সত্য ঘটনা অবলম্বনে (২৪): "জামায়াত পরিত্যগ কর!"
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:০২:২৩ সন্ধ্যা
সুপ্রিম কোর্টের দরজার তালা ভেঙ্গে একদল মুজিব সেনা ঢুকে পড়ল। নিরাপত্তা কর্মী পুলিশ ও ঢুকে পড়ল তাদের সাথে সাথে! একজন মহিলা আইনজীবীকে পেটানো হচ্ছে। দলবেধে। গোল হয়ে। মহিলা আইনজীবীর আকুতি কে শোনে? সাংবাদিক সানাউল কি দৌড়ে এল? প্রতিহত করতে? আর ও বিবেক কি সাহসী হল?
সানাউল কি ভাবছে যে এই পশুদের কিভাবে দোষ দেয়া যায়? এরা যে ছোট থেকে বড় হয়েছে নিজেদের বাড়ির মা-বোনদের পিটানো আর অত্যাচারিত হতে দেখে! এটাই যে এদের শিক্ষা! এই মুজিব সেনাদের আজন্ম প্রশিক্ষন!
লাল গরম পানি ছোড়া হচ্ছে। পুলিশের গাড়ি থেকে। আইনজীবিদের বরাবর। তাদের হাতে পতাকা। ২৯ সে ডিসেম্বরের রোড মার্চ এর পরিকল্পনায় তারা। মুজিব সেনারা ও পতাকা নিয়ে। পতাকা পট্টি বাধা। মুজিব সেনাদের জন্য অবশ্য এ পতাকা চেতনার প্রতিক। যাই করুক না কেন - দেশ বাচুক বা ডুবুক - মানুষ বাচুক বা মরুক - তারা বুঝুক বা না বুঝুক - চেতনা বিসর্জন দেয়া যাবে না।
একজন মুজিব সেনা বিল্ডিং এর উপরের বিরোধী দলের আইনজীবিদের উদ্দেশে প্যন্টের জিপার খুলে তার গোপনাঙ্গ বের করে দেখাল। একজন সাংবাদিক ছবি ও তুলল। মুহুর্তে এ ছবি ছড়িয়ে পড়বে। ওই মুজিব সেনার পিতা, মাতা, ভাই, বোন, আত্মীয় (যারা বেচে আছে) ওই গোপনাঙ্গের ছবি দেখবে! কারন মানুষটির আর তার গোপনাঙ্গের নিখুত ছবি ওই ক্যামেরা ম্যান ধারণ করেছে যে! সেনা কি যেন বকে ই যাচ্ছে! এত রাগ! কেন? কার উপর? ক্যমেরা ম্যন কি ভাবছিল তখন?
** ** **
সারা বাংলাদেশ জ্বলছে।
সাত্খিরায় মন্মযুরি গ্রামে পাশাপাশি দশ-বার বাড়ি জ্বলছে।
লিস্ট ধরে টার্গেটেড হত্যা চালাচ্ছে ভারতের আশির্বাদ্পস্ট হাসিনার সরকার।
যারা ই কর্মঠ সংগঠক তাদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে পরিবার পরিজনের সামনে ই বুকে গুলি করে হত্যা করছে। এমন সময় ৭২-৭৫ ও এ অগ্রজরা তৈরী করেছিল। অভাগা জাতি।
আগুনে মানুষের বাড়ী পুড়ছে। সরকার আগুন জ্বালিয়েছে।
আবির কি জানে যে তার বাড়ি ও পুড়ছে?
সে তো গত আড়াই বছর ধরে ফেরারি। কালে ভদ্রে বাড়ি যায়। পরিজনের সাথে দেখা শেষে ই ফিরে আসে।
আবিরের বাড়ি ও জ্বলছে।
আর ঠিক সেই মুহুর্তে দুরে বহুদূরে পালিয়ে থাকা আবির ১৫ - ১৬ জন কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখছে। যারা সবাই ফেরারী। নিজ দেশে পরাধীন। বিদ্রোহী। শক্ত চোখ যাদের সোনালী ভোরের প্রতিক্ষায়।
সে বলছে, " হটাত করে ই জামায়াত বিদ্বেষী মনোবৃত্তি যা তারা আবহমানকাল থেকে মনে ধারন করে এসেছিল তার উন্মুক্ত বহি:প্রকাশ ঘটাল। গণতন্ত্র, যুক্তি, মানবিকতা ছুড়ে ফেলে জামায়াত নিধনে খোলামেলা বিবৃতি দেয়া শুরু করল। মন্ত্রীরা বলল, 'ঘরে ঘরে ঢুকে জামায়াত শিবির হত্যা কর'। মুরগি শাহরিয়ার (যে পাকিস্তানি দের মুরগি সরবরাহ করত ৭১ এ) বলল, 'জামায়াত হত্যা কর'। মুনতাসির মামুন বলল, 'প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ লোক (জামায়াত-শিবিরের) হত্যা করব'। জাফর ইকবাল বলল, 'জামায়াত পরিত্যগ কর - সব রক্ষা হবে'। বাহ! কোথায় আইন? কোথায় নীতি? অপরিনত বুদ্ধির তথাকথিত 'বুদ্ধিজীবী' আর তাদের চালিত দানব শাসকের ভারে ১৬ কোটি মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা!
যে তিন স্বৈরাচার ই জোড় জবরদস্তির গোয়ারতুমির নির্বাচন ( এরশাদ, ৯৬ এর বিএনপির, আর ২০১৪ এর লীগ) করেছিল - তাদের বিরুদ্ধে নয় বরং যে দল কখন ও মৌলিক ক্ষমতায় আসে নাই - সে জামায়াতকে ই সবার ভয়। অথচ ৪৩ বছর ধরে বাকি ৩ দল দেশকে চুষেই চলেছে। মানুষের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে।
যখন দানব সরকারের সকল প্রকার অত্যাচারে ১৬ কোটি মানুষের জীবন দেয়ালে ঠেকেছে - স্বাধীনতার ভবিষ্যত নিয়ে সবাই শঙ্কিত - তখন সব বাদ দিয়ে যারা জামায়াত পরিত্য্গের বুলি আওড়ায় - তারা যে পরিমান স্বৈরাচারী মনের, তার চেয়েও বেশি ইসলাম-বিদ্বেষী।
এদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন
"এরা যেসব কথা তৈরী করে, তা তোমাকে কষ্ট দেয় কিন্তু এরা তোমাকে মিথ্যা বলে না বরং এ জালেমরা আসলে আল্লাহর আয়াতকেই অস্বীকার করছে৷" (৬:৩৩)
" ... যা তোমাদের ক্ষতি করে তাই তাদের কাছে প্রিয় ৷ তাদের মনের হিংসা ও বিদ্বেষ তাদের মুখ থেকে ঝরে পড়ে এবং যা কিছু তারা নিজেদের বুকের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে তা এর চাইতেও মারাত্মক৷ ... (৩:১১৮)
এদের বিরোধিতা ইসলামী দল বা জামায়াতের তথা ইসলামী আদর্শের বিরুদ্ধে নয়, এদের সরাসরি বিরোধিতা আল্লাহর সাথে।
ভারতের সরাসরি 'জামায়াত বিদ্বেষী' বক্তব্য ও অত্যাচার, জাফর ইকবাল, মুরগি শাহরিয়ার, মুনতাসির মামুন গং সহ অন্যান্য আওয়ামী মুর্খ+চোর প্রজাতির আশ্চর্য জনক জামায়াত পরিত্যেগের বক্তব্য উপরোক্ত আয়াতের ই প্রমান দেয়। এছাড়া আর কোন লজিক নেই।
এজন্যই ইসলাম প্রিয় আল্লাহর সৈনিকদের কোন চিন্তা নেই। এদের সব বিরোধিতা যেহেতু সর্ব শক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে, আল্লাহ ই এদের বিরুদ্ধে যথেস্ট - প্ল্যন, কৌশল ও বাস্তবায়ন সব দিক থেকে।
... তারা নিজেদের কূট -কৌশল প্রয়োগ করে চলছিল, অন্যদিকে আল্লাহ ও তাঁর কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন আর আল্লাহ সবচেয়ে ভাল কৌশল, অবলম্বনকারী৷ (৮:৩০)"
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন