প্রোডাক্টিভ রমাদানঃ রিভিউ কোরআন
লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ২৭ জুন, ২০১৪, ০৭:৩৮:৪৫ সকাল
আসসালামুআ'লাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ! বহু প্রতীক্ষিত রমাদানের নতুন চাঁদ আমাদের দ্বার প্রান্তে কড়া নাড়ছে প্রায়! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে উত্তম আমলের দ্বারা রমাদানের যোগ্য মেহমানদারী করার তৌফিক দান করুন!
কোন পরিকল্পনা তা যতই সুন্দর ও আদর্শ হোক না কেন ততক্ষন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষন না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাংখা! আমরা যদি দৃঢ় আকাংখাই পোষন করতে না পারি, তা বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করি আল্লাহ কিভাবে আমাদের সাহায্য করবেন? আমাদের অবস্থার পরিবর্তন করবেন?
আমরা রমাদান পেতে যাচ্ছি ইনশা আল্লাহ, একটু চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো, আমাদের আশেপাশে এমন কতো মা,বাবা,ভাই বোন, আত্নীয় স্বজন, প্রতিবেশী অনেকেই যারা গত রমাদানে আমাদের সাথে ছিলেন, রমাদানে সিয়াম পালন করেছেন আর এই রমাদানে উনারা আজ অন্ধাকার কবরবাসী হয়ে আছেন ! শুধু যদি চিন্তা করি আজকে ঐ অন্ধকার কবরে শায়িত সেই ভাইটি সেই বোনটিকে যদি কোন সুযোগ দেয়া হতো এই পৃথিবীতে ফিরে আসার তাহলে উনারা আজ কিভাবে ইবাদাতে নিজেদের নিয়োজিত রাখতেন? কি পরিমান সালাহ ,সিয়াম , সাদাকাহ এর মাধ্যমে আমলের পরিমান কতখানি বাড়িয়ে নিতেন উনারা ? নাহ সেই সুযোগ আর উনাদের দেয়া হবে না!
এই অন্ধকার কবরের অধিবাসী তো আমরাও হতে পারতাম! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সুযোগ দিলেন আরো একটি বছরের, একটি রমাদানে এক মাস সিয়াম পালনের আলহামদুলিল্লাহ! আমরা সুযোগ পাচ্ছি জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে নিজেদের রক্ষা পাওয়ার, চির শান্তির নিয়ামত জান্নাত অর্জন করার, নিজেদের গুনাহ গুলো ধুয়েমুছে নেক আমল দিয়ে পরিপূর্ন করার! আমাদের কি ইখলাসের সাথে অন্তর থেকে চোখের পানি ফেলে এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা উচিত নয়?
রমাদানকে সাফল্যমন্ডিত করা ও ব্যর্থতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু বিষয় অর্জন করতে হবে আবার কিছু বিষয় বর্জন করতেও হবে! আসুন সবাই মিলে কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে একটু মনোনিবেশ করি!
১) কোরআনের সাথে সম্পর্কঃ আমরা সবাই জানি আল কোরআন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার বানী, তাঁর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হওয়া মুসলিম উম্মাহর জন্য হিদায়াতের পথে থাকার দিক নির্দেশনার অমূল্য পবিত্র গ্রন্থ! এই কোরআন নাযিল হয়েছিল রমাদান মাসেই। আমরা অনেকেই এটা মনে করি রমাদান মাসের জন্য সিয়াম ফরজ হয়েছে আসলে সিয়াম ফরজ হয়েছে কিন্তু কোরআন নাযিলের সম্মানে!
একটু চিন্তা করি কোরআনের আয়াত গুলো যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হতো উনার অবস্থা কেমন হতো? উনার উপর যখন ওয়াহী নাযিল হতো তখন এক বিশেষ অবস্থার সৃষ্টি হত, চেহারা উজ্জ্বল ও রক্তবর্ণ হয়ে যেত, কপালে ঘাম দেখা দিত, নিঃশ্বাস ঘন হত এবং শরীর অত্যধিক ভারী হয়ে যেত। এমন কি উটের পিঠে থাকা অবস্থায় যখন ওয়াহী নাযিল হত, তখন অত্যধিক ভারে উট চলতে না পেরে মাটিতে বসে যেত! অত্যধিক শীতের সময়ও যখন ওয়াহী নাযিল হত, রাসুলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীরে এত তাপ সঞ্চয় হত শীতেও উনার চেহারাতে ঘাম দেখা যেত!
আজ আমরা কত আরামে বসে বসে কোরআন তিলাওয়াত করি! একটা বার কি মনে করি আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, উনার ত্যাগ তিতীক্ষা ও অবদানের কথা?
সাহাবীগন যখন কোরআন পড়তেন কি অবস্থা হত উনাদের? এই কোরআনের সুমধুর আহবান শুনেই উমার (রাঃ) এর মতো কঠোর হ্রদয়ের মানুষের অন্তর পরিবর্তন হয়েছিলো, ঈমান এনেছিলেন, শিশুর মত কেঁদেছিলেন! উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন সালাতে তিলাওয়াত করতেন উনার বুকর ভিতর থেকে কান্নার এমন আওয়াজ আসতো পিছনের কাতার থেকে তা শুনা যেত! যখন কোন আয়াত নাযিল হত সাহাবগনের ঈমান বৃদ্ধি পেত, উনাদের মন আনন্দে ভরে উঠত! সাহাবী গন রাতের পর রাত কিয়ামুল লাইলে কোরআন তিলাওয়াত করতেন আয়াতের মহিমায় ও তাৎপর্যে অঝোরে কান্না করতেন!
আমাদের কি অবস্থা? এই কোরআন যদি পাহাড়ের উপর নাযিল হতো তাহলে পাহাড় পর্যন্ত ভেংগে চুরমার হয়ে যেত আর আমাদের অন্তর কি পাহাড়ের চেয়েও কঠিন? কোন প্রভাব কেন পড়ে না আমাদের অন্তরে? চোখ থেকে কেন অশ্রু বর্ষন হয় না? কেন কোন পরিবর্তন আসে না আমাদের জীবন যাত্রায়, কর্ম পদ্ধতিতে?
রমাদান মাস কোরআন নাযিলের মাস! আসুন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই হ্রদয়ে ভালোভাবে গেঁথে নেই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোরআনের প্রতি ভালোবাসা, সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম গনের কোরআনের প্রতি অনুরাগ, মেনে চলার প্রতি একনিষ্ঠতা তারপর প্রকৃত ও আদর্শ মুসলিম এর মতো কোরআনের ছাঁচে নিজেকে সাজাই!
বর্তমানে যে অবয়ব আমাদেরঃ
১) শুরুতেই ভুল ঃ ছোটবেলায় আমাদের মা বাবা আমাদের প্রত্যককেই কোরআন শুদ্ধ করে পড়া শিক্ষা দিয়েছেন! স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, চাকরি, বিয়ে, সন্তান এই ধারাবাহিকতায় সময়ের পরিক্রমায় অনেকেরই তা ভুলে যাওয়ার পথে! আবার অনেকে বহু বছর পর জানলেন যা শিখা হয়েছিল তা বিশুদ্ধ ছিল না! অথচ কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না , দুনিয়াবী ব্যস্ততা বা এত আবহেলা থাকে যে বছরের পর বছর চলে যায় তবু আল্লাহর পবিত্র কালাম আল কোরআন কে বিশুদ্ধ ভাবে পড়তে শিখা আর হয় না!
কত মানুষ দিনের পর দিন এভাবে কোন উদ্যোগ ছাড়াই কাটিয়ে দিচ্ছেন? কত শত মুসলিম পরাপারে রওনাও হয়ে গিয়েছেন! কি জবাব দেয়া হবে প্রভুর সামনে? দুনিয়আটে এতো ব্যস্ত ছিলাম কোরআন শিখার সময় পাই নি?
২) খতমের প্রতিযোগিতা ঃ আমরা অনেকেই রমাদানে কোরআন খতমের পরিকল্পনা রাখি, অনেকেই শুধু একটা না দুটো তিনটা খতমও করি! প্রকৃতপক্ষে আমরা কোরআন এর যথাযথ হক কখনোই আদায় করতে পারব না যতক্ষন না আমরা এর অর্থসহ পড়ব, ব্যাখ্যাসহ পড়ব! রমাদান যেহেতু খুব স্বল্প সময়ের তারপরো আপ্রান চেষ্টা করব অর্থসহ খতম করার একান্ত না পরলে রমাদানের পর থেকে অর্থ ও তাফসীর পড়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব ইনশাআল্লাহ!
শুধু তিলাওয়াত করে খতম করেই যারা সন্তুষ্ট হয় একটু পরিকল্পনা রাখি আগামী রমাদান আসার আগে সহজসাধ্য যে কোন কোরআন তাফসীর থেকে তিলাওয়াত, অর্থ, ব্যাখ্যা সম্পূর্নভাবে অধ্যয়ন করব ইনশা আল্লাহ!
২) শুধু রমাদানেই বন্ধু ঃ চাঁদ দেখা গিয়েছে এই সংবাদ শুনে বহু সযতনে রাখা গিলাফে প্যাচানো কোরআন ঝেড়েমুছে পরিষ্কার করা হয়! আর রমাদান এলেই ঘরে ঘরে কোরআনের গুন গুন ধ্বনির পরিমানটাও বেশি শুনা যায়!
কোরআন রমাদানে নাযিল হলেও কোরআন আমাদের বন্ধু বছরের প্রতিটি দিনের জন্য, প্রতিটি মাসের জন্য, প্রতিটি মুহূর্তের জন্য! আজ যারা শুধু রমাদানেই তিলাওয়াত সীমাবদ্ধ রেখেছি আসুন না ওয়াদা করি রমাদানের পরও প্রতিটি দিন কোরআন আমার চলার পথের সাথী হবে, অন্তরের খোরাক হবে,প্রিয় বন্ধু হবে!
আর যারা রমাদান বা বছরের অন্য কোন সময়েও কোরআন তিলাওয়াত করে না , কোরআনের সংস্পর্ষে আসে না আমরা কি জানি কি শাস্তি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য? আমরা তো কেউ শাস্তি চাই না!
৩) আবৃত্তি ই পরম তৃপ্তিঃ বিশুদ্ধ ভাবেই কোরআন পড়লাম, বছরের সব দিনেই কোরআন তিলাওয়াত করা হয় কিন্তু আল্লাহর আদেশ করা অসংখ্য নির্দেশ পালন আর নিষেধ করা নানা নিষেধ থেকে দূরে থাকা হয় না! কোরআনের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা কিন্তু আমাদের মনে যে গুনাহের ময়লা আস্তর জমে আছে, আমিত্বের প্রভুর যে বিশাল জাল বিস্তার করে আছে তা ভেদ করা যায় না!
যে প্রতিচ্ছবি চাই মোদের
১) আল কোরআন বিশুদ্ধ ভাবে পড়তে জানা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ। এক মুহূর্ত দেরি না করে জরুরি ভিত্তিতে তাজউইদের জ্ঞান অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
২) প্রতিটি দিন যেন আমার কোরআন তিলাওয়াত, অর্থ, ব্যাখ্যা সহকারে অধ্যয়ন করা হয়। শ্রদ্ধেয় পাঠক যারা এই মুহূর্ত এই লিখাটি পড়ছি আমাদের কয়টি তাফসীর গ্রন্থ শেষ হয়েছে এ পর্যন্ত?
৩) কোরআন আমাদের জীবন বিধান, তাই আমাদের জীবন নামক গতিপথের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে কোরআনের নির্দেশ যেন বাস্তবায়িত হয়। কোরআনের আলো যেন আমাদের এক মাত্র আলো হয় যা ছড়িয়ে থাকা কুফর, শির্ক, বিদায়াতের বিভ্রান্তির জাল থেকে আমাদের এক আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আলোকিত পথের অনুসারী করবে! সাহাবীগন ও সালফে সালেহীনগনএর মতোন প্রতিটি আদেশ নিষেধ বাস্তবায়নে একনিষ্ঠ করবে !
৪) আল কোরআন হবে আমাদর প্রকৃত বন্ধু! আমাদের হ্রদয়ের বষন্ত! আমাদের জান্নাতে উঁচুতে আরোহনের বাহন! প্রতিটি অক্ষরে দশটি নেকি অর্জনের সুযোগ! কিয়ামতের ময়দানে আমাদের সুপারিশ কারী! সন্মানিত ফেরেশতাগনের সাথে থাকার উপায়! দুনিয়া ও আখিরাতের সন্মান ও মর্যাদা! ওহুদের যুদ্ধে যে দুজন সাহাবী শহিদ হয়েছিলেন একটি কবরে যখন তাদের লাশ রাখতে হলো কাকে নামিয়েছিলেন প্রথম? যার কোরানের জ্ঞান বেশি ছিল! সুবহানাল্লাহ!
৫) বুঝে বুঝে আদবের সাথে কান্না জড়িত কন্ঠে তিলাওয়াত করব। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন সালাতে তিলাওয়াত করতেন উনার বুকর ভিতর থেকে কান্নার এমন অয়াজ আসতো পিছনের কাতার থেকে শুনা যত! ইমাম নববিঃ (রহ বলেন তিলাওয়াতে কান্না করা আল্লাহ ওয়ালা ও সালাফী দের বৈশিষ্ট্য!
আমাদের সর্বশেষ কবে চোখ থকে অশ্রু ঝরেছে? আমাদের হয়তো খুব সুরেলা তিলাওয়াত শুনলে কখনো কখনো কান্না আসে কিন্তু প্রকৃত চোখের পানি তখনই ঝরবে আমরা যখন আরবী আয়াতের মর্ম বুঝব! কত পথ চলা বাকী আমাদের.......
হে প্রভু আমাদের তাকওয়া শূন্য অন্তরগুলোতে , পাথরের মত কঠিন অন্তরগুলো হিদায়াতের আলো বর্ষন করুন! এমন অন্তর দান করুন যা কুরআনের ডাকে সাড়া দেয়, কুরআনের তিলাওয়াত শুনে হৃদয় প্রকম্পিত হয়, কেঁপে উঠে, সত্যকে চিনতে পেরে, কল্যাণের পথে টিকে থাকার জন্য আপনার দয়া, অনুগ্রহ আরা রহমতের আকাংখী হয়! রমাদানের মত উত্তম আমলের মৌসুমে আমাদের কোরানের সঠিক অনুসারী বানিয়ে দিন! আমীন!
কোরআন থেকে...।
“ধীরে ধীরে সহীহ-শুদ্ধভাবে কোরআন পড়-তেলাওয়াত কর” (সূরা মুযামমিল (আয়াত ৪)
তাদেরকে যখন এটা শুনানো হয় তখন তারা আনত মস্তকে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে (আল ইসরা-১০৭)
"যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে”। [সূরা আল-বাকারাহ্, আয়াত ১২১]
অর্থাৎ তারা আল্লাহর হারামকৃত জিনিসকে হারাম মনে করতেন, আর হালালকে হালাল মনে করতেন। আর তারা আল্লাহর বিধানের বিকৃতি করত না।
"অতএব যারা ঈমানদার, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়েছে।"(তওবা ১২৪)
‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাব অন্ধ অবস্থায়।’’ (ত্ব হা ১২৪) যারা দুনিয়াতে কোরান বিমুখ হবে তাদের কথা বলা হচ্ছে!
হাদীস থেকে...
রাসুল সাঃ বলেন,কিয়ামত দিবসে সিয়াম ও কুরআন বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।” (আহমদ, হাকেম )
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাঃ বলেন
“কুরআন সুপারিশকারী এবং তার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি কুরআনকে সামনে রেখে তার অনুসরণ করবে, কুরআন তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি একে নিজ পশ্চাতে রেখে দিবে, কুরআন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে এবং তা মুখস্থ করবে (এবং বিধি-বিধানের) প্রতি যত্নবান হবে, সে উচ্চ সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবে। আর যে ব্যক্তি কষ্ট হওয়া স্বত্বেও কুরআন পাঠ করবে এবং তার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবে সে দ্বিগুণ ছাওয়াবের অধিকারী হবে (বুখারী ও মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস রাঃ বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “কিয়ামত দিবসে কুরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে, কুরআন পড় এবং উপরে উঠ। যেভাবে দুনিয়াতে তারতীলের সাথে কুরআন পড়তে সেভাবে পড়। যেখানে তোমার আয়াত পাঠ করা শেষ হবে, জান্নাতের সেই সুউচ্চ স্থানে তোমার বাসস্থান।” (তিরমিযী)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোরআন শিক্ষা করে অতঃপর তা ভুলে যায়, কেয়ামতের দিন সে অঙ্গহীন রূপে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে” (আবুদাউদ)
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন