বাংলা তোমার মায়ের ভাষা
লিখেছেন লিখেছেন গন্ধসুধা ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৩২:১০ রাত
ইজিপশিয়ান ওয়ালা আমার ‘ঈদের দিন তোমার ফেভরিট জিনিস কি’ প্রশ্নের জবাবে যখন বার বার ‘ঈদ বেয়ার’ ‘ঈদ বেয়ার’ বলছিল আর আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না তখন অভিনয় করে হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে অবশেষে বুঝাতে সক্ষম হল উহা হচ্ছে ‘ঈদ প্রেয়ার’ অর্থাৎ ঈদের সালাত!আরবি স্পিকারের মুখে ‘P’ উচ্চারণ ‘B’তে কনভার্ট হয়ে আমার কানে ধাক্কা খাচ্ছে!যেহেতু আরবি বর্ণমালায় ‘p’ উচ্চারণের কোন অক্ষর নেই।আবার সোমালিয়ান মোনা যখন museum কে মুছিয়াম বলে তখনো ঝাড়া কয়েক সেকেন্ড লাগে উদ্ধার করতে!সন্দেহ নেই আমার বাংলায় অভ্যস্হ মুখও ইংলিশ বলতে গেলে উচ্চারনে এরকম অনেক গড়বড় করে!যেহেতু ইংলিশের ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক আলফাবেটের (IPA) অনেক সাউন্ড বাংলা ভাষায় নেই।
ভাষা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের বিশেষ নিয়ামাহ।আর সেটা আরো নিগুঢ়ভাবে উপলদ্ধি করা যায় বিজাতিয় ভাষার মধ্যে এসে পরলে।বাংলা আমার ভাষা,আমার মায়ের ভাষা,আমি বাংলাদেশী।বাংলায় কথা বলতে বলতে আমার বেড়ে উঠা,বড় হওয়া।পাকিস্হানের সাথে ঝগড়া হওয়ার প্রথম কারনটাই ছিল এটা, আমরা আমাদের বাংলাভাষায় কথা বলতে চাচ্ছিলাম!আমরা স্বপ্ন দেখতে চাচ্ছিলাম বাংলায়!সবই হল!অনেক রক্তপাত হল!আজো হচ্ছে!বাংলার নামে একটা দেশও হল কিন্তু বাংলাভাষাটাই যেন সরে যাচ্ছে দুর থেকে বহুদুর!বাংলা আজ জীর্ণ-শীর্ণ ঘরে-বাহিরে সর্বত্র!দেশের শিশুরা বাংলা নয় শিখছে হিন্দী ভাষা!দাদাবাবুরা দেখিয়ে দিল গায়ের জোরের চেয়ে কুটবুদ্ধির জোর বেশী শক্তিশালী!!প্রবাসি শিশুরাও বাংলাকে অবলোকন করে দুর আকাশের তারার মতোই!হিন্দী সিরিয়াল আছড়ে পরেছে এই বিলেতেও!যতটুকু তারা শিখতে পারতো হিন্দীর প্রভাবে ততটুকুও ভেসে গেছে!বেশীরভাগ পরিবারে বাবা-মা কথা বলে বাংলায় আর বাচ্চারা উত্তর দেয় ইংলিশে!অর্থাৎ তাদের লিসেনিং ভালো কিন্তু চর্চার অভাবে স্পিকিং খারাপ,কেউ কেউ তাও পারেনা!!
আমি শংকায় আছি আমার ইমামাকে নিয়ে!আমার বাবুটা ভাতকে ‘ভাট’ আর কাক কে ‘খাখ’ বলবে এটা আমি মানতে পারছিনা।মানতে পারছিনা সে কখনো বাংলা সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে পারবেনা!চিন্তাও করতে চাইনা দেশের সমস্ত আত্নীয়-স্বজনকে/দেশকে উপলদ্ধি করা শিখবেনা শুধুমাত্র ভাষাগত বাঁধার জন্য!পশ্চিমা কালচারের স্টাইলে মেতে থাকবে শুধু বন্ধু নিয়ে! খাঁটি বাংলাদেশীর সন্তান হয়েও শেকড় আর তার মধ্যে পাহাড়সম বাঁধা হয়ে থাকবে ভাষা!Wikipedia র ভাষ্যমতে,সর্বোচ্চ নেটিভ স্পিকারের দিক থেকে বাংলা হচ্ছে পঞ্চমতম ভাষা,যে ভাষায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ কথা বলে,যা পৃথিবীর টোটাল জনসংখ্যার ৪.৫৭%।আর বর্তমান সময়ে একটা ভাষা বেশী জানা মানে ক্যারিয়ারে আরো একটি পয়েন্ট যোগ হওয়া।যখন আমাদের সুযোগ আছে প্রতিদিন ইঞ্চি ইঞ্চি করে একটি ভাষাকে আমাদের সন্তানের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করার তখন আমরা সেটা কেন ছাড়ব?আমি এমন বহু মায়ের দেখা পেয়েছি যারা আমার মতোই এভাবে ভাবেন,এভাবে চান কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন উপলদ্ধি করেছেন তারা চাইলেও বাচ্চারা আর চায়না!বাচ্চার মধ্যে বাংলার বীজ বপন করার সময়টা কখন যেন হুট করে চলে গেছে!আর এ ব্যাপারটাই আমার মতো কিছু নতুন মায়ের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে!
আমি কিছু কৌশল নোট করেছি।যার কিছু আমি শিখেছিলাম আমার ছোটমামির কাছ থেকে আর কিছু নিজের উপলদ্ধি।ছোটমামি টোকিওর মেয়ে।বাচ্চাদের ইসলামি শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রায় একযুগ বাস করেছেন বাংলাদেশে।তখন আমার কাজিনদের জাপানিজ ভাষা (নিহোনগো) শিক্ষা দেয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন।আমার মতো নতুন মায়েদের জন্য কৌশলগুলো কার্যকরী হবে ইনশাআল্লাহ।
কৌশল নং ১ঃ এটাকে বলা যায় হাতেখড়ি (আসলে মুখেবুলি)।নতুন বাচ্চারা সবকিছুতেই নতুন,বড়দের মত পুরেনো অভ্যাস ত্যাগ করে তাকে নতুন কিছু ধরতে হয়না তবে একবার কোন কিছু অভ্যাস হয়ে গেলে সেটা বড়দের মতই ছাড়িয়ে নতুন কিছু করান কঠিন।তাই প্রথমেই তাদের দিয়ে বাংলা বলান আর সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।কিন্তু কেন তারা দুই ভাষায় কথা শেখার কষ্ট করবে যদি তারা বুঝতে পারে একটি(হতে পারে সেটা ইংলিশ) দিয়েই ঘরেবাইরে দিব্যি কাজ চলে যায়।যদি বাবা-মা বুঝাতে সক্ষম হন ঘরের মধ্যে তারা ইংলিশ শুনতে চাননা,বুঝতে চাননা,কোন ধরনের রেসপন্সও করবেননা তাদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বাংলা তাহলে তারা বাংলায় বাধ্য হবে বাবা-মার সাথে যোগাযোগ করতে যদিও বাকি পুরো দুনিয়ার সাথে ইংলিশে কথা বলে।আর এটা সম্ভব হয় একেবারে প্রাথমিক ধাপে যখন বাচ্চা মাত্র কথা বলা শুরু করে।একবার ইংলিশে রেসপন্স করা শুরু করলে সে অভ্যাস থেকে পরবর্তীতে তাদের বের করে আনা দুঃসাধ্য।মোট কথা ঘরে বাংলায় কথা বলার আইন জারি করতে হবে। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় আমার এক ভাবী উজবেকিস্তানী বংশোদ্ভূত।পারিবারিকভাবে এখনও তারা নিজস্ব ভাষা (উজবেকিস্তানের ভাষা,উর্দু বা উর্দুসদৃশ একটা ভাষা) চর্চা করেন।এখন ভাতিজীও মায়ের সাথে তার মায়ের ভাষাতেই কথা বলে।
কৌশল নং ২ঃবই পড়া।নাহ...বাচ্চা কবে বানান করে করে বই পড়তে পারবে তার জন্য অপেক্ষা করলে চলবেনা!খেলনার পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে আমরা এতটুকু কুন্ঠিত হইনা!অথচ বই যে বাচ্চাদেরও সর্বোৎকৃষ্ট বিনোদন হতে পারে এটা আমরা বুঝিনা!খেলনার বাজেটের এককোনা থেকেই অনায়াসে বইয়ের বাজেট তুলে আনা যায়।এটা ঠিক প্রথম কিছুদিন তারা বই ছিড়বে!কিন্তু আছাড় না খেয়ে যেমন হাটা শেখা যায়না,পানি না খেয়ে যেমন সাতাড় শেখা যায়না তেমনি দু’একটা বই না ছিড়েও বই পড়ার অভ্যাস হবেনা।ঘুম পাড়ানি গল্প শোনানোর সময় মুখে মুখে গল্প শোনানোর চেয়ে বাচ্চাদের বাংলা বই দেখে দেখে ইসলামের গৌরবময় ইতিহাসের গল্প,বিভিন্ন নবী-রাসুলদের জীবনের গল্প বলা অনেক বেশী ফলপ্রসু।এটা আসলে থ্রী ইন ওয়ান প্রযেক্ট।এক,বইয়ের সাথে পরিচয়,বই পড়ার অভ্যাস তৈরী।দুই,বাংলা ভাষা চর্চা।তিন,ইসলামের গল্প জানা। ইংলিশ বই কেনার পাশাপাশি বাংলা বইও কিনতে হবে।
যারা এমন কোন দেশে থাকেন যেখানে কম্যুনিটির অভাবে শিশুদের বাংলা বই পাওয়া যায়না সেখানকার বাবা-মাদের হতে হবে আরো সৃজনশীল!মুখে গল্প বলার পাশাপাশি অনলাইন থেকে প্রিন্ট আউট করতে পারেন নতুবা নিজেরাই বাবুদের উপযোগী গল্প টাইপ করে/ নাম সহ বিভিন্ন ছবি,রং-চঙ ইত্যাদি দিয়ে আকর্ষনীয় করে প্রিন্ট আউট করতে পারেন।
কৌশল নং ৩ঃবাংলাভাষীদের সাথে যোগাযোগ আর বন্ধুত্ব।ভাষার উন্নতির জন্য নেটিভ স্পিকারদের সাথে চর্চার বিকল্প আর কিছু হতে পারেনা।এই ইন্টারনেটের যুগে খুব সহজেই দেশে যোগাযোগ করা যায়।বাবা-মা যখন দেশে আত্নীয়-স্বজনের সাথে ফোনে/স্কাইপে কথা বলেন তখন প্রতি দশমনিটে দুইমিনিট বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে পারেন খুব সহজে।বাচ্চার সমবয়সী কাজিনদের সাথে বন্ধুত্ব করিয়ে দিতে পারেন।বন্ধুত্ব ধরে রাখার জন্য কার্যকরী যোগাযোগে সাহায্য করতে পারেন,এটা খুবই ভাল একটি উদ্যোগ।শুধু ভাষা বিনিময় নয়,সংস্কৃতি বিনিময়ও হবে। এটা আসলে টু ইন ওয়ান প্রযেক্ট।এক,আত্নীয়-স্বজনকে চেনার-জানার,তাদের হক্ব আদায়,সম্পর্কের বন্ধন অটুট রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে প্রাকটিক্যাল শিক্ষা।যেখানে পশ্চিমা কালচার বাবা-মায়ের ও আগে বন্ধুকে,বাহিরের মানুষকে,পেটকে স্হান দিয়ে একটা লেজেগোবরে অবস্হা বানিয়ে রেখেছে সেখানে এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরীও বটে! দুই,বাংলা ভাষা চর্চা।
কৌশল নং ৪ঃপ্রযুক্তির ব্যবহার।বাচ্চাকে বিভিন্ন বাংলা ছড়া-কবিতা/বাংলা অক্ষর,শব্দমালা সমৃদ্ধ ট্যাব বা মোবাইল দেয়া যায় ।এতে খেলার ছলেই অনেক কিছু শেখা হয়ে যাবে।এমনকি এভাবে কুরআনুল কারিমের ছোট ছোট সুরাগুলোও তার শেখা হয়ে যাবে।আমাদের মারিয়া (চার বছর বয়স)এভাবে সুরা আর রহমানের প্রায় অর্ধেক মুখস্হ করে ফেলেছে।আলহামদুলিল্লাহ।
কৌশল নং ৫ঃচিঠি লেখা/মেইলিং।এটা আসলে সবচেয়ে কঠিন কাজ।যেসব বাবা-মা চান বাচ্চা বাংলায় লেখা শিখুক তারা এটা করাতে পারেন।তবে হাতের লেখা অর্থাৎ চিঠি এ যুগে আর সম্ভব হওয়ার আশা দেখছিনা!কিন্তু টাইপিং শেখানো যায় অনায়াসে।বাংলাভাষী প্রবাসিরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে বাচ্চাদের উপযোগী বাংলা ব্লগ/ওয়েবসাইট ওপেন করেত পারেন।শব্দমালার সম্ভার বাড়াতে পড়া আর লেখা দুটিই উপকারী।
কৌশল নং ৫ঃভালবাসা।যদিও সবার শেষে লিখেছি কিন্তু এটাই আসলে প্রথম কথা।যেকোন ভাষার উন্নতির মূলমন্ত্র হচ্ছে শব্দমালার সম্ভার, চর্চা ও ভালবাসার সমন্বয় সাধন।এই ভালবাসাটাই যদি বাবা-মা সন্তানের মনে প্রোথিত করে দিতে পারেন,তাহলে বিভিন্ন রকম দুর্বলতা থাকলেও একসময় নিজেরাই তারা সেসব থেকে বের হয়ে আসতে পারবে,ইনশাআল্লাহ।
প্রবাসে সন্তানের ভাষা শেখার ব্যাপারে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই।আমার তিনমাস বয়সী বাচ্চার ভাষা শুধুমাত্র মেম,মেম্মে,এম্মে,ম্যা,ম্যাউ,মাম।এভাবেই সে ডাকে আমাকে।তবে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব,ইনশাআল্লাহ।এটা স্কুলের হোমওয়ার্কের মতো কোন বাধাধরা সময় নয়, শুধুমাত্র দৈনন্দিন জীবনে ফোকাসটা যদি ধরে রাখা যায় তাহলেই অনেক উন্নতি সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।
আমার ইমামাসোনা আর তার মতো সব প্রবাসি বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-
বাংলা তোমার মায়ের ভাষা
এই ভাষাতে স্বপ্ন দেখো
জগতময় ছড়াও আশা।
সৌজন্যেঃআমার মেয়ে মুত্ত্বাকীনা ইমামা।
____________________________
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই?বহুদিন পরে এলাম
বিষয়: বিবিধ
১৮৪২ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাঝে মাঝে অনুভব করি যে, আমি ঠিক ওকে বোঝাতে পারছি না ঠিক বোঝাতে চাইছি! অর্থাৎ, নাকীব বুঝতে পারছে ঠিকই কিন্তু যে গভীরতা থেকে আমি বলছি সেই গভীরতাটিকে ছুঁতে পারছে না! আমাদের ভাবের আদান-প্রদান হলেও আবেগের তারতাম্য থেকেই যাচ্ছে!
আলহামদুলিল্লাহ! এবার দেশে যাবার পর যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে নাকীবের বাংলার প্রতি! গাড়ি দিয়ে চলার সময় সাইনবোর্ড থেকে নিয়ে শুরু করে রাস্তায় যা লেখা থাকে সবকিছু ওকে পড়ানোর অভ্যাস করেছিল ওর বাবা! দেশে গিয়ে যখন পড়তে পারতো না খুবই মনখারাপ করতো! এই মন খারাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল যখন আমার বইটা হাতে পেয়েও পড়তে পারছিল না তখন!
এখন নিজ থেকেই খুব আনন্দ নিয়ে বাংলা লিখছে, পড়ছে এবং বলছেও। সেদিন যেমন বলছিল, আম্মুতা আমার পেট খালি! অর্থাৎ, তার ক্ষুধা লেগেছে! এত্তো মজা পাচ্ছি দেশ থেকে আসার পর নাকীবের নিত্যনতুন বাংলা শুনে!
তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভালোবাসাটাকেই মনেহয়! সন্তানদের সামনে যদি আমরা দেশের প্রতি, আমাদের ভাষার প্রতি ভালোবাসা, আবেগকে ফুটিয়ে তুলতে পারি! সেটা ওদের মনকে ছুঁয়ে যাবেই ইনশাআল্লাহ! আমরা নিজেরাই আসলে এই ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নই!
কয়েকদিন আগে আমি নাকীবকে বলছিলাম যে, জানো বাংলাতে কথা বলতে, বাংলাতে লিখতে যে আনন্দ, মজা আর তৃপ্তি পাই... যেভাবে প্রকাশ করতে পারি আমার মনের ছড়িয়ে থাকা ভাবনাগুলোকে অন্য কোন ভাষায় তেমনটা পারি না! নাকীব আহ্লাদ মেশানো গলায় বলেছিল, এজন্যই তো আমি বাংলা শিখছি আম্মুতা! যাতে তোমার সাথে তোমার ভাষাতে গল্প করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ!
আসলে আমরা সচেতন ভাবে চাইলে, আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলেও আমাদের সন্তানরাও ইনশাআল্লাহ আমাদের মত করেই বাংলাতে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবে! সুন্দর লেখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ আপুনি! ইমামার জন্য এত্তো এত্তো আদর, দোয়া ও ভালোবাসা!
তোমার মন্তব্য থেকে আমি আরো একটা কৌশল খুঁজে পেলাম আমাদের জানতে হবে বাচ্চাদের দুর্বলতা,তারপর সেটা দিয়ে তাদের আকর্ষণ করতে হবে।যেমন নাকীবের দুর্বলতা হল তোমার বাংলায় লেখালেখি
আসলে বড়দের মতো প্রতিটি বাচ্চার ব্যক্তিত্বও আলাদা আলাদা।একজনের উপর যা প্রয়োগে সফলতা পাওয়া যাবে আরেকজনের উপর তার প্রভাব নাও পরতে পারে।
নাকীববাবাটার জন্যও এত্তো এত্তো আদর ও দোয়া রইল।
মুত্ত্বাকীনা ইমামা সোনামনির জন্য আদর ও ভালবাসা রইল ।
জাজাকিল্লাহু খইরান
জাজাকাল্লহু খইরান।
জাজাকাল্লহু খইরান
অনেক দিন পরে আগমন আপনার!
কেমন ছিলেন?
সুন্দর নান্দনিক উপস্হাপনায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকুমুল্লাহু খাইরান জানাচ্ছি!!
একসময় স্কুলে নাকি বাংলা ইংরেজি ছাড়াও ফার্সি ও আরবি পড়ান হতো। কিন্তু এখন ইংরেজির উপর অধিন জোড় দিতে গিয়ে বাংলাও ঠিক মত শিখান হয়না!! আর আমরা যত ভাল ইংরেজি উচ্চারন এর চেষ্টা করি ইংরেজরাও তা করেনা!!! এটা আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় এক বাংলাদেশি সাংবাদিক বেশ গর্বের(!) সাথেই লিখেছিলেন যে কোরিয়া শিক্ষারত এক বাংলাদেশি যে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছে কোরিয়ানদের ভুল ইংরেজির তুলনায় তা উচ্চারন নাকি সেক্সপিয়ার এর প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু সেই সাংবাদিক ভুলে গিয়েছিলেন ভুল উচ্চরনে ইংরেজি বলেও কোরিয়া সে বছর ব্শ্বিকাপ ফুটবলের আয়োজক এবং সেমিফাইনালিষ্ট!!!
মুত্ত্বাকীনা ইমামা সোনামনির জন্য দোয়া ও আদর ও রইল
ওয়াবারাকাল্লহু ফিক।আপনার জন্যও আনেক অনেক দোয়া আপু
অনেকদিন পরে এলেও চমৎকার লিখেছ। আরেকদিন তোমার কাছে তোমার মামীর গল্প শুনতে হবে
আর এটা ইমামার জন্যঃ
মামী নওমুসলিম।আমরা যারা জন্মসূত্রে এ সম্পদের মালিক হয়েছি তাদের অনেক কিছু শেখার আছে এদের কাছ থেকে।আর একদিন লেখব ইনশাআল্লাহ মামীর কথা।
পিংকি বিয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু,যদি ইমামা বুঝতো না জানি কতো খুশী হত
তোমার উৎকণ্ঠা এবং টিপসসমূহ খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। টিপসগুলো বেশ চমৎকার। একজন মা যদি আপ্রাণ চেষ্টা করে তবেই বাচ্চাকে নিজ ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি সব কিছু শেখাতে পারে। আল্লাহ তোমার এই প্রচেষ্টাকেকবুল করে নিন।আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন