সত্য ঘটনা অবলম্বনে (২৭): ফাস, চেতনা, আর পতিতা
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:০৪:৪৯ সন্ধ্যা
ক) ফ্যাক্স-ফাস এবং স্বাধীনতার চেতনা:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সাতক্ষীরার গণআন্দোলন দমাতে সরকার ভারতীয় বাহিনীকে অপারেশনে নামিয়েছিল। এ অপারেশন পরিচালিত হয়েছিল যৌথবাহিনীর সহায়তায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লির কাছে এ সেনা সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়। এরই আলোকে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে সাতক্ষীরায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান পরিচালিত হয়। সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলায় পরিচালিত এ অভিযানে স্থানীয় জনগণের উপর ব্যাপক জুলুম নির্যাতন চালানো হয়।
পুরো ফ্যাক্স কোন উপায়ে বের হয়ে পড়ে। যথারীতি সরকার অস্বিকার করে। যুক্তি ছাড়াই। তদন্ত করা হোক - এটা ও বলল না। অবশ্য সরকারের তদন্ত মানে শিয়ালের কাছে মুরগি রাখা। ফলাফল হিসেবে জামায়াত এ ঘটনায় জড়াবেই। প্রতিবার ই জড়িয়েছে। নির্লজ্জ সরকার রাজনৈতিক ভাবে জামায়াতকে প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে অসম ধংসাত্মক আক্রমন আর অযৌক্তিক অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে।
কর্ণফুলী পারে বিকেলে বসে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ সাহেব বিষয়টি অন্যভাবে চিন্তা করছেন।
৭১ এ অত্যাচারের উপাখ্যানে চেতণা খাড়া হলে ও ঠিক একই রকম ভাবে ২০১৩ এ ভিনদেশকে নিজ মানুষকে হত্যার আহবান জানানোর ঘটনায় শাহবাগী দের চেতনা দাড়ায় না। চেতনা দন্ডায়মান হওয়ার কার্যকারণের এমন বৈপরিত্য প্রমান করে এদের প্রকৃত চেতনা ই নেই।
সারা বছর ব্যপী মার্চের ভাষনে চেতনা খাড়া করানো শাহবাগী প্রজন্ম ৪২ বছর পরে এক আজিব প্রজন্মে পরিনত যারা স্বাধীনতার চেতনা র বাস্তবতা কখন ই বুঝতে পারবে না। দেশের এক একটা সম্পদ বিনা দ্বিধায় অতীতে ভারতের হাতে তুলে দিলে ও তা যাদের চোখে পড়ে নাই - তাদের বর্তমানে দেশের মানুষকে হত্যা করতে হাসিনা সরকারের ভারতের সৈন্য আহ্বানের পর ও তা চোখে পড়ছে না - ভবিষ্যতে অত্যাচারীদের হাতে তাদের তাদের মা-বোনরা নির্যাতিত হলে ও মনে করি তখন ও আজিবরা চোখ বন্ধ রাখবে ! সেই শেষ সময়ে যদি কার ও চোখ খুলে তবে কি কোন লাভ হবে? সিরাজের পতনের পর দেশবাসী কত সংগ্রামের পর মুক্তি পেয়েছিল?
তিনি অসহায় মনে বললেন, "হায় শাহবাগী প্রজন্ম, এরা স্বাধীনতার মর্ম ই বুঝল না!"
খ) গোল-টেবিল বৈঠক এবং স্বাধীনতার চেতনা:
১৬ ই জানুয়ারী,২০১৪।
গোলটেবিলে অজয় কর, মান্নান, জাফর ইকবাল, তানিয়া আমির, তুরিন আফরোজ, ইত্যাদি ইসলাম-বিদ্বেষীদের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আলোচনার নামে মুসলমান নিধনের স্বপ্ন দেখা চলছে।
একাত্তর টিভিতে দেখছে আর মহসিনের মনে হচ্ছে, ওই গোলটেবিল ওয়ালা দের ঘিরে রেখেছে শয়তানের দল। শয়তান তাদের আশির্বাদ করছে।
তুরিন আফরোজের মত একজনের আবেগে সবাই আকুপাকু খাচ্ছে:
'ক' জেলার 'খ' গ্রামের 'গ' নামক মহিলা মাথায় সিদুর দিতে পারে না। (এই জন ই আবেগের ফুলঝুরি দিয়ে আইসিটি ট্রাইবুনালে নিরপরাধ দের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয় -- যুক্তি ফুক্তি এদের দরকার নাই|)
তানিয়া আমির বলছে: "মদিনা সবার ধর্ম যার যার (মদিনা সনদের আইডিয়া)"!
এই আইনজীবী আর ও বলছে - যে ফ্যক্স লিক করেছে তা মিথ্যা। অর্থাত হাসিনা সরকার কর্তৃক সাতক্ষীরায় ভারতীয় সৈন্য ডিপ্লয়মেন্ট এর রিকয়েস্টের যে ফ্যক্স লিক হয়েছে তা এই আইনজীবী যুক্তি ছাড়া ই অস্বিকার করল। কি ভয়ঙ্কর এই দালাল-নির্বোধেরা।
আর সবাই বলছে: "টেররিস্ট দের জন্য ক্ষমা নাই'। এদের জন্য আইন দরকার নাই।"
অর্থাত জামায়াতের নেতাদের শাস্তি দিয়েই খান্ত নাই এরা - এরপর ধরবে ইসলাম পন্থীদের -- ৭১ এর আগে বা পরে যখন ই জন্ম নিক - ধর্ম মানার জন্য এরা 'টেররিস্ট' হবে!
আল্লাহর তরফ থেকে এদের উপর অভিশাপ বর্ষিত হোক।
আর যারা এর পর ও চুপ চাপ দৃশ্য দেখবে -'নিউট্রাল' থাকার সুবিধা নিবে - তারা ও শীঘ্রই 'টেররিস্ট' ট্যগ খাবে না হয় প্রকৃতির যথাযথ উত্তর পাবে!
গ) শেষ কথা:
হিম ঠান্ডা জেকে বসেছে। অগণিত গরিব মানুষ কস্ট পাচ্ছে। কে এই কস্ট দেখবে? সরকার দেখবে? কে সরকার? সরকারের তো অনেক কাজ। সে অনেক কাজে ব্যস্ত। ১৬ কোটি মানুষকে ব্যস্ত রেখেছে নিপুনভাবে। ভিনদেশের সহায়তায়।
তাই, যারা ঠান্ডার কস্ট পাচ্ছে না -- তারা হয়ত অন্য অন্য রকম কষ্টে আছে।
দানব সরকারের অত্যাচার আর হুলিয়ার কষ্ট।
সত্খিরার মন্মযুরি গ্রামের আবির ভাবছে:
পতিত সরকার কাকে বলে?
পতিত-দেশপ্রেমিক কাকে বলে?
পতিত-আইনজীবী কাকে বলে?
পতিত-বুদ্ধিজীবী কাকে বলে?
পতিত-সাংবাদিক কাকে বলে?
পতিত-স্বদেশ কাকে বলে?
আর
পতিতা-সরকার কাকে বলে?
পতিতা-দেশপ্রেমিক কাকে বলে?
পতিতা-আইনজীবী কাকে বলে?
পতিতা-বুদ্ধিজীবী কাকে বলে?
পতিতা-সাংবাদিক কাকে বলে?
পতিতা-স্বদেশ কাকে বলে?
বিষয়: বিবিধ
১৭২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন