সত্য ঘটনা অবলম্বনে (২২): ক্রিমিনাল

লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৪৯:১১ দুপুর

ক) লে: কর্নেল ইমরান রউফ এবং গালকাটা সন্ত্রাসী নেতা :

'আজ রাতের অপারেশনে আমি শুধু তাদের নিব যারা রিয়েল একশনে যেতে পারবে। কোন আতুপাতু দরদী সাথে থাকবে না।'

আমি তাকিয়ে দেখলাম।

এই বাইন .. এর নাম লে: কর্নেল ইমরান রউফ। র্যব ৩ এ জড়িত।

শালায় একটা নায়ক মার্কা বাইন ...।

পরিপাটি চুল আচড়ানো, ক্লিন সেভড, পারফিউম দেয়া হইসে তো কি হইসে?

আমারে বানাইসে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। পুলিশ ফাইলে আমার নাম আছে। কখন ও মুছবে না। আমারে তো বি,এন,পি ও সুবিধামত ব্যবহার করসে। আমি খুন করি পেটের ধান্দায়। সেটা ঠিক। কিন্তু এই হারাম ... টাতো সিরিয়াল কিলার। লক্ষ্মীপুরের ডাক্তার ফয়েজ কে নিজ হাতে গুলি করে মারসে।

শুধু তাই না, সালামের উত্তর দিসে। হাসি মারসে। জিগাইসে কেমন আছেন। তারপর ছাদে নিয়া মাইর শুরু করল। ছাদ থেইকা ফালায়া দিল। গুলি ও করল নিজ হাতে। আমি হইলে সব বাদ দিয়া মাইরা ফালতাম। হারামিগিরি করতাম না। শালারে যে কোন কুত্তি জন্ম দিসে?

শাপলায় হেফাজত রে সাফ করতে পাগল হইয়া গেসিল। আরও অনেক খুনের সাথে জড়িত...

পোলা থেকে বুড়া কাউরে ই ছাড়ে না। হাসতে হাসতে গুলি করসিল শাপলায়। আমি স্বাক্ষী। কারন আমি যে তার সাথে ঘুরি। মানুষ মারি।

এই বাইন .. এর জীবনে ও কোন ক্ষতি হবে না।

আম্লিগ আর বি,এনপি সব মাদার ... রা আমারে ই খোচা দিব আজীবন আর এই হারামি সুখে থাকব।

একটা দাগ ও পড়ব না।

**

'স্যার, ইন্ডিয়ান সোলজার আজ রাতে আসবে। ওদের জন্য র্যব -এর ড্রেস ও রাখা আছে। অপারেশনে সাথে থাকবে।'

বিজিবির লোকটির কথায় লে: ক: ইমরান রউফ মনে হল একটু ভাবল।

'ওদের বলবেন ক্যাজুয়াল টি একটু কম করতে। আর লীগের লোকদের একে-৪৭ এর মসলা দিবেন। ওদের বলবেন অপারেশনের পর সোজা ক্যান্টনমেন্ট চলে যেতে।'

আমাকে ইশারায় ইমরান ডাকছে।

শালার বাইন .. ডাকে কেন?

আমায় বলল,

'অপারেশনে আমার সাথে থাকতে পারবে না?'

আমি একটু ক্লান্ত। জামাত নেতা ফয়েজের ঘটনার পর থেকে শরীরটা একটু গরম গরম। তাছাড়া অনেক দূর গাড়িতে করে আসছি।

'পারব।' বললাম।

'লিস্ট ঠিক আছে তো'?

লিস্ট দেয়া আছে আগে থেকে। এলাকার শিবির জামাত সবার বাসার ঠিকানা দেয়া আছে। সব দেয়া কি ঠিক হইসে? এরা তো গণহত্যা শুরু করব।

'স্যার, সব না ধৈরা বড় গুলারে ধরেন।'

'তুমি বুইঝ কম। সাথে থাকবা। নির্দেশ মানবা।'

**

১৬ ই ডিসেম্বর। সন্ধা। সাতক্ষীরা।

রজব, বিজিবি, পুলিশ, লীগের সন্ত্রাসী, সর্বপরি ১-২ প্লাটুন র্যবের পোশাকে ভারতীয় সৈন্য নেমে পড়েছে।

সাথে চলছে বুলডোজার।

লিস্টের ঠিকানায় মানুষ পেলে হত্যা করা হবে।

আর মানুষ থাকুক আর নাই ই থাকুক, বুলডোজার দিয়ে বাসা গুড়ানো হবে।

সম্মিলিত হায়নার দল এক যুদ্ধযাত্রা শুরু করল।

কাদের বিরুদ্ধে?

নিজ দেশের নিরস্ত্র গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

কেন?

সরকারের গদি বাচাতে হবে।

স্বাধীনতার চেতনা সুরক্ষিত করতে হবে।

***

সাতক্ষীরা জ্বলছে।

বিজয় দিবস থেকে ই জ্বলছে।

২০১৩ এর রাক্ষস দালাল বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের গদিসিন।

ভয়ঙ্কর অত্যাচারী।

শিউরে উঠবে যেকোন বিবেক।

বিবেককে বন্দী করে রেখেছে প্রথম আলো, একাত্তর, চানেল আই, সহ সরকারের প্রায় প্রত্যেক বিভাগের নরপশুরা।

সবাই জামায়াত নিধনের নামে গণহত্যা চালাচ্ছে।

এক শহীদ আব্দুল কাদেরের জন্য কোটি জনতা সহস্র মসজিদে গায়েবানা নামাজ পড়েছে বাংলাদেশে।

প্রায় প্রত্যেক দেশে তার স্মরণে জানাজা হয়েছে -- ক্রন্দন করেছে তার প্রেমিক কোটি কোটি মুসলিম - জাতি , গোত্র উপেক্ষা করে।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ প্রায় প্রত্যেক দেশের অনুররোধ উপেক্ষা করে নরঘাতক সরকারের সরাসরি নির্দেশে আজ্ঞাবহ বিচারক কাজটি সম্পন্ন করে শুধুমাত্র তাদের 'একমাত্র প্রভু/ইশ্বর' ভারতকে খুশি রাখতে।

কোটি কোটি মানুষের ক্রন্দন সরকারের অন্তর জ্বালিয়ে দিয়েছে।

প্রতিশোধ নিতে হবে যে?

শুরু করল আরেক একাত্তর।

তার চেয়ে ও ভয়াবহ।

নিজের দেশের মানুষদের ঠিকানা চিনিয়ে দিল পুলিশ, বিজিবি আর ভারতীয় সৈন্য সমেত দলকে।

হানাদার ঘরে ঘরে যাচ্ছে।

মানুষ মারছে।

উল্লাস করছে।

পিতা মারছে।

ভাই মারছে।

সন্তান মারছে।

তরুণ মারছে।

কিশোর মারছে।

এক ৭ বছরের শিশুর মাথা বরাবর গুলি করল লে: ক: ইমরান। পাশে দাড়ানো বোন মুহুর্তে বোবা হয়ে গেল। বসে পড়ল চিত্কার দিয়ে।

ভারতীয় সৈন্যদের এক নেশা পেয়ে গেল।

সুযোগের অপেক্ষাতে ই ছিল পিশাচেরা।

বোনটিকে নিয়ে রুমে ঢুকল। দরজা বন্ধ করে দিল।

চিত্কার আসছে।

আকাশ, বাতাস, জমিন কাদছে।

চিত্কার করে কাদছে।

একটু পর আসল গুলির শব্দ।

লে: ক: ইমরান ভুলে থাকার চেষ্টা করছে কি? রুমের ভিতর কি হচ্ছে?

ভারতের সৈন্যদের সে কি বলবে?

তাদের উপঢৌকন দিয়ে আনা হয়েছে যে, দেশের মানুষদের হত্যা করতে হবে আর মা-বোনদের ইজ্জত লুট করতে হবে।

কত্জনকে রেইপ করেছে?

লিগ, দালাল আর ভারতের সৈন্যরা মিলে?

আজ একদিনে?

গত কাল থেকে?

১০,২০,৩০,৪০,৫০, ... আর ও চলছে।

এক বাসায় ৫ জনকে হত্যা করল সে।

রাইফেলে বুলেট ভরছে।

তাকে নেশা পেয়ে বসেছে।

ঠিক এ মুহুর্তে নেশা পেয়েছে সজীব আহমেদ জয়ের ও। দিল্লিতে কংগ্রেসের সাথে ফলপ্রসু মিটিংয়ে চলমান অপারেশনে ভারতীয় সহযোগিতার কৃতগ্গ্তায় হুইস্কি দিয়ে চিয়ার্স করল।

এ মুহুর্তে শাহরিয়ার কবির ব্রাসেলসে ফোন করে জামায়াত নিধনের নামে গণহত্যার খুশির সংবাদ জানিয়ে আনন্দ প্রকাশ করল।

এ মুহুর্তে তোফায়েল আহমেদ আর হাসানুল হোক ইনু প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জয়োল্লাস করছে। তারা গ্যরান্টি পেয়েছে ভারতের। বিএনপি যে সে সমর্থনে ব্যর্থ হয়েছে - এ বিজয়ের সংবাদটুকু যে তাদের বিজয় দিবসকে সত্যিকার ভাবে অর্থবহ করে দিয়েছে!

এ মুহুর্তে রওশন এরশাদ এর বাসায় গওহর রিজভী সহাস্যে চা পান করছে। বিজয় দিবসের অনুভুতিতে তার ব্যকুল হৃদয়ের। এই লোকটির জন্ম ভারতে।

এ মুহুর্তে জামায়াতের সাত্তার মওলানার বাসার সামনে এক তরুনকে দেখামাত্র গুলি করল লে: ক: ইমরান। পরে যেতে ই লীগের এক দুই হাত চাপাতিধারী মাটিতে গড়াতে থাকা ছেলেটিকে জবাই করল। সেদিকে দেখার সময় নেই তার।

সকাল ১১. ৩০। যৌথ বাহীনি এখন আছে কালিগঞ্জ এলাকায়।

'সবগুলো বাড়ি জ্বালাও'।

আদেশ পেয়ে ই নেশাগ্রস্ত পুলিশ-র্ব্জ-লিগ-বিজিবি-বি-এস-এফ সম্মলিতভাবে আগুন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল।

একটি রুমে লুকিয়ে থাকা ১০ জনের উর্ধ মা-মেয়েদের একসাথে বের করেছে লীগের ওয়ার্ড সভাপতি।

সবাই কি ঝাপিয়ে পড়ল মা-দের উপর!'

আহারে।

প্রতিটি অনু-পরমানু স্নাক্ষী হয়ে যাচ্ছে ঘাতকদের অপকর্মের।

হটাত হওয়া বইছে। মা-দের আর্ত -চিত্কার যেন কমে আসে হওয়ায়।

মরণ-প্রতিগ্গ একদল মানুষ জঙ্গলের মাঝে শক্তচোখে দুরের গ্রামের আগুন দেখছে।

এমন আগুন এদের বাপ-দাদারা ও দেখেছিল ৭১ এ।

দেখেছিল গণকবর।

একই চিত্র ঘুরে এসেছে।

২০১৩ এ একই ভাবে গ্রাম জ্বলছে।

হত্তাজগ্গ চলছে। বৃদ্ধ, শিশু, কোলের শিশু, তরুনকে জবাই করা হচ্ছে। কিংবা গুলি করে মারছে।

মা-মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে।

রক্তগঙ্গা বইছে সাত্খিরায়। বিজয় দিবসের দিনে!

জঙ্গল থেকে শক্ত চোখেরা আগুন দেখছে। নিজেরা প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে।

**

বিকেল ৫ টা।

উপজেলা আওয়ামিরীগের সভাপতি অহেদের নেতৃত্বে ১৭ গাড়ী বিজিবি আবার কালিগঞ্জ চৌমুহনী এলাকায় প্রবেশ করে।

পোড়া মাটিকে আবার পুড়ানোর নেশা এদের।

বিধস্ত এলাকাকে আবার ধ্বংস করার ইচ্ছা।

আর কত মারবে?

লুকিয়ে থাকা যে তরুনটি সারা দিন শেষে বাড়ি ফিরে লাশ খুজছে ভেজা চোখে - তাকে মারবে?

যে ভাইটি তার মা-বোনের খোজে ফিরে আসল তাকে ধরবে? হত্যা করবে?

কি অপরাধ এদের?

পাকিস্তানিরা অন্য দেশে ধংস জগ্গ চালিয়েছিল। কিন্তু এরা? নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করছে চিরশত্রু ভারতের কথায় ?

এরা কি বুঝে না? সরকার কি বুঝে না? যে তাদের প্রভু 'ভারত' দেশপ্রেমিকদের মারার পর তাবেদারদের ই মারা শুরু করবে? ধর্ষণ শুরু করবে?

যেভাবে মীরজাফর, মিরন, উমিচাদ, জগত শেঠ, ঘসেটি বেগমদের শেষ পরিনতি হয়েছিল?

দালালির চূড়ান্ত সীমায় এরা দাড়িয়ে।

সরকার দাড়িয়ে।

প্রধানমন্ত্রী দাড়িয়ে।

সুশীল দাড়িয়ে।

একাত্তরের মোজাম্মেল বাবু দাড়িয়ে।

শাহরিয়ার কবির, জাফর ইকবাল দাড়িয়ে।

ইনু দাড়িয়ে।

ইনু এরকম আরেকবার দাড়িয়েছিল। মুজিবকে হত্যার পর। আনন্দের দাড়ানো। এই আরেকবার দাড়ালো। ইসলামপন্থীদের হত্যার ঘোষণায় আর আনন্দে।

ছাত্রশিবিরের উপজেলা অফিস জ্বলছে।

চৌমুহনী মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বাড়ী জ্বলছে।

তার আগে স্বভাবজনিত লুটতরজ চালালো সম্মিলিত বাহিনী।

**

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধার পর।

র্যব পুরিশ বিজিবি মিলে যৌথ বাহীনির প্রায় ৬০টি গাড়ী আবার ঢুকে চৌমুহনী এলাকায়।

লিস্ট ধরে আগাচ্ছে বাহিনী।

হত্যার নেশা।

রক্তের নেশা।

এ তাদের বহু পুরনো নেশা।

এ রক্তের স্বাক্ষী শেরে বাংলা ও।

তাই মুজিবের মত সুযোগ সন্ধানী চতুর লোককে অপাংতেয় আর ধান্দাবাজ সন্দেহে কোন সুযোগ ই দেয় নাই।

কেবল শেরে বাংলার মৃত্যুর পর সুযোগ মত লাইম লাইটে আসে এই হিংস্র হায়নাদের অগ্রপথিক।

সেই রক্তের আদি নেশা এই দলে বহমান।

যতদিন পদ্মা বইবে, এই সম্প্রদায় ততদিন এই নেশায় আসক্ত থাকবে।

এছাড়া যে এদের আর কিছু করার নাই।

আর কিছু করার আর দেয়ার যোগ্যতা নাই।

জামায়াত নেতাদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালাল। লুটপাট করল।

দলটি পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাগ হয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ঢুকে পড়ল।

একভাগের নেতৃত্বে লে: ক: ইমরান। দু'দলেই বি,এস,এফ এর লোক আছে।

RAB এর পোশাকে হায়নাদের সাথে তারা ভাল ই মিশে গেছে।

গতরাতে পাশের শ্যমনগর খানপুর এলাকার এক মসজিদের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে মসজিদের মাইক ও অন্যান্য জিনিস ভাংচুর করে লীগের কয়েক মুজিব-সেনা।

কোন মিডিয়া সত্খিরায় নাই।

ডিসি রেস্ট হাউসে প্রথম আলো, একাত্তর, চানেল আইয়ের মিডিয়া কর্মীরা বন্ভয়াজে ব্যস্ত আছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকজন ও সেখানে আছে।

মিডিয়ার কর্মীরা কল্পিত মুক্তিযুদ্ধের দিনলিপির সাক্ষাত্কার বানাচ্ছে এদের নিয়ে।

একাত্তরে আমু, নাসিমের দলবল সহ আওয়ামী লীগের নেতারা কলিকাতায় দিদিদের একই রকম আপ্যায়নে মধুর সময় কাটিয়েছিল।

একই সময়ে বাংলা পুড়ছিল।

এখন ও বাংলা পুড়ছে।

কি অদ্ভুত মিল।

সময় ও স্থান কিভাবে ঘুরে ঘুরে আসে!

খ) আসাদুজ্জামান নুর:

নিলফামারি।

আওয়ামী এমপি এবং নাস্তিক খ্যত 'বাকের ভাই' নাম পরিচিত ' কান্নাজড়িত কন্ঠে বলছেন, '৫ ই জানুয়ারির পর শিবির জামাত দেখলে ই জবাই করবা। ঘরে ঘরে ঢুকে গুলি করে খুন করবা।'

দূর থেকে মহসিন বক্তব্য শুনছে।

শিবিরের এক তরুণ এক নেতা।

সে ভাবছে, প্রচন্ড ইসলাম-বিদ্বেষী ভারতের পেইড-এজেন্ট এই সুযোগ কেন হারাবে?

মানুষ হত্যা এদের কাছে কোন ব্যপার ই নয় যদি তাতে ইসলামের ক্ষতি হয়।

এদের শত্রুতা আসলে মানুষের সাথে নয়। এদের শত্রুতা ইসলামের সাথে। আল্লাহর সাথে। রাসুলের সাথে।

আমরা আমাদের কাজ করব। প্রতিরোধ করব। আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার প্রয়োজনেই।

যাতে তার সামনে দাড়ানোর দিন বলতে পারি, 'হে স্রষ্টা, আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি করিনি স্বৈরাচারের প্রতিরোধে।'

আর আল্লাহ তার কাজ করবেন। যেহেতু তাদের আসল শত্রুতা আল্লাহর সাথে।

এদের বিষদাত আল্লাহ ই উপরে ফেলবেন। দুই ভুবনেই।

মহসিন নামাজে যাচ্ছে। মাইকে আজান দেয়া যাচ্ছে না সপ্তাহ ধরে।

দিবেই বা কিভাবে? এলাকা যে বাকের ভাই খ্যত আসাদুজ্জামান নুরের। রক্তে যার তীব্র ইসলাম-বিদ্বেষ। ঘৃণার অনল।

জামায়াতের নামাজ হবে এক ভাইয়ের বাসায়। মসজিদে জামায়াতের নামাজ হলেই বাকের ভাইয়ের গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশের দল এসে মসজিদকে ই রক্তাত্ত করবে নির্দিধায়।

গ) অন্যভুবনের ক্রিমিনাল / আসামী:

মন্মযুরি গ্রাম জনমানব-শুন্য।

মানুষেরা গিয়েছে জঙ্গলে।

সাধারণ মানুষে ভরা জঙ্গল।

শিবির- অশিবির, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, সবাই একাকার।

কেউ বুঝতে পারেনি ভারতের বিজিবির সাথে সমবিহারে দেশজ দালাল পুলিশ, বিজিবি দের হত্যাকান্ডের নমুনা।

শিবিরের দায়িত্বশীল আবির বক্তব্য রাখছে।

আগুন-ঝরা বক্তব্য।

দেশকে রক্ষার ২০১৩ এ র্মুক্তিযুদ্ধে অগ্রাধিনায়ক শিবিরের তরুণ প্রজন্ম কান্নারত দেশবাসীর জন্য আসির্বাদ্ রূপে প্রতিভাত হয়েছে।

সে বলছে:

"যেকোনো আস্তিক বুঝে/না বুঝে 'পাপ' কাজ কেন করে? কারণ পরকালের ভয়াবহতার প্রকৃত তথ্য তার অজানা! যখন পৃথিবীর এক মৃত নবজাতকের চুল ধুসর হয়ে যাবে সেদিনের ভয়াবহতায় - তখন আমাদের কি হবে? এই মিথ্যাবাদী, অত্যাচারী স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের কি হবে? এই সরকারের প্রত্যেক ক্রিমিনালের কি হবে? চুপ-থেকে এই স্বৈরাচারকে নিরবে সমর্থন দেয়া প্রত্যেক মানুষের কি অবস্থা হবে সেদিন আল্লাহর দরবারে?

বুখারীর এক হাদিসে 'মিথ্যাবাদী'র আজাব বর্ণিত হয়েছে - এমন এক মিথ্যাবাদী যে সারাদিন মানুষের নামে 'অপবাদ ছড়ায়! 'হুক' দিয়ে তার মুখ, চোখ, গাল অনবরত ছিন্নভিন্ন করা হবে - একদিক চিড়ার পর অন্য ক্ষত দিক পুন: আগের অবস্থায় আসবে -- এবং আযাব চলতেই থাকবে।

পৃথিবীর যেকোনো স্বৈরাচার হাশরের ময়দানে অতি ক্ষুদ্র পিপিলিকাকৃতিতে উঠবে এবং ওহুদ পাহাড়-সম উদ্ভ্রান্ত মানুষের পদলেহনে তাদের করুন অবস্থা অনুমেয়! বিচারের পর আল্লাহ 'মিথ্যাবাদী শাসকের' দিকে তাকাবেন ই না - অর্থাত সরাসরি জাহান্নামের অগ্নি-গহ্বর হবে তাদের অনন্ত ঠিকানা! স্বৈরাচারের সহযোগীদের সহ জাহান্নাম পরিপূর্ণ হয়ে যাবে!

জাহান্নামের সব চেয়ে কম শাস্তির নমুনা হলো: একটি অগ্নি-জুতা তাকে পরানো হবে (আরেক বর্ণনায় টাখনু পর্যন্ত আগুনের পুকুরে ডুবিয়ে রাখা হবে) এবং উত্তাপে তার মগজ টগবগ করে ফুটবে। সে ভাববে তাকে সবচেয়ে বেশি আজাব দেয়া হচ্ছে। অথচ সে হলো সবচেয়ে কম শাস্তির জাহান্নামী!

তাবারীর এক বর্ণনায়, জাহান্নামের আযাব ক্রম-বর্ধমান হবে! একই পরিমানের সাস্তি সবসময়ের জন্য হবে না - না পাছে জাহান্নামী তা সয়ে যেতে পারে! দিনের পর দিন সেই আজাবের নমুনা আর মাত্রা ভয়ঙ্কর হতে থাকবে! চিন্তা করুন - অনন্ত কাল পর্যন্ত সেই কষ্টের মাত্র বাড়তেই থাকবে!

আজ বাংলাদেশে ইসলামের সাথে ধর্মহীনতার সংঘর্ষ! অনেকে না বুঝে ধর্মহীন স্বৈরাচারের সহযোগী হচ্ছেন। না বুঝে মজলুমকে ঘৃনা করছেন - জালেমকে সাহায্য করছেন! বনি ইসরাইলের একজন মহিলা একটি বিড়ালকে না খাইয়ে রেখে হত্যার জন্য জাহান্নামী হয়েছিল - তো চিন্তা করুন যারা ইসলামের অনুসারীদের - আল্লাহর পথের কর্মীদের তথা 'লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ' বাস্তবায়নে প্রচেষ্টাকারীদের জেলে পুড়ে অত্যাচার করে - গুলি করে হত্যা করে - শরীর থেতলে দেয় - তাদের কি পরিনতি হবে সেই অনন্ত জীবনে?

মহানবী (দ) বলেছেন - মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই! সমগ্র মুমিন এক দেহ স্বরূপ! দেহের এক অংশ ব্যথিত হলে যেমন সমগ্র দেহ দুর্বল/ব্যথিত হয় তেমনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তরে বা যেকোনো ইসলামী দলের মুসলমানেরা অত্যাচারিত হলে মুসলমানদের অন্তর 'ব্যথিত' হওয়া উচিত - প্রতিবাদী হওয়া কর্তব্য! যদি এমন কোনো কিছু অনুভব না করেন তবে আপনি আদৌ মুসলমান আছেন কিনা আত্মসমালোচনা করুন!

বুখারীর একটি বর্ণনা দিয়ে শেষ করি! মহানবী (দ) বলেছেন সবচেয়ে কাঙ্গাল (দরিদ্র) সেই ব্যক্তি যে পরকালে অনেক নামাজ, রোজা, যাকাত ইত্যাদির সওয়াব নিয়ে উঠবে - কিন্তু মানুষের প্রতি তার আচরণ ছিল খারাপ - মানুষের নামে মিথ্যা অপবাদ দিত, গালি গালাজ করত - গীবত করত, কারও সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাত করত, কারো অধিকার অন্যায়ভাবে হরণ করত - সেই লোক দ্বারা নিগৃহিত ব্যক্তিদের আল্লাহ কিসের বিনিময়ে প্রতিদান দিবেন? অত্যাচারী ব্যক্তির অর্জিত সওযাব তাদের দেয়া ছাড়া? যদি সওযাব না থাকে তবে মজলুমের গুনাহ তার উপর চাপানো হবে এবং নি:স্ব অবস্থায় সে জাহান্নামে যাবে!! মানুষের প্রতি খারাপ উক্তি, মিথ্যাচার, মিথ্যা অপবাদ, নির্যাতন, সম্পদ-হরণ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ইত্যাদি এতই মারাত্মক অপরাধ!"

এ হল পরকালের ক্রিমিনালদের বিচার।

কিন্তু হে সংগ্রামী বন্ধুগন, এই সময়ে আপনাদের কাজ কি?

আপনাদের কাজ তো সেটাই যেটা এ মুহুর্তে বিবেকের কাজ:

"সওদাগরের দল মাঝে মোরা ওঠায়েছি আহাজারী,

ঘরে ঘরে ওঠে ক্রন্দনধ্বনি আওয়াজ শুনছি তারি।

ওকি বাতাসের হাহাকার,-ওকি

রোণাজারি ক্ষুধিতের!

ওকি দরিয়ার গর্জন, --ওকি বেদনা মজলুমের!

ওকি ক্ষুধাতুর পাঁজরায় বাজে মৃত্যুর জয়ভেরী!

পাঞ্জেরী!

জাগো বন্দরে কৈফিয়তের তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,

জাগো অগণন ক্ষুধিত মুখের নীরব ভ্রুকুটি হেরি;

দেখ চেয়ে দেখ সূর্য ওঠার কত দেরী, কত দেরী।।"

বিষয়: বিবিধ

১৮০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File