দোআর সমাহার ( ব্যক্তিগত)
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ০৩ জুলাই, ২০১৪, ০৩:২১:৪২ রাত
আসসলামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আশা করি প্রত্যেকেই রমাদানের সিয়াম পালনের গুরুত্বপূর্ন মুহূর্ত গুলি পার করছি আল্লাহর সন্তুষ্টি, ক্ষমা ও জাহান্নামের মুক্তি থেকে বাঁচার আশায়! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সৎ আমলগুলি কবুল করে নিন!
অনেক বোনরা ফোন করে জানতে চাইছিলেন রমাদানে বেশি সওয়াব অর্জনের জন্য কোন আমল করবেন, কি দোআ পড়বেন, কখন পড়বেন! কিছু বইয়ের রেফারেন্স দেয়ার পর ভাবলাম আমি নিজে প্রাত্যহিক যে দোআগুলি পড়ার চেস্টা করি তার একটা সংক্ষিপ্ত নোট করি- তার পথ ধরেই এ দোআর সমাহার!
আসলে আল্লাহ'র নিকট আমাদের চাওয়ার কোন শেষ নেই! আল কোরআনে অসংখ্য দোআ আছে যা আমাদের জানা এবং চাওয়া খুবই জরুরি ! আমাদের উচিত প্রতিটা হাজত বুঝা এবং সে অনুযায়ী চাওয়া! দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বিনয়ের সাথে সঠিক জিনিস চাইলে তিনি আমাদের দিবেন ইনশা আল্লাহ! আর রমাদান তো দোআ কবুলের উত্তম সময় তাই আমাদের অযথা সময় নস্ট না করে দোআ করা উচিত।
কোরআনে বর্ণিত কিছু দোয়া ;
১)দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া;
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও। আর আমাদেরকে দোজখের আজাব থেকে রক্ষা কর। (সুরা: আল্ বাকারা, ২০১)
২) পিতা মাতার জন্য দোয়া;
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
"হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন৷ "( আল ইসরা;২৪)
৩) হিসাব সহজকরন ও পরিবার প্পরিজনদের সালাতকায়েম করার দোয়া;
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
হে আমার রব আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী করো এবং আমার বংশধরদের থেকেও ।হে পরওয়ারদিগার! আমার দোয়া কবুল করো ! হে পরওয়াদিগার! যেদিন হিসেব কায়েম হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সমস্ত মুমিনদেরকে মাফ করে দিয়ো৷ (ইবরাহীম ৪০)
৪) নিজের জন্য গুনাহের ক্ষমা চাওয়ার দোয়া;
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করেছি৷ এখন যদি তুমি আমাদের ক্ষমা না করো, এবং আমাদের প্রতি রহম না করো, তাহলে নিসন্দেহে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো ৷"(আরাফ)
৫)স্বামি/স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য দোয়া;
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
“ হে আমাদের রব ! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম৷” (ফুরকান ৭৪)
৬) গুনাহ মাফের দোয়া;
رَبَّنا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنا وَ ارْحَمْنا وَ أَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمينَ
হে আমাদের রব্! আমরা ইমান এনেছি, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, আর তুমিই সর্র্বোত্তম অনুগ্রহকারী। (সুরা: আল্ মুমিনুন-১০৯)
৭) হিদায়াতের পথে থাকার দোয়া;
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
‘‘হে আমাদের রব!যখন তুমি আমাদের সোজা পথে চালিয়েছো তখন আর আমাদের অন্তরকে বক্রতায় আচ্ছন্ন করে দিয়ো না, তোমার দান ভাণ্ডার থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করো কেননা তুমিই আসল দাতা৷ (ইমরান ৮)
৮) জান্নাতে ঘর লাভের দোয়া;
رَبِّ ابْنِ لي عِنْدَكَ بَيْتاً فِي الْجَنَّةِ "হে আমার রব্! আপনার সন্নিকটে জান্নাতের মধ্যে আমার জন্যে একখানা ঘর নির্মাণ করুন "(তাহরীম ১১)
৯)সবর এবং মুসলিম হিসেবে মৃত্যুর দোয়া;
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ "
অর্থঃ "হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর"[সূরা আ'রাফ, আয়াত ১২৬]
১০) গুনাহ মাফ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া;
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গোনাহখাতা মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাচাঁও ৷(আল- ইমরান ১৬)
৫ ওয়াক্ত সালাতের সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ-
-(১)
(আস্তাগফিরুল্লা-হ) (তিনবার) “আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
«اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ».
(আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)।
“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!( মুসলিম)
(২)-
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [তিনবার] একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” বুখারী
(৩)
-اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ».আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
“হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।(মুসলিম)
(৪)
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ, لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ-দীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে (মুসলিম)
(৫)
«سُبْحَانَ اللَّهِ،(৩৩ বার) وَالْحَمْدُ لِلَّهِ،(৩৩ বার) وَاللَّهُ أَكْبَرُ» (৩৩ বার) পড়ে পড়তে হবে –
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (মুসলিম)
৬-
প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস: (আবু দাঊদতিরমিযী,)
৭-
মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর উপরোক্ত যিকর ১০ বার করে পড়তে হবে
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান)। “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”( তিরমিযী আহমাদ)
৮-
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَّبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
রদ্বীতু বিললা-হে রববাঁও ওয়া বিল ইসলা-মে দীনাঁও ওয়া বিমুহাম্মাদিন্ নাবিইয়া।
অর্থ: আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহর উপরে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামের উপরে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদের উপরে নবী হিসাবে’।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তি এই দো‘আ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে’।(আবুদাঊদ)
৯-
اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِىْ الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ
আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)।
অর্থ : হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও!( তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত)
আল্লাহর নিকট জান্নাত চেয়ে দো‘আ করলে জান্নাত তখন আমীন আমীন বলে সমর্থন করে। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি ৩ বার আল্লাহর নিকট জান্নাত চায়, জান্নাত তখন বলে: হে আল্লাহ্! ঐ ব্যাক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ৩ বার জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চেয়ে দো‘আ করে, জাহান্নাম বলে: হে আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দাও। [তিরমিযি, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ এটি বর্ণনা করেছেন, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন]।
১০-
আয়াতুল কুরসী পড়া।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
প্রত্যেক ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতীত’ (নাসাঈ)।
আর শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযু্ক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে’ (বুখারী)
১১-
اَللَّهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَ أَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বেহালা-লেকা ‘আন হারা-মেকা ওয়া আগ্নিনী বেফায্লেকা ‘আম্মান সেওয়া-কা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন! (তিরমিযী, বায়হাক্বী)
সাইয়েদুল ইসতিগফার ; রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন,
“যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।” (বুখারী)
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ:“আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী,লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাকতানী ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আউযুবিকা মিন শার্ রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযামবী ফাগ্ ফির্ লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা”
অর্থঃ “হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রতিপালক,তুমি ছাড়া প্রকৃত এবাদতের যোগ্য কেউ নাই।তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার গোলামআর আমি সাধ্যমত তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের উপর অবিচল রয়েছি।আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি।যত অপরাধ করেছি সুগুলোও স্বীকার করছি।অত:এব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।”
সংগৃহিত: হিসনুল মুসলিম
বিষয়: বিবিধ
১৮১৭ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকিল্লাহ খইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন