রমজান আলোচনা: সূরা মূলক

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ১৭ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২০:১১ সন্ধ্যা



আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ! সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার জন্য, দরূদ ও সালাম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর!

বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, দয়াময় পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ করছি।

১) বরকতময় তিনি ,যার হাতে রয়েছে সর্বময় কর্তৃত্ব সকল বিষয়ের উপরে তিনি সর্বশক্তিমান ;

২)তিনিই সৃষ্টি করেছেন মরণ এবং জীবন যেনো তিনি পরীক্ষা করতে পারেন তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম এবং তিনি ক্ষমতায় পরাক্রমাশালী ও ক্ষমাশীল।

৩)তিনিই স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ ,তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে কোন ত্রুটি দেখতে পাবে না। সুতারাং পুণরায় তোমার দৃষ্টিকে ফেরাও, [ দেখ ] কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?

৪)পুণরায় বারে বারে তুমি দৃষ্টি ফেরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে ।

৫। আর নিশ্চয় আমি [ দুনিয়ার ] নিকটতম আসমানকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং এই সব [ প্রদীপকে ] করেছি শয়তানকে বিতাড়ণের ক্ষেপনাস্ত্র এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।

৬। যারা তাদের প্রভু [ ও প্রতিপালককে ] প্রত্যাখান করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। উহা অতি মন্দ গন্তব্যস্থল।

৭। তাদের যখন সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তার ভয়ানক গর্জনের শব্দ শুনতে পাবে

৮)যেনো ক্রোধে ফেটে পড়বে। যখনই কোন দলকে উহাতে নিক্ষেপ করা হবে, ইহার রক্ষীরা জিজ্ঞাসা করবে, " তোমাদের নিকট কি কোন সর্তককারী আসে নাই ? "

৯। তারা বলবে, " হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের নিকট একজন সর্তককারী এসেছিলো, কিন্তু আমরা তাকে প্রত্যাখান করেছিলাম এবং বলেছিলাম, আল্লাহ্‌ কোন [ প্রত্যাদেশ ] প্রেরণ করেন নাই। তোমরা তো মহা বিভ্রান্তিতে রয়েছ।

১০)তারা আরও বলবে, " যদি আমরা শুনতাম অথবা আমাদের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা এখন জ্বলন্ত অগ্নিবাসীদের দলভূক্ত হতাম না।"

১১। অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে এ দোযখবাসীদের ওপর আল্লাহর লানত৷

১২। যারা আল্লাহকে না দেখেও ভয় করে তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং মহাপুরষ্কার।


সূরা পরিচিতি: সূরা মূলক অর্থ রাজত্ব, প্রভুত্ব, সার্বভৌমত্ব। আয়াত সংখ্যা : ৩০। এটি মাক্কী সূরা।

বিষয় বস্তু: মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে মানুষের আধ্যাত্মিক জীবন।পরলোকের অনন্ত জীবনের তুলনায় ইহলোকের অস্তিত্ব ছায়ার মতোন। বাইরের চাকচিক্যময় পার্থিব জীবন ও গভীর আধ্যাত্মিক জীবনের তুলনার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। একই সাথে মানুষের বেপরোয়া মনোভাব ও অমনোযোগিতা দূর করা, ভেবে চিন্তে দেখতে বাধ্য করা এবং ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এ সূরাটিতে।

পবিত্র কোরআন আল্লাহ তা‘আলার সুদৃঢ রজ্জু। আল্লাহ তা‘আলার প্রজ্ঞাময় আলোচনা। আমাদের কর্তব্য এ কুরআন শিক্ষা করা, নিয়মিত এর তিলাওয়াত করা, কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আামাদের সবাইকে আহলুল কোরানের অধিকারী হওয়ার তৌফিক দান করুন! আমীন।

সূরা মূলক ২৯ পারার প্রথম সূরা। আমরা প্রত্যেক মুসলিম সূরাটির সাথে পরিচিত আছি আলহামদুলিল্লাহ! আজ আবার একটু অধ্যয়নে মনোনিবেশ করি সবাই মিলে ইনশা আল্লাহ!

সূরার ১-৫ নং আয়াতে আমাদের এ অনুভূতিকে জাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, আমরা যে বিশ্বলোকে বাস করছি তা এক চমৎকার সুশৃংখল ও সুদৃঢ় সাম্রাজ্য। হাজারো তালাশ করেও কোন রকম দোষ-ত্রুটি , অসম্পূর্ণতা, কিংবা বিশৃংখলার সন্ধান এখানে পাওয়া যায় না। মহান আল্লাহ এর অস্তিত্ব দান করেছেন , এর পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও শাসনকার্যের সমস্ত ইখতিয়ার নিরংকুশভঅবে তারই হাতে। তিনি অসীম কুদরতের অধিকারী। মানুষকে উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং পৃথিবীতে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। শুধু আমলে সালেহ বা সৎকর্ম দ্বারাই এ পরীক্ষায় সফলতা লাভ করা সক্ষম।

সূরার ৬-১১ নং আয়াতে মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মহান আল্লাহ তাঁর নবী রাসুলদের পাঠিয়ে এ দুনিয়াতেই আখিরাতের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে সামাধান করে দিয়েছেন। তারপরেও পৃথিবীতে নিজেদের আচরণ ও চাল-চলন সংশোধন না করা হয় তাহলে আখেরাতে নিজেদের কৃতকর্মের খারাপ ফল ভোগ করতে হবে।

তাফসীর:

১)বরকতময় তিনি, যার হাতে রয়েছে সর্বময় কর্তৃত্ব সকল বিষয়ের উপরে তিনি সর্বশক্তিমান ; এই আয়াতে আল্লাহ নিজের প্রশংসা করছেন "তাবারকা" শব্দ দিয়ে। তাবারকা এসেছে বারাকাত শব্দ থেকে। যার শাব্দিক অর্থ কল্যান , মংগল। ইংরেজীতে বলতে পারি Blessing, Benefit, plentitude.

অভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কল্যান, কল্যানের স্থায়িত্ব,কল্যানের প্রাচুর্য, যথেস্ট হওয়া। কোরানে অনেক আয়াত আছে যেখানে আল্লাহ নিজকে তাবারাকা বা বরকত ময় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা যখন বলি আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালা এর অর্থ আল্লাহ বরকতময় বা পূন্যময় সুমহান, সর্বোচ্চ ও মহান প্রাচুর্যের মালিক ।

যার হাতে রয়েছে সর্বময় কর্তৃত্ব , সকল বিষয়ের উপরে তিনি সর্বশক্তিমান

যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব -- আল্লাহ্‌ যিনি মহাবিশ্বের একমাত্র প্রভু এবং নিখিল বিশ্বের সকল ক্ষমতার একমাত্র অধিকারী।আল্লাহর হাতেই রয়েছে সর্বময় রাজত্বের একচ্ছত্র অধিপতি! এই পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহ তায়ালার!এ গোটা বিশ্ব-জাহান তাঁরই সাম্রাজ্য ৷ তিনি একে সৃষ্টি করে দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বরং তিনিই এর শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন ৷ এই শাসন ও কর্তৃত্বে অন্য কারো আদৌ কোন অংশ বা অধিকার নেই ৷ এই বিশ্ব-জাহানের কোন জায়গায় কেউ যদি সাময়িকভাবে সীমিত পর্যায়ে ক্ষমতা কিংবা মালিকানা অথবা শাসন কর্তৃত্ব লাভ করে থাকে তাহলে তা তার নিজের শক্তিতে অর্জিত ক্ষমতা ও ইখতিয়ার নয় বরং আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা ও ইখতিয়ার ৷ আল্লাহ যতদিন চান ততদিন তা তার অধিকারে থাকে এবং যখনই চান তা তার নিকট থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেন ৷আল্লাহ মানুষকেও একটি দায়িত্ব দিয়ে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর পাঠানো বিধান অনুযায়ী রাজ্য পরিচালনা করব!

"সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান " - বাক্যটি দ্বারা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ তাঁর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখেন ; পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাঁকে বাধা দান করতে সক্ষম নয় ।

আসুন এই সূরার প্রথম আয়াতটির প্রথমাংশ নিয়ে একটু আলোচনা করি! একটু চিন্তা করি, আমাদের চিন্তা চেতনা ও জীবনাদর্শের সাথে মিলিয়ে দেখি!

تَبَارَكَ الَّذِي বরকতময় তিনি-

আমরা প্রত্যেকেই আমাদের জীবনে বারাকাহ'র অনুসন্ধানী! কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ যে সব স্থান বা উৎস থেকে বারাকাহ সন্ধান করে তা জেনে হো বা না জেনে হোক অনেক ক্ষেত্রেই তা শিরকের দিকে ধাবিত করে মানুষকে!

বরকত হাসিলের জন্য বায়োজিদ বোস্তামীর মাজারে গিয়ে পুকুরের পানি মাথায় দেয় বা পান করে যার ফলে তারা আশাকরে এটা তাদের মেধা শানিত করবে বা জীবনে সোভাগ্য নিয়ে আসবে!

অনেকে বাড়িতে মানি প্লান্ট গাছ লাগায় এই গাছ বাড়িতে থাকলে নাকি তা টাকা আনয়ন করে!

অনেকে বিভিন্ন পাথর, জড়বস্তুর সাহায্য বা কোন পূন্যবান ব্যক্তির স্পর্শ , কোন খাবার( অনেক মাহফিল শেষে যে খাবার দেয়া হয় তাকে বলে তবারক - যা খেলে কল্যানের কারন হবে) অনেক দোকানে কোন লোহা ঝুলিয়ে রাখে, পরিবহন বাসএ কিছু বেঁধে রাখে এ ধারনায় যে এটা তাকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে! এরকম অসংখ্য বিষয় আমরা দেখি মানুষ ভুল উৎস থেকে বারাকাহ'র অনুসন্ধান করে!

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের জন্য বারাকাহ রেখেছেন এরকম শরীয়ত সমর্থিত কিছু প্রমান বা উপায় রয়ছে যেমন-

জমজমের পানি! হাদীস থেকে জানা যায় এ পানি বরকতময় পানি! সাহাবীগনএ পানি পান করে দোআ করতেন ।

কিছু স্থান যেমন মসজিদুল হারাম। মক্কায় অবস্থিত ঘর বরকতময় স্থান! এছাড়া মসজিদে নববী, মসজিদে মাকদিস এগুলো বরকতময় স্থান এর অর্থ এ স্থানে ইবাদাহ করলে আল্লাহ অনেক বেশি সওয়াব দেন! কিন্তু এ স্থানের মাটি,পাথর, গাছ এগুলো ব্যবহার করে, গায়ে মেখে এ থেকে বারাকাহ নেয়া যাবে না!

কিছু সময় যেমন রমাদান এবং রমাদানের লাইলাতুল কদর। আমরা জানি এ রাতের ইবাদাহ হাজারমাসের চেয়ে উত্তম। সাহরী খাওয়াও বারাকাহ লাভের উপায়।

কোরআন ও হাদীস থেকে জানতে পারি জিলহজ্বের প্রথম দশ দিন,জুমার দিন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বরকত ময় অর্থাৎ এ সময়গুলোতে করা ইবাদাতের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ, দোআ কবুল হওয়া, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় হয়।

আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে বারাকাহ অনুসন্ধান করতে হবে আল্লাহ তাবারক ওয়া তায়ালার নিকট! এটা একধরনের ইবাদত। আমাদের এমন উপায় অবলম্বন করতে হবে যার ভিত্তি কোরআন ও সুন্নাহ সমর্থিত! তাই সব ক্ষেত্রেই কোরআন ও সুন্নাহর দলীল থাকতে হবে। মনগড়া বা ভিত্তিহীন কোন পন্থা দিয়ে নয়, বিদায়াত অনুসরন করে নয় বরং আমরা শরীয়ত অনুমোদিত পন্থায় আমাদের জ্ঞান, আমাদের সময়, আমাদের আমল দিয়ে বারাকাহ অনুসন্ধান করব ইনশা আল্লাহ!

আমরা প্রত্যেকেই নিজ জীবনের দিকে লক্ষ্য করলে সহজেই বুঝতে পারি আমাদের জীবনে সব সময় একটা হাহাকার -নাই নাই ভাব লেগেই আছে! এর একমাত্র কারন আমাদের জীবনে বারাকাহ'র অভাব। কিভাবে আমরা বারাকাহ লাভ করব?

দোআ - মুমিনের শক্তিশালী অস্ত্র। আমরা রাসুল সা: এর জীবনে দেখতে পাই উনার করা অসংখ্য আমল যা বারাকাহ প্রত্যক্ষ করা যায়।

মুসলিম ভাই বোন যখন পরষ্পর সাক্ষাত করে তখন যে সালাম দেয় "

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ" _-আপনার উপর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সালাম, রহমাহ ও বারাকাহ বর্ষিত হোক।

যখন কারো দ্বারা উপকার লাভ হয় তখন আমরা যে বলি " বারাকাল্লাহু ফিক" - তোমার জন্যও অনুরুপ বারাকাহ"

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত শেষে এবং সকাল সন্ধায় অনেক তাসবীহ আমরা পড়ি যা থেকেও বারাকাহর দোআ করা হয়!

اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!( মুসলিম)

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”( তিরমিযী আহমাদ)

আল্লাহ তাবারক ওয়া তায়ালার নিকটি আমাদের জীবনের যাবতীয় বারাকাহ অনুসন্ধান করতে হবে, যার হাতে সকল কতৃত্ব, যিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান! জীবনে অসংখ্যবার এই আয়াত আমরা তিলাওয়াত করেছি , একবার যদি প্রকৃত অর্থে আয়াতের গভীরে প্রবেশ করে মনোনিবেশ করি, চিন্তা করি এই একটি আয়াত পারে আমাদের জীবনকে বরকতময় করে তুলতে, আয়াতের মহিমা বুঝতে এবং বাস্তব জীবনে তা সঠিক অর্থে প্রয়োগ করতে ইনশা আল্লাহ!

( কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা করার বা আলোচনা করার জন্য যে জ্ঞান, মেধা , যোগ্যতা প্রয়োজন তার কোনটাই আমার নেই! বিভিন্ন তাফসীর ও লেকচারের সহায়তা নিয়ে এ পথ চলার প্রয়াস! ভুল ত্রুটির জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী! একটি আয়াত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকছি, পরবর্তী তে বাকি আয়াতগুলো নিয়ে লিখব ইনশা আল্লাহ! কষ্ট করে পড়ার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া ! আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান ও বারাকাহ দান করুন)

বিষয়: বিবিধ

১৬৬৪ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

245505
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : মাশ-আল্লাহ খুব সুন্দর ও শিক্ষনীয় পোস্ট! আল্লাহ আপনার হাতকে আরো প্রসারিত করুন তার প্রসংশা লিখতে
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩২
190791
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অনুপ্রেরনমূলক মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া আপু! দোআ করবেন সঠিকভাবে আমল করার জন্য!দোআ প্রার্থীGood Luck Love Struck
245508
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৩
190792
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়াGood Luck
245519
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
আফরা লিখেছেন : আমীন ।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৩
190793
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অসংখ্য শুকরিয়া! Good Luck
245544
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:২৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : সুবহানয়াল্লাহ অসাধারণ অভিব্যক্তি ও দারুন দরদী প্রকাশভঙ্গীর অনুপম সৌন্দর্যের সমাহারে সাজানো আকর্ষণীয় বিশ্লেষণে মনটা একেবারে ভরে গেল। মহান রাব্বুল আলামীন আপনার নেক মানসকে আরও প্রস্ফুটিত ও বিকশিত করুণ আমাদের সকলের কল্যাণে। এটাই প্রার্থনা। Rose Rose Rose
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৪
190795
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অনুপ্রেরনায় ছোঁয়ায় ভরে গেল অন্তরটা!কস্ট করে পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া!Good Luck Love Struck আমীন!
245577
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৮
ভিশু লিখেছেন : সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পড়ার মতো একটি অনন্য লিখা! বিস্ময়কর কুরআনের সূরা মুল্‌কটি সত্যিই মুক্ত মনগুলোর মধ্যে সৃষ্টি নিয়ে ভাবনা, মহান রবের শক্তি ও ক্ষমতা এবং ঈমান বৃদ্ধির জোয়ার বইয়ে দেয়! আর এতে বর্ণিত আখিরাতে পুনরুত্থানের প্রায় সচিত্র প্রতিবেদনটি সৌভাগ্যবানদের অন্তরে সৃষ্টি করে তাকওয়ার এক তুমুল আলোড়ন! অনেক ওন্নেক শুকরিয়া শ্রদ্ধেয়া সাদিয়া আপুজ্বিকে! কন্টিনিউ প্লিজ..Praying Good Luck Happy Rose
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
190796
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মহান রবের দরবারে আমাদের জন্য দোআ করতে ভুলবেন না আশাকরি! আল্লাহ আমাদের তাঁর কালাম পড়ার, বুঝার ও বাস্তবে পালন করার তৌফিক দান করুন! অসংখ্য শুকরিয়াGood Luck
245585
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১২
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : অত্যন্ত জ্ঞানগভীর লেখা। যত বার পড়া হবে,ততবারই উপকার পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লাহু খইর।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৭
190797
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক! দোআ প্রার্থীGood Luck
245590
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সংক্ষিপ্ত কিন্তু শিক্ষনিয় এই সুন্দর আলোচনাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।আল্লামা ইকবাল তার "জওয়াব ই শিকওয়া" তে বলে ছিলেন সুরা-মুলক এর অনুসরনে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টিত করাই মুসলিম এর কর্তব্য।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৭
190798
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অসংখ্য শুকরিয়া সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্যর জন্য!Good Luck
245600
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৪০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : মাশা আল্লাহ সুন্দর আলোচনা
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৮
190799
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়া সাথে থাকার জন্যGood Luck
245609
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:০২
হককথা লিখেছেন : যাজাকাল্লাক খাইর, সুন্দর আলোচনা। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকেই কুরআন থেকে শিক্ষা নেবার এবং সে মতই জীবন পরিচালনার তওফিক দিন, আমিন।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৮
190800
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক! সুন্দর দোআয় আমীন!Good Luck
১০
245627
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৯
শারমিন হক লিখেছেন : ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ ।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৯
190801
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অন্নেক শুকরিয় আপু! ভালো লাগলো আপনাকে পেয়ে! Good Luck Love Struck
১১
245629
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ আপু। এই সূরার অনেক ফযীলত রয়েছে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। ইনশা আল্লাহ সাথে আছি Rose Good Luck
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৪১
190802
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ওয়া ই্য়্যাকি! Love Struck প্রতি আয়াতের হাকীকত বুঝে আমল করার মাঝেই ফজিলত নিহিত! আল্লাহ আমাদের উত্তম আমল ও প্রতিদান দান করুন! দোআ প্রাথী আপুনিGood Luck Love Struck Angel Praying
১২
245663
১৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাল লাগল, আরও লিখুন৷ ধন্যবাদ৷
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
191617
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়া!Good Luck
১৩
245711
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ আামদেরকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করে দিন।।
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
191618
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমীন! অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই আপনাকে!Good Luck
১৪
246515
২১ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৭
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
Rose Rose Rose Rose
বার বার পড়া যায় এমন একটি লেখা। জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck

"যদি আমরা শুনতাম অথবা আমাদের বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা এখন জ্বলন্ত অগ্নিবাসীদের দলভূক্ত হতাম না।" (৬৭:১০)

২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
191622
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক!

"আল্লহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আঊযুবিকা মিনান্নার"

অনেক অনেক শুকরিয়াGood Luck
১৫
246641
২১ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : Allohumma Ameen!!
SUBHAN Allah!!
Alhumdulillah!! MASHA Allah apuni ! The precious "baraqah" that we are missing every day! Jazakillah khoir apu for once again pointing out where the REAL BARAQAH can be found!
May Allah put baraqah in your writing, in your dawah & in every effort that you make to get closer to Allah apuni!
Fee amanillah! Happy
২১ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
191623
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপুনির মন্তব্যটা পড়ে তো মনটা ভরে গেলো যে!!Love Struck Love Struck

আমীন! ইয়া রব্ব! নিশ্চয় মালাইকাগন বলছেন শারিন মনির জন্য ও অনুরুপ!! Love Struck Angel Praying

শুকরান আপুনি!Love Struck Angel Good Luck Praying
২৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩২
192318
শারিন সফি অদ্রিতা লিখেছেন : আমীন আমীন Praying Praying
আপুণির টা পড়ে তো মন আরো ভরে গেলো! ফী আমানিল্লাহ্‌ আপু
১৬
260552
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সূরা মূলক তিলাওয়াত এর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
এখন মনে পড়লো আমার সাথে আপনিও নেকির ভাগি হবেন ইনশাআল্লাহ।
আমি এই পোষ্টটির জন্য মূলক তিলাওয়াত করতে যাচ্ছি।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:২৮
204303
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মাশা আল্লাহ! এরকম ভাইদের ই তো আজ প্রয়োজন পড়বে, আমল করবে অন্যকেও সওয়াব লাভের সুযোগ করে দিবে! অন্নেক দোআ রইলো ভাইটির জন্য! আমি নিজেও দোআ প্রার্থী সঠিকভাব আমল করার জন্য! Praying Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File