অ-জনপ্রিয় রাজনীতিবিদগণ কি বার্তা জনগণকে দিচ্ছেন - জনগণ কি বোঝে !!
লিখেছেন লিখেছেন নুরুন্নাহারশিরীন ০৯ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৩৬:৪৯ রাত
এইদেশে একটি অপ্রিয়-অনাকাঙ্ক্ষিত সত্যচিত্র - জনপ্রিয়তা নেই - এমন রাজনীতিবিদগণ সদাসর্বদা অযথাই অপরাজনীতির ধন্দে ফেলেন জনতাকে !! অহরহই তাঁরা প্রবীন-নবীন-নবিসিদের মাঝে বক্তৃতা-বিবৃতি-বচনদান করে বেড়ান। তাতে জনগণের উপকার হচ্ছে - না অপকার - সে খোঁজ নিতে চান না তাঁরা নিজস্ব স্বার্থে। জনস্বার্থের কথা মাথায় রাখেন না। নাকি রাখতে চান না - কে জানে !! এবঙ দেশ কি এগুচ্ছে - না পিছিয়ে পড়ছে - তার কোনও যৌক্তিক ব্যাখ্যাও কিন্তু তাঁদের কাছে পাওয়া সম্ভব না। কেননা, তাঁরা সদাসর্বদা সত্য কথাটি - সত্যচিত্রটি এড়িয়ে যেতে ভালোবাসেন। এড়িয়েই চলেন। আইনের মানুষ হয়েও অবলীলায় আইনের বাইরে - বৈধ সরকারের পতনের অপেক্ষা করে থাকেন। অথচ, পতন ঘটলেও জনগণ যে তাঁদেরকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা আরোহণের প্রথম সুযোগটি করেই দেবে - তেমন নিশ্চয়তা মোটেও নেই !! তবুও তাঁরা কিসের জন্য যে এমন করতেই ভালোবাসেন !! অনেকটা এ যেন সেই -
"বুড়ো শালিখের ঘাড়ে রোঁ"
-এর মতোই দশা - অ-জনপ্রিয় এইসব রাজনীতিবিদগণের। তাঁদেরই সন্মুখে বিশ্ব যখন বর্তমান বাংলাদেশকে একটি অগ্রগতির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবেই শংসাবাণী দিচ্ছে - তখন উনাদের উল্টোকথা - কেউ না শুনুক - তবুও বলা !! হ্যাঁ, তাঁরা বর্তমান হাসিনা সরকারের পতন চান !! যদিও বৈধ একটি সরকার মেয়াদকাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন না করে - নেমে যাবেন - এ ক্যামন অন্যায় আবদার !! গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমন কথা - নিশ্চয় অশোভন এবঙ নিন্দনীয়। অথচ, এইদেশে বিরোধী রাজনীতি মানেই - নবগঠিত সরকার ক্ষমতারোহণের শুরু থেকেই যে কোনও ছুতোনাতায় সরকারের পতন ছাড়া তাদের অন্য চাওয়া নেই !! যে করে হউক পতন চাই !! কালেভদ্রেও এইসব রাজনীতিবিদরা জনগণের দুঃখদিনে সেভাবে পাশে দাঁড়িয়ে কাছে টানতে জানেন না। তাহলে তাঁরা ক্যামন জনদরদী বা ক্যামন ভালোবাসবেন জনগণকে - সরকারের পতন ঘটানোর পরবর্তীতে - প্রশ্নটি এসেই যায়। নিকট অতীতে তাঁদের কার ক্যামন ভূমিকা ছিলো বা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক অর্জন-এর ক্ষেত্রেও তাঁরা কি অবদান রাখতে পেরেছেন - সেসব তথ্যও নিশ্চয় - "কান টানলে মাথা আসে" -র মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সত্য এই যে - ঐতিহাসিক সত্য পদদলিত করে কেউই দেশের মঙ্গল বয়ে আনতে আগেও পারেনি, এখনও অসম্ভবই - জেনেও, অযথা বাক্যবাণ ছুঁড়েই যাওয়া !! এবঙ সেটি বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যে গণতান্ত্রিক ধারামতেই বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন না বলেই সম্ভব হচ্ছে - তারও ন্যূন্যতম স্বীকৃতি দিতে নারাজ এই রাজনীতিবিদরা !! এতে তাঁদের কতটা উঁচুদরে উঠছে - আর সরকারের ইমেজ কতটা নিম্নে নামছে - তাও বিচার্য। কেননা, আন্তর্জাতিক তথ্যমতেই বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক-কৃষি-শিক্ষা-স্বাস্থ্য সমেত ডিজিটাল অগ্রগতিতে অগ্রসরমান একটি দেশ হিসেবে লক্ষ্যণীয় উন্নয়শীলতা অর্জনের স্বীকৃতি পাচ্ছে। সেখানে নিজ দেশের এইসব অ-জনপ্রিয় রাজনীতিবিদরা উলটোরথে চড়ে উড়িয়ে চলেছেন রোজই নিত্যনতুন বাক্যবাণের তুবড়ি !! জনগণ কি কান দিচ্ছে - না এক কানের শোনা কথাটি অন্যকানে যাবার আগেই আবর্জনার মতো বাতাসে ঝেড়ে ফেলছে - সেই কথাটি জানা উচিত তাঁদের, জানতে বলি। তাঁদের নিশ্চয় অজানা নয় - বাংলাদেশের আমজনতা আজ আগের মতো - "যত দোষ নন্দ ঘোষ" - অর্থাৎ আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনা সরকার অযোগ্য সরকার - এমন বস্তাপচা থিওরি শুনতে রাজী না। আমজনতার দলের কাছে তাবত দল-উপদল যে যা-ই বলুক না - তাদের চোখকান অনেক খোলা এখন। তারা দেশের হালচাল ভালোই বোঝে। এবঙ তরুণ প্রজন্ম - যারা নেহাত "মগজ ধোলাই" হয়ে যায়নি এখনও - তাদের কাছে এখন বাংলাদেশে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াটিই প্রণিধানযোগ্য বলেই ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে। দেশের জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশ আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে একাট্টা হয়েছে। দেশের মানুষ জানে - আগামী নির্বাচনে হাসিনা সরকার ক্ষমতা হারালে - বিচার বানচাল অবধারিত। ফলে চিহ্নিত অপরাধীরা বেরিয়ে এসে প্রতিহিংসা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে সর্বত্র। দেশে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবার সম্ভাবনা। সকল উন্নয়শীল প্রজেক্ট মুখ থুবড়ে পড়বেই - এটাই এদেশে বিরোধীনীতি। আগের সরকারের সকল উন্নয়শীল প্রজেক্ট বন্ধ করাই চাই। নইলে সেটি হাসিনা সরকারের আমলে গৃহিত কাজের স্বীকৃতি হয় যে ! সেটি কি করে অন্য সরকারের আমলে সম্ভব !! এমন রাজনীতি এদেশে অসম্ভব !! এমন রাজনীতি এদেশে বিরোধী দলের ইতিহাসে নেই যে !!
সুতরাং আমরা যারা জনসাধারণের দল - আমরা চোখকান খুলেই পথচলতি বচন-বক্তৃতা-বিবৃতি শুনি এবঙ সতর্কতা অবলম্বন করে আগাম সাবধানতায় বলি যে -
"সাধু সাবধান।।"
জানুয়ারী ২০১৩ ইং
বিষয়: বিবিধ
১০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন