আত্মসমর্পণ
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০২ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৫৬:১৬ সন্ধ্যা
অপরুপ সুন্দর এক প্রভাত নিয়ে প্রতিটি দিন আমাদের সামনে আসে অসংখ্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে , প্রতিদিনের প্রভাত যদিও নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় তবুও বছরের প্রতিটি দিন কিন্তু সমান নয়। দিনে এবং রাতে বছর ঘুরে ১২টি মাস আমাদের সামনে আসে। আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা এর মধ্যে চারটি মাসকে গুরুত্ব এবং মর্যাদার দিক দিয়ে করেছেন সম্মানিত, দিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্ব। আর আমরা এখন এরকম কিছু শ্রেষ্ঠ সময় অতিবাহিত করছি ।
পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে যত মুসলিম আছে এই পৃথিবীতে তাদের মধ্যে অসংখ্য মুসলিম আল্লাহর আহবানে সাড়া দিয়ে পৌঁছে গেছেন পৃথিবীর সবচাইতে প্রাচীন ঘর -মক্কায়! "মক্কা" শব্দটি শোনার সাথে সাথে অদ্ভুত এক প্রাণশক্তি শরীর মনকে ছুঁয়ে যায়, হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে আমাদের মুসলিমদের চির চেনা সোনালী অতীতের আদর্শ। সেই কালো গিলাফে আবৃত ঘর খানি মনের চোখে ভেসে ওঠে....
চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলেই আমাদের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে আসে পৃথিবীর দূর দূরান্তের নানা প্রান্ত থেকে আগত অসংখ্য মুসলিম যাদের আকার -আকৃতি, দৈহিক রং ও ভাষা, পোশাক -পরিচ্ছদ বিভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই নির্দিষ্ট দিনের হজ্জ সম্পাদন করার জন্য তারা একই রকম ইহরামের পোশাকে নিজেদের আবৃত করেছেন, লক্ষ-কোটি মুসলিমের একই পোশাক, একই বাণী তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে- লাব্বায়িক আল্লহুম্মা লাব্বায়িক। কি এক সুধা এই শব্দটিতে মন প্রাণ শরীর সমস্ত রুযু হয়ে পড়ে বিনয়ে এক মাত্র প্রভুর তরে! ঘুমন্ত মুসলিম সত্তা জাগ্রত হয়ে উঠে ইসলামী চেতনা ও আদর্শে! এ যেন শুধু ইবাদত নয় বরং সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে একীভূত করার, ভ্রাতৃত্বকে জোরদার করার এক মহা ইসলামিক সম্মেলন!
ইবরাহীম আ: এর জন্ম থেকে শুরু করে সমগ্র জীবন প্রতিটি মুসলিমের জন্য শিক্ষণীয় আদর্শ রয়েছে। উনি এমন এক পরিবেশে জন্ম নিয়েছিলেন যারা ছিল -গ্রহ, নক্ষত্র, মুর্তিপূজারি। কিন্তু মিথ্যা প্রভুর স্বীকৃতি দান, উপাসনা এবং মাথা নত না করার কারণে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে জীবন্ত পুড়ে মরার কঠিন পরীক্ষা তিনি অতিক্রম করছেন তারপরেও শীরক করেন নি! নিজ দেশ, মা,বাবা সব কিছু ছেড়ে হিজরত করেছেন অচেনা জায়গায় তরপরেও মিথ্যা শাসকের কাছ মাথা নত করেন নি! বৃদ্ধ বয়সে যখন একটি পুত্র সন্তান লাভ করলেন সেই সন্তান সহ স্ত্রীকে রেখে আসলেন জনমানবহীন মরু প্রান্তরে! হাজেরা আ: এর আল্লাহর উপর যে দৃঢ় ইয়াকীন - ভরসা ছিল তাও উল্লখযোগ্য! দুগ্ধপোষ্য শিশুকে সেই মরুময় প্রান্তরে প্রতিপালন করেছিলেন, যখন দারুণ পিপাসা তাঁকে পানির খোঁজে "সাফা" ও "মারওয়া' পাহাড়ে বারবার দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল তখনো তিনি আল্লাহ্র রহমতের উপরে অটল বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিলেন, আল্লাহ্র কাছেই পানির জন্য প্রার্থনা জানিয়েছিলেন।
জিবরীল আঃ এলেন এবং শুষ্ক মরুভূমিতে পানির একটি ঝর্ণা ধারা বইয়ে দিলেন-যা যমযম কূপ নামে খ্যাত। হাজেরা আঃ এর চরিত্র থেকে আল্লাহ্ আমাদের যে শিক্ষনীয় বিষয় রেখেছেন তা হলো, যে বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করতে এবং আল্লাহ্র রহমত থেকে কখনও নিরাশ না হতে। হাজেরা আঃ সাফা ও মারওয়া দৌড়ানোর ঘটনা হচ্ছে বিপদে ধৈর্য্য ধারণের প্রতীক। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য 'সাফা' ও 'মারওয়া' পাহাড় দুটির মাঝখানে সাতবার দৌড়ানো কিয়ামত পর্যন্ত ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য হজ্জ্বের বিধিবিধানে অত্যাবশকীয় করা হয়েছে।
ছোট ছেলে ইসমাঈল আঃ যখন ধীরে ধীরে বড় হলেন, আল্লাহ্র হুকুম হয় ইসমাঈল আঃ কে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য কোরবানী দিতে। ইবরাহীম আঃ এর নিকটি প্রিয় পুত্রের চাইতে আল্লাহর নির্দেশ ছিল অধিক প্রিয়! তিনি সেই নির্দেশকেই বাস্তবায়িত করেছিলেন। পরের ঘটনা আমাদের সবার জানা -কোরবানীর ইতিহাস !
প্রতি বছর আমরা অসংখ্য মুসলিম ঈদ ইদযাপন করি, কোরবানী করি কিন্তু কোরবানীর সাথে জড়িত এই ঈমানী চেতনা আজ আমাদের নেই! সকল ভালোবাসাকে,সকল চাহিদাক, চাওয়া পাওয়াকে আল্লাহর নির্দেশের কাছে কোরবানী করা আমরা আজো শিখিনি!
ইব্রাহীম আঃ এর ঈমানী এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা থেকে শিক্ষা অর্জন করাই মুসলিম হিসেবে আমাদের কাম্য। এই ঘটনাগুলি ছোটবেলা থেকেই আমরা জানি, যখন শুনি আবেগে আপ্লুত হই কিন্তু বাস্তবজীবনে সঠিক অর্থে প্রয়োগ করতে পারি কয়জন?
আমরা শিক্ষা গ্রহন করার পাশাপাশি অর্জিত জ্ঞানের উপর আমল করব, তা চারিত্রিক সম্পদে পরিনত করব -এটাই আল্লাহ আমাদের নিকট আশা করেন। কেননা জ্ঞানের ফলাফল প্রকাশ পায় কার্যগত ও চরিত্রগত শ্রেষ্ঠত্বে!
ইবরাহীম আঃ সফলতার সাথে অতিক্রম করেছিলন জীবনের সকল কঠিন পরীক্ষাগুলি। আল্লাহ উনাকে সন্মানিত করেছিলেন হানিফ-একনিষ্ঠ বান্দা'র সম্মানে। দান করেছিলন সমস্ত মুসলিমবাসীর ইমামত! ইব্রাহীম আঃ কে আল্লাহ্ ইহকালে সম্মান ও মাহাত্ম্য দান করেছেন এবং পরকালেও।
তিনি ছিলন এক অনুগত- আত্মসমর্পিত বান্দা! আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ছিল তার সমস্ত জীবন জুড়ে!
কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত মুসলিম তাঁকে স্মরণ রাখবেন। প্রতিদিনের ফজরের সালাতে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা'র যে প্রশংসাসূচক বানী দিয়ে আমরা সালাত শুরু করি আর তাশাহুদের বৈঠকে যে দুরুদ পড়ি নিজেরাও জানি না কি সুন্দর ভাবে আমরা আমাদের প্রিয় নবীর স্মরন প্রাত্যহিক ইবাদতে করছি !
আফসোস! আমাদের আমরা যারা জন্মসূত্রে মুসলিম! মুসলমানের একমাত্র মানদন্ড হচ্ছে আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ! ভেবে দেখতে হবে, আমরা ব্যক্তিগত জীবনে ও জাতীয় জীবনে আল্লাহ্র এই ইচ্ছার প্রতিফলন- পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে পারছি কিনা? যদি না পেরে থাকি তবে অবশ্যই আল্লাহ্র কঠিন আযাবে আমরা পতিত হব!
হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না ৷ হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷ আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো। আমিন!
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ৬৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
শুভকামনা সহ শুভেচ্ছা রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন!
হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না ৷ হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷ আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো। আমিন!
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
রঙে রঙে যদি হয় মনটা রঙিন
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
এর জন্যই এত মারা মারি, হানা হানি ,অরাজকতা , অশান্তি দুনিয়া জোড়া । অনেক ভাল লেগেছে আপু ।
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
স্মরণ করিয়ে দিলেন
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
অগ্রীম শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ব্যক্তি ও সমাজ জীবন ত্যাগের আলোকে উদ্ভাসিত হোক
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো
যত্ন করে তুলে রাখলাম
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
আজকের এই মূল্যবান দিনটিতে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো আপু!
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
আজকের এই মূল্যবান দিনটিতে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো
প্রশ্ন: বছরের সন্মানিত মাস কয়টি? কি কি: টেস্ট নিচ্ছি মনোযোগ দিয়ে পড়া হলো কিনা বুঝার জন্য!
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
যাক, উত্তরটা জানার জন্য একটু ঘুরে নাও জ্ঞানের জগতে!
১) জিলক্বদ, ২) জিলহজ্ব, ৩)মহররম এবং ৪) রজব! এই চারটি মাস সন্মানিত! মনে থাকে জেনো!
স্টিকি পোষ্টের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা বোন।
ফুল সমেত শুভেচ্ছার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ভাই!
আজকের এই মূল্যবান দিনটিতে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো
আল্লাহপাক আমাদের সবার নেক ইচ্ছে পুরণ করুন-আমীন।
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
আজকের এই মূল্যবান দিনটিতে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
জাযাকিল্লাহু খাইরান আপু।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
ঈদ মোবারক প্রিয় আপু!
আজকের এই মূল্যবান দিনটিতে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
!
আপনাকে ইদানিং খুব কম দেখছি! ভাবী ভালো আছেন তো? আজকের মূল্যবান দিনে দোআয় শামিল রাখার আবেদন রইলো! কষ্ট করে সময় নিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া আপনাকে!ভাবীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানাবেন ভাই
[মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ি ৩০০৩, ইবন মাজাহ ৩০১৫]
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গুনাহ থেকে মাফ করুন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন! আমীন
কোটি টাকার গরু দিয়ে কোরবানী কবুল হবেনা, নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে।সমাজে খুব কম সংখ্যক মানুষ আছে যারা শুধু আল্লাকে খুশি এবং তাকওয়াবান হইতে কোরবানীর পশু জবাই করে। কোরবানীর পশু কেনা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।সত কাজে প্রতিযোগিতা ইমানের দাবী। মানুষ কোরবানীর ঈদে তাই করে, তবে উদ্দেশ্য ভিন্ন। এই জন্যো যে, লোকে বাহ বাহ দিবে, বলবে, লোকটাকে আল্লাহ ধন দিয়েছেন, মন ও দিয়েছেন, কোটি টাকায় গরু! তাক লাগিয়ে দিল, শোনিয়া গর্বে বুক ফুলে উঠবে। প্রতিবছর অন্তর অন্তর দামী গরু কোরবান দিয়ে সমাজে সম্মানীয় অবস্থান সুসংহত করবে। লোকের বাহ বাহ নয়, কবুলিয়াতের জন্য চাই বিশুদ্ধ নিয়ত।
ঈদে কোরবানিকে সবার জন্য খাস করা হয়নি, তারাই দিবে যারা সামর্থ রাখে। সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে, চুলার দ্বারে বিড়াল ঘুমায় রান্না হয়না বলে, তারাও ঝাপিয়ে পড়ে পশু কেনায়। ধার কর্জে টাকা ম্যানেজ করে কোরবানীর পশু কিনে। কোরবানী না দিলে সমাজে ইজ্জত বাঁচেনা! আল্লাহ যেখানে তাদের ছাড় দিয়েছেন, সেখানে তারা দারিদ্রতা সত্ত্বেও নিজেদের উপর বোঝা চাপিয়ে নেয়। তবু যদি উদ্দেশ্য হয় আল্লাহকে খুশি করা, কতইনা ভাল।সমাজে সম্মান বাঁচানো যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে ধার কর্জের বোঝা এবং রিয়া তথা লোক দেখানো ইবাদতের ধরুন আল্লাহর বিরাগভাজন দুটোই হতে হবে। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। খুব সুন্দর লিখেছেন, পাঠকরা উপকৃত হবে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন! আমীন!
এত সুন্দর দোয়ার পর আর কি কোন কথা চলে?
আল্লাহ আমাদের চলার পথ সহজ করে দিন, আমিন।
ঈদ মোবারক সবাইকে, মুকিম ভাই বাদ নয়।
শুকরিয়া ভাই!
আল্লাহতায়লা যেন একবারের জন্য হলেও নসিব করেন সেই মহামিলনের সুযোগ।আমরা যেন সত্যিই হজ্জের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি।
শুকরিয়া রিদওয়ানভাই!
শুকরিয়া বৃত্তাআপু!
আশাকরি ভালো আছেন! আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুন!শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন