শাস্তির জন্য একটি জরুরী আহ্বান

লিখেছেন লিখেছেন নুরুন্নাহারশিরীন ০৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২৪:১৬ সন্ধ্যা



এটি কোনও কাব্য না। গল্প না। ক'বছর আগের একটি ঘটনা। জনকন্ঠ রিপোর্টে প্রকাশিত। পড়েই হৃদিমন রকাক্ত। জখমিত। বিবেক জুড়ে রক্তক্ষরণ। তখনই নিজস্ব একান্ত তাড়নাজাত লেখা - এখানে শেয়ার করছি -

কাব্য নয়।

গল্প নয়।

ঘটনাটা হৃদয় রক্তাক্ত করা।

এলাকা - চিকনছড়া।

গ্রাম - ফটিকছড়ি, চট্টলা।

কন্যাশিশু শারমীন পড়তো দুলিয়ে বেনী -

সরকারী প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণী।

বাবা মনির হোসেন - চাকুরিজীবি, প্রবাসী।

কন্যা শারমীন দুচোখের মনি, রেখেছিলো সাবধানে -

স্ত্রী ও মায়ের তত্ত্বাবধানে।

মায়ের অধিক শারমীন ছিলো দাদী-অন্তঃপ্রাণ -

দাদীরও শারমীন ছিলো ধ্যানজ্ঞান।

ঝলোমলো জুন মাসের একটি দিন -

শারমীনের বায়না খিচুড়ির সেইদিন।

ঘরে তেল বাড়ন্ত, তো, দাদী পাঠালেন তারে -

ঘরের পাশেই পাড়ার দোকানে।

একঘড়ি - দুইঘড়ি -

শারমীন কই - শারমীন কই -

মা ও দাদীর কলিজা কাঁপে - পাড়াময় হইইচই -

ঘড়ি-ঘড়ি হয় পার।

অবশেষে মেলে -

পরিত্যাক্ত ঝিলে !

রক্তাক্ত-নিথর-জখমিত-মৃত শিশুটিরে -

যে আর জগতে আসবেনা ফিরে !

প্রতিবেশি মীর হোসেন - ধর্ষণ শেষে -

শিশুটির দুইচোখ খুবলে নিয়েছে !

কি বিচারে জীবনের মিলবে সান্ত্বনা -

জীবন জানেনা - জীবন জানেনা -

আমি ভাবি - আহ - প্রিয় বাংলাদেশ এমন ছিলোনা।

আমাদের এই দেশ এমন ছিলোনা।

আজিকে বিচার চাই -

যে বিচারে যে কোনও ধর্ষকের এই বাংলায় ঠাঁই নাই।

এবঙ বিচারে ধর্ষকের লিঙ্গ কাটা হোক।

তার দুইচোখ খুলে নেয়া হোক।

লেখার পর হতেই যখনই এদেশে কোনও শিশুর 'পরে ধর্ষণ-এর খবর পড়ি - আমার বিবেকে-হৃদয়ে রক্তপাত হতেই থাকে। রক্তাক্ত-জখমিত-দুচোখ মেলে ধর্ষণ-এর মানেও না বোঝা অবোধ শিশুমুখ শুধোয় -

"কিগো - আমায় কি ভুলেও মনেও পড়েনাগো !!"

কান্নার আগুনে পুড়তে থাকি - এবঙ পুড়তে-পুড়তে অঙ্গীকারাবদ্ধ করাতে চাই প্রতিটি সচেতন বিবেকবানের অন্তর। আজ আমার এটুকুই বলার ছিলো - লেখার ছিলো।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File