Exam অতঃপর...
লিখেছেন লিখেছেন গন্ধসুধা ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৭:৩৩ রাত
টীমলিডার হিসেবে হতাশ হতে হতে অনুভব করলাম হতাশ হওয়ার সময়টাও আমার হাতে নেই!মাত্র পচিঁশ মিনিটে নমুনা জমা দিতে হবে।কিন্তু আমার টীমের সদস্যদের মনটা একেবারেই উড়ু উড়ু!একজন খুব গভীরভাবে পাশের টীমের কাজ দেখতে দেখতে মনখারাপ করে ঘোষনা দিল ওদের কাজ আমাদেরটার চেয়ে সুন্দর হয়েছে, আরেকজন অন্যপাশের টেবিলের কাজ দেখতে দেখতে আনন্দচিত্ত্বে বলতে লাগলো অবশ্যই আমাদের কাজ বেশী সুন্দর হয়েছে! কিন্তু এভাবে আরেকজনের দিকে খেয়াল করতে গিয়ে তারা যে নিজেদের নির্ধারিত মাত্র পচিঁশ মিনিটের পাঁচ পাঁচ দশমিনিটই খুঁইয়ে বসলো যা দিয়ে নিজেদের কাজটা আরো সুন্দর করা যেতো এ ব্যাপারে একেবারেই অসচেতন!যেহেতু নেতৃত্বের সঠিক গুনাবলী আমারো নেই তাই আমিও পারলামনা তাদের দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে !ফলাফল যা হবার তাই হল!কোনরকম একটা নমুনা তৈরী হল এবং সেটা পড়ে রইল সবার পিছনে!
এটাই চরম এবং নির্মম বাস্তবতা!আমাদের জীবনটাও এক পরীক্ষা। আমরা প্রত্যেকেই যে যার মত নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে,নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে এ পৃথিবীতে এসেছি।এখন যদি আরেকজন কত খারাপ করল আর নিজে কত ভালো করছি সেটা ভেবে আহলাদিত হয়ে অপরজনের গীবাহ,কুৎসা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখি আর নিজের আত্নঅহংকারে ভেসে যাই তাহলে সেই চুড়ান্ত হিসাবের খাতায় মাইনাস মার্ক ছাড়া যেমন কিছু জুটবেনা তেমনি আরেকজন ভাল করছে সেটা দেখে নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা না করে শুধু বিদ্বেষে হাত-পা ছুড়ে সময় নষ্ট করলেও এফ গ্রেড ছাড়া আর কিছু পাওয়ার আশা করা বোকামী।তাইতো আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সতর্ক করে বলেছেন 'সময়ের কসম।
মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করতে থাকে এবং একজন অন্যজনকে হক কথার ও সবর করার উপদেশ দিতে থাকে।'
(সূরা আল আসর)
বিষয়: বিবিধ
২৪৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন