সত্য ঘটনা অবলম্বনে (৩২): বন্দীদের স্বপ্ন

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৪৬:৪০ সকাল

আমি কি সেই কতকাল থেকে 'একা' নই? 'বন্দিনী' হয়ে আছি না? ছেলেদের কে অত্যাচার করে দেশান্তরী করল। পরিবার নিয়ে সবাই চলে গেল বাইরে। আমাকে আমার পুরানো ভিটে থেকে উচ্ছেদ করল। আর সেই থেকে আমি একা। অসহায়। পুলিশ বেষ্টনী থাকুক আর নাই ই থাকুক, দুই ই ক্ষেত্রেই আমি একা। বন্দিনী।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া ইসি চেয়ারে বসে আছেন। মাথার উপরে ফ্যন ঘুরছে।

বাসায় কয়েকজন কাজের লোক, পুলিশ, আর গোয়েন্দার লোক থাকে।

সরকার ২৪ ঘন্টাই সব কিছু লক্ষ্য রাখছে।

এর চেয়ে শক্তিশালী কারাগার কি আর আছে?

'এ কি আমার পাপের শাস্তি?

আমি ও কি আমার শাসনামলে মজলুম মানুষদের জেলে ঢুকাইনি? অত্যাচার করিনি? এটা কি কোন অভিশাপ?'

আমার চারপাশে সবাই সন্দেহ জনক। কাজের লোক, রান্নার পাচক, দারোয়ান, ড্রাইভার, পুলিশ আর নিরাপত্তাকর্মী নাম নিত্য নতুন অচেনা মুখ থেকে শুরু করে দলের ষ্টান্ডিং কমিটি, নেতা, উপনেতা, পাতিনেতা, ছাত্রদল, যুবদল, জেলার কমিটি নামে যত্ত সুবিধাবাদী সবাই হয় দালাল কিংবা তাদের কিনে ফেলা মামুলি ব্যপার। ভাল মানুষ কি এত ঘুর ঘুর করবে? মুজিবের চোরের খনির মত বড় না হলেও আরেক জাতীয়তাবাদী চোরের খনি নিয়ে কি দল চালাচ্ছি না?'

সেদিন জামায়াতের একনিষ্ঠ নেতাদের বলেই দিলাম, "আমি তো সব সুবিধাবাদীদের নিয়ে বসে আছি। যাদের কাছে দেশের বিন্দুমাত্র মূল্য নাই। সে কি পাবে - কিভাবে লাভবান হবে সেটা একমাত্র মুখ্য বিষয়। আগে তার হিসাব দিতে হয়। তারপর তাদের কাজ শুরু হয়। আন্দোলন তো সুদুর পরাহত।"

'একাকী জীবনের মত নিষ্ঠুর জীবন কি আর আছে?' মানুষ মাঝে মাঝে খাবার দিয়ে যায়। ওই খাবার কে খায়? অচেনা লোকজনই তো খায়। আমার কি মনে হয় না নাতি-নাতনি, ছেলেপুলেদের নিয়ে এক সাথে খাই?' আচ্ছা এ কি আমার পাপের ফল?' আমি কি অসংখ নিরপরাধ লোকদের একই রকম কস্ট দেই নি। এ তো সে তুলনায় কিছুই নয়। সামান্যই অশান্তি সে তুলনায়। স্রষ্টার কাছে ক্ষমা না পেলে পরকালে আমার কি হবে?

**********

ঠিক একই সময়ে ২০১৪ এর 'অবৈধ' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই কথা ভাবছিলেন বসন্তের এই সুন্দর সকালে।

'আমি ও কি একাকী নই?'

আমি কি বন্দিনী?

একে তো আমার ছেলেপুলে পরিজন বাইরে থাকে। ভিনদেশী হওয়ায় সেই 'বউ-আদরের' ভাগ্য তো জীবনে ও পাব না। তার উপর ভারত সরকার দিয়ে আমি বন্দী। দেশ বন্দী। দেশের মানুষ সেই বন্দী দশা হারে হারে টের পায় নিয়ত। আর আমি জেলার 'ভারতের' নিত্য নতুন চাপ মানসিকভাবে সহ্য করি। আমি নিরুপায়।

ক্ষমতার চেয়ার তো দেশকে বন্দক রেখেই পাওয়া।

আমি অসহায়।

দৈহিক আর মনসিক দুইভাবেই বন্দিনী।

২৪ ঘন্টা নজরদারিতে।

বিরোধী দলের লক্ষ লক্ষ লোককে বিনাবিচারে কারাগারে আটক রেখেছি - নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছি। হত্যা গুম চলছে দেশে।

এ কি তার অতি সামান্য শাস্তি?

সামান্য শাস্তি ই এত ভয়ঙ্কর?

পরকালে কি অবস্থা হবে?

মাথায় গুলি খাওয়া চোখ উপড়ে ফেলা ১৭ বছরের ছেলেটি যেদিন আমার সামনে দাড়াবে আমি কি বলব সেদিন?

আল্লাহর সামনে?

**********

বসন্তের সেই সুন্দর সকালে বাংলাদেশের কোন এক গ্রামে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে আহমেদ সাহেব আলোচনা রাখছেন। তার সামনে একদল কর্মী। এরা কত কাল নিজ ছেলেপুলের চেহারা দেখেনা। গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে লোক লোকান্তরে কতকাল কাটাচ্ছে! জীবিকাহীন মাসের পর মাস!

স্রষ্টার নির্দেশ পালনে তথা ভ্রষ্টের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদী হতে সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে এরা।

রাত কাটে স্রষ্টার তরে কান্নাকাটি করে এদের অনেকেরই।

আহমেদ সাহেব বলছেন:

"ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অবশ্যই কঠিন অবস্থার মোকাবেলা করতে হবে। নব্য জাহেলিয়াতের অত্যাচারে তাদের নিস্পেষিত হতে হবে। তাই প্রথম ডাকেই সবাই দলে দলে এসে শুধু ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হবে, জিহাদের রাজপথে এসে দাড়াবে এ ধরনের আশা করা যায় না। প্রথমে শুধু তারাই এগিয়ে আসবে যারা ইসলামের জন্য সর্বস্ব এমনকি প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।

অষ্টম হিজরীতে কোরায়েশ আর হায়াজিনদের পরাজয়ের মাত্র দুই বছর পর রাসুলুল্লাহ (স) হজ্ব করতে যান। তার সাথে এক লাখ চব্বিশ হাজার সাহাবী হজ্ব পালন করেন। অথচ মক্কা বিজয়ের সময় তার সাথে মাত্র দশ হাজার সাহাবী ছিলেন। মাত্র দুই বছরে এক লাখ চৌদ্দ হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।

কিন্তু এই বিশাল সংখ্যার প্রেরণাদায়ী শক্তি ওই এক হাজার ব্যক্তি যারা উহুদে অংশ নিয়েছিলেন অথবা ওই চৌদ্দশ ব্যক্তি যারা বাইয়াতে রিজওয়ানে অংশ নিয়েছিলেন। এরাই ইসলামের শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ। এদেরকে কেন্দ্র করেই বিশ্ব ব্যপী ইসলামী আন্দোলনের বীজ বপন হয়েছিল।

এ কারণে ই আল্লাহ তায়ালা হজরত ইব্রাহিম (আ) সম্পর্কে বলেছিলেন:

'নিশ্চয়ই ইব্রাহিম একটি জাতি ছিলেন।' (নাহল: ১২০)

অর্থাত তিনি একাই এমন মহান ব্যক্তি ছিলেন যাকে কেন্দ্র করে একটি মহাজাতির সৃষ্টি হয়েছিল।"

আহমেদ সাহেব বলছেন: "বন্ধুগণ! উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনারা এই বন্দিদশা কে কি আপনাদের প্রতি করুনাময়ের এক রহমত হিসেবেই দেখেন না? আল্লাহ যেখানে তার সৈন্য হিসেবে আপনাদের গ্রহণ করেই এরকম পরীক্ষায় ফেলেছেন!" আহমেদ সাহেব কেদে দিলেন।

হু হু করে কান্নার রোল উঠল। সবাই কাদছে!

বসন্তের এক সুন্দর সকালে একদল প্রতিবাদী আল্লাহ-প্রেমিক কাদছে।

কেদেই চলেছে।

আহমেদ সাহেবের কি মনে হচ্ছে - চারপাশের সৃষ্টি যেন প্রান পেয়েছে।

অবাক বিস্ময়ে এদের দেখছে।

ভালবাসার সেই অপার পরশ কেউ দেখেনা!

কেউ বুঝে না!

**

এখন আসি সমাধান নিয়ে।

বাংলাদেশের মুসলিমদের বন্দী দশা থেকে উত্তরণের উপায় কি?

বাংলাদেশে ইসলাম বিজয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় কি?

অবশ্যই বলবেন মুসলিম দলগুলোর ঐক্য।

কিন্তু কিভাবে তা অর্জিত হবে?

আহমেদ সাহেব একান্ত ভাবেই সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন।

ইসলাম বিজয়ের প্রথম সারির পতাকাবাহীদের কাতারে আসার জন্য 'ঐক্য সমাধানের মূলমন্ত্র' নিয়ে কাজে ঝাপিয়ে পড়া একান্ত দরকার। কে কি ভাবল - কি মনে করল - কে সহযোগিতা করল - তা চিন্তা করার সুযোগ নাই। খারাপ আচরণ, অসহযোগিতা সব কিছু উপেক্ষা করে ঐক্যের আশায় সংগ্রাম চালাতে হবে বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর। এটাই মুলমন্ত্র।

৪৩ বছরের পচে যাওয়া শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে একমাত্র ইসলাম ই সবকিছুর সমাধান দিবে এটাই মূলকথা।'

আহমেদ সাহেব বলছেন: "নিজ দল থেকে ই কল্যানমূলক কাজ হলেই তাকে সমর্থন করবে, পছন্দ করবে। অন্য কোন দল করলে তা পছন্দ করবে না, ভাল লাগবে না। এমন অবস্থায় ইবাদত প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর জন্য হয়না। বরং তা দলের জন্য হয়। কেননা যদি ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য হত, তাহলে তো যত ভাবে যত পথে আল্লাহর দ্বীনের প্রচার প্রসার হত, হৃদয় ততই বিমোহিত হত ও আনোন্দিত হত।

এক্ষেত্রে তাবলিগে জামায়াত থেকে কোন কল্যানমূলক কাজ যদি হয়, তাহলে আপনারা অপছন্দ কেন করেন?

যদি সালাফিদের থেকে কোন ভাল কাজ হয়, তাহলে আপনারা কেন তা অপছন্দ করেন?

সালাফি হয়ে যদি আপনি আল্লাহর জন্যই কাজ করতেন, তাহলে অবশ্যই সালাফি ছাড়া অন্য দলের কোন ব্যক্তি হাদিসের কোন ভাল নির্ভরযোগ্য বই রচনা করলে আপনি তা দেখে অবশ্যই আনন্দিত হতেন। বলতেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ এ বই দিয়ে বহু মুসলিমদের উপকৃত করবেন ইনশাল্লাহ। যুবকদের তা অধ্যয়ন করতে উত্সাহিত করতেন। উদার মনে দল ও মতের উর্ধে থেকে এ ধরনের আচরণ করা তখন ই সম্ভব যখন কেউ কোন কিছু আল্লাহর জন্যই করে কেবল। যখন কে দল মত নির্বিশেষে মুসলমানদের কল্যান কামনা করে।

আমাদের মনের অবস্থা যদি এমন হয় যে আমরা নিজ দলীয় কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোন দলের কর্মসূচিকে পছন্দ করি না; তার প্রচার প্রসারে বাধা দেই; তাহলে আমি বলব যে, আমরা আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে এ বাস্তব বিষয় প্রমান করছি যে, আমরা দ্বীনের বিজয় চাই না।

দ্বীনের উন্নতি, অগ্রগতি চাই না।

কারন দ্বীন হল এক বিশাল বহমান নদী। এ থেকে বেরিয়ে এসেছে ইখয়ানুল মুসলিম নামক শাখা। জামায়াতে ইসলামী নামক শাখা। সালাফি নামক শাখা। তাবলিগে জামায়াত নামক শাখা। হেফাজতে ইসলাম, হিজবুত তাহরীর নামক শাখা।অমুক দল নামের শাখা ইত্যাদি আরও বহু শাখা রয়েছে। সব শাখার ই মূল ইসলামের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এমন অবস্থায় আপনি চাচ্ছেন যে, দ্বীনের সকল শাখা শুকিয়ে গিয়ে একমাত্র আপনার শাখাটি ই প্রবাহমান থাকুক। এটা একান্ত ই ভুল! অজ্ঞতা! ইসলামী ঐক্যের প্রধান বাধা।

নিজ থেকেই শুরু করতে হবে এই বাধা দূর করণের প্রচেষ্টা। কাউকে দোষ দেয়া যাবে না। আপনার একনিষ্ঠ একতার আচরনে অন্য দলের ভাইয়েরাও আপনার প্রতি মুগ্ধ হবে ইনশাল্লাহ।

চরম ইসলাম-বিদ্বেষীরা ও যদি ভাল আচরণে ইসলামপন্থীদের প্রতি আকৃস্ট হয় - তবে যারা ইতিমধ্যে ইসলামকে মনের মাঝে লালন করে ইসলামের প্রচার প্রসারে কাজ করছেন - তারা কেন আপনার মধুর আচরনে আকৃস্ট হবে না? ইসলামী দলের ঐক্যে উত্সাহিত হবে না?

অনেকে বলেন, এরা তাবলীগের নামে কি শুরু করেছে? এরা মানুষকে জিহাদের দিকে ডাকে না। জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেনা। আরেকজন বললেন, এরা রাজনীতি করেনা। রাজনীতি করাকে পছন্দ ও করেনা। তাদের উদ্দেশে বলি, আরে ভাই! এরা তো হোটেল কিংবা চায়ের দোকানের নেশাগ্রস্ত বা মদ্যপ লোকদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে হাত ধরে মসজিদে নিয়ে যাচ্ছে। কালেমা শিখাচ্ছে। নামাজ শিখাচ্ছে। বেসিক (basic) তৈরী করে দিচ্ছে। এটা তো একান্ত গুরুত্বপর্ণ কাজ। বেশ তাহলে আপনারা ও তাদের কাছে যান। বুঝিয়ে তাদের জিহাদের পথে নিয়ে আসুন।

আহমেদ সাহেব সুরা তওবা থেকে কিছু আয়াতের অর্থ পড়ছেন।

সমবেত উপস্থিতিদের মনে হচ্ছে পবিত্র কোরআন যেন জীবন্ত হয়ে তাদের বর্তমান কঠিন অবস্থাকে এবং এ সময়ের করনীয়কে ব্যক্ত করছে অব্যর্থ:

"৩৮) হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো , যখনই তোমাদের আল্লাহর পথে বের হতে বলা হলো, অমনি তোমরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে? তোমরা কি আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করে নিয়েছো? যদি তাই হয় তাহলে তোমরা মনে রেখো, দুনিয়ার জীবনের এমন সাজ সরঞ্জাম আখেরাতে খুব সামান্য বলে প্রমাণিত হবে৷

৩৯) তোমরা যদি না বের হও তাহলে আল্লাহ তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের জায়গায় আর একটি দলকে ওঠাবেন, আর তোমরা আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না৷ তিনি সব জিনিসের ওপর শক্তিশালী৷

...

৪১) -বের হও, হালকা, কিংবা ভারী যাই হওনা কেন, এবং জিহাদ করো আল্লাহর পথে নিজের ধন-প্রাণ দিয়ে৷ এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে৷

৪২) হে নবী! যদি সহজ লাভের সম্ভবনা থাকতো এবং সফর হালকা হতো, তাহলে তারা নিশ্চয়ই তোমার পেছনে চলতে উদ্যত হতো৷ কিন্তু তাদের জন্য তো এ পথ বড়ই কঠিন হয়ে গেছে৷ এখন তারা আল্লাহর কসম খেয়ে খেয়ে বলবে, যদি আমরা চলতে পারতাম তাহলে অবশ্যি তোমাদের সাথে চলতাম৷ তারা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ আল্লাহ ভালো করেই জানেন তারা মিথ্যাবাদী৷

৪৩) হে নবী! আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন, তুমি তাদের অব্যাহতি দিলে কেন? (তোমরা নিজের তাদের অব্যাহতি না দেয়া উচিত ছিল) এভাবে তুমি জানতে পারতে কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যুক৷

৪৪) যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, তারা কখনো তোমার কাছে তাদের ধনও প্রাণ দিয়ে জিহাদ করা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আবেদন জানাবে না৷ আল্লাহ মুত্তাকীদের খুব ভাল করে জানেন৷

.....

৫১) তাদের বলে দাও, “আল্লাহ আমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা ছাড়া আর কোন (ভাল বা মন্দ )কিছুই আমাদের হয় না৷ আল্লাহই আমাদের অভিভাবক ও কার্যনির্বাহক এবং ঈমানদরদের তাঁর ওপরই ভরসা করা উচিত”৷"

বিষয়: বিবিধ

১২২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

189779
১০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : ভাল লাগল ভাই।
189890
১০ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
190151
১০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
190334
১১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২১
বাজলবী লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File