সত্য ঘটনা অবলম্বনে (১৮): দুজন মানুষের গল্প এবং একজন কাদের মোল্লা
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৪১:২৬ দুপুর
ক) এক তরুনের গল্প:
যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।
পুলিশের দলটি সশস্ত্র অপেক্ষায় ছিল এক ছোট গলিতে। শিবিরের মিছিলটি আসতে ই গুলি শুরু করল।
ছত্রভংগ হওয়া মাত্র কাপুরুষরা মিছিলের ছেলেদের ধরা শুরু করল।
আমি সরে পড়তে পারলাম। কিন্তু আমার দুই সঙ্গী কে ধরল। মুহুর্তে মনে হল আমি কেন ঘুরে দাড়ালাম না? সর্ব শক্তি দিয়ে ভাইদের ছিনিয়ে নিতে ঝাপিয়ে পরলাম না?
ছাপড়া দোকানে বসে পরলাম। মতি আমার পরিচিত। ভাল চা বানায়।
'ভাইজান, ভিতরের রুমে চইলা যান।'
ঢুকে পরলাম ভিতরে। মাথায় পরিকল্পনা ঘুরছে।
১) ককটেল নিতে হবে
২) থানায় যেতে হবে
৩) ফোন করতে হবে।
পকেটে কোন টাকা নেই। মিছিল চলাকালে রুপম আমার ফোন নিয়েছিল। এরপর পুলিশের গুলি শুরু হলে আমরা আলাদা হয়ে যাই।
হাত কেটে রক্ত পড়ছে। পানি দিয়ে ধুয়েছি।
মতির থেকে কিছু টাকা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।
**
রিক্সায় গন্তব্যে যাচ্ছি। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে। ভিতর ভিতর দিয়ে রিক্সা চলছে।
দিনে রাস্তায় মানুষের ব্যস্ত দৌড়ানো। রিক্সা, গাড়ি, ট্রাক, বাস লাশবাহী গাড়ি সবকিছুর দৌড়ানো। সেই সাথে সরকারের তরফ থেকে দেশবাসীকে অন্য রকম দৌড়ানোর মাঝে রাখা। স্বাধীন দেশে এটি এক উপরি পাওয়া।
একদল সরকারের কুচক্রী দিয়ে মানুষ সমেত বাস পুড়ানো সাধারণ ঘটনা হয়ে পড়েছে।
ঢাকার বিহংগ পরিবহনের নাটকীয়তা আজ সবার মুখে মুখে।
গান পাউডার দিয়ে মানুষ পুড়ানোর আনন্দ এদের অতি পুরাতন অভ্যাস।
এক দগ্ধ গীতা রানী চৌধুরীর কাছে সামান্য ভরসায় প্রধানমন্ত্রী গেলে রীতিমত অপমানিত হন:
"আমরা অসুস্থ সরকার চাই না।"
আসলেই অসুস্থ সরকার। হিন্দুদের নিজেদের সম্পত্তি ভেবে তাদের উপর সুবিধামাফিক অত্যাচার যেমন - সম্পত্তি দখল, মন্দির ধ্বংস করা, ইত্যাদি সরকারের ৪২ বছরের গদবাধা নিয়ম। বিবেক মরে যাওয়া কিছু চাকর আর স্বার্থ-লাভকারী ছাড়া সব হিন্দু আজ বিষয়টা জানে। প্রধানমন্ত্রী গীতা রানীর কাছ থেকে নিশ্চয়ই বিষয়টা বুঝেছেন।
আরেকদিকে হাতে গোনা কয়েক ছাত্রলীগ আর নাস্তিক নিয়ে বসেছে শাহবাগের মিলনমেলা। টাকা আর বিরানির চড়ুইভাতি বসেছে সেখানে। একাত্তর টিভির এক মহিলা সাংবাদিক সেখানে লাখো মানুষ আবিস্কার করেতে প্রানান্ত যাচ্ছে।
একদিকে বসেছে মাগনা গাজার আসর। আরেকদিকে তরুণ তরুনীর প্রেমলীলা। মহামতি জাফর ইকবালের স্বপ্নপূরণে প্রানান্ত যাচ্ছে কপোত কপোতির দল। এদের চোখে ধুয়া। অন্তরে ধুয়া। জীবনে ধুয়া। মরণে ধুয়া। অনন্ত ধুয়ার পসার।
দৌড়াচ্ছে প্রথম আলোর এক হলুদ পাঞ্জাবি পড়া সাংবাদিক। হুমায়ুন আহমেদের হিমু কেবল এক ভাগাবন্ড তরুণ হবে - সাংবাদিক হতে পারবে না তা তো নয়! এই সাংবাদিক বাহিরে, অন্তরে সর্বত্র একান্তভাবে হলুদিয়া হিমু হবার সাধনা করছে। ইমরান এইচ সরকার এসেছে বোধহয়। একদল তরুন-তরুণী নিয়ে এদের আগমন হল কি? আবেগের লালা ঝরছে সর্বত্র। স্বাধীনতার চেতনার লালা আর লালসার লালা একসাথে ঝরছে!
**
চোখ ফিরিয়ে নিলাম পুলিশ-বেষ্টিত নপুন্শক ভয়ার্ত শাহবাগী আন্দোলনকারীদের থেকে।
আমার রিক্সা চলছে।
আমি জানি সারা দেশ জ্বলছে। ভয়ঙ্কর অত্যাচারে মানুষ রুখে দাড়িয়েছে সারা দেশে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলনকারীরা আজ রুদ্র শাসকের সামনে দাড়িয়েছে বিবেকের দায়বদ্ধতায়। আধুনিক মারনাস্ত্রের বিপরীতে ইট আর লাঠি নিয়ে।
মায়ের কান্না, পিতার কান্না, সন্তানের কান্না, বোনের কান্না, ভাইয়ের কান্না, সহকর্মীর কান্না আর রক্তমাখা চিত্কার এই আন্দোলনের শক্তি। পার্থিব স্বার্থ্লোভিদের এই আন্দোলনের শক্তি বোঝার ক্ষমতা নাই!
**
জোহরের নামাজের জামায়াত ধরলাম মসজিদে।
চোখ দিয়ে পানি ঝরছে কি অবিরত? মহাশক্তিধরের সামনে যে আমার মত এক অতি সামান্য দাড়ানো। যার তিনি ভিন্ন আর কোন সহায় নেই। যার দল কারো তাবেদারি করে না। সমগ্র বিশ্বের অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে যারা মহান স্রষ্টাকে একমাত্র সাহায্যকারী হিসেবে যারা গ্রহণ করে নিয়েছে। তার নিকট থেকেই একান্ত সাহায্য কামনা করি।
বাড়ি যাই না কতদিন!
পরিতাক্ত বাড়ি, মন্দির মসজিদ, কবর স্থান, মেস, কই কাটাই নি সময়!
তবে যেখানে ই থেকেছি মনে হয়েছে -- একজন পরম মমতায় আমাদের যেন ভালবাসায় জড়িয়ে রেখেছেন। অনুভব করেছি প্রতি মুহূর্ত। তার নির্দেশ পালনে যে সব বিসর্জন দিয়েছি। তিনি কেন আমাদের ভালবাসার আবেগে জড়াবেন না?
"বল: হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও৷ যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো৷ কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত ৷ নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ৷ তুমি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের মধ্যে৷ জীবনহীন থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটাও এবং জীবন্ত থেকে জীবনহীনের ৷ আর যাকে চাও তাকে তুমি বেহিসেব রিযিক দান করো৷"
(সুরা ইমরান: ২৬-২৭)
**
যখন কেদে চলেছি তখন কি আমি জানি যে যাত্রাবাড়ি থানায় এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে?
আমি কি জানি যে, থানার ওসি কে রক্তের নেশা পেয়ে বসেছে?
১৯-২০ বছরের দুই ছাত্রকে মাথা বরাবর পিস্তলের ট্রিগার চাপ দিল অবলীলায়।
কেন?
মাথা প্রতি দুই-তিন লাখ টাকা কি তাকে দিবে অপার শান্তি?
তার কোন সন্তান বা নিকট জন কে কি স্রষ্টা এর চেয়ে ও ভয়ঙ্কর অবস্থায় ফেলে দিয়ে অক্ষম?
পৃথিবীতেই কি স্রষ্টা আর ও প্রকট শাস্তি এই ওসির চোখের সামনে ঘটাতে অক্ষম?
পুলিশী হেফাজতে পুলিশের গুলিতে একটি ছেলে মুহুর্তে চলে গেল না ফেরার দেশে।
আরেক ছেলে মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছে। রক্তে থানার মেঝে ধুয়ে যাচ্ছে। লাল রক্ত। মানচিত্রের রঙ। এ রক্ত মায়ের সামান্য চোখের পানি থামিয়ে দিবে কি? ভাইয়ের চোখকে প্রতিশোধের আগুনে শক্ত করে দিতে পারবে কি?
**
আমি স্রষ্টার কাছে আপ্রাণ আকুতি জানাচ্ছি ভাইদের জন্য। সিজদায় শব্দ করে ই কাদছি। কে কি ভাবছে তা ভাবার সময় নেই। প্রানের চেয়ে ও প্রিয় যে আমার সংগঠনের ভাইয়েরা। তাদের থানায় কি ঘটবে তা এই জালেম রাজ্যে কে বলতে পারে না!
ভাইদের জন্য অবিরত কেদে চলেছি।
আমি কি জানি ভাইয়েরা ইতিমধ্যে জান্নাতি পাখি হয়ে অফুরন্ত আনন্দে ঘুরছে?
খ) এক প্রবীনের গল্প:
বাম আন্দোলনের পুরোধাদের সাথে সংগ্রাম ছিল সে সময়টায়।
রাশেদ খান মেনন আফসোস করছিলেন যে, "আগেকার যুগে ক্লাশের সেরা সেরা ছাত্রগুলো বাম আন্দোলন করত। আর এখন? এখন বামপন্থী মানেই পাঞ্জাবী পড়ে উসকো খুশকো চুলের এক নেশাখোরের চেহারা দৃশ্যমান হয়।"
'এই ধরুন আব্দুল কাদের'।
আমরা মোটামুটি সবাই অবাক, এত বাম রাজনীতিকের নাম পড়লাম অথচ আব্দুল কাদেরের নাম তো কখনো শুনিনি!
শুনব কি করে? আব্দুল কাদের তো ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া এক নাম। বলেই যখন ফেলেছেম, কথা তো আর ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ নেই। প্রথমেই আব্দুল কাদেরের জন্য অনেক হা হুতাশ করলেন। এত মেধাবী একটি ছেলেকে হারানোর বেদনা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তার কথায়।
'আব্দুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মার্স্টার্সের প্রতিটিতে রেকর্ড ভাঙা নম্বর পেয়ে ফার্স্ট ক্লাশ ফার্স্ট, প্রতিটি পরীক্ষাতে সেরাদের সেরা। খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিন, আব্দুল কাদের মারা যেয়ে বাম আন্দোলনের কতই না ক্ষতি হয়েছে!' কেঁদে দিয়েছিলাম।
মেনন জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার কাঁদছ কেন?
'স্যার এত মেধাবী একজন ছাত্র অকালেই ঝরে গেলেন কাঁদব না?'
'আসলেই ঝড়ে গেছে সে, সমাজতান্ত্রিক আদর্শ থেকে।'
**
দুটো জীবন সমান্তরালে চলছে।
আমার জীবন আর কাদের মোল্লার জীবন।
দুজনের জীবনের বাক একই ভাবে ঘটেছে।
বাম আন্দোলন থেকে ইসলামি আন্দোলনের বাক দুজনের একই সাথে।
ইসলামপন্থী হওয়াটাই তার জীবনের কি সবচেয়ে বড় ভুল ছিল?
যার জন্য তার মত একান্ত মুক্তিযোদ্ধাকে আজ একাত্তরের শত শত হত্যাকারীর অপবাদে ফাসির মুখোমুখি হতে হল!
"মহানবী (দ) বলেছেন একজন মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যেটা শুনলো, সেটা বললো।" ( (আবু হুরায়রা (রা ) থেকে বর্ণিত; মুসলিম শরিফ) )
রাসূল (সা) এ কথার ভিত্তিতে বলা যায়, শোনা কথা মামলার এভিডেন্স হতে পারে না।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগেরই প্রত্যক্ষদর্শী কোন সাক্ষী নেই। এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে এসে জবানবন্দি দিলেও সাক্ষীদের কেউই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগেরও প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য তারা দিতে পারেননি। প্রায় সব সাক্ষীই বলেছেন, তারা অন্যের কাছে এসব অভিযোগের কথা শুনেছেন মাত্র। তাছাড়া শোনা কথার ভিত্তিতে কাউকে বিচার করলে পৃথিবীর যেকোন মানুষকে অভিযুক্ত করা যায়। বিচার তখন খেলা হয়ে যায়।
যিনি সবে মাত্র ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন, ঠিক তখন ই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল, সেই লোকটি ১৯৭৫ সালে সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রশাসনে অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন, সেই লোকটি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার মানুষ কে হত্যা করেছেন, ধর্ষন করেছে, জ্বালিয়ে দিয়েছে হাজার হাজার ঘর ? একা একজন যুবক হয়ে এত কাজ করল, যুবক হয়ে রাজাকার বাহিনীর অন্যতম নেতা এমন কথা কি উম্মাদ ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করবে ?
পরন্তু এই যুবক এত খারাপ কাজ করল আর একজন মুক্তিযোদ্ধাও আসল না তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে, যাদের ঘর বাড়ি জ্বালাল তাদের কেউ ও আসল না, এই ৪২ বছর কেউ বলল না এই যবক এত খারাপ যে তাদের সব ধ্বংস করেছে, আর আজ ৪২ বছার পর এই যুবক নাকি জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ?
দেশবাসী কি নির্বোধ? ইসলামিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক দিয়ে তারা কি বুঝে না যে, আব্দুল কাদের মোল্লাহর শোনা কথার ভিত্তিতে বিচার কোন পর্যায়ে পড়ে?
ভাবছি! কিন্তু ভাবনা আর যুক্তির খোরাক কি বধির অত্যাচারী শাহী টলাতে পারে? ইতিহাসে কখন ও তা পেরেছে? তা হলে তো রাজপথে প্রতিবাদী হওয়ার দরকার ছিল না! অস্ত্র ধরার দরকার ছিল না!
**
মিছিল নিয়ে আসছি বাজারের রাস্তা দিয়ে।
আমি জানি গুলি শুরু হবে।
যুক্তি যেখানে মৃত, চাবুক যেখানে প্রতিষ্ঠিত, মানবতা যেখানে কারাগার-বন্দী, সমাজের শ্রেষ্ঠ, সত ও ধার্মিক মানুষেরা শিকল বদ্ধ আর সবচেয়ে ঘৃণ্য, কপট, পাপী ও নরকের কিটেরা শাসকের গদিতে -- সেখানে পুলিশের গুলির ভয় পাবে কেন বিবেক?
এই মিছিল যদি না এগোয়, তবে দেশবাসীর কান্না শুনবে কারা?
**
বড় মিছিল থেকে আলাদা হয়ে একটি ছোট দলের নেতৃত্বে চলে যাচ্ছি থানায়।
চিত্কার শুনছি যেন সেখানে।
শুনেছি ভাইদের হাত উপরে বেধে ও ঝুলিয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে একদল হায়নারা!
এই পঞ্চাশ বছরের মানুষটি কি ভয়ঙ্কর সাহসী হয়ে গিয়েছি? আমি এত শক্তি কিভাবে পাচ্ছি?
'হে পরম দয়ালু! তুমি আমায় শক্তি দাও। পরিকল্পনা সফল কর। তুমি আমায় শাহাদাতের কাতারে সামিল করে দাও - যে কাতারে নবী ও সত্যবাদীরা থাকবেন।'
**
'এক বিচারক সিনহার বাড়ি জ্বালানো হয়েছে।
আর ও ঘটনা আসছে।
নেতা কাকে বলে দেখে যাও - সারা দেশবাসী।
সারা দেশ জ্বলছে। জ্বলবে।
হায়না শাসকদলের সব নেতা ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করছে।
এদের জন্য পৃথিবী ই জাহান্নাম-সম হবে ইনশাল্লাহ।'
**
১০ ডিসেম্বর ২০১৩।
রাতের এই মিছিল থামার নয়।
মোবাইলে ফেইসবুকে স্টাটাস দেখলাম,
মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে আব্দুল কাদের মোল্লা বলেছেন,
“আজীবন শহীদি মৃত্যু কামনা করেছি। আব্দুল কাদের মোল্লা কোন অপরাধ করেনি। তোমরা নিশ্চিত থাকো, তার মাথা উঁচু ছিল এবং উঁচুই থাকবে। তোমরা কখনো আমার চোখে পানি দেখবে না ইনশাআল্লাহ।”
জেল থেকে শেষ দেখা শেষে বেরিয়ে এসে কাদের মোল্লার মহিয়সী পত্নীর বিজয়ের 'ভি' চিহ্ন দেখানো ছবি। একটি ছবি ই মিথ্যাবাদীদের জন্য চপেটাঘাত নয়? আর সত্যপন্থীদের জন্য বিজয় নয়?
চৌরাস্তার মোড়ে মিছিলটি থামল। থানা সভাপতি ট্রাফিক আইলান্ডে উঠে বক্তব্য শুরু করলেন। কত রাত ঘুমান নি তিনি। কখন কি ই বা খেয়েছেন তা কেউ কি জানে? ছোট খাট শরীরের অমায়িক মানুষটি কি জ্বালাময়ী বক্তব্য ই না দিচ্ছেন:
"শপথ আল্লাহর, এক নিরপরাধ কাদের মোল্লার অন্যায় ফাসী কার্যকর করলে তাবেদারদের লাশ পড়বে। তাবেদার লিস্টে নির্বোধ হাসিনা, তার চাকর বিচারক সহ অনেকে ই আছে।
শপথ আল্লাহর, অবুঝ আনন্দ্কারীরা এমনিতে ই ভবিষ্যত অনন্তকালের আগুনের মুখোমুখি দাড়ানো।
প্রার্থনা করি শেষ সময়ের আগেই যেন তাদের বোধদয় হয়। তা না হলে হায়না শাসকদের সাথে আগুনের দেশে তারা সবচেয়ে হতাশ থাকবে ইনশাল্লাহ। তাই এদের কে আজ অনায়াসে ছেড়ে দিলাম!"
বিষয়: বিবিধ
২৭৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন