দুটি নিদর্শন-২
লিখেছেন লিখেছেন গন্ধসুধা ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৫৩:২৫ রাত
২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে-''তুমি রাতকে দিনের ভিতর প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভিতর প্রবেশ করিয়ে দাও।আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করে আনো এবং মৃতকে জীবিতের ভিতর থেকে বের করে আনো।আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।''
ডঃ জাকির নায়েক তাঁর Quran and Modern Science বইটিতে লিখেছেন-
''পূর্বকালে মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবী চ্যাপ্টা।পৃথিবীর কিনার থেকে ছিটকে পড়ার ভয়ে মানুষ শত শত বছর ধরে বেশী দূর পর্যন্ত ভ্রমন করতো না।স্যার ফ্রান্সিস ড্রেইক প্রথম ব্যক্তি যিনি ১৫৯৭ সালে পৃথিবীর চতুর্দিকে নৌ-ভ্রমনের পর প্রমান করেছিলেন যে,পৃথিবী গোলাকার।
দিন ও রাত্রির পরিবর্তন সম্পর্কে কুরআনের আয়াতটিকে বিবেচনা করা যাক-أَلَمْ تَرَى أَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ (لقمان: 29)النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ
''তুমি কি দেখোনা যে আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন?''(২৭ নং আয়াতটির প্রথমাংশের সিমিলার আয়াত)
এখানে বলা হচ্ছে,রাত্রি ধীরে ধীরে ক্রমশ দিনে পরিবর্তিত হয় এবং অনুরুপভাবে দিনও ধীরে ধীরে ক্রমশ রাত্রিতে পরিবর্তিত হয়।।শুধুমাত্র পৃথিবী গোলাকার বলেই এই ঘটনা ঘটতে পারে।পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে রাত্রি থেকে দিনে এবং দিন থেকে রাত্রিতে একটা হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে যেতো।''
পৃথিবী যদি চ্যাপ্টা হত তবে আমরা কখনো সুবহে সাদিক আর সন্ধ্যার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারতাম না।
সুবহানাল্লাহ! ১৫০০ বছর আগে আল-কুরআনের একটি ছোট্ট আয়াতে আছে যার সূত্র তা বুঝতে মানুষের লেগেছিল কতো বছর!
وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنْ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنْ الْحَيِّ অর্থাৎ আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করে আনো এবং মৃতকে জীবিতের ভিতর থেকে বের করে আনো।যদি এই আয়াতের উদাহরন আমরা ভাবি তবে ভেবে শেষ করতে পারবোনা!ডিম(মৃত) থেকে বাচ্চা আর জীবন্ত প্রানী থেকে ডিম!বীজ(মৃত) থেকে গাছ আর গাছ(জীবিত) থেকে বীজ!গর্ভধারিনীর গর্ভ থেকে মৃত সন্তান।আর মৃত মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত সন্তানের উদাহরনও কি নেই?প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম এক বাচ্চার কথা যাকে মৃত মায়ের পেট থেকে সীজার করে বের করা হয়েছিল আর সে সম্পূর্ন সুস্হ ছিল!কিনা করতে পারেন তিনি, যদি চান!আরো ব্যাপক অর্থ ধরলে কাফিরের সন্তান মুমিন আর মুমিনের সন্তান কাফির।জাহিলের ঘরে মূর্খ আর মূর্খের ঘরে জাহিল।আজরের ঘরে ইবরাহিম খলীলুল্লাহ আর নুহ (আঃ) এর ঘরে কেনান!সুতরাং এই আয়াত বহন করে ইসলামের সেই চিরাচরিত মহানুভবতা সন্তানের অপরাধের জন্য বাবা কখনো দায়ী হবেনা (যদি সংশোধনের নিয়্যত এবং সেই অনুয়ায়ী কাজের চেষ্টা থাকে) এবং বাবার অপরাধে সন্তান দায়ী হবেনা!
বিষয়: বিবিধ
১৭২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন