সত্য ঘটনা অবলম্বনে (৩১) : মোনাফেক
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:১১:৪৭ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের কোন এক অঞ্চলে আহমেদ সাহেব জামায়াতের এক কর্মী সমাবেশে কোরআন থেকে দারস পেশ করবেন। বিশেষ গোপনীয়তায় মহান আল্লাহর কোরআনে পাক থেকে আলোচনার চেষ্টা চলছে। সরকার এরকম কোন আলোচনা হলে ই পুলিশ-র্যব সহ অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেফতার করছে সবাইকে। নাটকের মাধ্যমে জঙ্গি টেগ দিচ্ছে, পুলিশ নিজেরাই বিস্ফোরক রেখে ছবি তুলছে আর একাত্তর টিভি আর প্রথম আলোয় কভার স্টোরি তৈরী করছে, কোরআন, হাদিস আর ইসলামী সাহিত্যের বইকে জঙ্গি বা জিহাদী বই আখ্যা দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এভাবে ই স্বৈরাচারী দেশ চলছে। ইসলামী আন্দোলন ও একই ভাবে চলছে। যে যার ধারায়।
**
ইদানিং চোখের পাওয়ার কমে গেছে। তারপর ও বেশ কিছু রেফারেন্স পড়ার প্ল্যান ছিল কিন্তু সময় হয়নি। মিছিলে ব্যস্ততায় আর ঘর থেকে বাইরে দিনের পর দিন সময় কাটায় জীবনধারা ই এলোমেলো হয়ে গেছে। আলোচনা করব সুরা মুনাফিকুন থেকে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই ছোট ১১ আয়াতের সুরটি অসাধারণ তাত্পর্য পূর্ণ মনে হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় এই কয়টি মাত্র আয়াতে বিবৃত যা পরকালে মানুষকে জয়ী করতে পারে বা ধংসের অতলে নিয়ে যেতে পারে।
একদল তরুন যুবক সামনে বসা। আলোচনা শুনতে প্রস্তুত। হাদিসে এসেছে কোরআনের আলোচনাকে ফেরেশতা রা ঘিরে রাখেন। সমবেতদের জন্য রহমতের দোয়া করে থাকেন। পুলিশের এরেস্ট, অত্যাচার আর গুলি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুকি নিয়ে যারা কোরআন থেকে আলোচনা তথা দারস শুনতে এসেছেন -- আমার মনে হল তাদের জন্য রহমত আসবে না তো আর কাদের জন্য আসবে? আগে কত আলোচনা করেছি কিন্তু হটাত করে এরকম মজা আর স্পিরিট কিভাবে পাচ্ছি? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
**
এই সুরার সিকোয়েন্সটি লক্ষ্যনীয়। দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে ৮টি আয়াত। যা মুনাফিকদের চরিত্রকে বর্ণনা করে। এ ভাগের মূল বিষয় হল: "তারা (মুনাফিকরা) পৃথিবীর ভালবাসায় মোহাচ্ছন্ন থাকে"!
দ্বিতীয় ভাগের মাত্র তিনটি আয়াত। প্রথম ভাগে মুনাফিকদের চরিত্র বর্ণনার পর এ ভাগে মুসলমানদের সতর্ক করা হয়েছে। মুসলমানদের বলা হয়েছে যে, তাদের ধন সম্পদ আর সন্তান সন্ততি যেন তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে দুরে না ঠেলে দেয়। আজ যদি তারা আল্লাহর পথে ধন সম্পদ খরচ না করে তবে জীবনাবসনের পর তারা অবশ্য অবশ্য ই চরম অনুতপ্ত হবে। তখন সে অনুতাপ তাদের কোন উপকারে আসবেনা।
অতএব সারমর্ম দাড়াল: প্রথম ভাগে মুনাফেকির প্রকৃত কারন দেখানো হয়েছে। আর দ্বিতীয়ভাগে মুসলমানদের তা (মুনাফেকি) থেকে নিজকে বাঁচিয়ে রাখতে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
**************
আবির দোকানে চা-বিস্কুট খাচ্ছে। দোকানির বেশ পছন্দ আবিরকে। আবিরকে আসতে দেখলে ই দারুন খুশি হয়।
'ভাইজান, শুকায় গেসেন। বাড়িত দুই দিন পর পর ফুলিস আফনার খুঁজে আসে। আমারে ও ধর্সিল। আমি কৈসী আমি দেহিনাই। সব গুপালগুঞ্জি ফুলিশ।'
'কাল আইসিল?'
'সক্কাল আইসিল মুন্সির বাড়িত। মুন্সির জামাই রে নিয়া গেসে।'
'তয় ভাইজান, অফারেশ্নের দিন যে লুক দেখসিলাম তাগোরে আর দেখিনাই। ইন্ডিয়ান ফুলিশ আছিল।'
যতদুর চোখ যায় নিরবতা আর নির্জনতা। ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রকৃতি ও মনে হয় বৈরাগী হয়ে গেছে। সৌন্দর্য লুকিয়ে রেখেছে। লুকাবে না কেন? জনগনের মত সেও কি দাস-সরকারের কর্মকান্ডে অভিমানী?
আবির মনে মনে তৈরী করল আজকের কাজের লিস্ট:
(১) মায়ের সাথে লুকিয়ে দেখা করা
(২) শিবিরের উদ্যোগে রাস্তায় ইট বিছানোর কাযে অংশ নেয়া|
তার মনে হল: কি সুন্দর! সরকার দেশ ভাঙ্গে। বিরোধী দমনের নামে। আর দেশবাসী আবার দেশ গড়ে। ভয়ঙ্কর দানব স্বৈরাচারের কবলে বাংলাদেশ! এরকম দানব মানুষ আর দেখেনি।
(৩) এখানে কোন ধর্ম নয়; মুসলমান হিন্দু সব পরিবারের ই ভয়াবহ দুর্দশা। বুলডোজার দিয়ে সরকার সাতক্ষীরা চুরমার করে ফেলেছে। এ কি রকম সরকার? ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের সাথে একই কাজ করে। সাহায্য ত্রান কর্মকান্ড হিসেবে আজ বিশ টি পরিবারকে সাহায্য করবে জামায়াত। কর্মী-সমর্থকদের থেকেই টাকা এসেছে।
সুরা বালাদের ক'টি আয়াত মনে পড়ল:
"কিন্তু সে দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করার সহস করেনি৷
তুমি কী জানো সেই দুর্গম গিরিপথটি কি ?
কোন গলাকে দাসত্বমুক্ত করা
অথবা অনাহারের দিন
কোন নিকটবর্তী এতিম
বা ধূলি মলিন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো৷
তারপর ( এই সংগে ) তাদের মধ্যে শামিল হওয়া যারা ঈমান এনেছে এবং যারা পরস্পরকে সবর ও ( আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ) রহম করার উপদেশ দেয়৷
এরাই ডানপন্থী ৷
আর যারা আমার আয়াত মানতে অস্বীকার করেছে তারা বামপন্থী "
(আয়াত ১১-১৯)
সারা বাংলাদেশের ধর্মপ্রান পরিবারগুলো জামায়াত-শিবিরের ট্যাগ খেয়ে সরকারিয় হায়নাদের অত্যাচারে আজ অসহায় অবস্থায়। সেই সাথে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে সরকারের হাতে হিন্দু পরিবার ও অত্যাচারিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দরিদ্র পরিবার ই নির্যাতিত। এক অকারন দানব সরকারের শোষন। আর শোষন পরবর্তী নিরব মহামারী। অন্যদিকে শাসন পাকাপোক্ত রাখতে সরকারের দেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার লীলাখেলা চলছে। দেশের বিবেক সম্পন্ন প্রতিবাদী জনগনের সেই লীলাখেলা দেখা আর প্রতিবাদের সময় কই? সে তো নিজে ই জেল-জুলুমের হুলিয়া নিয়ে আশ্রয়হীন দিনের পর দিন! আর জনগনের অন্য এক বিরাট অংশ চোখ কান বন্ধ রেখে নিজ স্বার্থে বুদ!
লীগের গুন্ডারা যেভাবে চাপাতি চালিয়ে আর শ্লীলতা হানি ঘটিয়ে দেশ কে জাহান্নাম বানানোর নেশায় মত্ত। স্বার্থবাদী চুপ থাকা জনতা ও অন্য রকম নেশায় মত্ত। দুই নেশা ই একে অপরের পরিপূরক। সহায়ক।
*****************
রুম পর্দা দিয়ে ঢাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা। বাইরে পাহারাতে ও আছে ক'জন। এক কোরআনের আলোচনা শোনার জন্য কি রকম নিরাপত্তা প্রয়োজন। অকল্পনীয়। সরকার নামে মুসলমান। আর বাস্তবে? মোনাফিক?
নাকি কাফের?
আর যারা অত্যাচারিতদের সহায়তা করে তারা?
আর চুপ থাকা জনগণ?
অত্যাচারিত মুসলমানদের জন্য যাদের মনে অনুকম্পা জাগে না তারা?
বরং জামাত-শিবির বলে অসহায় অত্যাচারিতদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ ই থাকে না তারা? তাদের হয় মানুষ ই মনে করে না!
যারা নিজকে বাচানোতে ই ব্যস্ত তারা?
যারা জালিম শাসকের সামনে দাড়িয়ে প্রতিবাদ যে সবচেয়ে বড় ইবাদত তা ভুলে গিয়ে পালিয়ে বেড়ায় - পরিচিতি লুকিয়ে রাখে - পৃথিবীর ভালোবাসাকে বিন্দুপাত্র কমাতে অক্ষম হয় তারা?
নানা রংয়ের মানুষ এর বিচিত্র অবগাহন বাংলাদেশ!
যে যার মত রাঙিয়ে যাচ্ছে ই নিরত!
স্রষ্টা খুটি নাটি সব ই দেখছেন।
হিসেবে রাখছেন!
**
আমি সুরা মুনাফিকুন তেলাওয়াত শেষ করলাম। আমি শুধু বিশেষ বিশেষ রিলেভেন্ট বিষয় ই আলোচনা করব। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আপনি নবীজি (স) এর সিরাত বা যেকোন তাফসির (যেমন তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফহিমুল কোরআন, ইত্যাদি) থেকে পাবেন। সময় সংকীর্ণতায় আমি সেদিকে যাব না।
এরশাদ হচ্ছে:
আয়াত-১) হে নবী, এ মুনাফিকরা যখন তোমার কাছে আসে তখন বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল৷ আল্লাহ জানেন, তুমি অবশ্যই তাঁর রসূল৷ কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী৷
অর্থাত এদের প্র্থম গুন: এরা মিথ্যাবাদী।
আয়াত-২) তারা নিজেদের শপথসমূহকে ঢাল বানিয়ে রেখেছে৷ এভাবে তারা নিজেরা আল্লাহর পথ থেকে বিরত থাকছে এবং অন্যদেরকেও বিরত রাখছে৷ এরা যা করছে তা কত মন্দ কাজ!
আয়াত-৩) এ সবের কারণ এই যে, তারা ঈমান আনার পর আবার কুফরী করেছে৷ তাই তাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে৷ এখন তারা কিছুই বুঝে না৷
দ্বিতীয় গুন: এরা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিরত রাখছে।
ইসলামকে মূলত হাতিয়ার হিসেবে (ঢাল) ব্যবহার করছে। বুঝাচ্ছে তারা ইসলামের সেবক। ইলেকশনের আগে 'ইসলাম-ভিন্ন কোন নীতি প্রণয়নের মিথ্যা অঙ্গীকার ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে পরবর্তিতে কেবল ইসলামেরই নয় বরং মানবতার বারোটা বাজানোয় এরা সিদ্ধ হস্ত! বিভিন্ন ধরনের উদাহরণ রয়েছে অত্যাচারী শাসক থেকে শুরু করে ধর্মীয় লোকজনের মাঝে ও।
সুরা মুজাদালার ১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে: এরা (মুনাফিকরা) আল্লাহর অভিশপ্ত গোষ্ঠির সাথে আতাত রাখে। এখনকার মুনাফিকরা কি ভারত তথা আরেক অভিশপ্তদের সাথে আতাত রাখছে না? পরন্তু মদিনার তত্কালের মুনাফিকদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: তারা ইহুদিদের সাথে শপথ করে তাদের আস্বস্ত রাখে আর মুসলমানদের সাথে ও মিথ্যা শপথের মাধ্যমে তাদের বুঝায় যে তারা তাদের দলেই রয়েছে!
এদের সম্পর্কেই আল্লাহ বলেন:
"তারা নিজেদের কসমকে ঢাল বানিয়ে রেখেছে৷ এর আড়ালে থেকে তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়৷ এ কারণে তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব৷" (৫৮:১৬)
******************
ফোন আসল মাওলানা ফরিদুদ্দিন এর।
"রেজা সাহেব, শুনলাম ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছেন? আলহামদুলিল্লাহ।"
"সব কয়টাকে জেলে ঢুকাবো। ৩০০০ এর বেশি লোকের নামে কেইস দেয়া হইসে। জামাত শিবিরের কাজ। পাথর ছুরে মারছিল।"
"প্রথম আলো তো দ্রুত ব্যবস্থা নিল দেখলাম। আমার দেশ তো দেখলাম জুতা টুতা লিখে। .. কি যে করে!"
"শিবির এ কাজ করে। সুযোগমত জুতা সাপ্লাই দেয়। জেলের ঘানি টানলে আর সাহস হবে না কোন কুত্তার ..."
মাসুদ সাহেব হাসলেন। বললেন, "রেজা সাহেব, এক মিলাদে যেতে হবে। পরে কথা হবে। এখন রাখি। সালামালায়কুম।"
সরকারিয় মহলের বিশিস্ট বুজুর্গ খ্যত ফরিদুদ্দিন মাসউদের আজ মিলাদের শেষে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশেষ সাক্ষাত আছে। হাসানুল হক ইনু ব্যবস্থা করেছে মিটিংয়ের।
**
অনেক বেশি আতর কি গায়ে দিয়েছি?
ভুর ভুর গন্ধ আসছে। সাদা নতুন পাঞ্জাবিটা সৌদি কাপড়ে তৈরী করা। নতুন টুপিটা পড়লাম।
হাতে তসবিহ টা নিলাম।
আয়নায় দেখলাম। ভালই লাগছে!
একজন মহিলা এসেছে। ধনী পরিবারের। বাচ্চা হয়না। দোয়ার জন্য এসেছে।
'স্যার, ওলামা লীগের সবাই এসেছেন।' শফি কাচুমাচু করে বলল।
ভাবলাম, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যেয়ে পারি নাই। এখন ই দলে দলে ওলামা লীগের পীর দরবেশ এসে হাজির।
মেজাজটাই খারাপ হল।
এরা এক ঘন্টার আগে ছাড়বে না। ধর্ম মন্ত্রীর কোন নির্দেশ ও হয়ত থাকবে এদের সাথে।
এদের একজন আছে মহিউদ্দিন। সে তো শুরু করবে আমার ওয়াজের তারিফ।
'কোকিল কন্ঠী ... জানে শান। ... এভাবে ই সে পোস্টারিং করেছিল মিটিংয়ের। হেফাজত, জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে আমাদের মিটিংয়ের। কিন্তু কোন লোক ই আনতে পারেনাই আকামের দল! অথচ তেল দেয়ার মাত্রার শেষ নাই এদের!
আজ আবার হয়ত মৌদুদিবাদের নতুন কোন তথ্য ও দিবে! এটা অবশ্য কাজে আসবে। এর সাথে ইনুর দারুন যোগাযোগ আছে!
হেফাজতি ঠান্ডা রাখতে ইনু আর মহিউদ্দিনের বিকল্প নাই!
তবে জামাত-শিবির ঠান্ডা রাখতে পারবে কেবল 'র'!
বেচারা জামাত-শিবির!"
ফরিদুদ্দিন মাসউদ এ কথা ভাবতে ভাবতেই ড্রয়িং রুমে এলেন। ওলামা লীগের হুজুরদের সাথে দেখা করতে!
***************
ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের বাসভবনে একদল সেকুলারিস্ট পীর বুজুর্গের মিলন মেলার কুশলাদি বিনিময়ের সময়ে ই বাংলাদেশের অন্য এক অঞ্চলে সুরা মুনাফিকুনের দারস চলছিল।
শ্রোতারা যেন বর্তমানকে বিশ্লেষন করছে কোরআনের আয়াতের মাঝে! তন্ময় হয়ে শুনছে। আর ভাবছে। এক সাধনা চলছে। মনোজগতের সাধনা। এ সাধনা তাদের নতুন উদ্যমে দেশের মানুষের রক্ষার্থে হায়না শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে সাহায্য করবে হয়ত! আহমেদ সাহেবের এ এক মনোবাসনা! একান্ত চাওয়া!
**
আমি সুরার দারস এ পরবর্তী আয়াতে আসলাম।
আয়াত-৪) তুমি যখন এদের প্রতি তাকিয়ে দেখ, তখন তাদের দেহাবয় তোমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়৷ আর যখন কথা বলে তখন তাদের কথা তোমার শুনতেই ইচ্ছা করে৷ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা দেয়ালের গায়ে খাড়া করে রাখা কাঠের গুড়ির মত৷ যে কোন জোরদার আওয়াজকে এরা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে৷ এরাই কট্টর দুশমন৷ এদের ব্যাপারে সাবধান থাক৷ এদের ওপর আল্লাহর গযব৷ এদেরকে উল্টো কোন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ?
আয়াত-৫) যখন তাদের বলা হয়, এসো আল্লাহর রসূল যাতে তোমাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন তখন তারা মাথা ঝাঁকুনি দেয় আর তুমি দেখবে যে, তারা অহমিকা ভরে আসতে বিরত থাকে৷
আয়াত-৬) হে নবী, তুমি তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া কর বা না কর, উভয় অবস্থাই তাদের জন্য সমান৷ আল্লাহ কখনো তাদের মাফ করবেন না৷ আল্লাহ ফাসিকদের কখনো হিদায়াত দান করেন না৷
আয়াত-৭) এরাই তো সেই সব লোক যারা বলে, আল্লাহর রসূলের সাথীদের জন্য খরচ করা বন্ধ করে দাও যাতে তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে৷ অথচ আসমান ও যমীনের সমস্ত ধন ভাণ্ডারের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর৷ কিন্তু এই মুনাফিকরা তা বুঝে না৷
আয়াত-৮) এরা বলে, আমরা মদীনায় ফিরে যেতে পারলে যে সম্মানিত সে হীন ও নীচদেরকে সেখান থেকে বের করে দেবে৷ অথচ সম্মান ও মর্যাদা তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনদের জন্য৷ কিন্তু এসব মুনাফিক তা জানে না৷
সুরা মুহাম্মাদে আছে যে: তারা (মুনাফিকরা) জিহাদে যাওয়ার জন্য দারুন প্রত্যাশী ছিল। কিন্তু যখন জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান আসল, এরা লুকিয়ে পড়ল।
এ চরিত্র কি ইসলামপন্থীদের মাঝে ও বর্তমান নেই?
সুন্দর কথামালায় ভরপুর। কিন্তু কাজের সময় নীরব!
এরা নিজেরা আর্থিক খরচ তো নিজেরা করে ই না বরং অন্যদেরকেও আল্লাহর পথে প্রচেষ্টারতদের বিরুদ্ধে খরচ করতে অনুতসাহিত করে বা বাধা দেয়। ভয় দেখায়। ভুরি ভুরি অজুহাত দাড় করায়।
আল্লাহপাক এদের সম্পর্কে বিচার নির্ধারিত করেছেন সুরা তওবা তে:
"(তিনি এমনসব কৃপণ ধণীদেরকে ভাল করেই জানেন) যারা ঈমানদেরদের সন্তোষ ও আগ্রহ সহকারে আর্থিক ত্যাগ স্বীকারের প্রতি দোষ ও অপবাদ আরোপ করে এবং যাদের কাছে (আল্লাহর পথে দান করার জন্য) নিজেরা কষ্ট সহ্য করে যা কিছু দান করে তাছাড়া আর কিছুই নেই, তাদেরকে বিদ্রুপ করে৷ আল্লাহ এ বিদ্রুপকারীদেরকে বিদ্রুপ করেন৷ এদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি৷
হে নবী! তুমি এ ধরনের লোকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো বা না করো, তুমি যদি এদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা কর তাহলেও আল্লাহ তাদেরকে কখনই ক্ষমা করবেন না ৷কারণ তারা আল্লাহ ও তার রসূলের সাথে কুফরী করেছে৷ আর আল্লাহ ফাসেকদেরকে মুক্তির পথ দেখান না৷"
(আয়াত ৭৯ - ৮০)
**************
আমাদের বিশ্ব-বিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন নাস্তিক রয়েছেন। আমি এদের দু'ভাগে বিভক্ত করি। এটা আমার পর্যবেক্ষন।
(১) অল্প শিক্ষিত অল্প বুদ্ধির অহংকারী নাস্তিক। এরা ই আকামগুলো করে। যেমন কারন ছাড়াই না বুঝে ধর্মীয় কোন বিষয় বা কোন মহান ব্যক্তিত্ব দের গালাগাল করে।
(২) তথাকথিত শিক্ষিত কিন্তু ভদ্র নাস্তিক। সমাজে অহেতুক প্রথম দলের মত ঝামেলা তৈরী করে না। বিশৃঙ্খলা তৈরী করে না।
রিক্সা পদ্মার পাড়ে থামালাম। বান্ধবীকে বললাম, 'ঝালমুড়ি খাব। দারুন ঝাল মসলা, ডাব্লি সবকিছু দিয়ে এক মামা দারুন মুড়ি বানায়।'
সকালে ছাত্রী সংস্থার এক সাধারন জ্ঞানের প্রতিযোগিতা ছিল। স্কুলের ছাত্রীদের প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সেখানে সারা সকাল শেষ। দুপুরে কোন রকম খেয়ে দেয়ে লাইব্রেরি তে পড়লাম বান্ধবীদের সাথে।
**
পদ্মার পারে দুই জন বোরকা পরিহিতা ঝাল মুড়ি খাচ্ছে।
মনে হল চারপাশের এত মানুষজন আমাদের ভদ্র ঘরের সন্তান হিসেবে অবশ্যই দেখছে। গত বছর ভাইয়ার কাছে বেড়াতে কানাডা গিয়েছিলাম। সেখানে বোরকা পরিহিত অথবা ধর্মীয় অনুশাসন ধারীদের সবাই ভদ্র চোখে ই দেখে। কথা বার্তা ও ভদ্রোচিত ভাবে ই করে। বাংলাদেশ হল এক আজিব ব্যতিক্রম। আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে তাই ই ধারনা।
তবে ভদ্র কেউ কখন ও একাজ করে না। একেবারে উগ্র সম্প্রদায়িকরাই পর্দা বা বোরকা নিয়ে আজেবাজে চিন্তা, কাজ আর বিরোধিতা করতে পারে। এরা অবশ্য ই মনোজগতে দারুন স্বৈরাচারী ও অসুস্থ ধরনের। এদের না ঘাটলে ই ভাল। এদের ঘাটলে ই সমাজে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
সেদিন সবাই মিলে একজন শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলাম প্রজেক্টের একটি বিষয় নিয়ে। প্রকৃতপক্ষে ডিপার্টমেন্টের একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। সবাই রিলাক্সড ছিলাম। সে স্যার টি কখন ও ধর্ম নিয়ে খারাপ কিছু বলেনি বা কাউকে অহেতুক ধর্মীয় ব্যপারে খোটা দেয়নি। অবশ্য সবাই বলে তাকে কেউ কখন ও নামাজ পড়তে দেখেনি। কিন্তু আমার কথা হল সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার! আমি জানি সে বিভিন্ন বিষয়ে দারুন জ্ঞানী। কোন কিছু না জানলে অকপটে স্বীকার করে নেন। কোন অহংকারকে প্রশ্রয় দেন না।
আমি কোন এক প্রসঙ্গে বলছিলাম, 'স্যার, কোষ (cell) সম্পর্কে আপনার ধারনা কি? এটা কি একটি ফ্যাক্টরি বা মানুষের মতই জটিল (কমপ্লেক্স) নয়?'
তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ' মানুষ বললে ভুল হবে। আমি বলব টেররিস্ট।স্মার্ট মানুষ। প্রতিকুল পরিবেশে অভিযোজনে সক্ষম দারুন এক সৃষ্টি। যার মূল ভেদ সামান্যই হয়েছে। সব কিছু জানতে পারলে তো পৃথিবীতে অসুখ ই থাকত না!'
আমি মজা করে বললাম, "আচ্ছা স্যার, আপনার কি ধারণা এই দারুন কমপ্লেক্স সৃষ্টি টি অটোমেটিক তৈরী হয়ে গেল? কোন স্রষ্টা ছাড়াই?"
তিনি কিছু বললেন না। 'স্রষ্টার যুক্তির পক্ষে' অতি পুরাতন লজিক বর্তমান জ্ঞানের উত্কর্সতায় যেন আর ও শক্তিশালী হয়েছে । তিনি ভদ্রভাবে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলেন। অহেতুক কথা বাড়ালেন না। আমি ও আর কথা বাড়ানো চাইনি। প্রজেক্ট নিয়ে ই কথা শুরু করলেন। এই গুনী ভদ্র লোকটি অপরের চিন্তাধারায় অহেতুক উত্তেজিত হন না। এরকম মানুষ খুব বেশি ও হয় না।
ভদ্র জ্ঞানী মানুষের বড়ই অভাব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।
একটা বিরাট সংখ্যক শিক্ষক আছে দ্বিমুখী আচরণের। ইসলামের বেশভূষা ও অনেকে ধারণ করেন। নামাজ ও রেগুলার পড়েন। আবার অত্যাচারী শাসকের তাবেদারী ও অবলীলায় চালান। তাদের ইসলাম-বিদ্বেষী আচরণ সমর্থন করেন। বিবৃতি ও দেন। হেফাজতি মেসাকারের প্রশংসা ও করেন। জামাত নিধনে সরকারের ক্রস ফায়ারে মৌন সম্মতি ও দেন। তারা কিভাবে দুই ধরনের বিপরীত কাজ একসাথে চালান?
আমার একটা নিজস্ব চিন্তা হল: এরা মুনাফিক তা সবাই জানে। মুনাফিকদের ব্যপারে ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা কোরআনে এসেছে। কিন্তু হায়না-মনোভাবের মানুষরুপি দের কি হবে? কি প্রকার শাস্তি হবে? অপরাধ অনুযায়ী শাস্তির ভয়ঙ্করের মাত্রা চিন্তা করে ধর্ম যেভাবে চুপ, আমি ও এধরনের হায়নাদের ব্যপারে চুপ থাকাই পছন্দ করি!
আরেক ধরনের মিডিয়া কর্মী আর সুশীল-প্রগতি নামধারী সাম্প্রদায়িক ইসলাম-বিদ্বেসী আছে যার সুযোগ পেলেই ইসলাম আর এর অনুশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে! এরা দ্বিতীয় শ্রেনীর। অর্থাত অল্প শিক্ষিত, স্বৈরাচারী মনোভাবের। সেদিন এক নাটকে দেখলাম রোকেয়া প্রাচি একজন বোরকা ধারীকে বলছে বোরকা খুলে ফেলতে! নাটকের ওই অংশের ঘটনা যে আল্লাহর নিয়মের বিরুদ্ধে তথা আল্লাহর বিরুদ্ধে তা সহজ দৃশ্যমান। হাস্যকর! আহত হওয়ার কারন ই নাই। অজ্ঞ দের আচরণে কেই বা আহত হয়? বাস্তবতা হল: এসব লোকজন পারিবারিক, সামাজিক এক দারুন অশান্তি জনিত হিনমন্যতায় ভুগছে। এদের হৃদয় খুব ই সংকীর্ণ। উদার হৃদয়ের শোভাদানকারী ইসলামী জীবন গ্রহনের পথে এসব হতভাগ্যরা না এসে আজীবন অনবরত হোচট খেতে থাকে।
এদের নিয়ে ভাবা নিরর্থক।
************
আমি এখন সুরা মুনাফিকুনের দ্বিতীয় অংশ তথা মুসলমানদের ব্যপারে নির্দেশ নিয়ে আলোচনা শুরু করব এখন ইনশাল্লাহ।
একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে: দ্বিতীয় অংশে মূলত প্রথম অংশের উল্লিখিত মুনাকিকদের কৃত ভুল গুলো মুসলমানেরা যেন না করে সে নির্দেশ ই এসেছে।
আয়াত-৯) হে সেই সব লোক যারা ঈমান এসেছো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল করে না দেয়৷ যারা এরূপ করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে৷
আয়াত-১০) আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো৷ সে সময় সে বলবে : হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন ? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম৷ অথচ যখন কারো কাজের অবকাশ পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সময় এসে যায় তখন আল্লাহ।
আয়াত-১১) তাকে আর কোন অবকাশ মোটেই দেন না৷ তোমরা যা কিছু কর সে বিষয়ে আল্লাহ পুরোপুরি অবহিত৷
সুরা তওবা তে মুনাফিকদের ব্যপারে বলা হয়েছে যে: তারা কৃপন। দরিদ্রাবস্থায় বলে যে যদি তারা সম্পদশালী হয়, তবে তারা অনেক দান করবে । কিন্তু বাস্তবতা হল যখন তারা ধনী হয় তখন সে ইচ্ছা তারা বেমালুম ভুলে যায়। পৃথিবীতে এর শাস্তি স্বরূপ আল্লাহ তাদের মাঝে মুনাফেকির ভিত্তি পাকাপোক্ত করে দেন। ফলে দান করার সৌভাগ্য থেকে আজীবনই বঞ্চিত থাকে এবং আল্লাহর পছন্দ নীয় বান্দাহদের কাতারে আসতে ব্যর্থ হয়! (সুরা তওবা: ৭৫ - ৭৭ এর সমার্থক) এটাই কি চরম ব্যর্থতা নয়? পরকালের পরাজিতদের মত ব্যর্থ আর কে হবে কোন কালে?
সুরা হাদিদে বিষয়টি এভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে যে: যারা পৃথিবীতে আল্লাহর পথে খরচ করতে ব্যর্থ হয়, তারা কেবল সত্যপন্থীদের থেকে ই আলাদা হওয়ার দুর্ভাগ্য অর্জন করল না বরং মুনাফিকের খাতায় নাম লিখল। পরকালে সবচেয়ে বেশি শাস্তি মুনাফিকরা ই পাবে। তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। পরন্তু সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ তাদের ই থাকেবে যে কেন তারা আল্লাহর পথে খরচ করল না পৃথিবীর জীবনে !!
যারা পৃথিবীতে আল্লাহর পথে খরচ করতেন আল্লাহ পরকালে তাদেরকে তুলবেন সত্যবাদী দের সাথে। তাদের আলো দান করবেন যা তাদের জান্নাতের পথ দেখাবে। মুনাফিক মানুষরা সেই আলো প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
যখন মৃত্যু চলে আসে, এ ধরনের হতভাগ্যদের আক্ষেপ শুরু হয়ে যায়:
"হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন ? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম৷ "
কিন্তু এ আক্ষেপ এক অনন্তকালের আক্ষেপ হিসেবেই থেকে যাবে। কি ভয়ঙ্কর ব্যপার। কোন লাভ ই হবে না। একদিকে অনন্তকালের ভয়ঙ্কর শাস্তি তারা পাবে আর মনের দিক থেকে তাদের থাকবে এ আক্ষেপ। প্রলাপ। কি দুর্ভাগ্য! আল্লাহর কাছে এরকম দুর্ভাগ্য থেকে আমরা আশ্রয় চাই।
আহমেদ সাহেব বলছেন,
"যারা সামর্থবান, আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা রত মুসলমান যারা আল্লাহর জমিনে ইসলাম কায়েম করতে চেষ্টা করছে তাদের অবশ্যই সে পথে আর্থিকভাবে সাহায্য করা উচিত। যারা মাঠে সংগ্রাম তথা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অক্ষম - দেশে যারা আর্থিকভাবে অসহায় নন - কিংবা বিদেশে যারা অবস্থান রত আছে - তাদের অবস্যই আল্লাহর পথে সংগ্রাম রতদের জন্য আর্থিক সাহায্য করা ফরজ।
আপনি কেন সেই দু:খী পরিবারদের সাহায্য করবেন না যাদের উপার্জনক্ষম সন্তানটিকে সরকার গুলি করে মেরে ফেলল? সেই হিন্দু বা মুসলমান বা বৌদ্ধ অসহায় মানুষদের সাহায্য করবেন না যাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের আশায়? আপনার বিবেক কিভাবে চুপ থাকে যখন জেলার পর জেলা ইসলামপন্থীদের বাড়িঘর সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অপরাধে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়? আর তখন ও আপনি তাদের আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে আসেন না?
প্রায়োরিটি অনুযায়ী সময়ের প্রয়োজনে এ খাতে খরচ কে এ সময়ে সর্ব-প্রাধান্য দিয়ে আগিয়ে আসা কর্তব্য। তা না হলে এ সুরার আলোকে আপনারা মুনাফিক হয়ে যেতে পারেন কিনা তা আপনারা ই ভেবে দেখবেন।
আল্লাহপাক আমাদের সেই মহান কাজের সুযোগ দান করুন। এই বলে আমি আমার সুরার দারসের আলোচনা শেষ করছি। আমিন।"
***************
পদ্মার স্রোত শেষ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তবু ও পদ্মাপাড়ে একজন মায়াবতীর মনে হচ্ছে সূর্য ডুবার সময় সেই একই সৌন্দর্য দৃশ্যমান।
প্রকৃতি জানান দিচ্ছে তোমরা আমাদের যত ই ধ্বংস করতে থাক না কেন আমি সৌন্দর্যের সুষমা ছড়াব ই শেষ পর্যন্ত।
আহা কি আশ্চর্য সেই সুষমা!
স্রষ্টার অসীম সৌন্দর্যের কি সামান্য ছোয়া!
বিষয়: বিবিধ
১৮১৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তোমার আশ্রয় থেকে মুহূর্তের জন্যও আমাদেরকে নিজেদের উপর ছেড়ে দিওনা-
আমাদেরকে ঐসব মুনাফিক ও তাদের অনুসারী এবং তাদের অনুরুপ আচরণ থেকে রক্ষা করো-
তোমার আশ্রয় ও সুরক্ষা ছাড়া আমাদের আর কোন আশ্রয় নেই
আমাদের দুর্বলতাগুলো ক্ষমা করা দিও-
ওসবের জন্য আমাদের পাকড়াও করোনা..
আর যাকিছু চাই, যাকিছুর ভয় করি-
সবই তো তোমার জানাই আছে-
তোমার দয়া-রহমত ও সাহায্যের উপর আমরা অটল আস্থা রাখি-
আমাদের সামনে তো নিশানধারী তোমার হাবীব ﷺ
.... ... .....
মন্তব্য করতে লগইন করুন