নৈঃশব্দ অনুভূতির আলোড়ন

লিখেছেন লিখেছেন সাদিয়া মুকিম ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:০৩:৪৬ রাত



বহমান নদীর স্রোতের মতোই বয়ে চলেছে সময়, আমরা যেনো এই সময়ের নিরব সাক্ষী। যে সময় চলে গিয়েছে তা আর ফিরে আসবে না। সেই বরফ বিক্রেতার কথা মনে পড়ে, যে চিৎকার করে বলছিলো দয়া করো এমন এক ব্যাক্তির প্রতি যার পুঁজি গলে যাচ্ছে...। আমরা কি এমন প্রতিটি ব্যাক্তি নই?

জীবনের ঠিক আজকের এই মুহূর্তে আসতে কতো পথ পাড়ি দিয়েছি! কতো স্মৃতি বিজরিত মায়াভরা সেইসব দিন, হাসি --কান্না-আনন্দে ভরা মুহূর্তগুলো পার করেছি! পথ চলতে গিয়ে কত ভুলের সাথেই না হয়েছে দ্বন্দ্ব! ঠিক এভাবে চলতে চলতে একদিন আমরা মিলিত হবো সেই জীবন সায়াহ্নের শেষ প্রহর পানে.....

শুধুমাত্র বসবাসের কারনেই যদি আমাদের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য হতো তাহলে চিন্তার কোন কারন থাকতো না। সুন্দর একটি বাসস্হান, উন্নত জীবিকা, দ্রুতগামী যানবাহন, মনের মতোন স্বামী , আদরের সন্তান এই নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যেত। অথচ শুধু এসব আমাদের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। বরং যিনি আমাদের এই সকল নিয়ামত দিয়েছেন তাঁর অধীনে গোটা জীবন পরিচালনা করে জান্নাত লাভ করাটাই আমাদের গন্তব্য। আমরা ভুলে যাই আমাদের গন্তব্যের কথা তাই তো ভুল পথে পা বাড়াই।

পরিবারের যে কর্তা জানেন সারা মাস পরিশ্রম না করলে সংসার চলবে না, যে ছাত্র জানেন ভালোভাবে পড়াশোনা না করলে পাশ করা যাবে না তারা নিজের উপার্জন এবং পড়াশোনার প্রতি নিরন্তর আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান!

যে কৃষক জানেন বছর শেষে তাকে গোলা ভর্তি ধান উৎপাদন করতে হবে, উনি কখনো অনর্থক কাজে সময় ব্যয় করেন না। কৃষক যখন চায় জমিতে ভালো ফসল ফলুক তখন সে তার সর্বোচ্চ সময়টুকু সেই জমিতেই ব্যয় করে। জমিকে সে আগাছা মুক্ত করে, তারপর বীজ বপন করে। আমরা যদি পরকালে আমাদের আবাস জান্নাতে নিশ্চিত করতে চাই আমাদের মনের আগাছাগুলোও উপড়ে ফেলতে হবে, বপন করতে হবে ঈমানের বীজ । তবেই এখান থেকে সৎ আমলের চারাগাছ জন্মাবে। সেজন্য অযথা সময় অন্য কাজে ব্যয় না করে নিজেদের সৎ আমলের প্রচেষ্টাকে বাড়ানো উচিত।

আজকের দুনিয়ায় পার্থিব সুখ সাচ্ছন্দ লাভ করার উপায় উপকরন কাউকে বলে না দিলেও ব্যক্তি তার নিজ গরজেই তা শিখে নেয়! কোন চাকরি করলে বেতন আশানুরোপ হবে, কোন স্কুলে ছেলে মেয়ে পড়ালে রেজাল্ট আকর্ষনীয় হবে, কোন ব্যবসায় পুঁজি খাটালে রাতারাতি দ্বিগুন মুনাফা উপার্জন করা যায় এগুলো আমরা নিজেই নিজের প্রচেষ্টায় করি! এগুলোর জন্য আমাদের কাউকে উপদেশ বা স্মরন করিয়ে দিতে হয় না! শুধু আখিরাতের বিষয়ে আমাদের যতো উদাসীনতা কাজ করতে দেখা যায়!

বর্তমানে আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাব লক্ষ্যনীয় মাত্রায় রয়েছে। আবার জ্ঞান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক ভাবে তা প্রয়োগের অভাব দেখা যায়! ইসলামকে কিছু বাহ্যিক কার্যাবলীর মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখে অনেক মুসলিম সালাহ , সিয়াম, যাকাহ আদায় করেন আবার ব্যাংকে সুদী লেনদেন করা, আত্ননীয়ের বা প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে জুলুম করেন বা হালাল হারামের ব্যাপারে সচেতন থাকেন না! আবার কেউ কবর বা মাজার পূজা করছেন , তাবিজ নির্ভর জীবন যাপন করছেন বা বিশ্বাস ও কর্মে শিরক ও বিদা'আ এর সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। এটা এজন্যই এতো কষ্টকর বিষয় আমাদের মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন এভাবেই কতো শত ব্যক্তি নিজের জীবনের ভুল সংশোধন না করিয়েই পাড়ি দেন পরপারের যাত্রায়!

আজ বাসায় ফেরার পথে হেঁটে আসছিলাম, খুব বৃষ্টি ছিল বাইরে! একেবারে কনকনে শীত !রাস্তার পাশের বড় বড় গাছগুলো পত্রপল্লব হীন নিঃস্ব অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। অথচ কিছুদিন আগেও কতো রংগিন ফুল পাতাতে সাজানো ছিল প্রকৃতি! প্রকৃতি নীরবে কতো উপদেশ, কতো শিক্ষাই না আমাদের দিয়ে যাচ্ছে! গ্রীষ্ম কাল বিদায় নেয় আবার শীত কাল আসে এভাবেই পরিবর্তন চলতে থাকে ঋতুচক্রের। ঋতুর পরিবর্তন ঘটে, ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রং এর সমারোহে ভরে যায়। পাতা ঝরার মেলায় বৃক্ষের এক রং, নূতন পাতায় আবার অন্য রং ; ফুলের সৌন্দর্য , রং গন্ধ এক কথায় বিশ্ব প্রকৃতির এই পরিবর্তন!

ঋতুর পরিবর্তন চলতে থাকে চক্রাকারে সে ফিরে আসে নতুন করে কিন্তু মানুষ যারা এই পৃথিবী থেকে একবার বিদায় নিয়েছে তারা কেউ ফিরে আসে না! যারা চলে গিয়েছেন উনারা কি আর এসেছেন ফিরে?

পরম করুনাময় আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সাথে আমাদের দিকনির্দেশনার জন্য আল- কোরআন দিয়েছেন। কোরআন এর পাতায় পাতায় বিবরন এসেছে মুমিনের করনীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো। আমরা এত ব্যস্ত থাকি পার্থিব বিষয়গুলো নিয়ে কোরআন পড়ার সময় পাওয়া যায় না! পড়লেও অনেকেই শুধু রমাদানে পড়েন, অনেকে অর্থ বুঝে পড়েন না, অনেকে পড়েন ই না! কেউ শুধু নির্দিষ্ট কিছু সূরা পড়ে বারাকাহ নিতে চান, কেউ আবার মৃত মানুষের ঈসালে সওয়াবের জন্যই পড়েন! কেউ বা শুধু তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করেই সন্তুষ্ট থাকেন!

উবুদিয়্যা - আল্লাহ'র পরিপূর্ন দাসত্ব করা আমাদের সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। উবুদিয়্যার পথে বাধা দেয় এমন প্রতিটি বিষয় কুফর, শিরক, বিদাআ' হাসাদ,রিয়া, কার্পন্য, আলস্য, সঠিক, জ্ঞান অর্জনে বিমুখতা, অর্জিত জ্ঞান অপ্রয়োগ, কাপুরুষতা, দুনিয়ার লোভ, সন্দেহ, সংশয়, ক্রোধ, গুনাহে অভ্যস্হ হয়ে যাওয়া এমন সব বর্জনীয় অসৎগুনাবলী থেকে আমাদের প্রতিটি মুসলিমের বেঁচে থাকার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত।

এই সুন্দর পৃথিবী একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র । অনেকটা সময় পিছনে ফেলে এসেছি! হাতে সময় বড় স্বল্প! অতীতের ভুল সংশোধন করে যদি উত্তীর্ন হতে চাই এখনি জেগে উঠতে হবে! সময়ের যথাযথ ব্যাবহার করতে হবে। প্রতিটি মুহূর্ত যে আমাদের অনেক মূল্যবান! টাকার চাইতেও বেশি মূল্যবান। আজকের এই সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার না করার ফলে জাহান্নামে একদল লোকের কঠিন আযাবের কথা এসেছে কোরআনে! আমরা কেউ যেনো এর অন্তর্ভুক্ত না হই!

সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, " হে আমাদের প্রভু! আমাদের [এখান থেকে ] বের করে নাও । পূর্বে যে [ কাজ ] করতাম তা করবো না। " [আল্লাহ্‌ বলবেন ] , " আমি কি তোমাদের যথেষ্ট দীর্ঘ জীবন দান করি নাই , যেনো তোমরা উপদেশ গ্রহণ করতে পার ? [উপরন্তু ] তোমাদের নিকট একজন সর্তককারীও এসেছিলো। সুতরাং [ তোমাদের কৃতকর্মের ফল ] আস্বাদন কর । পাপীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই। (সূরা ফাতির- ৩৭)

বিষয়: বিবিধ

১৫১৪ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

170529
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন ,,আমীন
অনেক চমত্কার পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। Rose Rose Good Luck
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৮
124494
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অনেক শুকরিয়া আপনাকে। আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান অর্জন ও নেক আমলের সাথে রাখুন! পাশাপাশি আমরা নিজেরাও পরিচিতদের দাওয়াহ অব্যাহত রাখব ইনশা আল্লাহ!শুভকামনা রইলো।Good Luck
170533
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
পলাশ৭৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৯
124495
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়া। আল্লাহ আমাদের সঠিক কথা ও কাজ করার তোওফিক দিন!Good Luck
170560
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০১
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : কুরআন মুমিনের ভাষা। আগ্রহী গ্রহীতার জন্য তার রসাস্বাদন সহজ করা হয়েছে। বিশ্বাস আর ভালবাসায় তাকে ধারণ করতে পারলে তার সংবাদ আর সৌন্দর্যের নাগাল পাওয়া সহজ হয়ে যায়। এই অত্যন্ত মৌলিক কাজটি যখন আমরা করতে উদ্যোগী হব, আমাদের ঈমান ও আমল-আখলাক শুদ্ধ হবার পথ খুঁজে পাবে। কুরআন আমাদেরকে তখন সঠিক দিক-নির্দেশনা দেবে কোন বিষয়কে কিভাবে গ্রহণ করতে হবে এবং কোন পন্থায়, কত গভীরতায়। কুরআনে উল্লেখিত মধ্যপন্থার স্বরূপ কী, তা প্রয়োগের হেকমত কী তা আমাদের কাছে সু্স্পষ্ট হবে।

কুরআনের জ্ঞান অর্জনের সকল আয়োজন সকলের খুব কাছেই বিদ্যমান। এর নাজিলকারী সকলপ্রকারে পুরো মানবজাতিকে উদ্ভুদ্ধ করেছেন, কুরআনের কাছে আসতে, এই গ্রন্থখানা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ফিকির করেত, এর থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে – সর্বোপরি এর সংস্পর্শে এসে আরোগ্য লাভ করতে (১০.৫৭, ১৭.৮২, ৪১.৪৪)। যে যেই ভাষা বা জাতি গোষ্ঠিরই হোকনা কেন কুরআনের শিক্ষাগ্রহণ যে সহজ করা হয়েছে তা পুনঃ পুনঃ উচ্চারিত হয়েছে। আমরা যেন কাউকে সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথ থেকে প্রতিরুদ্ধ না করি (অ-ইয়াছুদ্দুনা আংছাবিলিল্লাহি-৩.৯৯, ৭.৪৫, ৭.৮৬, ৮.৪৭, ৯.৩৪, ১১.১৯, ১৪.৩, ২২.২৫/ ৪.১৬৭, ১৬.৮৮, ৪৭.১, ৪৭.৩২, ৪৭.৩৪, ৫৮.১৬, ৬৩.২)। আর আল্লাহ পাক আমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে মোটেই অনবহিত নন (অমাল্লাহু বিগফিলিন ‘আম্মা তা’মালুন-২.৭৪, ২.৮৫, ২.১৪০, ২.১৪৪, ২.১৪৯, ৩.৯৯)।

আমরা অনেকেই কল্যাণের জন্য ছুটোছুটি করি, কিন্তু সুস্থির হয়ে এই আলো প্রক্ষেপনের কাজটি করিনা। অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দেন যে, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর (ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু ‘আলাইকুম আংফুসাকুম)। যখন তোমরা সৎপথের উপর রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রষ্ট হলে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। তোমাদের সকলকে আল্লাহরই সমীপে ফিরে যেতে হবে। অতপর তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন যা কিছু তোমরা করতে”- ৫.১০৫। “কেউ কারো বোঝা বহন করবে না” (৬.১৬৪, ১৭.১৫, ৩৫.১৮, ৩৯.৭, ৫৩.৩৮)- অলা তাঝিরু অঝিরতুও বিঝরা উখরা। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন: “ওরা যা বলে তা আমি সম্যক অবগত আছি। তুমি তাদের উপর জোরজবরদস্তিকারী নহ (অমা আংতা আলাইহিম বিজব্বার); অতএব যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও (ফাজাক্কির বিল কুরআন)”-৫০.৪৫।

এখন সময় এসেছে সবাই মিলে কুরআনের সবটাকে ভালভাবে গ্রহণ ও ধারণ করার। সময় এসেছে এই অবহেলিত, পরিত্যক্ত মহাগ্রন্থকে গভীর মমতায় বুকে তুলে নেবার। সময় এসেছে এর মধ্যে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রক্ষেপনের। আমরা কি কিছুক্ষণ ভেবে দেখব, এমন একটি সমাজের কথা – যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ নিবিড় নিষ্ঠা আর অত্যন্ত ভালবাসা নিয়ে প্রতিনিয়ত সকাল-সন্ধা কুরআন চর্চা করে, জীবনাচরণে তার প্রকাশ ঘটায় ভারসাম্য ও মধ্যপন্থার মাধ্যমে, নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থেকে তা পৌঁছে দেয় স্বীয় পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন আর আল্লাহর অন্যান্য বান্দার কাছে, কুরআনের ভাষায় যারা কথা বলে, যাদের শারিরীক ভাষাকে কুরআন এক যথাযথ আদল দিয়ে দেয়, তাহলে কতইনা সন্তুষ্ট হবেন আল্লাহ সেই সত্তাগুলোর প্রতি, আর সমষ্টিগতভাবে সেই সমাজের প্রতি – যারা আল্লাহর শেখানো ভাষায় কথা বলে – যাদের ভয়েস আল্লাহর ভয়েস হয়ে যায়।

আমরা নিজেকে আল্লাহওয়ালা বলে ভাবব, কিন্তু আল্লাহর মধুর বাণী কুরআন আমাদের টানবে না, তা কি কখনো হয়? প্রতিটি সন্দিগ্ধ মন ভেবে দেখুক, কেন কুরআন তাকে টানেনা। ‘শোনা ইসলাম’ আর ‘দেখা ইসলাম’কে কুরআনের কষ্টিপাথরে যাচাই করার তাগিদ কেন আমাদের নেই? পুরো মানবজাতি সংস্কারহীন মনে এই মহান গ্রন্থখানা আদ্যোপান্ত পড়ে দেখুক কী নেয়ামত থেকে মানবজাতির কমন ও স্বঘোষিত দুষমন শয়তান আর তার দোসররা তাদেরকে বঞ্চিত করছে।

খাতামুন্নাবিয়্যিন হযরত মুহম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)-এর ওফাতের অব্যবহিত পরে হযরত উম্মে আয়মন বারাকাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহা) প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন এই বলে যে, “আসমান থেকে আসা অহীর দরজা বন্ধ হয়ে গেল”। হযরত উম্মে আয়মন ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মুত্তালিবের কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসী, শেষনবীর ধাত্রীমাতা। আরবের মরুপথে যখন মা আমেনার মৃত্যু হয়, তখন শিশু মুহম্মদকে (দHappy এই উম্মে আয়মন বারাকাহই কোলে করে আগলে মক্কায় ফেরত এসেছিলেন। শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং নবুওয়াতী জিন্দেগীর প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই তিনি আল্লাহর রাসূলের নিকট সান্নিধ্যে ছিলেন। নবীকে কুরাইশী গোত্রবাদী অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে আসমানী সওগাত প্রদানের এ যেন দোজাহানের বাদশাহর অভূতপূর্ব এক আয়োজন। বস্তুতঃ শেষনবীর ইন্তেকালের পর আরো বেশ কবছর বেঁচে ছিলেন তিনি – যাকে নবীজি আমেনার পর তাঁর মা বলে ডাকতেন। স্বীয় রব্ব আল্লাহর প্রতি নিষ্কলুষ ঈমান, রাসূলের সার্বক্ষণিক সাহচর্য, নিবিড় পর্যবেক্ষণ, আজীবন অপার নিষ্ঠাপূর্ণ খেদমত থেকে রাসূলের ওফাত সম্পর্কিত তাঁর এই যে অভিব্যক্তি, তা সবিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ, গভীর অন্তর্দৃষ্টির পরিচয়বহ। এই প্রতিক্রিয়া মানবসৃষ্টির সূচনাকালকে ছুঁয়ে প্রতিঘাত হতে হতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

এই সেই অহী যা মানব ইতিহাসের এক অভূতপূর্ব ক্ষণে দীর্ঘ ২৩ বছর মেয়াদে যখন যেমন প্রয়োজন আল্লাহর তরফ থেকে মানুষের কল্যাণে নাযিল হয়েছে। এই সেই অহী যা সীমাহীন যাতনা-লাঞ্ছনা, দুঃসহ কষ্টভোগের মধ্য দিয়ে আল্লাহর শেষনবী পুরো মানবজাতির জন্য রেখে গিয়েছেন – যে যন্ত্রণার ব্যাপ্তি, গভীরতা আমাদের পক্ষে কস্মিনকালেও অনুভবে বা বোধের জগতে আনা সম্ভব নয়। ইহকাল পরকালে মানবজাতিকে মহিমা দান করতে, অকল্যাণ থেকে বাঁচাতে, আর চিরস্থায়ী কল্যাণ দিতে অহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ফয়সালাকারী সেই বাণীর সংকলন পবিত্র আল-কুরআন। সেই মহিমান্বিত কুরআন পরিত্যক্ত, পরিত্যজ্য, অবজ্ঞাত, বর্জিত (২৫.৩০)– আমাদের দৈনন্দিন হিসাবের একেবারেই বাইরে।

পৃথিবীতে মানব সভ্যতার সামগ্রিক বয়স অনেক। হয়ত ক্বিয়ামত খুবই সন্নিকটে (১৬.৭৭, ২১.১, ৪২.১৭) যেমনটি আসমান-যমিন ও তার মধ্যস্থিত সকল কিছুর মালিক বলেছেন। চারিদিকে তাকালে, একটু ভাবলে কেমন যেন স্পষ্ট হয়ে যায়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল দিক থেকে সৃষ্টিটাকে গুটিয়ে আনছেন। পশ্চাতে আয়োজন চলছে এই সাময়িক-পর্বটি চুকিয়ে ফেলার। কত শত সহস্র নবী-রাসূল আর তাঁদের মাধ্যমে আসমানী কিতাব পাঠিয়ে আল্লাহর একত্ব, তাওহীদের শিক্ষা, স্বীকৃতি ও তার উপর দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতে মানব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর অপার করুনার ধারা অহীর মাধ্যমে জারী রেখেছিলেন এই সেদিন পর্যন্ত। আজ সেই ধারাটি বন্ধ হয়ে গেল ‘মুহম্মাদুর রাসূলুল্লাহর’ ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে। এরচে’ বড় সংবাদ বা তার শিরোনাম আর কী হতে পারে? তাবৎ পৃথিবীর মানুষের পক্ষে হাজার বছর সেজদায় লুটিয়ে পড়ে থেকেও আর কোন আসমানি বাণী আণয়ন সম্ভবপর হবে না। তার প্রয়োজনও নেই। কেননা শেষনবী আর মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ মানবকূলের প্রতি তাঁর প্রদত্ত নেয়ামতকে পূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূলের ওফাতের পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা ইসলামের নামে অনেক কথা-কাহিনী, টার্ম-টার্মিনোলজী তৈরি করেছি আমাদের খেয়াল খুশিমতো, কখনো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে – কুরআন পড়লে যা আপনাআপনি অসাড় বলে প্রতিয়মান হয়। কাজেই কুরআনের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের জীবনকে সেই অনুযায়ী পরিচালিত করা প্রত্যক মুমিন মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৩
124499
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার সুন্দর ও যথযথ মন্তব্যর জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। আল্লাহ আমাদের কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তোওফিক দিন ! আমীন।Good Luck
170562
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৪
আফরোজা হাসান লিখেছেন : সীমাবদ্ধ জ্ঞানের কারণে মানুষ দৃষ্টিসীমার বাইরে সবকিছু দেখতেই অক্ষম। তাই মানুষ যাতে সঠিক পথে চলতে পারে সেজন্য আল্লাহ যুগে যুগে পাঠিয়েছেন পথপদর্শক। যারা আল্লাহর দেখানো সেই পথে চলবে, আল্লাহ্‌র আনুগত্য করবে সে তা নিজের জন্যই করবে।

দুনিয়ার অন্ধকার পথে যাতে আমরা মুখ থুবড়ে পড়ে না যাই, ভুল পথে চলে না যাই সেজন্য যে আলো আল্লাহ প্রেরণ করেছেন আমাদের জন্য, আমরা যদি সেই আলোতে পথ চলতে চেষ্টা করি তাহলে কোন মরীচিকা আমাদেরকে সঠিক পথ থেকে বিপথে নিয়ে যেতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।

কুরআন ও হাদীসের আলোতে যেন আমরা ত্যাগ করতে পারি অন্ধকারের সকল ভুল পথ।আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতায়ালা আমাদেরকে তাঁর নির্দেশিত পথকে চিনে নিয়ে সে পথে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন। Praying Praying

হৃদয় ছোঁয়া সুন্দর লেখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ আপুমণি। Angel Angel Love Struck Love Struck Good Luck Good Luck Rose Rose
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৫
124500
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মন্তব্যটুকুন যথার্থ লিখিয়াছ আপুনি! বারাকাল্লাহু ফিক! Good Luck Love Struck Good Luck
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৬
124501
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : মন্তব্যটুকুন যথার্থ লিখিয়াছ আপুনি! বারাকাল্লাহু ফিক! Good Luck Love Struck Good Luck
170643
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৯
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো কথাগুলো! আত্মসমালোচনা ও আত্মগঠনের অনেক উপাদান রয়েছে এতে! চিরস্থায়ী সাফল্যের জন্য উপযুক্ত পুঁজি সংগ্রহের সময় যে আমাদের খুবই কম এবং অনিশ্চিত ও অজানা - তা আমরা ভুলে যাই! মহান আল্লাহ আমাদের এ অনুভূতিগুলো সজাগ রেখে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার তৌফিক দিন! আমীন...Praying Praying Praying
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৪
124502
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের উত্তম আমল করার তোওফিক দান করুন! ইলম অন্বেষন ও দাওয়াহ এর মাধ্যমে কল্যানকর কাজে নিয়োজিত রাখুন! আমীন।Good Luck
170653
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সেই বরফ বিক্রেতার কথা মনে পড়ে, যে চিৎকার করে বলছিলো দয়া করো এমন এক ব্যাক্তির প্রতি যার পুঁজি গলে যাচ্ছে..

ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন! দ্রুত ধাবমান এই ক্ষনিক সময়ের স্রোতে ভাসমান হয়ে যেন আমরা আপনাকে ভুলে না যাই !
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৫
124503
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন! দ্রুত ধাবমান এই ক্ষনিক সময়ের স্রোতে ভাসমান হয়ে যেন আমরা আপনাকে ভুলে না যাই ! আমীন! আল্লাহ আমাদের কবুল করে নিন!Good Luck
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৪
124806
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : এত সুন্দর কথা!
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন
170672
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আল্লাহ্‌তায়ালার সাথে আমাদের সম্পর্কের যথাযথ উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যাপারে সহায়তার জন্য আল্লাহ্‌তায়ালা নিজেই উপমা ও দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাঁর এই রহমত সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানা এবং তা মেনে চলার মধ্যে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কুরআনের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের জীবনকে সেই অনুযায়ী পরিচালিত করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে কুরআন ও হাদীসের আলোতে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন Praying

সুন্দর লেখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ Good Luck Rose
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪৬
124507
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমাদের জানা আর মানার মাঝেই রয়েছে বিস্তর ব্যাবধান আর তাই আমরা না নিজে উপকৃত হতে পারছি না অন্যকে সহায়তা করতে পারছি! আল্লাহ আমাদের সীমাবদ্ধতা দূর করে দিন!

আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া আপি!Good Luck
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৫
124807
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : আমীন
170723
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:০৪
আলোর আভা লিখেছেন : সুন্দর লেখার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।আমীন ।অনেক ধন্যবাদ আপু ।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫২
124894
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে সিরাতুল মুস্তাকীমে রাখুন!আমিন। আপনাকেও শুকরিয়া।Good Luck
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫২
124895
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সকলকে সিরাতুল মুস্তাকীমে রাখুন!আমিন। আপনাকেও শুকরিয়া।Good Luck
170731
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৩৩
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন আপু মাশাআল্লাহ ।
আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক পথে চলার এবং সময়ের যথাযথ ব্যাবহার করার তাওফিক দিন আমীন Praying Love Struck
জাযাকাল্লাহু খাইরান আপুনি Angel
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৩
124896
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক ! তোমার দোআয় আল্লাহ আমাদর সকলকে কবুল করে নিন!আমিন।শুভকামনা রইলো আপুনি!Good Luck
১০
170755
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৪২
ইবনে হাসেম লিখেছেন : পথহারা ও বিভ্রান্ত মানুষের হৃদয়ের খোরাক নিয়ে এসেছেন আপু। তাই আপনাকে জানাই আন্তরিক সালাম। জাযাকিল্লাহ। দাওয়াহ্ এর কাজে এখুনি লাগছি, এই পোস্টটি আপনজনদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে...
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৫
124897
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমদের প্রতিটি মুহুর্তকে ইসলামিক পন্হায় কাজ লাগাতে পারি সেই দোআ করি !উৎসাহ মূলক মন্তব্যর জন্য অনেক শুকরিয়া! Good Luck
১১
170756
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৫০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ইস আমি যদি আপনাদের মত করে লিখতে পারতাম
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৬
124898
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ আপনি অনেক ভালো লিখেন! দোআ করবেন আমাদের জন্য! শুভকামনা রইলোGood Luck
১২
170765
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : খুব ভালো লিখেছেন লিখেছেন। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৭
124899
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক। দোআ করবেন! Good Luck
১৩
170802
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:০০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : এ দুনিয়া আমাদের জন্য পরীক্ষা ক্ষেত্র। আর আমাদের মহান মা’বুদ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র এবং উত্তর দু’টোই আমাদের জন্য উম্মুক্ত রেখেছেন। দেখে দেখে কপি করলেই পাশ। আলহামদু লিল্লাহ্‌!
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৮
124900
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জ্বি আল্লাহ আমাদের সচেতনতার সাথেই তা উপলব্ধি করা ও মেনে চলাকে সহজ করে দিন! আমাদের জন্য দোআ করবেনGood Luck
১৪
170814
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরান Praying Praying Praying

চমৎকার লিখা। মহান আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করে নিন। আমীন Praying Praying Praying
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৯
124901
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক! আমীন।! দোআ করবেন আমাদের জন্যGood Luck
১৫
170945
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০০
124902
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাকেও শুকরিয়াGood Luck
১৬
170996
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৬
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সুন্দর উপহার।
এমন উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে শুকরিয়া জানানো আমাদের সবার জন্য একান্ত জরুরী।
কি বলে শুকরিয়া জানাব?
আল্লাহ তায়ালা এ কাজ আপনার জন্য কিয়ামতের দিন নাজাতের ওসীলা করুন। আমীন
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০২
124903
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর দরবারে বেশি করে দোআ করে দিবেন আমাদের জন্য! আপনার দোয়ায় আমীনPraying Good Luck
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
125335
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুখে রাখুন। আমীন
১৭
171065
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ভালো লাগলো পিলাচ Rose Rose জাযাকাল্লাহু খাইরান Praying Praying
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০২
124904
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক! শুভকামনা রইলোGood Luck
১৮
171066
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৯
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আচ্ছা বড়াপু, স্পেইনের ভ্রমনের কোন পোস্ট আসবে না আর? চ্যাপটার ক্লোজ্ড? Crying Crying
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০৪
124905
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ শীঘ্রই আসবে পোস্ট! আমার জন্য বেশি করে দোআ করবেন যেন সময় করে বসে লিখতে পারি!Good Luck
১৯
171121
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৭
রুপকথা লিখেছেন : মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধরন আত্মসমালোচনা মূলক লিখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ খায়রান।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০৫
124907
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক আপুজ্বি! আপানাকেও অন্নেক শুকরিয়া সময় করে পড়া ও কমেন্ট করার জন্যGood Luck
২০
171185
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:৫৩
রুপকথা লিখেছেন : আমি পড়ার সময় প্রথম সারির পাঠক কিন্তু কমেন্ট করার সময় এক্কেবারে লাস্টু ।কষ্ট নিবেন না আপুজি।আপনার সব লিখা কিন্তু আমি পড়ি ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৮
126354
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : শুকরিয়া আপুজি!Good Luck
২১
171286
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আমার সাদিয়া আপুর লেখার সব সময় চমৎকার। সব সময়ই ছুঁয়ে যায়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪৩
127105
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : শুকরিয়া আপুনি! ভালো থেকো শুভকামনা রইলো!Good Luck
২২
172224
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪০
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : জীবন চলে যাচ্ছে স্রোতের মত অথচ আসল জীবনের প্রস্তুতি নেয়ার প্রস্তুতিই সম্পন্ন হচ্ছেনা। Crying Crying Crying
তাগিদের জন্য যাজ্জাকিল্লাহ আপু Love Struck Love Struck

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:০২
126356
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিক আপু!সময় করে পড়ার আর মন্তব্য করার জন্য শুকরিয়া!Good Luck Love Struck
২৩
172755
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৫৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সময় এমনই চোখের পলকে চলে যাচ্ছে । " সেই বরফ বিক্রেতার কথা মনে পড়ে, যে চিৎকার করে বলছিলো দয়া করো এমন এক ব্যাক্তির প্রতি যার পুঁজি গলে যাচ্ছে...। আমরা কি এমন প্রতিটি ব্যাক্তি নই?" এ কথাটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আমরা সবাই সেই ব্যাক্তিই এতে সন্দেহ নাই ।
আপু একটি নির্মম সত্য হচ্ছে আমার দেখা শতকরা ৯৬% মানুষও ঠিকমত শুদ্ধ উচ্চারণ এ কালিমা বলতে পারেনা। আর জামাতে নামাজিতো ০.৫০% এর নিচে।
মুসলমানের ভালোর জন্য মানুষকে ভালোবাসতে হবে । ঐ শিরক করা মাজারপূজারী মুসলিমকে ভালোবাসতে হবে। [আমি মানুষকে ভালোবাসার কথা বলছি গুণাহকে অবশ্যই ঘৃনা করতে হবে]
আমি ওদের দোষগুলোকেই দেখছি কিন্তু নিজেকে প্রশ্ন করি আমি কি সত্য দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে ঐ মাজারপূজারী রিক্সাওয়ালার বস্তিতে তার ঘড়ে গিয়েছি? আমি কি হৃদয়ের দরদ দিয়ে তার উপর মেহনত করেছি? আমি কি ভালোবেসে তাকে বলেছি যে ভাই এ কাজটি ঠিকনা?
সে যেনো সঠিক বুঝ পায় তার জন্য সঠিক দ্বীন শিক্ষার জন্য কোন ব্যাবস্থা করেছি? তাহলে কি করেছি?
ব্লগে/ফেসবুক/অনলাইন এ তাকে নিয়ে ধ্বংসকর সমালোচনায় মেতে উঠেছি। এটাই করেছি। [আপু আপনার লিখায় দরদগুলো কিন্তু ফুঁটে ওঠে। মুসলমানদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ফুঁটে উঠে শুকরিয়া আল্লাহকে]
হা হা হা বড়ই আফসোস সমালোচনা করেই সূখ পাই। শোন হে উম্মতের দরদী বন্ধুরা এই ব্লগ নামটিও সেই মাজারপূজারী শোনেনাই কখনও। যদি তুমি সত্যিকারের দরদী হও ঐ রিক্সাওয়ালা মাজারপূজারীকে ঘৃনা না করে বুকে টেনে নাও ঐ ফকিরটা যে কালিমা পড়ে ভিক্ষা করছে তাকে তোমার হৃদয়ের তলে আশ্রয় দাও। হৃদয়ে উম্মতের প্রতি ভালোবাসা বাড়াও যে ভালোবাসার নূর হেরা থেকে এসেছে। ছড়িয়ে পড় ময়দানে যেখানে এখন পর্যন্তও শিরক বেদায়াত ঢুকেনাই। তুমি যদি ইমানের আলো হাতে নিয়ে ছড়িয়ে না পড়ো তবে অন্ধকার কিন্তু বসে থাকবেনা সেও শিরক হাতে নিয়ে ছড়িয়ে পড়বে।
আর যদি ঐ গরীব ফকিরটা অথবা ঐ গরীব মুচির ঘড়ে যেতে নাও পারো তবে সাদিয়া আপুর মত দরদের সাথে লিখো যাতে করে তোমার লেখায়ও দরদ থাকে উম্মতের প্রতি ভালোবাসা থাকে।
Good Luck Good Luck জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু অসাধারণ একটি পোষ্টের জন্যGood Luck Good Luck
কিছু মানুষ যদি আপনার লিখার দরদ অনুযায়ী চলতো তবে আমাদের অবস্থা অনেক উঁচু মাকামে থাকতো।
আল্লাহ আপনার লিখনীতে আরো বারাকাহ্ দান করেন। আমিন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪৮
127106
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : গঠনমূলক মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া ভাই রাহবার! আমাদের দাওয়াতীকাজের পরিমান বাড়াতে হবে,আমরা প্রত্যকেই যদি অবস্হান, সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী দাওয়াহ শুরু করি এবং নিজেরাও মেন চলি ইনশা আল্লাহ অবস্হার পরিবর্তন হবে।
আপনি লিখে যান আমরা সবাই উপকৃত হব!

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!Good Luck
২৪
172860
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০১
আইমান হামিদ লিখেছেন : পড়ে বেশ ভয়ে ভয়ে আছি :(
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:৪৯
127107
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আল্লাহ আমদের সঠিক পথে অটল রাখুন! শুকরিয়া ভাই আপনাকেGood Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File