"বিজয়ী দলের বৈশিষ্টসমূহ" (মূল: শহীদ ইউসুফ ইয়েরী)

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৪৩:১৬ বিকাল

"বিজয়ী দলের বৈশিষ্টসমূহ"

মূল: শহীদ ইউসুফ ইয়েরী

অনুবাদ: ড: মঞ্জুর আশরাফ

----------------------------------

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। প্রশংসা ও শান্তি মুহাম্মদ (দ), তার পরিবার এবং তার সঙ্গীদের প্রতি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক ), আল্লাহ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, (i) যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং (ii) তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, (iii) যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও (iv) কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে, (v) যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং (vi) কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা ৷ এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন৷ আল্লাহ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন৷

(মায়েদা: ৫৪)

এই আয়াতটি শেষ দিবসের পূর্ব পর্যন্ত জিহাদের যৌক্তিকতা বিষয়ক মৌলিক তত্ব। এখানে একটি বিষয় নির্দেশিত হয়েছে যা হল 'সুন্নাহ রাব্বানিয়াহ' অর্থাৎ আল্লাহর সুন্নাত এবং এটি অপরিবর্তনশীল। যারা উপরোল্লিখিত ৬টি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে না তাদের পরিবর্তে আল্লাহ এমন এক দলকে নিয়ে আসবেন যারা ওই দায়িত্বগুলো পালন করবেন। লক্ষনীয় যে এই নির্দেশনা সাহাবীদের ব্যপারে এসেছিল। এটি বুঝায় যে, আল্লাহ তায়ালা কারো সাথে কোনো বিশেষ সম্পর্ক তথা স্বজনপ্রীতি রাখেন না। ইহুদিরা মনে করত যে তারা হল আল্লাহর বেছে নেয়া জাতি - কিন্তু তারাও আল্লাহ কর্তৃক অভিশাপগ্রস্ত হয়েছে উল্লিখিত দায়িত্বগুলো সম্পন্ন না করার জন্য।

অনেক ইসলামী জামায়াত তথা সংগঠন দাবি করেন যে তাদের জামায়াত গত ২০-৩০ বছর ধরে টিকে আছে - অতএব তারা সঠিক পথে আছে। এটি কিন্তু অযৌক্তিক এ আয়াতের প্রেক্ষিতে। যে মুহুর্তে আমরা উল্লিখিত দায়িত্বগুলো পরিত্যগ করব আল্লাহ আমাদের পরিবর্তে অপর একটি দল বা গোষ্ঠিকে নিয়ে আসবেন তথা দায়িত্ব দিবেন যারা ওই কাজগুলো সম্পন্ন করবেন এবং তারাই সঠিক পথ প্রাপ্ত। জীবনে শেষ যে কাজ করি তাই গুরুত্বপূর্ন। আমরা যে অবস্থায় (যে কাজের উপর) মারা যাই - ভাল বা মন্দ হোক - তাই শেষ দিবসে আমাদের অবস্থান নির্ধারন করবে। গুনাহের উপর মৃত্যু বরণ করা ইসলামের দৃষ্টিতে এক ঘৃণ্য কাজ।

অনেকে একটি প্রশ্ন করে থাকেন - আমাদের চারপাশে অনেক মুসলিম জামায়াত বা দল আছে যোগদানের জন্য। কোন দলে আমরা যোগদান করব? আমরা যদি সঠিক জায়গাতে লক্ষ্য করি তবে সন্দিহান হবনা। উত্তর অবশ্যই পাব। রাসুল (দ) আমাদের 'আত্তাইফাহ আল মনসুরা' (বিজয়ী দল) এর কথা বলেছেন। তিনি শুধু সেই দলের পরিচয় 'বিজয়ী' হিসেবেই দেননি বরং ওই দলের গুনাগুনও সবিস্তারে বলেছেন। যে কেউই নিরপেক্ষ মনে এই গুনগুলো পর্যবেক্ষন করবেন সেইই এবিষয়ে পুন: প্রশ্ন করার প্রয়োজন বোধ করবেন না। আমরা কোরআন থেকেই এ গুনগুলো দেখার চেষ্ঠা করি। এই (আয়াতে মায়েদা: ৫৪) আল্লাহ বলেছেন আমাদের পরিবর্তে (যদি নিন্মোক্ত কাজ সম্পাদন না করি) এমন একটি দল নিয়ে আসবেন

(১) যাদের আল্লাহ ভালবাসেন,

(২) তারা আল্লাহকে ভালবাসবে,

এখানে (১) ও (২) নং গুন্ দুটির উপস্থিতি আমরা কখন ই কোন দল বা মানুষের মাঝে ভালভাবে দেখতে বা বুঝতে পারব না। কারন এ দুটি গুন দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তারা যদি এ দুটি গুন অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন, তবে তারাই প্রকৃত আল্লাহর প্রেমিক এবং আল্লাহও তাদের ভালবাসবেন।

(৩) যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল: অর্থাৎ তারা ঈমানদার তথা বিশ্বাসীদের প্রতি বিনয়ী এবং কোমল। ঈমানদারদের প্রতি এরা সহমর্মী। মুসলিমদের (সারা বিশ্বের) প্রতি কুফরী শক্তি কি আচরণ করছে তা তারা প্রতিনিয়ত খেয়াল করছেন ও ব্যথিত হচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে ঈমানদারদের সাথে জালিম শক্তি কি ব্যবহার করছে তার খবরাখবর ও তারা প্রতিনিয়ত রাখছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তরের যেকোন মুসলিম তার ভাই অথবা বোন্। যদি প্রাচ্যর কোন দেশের কোন মুসলিম ভাই মজলুম হন অথবা শহীদ হন, পাশ্চাত্যের ওই ভাই দায়িত্ববোধ অনুভব করেন তার প্রতিরোধের বা প্রতিকারের জন্য। এই ভাইয়েরা যখন মুসলিম ভাই-বোনদের সাথে রুড় আচরনের ব্যপারে কোন খারাপ ঘটনা শুনে থাকেন তখন অতি দ্রুত এর উত্তর দিতে এবং প্রকৃতপক্ষে সেখানে যাওয়ার জন্য উদ্যত হন। তারা একান্ত আন্তরিকভাবে ওই সকল মুসলিম ভাই-বোনদের রক্ষার্থে প্রাণ উত্সর্গ করতেও দ্বিধান্বিত হন না। তারা আন্তরিকভাবে অর্থ সম্পদ ওই সকল ভাইবোনদের জন্য উজার করে খরচ করতে সচেস্ট থাকেন। বিপরীতপক্ষে আমরা অনেক মুসলমানদের দেখতে পাই যারা অন্যান্য মুসলমানদের ব্যপারে প্রতিক্রিয়াশীল এবং কুটিল আচরণে পারঙ্গম। তারা রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে 'ফতোয়া' প্রদানে সিদ্ধহস্ত নিষ্ঠাবান মসলমানদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের জন্য। আমরা দেখি যে তারা কুফরের সাথে সহাবস্থানের মাধ্যমে আল্লাহর পথে প্রচেষ্টারত ঈমানদারদের ব্যপারে গোয়েন্দাগিরিতে, প্রতিরোধে এবং যুদ্ধ করতে অগ্রসরমান।

(৪) কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে:

প্রকৃতপক্ষে তারা কুফরী-শক্তি তথা কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠিন ও কঠোর আচরণের অধিকারী। তারা কাফেরদের শোষন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তরিকভাবে দৃঢ়চেতা এবং প্রতিবাদী। এরা কুফরী শক্তি, মুনাফেক অথবা অবিশ্বাসীদের ভিত-সন্ত্রস্ত করতে অগ্রসরমান। আল্লাহ বলেন

"আর তোমরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী সর্বাধিক পরিমাণ শক্তি ও সদাপ্রস্তুত ঘোড়া তাদের মোকাবিলার জন্য যোগাড় করে রাখো৷ এর মাধ্যমে তোমরা ভীতসন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে , নিজের শত্রুকে এবং অন্য এমন সব শত্রুকে যাদেরকে তোমরা চিন না৷ কিন্তু আল্লাহ চেনেন৷ আল্লাহর পথে তোমরা যা কিছু খরচ করবে তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে, এবং তোমাদের প্রতি কখনো জুলুম করা হবে না"৷ (আনফাল: ৬০)

বিপরিতপক্ষে কিছু মুসলমান দেখা যায় যারা অন্যান্য মুসলমানদের ব্যপারে কুটিল আচরণের অধিকারী অথচ কাফেরদের ব্যপারে কোমল ও নরম মানসিকতা সম্পন্ন। এ ব্যপারে তারা 'ইসলামী দাওয়াত' এর প্রগ্গা / হেকমতকে ওজর হিসেবে পেশ করে থাকেন। তারা কাফেরদের মুসলমান হিসেবে পরিবর্তনের নিয়্যতে প্রচেষ্টারত এই অজুহাত দাড় করিয়ে থাকেন। বাস্তবিকপক্ষে এটি সঠিক নয়। তারা কাফেরদের ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ কি - তা পেশ করেন না। বরঞ্চ ইসলামের একটি ভুল ধারনাই তারা কাফেরের সামনে উপস্থাপন করে থাকেন।

(৫) যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে: এ বিষয়টা কি খুঁজে বের কর কঠিন? কারা বা কোন দল একাজটি করে থাকেন?

(৬) কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা: অথবা কোনো অপবাদের ভয় করেন না। মুনাফিকরা সবসময়েই তাদের দোষ বর্ণনা করে বেড়ায়। আবার আবশ্যকভাবে কুফরী শক্তি তাদের বিরুদ্ধে বিকৃতভাবে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও, আলোচনা, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ওই ঈমানদার ভাই গন কি এসব নিন্দার আদৌ পরোয়া করে থাকেন? তারা কোন পরোয়াই করেন না সবচেয়ে জনপ্রিয়্পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল তাদের বিরুদ্ধে কি বলে থাকে সে বিষয়ে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যা করছেন আল্লাহর প্রদত্ত পথ অনুযায়ী করছেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করছেন - এর বাইরে আর কোন অপবাদ ই (সরকার বা পরাশক্তির নিন্দা) তাদের বিচলিত করতে পারে না।

জাহেলিয়াতের যুগে সাদ বিন মুয়াজ (রা) বনু করায়্জার সহযোগী ছিলেন। তিনি যখন মুসলমান হলেন তখন তিনি ওই গোত্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন - কারন ইসলাম কোন মুসলমান ব্যক্তির কাছে কেবলমাত্র আল্লাহ, তার নবী (দ) এবং মুমিনদের সাথে বিশ্বস্ত থাকাই প্রত্যাশা করে। পরবর্তিতে যখন .বনু করায়্জা আত্মসমর্পণ করে মুসলমানদের কাছে (উল্লেখ্য ওই গোত্রের চুক্তিভঙ্গ পুরো মুসলমানদের বিপর্যয়ের কারন হয়েছিল।), তখন সাদ বিন মুয়াজ (রা) এর কাছে বিচার চেয়েছিল (অর্থাৎ তাকেই বিচারক হিসেবে মেনে নেই ওই গোত্র) পূর্ব বন্ধুত্বের সুযোগে। আল-আওস গোত্র সাদের কাছে বিচারের ক্ষেত্রে দয়া-প্রবন হতে অনুরোধ করেছিল। সাদ (রা) বলেন "এ মুহুর্তে আমি নিন্দুকের নিন্দার কোন পরোয়া করবনা আল্লাহর সন্তুষ্টির স্বার্থে।" একথা শোনার সাথে সাথেই তারা জেনে গিয়েছিল যে তাদের পুরনো বন্ধুত্ব শেষ। সাদ ইহুদিদের বলেছিলেন তারা কি তার বন্ধুর (সাদ) ফয়সালা মেনে নিতে প্রস্তুত? তারা বল 'হা - তারা রাজি'। সাদ

ফয়সালা মানতে সাদ (রা) মুসলমানদের থেকেও সম্মতিসূচক জবাব পান। এরপর সাদ (রা) বলেন "আমার বিচার হল বনু করায়্জার সকল পুরুষকে হত্যা করা হব এবং তাদের মহিলাগণ, শিশু, সম্পত্তি মুসলমানদের আয়ত্বে আসবে।" মহানবী(দ) বলেন, "সাদ, তোমার বিচার হল সাত আসমানের উপরে আসীন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিচার"।( অর্থাৎ সাদ (র) এর বিচারে আল্লাহ তায়ালারসন্তুষ্টি ছিল।) ওই দিন ৯০০ ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল। কেন এটা করা হয়েছিল? কারন তারা চুক্তিভঙ্গ করেছিল।

এখন লক্ষ্য করুন, 'আত তায়েফা আল মনসুরা' তথা বিজয়ী দলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত হাদিস থেকে ঈমানদারদের দলের বিশেষত্বসমুহ নিন্মরূপ:

(১) তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে থাকেন,

(২) তারা একত্রিতভাবে একটি জামায়াত তথা সংগঠনে কাজ করে থাকেন,

(৩) কেউ বা কোন দল যদি তাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ না করে অথবা তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে - অথবা মুসলিম বা অমুসলিমগণ তাদের সাথে যেই অপবাদই প্রচার করুক না কেন কোন কিছুই তাদের (ওই দলের) কোন ক্ষতি করতে পারে না তথা তাদের বিচলিত করতে পারে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের স্বয়ং যাদের সংরক্ষণের তথা দেখ-ভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ওয়াদা করেছেন - কুফরী শক্তি (বা পরাশক্তি) যতই ওই দলের ঈমানদারদের গ্রেফতার করুক না কেন তাদের অবিরাম প্রচেষ্টা তথা জিহাদ চলবেই।

আমরা ফিরে যাই পুনরায় মায়েদার ৫৪ নং আয়াতে। আল্লাহ এ আয়াতে 'ইউজাহিদুন' শব্দ ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ তারা 'যুদ্ধ করছেন' (বর্তমান কাল). অন্যভাবে বলা যায় যে, যে মুহুর্তে আমরা এই আয়াতটি পড়ি সেই মুহুর্তেই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ আল্লাহর পথে জিহাদে নিয়োজিত আছেন। এটা বুঝায় যে, জিহাদ চলতেই থাকবে শেষ দিবসের আগ পর্যন্ত।

আল্লাহ বলেন "তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয়ে যায় এবং দীন একমাত্র আল্লাহর জন্য নিদিষ্ট হয়ে যায় ৷ তারপর যদি তারা বিরত হয় তাহলে জেনে রাখো যালেমদের ছাড়া আর করোর ওপর হস্তক্ষেপ করা বৈধ নয় ৷" (বাকারা ১৪৩)

এই আয়াতে 'ফিতনা' অর্থ 'কুফর'। সুতরাং এই আয়াত বোঝায় ততক্ষণ যুদ্ধে করতে হবে যতক্ষণ না কুফরী বিলুপ্ত হয়। আমরা জানি আল্লাহর রাসুলের (সা) হাদিস থেকে যে কুফরী শেষ দিবসের আগ পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। অতএব সাধারন যুক্তির আলোকে জিহাদ ও শেষ দিবসের পূর্ব পর্যন্ত চলবে - যেহেতু আল্লাহ ঈমানদারদের বিশ্ব থেকে কুফরী শক্তি মুলোত্পাটনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য অনুযায়ী উল্লেখ করা যায় যে জিহাদ শেষ হবে যখন হজরত ঈসা (আ) সমগ্র বিশ্ব শাসন করবেন। কেন? কারণ ঈসা (আ) কুফরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং বিশ্বের কথাও কোন অবিশ্বাসী থাকবে না। ঈসা (আ) এর ইন্তেকালের পর আর কোন জিহাদ থাকবে না কারণ এর পর সময়াবর্তে আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রাণ সংহার করবেন এবং শুধুমাত্র অবিশ্বাসীদের পৃথিবীতে অবশিস্ট রাখবেন কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত। অধিকন্তু ইয়াজুজ এবং মাজুজের বিরুদ্ধেও কোন জিহাদ থাকবে না কারন শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার অলৌকিক ক্ষমতা দ্বারাই তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং দুনিয়া এবং আখেরাতে কল্যান এবং বিজয় কামনা করি।

হে আল্লাহ, আমাদের এমন কাজ করার তৌফিক দিন যাতে আপনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।

দরুদ ও সালাম মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ (দ), তার পরিবার এবং সঙ্গী-সাথীদের প্রতি।

বিষয়: বিবিধ

১৩১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File