সত্য ঘটনা অবলম্বনে (২১): অপারেশন (২) - শাহরিয়ার কবির গং এবং আগুন
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৮:১০ সকাল
'ম্যডাম সুজাতা, ভাল আছেন?'
'জ্বি, আপনার মুভি-প্রজেক্ট শুনলাম প্রায় শেষ?'
'হুম, জামাতিদের এটা একটা হার্ড-ব্লো দিবে বলে আমাদের বিশ্বাস।'
'মি: শাহরিয়ার, আপনি সরাসরি গুলি করতে বলেছেন। অন্যান্য পয়েন্টস ও একই কথা বলছে। পরিস্থিতি কি হার্ড লাইন এভয়েডে অক্ষম?'
'কিছু জেলায় কোন কন্ট্রোল নাই। 'র' উইল টেক স্টেপস সুন। তাছাড়া প্যারালাল এটাক জাস্টিফাই করেছেন কংগ্রেস আর আমাদের লোকেরা'
'ডোন্ট টেক ব্রেন-লেস এনটিটি লাইক 'জয়' উইথিন ইউর ডিসিশন মেকার টীম। লাইক mother লাইক son। dull এন্ড stupid। এনগেজ হিম ফর financial exploitation only. 'র' taght হিম অ গুড লেস্সন recently.'
'আচ্ছা, মি: শাহরিয়ার, ফাসি কিভাবে এগুবে?'
'এ মাসে ই কাদের মোল্লা, নেক্সট মান্থ এ সাইদী এন্ড সো অন।'
'ইউরোপ থেকে গ্রীন সিগনাল দিয়েছে?'
'হুম।'
আর্মির মি: বেলালের প্রগ্রেস কেমন?'
'গুড প্রগ্রেস, একটা জায়গাকে এখন exploit বাকি প্রপারলি।'
'হাসিনা ছাড়া তো সবাই সরাসরি গুলির কথা বলেছে। হাসিনা যেন এ কথায় না বাড়ায়। '
'নো মেম। ডোন্ট অরি। সি অনলি সেইড উই গট সাকসেস বাই হ্যাঙ্গিং ওয়ান ক্রিমিনাল'
'ডোন্ট ইউ থিঙ্ক ইট উইল এভেন্তুয়াল্লি মেক দা জাস্টিস questionable অর biased ওয়ানস এগেইন'
'ট্রু, বাট মেনি পিপল স্টিল ডোন্ট bother উইথ ট্রায়াল অর জামাত।'
'দেন জাস্ট proceed'. সুজাতা হাসলেন।
'আচ্ছা মেডাম, শুনলাম, বি,এন,পি ইস trying to negotiate উইথ ইউ। প্লিস ডোন্ট ট্রাস্ট them.'
'সরি মি: শাহরিয়ার আই এম নট aware অফ such থিং। আই হেভ টু গো নাউ। টক্ to ইউ সুন। '
'বাই দা বাই, থাঙ্কস ফর ইউর এফ্ফর্ট এট UN এন্ড US. bye ফর নাউ।'
**
সাতক্ষিরার মন্মযুরি গ্রাম।
২০১৩ এ খানে 'র' এর তত্বাবধানে সরকারিয় হায়নাদের বারবার আক্রমন আর পুরো জেলাবাসীর জানবাজি রেখে সাহসী প্রতিরোধ বাংলার ইতিহাসে ঘটেনি।
পুরো মিডিয়া চুপ।
পত্রিকা চুপ।
সুশীল চুপ।
এরা একেক টা মীরজাফর, রাজবল্লভ উমিচাদের ভূমিকায় অসাধারন পারদর্শিতা রাখছে।
ভারত অট্টহাসি দিচ্ছে।
১৯৪৬-৪৭ এ কলিকাতায় ৩০০০০ মুসলমান নিধনে ও যে তাদের তৃষ্ণা মিটেনি।
পরন্তু বিশ্বের চোখে সেই সময়ের মুহুর্মুহু হত্তাজগ্গের আলোকে দেশ ভাগ ছিল তাদের নৈতিক পরাজয়।
তার প্রতিশোধ কি নিতে হবে না?
**
ধানক্ষেতের পারে কর্মীদের নিয়ে সভা হচ্ছে।
আবির বক্তব্য রাখছে কর্মীদের সামনে, তাদের কি করা উচিত। প্রতি প্রতিরোধে নিরীহ জেলাবাসীদের লাশ পরছে। মা সন্তানহারা হচ্ছে।
পুরো দেশের মাথায় বসেছে আজ দালালেরা।
নির্বাচনে ভারতের প্রমিস নিয়ে আসা সরকার যে এক পুতুল। তার মাথার সুতা কাটতে সে যে অক্ষম। তাই নাচবে সে। নাচতে ই থাকবে।
আবির বলছে, "পুলিশ কমিশনার বেনজির বলেছিল শিবির দেখামাত্র গুলি করতে। ফলশ্রুতি, শত শত শিবিরের লাশ উপহার দেয় পুলিশ।
এখন ভারতীয় ও আওয়ামী রক্ষিতা শাহরিয়ার কবির বলেছে দেখামাত্র শিবির জামায়াত গুলি করতে। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে 13 জন শিবিরকে দেখামাত্র গুলি করে শহীদ করেছে সরকার। দেশের আরেক জায়গা লক্ষীপুরে জামায়াতের জেলা নায়েবে আমির, কমিশনার সহ ৬ জনকে বাসায় ঢুকে গুলি করে শহীদ করেছে জারজের দল।
১৪ আর ১৬ ই ডিসেম্বরে হাসিনা, শাহরিয়ার কবির গং জারজদের প্রসব-বেদনা উঠবে যথারীতি। থুথু মারি এদের।"
সবাই সমস্বরে,
'নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার।
ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান।'
'দড়ি ধরে মার টান
হাসিনা হবে খান খান।'
'আমার নেতা তোমার নেতা
বিশ্বনবী মোস্তফা'
'ঘরে ঘরে আনো
কোরআনের আলো'।
*******************
লালমনিরহাটের সরেয়ার বাজার এলাকা।
ভোরে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে মিছিল শুরু করে।
একদল প্রস্তুত রায়ট পুলিশ শুরু করল গুলি। সেই সাথে কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারশেল।
পিকেটাররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ছে।
আধুনিক অস্ত্রের মুখে জেলাবাসী ইট - সুরকি ছুড়ছে।
বাঙালির সাহস কি একে ই বলে?
যুব লীগের কয়েকজন ও পুলিশের পোশাকে নিচু হয়ে নিশানা ঠিক করছে।
তোমরা কাদের নিশানা বানাচ্ছ?
তোমাদের ভাইদের?
তোমাদের চাচাদের?
তোমাদের স্বজনদের?
সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে?
অরাজকতায় হাসিনার লাভ কেবল! কারণ সে যেকোন উপায়ে গদিতে থাকতে চায়।
তার চেলাচামুনডারা যেকোন উপায়ে হাসিনাকে রাখতে চায় - তাছাড়া যে তাদের জীবন হুমকির মুখে পরবে।
অরাজকতায় লাভ কেবল ভারতের। সে যে দেশ কে পুরোপুরি গিলে খেতে চায়। বা পঙ্গু করতে চায় সিকিমের মত। বাংলাদেশী মানুষ জাহান্নামে যাক বা বঙ্গোপসাগরে ভেসে যাক - তাতে তার কিছু যায় আসে না।
গুলি চলছে।
লাশ পরছে।
দেশের মানুষ - ভাই ভাইকে মারছে।
আহারে, সরকার মাতাল হাসি দিচ্ছে।
ভারত মাতাল হাসি দিচ্ছে।
****************************
ফেনীতে জামায়াতের অফিস ও ফালাহিয়া মাদরাসায় আগুন জ্বলছে।
পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে অস্ত্রধারী বিজিবি, পুলিশ আর র্যব।
আগুন জ্বলছে।
সবাই আগুন দেখছে।
কান্নার আগুন।
পরিশ্রমের আগুন।
অভুক্ত মানুষের আগুন।
এমন আগুন আগে ও জ্বলেছিল:
"মারা পড়েছে গর্তওয়ালারা যে গর্তে দাউ দাউ করে জ্বলা জ্বালানীর আগুন ছিল। যখন তারা সেই গর্তের কিনারে বসেছিল। এবং ঈমানদারদের সাথে। তারা সবকিছু করছিল তা দেখছিল৷" (সুরা বুরুজ থেকে)
**
এনটিভি নিউস ব্রেকিং দিয়েছে: 'বিচারপতির বাসায় অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি কালেই ধরা পরল যুবলীগের তিন কর্মী।'
**
আরেক ব্রেকিং: 'সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের দুটি বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে পালানোর সময় যুবলীগ নেতা আবদুল গফফরকে আটক করেছে এলাকাবাসী। শনিবার রাত ১১টার দিকে দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।'
**
ব্রেকিং এর বন্যা: 'নোয়াখালী কোম্পানীগন্জে পুলিশ এর সাথে পুলিশ পোশাক ধারী যে ছাত্রলীগ ছিল তাদের মধ্যে ২ জনের নাম জানা গেল। ১- মাখন ২- মুন্না'
*************************
সাতকানিয়ায় ইমাম সাহেব খুতবা রাখছেন:
"" ... তিনি তোমাদের ফিরাউনী সম্প্রদায়ের কবল থেকে মুক্ত করেছেন, যারা তোমাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালাতো, তোমাদের "ছেলেদের যবেহ" করতো (وَيُذَبِّحُونَ أَبْنَاءَكُمْ) এবং তোমাদের মেয়েদের জীবিত রাখতো৷ এর মধ্যে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য মহা পরীক্ষা ছিল৷" (ইব্রাহিম: ৬)
অত্যাচারের নমুনা দেখুন। নবজাতক শিশুকে মা-বাবার সামনে যবেহ করছে ফেরাউন নামক শাসকের গদিতে বসা নরপশুরা। শাসকের কি ভয়ঙ্কর নির্যাতন!
সময় ঘুরে ঘুরে আসে।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের তথা জামায়াত-শিবিরের লোকদের একই কায়দায় গুলি করে হত্যা করছে নরপশু শাসকেরা।
যারা এই নরপশু শাসকদের সমর্থন করছে
এদের জন্য সংবাদ এই সুরার শেষের দিকেই (আয়াত ৪২ থেকে) স্রষ্টা জানিয়েছেন:
"এখন এ জালেমরা যা কিছু করছে আল্লাহকে তোমরা তা থেকে গাফেল মনে করো না৷ আল্লাহ তো তাদেরকে সময় দিচ্ছেন সেই দিন পর্যন্ত যখন তাদের চক্ষু বিস্ফরিত হয়ে যাবে,
তারা মাথা তুলে পালাতে থাকবে, দৃষ্টি ওপরের দিকে স্থির হয়ে থাকবে এবং মন উড়তে থাকবে৷
হে মুহাম্মদ ! সেই দিন সম্পর্কে এদেরকে সতর্ক করো, যে দিন আযাব এসে এদেরকে ধরবে৷ সে সময় এ জালেমরা বলবে, “হে আমাদের রব! আমাদের একটুখানি অবকাশ দাও, আমরা তোমার ডাকে সাড়া দেবো এবং রসূলদের অনুসরণ করবো৷” (কিন্তু তাদেরকে পরিষ্কার জবাব দেয়া হবে : “তোমরা কি তারা নও যারা ইতিপূর্বে কসম খেয়ে খেয়ে বলতো, আমাদের কখনো পতন হবে না ?”
অথচ তোমরা সেই সব জাতির আবাস ভূমীতে বসবাস করেছিলে যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল এবং আমি তাদের সাথে কি ব্যবহার করেছি তা দেখেও ছিলে আর তাদের দৃষ্টান্ত দিয়ে দিয়ে আমি তোমাদের বুঝিয়েও ছিলাম৷
তারা তাদের সব রকমের চক্রান্ত করে দেখেছে কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি চক্রান্তের জবাব আল্লাহর কাছে ছিল, যদিও তাদের চক্রান্তগুলো এমন পর্যায়ের ছিল যাতে পাহাড় টলে যেতো৷
কাজেই হে নবী! কখখনো এ ধারণা করো না যে, আল্লাহ তাঁর নবীদের প্রতি প্রদত্ত ওয়াদার বিরুদ্ধাচরণ করবেন৷ আল্লাহ প্রতাপান্বিত ও প্রতিশোধ গ্রহণকারী৷"
"সেদিন তোমরা অপরাধীদের দেখবে, শিকলে তাদের হাত পা বাঁধা,
আলকাতরার পোশাক পরে থাকবে এবং আগুনের শিখা তাদের চেহারা ডেলে ফেলতে থাকবে৷
এটা এ জন্য হবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকে তার কৃতকর্মের বদলা দেবেন৷ হিসেব নিতে আল্লাহর একটুও দেরী হয় না৷
এটি একটি পয়গাম সব মানুষের জন্য এবং এটি পাঠানো হয়েছে এ জন্য যাতে এর মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা যায় এবং তারা জেনে নেয় যে, আসলে আল্লাহ মাত্র একজনই আর যারা বুদ্ধি-বিবেচনা রাখে তারা সচেতন হয়ে যায়৷"
বিষয়: বিবিধ
১৪২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন