকাশের সাথে চোখে চোখে বিনা কথনে নীরব ভাব বিনিময় করা!
যখন আমি আকাশ দেখি আমার এক প্রিয় মানুষের কথা মনে পড়ে! আমি জানি তারও অভ্যাস সকালের আকাশ দেখা এবং আমাকে স্ট্যাটাস পাঠানো- আপু,আজ সকালে জানালা খুলেই দেখি সারা আকাশ জুড়ে রংধনু!
আমি জবাব দেই- আমাদের আকাশ জুড়ে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা, কুয়াশার চাদরে নিজকে সে লুকিয়ে রেখেছে!
আকাশ, সূর্যোদয়,সূর্যাস্ত, রংধনু দেখলেই আমার প্রিয় বোনটার কথা মনে পড়ে যায়! হাজার হাজার মাইল দূরে আমাদের অবস্হান তারপরেও সবকিছুতেই যেন প্রিয় মানুষের ভালোলাগা মিলে মিশে আছে!
আমি যখন সদ্য প্রবাসী তখন আমাদের ধূমসে দাওয়াতের শিডিউল চলছিলো! প্রায় প্রতিদিন দাওয়াত থাকতো! রান্না বান্নায় আমি তখনো খুবি আনাড়ী! সবার রান্না খেতাম আর উনাদের গুন দেখে শুধু ভাবতাম কতদিন আমি পারব এই গুনগুলো নিজের মাঝে ধারন করতে? যে খাবারটা ভালো লাগতো খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞেস করতাম প্রস্তুত প্রনালী,খুব ভালো ভাবে মনে রাখতাম এবং বাসায় এসে ট্রাই করতাম!
কিছু গুনী ভাবীদের সাথে পরিচয় এবং সখ্যতা হয়ে গেলো, আমি উনাদের এতই ভক্ত হয়ে গেলাম - উনারা কিভাবে রান্না করেন, কোন দোকান থেকে মশলা কেনেন এমনকি কিভাবে চামচ দিয়ে তরকারী নাড়েন সেটাও শিকারী চক্ষু দিয়ে আত্নস্হ করে নিতাম- এই আশায় আমরাটাও তাহলে উনাদের মতোন চমৎকার স্বাদ হবে! এখন রান্না করতে গেলে প্যানে যখন তেল, পিয়াজ দেই এক ভাবীর কথা মনে পড়বেই উনি পিয়াজ দিয়েই এলাচ, দারচিনি দিতেন! আরেকজনকে মনে পড়ে উনি পিঁয়াজে সবার আগে লবন দিতেন! আর আমি ? এখন নিজের মতোন রান্না করি! নিজের স্টাইল,নিজের আইডিয়া কিন্তু আমার মাঝেই আমি আমার অতীতের সেই প্রিয় মানুষগুলোকে খুঁজে পাই!
আমার উনি এবং আমি আমরা দুজনেই খুব ভ্রমনপ্রিয়! দূরে কোথাও যেতে তো বাধাই নেই এমনকি যদি এটা নিচের পার্ক থেকেও হেঁটে আসা হয় তাতেও আমরা বেজায় খুশি! তখন আমার ছোট ছেলেটার বয়স মাত্র দেড় বছর! আমাদের উভয়ের পরিচিত এক বোনের পরিবার থেকে দাওয়াত দেয়া হলো। উনারা অন্য এক শহরে থাকেন। আমরা সানন্দে চিত্তে দাওয়াত কবুল করে ট্রেনে চেপে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ান হলাম!
আন্তরিকতা আর আতিথেয়তার কমতি ছিলনা বরং চিত্ত এতোটাই সুপ্রসন্নিত অনুভব করতাম, মনে হতো নিজ পরিবার- পরিজন, বাবা- মা, ভাই- বোনদের ছেড়ে এত দূর এসেছি তাই আল্লাহ আমাদের নতুন জায়গায় পরিপূরক অসংখ্য বোনদের -ভাইবোনদের ভালোবাসার ঝুড়ি মেলে ধরেছেন আমাদের কাছে! এই সম্পর্ক এতোই গভীর, এতোই মজবুত এর বন্ধন এযেন এক আত্নার বন্ধন! আলহামদুলিল্লাহ!
এই পরিবারের সাথে আমাদের নিয়মিত ফোন যোগাযোগ এবং যাতায়াত অব্যাহত ছিল দীর্ঘ দিন। বিশেষ করে প্রতি সোমবার সকাল নয়টায় আমরা দুজনে বাচ্চা স্কুলে দিয়ে একে অপরকে ফোন দিতাম! সপ্তাহটি কেমন গেলো? বাচ্চারা কেমন ছিলো? আজ কি রান্না হবে? গত সপ্তাহে কে কোন বই পড়লাম? কোন বিষয়ে সাপ্তাহিক আলোচনা করলাম, মজার কোন রান্নাটা সদ্য শিখা হয়েছে তার রেসিপি কোনটাই বাদ পড়তো না আমাদের গল্পে! এই বোনটির কাছ থেকে আমি একটি ইটালিয়ান সুইটডিশ শিখেছিলাম, নিজে শিখে- করে আরো অনেক বোনদের শিখিয়েছি! যতবার আমি এটা তৈরি করি উপাদান গুলো হাতে নেয়ার সময় আমার এই বোনের মায়াবী মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে আসে! স্মৃতিগুলো মিটি মিটি তারার মতো জ্বলে ওঠে মনের আকাশে.....
এখনো প্রতি সোমবার আমার উনার কথা মনে পড়ে! মনে পড়ে দুজনের অলস-ব্যস্ততার সময়য়গুলোতে কিভাবে মৌমাছির মতোন মধুর গুন্জরনে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলাম আমরা! উনার একটা নাম দেয়া প্রয়োজন ।উনাকে "শুকতারা" বলি কেমন?
অতপর এক সন্ধ্যায় ফোনে জানলাম উনার ইতালি ত্যাগ করে সুইডেন সেটেল হওয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন! কিছুটা ভগ্ন হ্রদয়ে, আশাহত মনের ভিতরটা মুচড়ে উঠেছিলো কিছু অব্যক্ত কথামালা, চোখদুটি কেমন জ্বালা করে উঠছিলো সেদিন .....
নতুন স্হান, নতুন সংসারে থেকেও প্রিয় "শুকতারা" বোন আমাদের নিয়মিত খোঁজ নিতেন। উনার অসম্ভব ভালো একটা গুন এটি, উনি সবার খোঁজ নিবেন, জীবনে এক বার পরিচিত হলেও সবসময় খোঁজ নিবেন, এই মহৎ গুনের কারনে উনাকে শুকতারার পাশাপাশি কন্টাক্ট আপা বললেও খারাপ হয় না!
এরি মাঝে বহমান সময় গড়িয়ে অনেক বেলা বয়ে গেল! হঠাৎ আমার এক পরিচিত বোন আমাকে ফোন দিয়ে আমাকে বললো, আমার জন্য একটা পার্সেল এসেছে সুইডেন থেকে! হতবাক আমি প্রথমে ভাবলাম উনার কোথাও ভুল হচ্ছে কি না! আমার পার্সেল আসবে আমার জানা নাই, কে দিলো জানি না, কার মাধ্যমে আসলো সেটাও জানি না -কেমন অবিশ্বাস্য লাগছিলো!
মনের ভিতর থেকে কেউ বলছিলো, এ মনে হয় শুকতারার কাজ! অপেক্ষার প্রহরের অবসান ঘটিয়ে প্যাকেট যখন আমার হাতে এসে পৌঁছলো সত্যি, ভালোলাগায় এতোই আপ্লুত হয়েছিলাম, অবাক হয়েছিলাম এবং প্রচন্ড রকম ভাবে ফিল করছিলাম প্রিয় বোনটিকে! সেই সুদূর থেকেও তিনি আমাদের ভুলেন নি! পরিচিত কেউ আমাদের শহরে আসছেন জেনে অনেক অনেক ভালোবাসা ভরে দিয়ে ভালবাসার এক দূর্মূল্য প্যাকেট আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন! হিজাব,ছিজাবের সুন্দর সুন্দর পিন, মেয়ের জন্য ব্যাগ, কানের দুল, আংটি, আচার এবং আমার সবচাইতে বেশি, অনেক বেশি, খুব বেশি প্রিয় কিছু বই গিফট পাঠিয়েছেন! জাযাকিল্লাহু খাইর শুকতারা আপুমনি!
বই গুলো খুলে নতুন কাগজের গন্ধ শুঁকছিলাম, বই পড়ছি,পাশে উনার দেয়া আচার- এতো তৃপ্তি, এতো ভালবাসাময় ক্ষন সত্যি আমি অভিভূত। শ্রদ্ধায় আমি নুয়ে নুয়ে যাচ্ছি, উনার ভালোবাসার কাছে পরাজিত হতে পেরে এ কেমন আনন্দ তা আমার জানা নাই!
আমি জানি আমার প্রিয় বোনটি এই লিখাটি পড়বেন,যদিও তা সবার অন্তরালে, হয়তো আমরা কেউ জানবো না, উনি পড়বেন , অনুভূতি রেখে যাবেন ঠিক ঐ দূর আকাশের মিটি মিটি জ্বলা শুকতারার মতোন ........
বিষয়: বিবিধ
১৭৯২ বার পঠিত, ৭৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেশ থেকে আসার পর আর যোগাযোগ হয়নি শুকতারা আপুনির সাথে। অনেক অনেক বেশি ভালো লাগলো লেখাটা আপুমণি। এত্তোগুলা করে ভালোবাসা রইলো আপনাদের দুজনের জন্যই।
অাপু কথা হলেই তোমাদের সবার কথা নাম ধরে ধরে জিজ্ঞেস করে! কেমন আছো সবার খবর নেয়!
তা আপুনি, আপনি "তারা" আজ আকাশ থেকে নেমে ধরনীতে এলেন, এবার বলেন কি দিয়ে বাঁধব আপনার-আমার প্রান এই টুডেতে
তোমাদের দুজনের উপস্হিতি-একই বৃন্তে দুই ফুল আমাকে আবারো আবেগে আপ্লুত করলো,ভীশন ভালো লাগলো!
আরুমনিকেও এত্তোগুলো
একই বৃন্তে কুসুম দুটি
আমার চোখেও পড়লো ধরা
আর কতকাল চলবে ছুটি-
"মনটা আমার বাঁধনহারা" ? ? ?
তারার মেলায় বিমোহিত হলাম
জাযাকুমুল্লাহ........
আমার জন্যও আফ্রু একগাদা বই নিয়ে এসেছে। আমার পড়তে ইচ্ছে করে না। আপনার জন্য পাঠিয়ে দেবো। বসে বসে ঘ্রাণ নেবেন।
ঠিক আছে, পাঠিয়ে দিও,নতুন বইয়ের ঘ্রান আমার খুব পছন্দ!
শুনেছি যারা সারাক্ষন চুরিবিদ্যার ধান্দায় থাকে তাদের নাকি বই পড়তে ইচ্ছে করে না! তোমার মতোন পাকা...হওয়ার আগে আমি কিছুটা পড়ে নেই! কি বলো :
আপু ছোটবেলার কথা মনে পড়ে খুব বই দেখলে। আফ্রু পড়তো আর আমি শুয়ে শুয়ে শুনতাম। আহ! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমি
আমিতো শুকতারা আপুকে কত্ত বলি! উনি নাকি নিজেকে অফলাইনে রেখেই সবার লিখা পড়তে ভালোবাসে! আপনাদের সব্বাইকে খুব ভালো করে চিনে এবং খোঁজ নেয় প্রতিনি্যত ব্লগ বা ফেবু থেকে!
দেখি উপরের "দুই তারার" মতুন এই শুকতারাও কি এভাবেই ছিটকে চলে আসেন কিনা:
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
তাহলে এই যে বসলাম, না দেখা পর্যন্ত মানি নাহ, মান্বোনাহ...
তাহলে ব্লগেও অবস্থান ধর্মঘট কার্যকর হয় দেখছি!!
আল্লাহুম্মা যিদনা মুহাব্বাতিনা লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহি ﷺ
আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম কিন্তু...
সাবধান, চোখে খড়-কুটো পড়ে জল গড়াতে পারে কিন্তু
আন্তরিক শুকরিয়া
++++++++++++
আন্তরিক শুকরিয়া!
বন্ধুত্বতার স্বরুপ এমনই,কাছে-দূরে যেখানেই থাকুক বন্ধুত্বের স্নিগ্ধতা সদাই বিরাজ করে মনে।
বন্ধুদের কিছু দেয়া,তাদের থেকে স্মৃতির কিছু পাওয়া.......কখনো ভূলা যায় না।
আসাধারণ নান্দনিকতায় সুন্দর উপস্হাওনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ......
বই পড়া অনেক সময়-সাপেক্ষ, ভিডিও লেকচারগুলো খুব ভালো, তবে সব বিষয়ে সচরাচর সবার লেকচার পাওয়া যায় না।
আমার এখনো বই পড়তে বেশি ভালো লাগে! তবে আমিও প্রচুর লেকচার শুনি, বাংলায় অথেনটিক খুব কম ইংলিশে প্রচুর হলেও আমার উইক লিসেনিং এর কারনে কষ্টকর লাগে!
আন্তরিক শুকরিয়া ভাইয়া!
কতোদিন হলো এভাবে কেউ গিফট পাঠাইলোনা....
আন্তরিক শুকরিয়া ভাইয়া
@প্রিয়ন্তিপুনি - আপনিতো কাওকে গিফট করেন্নাহ্ তাই আপনার কথা কারো ভাবতে ইচ্ছে করেনাহ্
আশাকরি শুকতারা আপু এবার থেকে নিয়মিত থাকবেন আমাদের মাঝে!
@আরু- তুমি আছো হৃদয় মাঝারে ভগ্নি
@সূর্য- আফরোজা স্পেনেই আছে !
সব্বাইকে আন্তরিক ঝিলি মিলি মিটি মিটি শুভেচ্ছা ও শুকরিয়া
শুকতারা - ৪
বৃত্তমনি = শুকতারা - ৪ ।
মক্কার পথ আত্নজীবনীটা অনেক সুন্দর,অনেক চিন্তার খোরাক,নতুন নতুন আইডিয়া আছে।
আচ্ছা আপু,এই শুকতারা আপুটার সাথে মনেহয় একবার স্কাইপিতে মিট করেছিলাম, তাইনা?
হুম, একবার আমাদের হালাকাতে জয়েন করেছিলেন উনি
আমাদের মুত্তাকিনা ইমামা নুজহাত মামনি কে এত্তোগুলো আদর ও দোআ দিও
বহুদিন পর তোমাদের পেয়ে খুব ভালো লাগলো
বাবুটার জন্যও অন্নেক দোয়া আর ভালোবাসা রইলো।
সাঈয়েদ কতুবের ওপর লেখা বইটি আমার খুবই কাজে লেগেছে। লেখককে ব্যক্তিগত ভাবে জেদ্দায় ধন্যবাদ জানিয়েছি।
শুকতারাপুনিকে আমার পক্ষথেকে সালাম - আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ....... আমার জন্য দোআ চাই।
আশাকরি আল্লাহ রব্বুল আলামিন তোমাদের ভালো রেখেছেন!আন্তরিক দোআ ও শুকরিয়া
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি এখন। যাজাকিল্লাহু খাইর আপুনি, ভাইয়া, সারামণি ও আফনান মামার জন্যও অনেক দোআ।
আশাকরি এখন থেকে নিয়মিত পাবও আপুকে
আফ্রুকে ভিশন মিস করেছি আমরা
আপু আপনার নামগুলো হলোঃ
একটা সিরিজঃ
১, শুকতারা ১ -রোজাপু।
২, শুকতারা ২ - অন্তিপু।
৩, শুকতারা ৩ - গন্ধাপু ।
সালাম এর সাথে তোয়াম মানে এই ছোট্ট ছোট্ট ভাইদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করেন তা না হলে এই যে চকো চকো হাতুড়ি দেয়া হবে।(আরোহিপু থেকে শেখা আমার দোষ নাই )
আর সাদিয়াপুকে শুধু বই দিলেই কি হবে?
আমাদের এই ছোট্টছোট্ট ভাইগুলোকে বই দিতে হবেনা?
শুভকামনা
পড়ে কিছু বললে রেহনুমাপুর কথা বলে পালাবো।
১, শুকতারা ১ -রোজাপু।
২, শুকতারা ২ - অন্তিপু।
৩, শুকতারা ৩ - গন্ধাপু ।
এইতো কদিন আগেই ইসহাক খান ভাই হাদিয়া দিলেন দুটি বই।
তৌহিদুল ইসলাম তানিন ভাই হাদিয়া দিলেন আরেকটা বই।
আর রোজাপুর বই আমিও অনেককে হাদিয়া দিচ্ছি।
কিছুদিন আগে আমার এক দ্বীনি ভাইয়ের বিয়েতে অন্নেক বই হাদিয়া দিয়েছিলাম কি যে খুশি হয়েছিলো ভাইটি + ভাবিটি বই পেয়ে কত্ত কত্ত ফোন আর ম্যাসেজ দিয়েছেন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ। আলহামদুলিল্লাহ।
আমিও বই হাদিয়া পেলে প্রচন্ড আনন্দিত হই।
আপুর লেখার ফ্যান আমি অলটাইম। হা।
খুব ভালো লাগ্লো আপু শুকরিয়া।
আমার নিজের কাছেও বই গিফট করতে ভালো লাগে! হাদিয়ার মধ্যে বই এর স্হান সবচাইতে উঁচুতে মনে করি!
সূর্য ভাইটি আবার কান্না করে কেন?
নিয়মিত লেখা চাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন