বাবার মায়ের দুচিন্তা
লিখেছেন লিখেছেন শিমুল ২০ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:১৮:১৭ রাত
তথ্য প্রযুক্তির যুগে এখন আর চিঠি পত্রের তেমন প্রয়োজন হয় না, মুহুতের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের খবর প্রযুক্তির মাধ্যমে নেয়া য়ায়। বেশি দিন আগের কথা নয় আজ থেকে ১০ বছর আগের কথা যখন হোস্টেলে ছিলাম বাবা নিয়মিত আমার কাছে চিঠি লিখতো, আর আমার কোন কিছু প্রয়োজন হলে আমি বাবার কাছে চিঠি লিখতাম। কিন্তু এখন আর চিঠি লিখতে হয় না। বাবা নিয়মিত আমার কাছে ফোন করে খোজ খবর নেন, একদিন আমি বাবা আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না। শত ব্যস্তার মধ্যে ফোন দিয়ে ভাল মন্দ জানতে চায়, কি খেয়েছি, কি করছি, ঠিক মতো খেয়েছি কি না জানতে চান। বাবা সব সময় চিন্তায় থাকেন, দেশের তথাকথিত রাজনীতি নিয়ে কোন দল কখন হরতাল ডাকে গাড়ি ভাংগচুড় করেন। পুলিশ কিভাবে সাধারণ মানুষের উপর পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নেংরা রাজনীতি মেতে উঠেছে। আসলে বাবার চিন্তা কোন শেষ নেই। তিনি সব সময় মনে করতেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র-ছাত্রী সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করুক। সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করুক। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় গোটা জাতি নেড়ে চড়ে উঠেছে, সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ মানুষ হত্যা-ধষন করলে তাদের দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আর অন্য ছাত্র সংগঠনের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ক্লাস করার জন্য ঢুকতে দেয়া হয় না। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ড আবেদন করেন। আর খুনি ছাত্রলীগকে দুধ কলা দিয়ে পুজা করেন। এ জন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীর বাবা মায়েরা তাদের আদরের সন্তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে ভালভাবে দিন কাটাতে পারেন না। সব সময় দুচিন্তা থাকেন। না জানি কখন কি দুসংবাদ আসে। এ জন্য বাবা সব সময় খোজ খবর নেন আমি কোন রাজনৈতিক দলের মিছিল গেছি নাকি। আমার বাবার মতো হাজারো বাবা তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেন না। এ জন্য আমরা চাইবো সরকার যেন তাদের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে থামান। আপরাধী তো অপরাধী সে যেই হোক। তাদের শাস্তি দিতে হবে। আমরা চাইনা ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনাকাঙিখত ঘটনা, চাইনা বিশ্বজিত আর মোধাবী ছাত্র আবু বকরের লাশ।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন